নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।
আমি ভাল লেখক না, মনের কথা খুব একটা ভালভাবে আপনাদের কাছে তুলে দিতে পারি তা নয়, যদি পারতাম তা হলে মনে আরো আনন্দ পেতাম। তবে আবার কিছুটা পারছি বলেই মনে হয়, আর এই কারনে আমাকে অনেকে অনলাইনে চিনে থাকেন, এটাও কম আনন্দের নয়!
আজকে আমি যে বিষয়টা তুলে ধরবো তা হচ্ছে আমাদের নারীদের (সবাই চায় তবে কেহ হয়ত পারে না) এক বিশাল গুণের কথা। বিয়ে হয়ে যাবার পরেও আমাদের অনেক নারী এই গুণ অত্যান্ত দৃঢ়তার সাথে ধরে রাখেন। হ্যাঁ, উনাদের বিয়ে হয়ে যাবার পরেও উনারা উনাদের বোন ভাইদের সংসারে চরম ইন্টারফেয়ার করেন এবং ভাই বোনের ছেলে মেয়েদেরও নানানভাবে কন্ট্রোল করে থাকেন, এই ভাইবোনদের জন্য যেন তিনি পরামর্শদাতা, উপদেশদাতা আর যদি স্বামীর টাকা কড়ি থাকে তবে তিনি অর্থদাতাও! অথচ সমাজ ধর্ম আমাদের যা শেখায়, তিনি তার বিপরীতেই চলেন! কোন নারীর বিবাহ হয়ে গেলে তার দায়িত্ব শুধু মাত্র স্বামী ও সন্তানের জন্য, দুনিয়ার আর কারো দিকেই উনাকে না তাকালেও চলে, মানে এই দুইকেই তিনি ধরে রাখতে পারলে পরপারে বেহেস্ত নিশ্চিত!
কিন্তু বাস্তবতা তো আমাদের চোখের সামনেই থাকে। উনার ভাই বোনেরা বড় হয়ে গেলেও এমনক বিবাহ শাদী করে সংসারী হলেও যেন পরামর্শ লাগবেই, তাদের সন্তানদেরও তার কথামত চলতে হবেই! ভাই বোনকে দূর থেকে হলেও এই কর, সেই কর, এভাবে না এভাবে বলতেই হবে! হা হা হা, আশা করি বিজ্ঞ পাঠকেরা বুঝে গেছেন এবং এই নাটক হয়ত আপনার ব্রেনে চালু হয়ে গেছে, চোখে দেখতে পারছেন, আপনার ঘরেই কি চলছে! সাহসী কিংবা লজ্জায় হয়ত কিছু বলতে পারেন না যে, আপনি বা তুমি এই কাজ করতে পারো না, ঠিক আমার মতই!
উদাহরণ দিলে নিজের চোখে দেখা উদাহরণ দেয়াই উচিত! আমার মায়ের কথা এই সময়ে মনে পড়ছে। তিনি এখন প্রায় ৭৫ বছর পার করেছেন। দশ ভাই বোনের তিনি সবার ছোট, এখন একমাত্র তিনি বেঁচে আছেন, কিন্তু উনার আবার বিয়ে হয়েছিল দশ ভাই বোনের সবার বড় জনের সাথে, মানে আমার মা আমার নানান বাড়িতে সবার ছোট আর আমাদের বাড়িতে সবার বড়, বিচিত্র! আমি মাঝে মাঝে অবাক হই, আমার মাকে আমি ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি, তিনি তার ভাই বোনদের কিংবা তাদের স্ত্রীদের বা তাদের সন্তানদের নানানভাবে কন্ট্রোল করেছেন এবং এখনো করেন। আমরা অনেক কিছুই হয়ত দেখি না বা আমাদের চোখের সামনে হয় না, গোপনে হয় কিন্তু এখনো বুঝতে পারি! এখনো উনার কোন ভাইয়ের ছেলে মেয়ে কি করবে, কি করলে ভাল হবে ইত্যাদি ওভার দ্যা ফোনে বলে থাকেন, ছোটখাট সমস্যা বা আর্থিক সাহায্যও করে থাকেন। হা হা হা, এই প্যারা আম্মার চোখে পড়লে আমার কি হবে আমি জানি না! আমার জন্য দোয়া করবেন আপনারা।
এবার আশা যাক আমার প্রিয়তমা স্ত্রীর কথা, আমাদের বিবাহের ২৭ বছর পার হতে চলল! ঐ উপরের প্যারার মতই! আমার খুব একটা সাহস হচ্ছে না, পুরা খুলে বলার। সবাই বড় হয়েছে, কে কি করবে, করলো, তাতে তারাই যথেষ্ট হয়ত, তবুও আমি ফিল করি তার এই অসামান্য চেষ্টা! আপনারা কল্পনা করে ব্রেনে এই নাটকও চালিয়ে দিতে পারেন! এবং আশা করি, পুরাই দেখতে পাবেন। জাস্ট রাবিশ!
