নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাদাত উদরাজী\'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - \'গল্প ও রান্না\' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

সাহাদাত উদরাজী

[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।

সাহাদাত উদরাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের দেশের দাম্পত্য জীবন!

১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৫০

আমার অনেক কাজের মধ্যে একটা কাজ হচ্ছে, চোখে পড়া দম্পতিদের উপর নজর রাখা! সেটা ঘরবড়ি হউক, যাত্রা পথে হউক কিংবা টিভি স্যাটেলাইট অনলাইন হউক! অনলাইনে আমার ফিডে অন্তত একশ স্বামী স্ত্রী আছেন, নানান ধর্ম বর্নের! আমি মোটামুটি চেষ্টা করি সবাইকে খেয়াল রাখার, কে কোথায় কি করছে আড় চোখে দেখতেই থাকি! এটা আমার খারাপ দিক না, আমি মানুষের চরিত্র বোঝার চেষ্টায় এই কাজ করি এবং এই পর্যবেক্ষনে আমি ফলাফল আবার কোথায় প্রকাশ করি। তবে এই দম্পতিদের ঝগড়া বাড়ুক কিংবা তাদের দুরত্ব বাড়ুক এমন কোন কাজ আমি করি না বা করি নাই! সকলের জন্য ভালবাসা সব সময়েই।

তবে গোপন কথা কয়েক বন্ধুর স্ত্রীদের আমি ইচ্ছা করেই ব্লক করে দিয়েছি, কারন তাদের জ্ঞান গরিমা আচার আচরণ আমার কাছে অনলাইনের 'আপ টু দ্যা মার্ক' মনে হয় নাই, এবং মনে হয়েছে এরা শুধু ঝগড়া করতেই পছন্দ করে, ফলে নিজকে ও বন্ধুকে নিরাপদ রাখতে তাদের সাথে আর অনলাইনে কোন কথা বলতে চাই না বা তারা আমার কোন লেখা পড়ে আমার বন্ধুর সাথে আলোচনা করুক তাও চাই না! মানে সবাই ভাল থাকুক এমতাবস্থা সব সময়েই!

তবে আমার এই দীর্ঘ দেখার চোখে আমার যা মনে হয়েছে, তার কিছুটা সংক্ষেপে উল্লেখ করছি!

- এই দেশে খৃষ্টান দম্পতিরা কিছুটা ভাল অবস্থায় থাকেন, তাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা একটু বেশি মনে হয়। পাশাপাশি আমাদের দেশের খৃষ্টান মেয়েরা স্বামীর প্রতি একটু বেশি দয়ালু ও সহানুভূতিশীল বলেই মনে হয়েছে!

- পরের অবস্থান মনে হয়েছে বৌদ্ধ বা পাহাড়ে বসবাস করা দম্পতিদের, এরা আর্থিক চিন্তা কম করে, ফলে একটা নির্বিগ্ন জীবন যাপন করে, নারীরা পুরুষের তুলনায় বেশি পরিশ্রম করে, স্বামী আছে এটাই যথেষ্ট মনে করার কারনে হয়ত তেমন ঝগড়া ঝাটি করেন ন!

- হিন্দু ধর্মে মেয়েদের কষ্ট বেশি, নিয়ম কানুন কঠোর, দম্পত্য জীবনে এই নারীরা খুব কষ্টে থাকলেও কাউকে কিছু বলতে পারেন না বা বুঝতে দেন না, তবে উপরি ভাল আছি এমন একটা ভাব সব সময়েই দেখানো হয় এই দম্পতিদের। এই দম্পতিরা সন্তানের জন্য অন্তপ্রান!

