![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।
ঈদ মোবারক, আশা করছি সবাই ভাল আছেন এবং ঈদের গোশত খেয়েছেন। সারাদিন ব্যস্ততায় অনেকের দিন কেটেছে, আমারও তেমনি। সব মিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ্। ঈদের গোশত মুখে দিয়ে সব ভুলে গেছি, ঈদের গোশতের স্বাদ কেন আলাদা হয় কে জানে! আজকের কিছু পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা চলুক।
ক্যার্যত মি প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস সাহেব ভোটের তারিখ ঘোষণা দেয়ার পরে আমি কিছুটা সামাজিক অস্থিরতা বা সাধারন মানুষের আফসোস লক্ষ করলাম। রাম্পুরার এক চা দোকানের আড্ডায় বেশ কয়েকজন অপরিচিত মানুষের কথা শুনে আমার কাছে মনে হয়েছে, মানুষ যা চাইছিলো তা আর হবে বলে কেহ বিশ্বাস করে না। মানুষের চাওয়া ছিল দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, ন্যায় বিচার, কিন্তু কাউকেই পেলাম না যে বিশ্বাস করে নির্বাচনের পরে এই বিষয় গুলো প্রতিষ্ঠা পাবে বা হবে। অনিশ্চিত যাত্রা হবে দেশের!
দেশের সৎ মানুষেরাও নির্বাচন নিয়ে আগ্রহী বলে মনে হয় না। বিএনপির সৎ কর্মীরা এখন এই বিষয়ে চুপ হয়ে আছেন, তারা নির্বাচনে জয়ী হবেন এটা নিশ্চিত হলেও তাদের মন ভালো নেই। লীগের আমলে গুম হত্যা নির্যাতনের বিচার গুলো এই সরকার করে গেলে কিছুটা হলেও নিশ্চিত হওয়া যেত। তবে বিএনপির কিছু কর্মী দেখা যাচ্ছে, যারা এখনো আগামী এপ্রিল ২৬সালে নির্বাচন হবে বিশ্বাস করে না, এরা মুলত ডাইহার্ট কর্মী, তবে আমার মাথায় ধরে না, এরা কি করে লীগের আমলের নির্যাতন নিপীড়ন ভুলে গেল!
বলতে ভুলে যাচ্ছি, এই নির্বাচন ঘোষণার পরে দেশের খাঁটি চোর, ব্যাংক ডাকাত, অপরাধী, ভেজাল ব্যবসাহী, ঘুষখোর, কমিশনখোরদের, সাথে জেলে থাকা লীগের নেতা কর্মী আত্মীয় স্বজন কিছুটা আনন্দিত, যদিও তারাও চায় ডিসেম্বরে নির্বাচন হয়ে যাক। অন্তত নির্বাচিত সরকারের সাথে আঁতাত করে হলেও কিছুটা মুক্ত জীবন যাপন করতে পারবে বা মুক্ত হবে!
যাক, আজকের দিনের বিষয়ে আসি। ঈদ চাঁদ এক সময়ে আমাকে খুব কষ্ট দিত, বিশেষ করে প্রবাসে থাকার সময়ে। তবে এখন বুঝি, আমাদের এমন উৎসব কেন দরকার এবং এটা কেমন কাজ করে। ঈদের নুতন কেনাকাটা, খাবার দাবার, গরু খাসি ভেড়া কেনা এইসব এক চোখ দিয়ে দেখলে হয় না, দুইচোখ খুলে দেখতে হয়। এটা একটা বিশাল আর্থিক লেনদেনের চক্র। ধনীদের টাকা মধ্যবিত্তে যায়, মধ্যবিত্তের টাকা গরীবের হাতে যায়, বিষয়টা নিয়ে প্রবন্ধ লেখা যায়, আমি সেই দিকে যাচ্ছি না। জাষ্ট চিন্তা করে দেখেন, এই কোরবানীর ঈদে কত টাকা প্রান্তিক গ্রামের মানুষের কাছেও গেছে। নিচে একটা উদাহরণ দিবো। তবে এবার গরুর হাটের বেপারীদের টাকা কড়ি নিয়ে কোন ঝামেলার কথা শোনা যায় নাই। ইন্টারেস্টিং একটা দিক দেখলাম, একটা ব্যাংক গরুর হাটে আইডি থাকলে একাউন্ট খুলে দিচ্ছে এবং সেখানেই টাকা জমা নিয়ে রিসিপ্ট দিয়ে দিচ্ছে। বিষয়টা ভাল লেগেছে, যে ছোট ব্যাপারীরা কয়েকটা গরু এনেছে, তারা টাকা হাতে না নিয়েও গ্রামে গেলে পেয়ে যাবে, টাকার নিরাপত্তা ছিলো। পাশাপাশি আর্মি টহল দেখলাম।
কোরবানীর ভাগের গোশত নিয়ে ফেরার পথে এক মেশিন চালক পেয়ে হাজীপাড়া এসে বললাম, চলেন চা পান করি (রিক্সাচলককে নিয়ে চা পান বিস্কুট কেক একাত্রে আমার পুরানো অভ্যাস, সেই ১৯৯১ থেকে চালিয়ে আসছি, একটু দুরের পথ হলে তো কথাই নেই), হাসি মুখে রাজী। জানলাম নাম হাসান। চা পানের সময়ে তাকে ফুরফুরে দেখছিলাম, জিজ্ঞেস করলাম, আজ সারাদিনে কত কামিয়েছেন? তিনি জানালেন, আজ এটাই তার প্রথম খেপ। তা হলে সারাদিনে কি করলেন, হাসি মুখে জানালেন, গরু কাটার কন্টাক নিয়েছিলেন, ৪ জন মিলে দল করে ৪টা গরু কেটেছেন সকাল থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত। পরে রেষ্ট নিয়ে বৃষ্টির পরে আবার মেশিন রিক্সা নিয়ে বের হয়েছেন। আমার কৌতুহল মত জিজ্ঞেস করে বসলাম, ভাগে কত টাকা পেলেন। তিনি জানালেন তিনি পুরা টাকা থেকে ভাগে ৮হাজার ৫টাকা পেয়েছেন, সব খরচাপাতির হিসাব বাদ দিয়ে, মানে দাড়ালো সিজন্যাল কসাই হিসাবে আজ কয়েক ঘন্টা কাজ করে তিনি এই টাকা পেয়েছেন! কোরবানীর উৎসবে এই ঘটনা ফেলনা নয়!
(আজকে ঢাকায় দুপুরের পরে টানা বৃষ্টি অনেক কিছু ধুয়ে মুছে নিয়েছে)
২| ০৮ ই জুন, ২০২৫ রাত ৩:৪২
ফেনিক্স বলেছেন:
বরাবরের মতোই গাবেজ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুন, ২০২৫ রাত ১:১৪
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: ভালো লাগলো