নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিচয়পর্ব পরে সেরে নেবো।

উল্টা দূরবীন

কেন এক অচিন মানুষের বাস মানুষের ভিতর? জর্জরিত বোধ তবু অভিনয় যেন সুখের সাঁতার!!

উল্টা দূরবীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসীম শুন্যতা!

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১০

মাঝেমাঝে স্মৃতির ঝুলি থেকে গাদ্দার কিছু স্মৃতি উইপোকার মত বেরিয়ে আসে। কুড়ে কুড়ে খেয়ে কলিজাটাকে ফোপড়া বানিয়ে দেয়। তখন ফ্যাকাশে কিছু অনুভূতি বাস্তবের সমান্তরালে বিশৃঙ্খল উগ্র ভাব নিয়ে চলতে থাকে। শত হুশিয়ারির পরেও সেই স্মৃতিগুলো বারবার জালিয়াতি করে। হতাশা আর বিষণ্ণতার গ্লানিবোধে পুরো শরীরকে অলস অবশ করে চলে যায়।

মনের গহীনে গুহাবাসী কিছু কষ্ট থাকে। মাঝেমাঝে আদিম উদ্যমতা নিয়ে ওরা বেরিয়ে আসে। প্রচন্ড প্রস্তর মনকে আবারো গুড়িয়ে দিয়ে যায় যাঁতাকলে পিষে। দক্ষ শিকারীর নিখুঁত আঘাতের মত সেই কষ্টরা বারবার ফণা তুলে আঘাত করে। কষ্টের নীলাভ বিষাক্ত এ আচরণে কোন এন্টিভেনম কাজ করে না। আস্তে আস্তে সে বিষ ছড়িয়ে পড়ে। মহাশূন্যের মত অসীম বিস্তৃত হয় জীবনের বৃত্তের ভেতরে। বিস্তৃত শূন্যতা নিয়ে।

দূরে থাকা মেঘের মত কিছু মানুষ দূরেই থাকে। ধরাছোঁয়ার বাইরে দৃশ্যমান থেকে সংকর অনুভূতির বর্ষণ ঝরায়। কখনো ভালোলাগার মহাসিন্দুক খুলে, কখনো বেদনার বেদনার্ত গর্জন তুলে। তবুও নীলকান্তের ডানায় চড়ে সেই অধরা মানুষের কাছে ফিরে যেতে ইচ্ছে হয়। তখন মেঘের ওপারের নীল আকাশে নীল বেদনা নীলকান্তের ডানায় আবার মহাজাগতিক দূর্যোগ হয়ে ধেয়ে আসে। সে মানুষ সান্নিধ্যের বাইরেই থাকে। মেঘের মত রঙ বদলায়।

স্মৃতির উইপোকারা তখন আবার বেরোয়। এপিঠ ওপিঠ ঝাঁজরা করে ক্ষান্ত হয়। পোড়া মনের বিষে মৃত্যুযন্ত্রণা নেমে আসে। মৃত্যুযন্ত্রণা থেকে মৃত্যু অনেক সহজ। অনেকবার সহজ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৭

তামিম রুহুল বলেছেন: ভাল লিখেছেন,ভাল লাগল

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৭

উল্টা দূরবীন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: দৃশ্যখাদক স্মৃতিরা এসে সবকিছু মুছে দিয়ে যায়, তাকে বারবার তলব করা হয়তো পছন্দ নয়। তাই বর্তমানের অক্টোপাসকেই জড়িয়ে ধরে থাকা।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০০

উল্টা দূরবীন বলেছেন: হুম, ঠিক বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.