নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মূর্খ সমাজপতি গাঁয়ে, গগনে দেখি ক্ষয়িষ্ণু চাঁদ বিচ্যুত যৌবনে জোছনা আমায় করেছে উম্মাদ

উপপাদ্য

ইমেইল: [email protected]

উপপাদ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

চোখ হারানো রুমানা কি পারবে আমাদের সবার অন্ধত্ব ঘোচাতে? রুমানাকে নিয়ে তন্ত্র ব্যবসা বন্ধ হোক

২২ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১২:৩৮

ভূমিকা





একজন মায়ের আর্তনাদ শুনতে পাচ্ছেন কি?



পত্রিকার প্রথম পাতায় প্রতিদিন প্রচারিত আপডেট খুব একটা বিচলিত করেনা আমাকে। হ্যাঁ শুধু পত্রিকাই নয়, ব্লগ জগত, অনলাইন নিউজ আপনি যেখানেই যাবেন সেখানে দেখবেন রুমানা মনজুরকে। প্রায় অন্ধ রুমানা মনজুরের আরো প্রায় বিভৎস ছবি দেখে প্রায়ই আমাকে ভয়ে শিউরে উঠতে হয়। তিনি দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। কানাডাতে পিএইচি রত। মনে প্রশ্ন জাগে যিনি দেশের সেরা ছাত্রদের শিক্ষা দেন তার কেন এমন হলো? কেন এই বিভৎসতা? কেন এই নারকীয় নির্যাতন? এমন ঘটনার দ্রুত ও দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি আমার মতো সচেতন সব মহলেরই দাবী। এব্যাপারে পত্র পত্রিকা বেশ সরব অবস্থান নিয়েছে তাই আমি সেদিকে আলোকপাত করবোনা। তবে সামুতে মানবী নামের একজনের একটা পোস্ট লটকানো ছিলো। যার কমেন্টসগুলো পোস্টের চাইতে গুরুত্বপূর্ন বলে মনে করছি। আপনারা পড়ে দেখতে পারেন।



নির্যাতন ও পুরুষতন্ত্র



কেউ কেউ অতি উৎসাহী হয়ে রুমানা মনজুর নির্যাতনের ঘটনাকে সমাজে নারীর অসহায় প্রান্তিক অবস্থান হিসেবে চিত্রায়িত এবং সমাজের সকল পরুষকে দোষারোপের চেস্টা করছেন। যা আমার কাছে হাস্যকর মনে হয়েছে। ইংরেজীতে বলবো 'রিডিকিউলাস। কেনো পুরুষতন্ত্র আসছে? কেনো পুরুষতন্ত্রকে দোষারোপ করা হচ্ছে। যখন আপনি কোন অপরাধকে পুরুষতান্ত্রিক ব্যাপার ও পুরুষ শাসিত সমাজের রূপ বলে সংজ্ঞায়িত করবেন তখন সাথে সাথেই নারীতন্ত্র ব্যাপারটা চলে আসে। আর এটি নারী -পুরুষকে একটা বিপরীত ও সংঘাতপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যায়। আজকের সমাজকে পুরুষ শাসিত সমাজ হিসেবে চিহ্নিত করে নারী নির্যাতন হচ্ছে বলে যদি মনে করা হয় তাহলে কালের প্রবাহে সমাজ যদি কখনো নারী তান্ত্রিক হয় তাহলে কি পুরুষ নির্যাতনের ঘটনা ঘটতে পারেনা? আমরা সাধারন মানুষ নিশ্চয় এমন সমাজ চাই না। তাই রুমানা মনজুরের ঘটনাকে আমি পুরুষ শাসিত সমাজের সরূপ হিসেবে মনে করিনা।



তবে কি মনে করছি



আসুন একটু দেখে নেই অপরাধ কি? সহজভাবে বললে অপরাধ হচ্ছে, a deviant behavior that violates prevailing NORMS, CULTURAL standards prescribing how human ought to behave NORMALLY. এবং অপরাধী হচ্ছে সে যে এই deviant behavior গুলো করে। রুমানার স্বামী রুমানার সাথে যেরূপ আচরন করেছে তা হচ্ছে deviant behavior। তাকে আমি স্রেফ একজন অপরাধী মনে করছি। এটা পুরুষ বা নারীর ব্যাপার নয় এটা অপরাধ, অপরাধী, আদালত ও আইনের ব্যাপার। আমরা এটাকে কোন ভাবেই নারী পুরুষ ইত্যাদি ভাবে বিভাজিত করতে পারিনা। কারন সমাজটা নারীরও না, পুরুষেরও না। সমাজটা সবার। সমাজটা আমাদের। আদালত তার অপরাধের মাত্রা নিরুপন করে তাকে সঠিক শাস্তি দিবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যখন নির্যাতিতা রুমানা ও সচেতন মহল সরকার এবং আদালতকে অনুরোধ করেন আসামীর উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার জন্য তখন মনে প্রশ্ন জাগে, কেনো?



কেনো এই বিচার দাবী?



একজন হত্যা প্রচেস্টাকারী নরপিশাচের উপযুক্ত বিচার দাবী করা হচ্ছে কেনো? প্রসঙ্গত এখানে চলে আসে সরকার ব্যবস্থা, আইন শৃংখলা পরিস্থিতি, পাওয়ার গেইম, বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা- আনাস্থা ইত্যাদি বিষয়গুলো। ভিকটিমকে কেনো মিডিয়ার কাছে রিকোয়েস্ট করতে হয়, প্লিজ আপনারা আমাকে সাহায্য করুন যাতে নরপিশাচটার উপযুক্ত শাস্তি হয়। তাহলে কি মানুষ রূপী হায়েনা সাইদের উপযুক্ত বিচার না হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে? আমি বলি হ্যাঁ, রয়েছে। আমরা সেই দেশে বসবাস করি যে দেশে সাক্ষ্য-প্রমানের ভিত্তিতে ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত হত্যাকারীকে আমাদের সম্মানিত রাস্ট্রপতি ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং ক্ষমা পাওয়ার কিছু দিনের ভেতরেই সেই চক্র আরেকটি হ্ত্যা করেছে। বিচার বিভাগকে দলীয় আর নিজ স্বার্থে ব্যবহার করার বিষয়গুলো এবং বিভিন্ন ছলায় বিচারকদের (এমনকি সাবেক একজন প্রধান বিচারতিও জড়িত) যেভাবে উৎকোচ গ্রহনের বিষয়গুলো সমকালীন কাগজে ছাপা হচ্ছে তাও আমাদের ন্যায় বিচার পাওয়ার বিষয়ে সন্দিহান করছে। আর পুলিশের দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি নাইবা বললাম। আজকের নিউজপেপার দেখলে অনেকেই অবাক হবেন সরকারের সাবেক প্রভাবশালী মন্ত্রীর স্ত্রী আসমা কিবরিয়া তার স্বামী হত্যার চার্জশীটের ব্যপারে অনস্থা প্রকাশ করেছেন। বরং তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেছেন আসমা কিবরিয়া কে? তাই একজন নির্যাতিতা যিনি কিনা মানুষ গড়ার কারিগরও তার ন্যায় বিচারের জন্য এমন আর্তনাদ ও ফরিয়াদ উচিত নয় বৈকি? এ থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে আমাদের সমাজে যারা নিরীহ এবং পাওয়ার এক্সারসাইজ করার সুযোগ নেই তারা আদালতের উপরও আস্থা রাখতে পারছেন না। কোন সভ্য সমাজে ন্যায় বিচারের জন্য দাবী করতে হয়না। আর এমন অবস্থা চলতে থাকলে এমন নারকীয় ঘটনা চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকবে নিশ্চিত করেই বলা যায়।





কেনো রুমানাকে সংবাদ সম্মেলন করে বিচার চাইতে হবে। আইনের শাসনে এমন নজির নেই। নরপশু সাইদের উপযুক্ত, দ্রুত ও দৃষ্ঠান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করা রাস্ট্রের কর্তব্য।



এসব অপরাধ দিন দিন বাড়ছেই



আসলে এমনতর অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলছে। আমি পরিসংখ্যান দিতে চাইনা, কারন তালিকটা অনেক বড়। একটা বিষয় আলোকপাত করবো সেটা হচ্ছে, আমাদের দেশে কোন নারীর উপর যেকোন ধরনের আক্রমন হলে ই এটাকে ট্যাগিং করার চেস্টা চলে। সমাজের কিছু সুবিধাবাদী শ্রেনীর লোক আছে যারা এটাকে আধুনিক ব্যাবসায় বিপননের সকল রকমের তরিকা ব্যবহার করে এটাকে পুঁজি কারার চেস্টা করেন। এমন সংবেদনশীল ঘটনাগুলোকে পুরুষতন্ত্র, মোল্লাতন্ত্র, জিহাদী, ফতোয়া, রাজাকার, জামায়াত-শিবির, বিএনপি, সংখ্যালঘু, আওয়ামীলীগ ইত্যাদি ট্যাগ ব্যবহার করে ব্রান্ডিং করেন। যা অনাকাংখিত। এতে করে বিষয়গুলো সমাজে একটা শ্রেণীর মানুষের প্রতি আরেকটা শ্রেনীর মানুষের মুখোমুখি অবস্থান তৈরির যথেষ্ট প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। রুমানার ঘটনাও এর বাইরে নয়। পত্র-পত্রিকা, ব্লগে এটাকে পুরুষ শাসিত সমাজের একটা নোংরা বহিঃপ্রকাশ বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। আর আমরা সাধারন পাঠকরা এতে করে বিভ্রান্ত হচ্ছি। মূল সমস্যাকে প্রাধান্য না দিয়ে এসব ট্যাগিং কে বিশেষ গুরুত্ব দিই। এমন সংবেদনশীল নিউজ ও মন্তব্য প্রতিবেদনগুলো পড়ে নিশ্চয় আমাদের দেশের নারীসমাজের আবেগী মনকে নাড়া দিচ্ছে এবং তারাও হয়তো ভাবেন সমাজটা আসলেই পুরুষের এজন্যই তারা মেয়েদের নির্যাতন করে। তবে কি আমার ছেলে, আমার স্বামীও এর বাইরে নন। আজ হয়তো তারা ভালো, কালতো ভালো নাও থাকতে পারে, কারন তারা পুরুষ এবং সমাজ পুরুষ শাসিত। তাই আমি বলতে চাই এই ট্যাগিং বানিজ্য সমাজের জন্য কোন মঙ্গলের বিষয় নয়। নারী-পুরুষকে পরস্পরের বিপরীত অবস্থানে আনা বা মুখোমুখী দাঁড় করানো উচিত হবেনা। আমাদের বুঝতে হবে সমাজটা নারীর একার না, সমাজটা পুরুষের একার না, সমাজটা নারী-পুরুষ সকলের। আমাদের সকলের সমান অধিকার এ সমাজে। নজরুল বলেছেন,



''সাম্যের গান গাই

আমার চক্ষে পুরুষ-রমনী কোন ভেদাভেদ নাই

বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি, চির কল্যান কর

অর্ধেক তার করিয়েছে নারী, অর্ধেক তার নর।''





নৈতিকতা ও আইনের শাসন



উপরেল্লিখিত দুটি বিষয় আলোচনা করা অপ্রাসংগিক নয় বলে মনে করছি।

আমাদের রাস্ট্র আছে, আছে সরকার, আছে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহীনি, আছে বিচার ব্যবস্থা, আছে সংবিধান। আমাদের সবই আছে। তবু কেনো আমরা লিমন কিংবা রুমানাদের নিরাপত্তা দিতে পারছিনা? কেনো রুমানা সাত দিন ধরে হাসপাতালে থাকার পরও তার পরিবার আদালত বা পুলিশের কাছে গেলোনা? কেনো আমরা সাইদের মতো হাজারো পশুকে নিবৃত্ত করতে পারছিনা? কারন আমাদের সব থাকা সত্ত্বেও আমরা প্রয়োগে দূর্বল। দেশে আইনের শাসন নেই। মানুষের মধ্যে নৈতিকতা নেই। সরকার রাজনৈতিক হরতাল, বিরোধী দল দমন বা জামায়াত-শিবির পীড়নে যতটা যত্নশীল ও দৃঢ় ততটা যত্নশীল নয় সাধারন মানুষের নিরাপত্তার ব্যাপারে। আজ রুমানাকে হত্যাচেস্টা, সনজিতার আত্মহত্যা, প্রতিনিয়ত ইভটিজিং এর ঘটনা, হরতালের পূর্ব রাতে গাড়িতে আগুন ধরানো, প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দূর্নীতি এমনকি অধুনা ঘটে যাওয়া ২৮শে অক্টোবরে লগি বৈঠা দিয়ে রাজপথে প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষ হত্যা কোনটাই বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং একই সূত্রে গাঁথা। কারনে সমাজে আইনের শাসন নেই। বিচার ও শাস্তির ভয় নেই।



একটা অনুরোধ



পরিশেষে আমি সবার কাছে অনুরোধ করবো। আজ যারা রুমানার ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তিত। তারা এ বিষয়টাকে নারী পুরুষ ডিসক্রিমিনেশান বা পুরুষ শাসিত সমাজ বলে ট্যাগায়িত না করে এটাকে সামাজিক সমস্যা মনে করে এর প্রতিরোধে এগিয়ে আসুন। কারন সমাজ যদি কখনো নারীতান্ত্রিক হয়েও যায় তখন যে অপরাধ ঘটবেনা এমন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবেনা। আজ আমাদের ক্ষয়িষ্ণু সমাজে নৈতিকতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠ করা খুব জরুরী। এমন একটা সমাজ প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন যেখানে কোন নারী প্রয়োজনে গভীর রাতেও টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া ভ্রমন করতে পারে নির্ভয়ে। সেই স্বপ্নীল সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য, নৈতিকতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা। সমাজে যেদিন মনুষত্ব আসবে সেদিনই কেবল রুমানারা নিরাপদে থাকবে। রাজপথে কোন হত্যাযজ্ঞ হবেনা।

মন্তব্য ৩২৮ টি রেটিং +৪০/-০

মন্তব্য (৩২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১২:৫৫

sleepinghabib বলেছেন: কবে যে এইসব অপরাধ বন্ধ হবে সেই আসাই করি...........দেখুন

২২ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১২:৫৮

উপপাদ্য বলেছেন: নতুন মনে হচ্ছে। বুকমার্ক করে রেখেছি। পড়ে পরবো।

ধন্যবাদ

২| ২২ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:২৫

এক মুসাফির বলেছেন: Thanks.comment

২২ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৩০

উপপাদ্য বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ২২ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৩১

রিয়া০০১ বলেছেন: যে এইসব অপরাধ বন্ধ হবে সেই আসাই করি

২২ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৪৯

উপপাদ্য বলেছেন: অপরাধকে আমরা অপরাধ হিসেবেই দেখি। এবং রাস্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে তার কর্তব্য পালন করা।

এটা পুরুষতান্ত্রিক কোন বিষয় নয়।

৪| ২২ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৫৫

জারনো বলেছেন:
পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় নারীদের সমস্যা ও নারী অধিকার আদায়ে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলে সোচ্চার হই। নারীর অপমান বা অবমাননাকে আমরা আমাদের মা বোন কিংবা কন্যা জয়ার মতো করে চিন্তা করি। গুটি কতক বা বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার যেমন সমগ্র পুরুষ সমাজের প্রতিনিধিত্ব করেনা বা তাদের দোষে সমগ্র পুরুষকে যেমন দোষারোপ করা যায়না তেমনি কিছু নষ্ট নারীদের কারণে সংঘটিত ব্যবিচার সকল নারীর মাথায় কলংক চাপাতে পারেনা। সুতরাং দোষী ব্যাক্তি শাস্তি পেলে বা দোষীকে শাস্তি দেওয়া হলে সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবে যা হবে নারী পুরুষ নির্বিশেষে মানব জাতির কল্যানে। আমরা রুমানার উপর বর্বোরোচিত হামলার যেমন নিন্দা জানাই তেমনি মার্টিনরেক নির্মম ভাবে হত্যার সাথে জড়িত তার স্ত্রী ও দুই কন্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার।

তাদেরও ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি আর এই দাবীতে আমারা আমাদের নারী নেতা নেত্রীদের জোড়ালো ভূমিকা আশা করি। আমরা নারী পুরুষে বিভক্তি চাইনা আমারা মানব কল্যাণে আমাদের ভূমিকা রাখতে চাই।

হিন্দু না ওরা মুসলিম ওই জিজ্ঞাসে কোন জন?
অথবা পুরুষ না নারী ওরা জিজ্ঞসে কোন জন?

