|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 সাহাদাত উদরাজী
সাহাদাত উদরাজী
	[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।
বাংলাদেশের মানুষ হলেও ভারতীয় বিভিন্ন ঘটনার উপর আমাদের অনেকের চোখ থাকে, এর কারন ভারত এবং বাংলাদেশের শুধু ভৌগলিক অবস্থান নয়, আমাদের চেহারা ও চরিত্রেও অনেক মিল, যে সব ঘটনা ভারতে ঘটে সেই সব ঘটনা বাংলাদেশের মধ্যেও ঘটে। তবে আমাদের মিডিয়া গুলো কি এক অজানা কারনে ভারতের ঘটনা গুলো প্রচার করে না বা দেখায় না, অথচ দেখালে বা প্রচার করলে আমাদের সাধারন জনগণের উপকার হত এবং আমাদের জাতীয় চরিত্রেও প্রভাব পড়ত। 
যাই হোক, সংক্ষেপে ঘটনায় আসি, গত মাসের শেষের দিকে ভারতের এক নম্বার ধনী মিঃ মুকেশ আম্বানীর বোম্বাই এর বাড়ির এন্টেলিয়ার সামনে একটা গাড়ি পরিত্যাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় এবং পরে সেই গাড়ি তলাশী করে বোমা তৈরীর বিশেষ জেল এবং একটা চিরকুট পাওয়া যায়, সেই চিরকুটে মিঃ আম্বানীকে হুমকি দেয়া হয়েছে। এই ঘটনায় সারা ভারত নড়ে চড়ে উঠে। পরে অনেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই ঘটনার তদন্ত চায় এবং তদন্তের মাঝে যা বুঝা গেল তাতে চোখ কপালে উঠার অবস্থা। 
খুব সংক্ষেপে যা বুঝতে পারলাম, এই ঘটনা ঘটিয়েছে মুম্বাই পুলিশের এক কর্মকর্তা, যার নাম সচীন এবং এও মনে হল এটা তাকে দিয়ে রাজ্য সরকার করিয়েছে যাতে আগামী নির্বাচন ও কিছু একটা ঘটিয়ে মানুষের মন অন্যদিকে নেয়ার জন্য। এই পুলিশ কর্মকর্তা সচীন, যাকে ২০ বছর আগে পুইশের এঙ্কাউন্টার স্পেশালিষ্ট বলা হত এবং তিনি প্রকাশ্য ৬০ এঙ্কাউন্টারের সাথে জড়িত ছিলেন, যা নিয়ে তিনিও গর্ব করতেন বটে! পরে এক নিরাপরাধ হত্যায় সে সহ আরো তিন জনের পুলিশের চাকুরী চলে যায়। চাকুরী চলে যাবার পরে তিনি শিবসেনার সাথে কাজ করেন এবং এই দল ক্ষমতায় এলে, তাকে তার চাকুরী আবার ফিরিয়ে দেয়া হয়, আর এখানেই তার আবার সেই চরিত্র, মানুষ খুনের নেশা! খুব ঠান্ডা মাথায় তিনি খুনের ঘটনা সাজাতেন এবং সফল বলা চলে। যারা ইংরেজী হিন্দি বুঝেন, আপনারা দ্যা প্রিন্টের সম্পাদকের ভাষ্য শুনতে পারেন। 
        
এই রকম রিলেটেড আরো অনেক ভিডিও বা খবর ইউটিউবে আছে। ভারতের সাংবাদিকেরা চাইলে এখনো স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন তার উদাহরণ মাত্র। 
আমি এই ঘটনার আরো কিছু সংক্ষেপ বলি। পুলিশের এই কর্তা কেন এই ঘটনা সাজিয়েছে তা এখনো পরিস্কার না হলেও অনুমান করা যায়, ইত্যমধ্যে ভারতের নানান তদন্ত সংস্থা এই ঘটনা তদন্ত করে দেখছে। এই গাড়ির মুল মালিকে খুঁজে পাওয়া গেছে, তিনি এই গাড়ি অনেক বছর আগে এক গাড়ি ডেকোরেটরের কাছে দিয়েছিলেন এবং পরে বিলের টাকা না দিতে পেরে সেই গাড়ি আর নেন নাই। উক্ত গাড়ি ডেকোরেটর বা মেকানিক মিঃ মান্সুক হিরানী এই গাড়ি তার বন্ধু বা পরিচিত পুলিশ অফিসার সচীনকে ব্যবহারের জন্য দিয়েছিলেন। কিছু দিন ব্যবহারের পর সেই গাড়ি আবার মিঃ মানসুক হিরানীর কাছে ফেরত আসে এবং সেই থেকে মিঃ মানসুক হিরানী সেই গাড়ি চালাতেন। ঘটনার এক সপ্তাহ আগে তিনি সেই গাড়ি নিয়ে বের হলে, একটা হাইওয়েতে সেই গাড়ি বিকল হলে তিনি সেখানে ফেলে আসেন এবং পরদিন যেয়ে দেখেন গাড়ি নেই, চুরি হয়ে গেছে। পরে তিনি পুলিশ অফিসে একটা এফ আই আর করেন। এই ঘটনার পরে তাকে টিভিতে সাক্ষাত দিতে দেখা গেছে। কিন্তু ঘটনার জটিলতা বের হতে থাকলে, এই মিঃ মানসুক হিরানীর লাশ পাওয়া যায়, পকেটে তার আত্মহত্যার চিকুট পাওয়া যায়, তবে এটা তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে হত্যা বলেই মনে হচ্ছে, কারন লাশের মুখে কাপড় ঘুজা এবং মুখে মাস্ক পাওয়া গিয়েছিল। এই ঘটনার এই হচ্ছে ভিক্টিম! একজন লোকের প্রাণ গেল, তার স্ত্রীর কথায় এটা প্রকাশ্যে এসেছে যে, এই পুলিশ অফিসারই তার স্বামীকে খুন করেছে। 
