নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাদাত উদরাজী\'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - \'গল্প ও রান্না\' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

সাহাদাত উদরাজী

[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।

সাহাদাত উদরাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘরোয়া হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, মতিঝিল (এই হোটেলে আর কখনো খেতে যাব না, সরি)

০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৩১

মতিঝিলের ঘরোয়া হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এক সময়ে খিচুড়ি রান্নার জন্য বিখ্যাত ছিলো, আমি এই হোটেলে অনেক বার খেয়েছি, এমন কি পরিবার পরিজন নিয়েও খেয়েছি, তবে বেশ কয়েক বছর আগে এই হোটেলের মালিক কৃর্তক একজন সহকারী হেল্পার মেরে ফেলার একটা নিউজ দেখি, এখনো মনে পড়ে সেই সময়ে এই মালিককের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল, তবে বিচার কি হয়েছিল তা আর জানি নাই! কিছুক্ষন আগে শেয়ারবিজ পত্রিকার নিউজ বের করে দেখলাম –

আশির দশকে খুব ছোট পরিসরে রাজধানীর মতিঝিলে চালু হয় একটি খাবারের দোকান। শরীয়তপুরের নূরু বয়াতি সেই দোকানটি চালু করেছিলেন। সময়ের বিবর্তনে এক দশকে নূরুর সেই দোকান পরিণত হয় ‘ঘরোয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে’, যা দুই বছর আগেও রাজধানীর খাবারের হোটেলগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল। হোটেলটিতে প্রতিদিন হাজারও মানুষের আনাগোনা হতো। আর মুখে মুখে ঘরোয়ার ভুনা খিচুড়ির সুনাম ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। সেভাবেই খ্যাতি নিয়ে একটানা এই হোটেল চলেছে ২০১৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত। কিন্তু কর্মচারী খুনের ঘটনায় হোটেলটির খ্যাতি আর সুনাম ধুলোয় মিশে গেছে। সে ঘটনার জেরে এখন স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়েছে ঘরোয়া। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর রাতে ঘরোয়া হোটেলের এক কর্মচারী খুন হয়। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত হোটেলটির বর্তমান মালিক নূরু বয়াতির ছোট ছেলে আরিফুল ইসলাম সোহেল জেলহাজতে রয়েছেন। এদিকে হত্যাকাণ্ডের পরেরদিন থেকে সাময়িকভাবে ঘরোয়া হোটেলটি বন্ধ হয়ে যায়, যা এখন স্থায়ীভাবে বন্ধ। আদালতের নির্দেশে চলতি বছরের ১৫ অক্টোবর পুলিশ হোটেলটির চাবি মূল ভবন মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছে, যা এখন আর ঘরোয়ার অধীনে চলার কোনো সম্ভাবনা নেই/ (view this link)

আমাদের জেনারেশনের অনেকের এই ঘটনা মনে থাকার কথা। এর পরে মুলত এই হোটেল বন্ধ হয়ে যায়, তার কয়েক বছর পরে আবার নুতন ঠিকানায় এই হোটেল চালু হয়, রাস্তার অপর পাড়ে, একই নামে। এই ঘটনার পর থেকে অনেকবার এই রাস্তায় আশা যাওয়া করলেও এই হোটেলে প্রবেশ করা হয় নাই, হোটেল দেখলেই এই নির্মম ঘটোনার কথা মনে পড়ে যেত!

যাই হোক, আজ এই বিল্ডিং এর পাশে স্টক একচেঞ্জের এক অফিসে গিয়েছিলাম, ফলে দেখার জন্যই মুলত ভিতরে প্রবেশ করলাম। সব দেখি আগের মতই, ষ্টাইল সেইম। বেয়ারাকে টেবিলে বসে জিজ্ঞেস করলাম, সেই পুরানো ঘটনার কথা, সে কিছুই বলতে পারলো না, এর ঘটনার বিচার হয়েছে কি না বা এখন মালিক কারা তাও সে কিছুই জানাতে পারে নাই। খাব কি খাব না, এমন চিন্তা করছিলাম। নীচ তলা দোতালায় দেখি হাজারো মানুষের ভীড়, সেই প্রায় আগের মত। ফলে ভাবলাম, দেখি তাদের খিচুড়ি কেমন আছে, সেই আগের মত নাকি আলাদা হয়েছে!

