নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।
১।
খুব পরিস্কার করে কাউকে কিছু না বলতে পারলেও খুব করে লক্ষ করলে বুঝতে পারবেন, অনেকের মুখ কালো খুব কষ্টে বেঁচে আছেন, যদিও এর আওয়ামী লীগের সরাসরি সমর্থক না, তবে বেনিফিশিয়ারী ছিলেন, সুবিধাবাদী। চাকুরী ব্যবসায় এরা তাদের মত করে করেছেন, ঘুষ, উপরি, কমিশন নিয়ে প্রতিদিন বাসায় ফিরেছেন, প্রতিদিন বাজার হয়েছে আনন্দে, বড় মাছ, বড় মুরগী! আওয়ামী সদস্যদের মন খারাপ হবার নানান কারন আছে, তবে এদের মন খারাপের কারন একটাই তারা আর উপরি কামাতে পারবে না! সামান্য কিছু হলেও বুঝতে পারছে, আগের মত বুক ফুলিয়ে ঘুষ চাইতে পারবে না, চাঁদা উঠাতে পারবে না, জমিজামা কিনতে পারবে না, একটা পর একটা সম্পদ করতে পারবে না, শালাশালীদের নামে ফ্লাট কিনতে পারবে না, ইত্যাদি ইত্যাদি। তার উপরে আরো ভয়, কোথায় কিভাবে নিজের পদ হারিয়ে ফেলে, ব্যবসা চলে যায়, এমনকি জেলেও যেতে হত!
এরা এখন খুব কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছে। ফলে লিখে দিচ্ছে, আগেই ভাল ছিলাম, এত করে কি হল, এভাবে দেশ চলে না, আমরা কি এটা চেয়েছিলাম, ছোট ছেলে মেয়েরা কেন রাস্তায়, আজ খুব কষ্ট পেলাম রাস্তায়, বাজারের গেলাম কিছু না কিনে ফিরে এলাম, দাম কমে না কেন ইত্যাদি ইত্যাদি!
এরা মুলত শু/ইয়ো/রের বংশধর, এদের কাছে টাকা ছাড়া আর কোন কিছুর দাম নেই, শুধু লেবাস নিয়ে আছে, এদের জন্মই হচ্ছে টাকার জন্য, মানব সভ্যতার দরকার এদের দরকার নেই!
২।
একজন বন্ধু জানতে চাইলেন, এই নবগঠিত সরকার নিয়ে কোন কথা বলছি না কেন, কোন মন্তব্য নেই কেন! আমি তাকে বললাম, আমাদের আমজনতার এই নিয়ে এখনো কথা বলার সময় আসে নাই, অন্তত প্রথম ১০০ দিন পার করুক, তার পরে বুঝা যাবে। আর ছাত্রজনতার এখনো অনেকে দৌড়ানির বাকী, যেমন আজ প্রধান বিচারপতিকে দৌড়ানি দিচ্ছে! এমনি প্রতিটা সেই আমলের বড় সাহেবদের দৌড়ানী এখনো বাকী আছে, এদের পাপ্য শাস্তি এখনো বাকী।
তবে আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি, লাগেজ ভর্তি টাকা নিয়ে এখনো সেই শু/য়ো/রে/রা কি করে এয়ারপোর্ট দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে, এদের ধরা ও বিচারের মুখোমুখি করা উচিত! পালানোর এই লোক গুলোর নামধাম জানা এখনো বাকী, আমি সার্প্রাইজ হচ্ছি, ব্যারিস্টার সুমন কি করে এত অল্প সময়ে বৃটেনে পালিয়ে গেল, সে না পরিস্কার বলছিলো, সে এই মাটি ছেড়ে যাবে না! যাই হোক, প্রবাসী ভাই বোনদের বলছি, এদের প্রবাসে পেলে একটু জিজ্ঞেস করিয়েন, সাথে যদি পারেন হাল্কা আপ্যায়ন, যেমনটা জুতা দিয়ে মাহি বি ভাইরে দিচ্ছে!
৩।
আমাদের পাশে দেশ এবং তার সরকার প্রধান, আমাদের আপাকে খুব সন্মানের সাথে রাখার কথা, কারন আমাদের আপা নিজেই বলেছেন, তিনি তাদের অনেক দিয়েছেন, যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। কিন্তু তার এই বিপদের দিনে তাদের আচরণ আপার জন্য খুব কষ্টদায়ক নিশ্চয়! আপা যাকে চরম বিশ্বাস করছেন, তিনি তার কাছে যাবারই সাহস পাচ্ছেন না, গেলেই হ্যান্ডশেক করতে হবে এবং ছবিও তুলতে হবে, সেই ছবি আবার প্রকাশিত হবেই, যা হতে পারে সারা জীবনের কান্না!