যারা হিন্দি বুঝেন তারা এই ভিডিও দেখতে পারেন, সানসানী অনুষ্ঠান বেশ পুরানো এবং সব সত্য অকপটে বলে দেয়ার এক অনুষ্ঠান। 
যাই হোক, এই পুলিশ অফিসার সচীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এখনো তদন্ত চলছে। ঘটনার মুলে মিঃ মুকেশ আম্বানী বা তার লোকবল সহ, মুম্বাই সরকার, অপরাজনীতি সব প্রকাশ্যে এসেছে। মানুষের দ্বারা এত ঘৃন্য কাজ কি করে হয়, মাঝে একজনের প্রাণ গেল! বাড়ির সামনে গাড়ি রাখা, হুমকির ঘটনা সাজানো কি এত দরকারী ছিল? যাই হোক, মানুষ আরো সত্য জানুক। 
আরো সংবাদ শুনতে দেখতে পারেন। সাংবাদিক অর্নব গোস্বামীর রিপাবলিক টিভি থেকে। এছাড়া আরো শত শত ভিডিও ব্লগার সহ নানান মানুষের লিঙ্ক আপনি ইউটুবে দেখতে পারেন। 
এই ঘটনা থেকে আমাদের দেশের মানুষের শিক্ষা আছে, আমাদের প্রশাসন সহ সবার উচিত, যে কোন কুঘটনার থেকে বিরত থাকা। পাপে বাপকেও ছাড়ে না। যে কোন অন্যায় অনেক দিন চললেও এক সময়ে ধরা পড়েই যায়। 
সবাইকে ধন্যবাদ।
 ৮ টি
    	৮ টি    	 +১/-০
    	+১/-০  ১৭ ই মার্চ, ২০২১  দুপুর ১:৩৬
১৭ ই মার্চ, ২০২১  দুপুর ১:৩৬
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: যা বলছেন রে ভাই! আপনার হেদায়েত আল্লাহ ছাড়া আর কেহ করতে পারবো না! শুনলে কইবেন, শুনি নাই, দেখলে কইবেন দেখি নাই। এই ঘটনা চরম সত্য, ফুটেজ ইত্যমধ্যে প্রমানিত। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গুম খুনের কারবারের সমর্থন দেয়া যায় না রে ভাই!
২|  ১৭ ই মার্চ, ২০২১  দুপুর ২:০১
১৭ ই মার্চ, ২০২১  দুপুর ২:০১
রাজীব নুর বলেছেন: এটা গুজব।
  ১৭ ই মার্চ, ২০২১  দুপুর ২:১৮
১৭ ই মার্চ, ২০২১  দুপুর ২:১৮
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: গুজব কোথায়? সত্য ঘটনা। পুলিশ ঘটনা সাজিয়েছে এবং একজনের প্রাণ গেল!
৩|  ১৭ ই মার্চ, ২০২১  দুপুর ২:০৪
১৭ ই মার্চ, ২০২১  দুপুর ২:০৪
নতুন বলেছেন: হাসান ভাই এইটা আয়ামীলীগ বিরোধী ভিডিও না। এইটা সত্য হবার সম্ভাবনা আছে  
  ১৭ ই মার্চ, ২০২১  দুপুর ২:১৯
১৭ ই মার্চ, ২০২১  দুপুর ২:১৯
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: হাসান ভাইয়ের সব সময়ে যে পক্ষে থাকার কথা সেইপক্ষেই আছেন!
৪|  ১৭ ই মার্চ, ২০২১  বিকাল ৫:১২
১৭ ই মার্চ, ২০২১  বিকাল ৫:১২
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: সুসান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর সাথে এই ঘটনার যোগসাজস কোথায়? বেশ কিছু কমেন্ট দেখলাম ইউটিউবে।
  ১৮ ই মার্চ, ২০২১  রাত ১২:০৩
১৮ ই মার্চ, ২০২১  রাত ১২:০৩
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। হ্যাঁ, সাংবাদিক অর্নবের বাসায় তিনিই গিয়েছিলেন। সুশান্তের মৃত্যু রহস্যে উতঘাটনে তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল, কিন্তু কোন কিনারা নেই। ২০ বছর পুলিশের কাজের বাইরে থেকে আবার তাকে নিয়োগ দেয় রাজ্য সরকার। বলার কিছু নাই, কত বিচিত্র এই উপমহাদেশের শাসন ব্যবস্থা! তবুও ভারতে এখনো সাংবাদিকেরা চাইলে কিছুটা হলেও সত্য বলতে পারে, এটা ভাল দিক, তবে এই শাসনে মনে হয় তা হারাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই মার্চ, ২০২১  দুপুর ১:২৭
১৭ ই মার্চ, ২০২১  দুপুর ১:২৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অনলাইনে ছড়ানো ভিডিও বা ইউটিউব এইসকল ভিডিওর সবকিছু বিশ্বাস করা ঠিক না।
এসব বেশিরভাগই বিভিন্ন ভিডিও থেকে ভিডিও অংশ থেকে সংগ্রহ করে জোড়াতালি করা ফেইক নিউজ।
কোন সংবাদ যাচাই করতে চাইলে প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যম বা বহুল সার্কুলেশনের প্রচলিত প্রীন্টেড মিডিয়া থেকে যাচাই করে নেয়া উচিত।