- মুসলিম ধর্মের দম্পতিদের কথা আর নাই বলি! বললে অনেকে রাগ করে ফেলবেন! আমার মনে হয় মুসলিম ধর্মে বিবাহই দেয় হয়, যাতে ওরা ঝগড়া ঝাটি করে জীবন পার করে! মুসলিম নারীরা নিজদের আধিকার রক্ষার খুব কঠোর এবং আজকাল আর ছাড় দেয়ার মানসিকতাই রাখেন না! এই নারীরা ধর্মের অনেক কিছু না মানলে বা বুঝলেও তাদের পক্ষের কিছু কথা বেশ চমৎকার করে জ্ঞানে যোগ করে রাখেন, বিয়ের পরের সব দায়িত্ব স্বামীর, স্বামীকে এনে দিতেই হবে, এমন মনোভাব! স্বামীর সততা, স্বামীর ভালবাসার কোন মূল্যই এখন আর কোন মুসলিম স্ত্রী মানতে রাজী নয়, সামান্য আশা না থাকলে ফেলে দিতেও কারো কার্পন্য নেই। অন্যদিকে মুসলিম স্বামীরাও ধর্মে বর্নিত স্ত্রী চরিত্র খুঁজতে গিয়ে খৈ হারিয়ে ফেলেন, এবং অবশেষে কানা বোবা হয়ে কবরের পথে নামেন!

আপনারা আমার সাথে 'সহমদ' থাকতে পারবেন না হয়ত এবং সেটা আপনার চোখে দেখা, এতে আমার মতামতের কোন কিছু আসে যায় না! আমি আমার কথা বলছি, আপনি আপনার কথা বলুন, শুনি!

বিদ্রঃ এখানে শুধু স্বামী স্ত্রী চরিত্র নিয়েই কথা হয়েছে, একজন মানুষ নানান চরিত্রে বসবাস করেন, সব চরিত্রে ভাল করা মানুষের কাজ নয়, এটা মুলত বিধাতার খেলা, তিনি খেলেন! নাথিং সিরিয়াস!

(ছবিঃ আমার তোলা, এক দম্পতি কোন এক বিশ্রামাগারে, এদের খৃষ্টান দম্পতি বলেই মনে হল, চমকার, ভাল লেগেছে)

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:১৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


অর্থনৈতিক অবস্থানের ভূমিকা কতটুকু?

১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৩৫

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: দাম্পত্য জীবনে অর্থের ভুমিকা অপরিসীম। ছোট ছোট বিষয় গুলো অর্থ দিয়েই সামাল দিতে হয় বা দেয়া যায়!

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:১৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

খৃষ্টান মেয়ের সাথে হিন্দু ছেলের বন্ডিং সেইম হবে?

১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৩৬

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: না, এমন কাউকে দেখি নাই। ফলে অনুমান করতে পারছি না।

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৩৫

মিরোরডডল বলেছেন:




আমার কাছে মনে হয়, ধর্ম দিয়ে দাম্পত্য জীবনের বিচার বিবেচনা একেবারেই যুক্তিহীন ।
ভিন্ন জাতি ভিন্ন কালচারের কারনে মানুষের লাইফ স্টাইল ভিন্ন হয় বলে সেটার প্রভাব দাম্পত্য জীবনে হলেও হতেও পারে কিন্তু ধর্মের জন্য ভিন্নতা হয় মনে করিনা । আর মেইনলি দাম্পত্য জীবন যে কার কেমন, সেটা বাইরে থেকে দেখে বলা খুব মুশকিল । প্রতিটা ইন্ডিভিজুয়াল কেইস ডিফারেন্ট হবে ।

দাম্পত্য জীবনে কিছু বেইজ আছে বিশ্বাস, সমঝোতা, মানিয়ে নেয়া, ছাড় দেয়া, বন্ধুত্ব এগুলোর ওপর নির্ভর করে তাদের ভালো থাকা না থাকা । ধর্মের সাথে এটা সম্পৃক্ত না । সব ধর্মের এবং বেধর্মী মানুষের মাঝেই এসব গুণাবলীর মিশ্রণ থাকে কম আর বেশী ।


এদের খৃষ্টান দম্পতি বলেই মনে হল, চমকার, ভাল লেগেছে

লুক, একবার দেখেই মনে হল আর তার ওপর নির্ভর করে স্টেটমেন্ট দিয়ে দিলেন যে তারা হয়তো খৃষ্টান দম্পতি এবং তারা ভালো আছে । মাইন্ড সেট আপ হয়ে গেছে যে ভালো দম্পতি হলেই খৃষ্টান হবে ।
But you know nothing about them. May be you are right, may be not.
তাই বললাম, বাইরে থেকে দেখে কারো দাম্পত্য জীবন নিয়ে সিদ্ধান্ত দেয়া ভুল ।