নারী কিংবা পুরুষ নয়,
হিন্দু বা কোন মুসলিম ও নয়
তারা সন্তান যে আমাদের মা'র

২২ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:৫৮

উপপাদ্য বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

ইংল্যান্ড, আমেরিকা সহ উন্নত বিশ্বও কিন্তু পুরুষ শাসিত। এখানেও অনেক ঘটনা ঘটে তবে এগুলোকে নারী নির্যাতন বা পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা বলে ট্যাগায়িত করা হয়না। অপরাধকে অপরাধ হিসেবে গন্য করে ঐনের আওতায় এনে কঠিন বিচার করা হয়।

আমাদের যেটা দরকার সেটা হলো আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। আপনাদের মনে আছে কিনা জানিনা টনি ব্লেয়ারের ছেলেকে একবার পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছিলো। তাকে কোন বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়নি। টনি ব্লেয়ারকে নিজে পুলিশ স্টেশানে গিয়ে সাইন করে তার ছেলেকে ছাড়িয়ে আনতে হয়েছিলো। এটাই আইনের শাসন। যেখানে প্রাইম মিনিস্টার আর সাধারন নাগরিকের মধ্যে পার্থক্য করা হয়না। আমরা এমন সমাজই চাই। এমন সমাজ হলে না মার্টিনকে জিবন দিতে হবে না রুমানাকে চোখ হারাতে হবে না লিমন কে পা হারাতে হবে।

আজ বিডিনিউজ ২৪ এ দেখলাম কাবেরী গায়েন এর একটা কলাম 'কিছু কালো সিধে কথা বলতে চাই। তিনি রুমানার ব্যাপারটাকে পুরুটাই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কালো দিক হিসেবে অভিহিত করেছেন। আমি জানিনা একটা হত্যা চেস্টার মধ্যে জেন্ডার ডিস্ক্রিমিনেশান কিভাবে মূখ্য হয়ে উঠে। আমাকে অবাক করে এসব জ্ঞান পাপীরা কোথা থেকে যে বিদ্যা অর্জন করে তাও আমর মাথায় ঢুকেনা।

৫| ২২ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:০০

বিবর্ন বেদনা বলেছেন: আমার মনের কোথাগুলো বলে দিলেন।পুরুষদের দোষারোপ করতে দেখে এমন মেজাজ খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে পুরুষদের পক্ষে হয়ে তর্ক করছি।

২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:১৫

উপপাদ্য বলেছেন: যারা এগুলো করে এরাই হচ্ছে সুবিধাবাদী শ্রেণীর লোক। এরা রুমানাদের নির্যাতনের ঘটনা ঘটার অপেক্ষায় থাকে। এরা সমাজে সংঘাত ও বিভেদ তৈরি করে ফায়দা লুটতে চায়। এদের কিছু নিজস্ব ও গতানুগতিক টার্ম আছে। সবকিছুতেই এগুলো ব্যবহার করে। যেমন নারীর অবস্থান প্রান্তিকে। এরা হচ্ছে শব্দ প্রেমিক। কিছু চমকদার শব্দ ব্যবহার করে এরা সবার থেকে আলাদা হতে চায়। যেমন 'প্রান্তিক' এমন কোন নারীবাদী নেই যে এশব্দটা ব্যবহার করবেনা তার আলোচনায়।

তবে তর্কের কিছুই নাই। অপরাধ অপরাধই অপরাধের কোন লিংগ নেই, অপরাধীর কোন লিংগ নেই। যেমন করে আইন, সংবিধান, রাস্ট্রেরও কোন লিংগ নেই। আমরা অপরাধীর দৃষ্ঠান্তমূলক সাজা চাই।

৬| ২২ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:৪৯

বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: কেনো রুমানাকে সংবাদ সম্মেলন করে বিচার চাইতে হবে। আইনের শাসনে এমন নজির নেই। নরপশু সাইদের উপযুক্ত, দ্রুত ও দৃষ্ঠান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করা রাস্ট্রের কর্তব্য।



চাইতেই হবে, কারন দেশটাতো এখন কারো হাতের খেলনা।

২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৩৯

উপপাদ্য বলেছেন: সুশাসন প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই।

৭| ২২ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:৫৭

সামচিতা রায় বলেছেন: লেখক বলেছেন: অপরাধকে আমরা অপরাধ হিসেবেই দেখি। এবং রাস্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে তার কর্তব্য পালন করা।

এটা পুরুষতান্ত্রিক কোন বিষয় নয়।

২৩ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৫

উপপাদ্য বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৮| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:০০

চতুষ্কোণ বলেছেন: আইনের শাসন কায়েম অনেক বেশি জরুরী। ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।

২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৪০

উপপাদ্য বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৯| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:০৩

কাউসার রুশো বলেছেন: কেনো রুমানাকে সংবাদ সম্মেলন করে বিচার চাইতে হবে। আইনের শাসনে এমন নজির নেই। নরপশু সাইদের উপযুক্ত, দ্রুত ও দৃষ্ঠান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করা রাস্ট্রের কর্তব্য।

সহমত

২৩ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৬

উপপাদ্য বলেছেন: সুশাসনের অভাবটা কিভাবে আমাদের ভিক্টিমরা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে বুঝুন।

ধন্যবাদ সহমতের জন্য।

১০| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:০৪

শারমিন সোনালী বলেছেন: কঠিন শাস্তি কামনা....................................................

২৩ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৭

উপপাদ্য বলেছেন: দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি হোক।

১১| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:০৫

হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা বলেছেন: এতদিনে এই বিষয়ে সঠিক, সময়োপযোগী ও যুক্তিযুক্ত একটি লেখা পাওয়া গেল। সবাই যেদিন এভাবে ভাবতে শিখবে সেদিন থেকেই একটা ভাল সমাজ আশা করা যাবে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আর কর্তৃপক্ষকেও ধন্যবাদ একটা মানসম্পন্ন লেখা স্টিকি করার জন্য।

২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৪১

উপপাদ্য বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

১২| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:১০

ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: সচেতনতা সবথেকে জরুরী।রুমানা ম্যাম সচেতন থাকলে হ্য়ত আজ উনার এই দিন দেখতে হত না

২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:২১

উপপাদ্য বলেছেন: একমত হতে পারলাম না। কে কখন কোথায় কিভাবে কার দ্বারা আক্রমণের শিকার হবে কেউ কি বলতে পারে? না, পারেনা। তাই নিরাপদ সমাজই দিতে পারে জন নিরাপত্তা। যেটা রাস্ট্রের প্রধান দায়িত্ব।

১৩| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:১২

আকাশের তারাগুলি বলেছেন:
এটা কি কাউন্টার স্টিকি পোষ্ট, কিসের ভিত্তিতে?
কতগুলো বিতর্কিত শব্দ ও বাক্য চয়নে পোষ্ট ষ্টিকি করা হলো, যা মোটেই সমীচিন হয়নি।

১৪| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:১৯

উপপাদ্য বলেছেন: হঠাৎ দেখলাম পোস্ট স্টিকি। এতে আমার দায়িত্ব বাড়িয়ে দিলো মডুরা। মন্তব্যের ঘরে আমাকে আরো একটু সাবধান হতে হবে বুঝতে পারছি।

ধন্যবাদ সামু।

১৫| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:২০

শ।মসীর বলেছেন: সমাজে যেদিন মনুষত্ব আসবে সেদিনই কেবল রুমানারা নিরাপদে থাকবে। রাজপথে কোন হত্যাযজ্ঞ হবেনা।

২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৪৪

উপপাদ্য বলেছেন: মনুষত্ব শিক্ষাটা নিতে হয় পরিবারে। দেখুন হাসান সাইদ কিন্তু বুয়েটের স্টুডেন্ট ছিলো। আর কাজটা করলো স্টোন এইজের। এমন অপরাধীর কঠিন দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি আশা করছি যা দেখে পারিবারিক নির্যাতনের অপরাধ কমে আসে।

ধন্যবাদ শামসীর ভাই

১৬| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:২২

নিশাচর ভবঘুরে বলেছেন: অপরাধীর শাস্তি কামনা করি।

২৩ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৮

উপপাদ্য বলেছেন: সকল অপরাধ নির্মুল হোক।

১৭| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:২৩

মোসাব্বির বলেছেন:
"কেনো রুমানা সাত দিন ধরে হাসপাতালে থাকার পরও তার পরিবার আদালত বা পুলিশের কাছে গেলোনা"

তা আমার কাছেও খটকা লাগছে, উনার স্বামী কি এতই পরাক্রমশালী!!

২৩ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২১

উপপাদ্য বলেছেন: যখন আপনি রুমানা-সাঈদ এই দুজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবেন তখন এগুলো নিয়ে অনেক ভাবনা হতে পারে। কিন্তু আমি রুমানার হাত ধরে সমাজের সকল অপরাধের বিষয়ে কথা বলেছি। আমি চাই দেশের সকল অপরাধ নির্মুল হোক। ধন্যবাদ।

১৮| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৩২

ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: নানা মুনির নানা মত।রুমানা ম্যাম যদি আগে থেকেই ব্যাপারগুলা নিয়ে সিরিয়াসলি চিন্তা করতেন এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হতেন তাহলে এটা কখনও হত না।কারন উনার স্বামী উনাকে আগে থেকেই নির্যাতন করতেন।এটা আমার মত।

২৩ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৩

উপপাদ্য বলেছেন: হয়তো আপনার কথা সত্য। কিন্তু এখন একটা সাংঘাতিক অপরাধ সংঘটিত হয়ে গেছে তাই আমরা অপরাধ আর এর প্রতিকার নিয়ে বেশী ভাববো। শাস্তি ও সমাজ থেকে নির্মুলের কথা ভাববো।

১৯| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৩৩

একলা বগ বলেছেন: বিবর্ন বেদনা বলেছেন: আমার মনের কোথাগুলো বলে দিলেন।পুরুষদের দোষারোপ করতে দেখে এমন মেজাজ খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে পুরুষদের পক্ষে হয়ে তর্ক করছি।

লেখক বলেছেন: যারা এগুলো করে এরাই হচ্ছে সুবিধাবাদী শ্রেণীর লোক। এরা রুমানাদের নির্যাতনের ঘটনা ঘটার অপেক্ষায় থাকে। এরা সমাজে সংঘাত ও বিভেদ তৈরি করে ফায়দা লুটতে চায়। এদের কিছু নিজস্ব ও গতানুগতিক টার্ম আছে। সবকিছুতেই এগুলো ব্যবহার করে। যেমন নারীর অবস্থান প্রান্তিকে। এরা হচ্ছে শব্দ প্রেমিক। কিছু চমকদার শব্দ ব্যবহার করে এরা সবার থেকে আলাদা হতে চায়। যেমন 'প্রান্তিক' এমন কোন নারীবাদী নেই যে এশব্দটা ব্যবহার করবেনা তার আলোচনায়।

++++++++++

একদম খাটি কথা বলছেন। এইসমস্ত ভন্ড চুশীলরা সমস্যা সমাধান করার কথা বলে না, বরং সমস্যা জিইয়ে রেখে, মানুষের আবেগকে উসকে দিয়ে কিভাবে ফায়দা হাসিল করা যায় সেইটাই এদের ধান্দা।

২৩ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৪

উপপাদ্য বলেছেন: ধন্যবাদ, একলা বগ।

২০| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৩৮

অচেনা রাজ্যের রাজা বলেছেন: পরিশেষে আমি সবার কাছে অনুরুধ করবো। আজ যারা রুমানার ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তিত। তারা এ বিষয়টাকে নারী পুরুষ ডিসক্রিমিনেশান বা পুরুষ শাসিত সমাজ বলে ট্যাগায়িত না করে এটাকে সামাজিক সমস্যা মনে করে এর প্রতিরোধে এগিয়ে আসুন।


স হ ম ত

২৩ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৫

উপপাদ্য বলেছেন: ধন্যবাদ।
অচেনা রাজ্যের রাজা।

২১| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৪১

ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: আরে বগা ভাই যে .....................কেমন আছেন?

