নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাদাত উদরাজী\'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - \'গল্প ও রান্না\' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

সাহাদাত উদরাজী

[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।

সাহাদাত উদরাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অধ্যাপিকা সিদ্দিকা কবীরঃ এক অফুরন্ত ভালবাসার নাম

০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:১৬

অনেকে আমাকে জিজ্ঞেস করেন, রেসিপির বই হিসাবে কোন বইটা কেনা যেতে পারে। আমি তাদের পরিষ্কার করে বলে দেই, অধ্যাপিকা সিদ্দিকা কবীরের বই ‘রান্না খাদ্য পুষ্টি’। এই বই প্রথম প্রকাশিত হয় মার্চ ১৯৭৮ইং এবং এর পর এই বই নানানভাবে নানা ভাবে বিভক্ত হয়ে উনার নামে বেনামে অনেক ভাবেই বাজারে এসেছে কিন্তু এই প্রথম প্রকাশের বইটাই আমার কাছে সেরা মনে হয়েছে। গত প্রায় ২১ বছর ধরে আমাদের পরিবারে এই বইটা আছে, আমার প্রিয়তমা স্ত্রী এই বই সংগ্রহ করেছিলেন আমাদের বিবাহের পরে, সেই সময় তিনিও ভাল রান্না জানতেন না এবং ছোট ভাইকে একটা রান্নার বই নিয়ে আসতে বললে সে এই বইটা নিয়ে আসে, সেই থেকেই! আমি নিজে কারনে অকারনে এই বই দেখি। আমি আমার রেসিপি লেখা এবং গল্প ও রান্না সাইট চালাতে এই বই থেকে অনেক রেসিপি নিয়েছি এবং এই বই ফলো করে আমাদের পরিবারে অনেক রান্না হয়েছে। তবে এত শত শত রান্নাতে কিছু রান্নায় পরিমানে কিছু এদিক সেদিক আছে কিন্তু সেটা দেশে পাওয়া অন্যান্য বই থেকে অনেক কম। আমার ধারনা তিনি এই বইয়ের প্রতিটা রান্না নিজে করে দেখেছেন এবং সেই মতেই পরিমান দিয়েছেন। এদিকে দেশে পাওয়া অন্যান্য রেসিপি বই গুলোর বেশিরভাগ রেসিপি নকল বা চুরি করে লেখা বলে মনে হয়, কারন সেই সব রেসিপির পরিমান মত রান্না করলে অধিকাংশ সময় স্বাদ হয় না! এরা মুলত রান্না না করেই রেসিপি নকল করে বসিয়ে দেন! একবার এক রেসিপি বই থেকে আমি ও আমার প্রিয়তমা স্ত্রী রসগোল্লা তৈরী করেছিলাম, সেই রেসিপি মোতাবেক, বিশ্বাস করুন, সেই লজ্জা আজো আমার মনে আছে, প্রায় ৫০০ টাকার খরচের সেই খাবার আমরা কেহ খেতে পারি নাই বা হয় নাই! ফেলে দিতে হয়েছিল! আমাদের গল্প ও রান্না’য় সেই সুযোগ নেই! আমরা প্রতিটা রান্না করেই আপনাদের সামনে নিয়ে আসি। এমন অনেক হয়েছে, রান্না ভাল হয় নাই, সেই রান্নার ছবিও প্রকাশ করি না।

যাই হোক, আমাদের রান্নার ‘গুরুমা’ অধ্যাপিকা সিদ্দিকা কবীর নিয়েই আজকের আলোচনা চলুক। উনাকে আপনারা সবাই চিনেন বা যারা আজ রান্নায় ওস্তাদ হিসাবে আছেন, তারা নিশ্চয় উনার বই পত্র বা টিভিতে উনার অনুষ্ঠান দেখেছেন। বাংলাদেশের রান্নার জগতে উনাকে রাখতেই হবে, তিনি অবশ্যই ইতিহাসের অংশ হয়ে আছেন। আমার প্রায় উনার কথা মনে পড়ে, রাতের পর রাত উনার রান্নার সিডি গুলো আমরা দেখতাম, দেখতাম টিভি অনুষ্ঠান গুলো। রান্না করতে গেলে তো উনার বই সংগী থাকত। বিশেষ করে একটু ভাল রান্না গুলোতে অবশ্যই! চলুন উনার কথা জানি। উইকিপিডিয়া থেকে উনার এই ছবি ও জীবনী নেয়া হয়েছে।


সিদ্দিকা কবীরের জন্ম পুরানো ঢাকার মকিম বাজারে, ১৯৩৫ সালের ৭ মে। তার পিতা মৌলভি আহমেদুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক ও পরবর্তীতে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন। সিদ্দিকা কবীরের মাতা সৈয়দা হাসিনা খাতুন ছিলেন গৃহিনী। ১৯৭২ সালের নভেম্বর মাসে সিদ্দিকা কবীর ব্যাংকার সৈয়দ আলী কবীরকে বিয়ে করেন।