হ্যাঁ, এবার বাদবাকী থাকে আমার বোনের কথা, সে দেশে থাকে না, থাকে বি-দে-শে স্বামী সন্তান নিয়ে! তারো এই ইচ্ছা হয় কি না আমি জানি না, তবে তার বিয়ে এবং বিদেশ চলে যাবার সময়ে আমি তাকে পরিস্কার বলে দিয়েছিলাম, তোমার দায় হচ্ছে তোমার স্বামী সন্তান, তাদের দিকেই দেখো, আমাদের দিকে কখনো তোমার তাকাতেও হবে না, তাকাবেও না। হয়ত আমার এই ভাষণে কাজ হয়েছে। কিছু দিন আগে ফোনে বললাম, তোমার ছেলে মেয়ে বড় হয়ে যাচ্ছে, তুমিও বুড়ো হয়ে যাচ্ছো, বিদেশে সন্তানেরা হয়ত তোমার কাছে নাও থাকতে পারে, একাকি হয়ে যেতে পার, দেশে ফেরত আসতে হতে পারে, নিজের সঞ্চয় নিজের কাছে রেখো, বুড়ো কালে আমরা হয়ত আবারো একসাথে থাকতে পারি!
যাই হোক, আপনাদের গল্প কি জানি না! মধ্যবিত্ত পরিবারের নারীদের এই কন্ট্রোলের চেষ্টার গল্প হয়ত বহু পুরানো! আর স্বামী ধনী হলে স্ত্রীও ধনী, এই ধনী নারীরা তার গরীব ভাইবোনদের ও তাদের সন্তানদের কি করেন তাও নিশ্চয় আপনারা অনুমান করতে পারেন!
পরিশেষে মনে হচ্ছে, এই গল্পের নায়ককে আজ রাতে বাইরেই কাটাতে হবে! হা হা হা, আপনাদের মনে আসা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিলাম!
(নয়াপল্টন, সন্ধ্যা ৭:৩০মিনিট)
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:১৩
আমি সাজিদ বলেছেন: যৌথ পরিবারগুলোতে আমি দেখেছি। ওখান থেকে ভেঙ্গে যাওয়া পরিবারে আবার বিষয়টি নেই।
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:০৭
আমি সাজিদ বলেছেন: এখনও ঘরে ফিরেন নাই
আপনার রেসিপির সাইট দেখে রান্না বসাচ্ছি আজ।
৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: যা দেখি, তা লিখি।
এই শিরোনামে আপনি একটা ধারাবাহিক লেখা লিখতে পারেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৪২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমার দাদির মধ্যে এই কর্তৃপরায়ণতা ছিল। এখন আছে ছোট বোনের। তবে আমার মা সন্তানদের ওপরও তেমন চাপ প্রয়োগ করেননি কখনও।