২২| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৪৪

মোঃমিজানুর রহমান বলেছেন: কেন রুমানাকে চোখে আগাৎ করতে গেল? রুমানার যদি কোন দোষ না থাকে, তাহলে কেন মারতে যাবে? ঐ দিকে হাছানের ও রুমানা , চোখে আগাৎ করছিলো যার কারনে ওনিও চোখে কম দেখেন । যে বেশী আক্রান্ত হয় , তার পক্ষে না গিয়ে সত্য জানার চেষ্টা করি । আসলে দুইজনের চরিত্রই টালমাটাল

২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৪৯

উপপাদ্য বলেছেন: আমরা কারো চরিত্র বিশ্লেষনে যাবোনা। আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ন হচ্ছে এমন ঘটনা কেনো হচ্ছে? পত্রিকার পাতায় আমরা কোন নারী নির্যাতন বা পুরুষ নির্যাতন কোন কিছুই দেখতে চাইনা। আমরা একটা সুন্দর সমাজ চাই যেখানে সুশাসন থাকবে।

রুমানার এই ঘটনা আমাদের সবার চোখে আলো এনে দিক। যাতে আমরা সমাজ থেকে এমন বিবাদ, বিভাজন, কলহ দূর করতে সচেতন হই।

২৩| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৪৫

কাজলভোমোরা বলেছেন: @লেখক: কাবেরী গায়েনের লেখাটা আর আপনার সুন্দর লেখা - দুটোর মধ্যে আছে দৃষ্টিভন্গির পার্থক্য।

আমাদের সমাজ পুরুষশাসিত - এই কথাটা অনস্বীকার্য। আমাদের সমাজ সাম্যবাদী এখনো হয়ে ওঠেনি। নারীর ওপর পুরুষের অত্যাচারকে এখনো 'অপরাধ' হিসাবে নেওয়া হয় না।

কাবেরী গায়েন শুধু সমাজে নারীর বিভিন্ন পর্যায়ের শোষন আর অত্যাচারকেই বিবৃত করতে চেয়েছেন।

তবে আমি আপনার সাথে ১০০% একমত। আপনার লেখাটা অন্তত একপেশে নয়।

২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৫৬

উপপাদ্য বলেছেন: আজকে প্রথম আলোর নারীপক্ষ বের হয়েছে প্রায় পুরোটাই রুমানাকে নিয়ে সাজানো। আপনি পড়ে দেখুন ওখানেও অযাচিতভাবে বিভিন্ন বিষয় আনা হয়েছে। যা আমাকে অবাক করে দিয়েছে।

আমি এ বিশ্বদ্যালয় থেকেই পাশ করা। আমি রুমানা মনজুরের সরাসরি ছাত্র নাহলেও আমি তাকে আমার শিক্ষক বলেই মনে করি। আমার শিক্ষককে নির্যাতনের ঘটনায় আমার হৃদয়ে যতটা রক্তক্ষরণ হয়েছে তা আমার নিজের বেলায় হলেও হতো।

একটা মন্তব্য শেয়ার করলাম, ভালো লাগতে পারে।

বস্তুত, এখানে নারীতন্ত্র ও পুরুষতন্ত্রের উর্ধ্বে উঠে এটিকে একটি অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে সত্য, তবে অপরাধটি নারী ও পুরুষের সম্পর্ক থেকেই সৃষ্ট বিধায় এক্ষেত্রে নারী পুরুষের সম্পর্ক বিষয়ে সমাজের অবস্থান নিয়ে অবশ্যই পর্যালোচনা করতে হবে। পরিবার, দাম্পত্য, নৈতিকতা ইত্যাদির কোন মানদণ্ড আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রে চলছে আর কোন মানদণ্ড থাকা উচিত তা ঠাণ্ডা মাথায় রিভিউ করতে হবে।

সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে এ ধরণের অপরাধ থেকে সমাজ ও মানবতা মুক্তি পাবে বলে আশা করা যায়।

২৪| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৫২

একলা বগ বলেছেন: মোঃমিজানুর রহমান বলেছেন: কেন রুমানাকে চোখে আগাৎ করতে গেল? রুমানার যদি কোন দোষ না থাকে, তাহলে কেন মারতে যাবে? ঐ দিকে হাছানের ও রুমানা , চোখে আগাৎ করছিলো যার কারনে ওনিও চোখে কম দেখেন । যে বেশী আক্রান্ত হয় , তার পক্ষে না গিয়ে সত্য জানার চেষ্টা করি । আসলে দুইজনের চরিত্রই টালমাটাল

সাইদের চরিত্র কেমন সেইটা এখন আমরা সবাই জানি, কাজেই এইখানে রুমানা ম্যাডামের চরিত্র নিয়ে টানাটানি না করলে ভাল হয়। এইটা অলরেডি একটা সলভ ইস্যু।

২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৫৬

উপপাদ্য বলেছেন: একমত

২৫| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:০৩

ওঙ্কার বলেছেন: রুমানা মনজুর নির্যাতনের ঘটনাকে সমাজে নারীর অসহায় প্রান্তিক অবস্থান হিসেবে চিত্রায়িত এবং সমাজের সকল পরুষকে দোষারোপের চেস্টা করছেন। যা আমার কাছে হাস্যকর মনে হয়েছে।

আপনার কাছে হাস্যকর মনে হয়েছে? সেটা কি আমাদের সমস্যা?

পুরো দেশ জুড়ে সবাই যখন ছি ছি করছে আপনি এসেছেন মলম লাগাতে?

আর এই পোস্ট আবার স্টিকিও হয়?

বুলশিট মিশ্রিত করে বিষ খাওয়ালেও বাঙালী বোধ হয় বাহাবা দিয়ে যাবে!!

আজিব!!

পুরুষ তন্ত্রের বিপক্ষে তিনি আবার নারী তন্ত্র আবিষ্কার করেছেন... হাহাহা

২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:২০

উপপাদ্য বলেছেন: দুঃখিত। আপনার মন্তব্য আমার মাথার উপ্রে দিয়ে যাচ্ছে বলে।

তবে আমার সীমিত জ্ঞান বলছে Matriarchy, Gynecocracy এরকম কিছু একটা পরেছিলাম যখন পড়াসুনা করতাম। ক্যাচাল করতে চাইনা বলে আর কিছুই লিখলাম না।

ধন্যবাদ।

২৬| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:০৩

এক মুসাফির বলেছেন: দুঃখিত ! প্রসংগ (রুমানা- সাঈদ) !!!

২৭| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:০৮

ত্রিনিত্রি বলেছেন: কেনো রুমানাকে সংবাদ সম্মেলন করে বিচার চাইতে হবে। আইনের শাসনে এমন নজির নেই। নরপশু সাইদের উপযুক্ত, দ্রুত ও দৃষ্ঠান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করা রাস্ট্রের কর্তব্য

সহমত।

স্টিকি পোস্টে বানান ভুল চোখে পড়ে। লেখাটি আরেকবার রিভিউ করে নিলে ভালো হতো। বেশ কিছু টাইপিং মিস্টেক রয়ে গেছে।

ধন্যবাদ।

২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:২১

উপপাদ্য বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে বানান গুলো শুদ্ধ করার চেস্টা করেছি। আশাকরি এখন ঠিক আছে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২৮| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:১৫

মি: জন বলেছেন: তবে সামুতে মানবী নামের একজনের একটা পোস্ট লটকানো আছে। যার কমেন্টসগুলো পোস্টের চাইতে গুরুত্বপূর্ন বলে মনে করছি।

আপনার লেখাটি আমার কাছে সবচাইতে ভাল মনে হয়েছে।

২৩ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৭

উপপাদ্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মি.জন।

২৯| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:১৬

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: সিনেমার বস্তাপঁচা কাহিনী দেখেও অনেকের চোখে পানি আসে, বাস্তবে কানা কড়িও নয়।
আমাদের মডুও বচনে আর চয়নে আবেগ তাড়িত হয়ে স্টিকি করে নিয়েছেন।

২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:২৭

উপপাদ্য বলেছেন: স্টিকি হওয়ার বিরুদ্ধে এটা আপনার দ্বিতীয় কমেন্ট। আমি বুঝতে পারছিনা আপনি জেলাস ক্যানো। আমিতো বলিনি আমার পোস্ট স্টিকি করা হোক। আর প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে মডু এমনিই নামিয়ে দেবে। বিচলিত হওয়ার কোন কারন নেই।

আপনাকে ধন্যবাদ।

৩০| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:১৭

বাক স্বাধীনতা বলেছেন: আপনি সত্য কথাই বলেছেন। আমাদের সমাজের সমস্যা হলো আমরা বিভিন্ন দলে নিজেদেরকে ভাগ করে নিয়েছি। আমরা এ কাজ করেছি আমাদের অজান্তেই। আমরা নিজ মতাদর্শের বাইরের কাউকে মানুষ বলে মনে করি না। এখানেই আমাদের মূল সমস্যা।

আপনি আইনের শাসনের কথা বললেন। আইনের শাসন কারা করবে? এবং আইনের শাসনে কারা শাসিত হবে? -এটা নির্ধারণ করাই এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। আইনের শাসনের প্রকৃত অর্থ হলো, সমাজের সকলে সমান অধিকার লাভ করবে- যেখানে নারী ও পুরুষে কোন ভেদাভেদ থাকবে না, দলীয় আদর্শগত কারণে কোন ভেদাভেদের সৃষ্টি হবে না। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। নারীকে আমাদের সমাজে প্রকৃত অর্থেই প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়। গরীবলে সবসময়ই নিগৃহীত করা হয়। রাজনীতির কথাতো বলাই বাহুল্য। কেন? কারণ, আমাদের মানসিকতা। হাজার বছরের বিদেশী শাসনের ফলে যে গোলামী আমাদের রক্তে মিশে গেছে তা থেকে মুক্ত হতে সময় লাগবে বৈকি।

রোমানা'র ঘটনাকে যারা নারীবাদ কিংবা পুরুষবাদের দিকে নিয়ে গেছে- তারা অবশ্যই ভুল করেছে। আর এই ভুলের কারণ হলো, আমাদের মানসিকতা। সেই পুরাতন বিভেদ যা আজও আমাদের মানুষ হতে দিচ্ছে না।

২৩ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩০

উপপাদ্য বলেছেন: বাক স্বাধীনতা ভাই।

আপনি যতক্ষন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেনা। সমাজকে সভ্য করতে পারবেন না। ততক্ষন এসব ফাঁকা বুলি কেবলই আপনাকে সুশীল বানাবে, বক্তৃতাবাজ বানাবে, আর পত্রিকার কাগজে নাম আসবে এর বাইরে কিছুই হবেনা।

৩১| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:২০

একলা বগ বলেছেন: ওঙ্কার বলেছেন: রুমানা মনজুর নির্যাতনের ঘটনাকে সমাজে নারীর অসহায় প্রান্তিক অবস্থান হিসেবে চিত্রায়িত এবং সমাজের সকল পরুষকে দোষারোপের চেস্টা করছেন। যা আমার কাছে হাস্যকর মনে হয়েছে।

আপনার কাছে হাস্যকর মনে হয়েছে? সেটা কি আমাদের সমস্যা?

সেইটা অবশ্যই আপনাদের সমস্যা, নইলে গড্ডালিকা স্রোতের মধ্যে ঘুর্ণি উঠিয়ে বিভেদের বিষবাষ্প উস্কে দেয়ার মেকানিজম কেউ কটাক্ষ করলে আপনার গা-জ্বালা করে কেন?

৩২| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:২০

চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন: নরপিচাশ সাইদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

৩৩| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:২২

রাহীম বলেছেন: আসলে আমরা যদি ইসলাম মানি, তবে নারী নির্যাতন বা পুরুষ নির্যাতন কোনটি করতে সক্ষম হব না । আমরা যদি আল্লাহকে ভয় করি , হিসাব-নিকাশের ভয় করি ,কোন অপরাধ করতে ১০০ বার চিন্তা করবো । কারণ আমার অপরাধাদের সাজা আমাকেই ভোগ করতে হবে ,আর আল্লাহকে ধোঁকা দেয়া ও সম্ভব না । আল্লাহর কাছে নারী-পুরুষ সবাই সমান । আল্লাহর কাছে সম্মানিত ঐ ব্যক্তি যে আল্লাহকে বেশি ভয় করে ।

৩৪| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:২৯

বাক স্বাধীনতা বলেছেন: @একলা বগ, পুরুষ এবং নারীকে নিয়েই মানব জাতি। আমাদের দেশের পুরুষেরা নারীদের ঘৃণা করে না। আমাদের দেশের নারীরাও পুরুষদের ঘৃণা করে না। যদি তারা ঘৃণাই করতো তবে আমাদের দেশে নারী প্রধানমন্ত্রী আসা কোনভাবেই সম্ভব হতো না। নারী শাসনকে যদি পুরুষেরা ঘৃণা করতই, তবে দুই নেত্রীর সামনে পেছনে এত অনুসারী আপনি দেখতে পেতেন না।

কিছু মানুষ আছে, যারা নারীদের জীবনে কোন দূর্ঘটনা দেখলেই সেটার দায়ভার সকল পুরুষের উপরে চালিয়ে দিতে চায়। আর কিছু মানুষ আছে যারা পুরুষের সকল প্রকার হীন অবস্থার জন্য নারীকে দায়ী করতে চায়। প্রথমে এই শ্রেণীর লোককে সমাজ হতে উৎপাটন করা আবশ্যক।

২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৫৮

উপপাদ্য বলেছেন: খুব ভালো বলেছেন।

দেখুন আমরা যখন কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের কথা বলি তখন কিন্তু কমিউনিটির সবার কথা বলি। যারা পিছিয়ে আছে তাদের কথা বেশী বলি। চাকরী, ব্যবসা, রাজনীতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারী পিছিয়ে আছে। আমরা এসব ক্ষেত্রে নারীর অগ্রগতির জন্য আ্যডভোকেসি করছি।

কিন্তু সাইদ আর রুমানার ব্যাপারটা হচ্ছে ফৌজদারী। আগে অপরাধীর সাজা ও সুশাসন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে হঠাৎ নারীবাদ, পুরুষবাদ সরব হয়ে যাওয়ায় আমার খটকা লাগে।

৩৫| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৩৭

মোঃমিজানুর রহমান বলেছেন: পরুষকে দোষারোপের চেস্টা করছে তথাকথিত মানবধিকার নারী নেত্রীরা আসল রহস্য পরক্রিয়া

২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৫৯

উপপাদ্য বলেছেন: আপনার মাথার কলকব্জা ঠিক আছে কি?? আবোল তাবোল বকছেন ক্যানো?

