নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাদাত উদরাজী\'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - \'গল্প ও রান্না\' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

সাহাদাত উদরাজী

[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।

সাহাদাত উদরাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মকথাঃ ভিক্ষুক

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:২৯

ভিক্ষুকদের সাথে আমার সম্পর্ক বেশ পুরানো। রাস্তায় বের হলে তাদের অনেকেই আমার দিকে হাত বাড়ায়, আমি অবশ্যই কিছু হলেও দিতে চেষ্টা করি, পাশ কেটে চলে যেতে আমার ভয় লাগে। আমার এমন হাত দেখলে সেই পুরানো গল্পের কথা মনে মনে পড়ে, এই হাত কি বিধাতা আমাকে টেষ্ট করতে পাঠিয়েছেন! যদি না দেই তবে কি বিচারের দিনে আমাকে জিজ্ঞেস করা হবে, তোর কাছে একজনকে পাঠিয়ে ছিলাম, তুই না করেছিস, এর জন্যই তুই দোজগে যাবি। কথা মনে পড়তেই আমি পকেটে হাত দিয়ে দেই।

তবে আমার সাথে কোন বন্ধু থাকলে, এভাবে টাকা দিতে আমার লজ্জা লাগে, তখন উলটা মাফ চাই। আমার অনেক বন্ধু আছে, এদের দেখলেই বলে, কিছু না করে ভিক্ষা করছেন কেন কিংবা ভিক্ষাকে কি ব্যবসা হিসাবে নিয়েছেন ইত্যাদি ইত্যাদি। কিংবা বন্ধু থাকতে দিলে বাহাদুরি দেখানো হবে বলেও চুপ করে যাই, মাফ চাই!

কোন কেহ যদি আমার কাছে কিছু খেতে চায়, ভাত খেতে চায় বা এমন কি চা কলা বিস্কুট খেতে চায়, এই সমস্ত ক্ষেত্রে আমি 'না' করি না। এই চাওয়া গুলো সাধারনত কোন খাবারের দোকান বা চা দোকানের সামনেই হয়ে থাকে। আমি অনেক বার একদম বসিয়েই খাইয়ে দেই, আর চা কেক বা কলা খাবারের পরে সিগারেটও সাধি পুরুষ হলে, বেশ কয়েকজন বেশ হাসি মুখে লাকি সিগারেট আমার সামনেই টেনেছেন, পুরানাপল্টন বা নয়াপল্টনের নানান গলিতে এমন ভিক্ষুক প্রায় দেখা যায়! এদের আমার বেশ ভাল লাগে, আমাকেও দারিদ্রতা টানে, ধনসম্পদ আমাকে কখনো টানে না, যদিও ধনসম্পদের পিছনে ঘুরেই সারা জীবন কাটিয়েছি বা কাটাচ্ছি!

বেইলী রোডের এক ভিক্ষুক চাচীকে (চাচী সন্মানের জন্য বললাম, আসলে তিনি আমার সমবয়সী হবেন) আমি গত প্রায় ৩০ বছর ধরে চিনি, তিনি আগে নাভানা বেইলী স্টারের আসে পাশে বসতেন, এখন রোডস এন্ড হাইওয়ের অফিসের গেইটের সামনে বসেন। আমরা সব বন্ধুরাই উনাকে চিনি, কারন উনাকে ঝড় বৃষ্টি বাদল যে কোন দিনেই দেখি, তিনিও আমাদের দেখতে দেখতে চিনে ফেলেছেন, তিনি তখন জোয়ান ছিলেন, আমাদের এক বন্ধু উনাকে দেখলেই বলত, বাসা বাড়িতে কাজ করেন না কেন? তিনি এটা শোনার পরে আর দাঁড়াতেন না, সোজা শান্তিনগরের দিকে রাওয়ানা দিতেন! তবে আমাদের এক ধনী বন্ধু ছিলো তার মন ভাল থাকলে সেই দিন উনাকে ৫০/১০০ টাকা দিত, ঈদে চান্দে আরো বেশী বেশী, কখনো দূর থেকেও ঢেকে দিয়ে দিত। এই ধনী বন্ধুর এমন দান দেখে আমাদের ১০/২০টাকা কোন টাকাই মনে হত না!

এখন তিনি বেশ বুড়ো হয়েছেন তবে এই বেইলী রোড ছাড়েন নাই, এখন বসে থাকেন, যারা চিনেন হয়ত তারা তাকে নিয়মিত দেন, উপরওয়ালা উনার রিঝিক কার মাধ্যমে পাঠান কে জানে! আমার সাথে এখন আর দিনে দেখা হয় না, রাতে দেখা হয়, আমি দেখি তিনি দেখেন কি না জানি না! তবে এখন প্রায় খেয়াল করি তিনি বসেই থাকেন, কারো কাছে হাত পাতেন, যা তিনি আগে করতেন। জানি না কি কারনে এখন উনার মন খারাপ থাকে বা কি না! আমি ভেবে আশ্চর্য্য হই যেই তিনি আমাকে দেখলেই হাত পাততেন, এখন আর হাত বাড়ান না! আমার কাছে রহস্য লাগে! আজ এই রাতে বার বার মনে পড়ছে, কেন তিনি আজকাল এমন করেন? আমি কাল বা পরশু গেলে দেখা পেলেই জিজ্ঞেস করবো। অল্প টাকার কোন সমস্যা থাকলে সমাধান করে দিব।

