নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।
বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ এখনো দারিদ্রতার সীমা পার করতে পারেন নাই, এটা বুঝতে হলে বিজ্ঞানী হতে হবে না, শুধু আপনাকে কষ্ট করে যে কোন ছোট/বড় রাস্তার ফুটপাতে দাঁড়াতে হবে, তার পর শুধু আপনার সামনে দিয়ে হেটে যাওয়া পুরুষ নারী শিশুদের চেহারা দেখুন! আর্থিক নিশ্চয়তা থাকলে মানুষের এই চেহারা হয় না, আর্থিক নিশ্চয়তা, খাদ্যের নিয়মিত যোগান থাকলে মানুষের চেহারা শরীর বা ত্বকের মলিনতা হয় না, ত্বক তেল তেলে ভাবে দেখা যায়! আমি খুব কম মানুষের চেহারা ত্বকে এই লাবন্যতা দেখি, এই না দেখা মানেই তিনি বা সে আর্থিক দৈনত্যায় আছেন! আজ ও গতকালের দুটো ঘটনায় যাই, চলুন!
আজ জুম্মার নামাজ পড়তে লুঙ্গীর গিটে ১৫০ টাকা নিয়ে বের হই, উদ্দেশ্য ৫০ টাকা মসজিদে, ৭০ টাকার দেড় লিটার কোক (ছোট ছেলের আবদার) এবং বাকী টাকা মসজিদের সামনে বসা দরিদ্রদের দিয়ে আসবো। কোন এক অজানা কারনে আজ মসজিদের কালেকশন ব্যাগ আমার সামনে আসে নাই বা আমার বসার আগেই হয়ত নিয়ে গেছে, ফলে মসজিদে টাকা দেয়া হয় নাই, গিটে টাকা রেখেই নামাজ পড়ে বের হয়ে এত এতে দরিদ্র মানুষ দেখলাম যে এই টাকা বের করতেই সাহস হচ্ছিলো না বা লজ্জা পাচ্ছিলাম! যাই হোক, ১০ টাকা করে ৫ জনকে দিয়ে রাস্তায় বের হয়ে দেখি শসা বিক্রি করছে ৩০ টাকা কেজি, ফলে এক কেজি শসা কিনে হাতে ৭০টাকা নিয়ে বাসার কাছে এলাম, কোক কিনতে স্থানীয় একটা কালো পর্দার চাউনীর চা দোকানে প্রবেশ করে দেখি বহু মানুষ এই ভর দুপুরে কলা বিস্কুট চা খাচ্ছে, দুই একজন সিগারেটও টানছে! আহ! ফাঁকে দোকানীর কাছে আমিও কোকের কথা বললাম, এই সময়ে দুটো পথশিশু (মালিবাগ শান্তিনগর ফ্লাইওভারের নীচে এরা জন্মে আবার এখানেই এরা বড় হয়, আমি এদের দেখি আর কান্না করি, শতশত) প্রবেশ করে আমার কাছে কিছু খেতে দেয়ার টাকা চাইলো, আমি কি খাবে জিজ্ঞেস করাতে বলল, একটা করে বনরুটি ও এককাপ চা। আমি চা দোকানীকে ওদের দিতে বলি {(১০+৫)*২}, ফলে ৩০ টাকা চলে যায়, হাতে তবুও থাকে ৪০ টাকা, এই টাকায় ছোট একটা কোক কিনে বাসায় ফিরি! ঘটনাটা বলার উদেশ্য আপনাদের সহানুভুতি নেয়া হয়, বলতে চাইছি, রাস্তায় হাঁটতে থাকলেও এমন কত কত অভাবী হাত চোখের সামনে পড়ে। এই শহরে এক কিলো হাঁটলে অন্তত ১০জন দরিদ্র মানুষ আপনার কাছে হাত পাতবেই! এই ঘটনা আমরা ছোট বেলায় দেখি নাই!
গতকালের ঘটনা বাজারে ফার্মের মুরগী কিনছিলাম, একজন বৃদ্ধ মহিলা এসে একটা মুরগী কিনে দিতে বললেন, কোন কথা না বলে একটা মুরগী কিনে দিয়ে তা পরিস্কার করে বৃদ্ধকে দিলে তিনি সে কি খুশি, গায় হাত বুলিয়ে দোয়া করলেন। যাই হোক এটাও বলার মত ঘটনা না, আসলে আমার মুরগী কেনা এবং বৃদ্ধের জন্য মুরগী কেনায় অনেক সময় লেগেছিল এবং সেই দোকানের সামনে বেশ কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল। এই ফাঁকে যা লক্ষ করলাম, মুরগী দোকানীর সামনে রাখা মুরগীর কলিজা গুর্দা পা (যারা এই গুলো নেয় তাদের এবং হোটেল সাপ্লাই থেকে বেছে যাওয়া গুলো জমিয়ে রাখে) বিক্রি করে এবং এর ক্রেতা কারা বুঝতে চাইছিলাম আড়চোখে! হ্যাঁ, বোরকা পরা বেশ কয়েকজন মহিলাকে কিনতে দেখলাম, জীর্ন শরীরের কয়েকজন পুরুষকেও (এদের অফিস বা কাজ ফেরত) কিনতে দেখলাম, এই মিক্স কলিজা গুর্দার কেজি ছিলো ৮০ টাকা! আর্থিক দারিদ্র মানুষ ছাড়া এই আইটেম কেহ কিনতে পারে বলে আমি মনে করি না। যাই হোক, এইসব আমাদের ছোট বেলায় দেখি নাই!