৩৬| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৪৫

একলা বগ বলেছেন: বাক স্বাধীনতা বলেছেন: কিছু মানুষ আছে, যারা নারীদের জীবনে কোন দূর্ঘটনা দেখলেই সেটার দায়ভার সকল পুরুষের উপরে চালিয়ে দিতে চায়। আর কিছু মানুষ আছে যারা পুরুষের সকল প্রকার হীন অবস্থার জন্য নারীকে দায়ী করতে চায়। প্রথমে এই শ্রেণীর লোককে সমাজ হতে উৎপাটন করা আবশ্যক।

সহমত

৩৭| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৫৪

প্রজাপতীমন বলেছেন: অসম্ভব ভাল যুক্তিপূর্ণ কিছু কথা।

আসলে আপনি যেটা বলেছেন সংবাদ সম্মেলন করে বিচার চাইতে হবে কেন? এর কারন আমরা যে সমাজ চাচ্ছি তা এখনি পাচ্ছি না।

আমাদের অনেক অপেক্ষা করতে হবে। তবে আমরা অবশ্যই এই সমাজ আনতে পারব ইনশাআল্লাহ।

ভাল থাকবেন।

২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:০৬

উপপাদ্য বলেছেন: একটা সুন্দর সমাজের জন্য আমরা সেই কবে থেকে সংগ্রাম করছি। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে, তারপর মহান ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০এর গন অভ্যুত্থান, সেতো ২০০ বছরের ইতিহাস। ইতোমধ্যে ব্রিটিশরা পৃথিবীর সবচে সভ্য জাতি হয়েছে। আরো অনেক বিধ্ধস্ত দেশ সোনার দেশ হয়েছে। আর আমরা দিন দিন পিছিয়ে পড়ছি।

আমাদের অগ্রজরা যে স্বপ্ন নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন তা এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি বলেইতো রুমানাদের এমন ফরিয়াদ।

৩৮| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৫৭

েপচাইললা বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়েছি স্টিকি হবার আগেই, কিন্তু মন্তব্য করিনি। ভাল লেগেছিল, সেটা জানিয়েছি মাত্র।

আসলেই কিছু লোক সুবিধাবাদী হন শুধুমাত্র নারীদের করুণামিশ্রিত বাহবা পাবার জন্য। নারীরা তখন তাকে আপন ভাবে, নারীর সান্নিধ্যলাভের মাধ্যমে একধরণের বিকৃত আনন্দ পায় এসব নারীবাদীরা। এদেরকে বলুন মানবতাবাদী হবার জন্য, তখন এরা ধোঁয়া তুলবে-পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীকে মানুষ মনে করা হয় না। নারীকে ভোগের জন্য, সামাজিক-সাঙস্কৃতিক অবকাঠামোর বাইরে নিয়ে নিজেদের বিকৃত মানসিকতা চরিতার্থ করার জন্য এরা কয়েকটি শব্দ দিয়ে এক-একটি আবহ তৈরি করে। যে ফাঁদে পা দেয় গুটিকতক নারী্ও। তারা বুঝতেও পারে না, কোনদিকে তারা যাচ্ছে। কোন বাবা-মা-ভাই যদি তার মেয়েকে-বোনকে একটু শালীন হতে বলেন, তখন সেই নারীর স্বাধীনতা হরণ করা হল, পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বলি হয়ে গেল সেই মেয়ে, এমন প্রচারণা তোলায় সেসব পুরুষের লাভটা কোথায় চিন্তা করুন তো একবার...!! আমি পেছনের দিকে যাবার কথা বলছি না, কিন্তু ওপেন সেক্স এস্টাবলিশ করার জন্যই কিছু পুরুষ নামের পশু এই ধোঁয়া তোলে। সামাজিক বহুগামিতা প্রতিষ্ঠা করলে নিজেদের লুলামি খুব ভালভাবে উপভোগ করতে পারবে এরা। বাইরের কয়েকটা পশুর কথায় আচ্ছন্ন/উচ্চকণ্ঠ সেই নারীরা চিন্তা করেন না, তাদের ভাল-র জন্য তাদের বাবা-মা-ভাইরা বেশি আতঙ্কে থাকে।

নারীদের কথাই বলা যাক। তারা বোঝে না/অনেকের উপলব্ধি করার ক্ষমতাই নাই যে, নারী হিসেবে যেসব সুবিধা তাদের দেয়া হয় তা শুধু তাদের মানসিকভাবে আরো খাটো করে দেবার জন্যই। এটাও একটা চাল, যেটাতে নারীদের আপাতসন্তুষ্ট করার ব্যবস্থা রাখা হয়। কিন্তু আমাদের দুর্ভগী মা-বোনেরা সেটা বুঝতে পারে না।

মানুষ হিসেবে গৌরবের জীবন বেছে নেয়াতেই প্রকৃত মুক্তি। সেটি যেদিন আমাদের নারীরা বুঝতে শিখাবেন সেদিনই আমদের প্রকৃত মুক্তি। অধিকার আদায় করতে হবে মানুষ হয়ে, নিজের জৈবিক ধরণ স্বীকার করেও সেটি করা যায়। পৃথিবীতে মাতৃতান্তিক সমাজ ছিল। সেটা ভেঙ্গেছে। পুরুষতন্ত্র বলেও কিছু চিরদিন থাকবে না।

সামাজিক অপরাধ প্রবণতার কারণ হিসেবে যখন নারী-পুরুষ বিভেদ তৈরি করা হয় তখন সেই অপরাধকে খাটো করে দেখার একটা সুযোগ তৈরি হয়। সমাজের মূল কনসার্ন থেকে ডাইভার্ট হয়ে যায় দৃষ্টি। এতে যেমন অপরাধী নতুন করে তার শাস্তি থেকে পার পাবার উপায় খুঁজে পাবার চেষ্টা করে, তেমনি পুলিশ-আইন কাঠামো্ও অপরাধের মাত্রাকে হাল্কা-ভারী করার উপায় খুঁজে পায়। এতে যেমন কারো কম অপরাধে বেশি শাস্তি পাবার পথ তৈরি হয়, তেমনি উল্টোটার্ও সম্ভাবনা তৈরি হয়। এটি সুবিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি বাধা হয়ে ওঠে। এটি নারীরা বোঝেন কি-না তা আবার আমি বুঝি না। আর নারীবাদী পুরুষদের বোঝাতে যাবার সাধ্য আছে কার্..! তাদের গলাবাজির ঠেলায় অন্যদের নাভিশ্বাস ওঠে বেশিরভাগ সময়।

এবার আসা যাক, রোমানা মনজুরের ঘটনায়। রোমানা প্রেম করেছিল কি-না, এতে তার চরিত্রের কোন স্বরূপ প্রকাশ পায় কিংবা প্রেম না করে সতী-সাধ্ধী স্ত্রী তিনি ছিলেন কি-না, এসব নিয়ে কথা তুলে কিংবা এটাকে বিতর্কের বিষয় হিসেবে দাঁড় করিয়ে সাঈদের অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করতে যাওয়ার অর্থ কি? রুমানা ভাল স্ত্রী হয়ে থাকবার যে খবর প্রথমে তাঁর শুভাকাঙ্খীরা বের করলেন, এবং নারীবাদীরা সুর মিলিয়ে তার ভালত্বের কারণে এই ঘটনার শিকার হবার কথা বলে আসছিলেন, তারাই কিন্তু দুদিন পর যখন রোমানা মন্জুরের চরিত্র নিয়ে স্বামীপক্ষের প্রচারণার বিরোধীতা করছিলেন। তখন বলা হচ্ছিল, পুরুষতান্ত্রিক সমাজের চরিত্রই না কি এটা যে নারীর চরিত্রে কালিমা লেপন। আমি দুটোরই বিরোধীতা করছি। রুমানা খারাপ বলে সাঈদের শাস্তি কম হবে এটি যেমন মানি না, তেমনি রুমানা ভাল ছিলেন বলে সাঈদের শাস্তি বেশি হবে তা-ও মানি না। দুই-ই স্বাভাবিক বিচার প্রক্রিয়ার জন্য বাজে স্পেকুলেশন তৈরি করবে।

আর, সাঈদ একটি পরিবারের একটি কমপনেন্ট মাত্র। তার দোষের দায় আমার ঘাড়ে আসবে কেন? আমি তো আমার স্ত্রীকে বরং তার স্বাধীনতার পথ বেছে নিতে, আরও সুশিক্ষিত হতে উৎসাহ দিচ্ছি। আমি পুরুষ বলে একজন কাপুরুষের অপরাধ আমাকে ছুঁয়ে যাবে, এ কেমন বিচার? আমি অপছন্দ করি এমন একজন ব্লগার, জারনো-র একটি কথায় কিন্তু আমি প্রবলভাবে একমত। একজন-দুজন নারীর ঘৃণ্য অপরাধের কারণে তো আমি অন্য নারীদের দোষী করছি না।

জানি, এসব কথার জের ধরে এখন আসবে ধর্ম প্রসঙ্গ। আমাকে শিবির বা ছাগু প্রমাণের চেষ্টা দেখলেও অবাক হব না। কিন্তু ধর্ম, পরুষতন্ত্র, নারীতন্ত্র বাদ দিয়ে মানবতাবাদের কথা যদি বলি তাহলে তাদের মুখ বন্ধ হবার কথা। জানি না, সেটা হবে কি-না।

সরি, উস্তাদ। আপনার পোস্টের চেয়ে আমার মন্তব্য বোধ হয় বড় হয়ে গেল। আপনার লেখা সত্যিই ভাল হয়েছে।

২৩ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৯

উপপাদ্য বলেছেন: এবার আসা যাক, রোমানা মনজুরের ঘটনায়। রোমানা প্রেম করেছিল কি-না, এতে তার চরিত্রের কোন স্বরূপ প্রকাশ পায় কিংবা প্রেম না করে সতী-সাধ্ধী স্ত্রী তিনি ছিলেন কি-না, এসব নিয়ে কথা তুলে কিংবা এটাকে বিতর্কের বিষয় হিসেবে দাঁড় করিয়ে সাঈদের অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করতে যাওয়ার অর্থ কি

দারুন বলেছেন। আমিও বুঝিনা এগুলো কেন আসছে। রুমানা প্রেম করলে আমার কি কোন কিছু আসে যায়। তার যদি সাইদকে ভালো না লাগে সে তাকে ছেড়ে দিতে পারে যে কোন সময়। কারন রুমানা এটলিস্ট নিজের ভালো মন্দ বুঝার মতো মেয়ে।

এখন কেউ কেউ রুমানার প্রেম বিষয়ক এসব কলের গান গেয়ে যাচ্ছেন আবার কেউ কেউ ডিফেন্ড করছেন যা হাস্যকর। এখানে একটা ভয়ানক অপরাধ হয়েছে সেটা হচ্ছে একজন আরেকজনকে মারতে উদ্যত হয়েছে। এটাই ফোকাস হবে। না এটা নিয়ে বিজনেস শুরু হয়ে গেছে।

৩৯| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৫৮

মো: সালাউদ্দিন ফয়সাল বলেছেন: এরকম কথাগুলো মাথায় থাকলেও লিখার মত সাহস হয়নি। লেখককে ধন্যবাদ সাহস করে লেখার জন্য। এ কয়দিনে রুমানা ম্যাডামকে নিয়ে অনেকে অনেক জল ঘোলা করেছে এবং এখনও ওরা ক্লান্ত হয়নি। আমরা সবাই সাঈদের বিচার চাই কিন্তু সে ইসুতে ব্লগে রাজনীতি দেখতে চাইনা।

২৩ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৬

উপপাদ্য বলেছেন: ধন্যবাদ ফায়সাল।

৪০| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:০৬

একলা বগ বলেছেন: েপচাইললা বলেছেন: ওপেন সেক্স এস্টাবলিশ করার জন্যই কিছু পুরুষ নামের পশু এই ধোঁয়া তোলে। সামাজিক বহুগামিতা প্রতিষ্ঠা করলে নিজেদের লুলামি খুব ভালভাবে উপভোগ করতে পারবে এরা।বাইরের কয়েকটা পশুর কথায় আচ্ছন্ন/উচ্চকণ্ঠ সেই নারীরা চিন্তা করেন না, তাদের ভাল-র জন্য তাদের বাবা-মা-ভাইরা বেশি আতঙ্কে থাকে।

ব্যাপারটা একটা নেশার মত। ভয়ংকর একটা নেশা।

৪১| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:০৭

ওঙ্কার বলেছেন: লাইনে আসেন... উপপাদ্য...

পুরুষতন্ত্রের কথা তাহলে শোনেন নি আপনি...

বছর কয়েক আগে নারী নীতি'র সময়ে রাস্তায় কিসের মিছিল ছিলো, মনে আছে কি?

২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:১৩

উপপাদ্য বলেছেন: আপনি হাসালেন। আপনার পূর্বের মন্তব্যের উত্তর দিয়েছিলাম এজন্য যে নারীতন্ত্র আমার আবিষ্কার নয় এটা জানানোর জন্য।

শেষের লাইনগুলো আবার পড়ুন।
ধন্যবাদ

৪২| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:০৮

জারনো বলেছেন:
উপপাদ্য দাদা আপনার আজকের পোস্টটি স্টিকি করার জন্য আপনাকে অভিনন্দন আর সামু কর্তৃপক্ষকে জানাই আন্তরিক মোবারকবাদ। আমি সামুতে লেখার প্রথম থেকেই একটি নিজস্ব ধারা যেখানে সাদাকে সাদা ও কালোকে কালো বলে বলার সাহস দেখিয়েছি। সেজন্য আমি তিরস্কৃত এবং কঠিন বাক্যবান হজম করেছি। তবুও দমে যাইনি। আশা করি লড়ে যাবো শেষ দিন পর্যন্ত যদি আপনারা পাশে থাকেন।
রুমানা-সাঈদের দাম্পত্য কলহের খেশারত দিতে হবে কেন আনুশা'কে?
Click This Link

২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:১৮

উপপাদ্য বলেছেন: যখন আনুশার কথা আসে তখন আমি বলার মতো কোন শব্দ পাইনা।
যখন আনুষহার কথা আসে তখন আমার মনন, মস্তিস্কে প্রচন্ড ঝাঁকুনি খাই।

৪৩| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:১৪

ওঙ্কার বলেছেন: বগ মিঞা,

৩২ নাম্বার কমেন্টে যে 'বিভেদ' বললেন..

কথা শুনলে মনে হবে নারী পুরুষ বুঝি আসলেই সমানে সমান, এবং এই ঘটনার জের ধরে তাদের মাঝে সম্প্রীতি বিনষ্ট হচ্ছে।

আসলে ঘটনা যেটা ঘটেছে, সেটা হলো পুরুষ নারীতে কোনো সমস্যা হয় নাই, পুরুষ তার হাতে প্রাপ্ত হাতিয়ারের যে অপব্যবহার করে, তার বিরূদ্ধেই প্রতিবাদ চলছে।

আর আপনেরা আসছেন, সেইটারে মেরামত করতে, আসলে কোন জিনিশটা ডিফেন্ড করতে চান আপনে? সেই হাতিয়ার?

হাতিয়ারের গোড়া অল্রেডি নড়বড়ে, টের পান?

আপনাদের পুতিগন্ধময় হাতিয়ারের যে বারোটা বাজতেছে, সেই ঘন্টা শোনেন না??

কেউ যদি সেক্স করে সেইটা নিয়া তো আপনে বা আমার নাক গলানির কিছু নাই। গ্রাম্য সালিশ বিচারের মাদবরের মতো এইসব নিয়া ডিক্রিজারির ফন্দি খুজতেছেন নাকি??

গ্রামে তরুণ তরুণী যদি প্রেমে পড়ে, ভালোবাসে, সেইখানে আপনাদের মতো কিছু বাম হাত ঢুকাইন্যা পাবলিক স্যি স্যি ঢি ঢি কইরা যে কপোত কপোতীর দিলে বারোটা বাজায়া দেয়, সেইটা কোন বিচারে ঠিক মনে করেন??

ইতিহাসের দোহাই দিবেন তো? সংস্কারের ধূয়া তুলবেন তো!!

আজকের তরুণ প্রজন্ম কিন্তু ভালোই ঘাড়ত্যাড়া... এইসব ধইরা টান দিলে খবর কইরা দিবে, পরকাল আর মৃত্যুভীতি দিয়া আতঙ্কিত রাখতে পারবেন না।

খৈয়াল কৈরা...

