নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবর্তনে চাই খোলা মন আর প্রবল আত্তবিশ্বাস।

প্রতিদিন যা পড়ি পত্রিকার পাতায়, ভাললাগা-মণ্দলাগা সবই শেয়ার করি সবার সাথে।

উল্কাপাত

খুবই আশাবাদী ও স্বপ্নবান আমি।

উল্কাপাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাছের আঁশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে দামি জুতা জামা, ব্যাগ

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৩৮

লেখাটি লিখেছেন হাসান শাফিঈ

মানবজমিনের কলাম লেখক।

মাছের আঁশই নয়, ফেলে দেয়া অন্য সব অংশও এখন মূল্যবান। মাছের ‘ফেলে দেয়া’ সব অংশ প্রযুক্তির ব্যবহারে প্রস্তুত হচ্ছে মানুষের ব্যবহার্য নানা দ্রব্য। তা-ই মাছের আঁইশের পাশাপাশি কাঁটা, চোখ, কান সবই এখন দামি হয়ে উঠেছে। এ কারণে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছরই অপ্রচলিত পণ্য হিসাবে শত শত টন মাছের আঁশ, হাড্ডি, ফুটকা রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে।

চিংড়ি মাছের খোলস, মাথা, কাঁকড়ার খোলসও রপ্তানি হচ্ছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। এসব মৎস্যজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাত করে বিদেশীরা খাদ্য, গ্লু, ওষুধ, স্যুপ, কসমেটিকস সামগ্রী প্রস্তুত করছে। ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা গেছে, ওসব আইটেমের বাইরে দামি জুতা ও বিশেষ ধরনের পোশাকও প্রস্তুত হচ্ছে মাছের আঁশ থেকে। এ কারণে দিন দিন বাড়ছে অপ্রচলিত এসব পণ্যের ব্যবসা। তবে মৎস্যজাত ওই সব পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশই প্রধান দেশ নয়। প্রতিবেশী ভারত, চীন থেকেও রপ্তানি হয় একই ধরনের মৎস্যজাত পণ্য। এ কারণে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা পড়েছেন কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। মাছ রপ্তানিতে রপ্তানিকারকরা সরকারের ভর্তুকি পেলেও মৎস্যজাত ওসব পণ্য রপ্তানিতে সে সুবিধা পাচ্ছেন না তারা। তবে ভারত ও চীনের রপ্তানিকারকরা সে সব দেশের সরকারের কাছ থেকে এ খাতে ভর্তুকি পাওয়ায় দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। জানা গেছে, দেশের চারটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মিলে প্রতিমাসে মৎস্যজাত ওই সব পণ্য রপ্তানি করছে প্রায় ৪শ’ টন। বছরে ৪ হাজার ৮শ’ টন। রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, প্রতিমাসে চিংড়ির খোলস রপ্তানি হয় প্রায় ২০০ টন, কাঁকড়ার খোলস ৫০ টন, মাছের হাড্ডি ২০ টন, মাছের আঁইশ ১০০ টন, মাছের ফুটকা ১৫ টন। এতে প্রতিবছর দেশে আসছে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা। তারপরও সরকার ও প্রশাসনের সুনজরে নেই এ খাত। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত ৭ বছরে এ বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে দেশের অন্তত ২০০০ শ্রমিক। বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলার অন্তত ৩৬০টি বাজার থেকে চিংড়িসহ নানা ধরনের মাছের আঁশ, খোসা, ফুলকা ও হাড্ডি সংগ্রহ করা হচ্ছে। এছাড়া খুলনা ও চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ কাঁকড়ার খোলস। এর প্রায় সবটুকুই রপ্তানি হচ্ছে জার্মানি, ইতালি, স্পেন, যুগোস্লোভিয়ায়। মাছের আঁশের মতো একই প্রক্রিয়ায় সারাদেশের বাজার থেকে খোলস, ফুলকা ও হাড্ডি সংগ্রহ করা হয় বলে জানান কুতুবখালির বোরহানউদ্দিন। তিনি জানান, ঢাকার যাত্রাবাড়ী এরই মধ্যে পরিচিত হয়ে উঠেছে অপ্রচলিত পণ্যের মূল ব্যবস্যা কেন্দ্র হিসেবে। অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানির নানা সমস্যা সম্পর্কে রপ্তানিকারক মাজহারুল ইসলাম গতকাল মানবজমিনকে বলেন, সরকার মাছ রপ্তানি বাণিজ্যে ভর্তুকি দিলেও মাছের আঁশ, হাড্ডি, খোলস, ফুলকা রপ্তানি খাতে এ সহায়তা দেয় না। এজন্য চীন ও ভারতের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, বাঁশ ও কাঠজাত পণ্য তেমনভাবে রপ্তানি না হলেও এ খাতে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। অথচ নতুন এ খাতের প্রতি সরকার দেখিয়ে চলেছে চরম অবহেলা। এমনকি সরকারের মৎস্য অধিদপ্তরও অপ্রচলিত এসব রপ্তানি পণ্যের ছাড়পত্র দিতে গড়িমসি করে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।েহাসান শাফিঈ: মাছের আঁশই নয়, ফেলে দেয়া অন্য সব অংশও এখন মূল্যবান। মাছের ‘ফেলে দেয়া’ সব অংশ প্রযুক্তির ব্যবহারে প্রস্তুত হচ্ছে মানুষের ব্যবহার্য নানা দ্রব্য। তা-ই মাছের আঁইশের পাশাপাশি কাঁটা, চোখ, কান সবই এখন দামি হয়ে উঠেছে। এ কারণে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছরই অপ্রচলিত পণ্য হিসাবে শত শত টন মাছের আঁশ, হাড্ডি, ফুটকা রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে।

