নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাদাত উদরাজী\'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - \'গল্প ও রান্না\' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

সাহাদাত উদরাজী

[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।

সাহাদাত উদরাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামী লীগকে যে পথে হাটিয়েছেন, প্রফেসর ইউনূস সরকারকেও সেই পথে সরাবেন - এটা এই সময়ে ভুল চিন্তা!

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৮

যারা মনে করছেন, এখানে সেখানে আন্দোলন রাস্তা বন্ধ মিছিল মিটিং এটা সেটা করে এই সরকার উৎখাত করবেন, এটা এখনকার সময়ের জন্য ভুল চিন্তা, ভুল দৃশ্য। এতে সরকার সাময়িক সমস্যায় পড়বে কিন্তু কোন না কোনভাবে সমাধান করেই ফেলবে! আমার দেখায় যা বলে, এখনো দেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ এই সরকারের পক্ষেই আছে। এই সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় সাংসারিক দ্রব্যের দাম নাগালে রাখতে পারলেই যে যা করুক সরকার টিকে থাকবে, সাথে জনগণের আরো সমর্থন পাবে। জনগণের মন থেকে উঠে যাবার অনেক কাজ আছে, সাথে সময়ও লাগে, এই সরকারের জন্য সেই সময় এখনো আসে নাই! এখন কিছু মানুষ যা করতে চাইছে বা যা হচ্ছে অহেতুক ও অপ্রয়োজনীয়!

আওয়ামী লীগকে যে পথে হাটিয়েছেন, প্রফেসর ইউনূস সরকারকেও সেই পথে সরাবেন - এটা এই সময়ে ভুল চিন্তা!

আওয়ামী লীগের সরানোর প্রেক্ষাপট মুলত একদিনে বা ৫ই আগষ্টে নয়, এদের প্রায় ১৫ বছরের অপশাসনেই মানুষ জেগে উঠেছিল, এদের অপরাধ বাড়তে বাড়তে এমন এক পর্যায়ে এসেছিল যে, প্রায় দেশের সব মানুষ (ওদের জনা কয়েক ছাড়া) রাস্তায় নেমেছিল। ছাত্রছাত্রীদের কাতারে জনতাও নেমে পড়েছিল, নানান দল মত এটা বুঝতে পারছিলো যে, এদের রেখে আর সুশাসন হবে না। মানুষের ভোট চুরি, নিত্য দ্রব্যর দাম আকাশে উঠা, মানুষ ধরে বা গুলি করে মেরে ফেলা, নিরাপত্তা সহ অনেক বিষয়ে মানুষ আর সহ্য করতে পারছিলো না, মানুষের মৌলিক অধিকার বার বার লুন্ঠি হচ্ছিলো। এক কথায় এদের অত্যাচারে মানুষ চুড়ান্ত রুপ দেখাতে বাধ্য হয়! শহর গ্রামের প্রায় প্রতিটা মানুষ এদের অত্যাচারে কোন না কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল বা হচ্ছিলো বা শঙ্কা বেড়েছিল! দৈনিক খবরের কাগজে প্রতিদিন হত্যা, গুম খুনের মত ব্যাপার গুলো মানুষ দেখে দেখে বিরক্ত হয়েছিল। একটা দেশের মানুষ যেভাবে বাঁচতে চায় তার কোন সমাধান আওয়ামী লীগ দিতে পারছিলো না। সরকারের নানান অফিসে গেলেই ঘুষ কমিশন, ব্যাংকে নিজের টাকা ক্ষতিতে পড়ছিলো বা এমন নিশ্চিত হবেই জেনে গিয়েছিল বলেই মানুষ আর তাদের পছন্দ করছিলো না। মানুষের মনে এই ধারনা হয় যে, এর পরে যেই আসে আসুক, তবুও এদের অপশাসন আর নয়!