৪৪| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:১৭

রিয়াজুল ইস্‌লাম বলেছেন: এক কথায় অসাধারণ একটা লেখা।

২৩ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৮

উপপাদ্য বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

৪৫| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:১৯

বাক স্বাধীনতা বলেছেন: @ ওঙ্কার, সমাজের সকলেরই নিজ নিজ ক্ষেত্রে দায়িত্ব রয়েছে। নিজ নিজ দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করাটাই আসল কথা। শাসক সুশাসন করবে, রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের সুশিক্ষার ব্যবস্থা করবে- এটা শাসকের দায়িত্ব। আর সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবার পর নাগরিকের দায়িত্ব হলো তার কর্মক্ষেত্র যেখানেই হোক না কেন- সেখানে নিজ দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করা। একজন শিক্ষিত রমণী যদি তার সন্তানদের সঠিকভাবে মানুষ করার জন্য ঘরেই বসবাস করেন- তার জন্য কিন্তু বলা যাবে না যে, তাকে অবদমিত করে রাখা হলো। একটি সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা এবং সুন্দরভাবে মানুষ করে দেশের একজন যোগ্য নাগরিকে পরিণত করা কিন্তু অবশ্যই মহান কাজ।

কিন্তু যদি কোন রমণি চান যে, তিনি তার শিক্ষাকে অন্য ক্ষেত্রে কাজে লাগাবেন, সে অধিকারও তার আছে। পরিবার পরিচালনা করার ক্ষেত্রে তিনি নিজ স্বামীর সাথে আলোচনা করতে পারেন। স্বামীর ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি চাকুরীও করতে পারেন অথবা ঘরেও থাকতে পারেন। এটা পরিবারের বিষয়। এর জন্যও বলা যাবে না যে, তাকে অবদমিত করে রাখা হলো।

কিন্তু যখন একজন নারীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন ন্যায়সঙ্গত কাজ থেকে বিরত করা হয় তখন তাকে অবদমন বলা যায়।

আর যখন একজন মানুষ অন্য একজন মানুষের নাক কামড়ে ছিঁড়ে ফেলে তখন তাকে অপরাধ বলা যায়- পুরুষদের দোষ বলা যায় না।

৪৬| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:২১

কাজী এম, রতন বলেছেন: অপরাধকে আমরা অপরাধ হিসেবেই দেখি। এবং রাস্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে তার কর্তব্য পালন করা। আমাদের ও দায়ীত্ত আছে বিচারটা জেন ঠিক হয় সেটা দেখা।

২৩ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৯

উপপাদ্য বলেছেন: এ ক ম ত

৪৭| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:২৯

বাক স্বাধীনতা বলেছেন: রোমানাকে যৌতুকের জন্য মারধর করা হয়নি। ভিতরের ব্যাপার নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। এ নিয়ে কথা বলতে চাই না।

তবে আমাদের দেশের কুত্তা মার্কা যৌতুক কালচারের জন্য যে নির্যাতন হয়ে থাকে রোমানার ব্যাপারটা তার চেয়ে ভিন্ন। এটা পারিবারিক সমস্যার কারণেই হয়েছে বলে বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন। এ ধরনের সমস্যার জন্যও ডিভোর্সের ব্যবস্থা আছে।

কিন্তু পুরুষশাসিত সমাজ বলেই সাঈদ রোমানার নাক কামড়ে ছিঁড়ে নেয়ার সাহস পেয়েছে- এ কথা আমি মানতে পারবো না। এটা অবশ্যই ফৌজদারী ব্যাপার। আমরা সীদের শাস্তি চাই। এই ঘটনার মাঝে নারীবাদ পুরুষবাদ নিয়ে ক্যাচাল চাই না। আমরা চাই সকল মানুষ পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করুক।

৪৮| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৩০

নীলতারা বলেছেন: আগের দিনই ভালো ছিলো। এতো এতো উচ্চশিক্ষার সস্তা বুলি ছিলোনা। এতো এতো সুযোগ ও সম্ভাবনা ছিলোনা। এতো এতো বিভৎসতাও ছিলো না। ধিক এই সমাজকে... এই দিন আর এই নরপশুদের...

৪৯| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৩২

ওঙ্কার বলেছেন: বাক স্বাধীনতা,
৪৬ নাম্বার কমেন্টে আপনি বললেন...

'স্বামীর ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়ে' তিনি চাকুরীও করতে পারেন অথবা ঘরেও থাকতে পারেন।

একটু ক্ল্যারিফাই করেন...

আমার সন্দেহ হইতেছে মানবিক কথা বার্তায় আপনি হালকা বল্দার্গু মিশাইছেন এখানে।

স্বামীর ইচ্ছা জিনিশটা কি?

৫০| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৩৪

জারনো বলেছেন:
শুরু হয়ে গেলো নোংরামি আর গন্ধ ছড়ানোর কালচার।
আমরা সবাই সংযত আচরণ করি, ব্যক্তিগত আক্রমন
কখনোই কোন সমস্যার সমাধা করতে পারেনা। আর
গঠনমূলক যুক্তি-বিপক্ষে যুক্তি সংশ্লিষ্ট ব্লগারের জ্ঞাণের
গভীরতা প্রমাণ করে। আসুন সকলে আমাদের সু-শিক্ষার
প্রমাণ রাখি।

৫১| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৩৪

বাক স্বাধীনতা বলেছেন: @ একলা বগ এবং ওঙ্কার, আমরা 'মা' শব্দটার সাথে অশ্লীল কথা জুড়ে দিয়ে কথা না বলি। মা কথাটা অনেক বড়।


@ ওঙ্কার, তাহলে কি আপনি বলতে চান যে, পারিবারিক আদালতেরও কোন প্রয়োজন নেই? কারণ, আপনি বলেছেন, "কেউ যদি নিজের স্বামী বা স্ত্রী'র বিশ্বাস ভঙ্গ করে, প্রমাণিত হয়, তারাই এতে ইনভল্ভড... কোনো বালের তন্ত্র এইটাকে কিছু বলার অধিকার নাই।"

পারিবারিক আদালত কেন স্বামী-স্ত্রীর বিষয়ে ইনভল্ভড হবে?

৫২| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৩৭

ওঙ্কার বলেছেন: @নীলতারা,

তথাকথিত 'আগের দিনে' বীভৎসতা ছিলো না, আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন?? উচ্চশিক্ষার বুলি আজকাল 'সস্তা' নাকি??

সৌদিতে এখনো যেমন বীভৎসতা'র কথা চেপে যাওয়া হয়, অনার কিলিঙের নামে পরিবারের মুখে কলঙ্ক লেপন কারী কিশোরী/তরুণী মেয়েদের হত্যা ও গুম করা হয়,....

তেমনি আপনার অতি পছন্দের আগের দিনেও বীভৎসতা ছিলো।

আজকের দিনে সেটা পত্রিকায় চলে আসে, আপনাদের বিকৃত মানসিকতার হাজবেন্ড রূপী জিনিসগুলিকে বাঁচাতে তখন আপনাদের মতো এই পোস্টের অবতারনা করতে হয়....

৫৩| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৪০

ওঙ্কার বলেছেন: বাক স্বাধীনতা,

এইতো লাইনে আসছেন,

পারিবারিক আদালত কি কি বিষয় নিয়ে ডীল করে বলেন আগে, তারপরে আপনার 'প্রশ্নে'র উত্তর দেবো।

[তন্ত্র আর আদালত গুলায়া ফেলছেন বোঝা যাচ্ছে, তবে লাইনে আসছেন, দ্যটস্‌ গুড]

৫৪| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৪০

উপপাদ্য বলেছেন: অশ্লীল শব্দ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।

৫৫| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৪১

বাক স্বাধীনতা বলেছেন: @ ওঙ্কার, বাবার ইচ্ছা থাকে, ছেলে-মেয়ে ডাক্তার হবে। মায়ের ইচ্ছা থাকে, ছেলে-মেয়ে কৃষিবিদ হবে। প্রেমিকার ইচ্ছা থাকে, তার আজকের ছাত্র প্রেমিক ভবিষ্যতে বিসিএস ক্যাডার হোক- সারা জীবন পাশে পাশে থাকুক- আইন অনুসারে নয়- ভালোবাসা থেকেই তার জন্য খাদ্য ও বস্ত্র এনে দিক, প্রেমিকের ইচ্ছা থাকে, তার প্রেমিকা সংসার জীবনে তার প্রিয় বন্ধু হয়ে থাকুক- চাকুরী করলেও তাকে যেন সে পাশেই পায়।

একই ভাবে স্বামী বা স্ত্রীরও ইচ্ছা থাকতে পারে। বুঝেছেন??

তবে, কোন মেয়ে যদি চায় সে উপার্জন করবে তাকে বাধা দেয়ার কোন অধিকার কারো নেউ।

২৩ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৬

উপপাদ্য বলেছেন: সামাজিক জিবনে মিউচুয়াল আন্ডারস্টান্ডিং থাকতেই হবে। রেডিকেল হলেই সমস্যা।

৫৬| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৪১

আতরআলী বলেছেন: সামুতো ভালো একটা কামড়াকামড়ি লাগিয়ে দিলো। এ পোস্টের এর বাইরে আর কোন গন্তব্য নেই। পোস্টে ক্যাচালের প্রচুর আইটেম আছে, আলোচনার কোন কিছু নেই। কিঞ্চিত কচু আছে বটে। কেবল স্বমনা ব্লগাররা একে অপরকে "সহমত" "সাথে আছি" "চালিয়ে যান" ছাড়া আর কিছু নয়।


পিছলানোর যায়গা করে পোস্টটি লিখলেও সে প্রচেষ্টা খুব নিম্নমানের হয়েছে। রুমানার প্রতি পুরুষাঙ্গবাদীদের কিছুটা ছাড় দেখা যাচ্ছে পোস্টে। এ মশকরা না করলেও হতো। পুরুষাংগের সম্ভ্রম টিকিয়ে রাখার জন্য রুমানার প্রতি মায়াকান্না ছাড়া আর কিছুই না।

তবুও ভাবি, সরাসরি রুমানাকে চরিত্রহীন বানানোর চেয়ে যে দয়া দেখিয়েছেন, তাতে করে একজন মানুষ হিসেবে আপনার মতো পুরুষের কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। নতজানু শ্রদ্ধা নিবেন।

২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৫২

উপপাদ্য বলেছেন: তবে আপনার কমেন্ট আমার খুব পছন্দ হৈছে। টেম্পলেট হিসাবে চালানো যাবে।

একটা আপত্তি না জানলেই নয় সেটা হচ্ছে, সরাসরি রুমানাকে চরিত্রহীন বানানোর চেয়ে যে দয়া দেখিয়েছেন,

এমন ভাঁড়ামো আমি পছন্দ করিনা। যারা তথ্য প্রমান ছাড়া ধরি মাছ না ছুই পানি টাইপের মন্তব্য করে তাদের সরাসরি অপছন্দ করি। কুপমন্ডুক সমাজে আপনার বসবাস।

৫৭| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৪৫

ওঙ্কার বলেছেন: গুড, (৫৭ নাম্বার কমেন্টে)

বাক স্বাধীনতা,

এইবার আপনার পয়েন্ট বলেন... মানুষের স্বাধীনতা আছে নিজের জীবন পদ্ধতি বেছে নেবার এইটাই বললেন তো, তাই নাই?

৫৮| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৪৬

বাক স্বাধীনতা বলেছেন: @ ওঙ্কার, আপনার লেখা পড়ে আমি যতদূর জানি, আপনিও একটা বিশেষ 'বাদের' লোক। পুরুষতন্ত্রের লোকেদের বিরুদ্ধে আপনি যে অভিযোগ করেছেন করেছেন তা অনেকটা এরকম যে, তারা কার ঘরে কে ঢুকলো এটা নিয়ে মেতে থাকে- হ্যাঁ আপনার সাথে আমিও একমত। এটা নিয়ে মেতে থাকা অন্যায়। আপনি ঘুরে ফিরে কোন দিকে যেতে চাচ্ছেন সেটা আমি বুঝেছি। আপনার পছন্দের লাইন তো আমি জানি।

৫৯| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৪৮

ওঙ্কার বলেছেন: @আতর আলী, এই পোস্ট এক ধরনের 'থাক ভিক্ষা তোর কুত্তা সামলা' জাতীয় পোস্ট...

তবে লক্ষ্য হলো মাইরের হাত থেকে তন্ত্রকে বাঁচানো, টাইটেলও দিয়েছে, যেনবা তন্ত্র একটি ব্যবসার নাম।

অনেকটা যেমন 'চুরি'র সংজ্ঞা হলো 'ভুল করে না বলে অন্যের জিনিস ধার করা' জাতীয় কিছু একটা!!

হাসি পায় এসব অপচেষ্টা দেখে..

৬০| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৪৮

বাক স্বাধীনতা বলেছেন: @ ওঙ্কার, হ্যাঁ আমি তাই বলেছি। মানুষের অধিকার আছে তার কর্মক্ষেত্র বেছে নেয়ার- যদি তা অনৈতিক না হয়। আর যেহেতু মানুষ পরিবার নিয়ে বাস করে তাই পরিবারকে গুরুত্ব দেয়াও সবার দায়িত্ব। তাই নয় কি?

৬১| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৫০

ওঙ্কার বলেছেন: আপনি জানেন, ঠিক জানেন? বাক স্বাধীনতা?

তো, আমাদের একটু এনলাইটেন করেন।

[বহুত সমস্যা আছেন বুঝতে পারছি, সুশীল চামড়া গায়ে দিয়ে আছেন তো, তাই খুল্লাম খোল্লা গালিগালাজ করতে পারছেন না, বুঝি]

সমবেদনা রইলো?

৬২| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৫০

বাক স্বাধীনতা বলেছেন: আর যদি এটা কেউ বলতে চান যে, স্বামীর মত স্বামী চলবে আর স্ত্রীর মত স্ত্রী চলবে- তাহলে বিয়ে করার দরকার কি? লিভ টুগেদার করলেইতো হয়।

২৩ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৯

উপপাদ্য বলেছেন: লিভ টুগেদার করলেই যে যার ইচ্ছা সাধীন চলবে এমন কথা নেই। এখানেও কম্প্রমাইজ, আন্ডারস্টান্ডিং থাকতেই হবে।

৬৩| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৫৩

নীলতারা বলেছেন: আসলে শাস্তির ভয় দেখিয়ে কোনোদিনও কোনো সমাজে শান্তি আসে নাই। বরং স্ত্রীরা যদি মানসিক ভাবে স্বামীকে মেনে চলার সিদ্ধান্ত নেয়, তবেই হাজারগুণ শান্তি পাওয়া যায়...

আল্লাহ কুরআন পাকেই বলেছেন- পুরুষরা নারীর উপর ক্ষমতাবান। এখন আমরা যতোই লাফালাফি প্রকৃতি কি তাতে চেঞ্জ হবে? নাহ... কখনো না।

ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং বিবেক যতোদিন জাগ্রত হবে, ততোদিন সমাজে আসবেই না... আমরা এতো যতো বুলি আউড়াই...