চিংড়ি মাছের খোলস, মাথা, কাঁকড়ার খোলসও রপ্তানি হচ্ছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। এসব মৎস্যজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাত করে বিদেশীরা খাদ্য, গ্লু, ওষুধ, স্যুপ, কসমেটিকস সামগ্রী প্রস্তুত করছে। ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা গেছে, ওসব আইটেমের বাইরে দামি জুতা ও বিশেষ ধরনের পোশাকও প্রস্তুত হচ্ছে মাছের আঁশ থেকে। এ কারণে দিন দিন বাড়ছে অপ্রচলিত এসব পণ্যের ব্যবসা। তবে মৎস্যজাত ওই সব পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশই প্রধান দেশ নয়। প্রতিবেশী ভারত, চীন থেকেও রপ্তানি হয় একই ধরনের মৎস্যজাত পণ্য। এ কারণে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা পড়েছেন কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। মাছ রপ্তানিতে রপ্তানিকারকরা সরকারের ভর্তুকি পেলেও মৎস্যজাত ওসব পণ্য রপ্তানিতে সে সুবিধা পাচ্ছেন না তারা। তবে ভারত ও চীনের রপ্তানিকারকরা সে সব দেশের সরকারের কাছ থেকে এ খাতে ভর্তুকি পাওয়ায় দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। জানা গেছে, দেশের চারটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মিলে প্রতিমাসে মৎস্যজাত ওই সব পণ্য রপ্তানি করছে প্রায় ৪শ’ টন। বছরে ৪ হাজার ৮শ’ টন। রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, প্রতিমাসে চিংড়ির খোলস রপ্তানি হয় প্রায় ২০০ টন, কাঁকড়ার খোলস ৫০ টন, মাছের হাড্ডি ২০ টন, মাছের আঁইশ ১০০ টন, মাছের ফুটকা ১৫ টন। এতে প্রতিবছর দেশে আসছে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা। তারপরও সরকার ও প্রশাসনের সুনজরে নেই এ খাত। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত ৭ বছরে এ বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে দেশের অন্তত ২০০০ শ্রমিক। বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলার অন্তত ৩৬০টি বাজার থেকে চিংড়িসহ নানা ধরনের মাছের আঁশ, খোসা, ফুলকা ও হাড্ডি সংগ্রহ করা হচ্ছে। এছাড়া খুলনা ও চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ কাঁকড়ার খোলস। এর প্রায় সবটুকুই রপ্তানি হচ্ছে জার্মানি, ইতালি, স্পেন, যুগোস্লোভিয়ায়। মাছের আঁশের মতো একই প্রক্রিয়ায় সারাদেশের বাজার থেকে খোলস, ফুলকা ও হাড্ডি সংগ্রহ করা হয় বলে জানান কুতুবখালির বোরহানউদ্দিন। তিনি জানান, ঢাকার যাত্রাবাড়ী এরই মধ্যে পরিচিত হয়ে উঠেছে অপ্রচলিত পণ্যের মূল ব্যবস্যা কেন্দ্র হিসেবে। অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানির নানা সমস্যা সম্পর্কে রপ্তানিকারক মাজহারুল ইসলাম গতকাল মানবজমিনকে বলেন, সরকার মাছ রপ্তানি বাণিজ্যে ভর্তুকি দিলেও মাছের আঁশ, হাড্ডি, খোলস, ফুলকা রপ্তানি খাতে এ সহায়তা দেয় না। এজন্য চীন ও ভারতের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, বাঁশ ও কাঠজাত পণ্য তেমনভাবে রপ্তানি না হলেও এ খাতে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। অথচ নতুন এ খাতের প্রতি সরকার দেখিয়ে চলেছে চরম অবহেলা। এমনকি সরকারের মৎস্য অধিদপ্তরও অপ্রচলিত এসব রপ্তানি পণ্যের ছাড়পত্র দিতে গড়িমসি করে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.