সিদ্দিকা কবীর পড়াশোনা করেন প্রথমে ইডেন কলেজে। সেখান থেকে তিনি বিজ্ঞান বিষয়ে প্রথম বিভাগে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে ভর্তি হন ও সেখান থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এর পর তিনি ফোর্ড ফাউন্ডেশনের বৃত্তি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটি হতে ১৯৬৩ সালে খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রি পান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে পড়ার সময় সিদ্দিকা কবীর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধপূর্ব তৎকালীন পাকিস্তান রেডিওতে ঘোষক হিসাবে খণ্ডকালীন চাকরিতে যোগ দেন। স্নাতক ডিগ্রী অর্জনের পরে প্রথমে ভিকারুন্নিসা নুন স্কুলে শিক্ষিকা হিসাবে কাজ করেন। এর পর তিনি ইডেন কলেজে গণিতের প্রভাষক হিসাবে যোগ দেন।

যুক্তরাষ্ট্রে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভের পর দেশে ফিরে তিনি গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ, আজিমপুর, ঢাকা এর সহকারী অধ্যাপক হিসাবে নিযুক্ত হন। সেখান থেকে তিনি ১৯৯৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন।

১৯৬৫ সালে সরকারি প্রতিষ্ঠান হতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে রান্না শেখা শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি তদানিন্তন পাকিস্তান টেলিভিশনে “ঘরে বাইরে” নামে রান্নার অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করা শুরু করেন। সিদ্দিকা কবীর তার “রান্না খাদ্য পুষ্টি” বইটির জন্য ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন। বাংলাদেশের সর্বাধিক বিক্রিত বইগুলির মধ্যে এখন পর্যন্ত বইটি অন্যতম। বইটি প্রথম প্রকাশের সময় মুক্তধারা, বাংলা একাডেমী সহ অন্যান্য প্রকাশনা সংস্থা এটি প্রকাশ করতে রাজী হয় নাই। পরে এটি নিজ খরচে প্রকাশ করা হয়। প্রকাশের পর এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। ১৯৮৪ সালে ইংরেজি ভাষায় একটি কারি রান্নার বই লিখেন। ১৯৮০ সালে লিখেন পাঠ্যবই খাদ্যপুষ্টি ও খাদ্য ব্যবস্থা, যা স্নাতক পর্যায়ে পড়ানো হয়। এছাড়া তিনি ১৯৯৭ সালে দৈনিক জনকণ্ঠে রসনা নামে কলাম লিখেন, যা পরবর্তীতে খাবার দাবারের কড়চা নামে প্রকাশিত হয়। প্রাইভেট টেলিভিশন এনটিভিতে তিনি সিদ্দিকা কবীরস্ রেসিপি নামের রান্নার অনুষ্ঠান নির্মানে জড়িত ছিলেন।

অধ্যাপক সিদ্দিকা কবীর ৩১ জানুয়ারি ২০১২-তে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার স্কয়্যার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে তিনি হৃদরোগসহ বিভিন্ন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুপূর্ব বেশ কিছুদিন সিআরপি-তে চিকিৎসারত থাকার পর, উন্নত চিকিৎসার জন্য স্কয়্যার হাসপাতালে স্থানান্তরের পর সেখানে চিকিৎসারত থাকাকালীন তিনি স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেন।

[উপহার কিংবা পুরুস্কার ইত্যাদিতে উনার তেমন আগ্রহ ছিল বলে আমার মনে হয় না। তিনি বিশাল ব্যক্তিত্ব নিয়ে থাকতেন, কর্মেই পরিচিত হতে চাইতেন। অন্যান্য জ্ঞানী গুনি ব্যক্তিদের মত তিনিও হয়ত রাষ্ট্রীয় সন্মান পান নাই, তবে মানুষের মনের কোঠায় তিনি যে ভালবাসা পেয়েছেন তা অসাধারন। আমিও এমন ভালবাসা চাই! মৃত্যুর পরেই মানুষ ভালবাসা চাই।।]

(গল্প ও রান্না থেকে লিখন, তথ্য সুত্র উইকিপিডিয়া)


(রান্না শিখুন, রান্নার অপর নাম ভালবাসা)

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: বইটা আমি পড়েছি।
আমার খালার বাসায় গিয়েছি। হাতে অনেক সময় তখন পড়েছিলাম।

০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৭

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ। রাজীব ভাই, আপনি কি রান্না জানেন বা রান্নায় হেল্প করেন? এমনি জানতে ইচ্ছা হল!

২| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৭

ওমেরা বলেছেন: আমি উনাকে চিনি ইউটিউব থেকে , উনার একটা রেসেপি ফলো করেছিলাম ভালো ফলও পেয়েছি ।উনার জীবনী জেনে ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে ।

০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫১

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: পনাকেও ধন্যবাদ। উনার মুল কাজ ছিলো ১৯৬৫ সাল থেকে, তখন থেকেই তিনি টিভিতে রান্নার অনুষ্ঠান করতেন। অনেক চ্যানেলে তিনি অনুষ্ঠান করেছেন তবে এন টি ভির অনুষ্ঠান টা সেরা ছিল। বাংলাদেশে তার রান্নার সিডি (এটা আবার কি জিনিষ ছিলো, জানতে চাইবেন না, হা হা হা) সব সময়েই বেষ্ট সেলার ছিলো। এই ইউটুব প্রজন্ম হয়ত উনাকে চিনবে না কিন্তু ইতিহাসের পাতায় তার নাম লেখা থাকবে।

আপনাকেও ধন্যবাদ।

৩| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো।
আমাদের ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া মেয়েরা রান্নাবান্না শিখতো না, চাকরাণী নির্ভরশী হয়ে গিয়েছিলো; উনি তাদের কিছু হ য ব র ল শিখায়েছেন।

০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৩০

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: রান্না যে ভালবাসা এটা এখনো অনেকে মানেন না! খাবারের উপরে যে আর কিছু নাই, তাও অনেকে বুঝতে চান না! তবে বিপদে পড়লেই বোঝা যায়।

৪| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০২

নতুন বলেছেন: দেশের রান্না শেখানোর জন্য উনার অনুস্ঠানগুলি খুবই ভালো মানের ছিলো।

উনি হ য ব র ল না উনি প্রকৃতই রান্না শিছিয়েছেন। উনার উপস্থাপনা খুবই ভালো লাগতো। এবং দেশের হিসেবে উনি এখনো সেরা।

০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৩০

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অধ্যাপিকা সিদ্দীকা কবীরকে চিনি এনটিভি'র রান্নাবান্না বিষয়ক অনুষ্ঠান থেকে। ওটি খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। বাংলাদেশে ডিশ চ্যানেলের প্রসারের শুরুতে এটিই ছিল প্রথম এবং একমাত্র রান্নাবান্না বিষয়ক সফল ও জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। উপস্থাপিকা শারমিন শীলাও এই অনুষ্ঠান থেকেই পরিচিতি পান। আমার প্রিয়তমা স্ত্রী এ অনুষ্ঠানটি নিয়মিত দেখতেন, যার ফলে বেশিরভাগ দিনই ঐ নির্দিষ্ট সময়টাতে আমার স্পোর্টস, গান, নাটক বা মুভি দেখা মিস হতো :( কিন্তু আমার প্রিয়তমা স্ত্রীর রান্নার মান অধ্যাপিকা সিদ্দীকা কবীরের রান্নার চাইতে ভালো হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি, কারণ, বেশিরভাগ রেসিপি শুনে আমার প্রিয়তমা স্ত্রী বলতেন- এই রেসিপিতে তো খাবার স্বাদ হবে না।

অধ্যাপিকা সিদ্দীকা কবীর সম্পর্কে অনেক কিছু জানা গেল। তিনি একজন প্রতিভাময়ী ব্যক্তিত্ব ছিলেন।

আমরা আপনার জীবদ্দশায়ই ভালোবাসতে চাই। দয়া করে, এ পর্যন্ত আপনি এবং ভাবী মিলে যা রান্না করেছেন, তার একটা প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করুন, আর এই ব্লগের নির্বাচিত কয়েকজন বগারকে বিচারক হিসাবে দাওয়াত দিন, যেখানে আমি প্রধান বিচারক থাকবো। কথা দিচ্ছি, আমি কিছু বোনাসসহ পূর্ণ নম্বরই দিব

ভালো পোস্ট সাহাদাত উদরাজী ভাই। শুভেচ্ছা।

০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৩২

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
করোনা ভাইরাস মহামারী অনেক চিন্তা ভাবনাই শেষ করে দিয়েছে।
ভাবীর জন্য শুভেচ্ছা, ভাল রান্না একটা বিশেষ গুন।

শুভেচ্ছা নিন।

৬| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: আগে যখন ইউটিউব ছিল না তখন উনার রান্নার বইই ছিল বাঙ্গালীর রান্না শেখার একমাত্র সম্বল।

০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৩

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ইয়েস, তবে এই সময়ে অনেকেই এটা জানবেও না! যারা এখন ইউটিউব দেখছে তারা হয়ত আর বিশ্বাস করবে না!