যাই হোক, আমার মনে হয়, আপনারা উন্নয়ন উন্নয়ন করছেন অথচ আমি দেখি দারিদ্রতা, আর দরিদ্র মানুষ বাড়ছেই! দোহাই মিথ্যা না বলে খোলা চোখে দেখুন! আপনাদের এই জ্ঞানে এই সমস্যার সমাধান নেই জানি, তবে অন্তত স্বীকার করুন, অন্তত এতেও বুঝবো আপনারা কিছু মানবিক!
১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:২৭
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এদের জন্য কোন আয়োজন চোখে পড়ে না! দেখি না কোথায়ও।
২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:১৩
নিমো বলেছেন: দরিদ্রতার উন্নয়ন ঘটেছে, ধর্মান্ধতার উন্নয়ন ঘটেছে। ব্লগের কলা সব কালবৈশাখীতে উড়ে না গেলে, আরও সব উন্নয়নের ফিরিস্তি পাবেন।
১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:২৮
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ারিদ্রতার কারণেই ধর্মান্ধতা বাড়ে বলে মনে করি।
৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:২৫
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
হাত পাতার লোক বাড়ছে,যারা হাতে কিছু দিয়। সাহায্য করার কথা,তাদের সাহায্যের পরিমাণ কমছে।
১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:২৯
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এই মুল সাহায্য গুলো করে মধ্যবিত্তরা, তবে এদের অবস্থাও এখন দিশেহারা!
৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:২৮
জ্যাকেল বলেছেন: উন্নয়ন হইতেছে তবে উহা ভিতরে ফাক বাহিরে ফিটফাট। অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে যে দুর্নিতি হইয়াছে তাহা যদি দারিদ্র নিরসনে ব্যয় হইত তবে আপনার উপরোক্ত পরিস্থিতি দেখতে হত না।
১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৩১
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: হ্যাঁ, সত্য। ঠিক এভাবে কথা বলেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী মিঃ কেজ্রিওয়াল। তিনি এভাবেই বিদ্যুৎ, শিক্ষা, চিকিৎসা ব্যবস্থা এগিয়ে নিয়েছেন। এই লোকের কথা গুলো কি আমাদের শাসকেরা পড়ে না, বা দেখে না!
৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৪৪
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: এদের নিয়ে লিখতে ও পড়তে ভাল্লাগে ,
কিছু করা যায় না ,চেষ্টাও করিনা।
ভালো পোস্ট
৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:১২
সোবুজ বলেছেন: আপনিতো বিদেশে ছিলেন।এখন কি দেশে?
৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: দারিদ্রতা আমার ভালো লাগে।
৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:০৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উন্নয়নের মধ্যে শুভঙ্করের ফাঁকি আছে। সমাজের এক শ্রেণী যখন দ্রুত ধনবান হওয়া শুরু করে পিছিয়ে থাকা মানুষদের কষ্ট আরও বেড়ে যায়। তারা ধনীদের এই গতির সাথে তাল মেলাতে পারে না। তখনই সরকারের ভুমিকা থাকার কথা। কিন্তু আমাদের দেশে সরকার দায়সারা ভাবে দরিদ্রদের জন্য কাজ করে। উন্নয়নের শুরু হওয়ার কথা নীচ থেকে। কিন্তু আমাদের দেশে এটা উপর থেকে হচ্ছে। ফলে নীচের লোকেরা পদদলিত হচ্ছে। আমাদের দেশে এই সব বিষয়ে সঠিক পরিসংখ্যানেরও অভাব আছে।
৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৪০
রানার ব্লগ বলেছেন: দারিদ্রতা আছে বলেই সমাজে উচ্চবিত্তদের আনাগোনা বাড়ছে । কালো রঙ না থাকলে যেমস সাদার অস্তত্ব কল্পনা করা যায় না ঠিক তেমনি দারিদ্রতা আছে বলেই বিত্তশালীদের সংখ্যা বাড়ছে । উন্নায়ন উন্নায়ন বলে আমরা যে হাহাকার করছি । মানুষের উন্নায়ন কি হয়েছে ? মানুষ এখনো একমুঠ খাবারের জন্য হাত পাতছে ভিক্ষা করছে (অবশ্য কিছু মানুষ ভিক্ষা টাই পেশা হিসাবে নিয়েছে তারা কাজ করতে আগ্রহী না) ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫১
সোনাগাজী বলেছেন:
দারিদ্রতা বাড়ছে