![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেন এক অচিন মানুষের বাস মানুষের ভিতর? জর্জরিত বোধ তবু অভিনয় যেন সুখের সাঁতার!!
আমি ব্যাচেলর মানুষ। জীবন যাপন পদ্ধতি নিয়ে লাখো নালিশ থাকলেও কিছু করার থাকে না।
বাসায় পানি থাকে না। সময়মত বুয়া আসে না। কারেন্ট বিল বেশি হয়। সাবান, শ্যাম্পু, টুথপেস্ট কিনে রাখলে অটোমেটিক শেষ হয়ে যায়। নানামুখী ঝামেলায় জীবন চলছে কোনরকম। ব্যাচেলর যখন হয়েছি এগুলো মেনে নিয়েই চলতে হবে। নালিশ করেও কোন লাভ হবে না।
ব্যাচেলর বাসায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হয় খাবারদাবার নিয়ে। সবাই ভালোটা খেতে চায়। যে সবার শেষে খাবে সে কপাল পোড়া। সবাই ভালোটা খেয়ে তার জন্য পাতিলের তলায় পাতলা ঝোলের মহাসাগরে ডুবন্ত ভাঙ্গা একটুকরা মাছ বা মাংস রাখে। নরম ভাতগুলো আগেই শেষ হয়ে যায়। তার জন্য যে ভাত অবশিষ্ট থাকে তা কুড়কুড়ে মুড়মুড়ে চানাচুরের মত হয়।
মা ফোন করে প্রতিদিন জানতে চায় বাসায় কি রান্না হয়েছে। যা রান্না হয় আমি তাতে একটু বেশি তেল মশলা দিয়ে ভুনা ভুনা করে মাকে বলি। হয়তো মুরগীর মাংস রান্না হয়েছে। তেল ভাসা ভাসা, লালচে, আধাসিদ্ধ। তিনঘোড়া পাম্প বসিয়ে ঝোল সেঁচে খেতে হবে। আমি মাকে বলি মুরগীর মাংস ভুনা হয়েছে। বললে মা খুশি হন। ভাবেন, ছেলের খাওয়া দাওয়া নিয়ে কোন সমস্যা হচ্ছে না।
ভুনা মাংস আমার খুব প্রিয়। গরুর মাংস হলে কোন কথা নেই। গলা অবধি না হওয়া পর্যন্ত খাই। পরে হজম করতে দুই তিন দিন যা লাগবে লাগুক। আপাতত খেয়ে কড়াই খালি করা আমার কাজ।
ঈদে বাড়ি থেকে আসার সময় মা গরুর মাংস ভুনা করে দিয়েছেন। মিস্ট্রিয়াস বক্স ভর্তি করে জোর করে ব্যাগে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। আসার সময় বারবার ফোন করে আমার চেয়ে মাংসের খবর নিয়েছেন বেশি। বারবার হুকুম জারি করেছেন, বাসায় গিয়েই গরম করবি। যতদিন শেষ না হয় অন্য কোন বাজার করবি না।
বুয়ার বদৌলতে সে মাংস দুই দিনও টিকেনি। প্রথম প্রথম আমি সে ভুনা মাংস গরম করে করে তিনবেলা খেয়েছি। ঈদের ছুটি কাটিয়ে যেদিন প্রথম বুয়া এসেছে সেদিনই ওই ভুনা মাংস এক চুটকিতে শেষ। কোন বাজার করা নেই দেখে বুয়া সেই ভুনা গরুর মাংস দ্বিতীয়বারের মত রান্না করে রেখে গেছে। এক হাঁটু ঝোল উইথ আধাপোয়া লবন এন্ড পারমানবিক ঝাল।
বাড়িতে মায়ের হাতে রান্না করা গরুর মাংসের ওভার ডোজে যে কোষ্ঠকাঠিন্যের কালো ছায়া কমোডে পড়েছে সেই ছায়া বুয়ার এক ঝলকানীতে বায়বীয় ত্যাগে বিদায় নিয়েছে। এমনও হয়েছে ঘন্টায় আটচল্লিশ কিলোমিটার বেগে ছুট দিয়ে হাম্মামে গিয়েছি।
শান্তিদান করে ফিরে আসতেই পেটে আবার ঘুটঘুট শব্দে অশান্তি জমেছে।
ওয়াশরুমে আবার গগনবিদারী হুংকারে পেট ক্লিয়ার হয়েছে....
পারমানবিক ঝালের এই চলমান চেইন রিয়েকশান থামিয়েছে মেট্রিল আর এস এম সি'র ওরস্যালাইন!