জনগণ রাস্তায় নেমে সরকার হাটানোর প্রেক্ষাপট একদিনে বা কয়েক মাসে হয় না, এতে বছরের পর বছর বা যুগের পর যুগ লেগে যায়, সেটা এরশাদের মত শেখ হাসিনা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন! :)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এই সরকার তার নিজের কাজের প্রায়োরিটি ঠিক করতে না পারার কারণে আজকে চাপে রয়েছে।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১২

অপু তানভীর বলেছেন: একটা সরকার তা যত দূর্বলই হোক না কেন দেশের জনসাধারণ যদি পথে না নামে তাহলে সেটার পতন ঘটানো যায় না। দেশের মানুষ সরকারের উপর বিরক্ত থাকুক তারা এখন সব থেকে ঘৃণা করে আওয়ামীলীগকে । আওয়ামীলীগের প্রশ্ন সব এক । এখন বিএনপি জামাত ছাত্রদের ভেতরে যতই বিভাজন দেখাক না কেন যখনই মাঠে আওয়ামীলীগ নামবে দেখবেন সবাই এক জোট হয়ে ঠেকাবে। ১০ নভেম্বরই সেটা পরিস্কার হয়েছে।

আওয়ামীলীগ স্বপ্ন দেখছে দেশ অস্থির হবে আর সেই সুযোগে তার ক্ষমতায় এসে বসবে। :D

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার আর অনির্বাচিত শিক্ষিত ভদ্রলোকের সরকারের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার এর ভিত্তি থাকে তৃণমূল পর্যন্ত পক্ষান্তরে প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসসহ তার উপদেষ্টা পরিষদের কোনো সদস্যের জনসাধারনের উপর কন্ট্রোল নেই। যেকোনো সমস্যায় রাজনৈতিক সরকার বা সরকারি দল তার স্থানীয় নেতৃত্বকে কাজে লাগায় এবং সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বর্তমান সরকারের জনভিত্তি নেই। তাই যে খোন থেকে পারছে এদের চাপে রাখার চেষ্টা করছে। দাবী আদায়ের চেষ্টা করছে। বর্তমান সরকার ছাত্র নেতাদের তার মূল শক্তি বলে মনে করে। তাই যেকোনো সমস্যা হলেই ছাত্র নেতাদের সামনে এগিয়ে দেয়। কিন্তু একজন মানুষ সারা জীবন ছাত্র থাকে না। আর যার ছাত্রত্ব নেই তাকে নতুন ছাত্ররা মানেনা। কাজেই আমার মনে হয় বর্তমান ছাত্র নেতাদের ম্যাজিক খুব বেশিদিন চলবে না।

৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: অমন ভাবনা হাহুতাস লীগের প্রলাপ।

৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:০৫

উদাসীন মেঘ ১২১৯ বলেছেন: শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার আর অনির্বাচিত শিক্ষিত ভদ্রলোকের সরকারের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। জনাব, শেখ হাসিনা ২০০৯ ক্ষমতায় এসেছিলো তৎকালীন ফখ্রুদ্দিন, মৈনউদ্দিনের আর্মি ব্যাক সরকারের কারিশমায়। নির্বাচনের আগে ব্যাপক মামলা আর ধরপাকড়ের মাধ্যমে বিএনপিকে প্রায় মাঠ ছাড়া করে রাখা হয়েছিলো। তবুও সেই পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচনকে না হয় বৈধ বলে ধরে নিলাম। কিন্তু এরপরে ২০১৩ এর 'বিনা প্রতিদ্ধন্ধীতায়' ১৫৪ জন এমপির আগেই নির্বাচিত হওয়া, ২০১৮এর দিনের ভোট রাতে হওয়া, ২০২৩শে বিরোধীদল হীন আমি ডামির একদলীয় নির্বাচন করা। এমন তিনটা প্রহশনের নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষকে ভোটাধিকার বঞ্চিত করে ক্ষমতায় আসা একটি দলকে আপনি 'নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের' ক্যাটাগরিতে ফেলছেন কোন যুক্তিতে, একটু বলবেন কী? সত্যি যদি একটি দলের জনভিত্তি থাকে, তবে তাদের কেন বার বার ভোটচুরি করে ক্ষমতা দখল করতে হলো!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.