আমাদের এই শহরের ভিক্ষুকদের নিয়ে আমার অনেক মজার কিচ্ছা জানা আছে। যে যেই জায়গাতে ভিক্ষা করেন কেহ সেই জায়গা ছাড়েন না, হাজার বছর ধরে সেখানেই ভিক্ষা করেন, একটা নিদিষ্ট সময়ে, নিদিষ্ট পরিসরে। এই শহরের অন্ধ ভিক্ষুকদের হয়ত সেই জন্য কাউকে ছাড়া হাটতে দেখেন, কারন সেই রাস্তা তার মুখস্ত।

এই রাতে এই লেখা লিখতে গিয়ে শান্তিবাগের প্রবেশের মুখে আমার এক ভিক্ষুক বোন আছে, তার কথা মনে পড়ছে, দুপুর ১২টার পরে আর তাকে পাওয়া যায় না। সকাল থেকে যোহরের আজান পর্যন্ত তিনি মাটিতে বসে ভিক্ষা করেন, আমার এই বোনের দুই পা প্যারালাইজড। একবার আমি উনাকে একটা হুইল চেয়ার কিনে দিতে চাইলাম, তিনি বললেন, ভাইয়া আমাকে এই টাকা দিয়ে দিন, আমি আমার ছোট ভাইকে গাড়ি চালনো শিখাবে, লাইসেন্স বানাবে, সে একটা চাকুরী পেলে ভাল হবে। আমি কোন কথা না বলে দিয়ে দিয়েছিলাম। বছর পরের ঘটনা, সেই ভাই ড্রাইভিং শিখে কোথায় যেন চাকুরী পেয়েছিল, তবে চাকুরী পেয়েই বিয়ে করে আলাদা হয়ে গিয়েছিল। পুরা গল্প সময় পেলে আর একদিন লিখবো, বিরাট ইতিহাস।

ইউরোপ আমেরিকায় ভিক্ষাবৃত্তি একটা পেশা, যা আমাদের দেশে চালু থাকলেও পেশা হিসাবে স্বীকৃতি মিলে নাই! আজ প্রমিনেন্ট স্ক্যাম ডিডেক্টর মি কার্ল রকের একটা ভিডিও দেখলাম, তাতে ইউরোপে কিভাবে সিন্ডিকেট চক্র ভিক্ষুক নিয়োগ করে, স্থান সিলেক্ট করে এবং পরে তাদের থেকে কমিশন নেয় ইত্যাদি ইত্যাদি। মানুষ ভিক্ষা দেয় অথচ এর কমিশন পেয়ে অনেকে গ্যং চালায়, অবাক! ঘাটাঘাটি করলে আমাদের এখানেও তেমন দেখা যাবে হয়ত! তবে পাতিলে ভরে কাউকে ছোট বানিয়ে ভিক্ষা করালে সে বা সেই চক্রের হোতাদের মৃত্যদন্ড দেয়া উচিত হবেই। আজকাল অবশ্য এমন শোনা যায় না,আমাদের ছোট বেলায় এমন খবর প্রায় শোনা যেত!

যাই হোক, বিষয়টা নিয়ে আমার অনেক চিন্তা হয়, ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসাবে রাষ্ট্র মেনে নিলে কি সমস্যা!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:৫৬

জনারণ্যে একজন বলেছেন: ব্লগের এই অর্ধশিক্ষিত-গালিবাজগুলারে নিয়ে আর পারা গেলো না!

এই যেমন উদর জি। লুঙ্গি পইরা উপুড় হইয়া শুইয়া, পশ্চাৎদেশ খাউজাইতে খাউজাইতে দিবাস্বপ্ন দেখছে - আমেরিকাতে নাকি ভিক্ষাবৃত্তি একটা পেশা। টং এর দোকানে বইসা রাজা-উজির মারতে মারতে এমনি অভ্যাস হইছে - জানুক আর না জানুক, গলাবাজি কইরা সস্তা হাততালি কুড়াইতে না পারলে এইগুলার পেটের ভাত হজম হয় না।

বাই দ্যা ওয়ে উদর জি, আপনার জানা এবং স্বগোত্রীয়দের কাছ থেকে শোনা গালিগালাজের আরো কিছু নমুনা প্রতিউত্তরে রাইখা যাইবেন আশা করি।

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই আমাদের দেশে ভিক্ষুক ছিলো।
করোনার পর দেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা দ্বিগুনের বেশি হয়েছে।
বাসা থেকে বের হয়ে দশ মিনিট হাটলে অন্তত ৫ জন ভিক্ষুক এসে হাত পাতে। কেউ হাত পাতলে আমার ভালো লাগে না। আমাদের দেশের মানুষ গুলো এত গরীব কেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.