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৮
উল্টা দূরবীন বলেছেন: আমার তো প্রথমে সিন্ডিকেট মনে হইছিলো। পরে দেখলাম না, বুয়া তার কাজের প্রতি খুবই দায়িত্বশীল।
২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৬
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হা হা হা|
বিয়ে করে ফেলেন
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৯
উল্টা দূরবীন বলেছেন: বিয়ে করে নিজের পায়ে শেকল বাঁধার চেয়ে স্যালাইন খাওয়া ভালো
৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৭
সুমন কর বলেছেন: আপনার কষ্টের কথা পড়ে কষ্ট পাবো, না হাসুম বুঝি না.....কারণ এ লাইফটি সম্পর্কে শুনেছি এবং পড়েছি কিন্তু নিজে ফেস করিনি।
লেখায় প্লাস।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩
উল্টা দূরবীন বলেছেন: আরে ভাই, তাহলে তো আপনি জীবনের লোমহর্ষক এক এডভেঞ্চার থেকে বঞ্চিত হলেন। অবশ্য তার বদলে আপনি হয়তো অনেক ভালো কিছু স্মৃতি পেয়েছেন।
ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: মায়ের স্পর্শবিহীন মেস/হল জীবনের রান্না নিয়ে আমারও তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। আপনার সাথে মিলে গেলো। তাই লেখাটি গভীরে গিয়ে ছাপ ফেললো।
শুভেচ্ছা।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮
উল্টা দূরবীন বলেছেন: সেম টু সেম। আসেন কোলাকুলি করি
৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬
রিকি বলেছেন: এক হাঁটু ঝোল উইথ আধাপোয়া লবন এন্ড পারমানবিক ঝাল।
বুয়া জিন্দাবাদ !!!!
বর্ণনা শুনেই ভয় পেয়েছি ভাই, আপনি আছেন ক্যামনে !!!!
একটা আইস ব্যাগ কিনে ফেলেন জলদি !!!
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯
উল্টা দূরবীন বলেছেন: থাকতে হয়রে ভাই
কিচ্ছু করার নাই
৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: বাড়িতে মায়ের হাতে রান্না করা গরুর মাংসের ওভার ডোজে যে কোষ্ঠকাঠিন্যের কালো ছায়া কমোডে পড়েছে সেই ছায়া বুয়ার এক ঝলকানীতে বায়বীয় ত্যাগে বিদায় নিয়েছে। এমনও হয়েছে ঘন্টায় আটচল্লিশ কিলোমিটার বেগে ছুট দিয়ে হাম্মামে গিয়েছি।
শান্তিদান করে ফিরে আসতেই পেটে আবার ঘুটঘুট শব্দে অশান্তি জমেছে।
ওয়াশরুমে আবার গগনবিদারী হুংকারে পেট ক্লিয়ার হয়েছে....
পারমানবিক ঝালের এই চলমান চেইন রিয়েকশান থামিয়েছে মেট্রিল আর এস এম সি'র ওরস্যালাইন! -------
হা হা হা ---------------
হাসলামতো অনেকক্ষণ, কিন্তু ব্যাচেলর ব্যারেকের কাহিনী সত্যিই দুঃখজনক!!!
ব্যাচেলর জীবনের দ্রুত অবসান হোক----------- আমীন (সবাই বলবেন) !!!!!
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৫
উল্টা দূরবীন বলেছেন: হাসতে হাসতে আমিন বলে যে অন্ধকার ভবিষৎবাণী করলেন সেটা আমি মেনে নিতে পারছি না। :/
আই লাভ মাই ব্যাচেলর লাইফ। এরকম স্বাধীনতা আর কোন শান্তিময় স্বাধীন দেশেও মনে হয় নেই। ব্যাচেলর জীবনের অবসান ঘটিয়ে আমি পরাধীন হতে চাই না। কাভি নেহি।
৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: সেম টু সেম অভিজ্ঞতা আমারও আছিল। কিসসু করার নাই। প্যারা খাইতে খাইতে জীবনগাড়ি একবার গিয়া পৌছাইবোনে। আবনে কুনো চিন্তা কোরবেন না।
তয় বীথি আপার প্রস্তাবের সাথে একমত হওয়া জরুরী। (আমীন)
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৭
উল্টা দূরবীন বলেছেন: ভায়া, হামলোগ এক নৌকার যাত্রী। আসেন, বিড়ি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে কইষে দুইটা টান দিয়া যান।
ধন্যবাদ। ধুমপানে স্বাস্থ্যনাশ।
৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯
ডাঃ মারজান বলেছেন: ভাই চরম লাগলো। ৭ বছর কাটিয়েছি মেসে। এসএমসি'র ওরস্যালাইন এর কত যে সদব্যাবহার করেছি, তা গুনে শেষ করা যাবেনা ।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৮
উল্টা দূরবীন বলেছেন: আমাদের পকেটের টাকাতেই আজ এসএমসি কম্পানি কোটিপতি। আর আমরা ....
৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৭
কিরমানী লিটন বলেছেন: সুমন কর বলেছেন: আপনার কষ্টের কথা পড়ে কষ্ট পাবো, না হাসুম বুঝি না.....কারণ এ লাইফটি সম্পর্কে শুনেছি এবং পড়েছি কিন্তু নিজে ফেস করিনি।
লেখায় প্লাস।
আমার পক্ষ থেকেও +++
শুভকামনা রইলো ...
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৫২
উল্টা দূরবীন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।
১০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৫
আমিনুর রহমান বলেছেন:
মজার করে নিজের কষ্টের কথা লিখেছেন। আমি যদিও ব্যাচেলর না কিন্তু ঢাকায় বউবিহীন থাকতে হচ্ছে বউয়ের চাকুরীর কারণে। তাই আপনার কষ্ট অনুধাবন করতে পারি। তবে এই কষ্টগুলো খুব অল্পতেই দূর করতে পারেন। আমার বাসায় বুয়া আছে। তার দায়িত্ব হাড়ি-পাতিল, কাপড় দোয়া, ঘর ঝাড়ু আর মাংস-পিয়াজ ছিলে রাখা। একা থাকলে আমি এই কাজগুলোর জন্যও বুয়া রাখতাম না । আমার সাথে আমার ২ ভাগিনা থাকে। তাদের জন্যই রাখা। রান্না-বান্নাটা নিজেই করি। খুব কষ্টের কাজ না। যাই খাই সেটা আলু-ভর্তা হোক আর ডিম ভাজি হউক কিংবা মাংসের তরকারীই হোক। রান্না করতে করতে এখন পাকা রাধুনিদের মতো হয়ে গেছি। আমি বলব সারাজীবন ভাত বসিয়ে তার মধ্যে আলু দিয়ে ভাত আর আলু ভর্তা খাওয়া অনেক ভালো বুয়ার হাতের রান্না থেকে।
শুভ কামনা আপনার জন্য।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৯
উল্টা দূরবীন বলেছেন: সাজেশানে জন্য ধন্যবাদ। নিজে রান্না করতে পারি তবে সবসময় মন চায় না। আর আমি একা হলে অবশ্যই নিজেই রান্না করতাম।
১১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫
প্রামানিক বলেছেন: যে সবার শেষে খাবে সে কপাল পোড়া। সবাই ভালোটা খেয়ে তার জন্য পাতিলের তলায় পাতলা ঝোলের মহাসাগরে ডুবন্ত ভাঙ্গা একটুকরা মাছ বা মাংস রাখে। নরম ভাতগুলো আগেই শেষ হয়ে যায়। তার জন্য যে ভাত অবশিষ্ট থাকে তা কুড়কুড়ে মুড়মুড়ে চানাচুরের মত হয়।
বুয়ার বদৌলতে সে মাংস দুই দিনও টিকেনি। প্রথম প্রথম আমি সে ভুনা মাংস গরম করে করে তিনবেলা খেয়েছি। ঈদের ছুটি কাটিয়ে যেদিন প্রথম বুয়া এসেছে সেদিনই ওই ভুনা মাংস এক চুটকিতে শেষ। কোন বাজার করা নেই দেখে বুয়া সেই ভুনা গরুর মাংস দ্বিতীয়বারের মত রান্না করে রেখে গেছে। এক হাঁটু ঝোল উইথ আধাপোয়া লবন এন্ড পারমানবিক ঝাল।
বাড়িতে মায়ের হাতে রান্না করা গরুর মাংসের ওভার ডোজে যে কোষ্ঠকাঠিন্যের কালো ছায়া কমোডে পড়েছে সেই ছায়া বুয়ার এক ঝলকানীতে বায়বীয় ত্যাগে বিদায় নিয়েছে। এমনও হয়েছে ঘন্টায় আটচল্লিশ কিলোমিটার বেগে ছুট দিয়ে হাম্মামে গিয়েছি।
শান্তিদান করে ফিরে আসতেই পেটে আবার ঘুটঘুট শব্দে অশান্তি জমেছে।
ওয়াশরুমে আবার গগনবিদারী হুংকারে পেট ক্লিয়ার হয়েছে....
ভাই আপনার লেখা পড়ে তো হাসতে হাসতে জান শেষ। আপনি তো ভালই রম্য লিখতে পারেন। লিখতে থাকেন আপনার উল্টা দূরবীন নামের সাথে লেখার মিল আছে।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩১
উল্টা দূরবীন বলেছেন: রম্য লেখার চেষ্টা করি কিন্তু সময়ে করে উঠতে পারি না।
ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৮
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: হাহাহাহা!!
)। তাদের ব্যবসা বাড়াচ্ছে। তাদেরই চর কিনা আগে ঐটা দেখুন।
হাসতেই আছি।
রান্না করা ভুনা মাংসই আবার কিছু না পেয়ে রান্না করে গেছে বুয়া। বুয়াটা অস্থির মাপের। অনেক কাজের (ডাক্তার আর ফার্মেসীর জন্য