৭| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: উনার অনুষ্ঠান টিভিতে দেখেছি। কিন্তু কেকা ফেরদোসকে সবাই চিনে

০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৪

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ। কোকাপার রান্না দেখে শেখার কিছু নাই রে ভাই। আমরা যারা রান্না করি তারা জানি।

৮| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:১১

আমি সাজিদ বলেছেন: এনটিভিতে আমার মার সাথে আমিও প্রায় প্রতি এপিসোড দেখেছি। আমি শখের রাঁধুনী। আমার রান্না করতে ভালো লাগে। আপনার রান্নার ব্লগ ও আমার অনেক উপকার করেছে।

০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৬

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ সাজিদ ভাই। রান্না জানাও আনন্দের বিষয়। এতে সময় কাটানো যায় পাশাপাশি অন্যদের ভালবাসা তো থাকেই।

৯| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:১৫

নগর মানব বলেছেন: পরেরটা কি আপনার ছবি ? ভবিষ্যতে কেকা আপুকে নিয়ে পোস্ট দিবেন ।

০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৭

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ। কেকা আপার রান্না নিয়ে লিখার মত কিছু নেই, নেগেটিভ কথা আসলে আবার অনেকে মাইন্ড খাবে, ফলে না লেখাই উত্তম।

১০| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২২

রাজীব নুর বলেছেন: রান্না জানি না।
তবে শিখা শুরু করেছি। আরো আগে রান্না শেখাটা দরকার ছিলো।

০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৯

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এখনো দেরী হয় নাই। শিখে ফেলুন।

১১| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৯

মা.হাসান বলেছেন: ওনার বইটা আসার আগে বাজারে ভারতিয় ''বেলা দে'' এর রেসিপির বইটাই বাংলায় লেখা সবচেয়ে বেশি প্রচলিত বই ছিলো। বেলা দের বইটি ভালো, সমস্যা হলো দুই বাংলার রান্নার মাঝেও কিছু পার্থক্য আছে- সুক্তো-ছক্কা-মোচার ঘন্ট এসব আমাদের দেশে চলে কম।
সিদ্দিকা কবিরের বইটির একটি গুন হলো পুষ্টির বিষয়টাকেও উনি ইনক্লুড করেছেন।

ওনার পারলৌকিক কল্যান কামনা করি।

০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৪

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ভাল তথ্য জানালেন, এই বইটা কোথায় পাওয়া যাবে, জানালে খুশী হব।
হ্যাঁ, এমন অনেক মানুষই হারিয়ে গেছেন তবে তাদের কর্ম কেহ না কেহ মনে রাখছেই।
শুভেচ্ছা নিন।

১২| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ২:২০

মা.হাসান বলেছেন: এই বইটা কোথায় পাওয়া যাবে, জানালে খুশী হব।


বেলা দে


বেলা দে একজন লিজেন্ড। ৪৭ এর কিছু আগে-পরে আকাশবাণীতে 'মহিলা মহল' নামের একটি অনুষ্ঠান চালু হয়। বেলা দে এই অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন (ওনার সাথে আরো দু-একজন ছিলো) প্রায় ত্রিশ বছর। ওনার অনেক বই আছে । সবচেয়ে জনপ্রিয় বই মনে হয় ''দেশ বিদেশের রান্না'', পাবলিশার দে'জ পাবলিশিং, ভারত। ঢাকা নিউমার্কেটে এই বইটা খুব বিক্রি হতো (বাংলাদেশে, এবং এর আগে পূর্ব পাকিস্তানে আকাশ বাণী বেশ জনপ্রিয় ছিলো)। ঢাকায় ওনার কিছু বই পাওয়া যায়, পাইরেটেড না বৈধ জানা নেই। রকমারির লিংক-- https://www.rokomari.com/book/author/24447/বেলা-দে

খুঁজতে যেয়ে অবাক হলাম, ওনার নামে উইকিপিডিয়ায় কোনো তথ্য /পেজ নেই। আসলে, অনেক গুনী লোকের নামই আমরা ভুলে গিয়েছি। অনেক শুভেচ্ছা।

০৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৩৫

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রাদার। আপনার এই তথ্য আমার জ্ঞান বাড়িয়েছে। বই দুটো ওর্ডারের জন্য লিষ্টে রেখে দিলাম। আরো কিছু বই কেনার সাথে এই গুলো কিনে নিব।
ধন্যবাদ আপনাকে। বই দুটোর কয়েক পৃষ্টা পড়লাম, সুচী দেখলাম। হ্যাঁ, অধ্যাপিকা সিদ্দিকা কবীর এবং তিনি একই রকম লিখেছেন। তবে এখন আমি বেলা দে কে এগিয়ে রাখবো, কারন তিনি অধ্যাপিকা সিদ্দিকা কবীরের আগের জেনারেশন বলে মনে হচ্ছে। আরো জানি, জানাবো।

শুভেচ্ছা নিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.