নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।
আজকাল কি খাবার খাচ্ছি? এই নিয়ে গবেষণা করা যেতে পারে। আমার ধারনা আমার প্রায় ২৬ বছরের সংসার জীবনে এখন সব চেয়ে দূর্বল খাবার রান্না হচ্ছে বা বলা চলে কোন মতে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। এর কারন কি, আমি এর কারন হিসাবে বলবো, খরচের হিসাবের খাতা। করোনার পর থেকে বলা চলে তেমন উপার্জন নেই বা একদম গায়ে গায়ে, সামান্য সঞ্চয় ছিলো তাও ভাংতে হচ্ছে, এদিকে আগের তুলনায় বেশি খরচ করেও ভাল রান্না হচ্ছে না।
বাজারে গেলে মাথা ঘুরে, কি থেকে কি কিনবো। সামান্য আলু বেগুন মাছ ইত্যাদির যে দাম তা দেখে মাথা ঘুরে। এখন এমন কোন সবজি নেই, যার দাম ১০০ টাকার নীচে, সবজি সাধারনত ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি, মাছে হাত দেয়া যায় না, গরুর গোশ্তে তো চিন্তাই করা যায় না, এক কেজি কিনলে আধা কেজি হাড় ও চর্বি! আমরা সবাই কেমন যেন নিরুপায় হয়ে আছি। আমার মনে আছে, বছর ৩/৪ আগেও সারা মাসের বাজার হয়ে যেত ১২/১৫ হাজারে, এখন সেটা ২৫/৩০ হাজারে গিয়ে ঠেকেছে! তার পরেও কত কিছু এখন আর কিনিই না। আদা, রসুন, পেঁয়াজ, মরিচ, হলুদ, ধনিয়া ইত্যাদি মশলা আগে কেনায় চিন্তাই করতাম না, এখন দোকানে গিয়ে ভাবতে হয়! দুধ, চা পাতা, বিস্কুট কেনায় কখনো চিন্তা করতে হয় নাই, এখন বাসায় বলতে হয়, এক বেলার বেশি চা যেন না বানানো হয়!
এত কিপটামি করেও রক্ষা নেই। ইনকাম কমেছে, বেড়েছে দ্রব্যমুল্য – কিভাবে মধ্যবিত্তেরা চলবে। আমার কোন পথ জানা নেই! খাবার ছাড়া অন্যান্য খরচ বাসা ভাড়া, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, মোবাইল নেট ইত্যাদিও লাগামহীন। বিদ্যুৎ বিল গত মাসে এলো ৬ হাজার টাকা, বিদ্যুতের ব্যবহার সে আগের মতই, উপরন্তু সবাইকে প্রায় বলি, যত সম্ভব লাইট ফ্যান বন্ধ করো, এতে পরিবারের স্ত্রী সন্তানেরা বিরক্ত, আমি নাকি বেশি কথা বলি! আসলে যে উপার্জন করে সেই বুঝে, এই কষ্টের কথা কেহ মানতে রাজি নয়!
যাই হোক, আমি নিজকে দেখেই এখন বাংলাদেশের সৎ মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবন যাপন বুঝতে চেষ্টা করি, সবাই অনেক কষ্টে আছে, অন্তত যাদের উপরি কামাই নেই বা হারামের কামাই ঘরে নেয় না! নিন্মবিত্তেরা কেমন আছে সেটা কল্পনাও করতে পারি না। এই শহরে দরিদ্রদের কোন স্থান আছে বলে মনেই হয় না! ধনীদের বিষয় আলাদা, তাদের কেনা কাটায় চিন্তা করতে হয় না, অঢেল জমা হচ্ছে, তার থেকে দাম যাই বাড়ুক তাতে কি আসে যায়!
গত বৃহস্প্রতিবার দুপুরে খেতে বসে দেখি সব বাসি তরকারী! মানে এর আগের দিন যা বেছে ছিল তাই দিয়ে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। পটল ভাঁজাটা নুতন ছিলো। তবে পরের দিন শুক্রবার বলে জানানো হল, সেই দিন গরুর গোশত ও খিছুড়ি রান্না হবে, সান্ত্বনা! এমন দূর্বল খাবারে লজ্জা নেই, আবার সুদিন ফিরে আসবে, সব মিলিয়ে আল্লহর কাছে শুকরিয়া জানাই, অন্তত এখনো খাবার জুটছে! এখনো ভাল আছি অনেকের তুলনায়!
