নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের অনুসন্ধানে আত্মপ্রকাশিত কিছু কথা

উমর আই এস

মর্ডান অপ্টিক্যাল- ০৮/০৩/১৯৯৬

উমর আই এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

কারবালা’র সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩


কারবালা’র ইতিহাস সংক্ষিপ্ত
umar8627

ﺍﻟﺤﻤﺪ ﻟﻠﻪ ﺭﺏ ﺍﻟﻌﻠﻤﻴﻦ ﻭﺍﻟﺼﻼﺓ ﻭﺍﻟﺴﻼﻡ ﻋﻠﻰ ﺳﻴﺪ
ﺍﻻﻧﺒﻴﺎﺀ ﻭﺍﻟﻤﺮﺳﻠﻴﻦ ﻣﺤﻤﺪ ﻭﻋﻠﻰ ﺍﻟﻪ ﺍﻟﻄﻴﺒﻴﻦ ﻭﺍﺯﻭﺍﺟﻪ
ﺍﻟﻤﺘﻄﻬﺮﻳﻦ ﻭﺍﺻﺤﺎﺑﻪ ﺍﻟﻤﺮﺿﻴﻦ ﻭﻋﻠﻰ ﺍﻭﻻﺩﻩ ﺍﻟﺸﻴﺢ
ﺍﻟﻤﺠﺪﺩ ﺍﻻﻋﻈﻢ ﻭﺍﻣﺎﻡ ﺍﻟﺸﺮﻳﻌﺔ ﻭﺍﻟﻄﺮﻳﻘﺔ ﻭﺍﻻﻭﻟﻴﺎﺀ
ﺍﻟﻜﺎﻣﻠﻴﻦ .
ﻭﻻﺗﺤﺴﺒﻦ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﻗﺘﻠﻮﺍ ﻓﻰ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻣﻮﺍﺗﺎ ﺑﻞ ﺍﺣﻴﺎﺀ
ﻋﻨﺪ ﺭﺑﻬﻢ ﻳﺮﺯﻗﻮﻥ .
অর্থ: ‘যাঁরা আল্লাহ তায়ালার
রাস্তায় শহীদ হন তাঁদেরকে কখনও মৃত
মনে করো না। বরং তাঁরা নিজেদের
রব তায়ালার নিকট জীবিত ও
রিযিকপ্রাপ্ত।’ (সূরা আলে ইমরান-১৬৯)
হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম
উনার শাহাদাত
নিঃসন্দেহে মুসলিম বিশ্বের
ইতিহাসে সবচেয়ে হৃদয় বিদারক ঘটনা।
নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার হায়াত মুবারকে ও উনার বিছাল
শরীফ-এর পরে আরো অনেক মর্মবিদারক
শাহাদাতের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু
হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম
উনার শাহাদাতের ন্যায় এত
দীর্ঘস্থায়ী ও এত ব্যাপক শোক,
কান্না ও আহাজারি মুসলিম
জাতি আর কোন শাহাদাতের জন্য
করেনি।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, নূরে মুজাস্সাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হায়াত
মুবারকে হযরত হামযা রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু উনার শাহাদাত, উনার
কলিজা চিবানো, হযরত ইয়াসার
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার
পরিবারের মর্মান্তিক শাহাদাত,
বীরে মাঊনায় ৭০ জন এবং ইয়ামামার
যুদ্ধে ৩০০ জন কুরআনে হাফিযের
শাহাদাত, হযরত খুবাইব রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু ও উনার সঙ্গীদের
শাহাদাত তৎকালীন মুসলিম সমাজের
বুকে শেলের মত বিঁধেছিল।
স্বয়ং আখিরী রসূল, নূরে মুজাস্সাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত
হামযা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
উনার
শাহাদাতে নিদারুণভাবে শোকাহত
হয়েছিলেন। তারপর চারজন খলীফার
মধ্যে হযরত আলী র্কারামাল্লাহু
ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুসহ তিনজন খলীফাই
শহীদ হয়েছেন মর্মান্তিকভাবে।
জামাল (উষ্ট্রের) যুদ্ধ ও সিফ্ফীন
যুদ্ধের ন্যায় দু’টি গৃহযুদ্ধে বহু মূল্যবান
প্রাণ,
বিশেষতঃ আশারায়ে মুবাশ্শারার
অন্তর্ভুক্ত কয়েকজন
ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুমও শহীদ হয়েছেন। এসব
শাহাদাতে মুসলমানদের শক্তি ও
প্রভাব-প্রতিপত্তির অপূরণীয়
ক্ষতি হলেও শোক ও আবেগের দিক
দিয়ে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস
সালাম উনার শাহাদাত ঐসব
শাহাদাত থেকে অধিক মর্মান্তিক।
এমনকি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন
আলাইহিস সালাম উনার বড় ভাই
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকেও বিষ
প্রয়োগে শহীদ করা হয়েছিল। কিন্তু
সেই শাহাদাত নিয়েও
সারা দুনিয়াব্যাপী এত
