নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের অনুসন্ধানে আত্মপ্রকাশিত কিছু কথা

উমর আই এস

মর্ডান অপ্টিক্যাল- ০৮/০৩/১৯৯৬

উমর আই এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি আত্মার সুষ্ঠ বিচার ও নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ:

৩০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

একটি আত্মার সুষ্ঠ বিচার ও নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ:
সমস্ত প্রসংশা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবিব নূরে মুজাস্সাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি।

সম্মানিত ধর্মপ্রাণ মুসলিম ভাই ও বোনেরা, আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্, আশা করি আপনি/আপনারা এই মুহুর্তে অনেকটা ভালো আছেন। আরোও ভালো থাকবেন আমার এই পোস্ট টা আপিন/আপনারা পড়ে থাকলে। প্রথমে জানিয়ে দেই আপনার আমার কিছু তথ্য:
ধরুন আপনি একজন মুসলিম, আমিও একজন মুসলিম। আপনি একজন বাঙ্গালী, আমিও একজন বাঙ্গালী। সবচেয়ে বড় কথা আপনি একজন মানুষ এবং আমিও একজন মানুষ। আপনার আমার জ্ঞানের পরিধি অনেকটা ভিন্ন হলেও বোঝার/বিচার করার ক্ষমতাটা আপনার আমার ও অন্য সবার আছে। তা না হলে সমালোচনা/মন্তব্য শব্দটি ব্যবহার হত না। চলমান বিশ্বটাকে সূত্র ঘটিয়েছে ইসলাম এর মুসিলম দ্বারা, এবং এর সমাধির বিপ্লবী ডাক ডাকবে মুসলিম এর ইসলাম দ্বারা। আর এটি একটি সূত্র দ্বারা প্রমাণ করতে চাই।

আপনি/আমি, কিংবা আমরা দেশের কোন রাজনীতি বা সামাজিক সমস্যার সমুক্ষিণ হলে:
প্রথমে একজন সাধারণ মানুষ এর সাথে সমস্যার কথা বলি এবং এটি সমাধাণের চেষ্টা করি।
এরপর এলাকার কাউন্সিলর/মেম্বারের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি বা সাহায্য চাই।

কাউন্সিলর/মেম্বার তার বিষয়বস্তু ঘুটিয়ে দেখার পর চেয়ারম্যান/মেয়র এর কাছে হস্তক্ষেপ করেন। এরপর সম্পূর্ণ বিষয়টা পরিপূর্ণ ভিত্তি করে তাদের রায়ের উপর। পরবর্তীতে উক্ত বিষয়টি আরোও জটিলতার সাথে সম্পৃক্ত করতে একটি উপজেলার বা জেলার এম.পি বরাবরে প্রদান করা হয়। এম.পি এই ব্যাপরটি নিয়ে বেশি কথা না বলতে পারেন এর কারণ তিনি রাজনৈতিক কাজে ব্যস্ত থাকতে পারেন। এর পর বিষয়টি উপজেলা থানা থেকে বিজ্ঞ জেলা জজ বরাবরে প্রদান করেন। জেলা জজ উক্ত বিষয়টি তদন্ত স্বাপেক্ষে একটি রায়ের জন্য নিদ্রিষ্ট সময় স্থাপন করেন। সেই সময়ের অতিক্রমের পাশাপাশি ঘটনাটি আরোও জটিল বা কঠোর হয়ে পরে। সামলাতে না পেরে কোন মন্ত্রীর সাহায্য প্রার্থনা করেন। তারপর অতিক্রম করতে হয় এক জটিল সময় তা হল (ট্রাইবুনাল) এর সহায়তা। এরপর বিষয়টি সরাসরি সরকারি ভাবে দেখার জন্য কিছুটা অবলম্বন করেন। কিন্তু এর শেষ একটি রায় হয়, জামিন (মুক্তি) আর না হয় ফাশি (মৃত্যু)।
আমাদের আত্মসুদ্ধি, জ্ঞান, বিবেক, বুদ্ধি, চিন্তা, চেতনা, ইত্যাদি প্রবিদ্ধি অনেকটা সবার চেয়ে আলাদা বা ভিন্ন। তারপরও আমরা একে অপরের সাথে সম্পৃত্ত হয়ে নানান সংগঠনমূলক, উন্নয়নমূলক, রাজনীতিমূলক, ধার্মিক, কিংবা সহানুভূতিশীল বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকি।
আমার/আপনার এ ধরণের কাজের পুরস্কার হিসেবে অপ্রকাশিত কি পেয়ে থাকি?
নিজেকে কি মনে করি (১- মানুষ) (২- ভালো মানুষ)
অন্যরা কি বলে (১- মানুষ) (২- ভালো মানুষ) (৩- খারপ মানুষ)
অন্যরা কি করে (১- আলোচনা) (২- সমালোচনা) (৩- কোন মন্তব্য)
দৃষ্টিকোচর করে আপনার বা আমার মন ছিনিয়ে নেওয়ার কারও কোন অধিকার নেই।
কারণ আপনারা বা আপনি কিংবা আমি নিজেকে অত্যান্ত বিশ্বাস করি। নিজের ভালো প্রকাশ করতে চাই। কখনও কি নিজের খারপ কাজগুলো বা মন্দ ব্যাপারগুলো কারো সামনে উপস্থাপন করতে পেরেছি।
মনে হয় কখনই না।
কারণ আমাদের তো আবার উজ্জত, সম্মান, সম্ভ্রম বলতে কিছু আছে। যদি তা বিনষ্ট হয়ে যায়, কশ্মিনকালেও তা ফিরে পাওয়া যাবে না। এই ভয়ে হয়তো আমরা নিজেকে অনেকটা সামলাতে পেরেছি। আর যা সামলাতে পারিনি হয়তো কারো কোন মাধ্যমে নির্মগ্ন হয়ে শয়তানের ওয়াসওয়াসা পেয়ে ভুলে কোন ছোট বা বড় খারাপ কাজটি করে ফেলেছি। আপনি বা আমি কি বলতে পারি এর জন্য আমরা দ্বায়ী নই?
আসলে নিজেকে সংশোধন করা খুবই কঠিন, আর অন্যের সমালোচনা করা খুবই সহজ।
আসলে আমরা ৩ ধরণের ব্যক্তির সাথে বসবাস করি।
১. কেউ ঘটনা ঘটাচ্ছে, ২. কেউ ঘটনাটি সমাধাণ করছে, ৩. কেউ এটি নিয়ে সমালোচনা করছে আর দেখছে।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে, আপনি বা আমি কোনটির সমতুল্য ১. ২. ৩.?
আসলে একটু ভেবে দেখলে বুঝতে পারি, আমরা কোনটিরই সমতূল্য নই। আমরা যা করি, তা কিছুটা ভেবে, চিন্তা করে, বুঝে করার চেষ্টা করি। কিন্তু কতটা সাফল্য অর্জন করতে পারি। মিথ্যা, মনগড়া, বিভ্রান্তিকর, ও দলীলবিহীন বক্তব্য প্রদান করে সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার মত কোন কাজ না করে সদা সত্য প্রকাশে নির্মগ্ন থাকার চেষ্টা করলে আমরা সবাই ভালো হতে পারি আর অন্যথায় আমরা এর বিপরীত পথে (ক্ষেপ) পরিবেষ্ঠিত হতে পারি।
পরবর্তী Post এর জন্য অপেক্ষা করুন.........

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.