নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিচয়পর্ব পরে সেরে নেবো।

উল্টা দূরবীন

কেন এক অচিন মানুষের বাস মানুষের ভিতর? জর্জরিত বোধ তবু অভিনয় যেন সুখের সাঁতার!!

উল্টা দূরবীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহী চা (রম্য গল্প)

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৭

শাহী চা (রম্য গল্প)


আগে কানে শুনতাম না। সেদিন ডাক্তারের কাছে গিয়ে কানে হেডফোনের মত একটা হিয়ারিং এইড লাগিয়ে আনছি। এখন বেশ ভালোভাবেই শুনি। তবে কিছু সমস্যা হচ্ছে।

যন্ত্রটা দিনে ঠিকঠাক চলে। শুধু রাতে আজিব কিছিমের শব্দ করে। ভাঙ্গা চৌকির পায়ার আওয়াজের মত আওয়াজ করে। মনেহয় যন্ত্রটার ভিতরের নাট বল্টু লুজ আছে।

আরো বড় একটা সমস্যা হয়। রাতের বেলা যন্ত্রের ভিতর কে জানি ফিসফিস করে কথা বলে। জোরে জোরে শ্বাস নেয়। মৃদু শব্দে গোঙ্গানির মত করে। বিসর্গ যোগে শব্দও হয়। মনেহয় যন্ত্রটারে ভুতে আছর করছে।

তাই ঠিক করছি যন্ত্রটা বল্টু ভাইয়ের কাছে নিয়ে যাবো। বল্টু ভাই আপনা লোক। আমি ওনাদের সাথেই এক বাসায় সাবলেট থাকি। বল্টু ভাই আর ভাবি থাকে এক রুমে। আমি থাকি ঠিক তাদের পাশের রুমে।

বল্টু ভাইয়ের রেডিও টিভি ঠিক করার দোকান আছে। বেশ ভালো কাজ জানে। আগে একবার আমার টুথব্রাশের গান চালানোর সুইচটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। বল্টু ভাই নিজ গুনে ঠিক করে দিয়েছেন।

বল্টু ভাইয়ের কাছে যন্ত্রটা নিয়া গেলাম। সব সমস্যার কথা বলার পর উনি কেমন যেন কাচুমাচু করছেন। লজ্জিতও মনে হচ্ছে। আমার দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারছেন না। অথচ যখন কানে শুনতাম না তখন তিনি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে ইশারায় কথা বলতেন।

এখন আমি কানে শুনি একথা জানতে পারার পর উনি লজ্জায় মরে যাচ্ছেন। অথচ বল্টু ভাইয়ের তো খুশি হওয়ার কথা। বিষয়টা আমার বোধগম্য হচ্ছে না।
কুচ তো গড়বড় হ্যায়!

যাহোক, আমি সোজা সরল লোক। বল্টু ভাইয়ের লজ্জার বিষয়ে খামোখা নাক গলাতে চাই না। এমনিতেও জন্মের পর থেকে আমার নাক খানিকটা বোঁচা।

বল্টু ভাই চা আনালেন। চা খেতে খেতে মুখ তুলে বললেন, ভাই, আজ থেকে আর সমস্যা হবে না।

আমি বললাম, সেকি! আপনি তো যন্ত্রটা হাতে নিয়েও দেখলেন না। সমস্যা হবে না কি করে বুঝলেন?

বল্টু ভাই বললেন, আরে ভাই! এই তেলেছমাতি আপনি বুঝবেন না। এই যে চা খাচ্ছেন, এই চা যেনতেন চা না। গোপাল বাবার দর্গার পড়া পানি দিয়ে তৈরী শাহী চা। এই চা খেলে যন্ত্র কেন বান্দরও মানুষের কাতারে আইসা পড়ে! এখন বাসায় চলে যান। আর শুনেন, এই সমস্যার কথা কারো কাছে বলবেন না। বললে শাহী চায়ের তেলেছমাতি আর কাজ করবে না।

আমি বাসায় চলে আসলাম। সেদিন রাত থেকে যন্ত্রে আর কোন সমস্যা হয়নি। একেবারে নিঁখুত চলছে।

বল্টু ভাইয়ের কেরামতি দেখে আমি মুগ্ধ। লোকটা অনেক জিনিয়াস। হাতের কাজের পাশাপাশি অলৌকিক কাজও জানে।

বল্টু ভাইয়ের দোকানে আরো একবার যাওয়া লাগবে। আরেক কাপ শাহী চা খাওয়া দরকার। আমার নখ কাটার মেশিন আগে পুট পুট শব্দ করে নখ কাটতো। এখন নখ কাটে কিন্তু সেই শব্দটা করে না। এই শব্দ না হলে নখ কেটে আরাম নাই।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: চরম!! ভালা । ধন্যবাদ ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪৭

উল্টা দূরবীন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। এবং অগ্রিম ঈদ মোবারক।

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫০

রহস্যময় ডিটেকটিভ ঈশান বলেছেন: অনেক ভাল হয়ছে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪৮

উল্টা দূরবীন বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ

৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিক বুঝলাম না।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৮

উল্টা দূরবীন বলেছেন: কোন লাইন? :p

৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯

আমিনুর রহমান বলেছেন:


=p~ =p~ =p~

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৮

উল্টা দূরবীন বলেছেন: :P

৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৮

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: :P :P :P

মুচকি মুচকি হাসতেই আছি!

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪

উল্টা দূরবীন বলেছেন: মন্তব্যেরর জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং আমার ব্লগে স্বাগতম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.