দীর্ঘস্থায়ী শোক ও বিলাপ হয়নি,
যেমনটি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন
আলাইহিস সালাম উনার
শাহাদাতে হয়েছিল এবং এখনও
হচ্ছে।
মোট কথা, হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস
সালাম উনার শাহাদাত এমন এক
অসাধারণ ও অদ্বিতীয় শাহাদাত
এবং এমন এক হৃদয় বিদারক ঘটনা, আগের
এবং পরের যুগে যার কোন নজীর নেই।
সাইয়্যিদুশ শুহাদা হযরত ইমাম হুসাইন
আলাইহিস সালাম
সাইয়্যিদুশ শুহাদা হযরত ইমাম হুসাইন
আলাইহিস সালাম চতুর্থ হিজরীর
শা’বান মাসের ৫ তারিখ
মদীনা শরীফ-এ বিলাদত শরীফ লাভ
করেন। বিলাদত শরীফ-এর পর
সরকারে মদীনা, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
কানে আযান দিয়ে দুআ করেছিলেন।
সাতদিন পর আকীকা করে উনার নাম
মুবারক ‘হুসাইন’ রাখা হয়েছিল।
হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত আছে –
ﺍﻟﺤﺴﻦ ﻭﺍﻟﺤﺴﻴﻦ ﺍﺳﻤﺎﻥ ﻣﻦ ﺍﻫﻞ ﺍﻟﺠﻨﺔ
অর্থ: ‘হাসান ও হুসাইন
জান্নাতী নামসমূহের দু’টি নাম।‘ এর
আগে আরবের জাহিলিয়াত যুগে এ দু’
নামের প্রচলন ছিল না।
হযরত ইমাম হাসাইন আলাইহিস সালাম
ও হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম
উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খুবই
প্রিয় ছিলেন। আপন সন্তান থেকেও
উনাদেরকে অধিক ভালবাসতেন।
হযরত
মী রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন,
একদিন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইমাম
হুসাইন আলাইহিস সালাম
উনাকে ডানে ও স্বীয়
ছাহেবজাদা হযরত ইব্রাহীম
আলাইহিস সালাম
উনাকে বামে বসিয়েছিলেন।
এমতাবস্থায় হযরত জিবরীল আলাইহিস
সালাম উপস্থিত হয়ে আরজ করলেন,
ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আল্লাহ
তায়ালা উনাদের দু’জনকে আপনার
কাছে এক সঙ্গে থাকতে দেবেন না।
উনাদের
্যে একজনকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন।
অতএব আপনি উনাদের দু’জনের মধ্যে এ
ব্যপারে যিনাকে ইচ্ছা পছন্দ করুন।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
ইরশাদ করেন, যদি হযরত ইমাম হুসাইন
আলাইহিস সালাম তিনি বিদায়
নেন, তাহলে উনার বিরহে হযরত
ফাতিমাতুয
যাররা আলাইহসা সালাম ও হযরত
আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
উনাদের খুবই কষ্ট হবে এবং আমার
মনটাও ক্ষুণ হবে। আর যদি হযরত ইব্রাহীম
আলাইহিস সালাম উনি বিছাল শরীফ
লাভ করেন, তাহলে সবচে দুঃখ
একমাত্র আমিই পাবো। এজন্য
নিজে দুঃখ পাওয়াটাই আমি পছন্দ
করি। এ ঘটনার তিন দিন পর হযরত
ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম বিছাল
শরীফ লাভ করেন।
এরপর থেকে যখনই হযরত ইমাম হুসাইন
আলাইহিস সালাম
তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
সমীপে আসতেন
তিনি উনাকে মুবারকবাদ দিতেন
এবং উনার কপাল মুবারকে চুমু দিতেন
এবং উপস্থিত লোকদেরকে সম্বোধন
করে বলতেন, আমি হুসাইন (আলাইহিস
সালাম)-এর জন্য আপন সন্তান ইব্রাহীম
(আলাইহিস সালাম)
উনাকে কুরবানী দিয়েছি।’(শাওয়
াহিদুন্ নুবুওওয়াত)
হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন,
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
এমন অবস্থায় বাইরে তাশরীফ আনলেন
যে, উনার এক কাঁধের উপর হযরত ইমাম
হাসাইন আলাইহিস সালাম
উনাকে এবং অন্য কাঁধের উপর হযরত
ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম
উনাকে বসিয়ে ছিলেন।