খাবারে হাত দিয়েও বার বার সেই ঘটনা মনে পড়ছিলো, খাবার মুখে যাচ্ছিলো না, সামান্য খেয়েই বাদ দিয়েছি। বিল নিতে এসে ওয়েটার জানতে চাইছিলো, স্যার খাবার কি ভাল হয় নাই! তাকে কোন উত্তর দিতে পারছিলাম না। বিল পরিশোধ (খিচুড়ি ২৬০টাকা হাফ, আগামী ১লা সেপ্টেম্বর থেকে নাকি ২৮০টাকা হাফ প্লেট করা হবে, বিজ্ঞপ্তি দেখলাম) করে হাফ ছেড়ে নীচে ফুটপাতে নেমে এলাম এবং প্রতিজ্ঞা করলাম এই হোটেলে আর কখনোই খেতে আসবো না, কখনোই না। ্মনোকষ্ট নিয়ে খাবার খাওয়া যায় না!

মন খারাপ করে অফিসে এসে নেটে খবর খুঁজতে লাগলাম, কোথায়ও তেমন আপডেট নেই, সেই পুরানো খবরই। দৈনিক প্রথম আলো সেই সময়ে বেশ কিছু খবর দেখালাম, মামলাও হয়েছিল, বিচারে বেশ সাক্ষ্যপ্রমান গ্রহন করা হয়েছে কিন্তু রায় হয়েছে কি না তা কোথায়ও পেলাম না। প্রথম আলোর পুরানো খবরে কমেন্ট করলাম, আবার দৈনিক জনকন্ঠে ২০১৯ সালের একটা ফলোআপ খবর দেখলাম, সেই মালিক এখনো পলাতক, তাকে গ্রেফতার করা যায় নাই। এখন ২০২৪ সাল, ঘটনার আরো অনেক বছর পার হয়েছে, আমার ধারনা এখনো সেই মালিক পলাতক, টাকা কড়ি আছে হয়ত দুরের কোন দেশে লুকিয়ে জীবন যাপন করছে।

এর পরের কোন আপডেট খুঁজে পেলাম না! লিঙ্ক এখানে। view this link

যাই হোক, এই দেশে বিচারের আশা খুব কঠিন কাজ, যাদের টাকা আছে তাদের ধরা যায় না, ওরা পালিয়েই যায়। তবুও আশা ছাড়ছি না, একদিন নিশ্চয় এই নির্মম হত্যার বিচার পাবে এই শিশুর পরিবার!

সবাই ভাল থাকবেন, আবারো বলি, এই হোটেলে আর কখনো খেতে যাব না! ভুলেও আর এই হোটেলে প্রবেশ করবো না। সরি।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৩২

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: আমি শুনেছি, বর্তমান ঘরোয়া হোটেল শুধু আগের নামেই আছে, মালিক এক নয়। এর সত্যতা অবশ্য যাচাই করার সুযোগ হয়ে ওঠেনি /:) /:)

০২ রা আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:০৯

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: তা হতে পারে। খবর গুলো পড়ে তা মনে হচ্ছে, হয়ত পুরানো সেটাপ অন্য কেহ কিনে নিয়েছে। জানি না, তবে, এই নামটা আর ভাল লাগছে না, রক্তের দাম লেগে আছে।

২| ০২ রা আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

রানার ব্লগ বলেছেন: খিচুড়ি আমি বাড়ির বানানোই খাই। হোটেলের খিচুড়ি অখাদ্য। এরা বিরিয়ানির মশলা ব্যবহার করে খিচুড়িতে। একবার খেয়ে আমি কায় মন বাক্যে তওবা করেছি।

শ্রমিকের উপর অত্যাচার সকল হোটেলেই হয়। এটাই স্বাভাবিক নিয়ম হয়েছে। খীলগাও রেল গেটের পাশে এক হোটেলের বয় কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম তারা বেতন পায় কতো উত্তর ছিলো তারা কোন বেতন পায় না, শ্রেফ তিন বেলা খাবার আর হোটেলের ফলস ছাদে রাতে ঘুমানর চুক্তিতে চুক্তিবদ্ধ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.