আপনার অবস্থা কি? কেমন আছেন?
২৮ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৬
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আমিও কোন ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না!
২| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯
ধুলো মেঘ বলেছেন: আমার আয় উন্নতি বাড়ছে। কিন্তু সঞ্চয় হচ্ছেনা। প্রতি দুই তিন মাসেই এমন কোন খরচ করতে হচ্ছে, যে আর সঞ্চয় থাকছেনা। হিসাব করে দেখলাম, ২০২৪ সালে অক্টোবর মাস নাগাদ বছরের হিসেবে সাড়ে চার লাখ টাকা জমার কথা, কিন্তু পরের মাসেই আবার ট্যাক্স দিতে হবে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মত। আর তার পরের মাসেই দুই সন্তানের স্কুলের সেশন ফি আসবে ১ লাখ প্লাস। ১২ মাস চাকরি ও ব্যবসা করে আমার নীট সঞ্চয় দাঁড়াবে এক লাখ টাকারও কম।
২৮ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৭
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আসলে আমরা যেভাবে চিন্তা করি তা কখনো হয় না। সন্তানের পড়া লেখার খরচ এখন অত্যাধিক, তাল মিলাতে গিয়ে হিমসিম অবস্থা সবার। মধ্যবিত্তেরা দেখে সব সময় উপরের দিকে!
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৫২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অবস্থা ভালো নয় কারোরই
২৮ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৮
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: উপরি আয় না থাকলে সব অন্ধকার!
৪| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৬
খাঁজা বাবা বলেছেন: দিন দিন অবস্থা খারাপ হচ্ছে।
২৮ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: অনেক সময় হতাশায় পড়ে যাচ্ছি।
৫| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:১৩
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: চলে যাচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ! অভিযোগ করবো না।
২৮ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: শোকরিয়া জানানো ছাড়া আর উপায় কি, চাইলেই তো পাচ্ছেন না!
৬| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:২৭
অপলক বলেছেন: তুলনামূলক হিসেবে, আমার বেতন কমেছে কিন্তু সংখ্যা বড় হয়েছে। ২০১০ এ যে চাল ৪০-৪২টাকায় কিনতাম সেই একই জাতের চাল কিনতে হচ্ছে ৭০-৭৬ টাকায়। মানে প্রায় দ্বিগুন। তখন আমার বেতন ছিল ২৫হাজার, বর্তমানে ৫৫হাজার। কিন্তু আনুসঙ্গীক সব কিছুর খরচই বেড়েছে। ৪৫০০টাকার বাসা ভাড়া এখন ১৪০০০/=। ৫০০-৭০০টাকার বিদ্যুৎ বিল এখন ৩ হাজারে ঠেকেছে।
২৮ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:৫১
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এত কমে বাসা পেলেন কোন এলাকাতে, একটু সুন্দর বাসা হলেই তো ২৫/৩০ হাজার টাকা, প্লাস সার্ভিস চার্জ!
৭| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:১২
কামাল১৮ বলেছেন: সব থেকে ভালো আছেন আটরশি ,নয় রশির হুজুররা।কষ্ট করে আয় করতে হয় না।দানের টাকাই কয়েক কোটি।তার পর নেতারা,কষ্টে আছে জনগন।
৮| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:১৫
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে; এটা একটা সমস্যা। কিন্তু উপার্জনও তো বেড়েছে।
৯| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮
নাহল তরকারি বলেছেন: কি আর কমু, দুঃখের কথা। টাকা জামাতে পারছি না।
১০| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:১৬
নয়া পাঠক বলেছেন: আমি ভাই দিনে আনি দিনে খাই, সন্ধ্যারাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাই, যেদিন কাজ নাই, সেদিন ধার করে কাটাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৩৭
রাসেল বলেছেন: কোনো ভাষা নাই।