শান্তি আসুক।

৬৪| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৫৪

বাক স্বাধীনতা বলেছেন: @ ওঙ্কার- ভাইরে, আমি যে নিকে আছি তাতে করে গালি দিলেও কেউ আমাকে চিনবে না। কিন্তু, গালি আমি দেব না। কারণ, প্রথমত, আমি গালি দেই না কাউরে। তবে আমার বিশ্বাস, আমি গালি শুরু করলে কেউ আমার সাথে পারবে না। আর দ্বিতীয়ত, এটা স্টিকি পোস্ট। আর এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আমি চাই না পরিবেশ নষ্ট করতে।

৬৫| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৫৬

ওঙ্কার বলেছেন: সামু কর্তৃপক্ষের সবচে প্রভাবশালী যিনি, তিনি এই স্টিকি পোস্ট কিভাবে সমর্থন করবেন জানি না।

অসাধারন একজন জীবনসঙ্গী তাঁর। কিন্তু দায়িত্ব আছে দেশজুড়ে নিরন্তর অপমান আর নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীদের পক্ষে থাকার।

উনার অবস্থানের নারীরা যদি সহায়তা না করেন, কিভাবে আমরা আশা করতে পারি নারী পুরুষের সত্যিকার সাম্য আসবে?

শুধু পোস্টে উল্লেখিত কাগুজে সাম্যে কি আমাদের চলবে?

এসব কাগুজে সাম্যের গান গাওয়া পোস্ট স্টিকি করে কাদের পারপাস সার্ভ হচ্ছে?

৬৬| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৫৮

ওঙ্কার বলেছেন: এইতো... নীলতারা লাইনে এসেছে... গুড...

দেখুন পাবলিক... বরং স্ত্রীরা যদি মানসিক ভাবে স্বামীকে মেনে চলার সিদ্ধান্ত নেয়, তবেই হাজারগুণ শান্তি পাওয়া যায়...

তন্ত্র ব্যবসা'র কথা বলছিলেন না, উপপাদ্য??

এই দেখুন চোখের সামনে তন্ত্র এসে হাজির হয়েছে...

স্বামীকে মেনে চলতে হবে...
নয়তো শান্তি পাওয়া যাবে না...

বা রে বা!!

২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৭

উপপাদ্য বলেছেন: ওঙ্কার আপনি কিন্তু খুব বিরক্ত করছেন। আমি কাগুজে সাম্যের কথা বলিনি। আমি নজরুলের একটা কবিতার প্রথম কয়েক ছত্র দিয়েছি মাত্র। আপনি কাগুজে সাম্য বলে কাকে কটাক্ষ করলেন আমি বুঝতে পেরেছি।

এবং এবার ক্লিয়ার হলো আপনার সমস্যাটা কোথায়। বিভাজনের অপচেস্টা সবসময় বাঙালী জাতিকে পিছিয়ে রেখেছে। আপনি সে অপচেস্টাকারিদেরই একজন সদস্যমাত্র।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৬৭| ২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: তিব্রো আপত্তিকর হেডলাইন।
একটা গুরুতর মানবিক অপরাধ কে হাল্কা করে ফেলা।

এইসব সাধারন বউ পেটানোর মামলায় (যদি সেটা পুর্ব পরিকল্পিত প্রামান না করা যায়) তবে তার কিছুই হবে না, বেকুশুর খালাশ দিয়ে দিবে, নাহলে বড়জোড় ২ হাজার টাকা জরিমানা।
আর বিশেষ অগ্রাধিকার মামলা হিসাবে হত্যা প্রচেষ্টা ও ইচ্ছাকৃত অংগহানি করা প্রমান করতে পারলে তাকে সর্বচ্চ সাস্তি দেওয়া সম্ভব।

স্পস্ট করে বলুন আপনি কোনটা চান ?

২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৪

উপপাদ্য বলেছেন: হাসান ভাই। আমি হাসান সাঈদকে বারবার হত্যাচেস্টাকারী নরপিশাচ বলে কি বলতে চেয়েছি সেটা যদি আপনার মতো ব্লগার বুঝতে না পারে। তাহলে তার সব ব্যর্থতার দায় ভার আমার ঘাড়ে নেয়া ছাড়া উপায় নেই।

আর শিরোনামের কোন ব্যাখ্যা প্রয়োজন আছে বলে মনে করছি না। আমরা এ নির্যাতন, ট্যাগিং আর হানাহানির সমাজ থেকে বেরিয়ে আসার একটা উপায় পেয়েছি। কারন রুমানা মনজুর দেশের সর্বোচ্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার ব্যাপারটা যে কোন ঘটনার চেয়ে বেশী ফোকাস হবে। এবং রুমানার হাত ধরে আমরা একটা সুন্দর সমাজের আলোর পথ খুজতে চাচ্চি। সুশাসন নিশ্চিত করার ব্যাপারে আ্যাডভোকেসি প্রোগ্রামগুলো আরো শক্তিশালী ও জোরদার হবে বলে আশা রাখি।

ধন্যবাদ।

৬৮| ২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১২

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: স্টিকির বিরুদ্ধে করা কমেন্ট আপনার উদ্দেশ্যে নয়, এটা মডুদেরই বলা হয়েছে। যাদের ব্যবসার জন্য দুই পক্ষের দরকার। নীতি, নৈতিকতা নয়, যাচাই করার ক্ষমতা নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে।

২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২০

উপপাদ্য বলেছেন: আপনি ক্যামন করে ধরে নিলেন আমি রুমানা মনজুরের হত্যাচেস্টা পক্ষের লোক? কোন বিবেকমান মানুষ কি রুমানা মনজুরের এই জঘন্য হত্যা চেস্টাকে সমর্থন করতে পারে?

আমি এটাকে কেবল মাত্র পুরুষ শাসিত সমাজের সরূপ বলে যারা ট্যাগিং করছেন তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। অবস্থান নিয়েছি সমাজের সকল প্রকার অপরাধ প্রবণতার বিরোদ্ধে। আমি বলতে চেয়েছি রুমানার হাত ধরে আমাদের সমাজকে সুপথে আনার, সমাজে মনুষত্ব প্রতিষ্ঠা, সুশাসন প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে যেতে। এবং বিভাজনের চেস্টা থেকে বিরত থাকতে।

এতে আপনার খারাপ লাগলে আমার কিছু করার নেই।

৬৯| ২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২০

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: একটা প্রতিষ্ঠিত তন্ত্রকে নাই বললেই কি সেটা নাই হয়ে যায়? নাকি তার বিরোধীদের ভুলিয়েভালিয়ে শান্ত রাখা হয়? হাস্যকর ছেলে ভুলানো প্রচেষ্টা।

৭০| ২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২২

নষ্ট ছেলে বলেছেন: ওঙ্কার, আসিফ মহিউদ্দীন এরা ব্লগের চিহ্নিত গালিবাজ ব্লগার। ওরা যখন তর্কে হেরে যাবে তখনই আপনাকে অশালীন ভাষার গালাগালি শুরু করবে, বিভিন্ন ধরনের ট্যাগিং দিবে। উল্টা-পাল্টা মন্তব্য করে পোস্টের মূল বক্তব্য অন্যদিকে ডাইভার্ট করার চেষ্টা কিংবা একই যুক্তি বার বার ফ্লাডিং শুরু করবে।

পোস্টে+++++++++++

৭১| ২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৩

ওঙ্কার বলেছেন: উপপাদ্য, আপনার এ হেন তন্ত্র তোষণকারী পোস্টে আমাকে আপনার বিরক্তিকরই লাগবে...

সেটা আমি খুব ভালো করেই জানি।

তবে যে মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমি মন্তব্য করেছি, সেই তান্ত্রিকতার বাণী দিতে আসা নীলতারাকে তো কিছুই বললেন না!!!

বিষয়টা কি??

২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৩

উপপাদ্য বলেছেন: ইগনোরড। সব মন্তব্যের জবাব দেয়ার প্রয়োজন নেই। এ সহজ বিষয়টা আপনাদের মতো পুরনো ব্লগাররা যদি না বুঝে...।

৭২| ২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৭

বিবর্ন বেদনা বলেছেন: কিছু বিশেষ ব্যাক্তি,ব্লগার পেঁচানো শুরু করেছে।এরা শেষে গালাগালি করবে।ইগ্নর করেন

আমার মন্তব্বের জবাবে সুন্দর জবাব দেয়ার জন্য ধন্যবাদ:)

পোস্টে++++

২৩ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৩

উপপাদ্য বলেছেন: ধন্যবাদ।
সামুর প্রায় সব ব্লগারকেই আমার চেনা আছে।

৭৩| ২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৮

বিবর্ন বেদনা বলেছেন: লেখক ভাই@ আপনাকে ট্যাগিং করা শুরু হয়ে গেছে।

হাহাআহহাহাহা

এরা আর কিছু পারে না।

২২ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:১০

উপপাদ্য বলেছেন: আমি এসবে ক্যায়ার করিনা। যারা ট্যাগিং করে তারা আসলে হীনমন্যতায় ভুগা একদল হতাশাবদী মানুষ। এরা যুক্তিতে পারেনা।

বিষয়টা এমন যে, যুক্তিতে পারলাম না তাতে কি হইছে 'গালিতো' দিলাম।

৭৪| ২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩২

সিলেটি জামান বলেছেন: আজ যারা রুমানার ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তিত। তারা এ বিষয়টাকে নারী পুরুষ ডিসক্রিমিনেশান বা পুরুষ শাসিত সমাজ বলে ট্যাগায়িত না করে এটাকে সামাজিক সমস্যা মনে করে এর প্রতিরোধে এগিয়ে আসুন। কারন সমাজ যদি কখনো নারীতান্ত্রিক হয়েও যায় তখন যে অপরাধ ঘটবেনা এমন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবেনা।


সহমত।

৭৫| ২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৩

মাহফুজার রহমান বলেছেন: মোঃমিজানুর রহমান নামক অপদার্থকে ডিলিট করবেন।


বিচার ব্যবস্থার দূর্বলতার সুযোগে এমন অপরাধীর সংখ্যা বাড়ছে।
তারপরও বিচার ব্যবস্থা হাতে তুলে নিতে পারি না, সাইদের মতো অমানুষকে শাস্তি দিতে।
আল্লাহ রুমানা আপুকে সুস্থ করে তুলুন।

২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫০

উপপাদ্য বলেছেন: আমি আশা করি তিনি সুস্থ হয়ে আবার ছাত্রদের মধ্যে ফিরে আসবেন। আর এমন গুরুতর অপরাধ সমাজ থেকে দূরীকরনের জন্য লড়বেন। আপনাদের মনে আছে কিনা আসমা কিবরিায়ার সে শান্তির সপক্ষে নীলিমা র কথা।

আমি আরো আশা করি 'সুশাসনের জন্য নারী' এমন একটা আন্দোলন গড়ে উঠুক। আমেরিকার 'টি পার্টি মুভমেন্টের' মতো বিশাল হবে এবং যারা আইন প্রয়োগ, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, নাগরিক অধিকার ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখবে।

৭৬| ২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৭

ইনকগনিটো বলেছেন: আমার কাছে মনে হয়না হাসান সাইদ বাংলাদেশের ৮ কোটি পুরুষকে রিপ্রেজেন্ট করেন। বরং আমার কাছে হাসান সাইদকে একজন অসুস্থ ও মানসিক ভাবে বিকলাঙ্গই মনে হয়।

তারপরেও কিছু মানুষ রুমানার ঘটনার সাথে পুরুষতন্ত্র পুরুষতন্ত্র চিৎকার করেই চলেছেন।



২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০২

উপপাদ্য বলেছেন: হাসান সাইদ মানসিক ভাবে অসুস্থ নয়। সে একজন হত্যাপ্রেচেস্টাকারী দাগী আসামী।

৭৭| ২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫১

সামস উদ দোহা বলেছেন: ঘটনা তো একটা না।রুমানা তো একজন না। হাজার রুমানা ঘরে ঘরে নির্যাতনের স্বীকার। তবে কেন টাকে নিয়ে এত হুলস্থূল !! যেই ষোড়শী মেয়ের গায়ে কেরোসিন ধেলে আগুন দেয় জামাই শাশুড়ি কেন অই পশু গুল রেহাই পেয়ে যায় ? কেন ওদের বিচার হয় না ? ওরা ঢাবি শিক্ষিকা না তাই ? এসব বাড়াবাড়ি বন্ধ হোক। সবার সমান বিচার চাই? সবাই মানুষ। গরিব কিম্বা ধনী। বন্ধ করুন আদিখ্যেতা।

২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪১

উপপাদ্য বলেছেন: তাকে নিয়ে যে হুলুস্থুল করা যাবে না এমন না। আমি শুধু সব রুমানাদের বাঁচানোর জন্য সুশাসন প্রতিষ্ঠার উপর জোর দিচ্ছি।

৭৮| ২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫২

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: আসিফ@ মজার কথা হল যে নারী নীতি, বিষমিল্লা, ফতোয়া ইত্যাদির ব্যাপারে যখন আদালত কথা কয় তখন অনেকেরই এই "প্রসেস মনে" থাকে না। আদালতের ভরসা না করে তখন নিজেরাই লাফালাফি শুরু করে দেয়।
যারা লাফায় তাদের এই "প্রসেস" মনে পড়িয়ে দেবার লোকের বড়ই অভাব দেখেছি। সেদিন যাঁরা প্রসেস ভুলে লাফালাফি করেছিলেন তাঁরা আজ অনেকেই "প্রসেস" শিক্ষা দিতে এগিয়ে এসেছেন।

২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৪

উপপাদ্য বলেছেন: নারী নীতি নিয়ে বা বিছমিল্লা ইত্যাদি বিষয়ে আমি কোন কথাবলিনি বা প্রসেস শেখাই নি। আন্দাজে কথা বলবেন না।

মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।

৭৯| ২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০২

ওঙ্কার বলেছেন: হাহাহা..

যুক্তি'র সামনে না পেরে শুরু হয়েছে গালিগালাজ..

বাহ.. খানিক আগে কে যেন ওঙ্কার আর আসিফ কে বলছিলো বিশিষ্ট্ গালিবাজ।

হাহা.. এখন শুরু হয়েছে গালি, তাদের বিরূদ্ধেই। হিপোক্রেসি...