যাই হোক, ভাবছিলাম, বার বার মনে হচ্ছে, তাদের সরকার প্রধান ও মন্ত্রণালয় মুলত যা করছে, সেটা তাদের নিজদের স্বার্থ ভেবেই। আপাকে রেখে কিছু ক্যাচাল সৃষ্টি হয়ে তাদের সরকার প্রধানের গদি নড়ে যেতে পারে কিংবা আমাদের ছাত্রদের আন্দোলন দেখে তারাও মাঠে নেমে যেতে পারে, আমাদের ছাত্র জনতার আন্দোলনের টেকনিক দেখে তাদেরও সাহস হয়ে যেতে পারে! ফলাফল ওই সেই, কোন কোন অঞ্চলের স্বাধীনতা!
অভিজ্ঞতা মুলত এখন অন্যকে দেখে নিতে হয়, নিজে দেখি দেখি করে অভিজ্ঞতা নিলে, শেষ! আমাদের আপাতো অন্তত সেই দেশে স্থান পেয়েছেন, উনার এমন হলে দুনিয়াতে কোন দেশেই নাই। নিশ্চয় হিটলার শেষ সময়েও ভেবে দেখেছিল, অন্য কোথায় যাওয়া চলে কি না, তার জ্ঞান কোন উত্তর পায় নাই, ফলে নিজ মৃত্যুই শেষ সিধান্ত হয়েছিল, আদার অফশন অফ!
মি ধ্রুব রাঠে, মি আকাশ ব্যানার্জি (দেশবখত) সহ অন্তত ২০/২২ জন ইউটিউব ক্রিয়েটর/ সাংবাদিক হিন্দিতে আমাদের নিয়ে যে ভিডিও বানাইছে, তা সেই দেশের অনেক মানুষ ইত্যমধ্যে দেখে ফেলেছে, যা আরো চিন্তার কারন! এদিকে আমরা ইন্ডিয়া নিয়ে কিছু লিখলে এক শ্রেণী আছে যারা কাই কাই করে উঠে, অথচ ওদের মিডিয়া, ইউটিউভার প্রতিদিন আমাদের দেশের সংবাদ বেছে, মতামত দেয়, তাদের আমরা কিছু বলতে পারি না।
৪।
আমি চান্স পেলে নানান ছবি তুলি। গতকাল বাড়িতে আমার জন্য দুইটা দেশী মুরগীর ডিম সিদ্ধ করে হাল্কা ভেজে দেয়া হয়েছিল! ডিম গুলোর সাইজ দেখে হাসছিলাম। আমাদের দেশের এক বুড়া ব্লগারের কথা মনে হয়েছিল, তার বিচি হয়ত খুলে ভেজে নিলে এমনই দেখাবে! (ইজি কুল, এমন বিচি এখন আমারও, আমি আমাকেও কল্পনা করছি)
সবাই ভাল থাকবেন, ফিরে আসছি আমার কোন নুতন লেখা নিয়ে!
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৪০
দীপ্ত একাত্তর বলেছেন: ১/ ঘুষ দুর্নীতি বাংলাদেশে কখনো পুরোদমে বন্ধ করা সম্ভব না। ১/১১ এর সময় এরকম শুরুতে হয়েছিল। পরে সেনাবাহিনী নিজেই দুর্নীতিতে ঝাপিয়ে পড়ে।
২/ এই থেরাপি ভবিষ্যতে আপনার পরিবারের উপরও এপ্লাই হতে পারে। আইন কখনো নিজের হাতে তুলে নেওয়া উচিত না।
৩/ ভারত কখনো আমাদের মতো আবেগের বশে সিদ্ধান্ত নেয় না। শেখ হাসিনাকে উনারা কতটা মূল্যায়ন করেন তা অজিত দোভালের মত লোকের রিসিভ করা থেকে বুঝা যায়।
৪/ আপনার সাথে যারা শেখ হাসিনার কাপড় নিয়ে নোংরামি করেছে তাদের বিশেষ কোন পার্থক্য নাই। পার্থক্য ওরা যদি ব্লগে থাকতো তাহলে পোস্ট আকারে সেগুলো দিত।
অন্যকে ছোট করতে গিয়ে আমরা যে কখন নিজেকে হাসি-তামাশার বস্তু বানিয়ে ফেলি সেটা আমরা টেরও পায়না অনেক সময়।