এভাবে আমাদের সামনে তাশরীফ
আনলেন এবং ইরশাদ করলেন –
ﻣﻦ ﺍﺣﺒﻬﻤﺎ ﻓﻘﺪ ﺍﺣﺒﻨﻰ ﻭﻣﻦ ﺍﺑﻐﻀﻬﻤﺎ ﻓﻘﺪ ﺍﺑﻐﻀﻨﻰ
অর্থ: ‘যে উনাদের দু’জনকে মুহব্বত
করলো, সে আমাকে মুহব্বত করলো। আর
যে উনাদের সাথে দুশমনী করলো,
সে আমার সাথে দুশমনী করলো।’
হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম
উনার বিলাদত শরীফ-এর কিছু দিন পরই
উনার শাহাদাতের কথা সবার
কাছে জানাজানি হয়ে গিয়েছিল।
হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু, হযরত ফাতিমাতুয
যাহরা আলাইহাস সালাম, অন্যান্য
ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুম ও আহলে বাইত
আলাইহিমুস সালাম-উনাদের
সংশ্লিষ্ট সকলেই হযরত ইমাম হুসাইন
আলাইহিস সালাম উনার
শৈশবাবস্থায় জানতে পেরেছিলেন
যে, উনাকে একান্ত
নির্মমভাবে শহীদ
করা হবে এবং কারবালার ময়দান
উনার রক্তে রঞ্জিত হবে। এ
ব্যাপারে অনেক হাদীছ শরীফ বর্ণিত
হয়েছে।
হযরত উম্মুল ফজল বিনতে হারিছ
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা (হযরত
আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
উনার আহলিয়া) বলেন, আমি একদিন
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
খিদমতে উপস্থিত হয়ে হযরত ইমাম
হুসাইন আলাইহিস সালামকে উনার
কোলে দিলাম। এরপর আমি দেখলাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চোখ
মুবারক থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে।
আমি আরয করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য
কুরবান হোক, এর কারণ কী ? ইরশাদ
করলেন, আমার কাছে হযরত জিবরীল
আলাইহিস সালাম এসে এ খবর
দিয়ে গেলেন –
ﺍﻥ ﺍﻣﺘﻰ ﺳﺘﻘﺘﻞ ﺍﺑﻨﻰ ﻫﺬﺍ
‘ নিশ্চয়ই আমার উম্মত আমার এ
শিশুকে শহীদ করবে।’ হযরত উম্মুল ফজল
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা বলেন,
আমি আরয করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এ
শিশুকে শহীদ করবে? হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,
‘হ্যাঁ, হযরত জিব্রীল আলাইহিস সালাম
শাহাদাত স্থলের লাল মাটিও
এনেছেন।
হযরত ইবনে সা’দ রহমতুল্লাহি আলাইহি,
হযরত
হি আলাইহি থেকে বর্ণনা করেছেন,
হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু জঙ্গে সিফফীনের সময়
কারবালার পথ দিয়ে যাওয়ার সময়
দাঁড়িয়ে গেলেন এবং সেই জায়গার
নাম জানতে চাইলেন।
লোকেরা বললেন, এ জায়গার নাম
কারবালা। কারবালার নাম
শুনামাত্র তিনি এত
কান্নাকাটি করলেন যে, চোখের
পানিতে মাটি ভিজে গিয়েছিল।
অতঃপর ফরমালেন, আমি একদিন
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
খিদমতে হাজির
হয়ে দেখতে পেলাম,
তিনি কাঁদছেন। আমি আরয করলাম,
ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কেন
কাঁদছেন? ইরশাদ করলেন, এইমাত্র হযরত
জিবরীল আলাইহিস্ সালাম
এসে আমাকে খবর দিয়ে গেলেন –
ﺍﻥ ﻭﻟﺪﻯ ﺍﻟﺤﺴﻴﻦ ﻳﻘﺘﻞ ﺑﺸﺎﻃﺊ ﺍﻟﻔﺮﺃﺕ ﺑﻤﻮﺿﻊ ﻳﻘﺎﻝ ﻟﻪ
ﻛﺮﺑﻼ
আমার ছেলে (দৌহিত্র) হযরত ইমাম
হুসাইন আলাইহিস সালামকে ফোরাত
নদীর তীরে যে জায়গায় শহীদ
করা হবে, সে জায়গার নাম
রবালা।’ (সাওয়ায়িকে মুর্হারাকাহ)
আর সত্যি সত্যিই নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
ভবিষ্যদ্বাণী মুতাবিক হযরত ইমাম
হুসাইন আলাইহিস সালাম কারবালার
প্রান্তরে শাহাদাত বরণ করেন।

-----------মুহম্মদ উমর ইবনে শহীদ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.