৮০| ২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৭

উপপাদ্য বলেছেন: অপ্রাসংগিক অনেক মন্তব্য এসেছে। আমি ডিলিট করে দিবো কিছুক্ষনের মধ্যেই। যাদের প্রয়োজন তারা স্ক্রীনশট নিয়ে রাখতে পারেন।

৮১| ২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৯

আমি মাতাল বলেছেন: @ওঙ্কার: গালি কারে কখন দিলাম? ইয়ার কাপড় ধইরা টান দিছি বইলা চিক্কুর পারতাছো? খ্যাক খ্যাক! =p~ =p~ =p~

@লেখক: এই হিপোক্রেট ভন্ড গুলা আপনার পোস্টটারে নষ্ট করতেছিল বইলা একটু টাইট দিলাম।
আন্তরিকভাবে দু:খিত।

৮২| ২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২২

উপপাদ্য বলেছেন: সরি আসিফ আবারো কমেন্ট রিপিট করলে ডিলিট করা হবে।

৮৩| ২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৩

অনিক বলেছেন: অপরাধের কোন লিংগ নেই। অপরাধ যেই করুকনা কেন তার বিচার নিশ্চিত করা সমাজের দাবী, রাস্ট্রের করণীয় এবং ভিকটিম সেই সংঘটিত অপরাধের বিচার পাওয়ার অধিকার রাখে। আমরা অপরাধের কারণ বা মোটিভ বিশ্লেষণে যতটা না আগ্রহী তার চেয়ে বরং সেটাকে পুরুষ বা নারীর সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিয়ে বেশী মাথা ঘামাই। এই সমাজটাকে আমরা অপরাধকে চিহ্নিত করার চাইতে নারী পুরুষে বিভক্ত করে ফেলি, যা কখনই হওয়া উচিৎ নয়। অপরাধটাই আমাদের কাছি মূল বিষয় হওয়া উচিৎ এবং এই অপরাধের সূত্র ধরে অপরাধীর বিচার নিশ্চিত করাটাই মূখ্য হোয়া উচিৎ আর এই বিচার প্রক্রিয়া সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ যাতে হয় সেজন্যে সমাজকে তৎপর ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে সর্বাত্মক ভূমিকা পালন করতে হবে। আইনের সুষ্ঠ প্রয়োগ এ বিচারকার্য প্রভাবমুক্ত হতে হবে। অপরাধী যেন কোন ক্রমেই ছাড় না পায় সেদিকে আইনরক্ষাকারী সদস্য ও প্রশাসনকে আরো বেশী সক্রিয় হতে হবে।

২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩০

উপপাদ্য বলেছেন: অসাধারন একটা সারমর্ম লিখেছেন। আমার কাছে মনে হচ্ছে আমার পোস্ট টা অনেকটা ধান ভানতে শিবের গীত গাওয়ার মতো হয়েছে।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৮৪| ২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৬

আমি মাতাল বলেছেন: রুমানা, এই যুদ্ধ আপনার একার নয়.. আমাদের সকলের..!!

মানবীর পোস্টের স্ট্যাটাস:
*১৪২১৫ বার পঠিত
* ৬৯৮ টি মন্তব্য

@উপপাদ্য: আসিফ মহিউদ্দীন না হয় এই পোস্টে আইসা সুশীলতা দেখাইতেছে।

এই পোস্টের বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কি?




৮৫| ২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৭

উপপাদ্য বলেছেন: আসিফ আপনার আমার মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন মত থাকলেও একজন ব্লগার হিসেবে আপনি আমার কাছে মূল্যবান, যেমন মূল্যবান প্রভাষক কিন্তু আপনি আমাকে আপনার ব্যাপারে নতুন করে মূল্যায়ন করতে বাধ্য করছেন। প্লিজ আর ফ্লাডিং করবেন না। একই রিকোয়েস্ট ওন্কারকেও করছি। আমি চাই না আপনাদের ব্লক করতে। আমি বিশ্বাস করি আপনারা চাইলে অনেক কনস্ট্রাকতিভ আলোচনা করতে পারেন।

৮৬| ২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৯

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: লেখক@ কিছু মনে করবেন না, যেহেতু আপনার কিছু সমর্থক আগের স্টিকিপোস্ট (মানবী) এর সাথে এটির তুলনা করা শুরু করে দিয়েছেন এবং সেখানে কে কেন কমেন্ট করেন নি তার এনালাইসিস করতে লেগেছেন, তাই প্রশ্নটা করেই ফেলি। মানবীর পোস্ট স্টিকি হয়েছিল পাঠকদের অনেকের দাবী তোলার পর। আপনার এই পোস্টের কোনো মন্তব্যেই কোনো পাঠক এটি স্টিকি করার যোগ্য বলে দাবী করেছেন বলে দেখলাম না। আপনিও বলেছেন যে আপনি নিজেও স্টিকি করতে বলেন নি। অদ্ভূতভাবে পোস্ট টা আসার পরেই বিনা চেষ্টাতেই স্টিকি হয়ে গেল। যেন মডারেশন এমন একটা পোস্ট পাবার জন্য হাত বাড়িয়েই ছিলেন।

পোস্ট টা স্টিকি করার সিদ্ধান্তটা কে কিভাবে নিলেন? হয়তো এই প্রশ্নের উত্তর আপনার জানা না থাকতেও পারে, তবু আশা করব অন্য কেউ (বা মডারেশন এর কেউ) উত্তরটা দিতেও পারেন। সেই আশাতেই প্রশ্নটা করলাম। (ধরে নিচ্ছি আপনার সাথে মডারেশন টিমের কোনো সম্পর্ক নেই।)

২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৭

উপপাদ্য বলেছেন: আপনার এই পোস্টের কোনো মন্তব্যেই কোনো পাঠক এটি স্টিকি করার যোগ্য বলে দাবী করেছেন বলে দেখলাম না। আপনিও বলেছেন যে আপনি নিজেও স্টিকি করতে বলেন নি। অদ্ভূতভাবে পোস্ট টা আসার পরেই বিনা চেষ্টাতেই স্টিকি হয়ে গেল। যেন মডারেশন এমন একটা পোস্ট পাবার জন্য হাত বাড়িয়েই ছিলেন

আমার মনে হয় একটু ভাব নেয়া উচিত এই ভেবে যে আমি রবীন্দ্র নজরুলের প্রায় সমকক্ষ। ;) অদ্ভুত এসব বিষয় কই থাইকা বের করেন আপনারা।

৮৭| ২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৯

আমি মাতাল বলেছেন:
কার মুখে কি কথা? আল্লাহ রসুল, বাবা-মা কাওরে বাদ নাই এই আচিপ গং গায়লায় না.. তাগো মুখে গালি বিরোধী কথা?
ওরে আমারে ধর, আসিফ মহিউদ্দীন আর ওঙ্কার গালি বিরোধী সুশীল সাজছেরে। ..............................
ডলা বেশি হইছে? ;) ;)
=p~ =p~ =p~ =p~

এইবার কও দেখি চান্দু, আমি কারে কি শব্দ প্রয়োগ কইরা গালি দিলাম?


@অনিক: আপনের মন্তব্যটা আমার মনের কথা। ধন্যবাদ আপনাকে।

৮৮| ২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪০

ওঙ্কার বলেছেন: ৯৫ নাম্বার কমেন্টে ব্রাভো...

উত্তরেও ব্রাভো...

৮৯| ২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৮

উপপাদ্য বলেছেন: @সাদাচোখ: আপনি কি বলতে চান আমি যদি অচ্যুৎ কিংবা নমশুদ্রের ঘর থেকে আসি তাহলে আমার পোস্ট স্টিকি করা যাবেনা?

খুলে বলেন তো সাম্প্রদায়িক সাদাচোখ। পোস্ট স্টিকি করার পূর্ব শর্ত কি আপনি ঠিক করেন? অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।

৯০| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:০১

পুংটা বলেছেন: বাঙালী হলো হুজুগে মাতাল... খোজ নিলে দেখা যাবে এই রোমানা নিয়ে ঝগড়া করে অনেক লোক তার বউকে পেটাচ্ছে, অনেক বউ তার বরকে পেটাচ্ছে। সব জাতে মাতাল তালে ঠিক। মুখোশধারী।

আমরা হলাম ইস্যু পাগলা। বর্তমান সময়ের ইস্যু হলো রোমানা।

বাতাস বইতে শুরু করেছে, মানুষ যে কত হারামী তা তথাকথিত সুশিলরা বুঝতে পারবে না। তবে শিওর থাকুন কদিনপর এসব রোমানা ক্যাচাল আর থাকবে না। আবার নতুন কোন ক্যাচালে জড়িয়ে যাব আমরা। আবার নতুন একটা। কোন ক্যাচালেরই সুরাহা হবে না। শুধু একটু ফুফা, সাইসুই, ক্যাচক্যাচ... ব্লগে গ্যাজাতেতো আর পয়সা লাগে না।

২২ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:১৮

উপপাদ্য বলেছেন: অনেকটাই একমত। আমাদের চরিত্র রাজনৈতিক রঙে হারিয়ে গেছে। আমরা আসলেই ইস্যু পাগল মানুষ। আমরা আজ ফেলানি, কাল রুমানা, পরশু লিমন ইত্যাদি বিশেষ বিশেষ ইস্যুতে আপ্লুত হয়ে যাই। কিন্তু সমাজের সামগ্রিক মঙ্গলের জন্য তেমন কোন বিশেষ ইস্যু তৈরি করতে পারছিনা।

আমার পোস্টের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে সমাজের সামগ্রিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত সুশাসন প্রতিষ্ঠার উপর জোর দেয়া।

৯১| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:০৩

সাদাচোখ বলেছেন:
আপনার জাত/ধর্ম নিয়ে কথা বললাম কখন?

স্টিকী করার জন্য যে কন্টেট থাকা দরকার, তার বিন্দু মাত্র এই পোস্টে নেই। তবুও কি বিবেচনায় এটা স্টিকী হল, সেটাই আমার প্রশ্ন।

আর আপনার করা কিছু কমেন্ট দিয়ে আপনার চিন্তা ধারার গতি প্রকৃতি বোঝার চেষ্টা করেছি, এজন্য সাম্প্রদায়িক হয়ে গেলাম!!! (ধরা খাইলে এমন উল্টাপাল্টা বকতেই পারেন।)

নারীদের নির্যাতনের কথা দিয়ে শুরু করে ২৮ অক্টোবর, জামাত-শিবির পীড়নের কাহিনী শোনালেন। সেই পোস্ট আবার স্টিকীও হল। সামুতে গোলাম আজমের ছবি সহ স্টীকি পোস্ট আসতে বোধ হয় আর দেরি নাই। X(

২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:০১

উপপাদ্য বলেছেন: মুজিব হত্যাকে অপরাধ আর জিয়া হত্যাকে সাধুবাদ
বা
জিয়া হত্যাকে অপরাধ আর মুজিব হত্যাকে সাধুবাদ

এমন মানসিকতার মানুষকে আমি ঘৃনা করি।

৯২| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:০৫

370H55V 0773H বলেছেন: ও আইচ্ছা ।

৯৩| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:০৮

X-58807 বলেছেন: অনেক দিন বাদে কমেন্ট করছি, একটা প্রশ্ন ছিল।
আপনার লেখার মধ্যে দেখলাম নারীতন্ত্রের কথা এসেছে। এই "নারীতন্ত্র" কথাটা দিয়ে আপনি কি বোঝাতে চেয়েছেন সেটা একটু পরিষ্কার হওয়া দরকার ছিল। সেই বস্তুটির বিরোধিতা করার আগে সেটি কেউ চায় কিনা জানা তো দরকার। একটা বাস্তব সমস্যা ছেড়ে হাওয়ার সাথে লড়াই করার কোনো অর্থ নেই।

২২ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:২৬

উপপাদ্য বলেছেন: এই প্রশ্নটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। ধন্যবাদ প্রশ্নকারীকে।

নারীতন্ত্র নেই যে এমন না। ২৬ নং উত্তরও দেখতে পারেন।

আমি বলছি আমরা যদি পুরুষতন্ত্র, পুরুষ শাসিত সমাজ ইত্যাদি বিষয়কে সামনে নিয়ে আসি তাহলে সমান্তরাল ভাবে নারীতন্ত্র বা নারী শাসিত সমাজের কথা উচ্চারিত হবে। নারীতন্ত্র অবশ্যই আছে। আর যদি নাইবা থাকতো তাহলেও সমস্যা নেই। ঐযে বিভাজনওয়ালারা আছে না তারা ঠিকই তৈরি করে নিতো। আর কনকো-ফিলিপসরা তো আছেই টাকা ঢালার জন্য। কারন সব ইজমই আজকাল পুজিবাদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

৯৪| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:৩০

মাহিরাহি বলেছেন: পোষ্টের উপর কিংবা পোষ্টদাতার উপর নগ্ন আক্রমনের বিস্মিত।

খুব নোংরাভাবে কিছু লোক পোষ্টটাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।

আমার মনে হয় কিছু বিকৃত মস্তিকের লোকেরা নির্যাতনের এই ঘটনাগুলো নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকার লেখা পড়ে আমোদিত হয়। মুখে গেল রে গেল রে বললেও তারা খুব বেশি ব্যথিত কিংবা চিন্তিত হয় বলে মনে হয়না।

ন্যায় বিচারের চাইতে কেচ্ছা কাহিনীগুলো তাদেরকে বেশি আমোদিত করে।

এখানে পোষ্টের মুল সুর হলো নির্যাতিত রুমানা যেন সতবিচার পায় তারজন্য জনমত গড়ে তোলা।


৯৫| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:৪০

সজীব আকিব বলেছেন:
সাইদের এই আচরণের উৎস কোন জায়গায়? একটু ভালভাবে ভাবলেই তা আঁচ করা সম্ভব। সাইদ চেয়েছিল তার বৌ তার কথামত চলবে, তার হাতের পুতুল হবে, কোনো পুরুষের সাথে কোনোরকম সম্পর্ক থাকবে না কিন্তু মাইয়াটা তা মানতে চায় নি। সাইদের মনোভাব সত্যিই পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের প্রতিনিধিত্ব করে।

আপনার এ পোস্ট স্টিকি হল কিভাবে বুঝতে পারি নাই।

৯৬| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:৪০

ওঙ্কার বলেছেন: বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় নি, মাহিারী ইতোমধ্যেই তার মনে হওয়া নিয়ে কথা বলতে চলে এসেছেন...