১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৪১

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আসলে আমাদের ধর্মের বাইরে যাবার কোন রাস্তা নেই তেমন! ধর্মীয় বিষয় গুলো আমাদের জড়িয়ে আছেই ফলে ধর্ম এসেই পড়ে, ধর্ম মানে রীতি, এই রীতি কি ভুলে থাকা যায়।

আমি অনেক খৃষ্টান পরিবার দেখেছি, তাদের কাছ থেকে দেখেছি।

এদের খৃষ্টান মনে হবার কারন ছিলো- ড্রেস, রোজা না রাখা (!) এবং সেখানে পানি পান করা, এবং ছেলের গলার চেইনে ক্রস সাইন।

আপনি কি খৃষ্টান ধর্মের অনুসারী? তা হলে আপনি আমার চেয়ে আরো বেশি কাছ থেকে দেখেছেন।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৭

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনার পরিবার কত জনের দুরবীণে ও মাইক্রোস্কোপে আছে?

১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৪৩

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: হা হা হা, আমি মোটামুটি অনলাইনে কিছুটা হলেও পরিচিত মুখ। হ্যাঁ, আমাকে অনেকেই নজরে রাখেন বটে, আমার কোন খুঁত পেলে সাইজ করে দিবো সবাই!

৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৩

নতুন বলেছেন: Happiness is a choice

সুখী কি ভাবে থাকতে হয় সেটা যদি না জানে তবে স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝামেলা হবেই।

তবে যেই সমাজে মানুষ বড় হয় সেখান থেকে অনেকটাই প্রভাবিত হয়।

স্বামী বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্কের বদলে কতৃিত্বপূর্ন সম্পর্ক চায় তাই স্ত্রীর সাথে ঝামেলা হয়।
স্ত্রী স্বামীকে বোঝার চেস্টা না করে তার সাথে পাল্লাদিতে চেস্টা করে, তাকে চাপে রাখে...

দুরত্ব বাড়ে দুজনের সাথে.... তখন পাশে বসেও দুজন চিল্লাপাল্লা করে।

সুখে থাকতে হলে আগে বুঝতে হবে যে সুখ বাজারে কিনতে পাওয়া জায় না, কেউ সুখী বানিয়ে দিতে পারেনা।

নিজে থেকেই সুখী থাকতে হয়।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৪৬

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আপনার সাথে কিছুটা একমত, সুখ একটা আপেক্ষিক ব্যাপার!

তবে দম্পতি মানে একজন না, দুইজন! দুই ঘাটের মরার এক জায়গাতে মিলন! এখানেই সমস্যা!

গতকাল দেখলাম এক স্ত্রী দুই পদের ভাত রান্না করেন দুই হাড়িতে, কারন তার স্বামী নরম ভাত চায় আর তিনি নিজে শক্ত ভাত পছন্দ করেন।

সব মিলিয়ে সুখ খুব একটা সহজ বিষয় না! বিশেষ করে দাম্পত্য জীবনে! হা হা হা

৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪০

সোবুজ বলেছেন: যারা কোন ধর্মই মানে না এমন দুই একটা পরিবার নাই আপনার পর্যবেক্ষনে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৪৭

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: না, এমন কাউকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয় নাই এখনো। সামনে পেলে জানাবো!

৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার লেখাটা বুঝতে আমাকে বেগ পেতে হয়েছে।

৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৬:৪৮

সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: অর্থনৈতিক এবং ধর্মীয় এই দুই বিষয় মিলিয়েই কিন্তু সংসারের শান্তি


যে পরিবারে ধর্মীয় সঠিক অনুশাসন আছে, সেই পরিবার অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল হলেও সুখ থাকবে।


যে পরিবারের ধর্মীয় অনুশাসন নেই সেই পরিবারে অর্থনৈতিক হাজারো সচ্ছলতা থাকলেও শান্তি থাকবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.