নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিচয়পর্ব পরে সেরে নেবো।

উল্টা দূরবীন

কেন এক অচিন মানুষের বাস মানুষের ভিতর? জর্জরিত বোধ তবু অভিনয় যেন সুখের সাঁতার!!

উল্টা দূরবীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদেহী রঙ্গ!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১০

রাত নয়টা। টিউশনি থেকে ফেরার পথে কিছুক্ষণ আগে এলিফেন্ট রোডে মহিলা ছিনতাইকারী বারো ইঞ্চি সাইজের ছুরি দেখিয়ে অনিকের মোবাইল আর মানিব্যাগ নিয়ে গেছে।

অনিকের মোটেও দুঃখ হচ্ছে না। মোবাইলটা কমদামী। ছিনতাইকারী বড়জোর তিন'শ টাকা বিক্রি করতে পারবে। আর মানিব্যাগেও তেমন কিছু ছিলো না। আনুমানিক ৩৮ টাকার মত। মানিব্যাগটাও পুরনো। কবুতরের খুপড়ির মত অনেকগুলা গুপ্ত পকেট আছে সেটায়। তার একটায় এই অল্প কিছু টাকা ছিলো। ছিনতাইকারী খুঁজে পাবে কিনা কে জানে।

অনিক ঠিক করলো মেসে পৌঁছে বাবাকে ফোন করবে। ছিনতাইয়ের ঘটনা বলবে। না হলে ফোনে ওকে না পেলে বাবা দুশ্চিন্তায় সারা রাত ঘুমাবে না।

অনিকের বাবা ওকে প্রতিদিন রাতে ফোন করে খোঁজখবর নেয়। ঠিক রাত নয়টা থেকে দশটার মধ্যে ফোন করে। আগে এই কাজটা অনিকের মা করতো। মা মারা যাবার পর এখন বাবা করে। একদিনও মিস হয় না।

সোয়া নয়টার দিকে অনিকের বাবা বহুবার ছেলের মোবাইলে ডায়াল করলো। মোবাইল বন্ধ বলছে। ছেলের মোবাইল বন্ধ থাকলেই উনি একটু চিন্তিত হয়ে পড়েন। ছেলে একা শহরে থাকে। টিউশনিতে গেলে মোবাইল বন্ধ রাখে। আর জরুরী কাজে মোবাইল বন্ধ রাখতে হলে সেটা অনিক আগেই বাবাকে জানিয়ে রাখে। উনিও ওই সময়ে আর ফোন করেন না।

সাড়ে নয়টা বাজে। অনিক নিশ্চই এখন টিউশনি থেকে বেরিয়েছে। বাবা আবার ডায়াল করলো। কিন্তু এখনো মোবাইল বন্ধ। তিনি কিছুই বুঝতে পারছেন না। মা মরা একমাত্র ছেলে। উনার খুব টেনশন হচ্ছে। আজ সারাদিন অনিকের সাথে কথা হয়নি। এখন মোবাইল বন্ধ বলছে। বাবার কাছে একটু অস্বস্তি লাগছে। ছেলের কোন বিপদ হয়নি তো?

পোনে দশটা। অনিক মেসে পৌঁছে দেখে রুমমেট একজনও বাসায় নেই। হয়তো বাইরে আড্ডা দিচ্ছে। কিছুক্ষণ পরেই আসবে। বাপ্পি বাসায় আসলেই ওর মোবাইল থেকে বাবাকে ফোন করবে। বাইরে দোকান থেকেও করতে পারতো। কিন্তু পকেটে একটা কানাকড়ি তো দূরে থাক অন্ধকড়িও নেই।

সাড়ে দশটা লাগাদ বাবা আবার অনিকের নাম্বারে ডায়াল করলো। এবার রিং হচ্ছে কিন্তু কেউ রিসিভ করছে না। সপ্তমবার অনিক ফোন তুললো।

- হ্যালো অনিক, কেমন আছিস বাবা?
- (চুপ)
- হ্যালো।
- (চুপ)
- কথা বলছিস না কেন?
- (চুপ)
- হ্যা....

বাবা দেখলো অনিক ফোন কেটে দিয়েছে। উনি কিছু বুঝলেন না। আবার ডায়াল করলো এবং রিসিভ হওয়ার পর এক মেয়ে কথা বলা শুরু করলো।

- হ্যালো কে?
- অনিক কোথায়?
- কে বলছেন আপনি?
- আমি কে বলছি মানে? অনিক কোথায়? আর আপনি কে?
- আগে বলুন আপনি কে?
- আমি অনিকের বাবা। অনিক কোথায়? আপনি কে বলছেন?
- (চুপ)
- হ্যালো, কথা বলছেন না কেন? কে আপনি?
- (চুপ)
- হ্যা...হ্যালো।
- আমি অনিকের মা!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৪

সুমন কর বলেছেন: আমি অনিকের মা! ;)

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৫

উল্টা দূরবীন বলেছেন: ছিনতাইকারীদের জানা উচিৎ, ফাইজলামীর একটা সীমা আছে ;)

২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪২

কালীদাস বলেছেন: হা হা :) মহিলা ছিনতাইকারী কি আসলেই আছে? মানে আর্মস দেখিয়ে ছিনতাই করা? নোংরামি করে ব্ল্যাকমেইল করে আদায় করে শুনেছিলাম আগে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫০

উল্টা দূরবীন বলেছেন: আরে ভাই, রাইতেল বেলা কোন মাইয়া আইসা যদি আপনারে গোলাপও দেয় তবে সেটাকেই ধরে নিবেন ফিফটি ক্যালিবার রাইফেল।

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.