৯৭| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:৪৫

উপপাদ্য বলেছেন: @ওঙ্কার ভাই বেশী হয়ে গেলো। রিকুয়েস্ট করার পরও যিনি রিকোয়েস্টের মূল্য দেন দেননা। তার সাথে অন্তত আর কথা বলা ঠিকনা। ধন্যবাদ।

৯৮| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:৪৫

নাম বলবো না বলেছেন: @মাহিরাহি:
"মাহিরাহি বলেছেন: এখানে পোষ্টের মুল সুর হলো নির্যাতিত রুমানা যেন সতবিচার পায় তারজন্য জনমত গড়ে তোলা।"

-লেখকতো জনমত নিরুতসাহিত করলেন, যারা জনমত গঠনের জন্য চেষ্টা করছে তাদেরকে দোষারোপ করলেন। আপনি আবার কোথায় পাইলেন পোষ্টের মূলসুর জনমত গড়ে তোলা? জবাব দিয়ে যাবেন দয়া করে। অপেক্ষায় থাকলাম।

২২ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:০২

উপপাদ্য বলেছেন: আমি ট্যাগিং করাকে নিরুৎসাহিত করেছি। কারন ট্যাগিং করলে সমস্যার চে ট্যাগিংকে মূল্যায়ন করা হয় বেশি। আমরা সমস্যার কারন উদঘাটন না করে মূল বিষয় থেকে ছিটকে পরি এবং এ কারনে আমাদের সমাজের হাজারো রুমানারা হারিয়ে যাচ্ছে ফোকাস থেকে।

কেবল মাত্র সুশাসনই দিতে পারে রুমানাদের জিবনের নিরাপত্তা। তাই রুমানার এঘটনার কারনে আমরা যেনো পুরুষ শাসিত সমাজের সরূপ না ভেবে সুশাসনের অভাব মনে করি। আর আন্দোলনটা হোক সুশাসনের জন্য।

৯৯| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:৪৬

গরীবের কথা বলেছেন: @লেখকঃ আপনার সুন্দর বিশ্লেষণের জন্য ধন্যবাদ। নারী বা পুরুষতন্ত্র - কোনটার ধুঁয়ো তুলে আসলে লাভ নেই। দরকার আইনের শাসন। নারী বা পুরুষ যেই অপরাধ করবে, প্রমাণ সাপেক্ষে বিচারের মুখোমুখি হবে - এটাই কাম্য। লিংগ বা '-তন্ত্রের' প্রভাব মুখ্য নয়।

তবে একটা কথা সত্য যে - আমাদের সমাজে এখনো নারীদের কন্ট্রিবিউশনকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। হোক সেটা পারিবারিক বা সামাজিক পরিমন্ডলে। এই বিষয়টাতে সমাজের পুরুষদের এগিয়ে আসার দায়িত্ব আছে। (আমি কিন্তু নারীবাদি না :|) চাকুরী ক্ষেত্রে বেতন বৈষম্য যেমন দেখা যায়, তেমনি দেখা যায়, গৃহণী মা'দের অবদানকে প্রায় অবজ্ঞা করা হচ্ছে।

---
আর একটা কথা না বল্লেই না - আপনার নিরপেক্ষ অবস্থান এবং কিছু সত্যকে সত্য বলার কারণে চিহ্নিত শ্রেণীর কিছু নিক (আমি ব্লগার বল্বো না, কারণ ব্লগে মাল্টি নিক কালচার প্রচলিত) চাচ্ছে আপনার এই পোস্টটাকে বিতর্কিত করতে। উদ্দেশ্য কিছুই না, স্টিকি থেকে এটাকে সরানো।

ভালো থাকুন।

২২ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:৫৭

উপপাদ্য বলেছেন: সম্পূর্ন সহমত।

আর শেষ প্যারাটা আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত মতামত। এখানে আমার বলার কিছু নাই।

১০০| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:৫০

মেঘনা পাড়ের ছাওয়াল বলেছেন: এমন দিনে তাছলিমা নাসরিনকে খুব মনে পড়ছে। তার প্রতিবাদী কন্ঠ আর লেখা।

১০১| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:৫৭

X-58807 বলেছেন: বুঝলাম আপনি নারীতন্ত্র বলতে নারী শাসিত সমাজের কথা বোঝাচ্ছেন। কিন্তু এই রকম কিছু দাবী এখন পর্যন্ত কেউ করেছে বলে জানা নেই। এখন পর্যন্ত সমান অধিকারের দাবীই আছে। সমান হবার পরে হয়তো এরকম দাবী আসতেও পারে। কিন্তু সেই ভয়ে সমতা আনার বিরোধিতা করাটা ন্যায়সঙ্গত হয় না।

এবার আপনার পোস্ট এর মূল বক্তব্যে আসি।
বিগত হাজার খানেক বছরের ইতিহাসে গেলে দেখবেন যে নারীহত্যা (বা নির্যাতন) কোনো অপরাধ বলে ধরাই হত না। বিশেষ করে বউ পেটানো এমনকি পিটিয়ে মেরে ফেলার জন্য বিচার হয়ে শাস্তি হয়েছে এমন ঘটনা বিগত হাজার বছরে দশটা খুঁজে বের করতে পারবেন না। এমনকি স্বাধীনতার পরেও ইন্ডিয়া এবং পাকিস্তান এর মধ্যে এমন ঘটনার উদাহরণ দেখাতে বললে আপনাকে সার্চলাইট নিয়ে খুঁজে বেড়াতে হবে। কিন্তু সেই একই সময়ে চুরি, ছিনতাই বা অন্য ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে বিচার এবং শাস্তির উদাহরণ অনেক অনেক বেশি। এই ব্যাপারটা আগের তুলনায় অনেকটাই বদলেছে কিন্তু এখনো দেশের একটা বিরাট অংশ এই ব্যাপারটাকে অপরাধ বলে মনেই করে না। কাজেই তাত্বিকভাবে ব্যাপারটা একটা অপরাধ মাত্র হলেও বাস্তব অন্য কথা বলে। আর যে অপরাধ বেশি মাত্রায় বার বার ঘটে সেটিকে সাধারণ অপরাধের থেকে আলাদা ভাবে মোকাবিলা করার সুযোগ দেশের আইনের মধ্যেই থাকে। এমনকি সেটির জন্য আলাদাভাবে আইন বানানোর সুযোগও থাকে। কাজেই এই ঘটনাকে আলাদা গুরুত্ব দেওয়াটা কোনোভাবেই বে-আইনি নয় এবং রাষ্ট্রিয় নীতির বিরোধীও নয়, বরং এটাই স্বাভাবিক। রাষ্ট্র, সংবিধান, আইন পরিষদ ইত্যাদি সব জায়গাতেই এটি স্বীকৃত পন্থা, যা অতীতে বহুবার অনুসরণ করা হয়েছে এবং বর্তমানেও পৃথিবীর সব দেশেই এইটাই করা হয়ে থাকে।

২২ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:১৪

উপপাদ্য বলেছেন: আপনি একটি প্রশ্নের উত্তর দিবেন, বলতে পারেন উন্নত বিশ্বে ক্যানো এমন ঘটনা ঘটেনা? এটা কি সুশাসনের জন্য নয়? আমি তেমনই একটা সুশাসনের জন্য লড়াইর কথা বলছি। আমি সাম্যের কথাও বলেছি।

আমি এও বলেছি সমাজটা পুরুষেরও নয়, সমাজটা নারীরও নয়। সমাজটা সবার। সমানাধিকারের ব্যাপারে আমার কখনো দ্বিমত ছিলোনা।

আমি নারীর যেসব ব্যাপারে অবস্থান দূর্বল সেসব অবস্থানে তাদেরকে শক্তিশালী দেখতে চাই। তবে আপনি চাইলেই সব জায়গায় সমান করতে পারবেননা। লিটারেলি একটা সাম্যাবস্থা হয়তো সম্ভব। কিন্তু সবক্ষেত্রে সাম্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। এটা হচ্ছে কাল্পনিক। মানব জাতির ইতিহাসে সব সময়ই কিছু না কিছু হলেও শ্রেণী বৈষম্য ছিলো। তবে প্রচেষ্টা চলছে, চলবেই। আমরা সেই প্রচেস্টারই অংশ।

তাই বলে সাইদের এই হত্যা প্রচেস্টা কোন ভাবেই নারীর সমানাধিকারের সাথে সম্পৃক্ত নয় বলে মনে করি। এটা একটা জানোয়ারের হিংস্রতা। এটা কখনোই হতোনা যদি আইনের ভয় থাকতো।

১০২| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:০৫

পারভেজ আলম বলেছেন: আপনের লেখার অন্যতম প্রধান একখানা বক্তব্য হইল যে অপরাধকে অপরাধ হিসাবে গণ্য করা উচিত, জেন্ডার অথবা ভিন্ন কোন শ্রেণীস্বার্থের জায়গা থেইকা দেখা উচিত না। এইটা মাইনে নিলাম। তবে ইউরুপ আম্রিকার যেই উদাহরণ দিলেন উহা ঠিক না। ঐসব দেশে পুরুষতান্ত্রিকতারে আমাদের দেশের চেয়ে অনেক চুল চেড়া হিসাব করা হয়, অত্যন্ত কঠোর ভাবে দোষারোপ করা হয়। তবে পুরুষতান্ত্রিকতা অথবা অন্যকোন তান্ত্রিকতা হিসাব কইরা আইনশাস্ত্রের কাজ করা উচিত না, আইন চলবে আইনের গতিতে, সবার লেইগা সমান, আপনের এই বক্তব্যও মাইনে নিলাম। কিন্তু কথা থাইকা যায়। যেই ইউরুপ আম্রিকার দিলেন সেই পশ্চিমা উদাহরণের সাপেক্ষে বলতে চাই যে আম্রিকায় "হেট ক্রাইম" বলতে একটা জিনিস আছে, রেসিজমগত জায়গা থেইকা কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে উহারে হেট ক্রাইম হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। খোদ আম্রিকায় ইহার সমালোচনা আছে, যেহেতু এইখানে বর্ণরে শ্রেণী হিসাবে গণ্য কইরা আইন প্রয়োগ হইতাছে এবং অনেকেই বলেন যে অপরাধ হইল অপরাধ, বর্ণের প্রশঙ্গ আইনা এইটারে আলাদা কোন আইনের আওতায় আনা উচিত না। কিন্তু সমস্যা হইল যে আম্রিকার বর্ণবাদী সমাজের বাস্তব অবস্থার কারণে এই আইন পরিবর্তন হইতাছেনা।

তো ঘটনা হইল যে আপনের সাথে আমি নৈতিক জায়গা থেইকা সহমত, আইনের চোখে অপরাধ হওয়া উচিত অপরাধ, শ্রেণী বিচার না করাই ভালো। কিন্তু এই যে আপনে এক রকম ঘোষনা দিয়াই দিলেন যে এই ঘটনার পেছনে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা অথবা পুরুষতান্ত্রিক মনমানসিকতার কোন দোষই নাই তখন আপনের এহেন ঘোষনার পেছনে যুক্তিগুলা কি? আপনে ক্যামনে শিওর হইয়া কইতাছেন যে রুমানার স্বামী সাইদএর এই অপরাধের পেছনে তার কোন রকম পুরুষতান্ত্রিক মনমানসিকতা কাজ করে নাই এবং সেই মনমানসিকতা আমাদের প্রচলিত সমাজ বাস্তবতার পুরুষতান্ত্রিক মনন থেইকা পরিপক্কতা লাভ করে নাই? নৈতিক জায়গা থেইকা সহমত হইলেও আপনের এই ঘোষনার বিরুদ্ধে আমি প্রবল নিন্দা জ্ঞাপন করতাছি। এবং দ্বিতীয় বিষয় হইল যে বাংলাদেশের বাস্তব অবস্থা বিচারে খুব সম্ভবত জেন্ডাররে শ্রেণী হিসাবে গন্য কইরা আইনের বাস্তবতা বেশ ভালো রকমই আছে। তা না হইলে ধর্ষন, ইভটিজিং, এসিড সন্ত্রাস, যৌতুক ইত্যাদি লিংগকেন্দ্রীক অপরাধের জন্যে আলাদা আইন বানানি লাগতোনা। আমি খুব খুশি হইতাম যদি বাসে মেয়েদের জন্যে আলাদা সিট না রাখা লাগতো, খুব খুশি হইতাম যদি সংসদে তারা সরাসরি নির্বাচন কইরা যাইতে পারতো, সংরক্ষিত আসনের দরকার পরতোনা। বাস্তবতা অবশ্য ভিন্ন কথা বলে।

এই ব্লগেই মানবীর পোস্টে এবং আরো বহু পোস্টে রুমানার স্বামীরে অপরাধের কারণ অনুসন্ধা করতে গিয়াও যে একটা বড় সংখ্যক ব্লগার রুমানারে দুশ্চরিত্রা বানানির লাইগা উইঠা পইরা লাগছিল উহা আপনের মতে কোন তন্ত্র থেইকা উৎসারিত বিষয়?

আপনের ঐ অন্যতম মূল বক্তব্যের সাথে নৈতিক জায়গা থেইকা সহমত জ্ঞাপনপূর্বক এও বলতে হয় যে এই পোস্টে এমন কোন জরুরি বা গুরুত্বপূর্ণ অথবা সমস্যা মোকাবেলার জন্য সহায়ক এমন কিছুই খুইজা পাইলাম না যাতে এই পোস্টটা স্টিকি হইতে পারে। বলতে পারেন, খানিকটা অবাকই হইলাম।

১০৩| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:২২

নাম বলবো না বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমরা সমস্যার কারন উদঘাটন না করে মূল বিষয় থেকে ছিটকে পরি এবং এ কারনে আমাদের সমাজের হাজারো রুমানারা হারিয়ে যাচ্ছে ফোকাস থেকে।

-হাসান সাঈদের স্বীকারোক্তি আর রুমানা ম্যাডামের বর্তমান চেহারা দেখার পরও আপনার ঘটনার কারন উদঘাটন করা বাকি আছে বলতে চান? মূল কারনটা তাহলে কি??

কেবল মাত্র সুশাসনই দিতে পারে রুমানাদের জিবনের নিরাপত্তা। তাই রুমানার এঘটনার কারনে আমরা যেনো পুরুষ শাসিত সমাজের সরূপ না ভেবে সুশাসনের অভাব মনে করি। আর আন্দোলনটা হোক সুশাসনের জন্য।

-রুমানা ম্যাডামের উপর পৈশাচিক হামলা কি আপনার কাছে পুরুষ শাসিত সমাজের সরূপ মনে হচ্ছে না?? একজন অকর্মন্য, অথর্ব্য লোক তার বউয়ের টাকায় খেয়ে-পরেও বউয়ের উপর এমন হায়েনার মত হামলা করার সাহস পেয়েছে কিভাবে, একমাত্র কারন হায়েনাটা পুরুষ, হায়েনাটা জানে রুমানার পক্ষে শারীরিক শক্তিতে কুলিয়ে উঠা কিছুটেই সম্ভব নয়।

আর আপনি কি বারবার এই কথাটা বলতে চান যে রুমানা ম্যাডামের জন্য আমরা যেন আন্দোলন না করি, জনমত গঠনের চেষ্টা না করি? তাই কি??

২২ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:৩২

উপপাদ্য বলেছেন: জনমত গঠন করতে আমি কি বারন করেছি? আমার এই লেখাটা কি এসব অপরাধের বিরুদ্ধে জনমত গঠনের জন্য নয়? আমি বারন করেছি ট্যাগিং করতে। সাইদের এই পিশাচিক হামলা শুধুই সে যে একজন পুরুষ তার বহিপ্রকাশ বলে মনে করেন কেন?

আবারো বলছি আপনার কি মনে হয়না আইনের ভয়, শাস্তির ভয় থাকলে সাইদ যেমন এটা করতো না, র‌্যাবও লিমনের পায়ে গুলি করতোনা, সনজিতাকেও তার স্কুল শিক্ষক বন্ধের মধ্যেও ডেকে নিতোনা।

১০৪| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:২৯

ওয়াহিদ০০১ বলেছেন: কমেন্ট করতে যেয়ে দেখলাম অনেক বড় হয়ে গেছে। তাই আলাদা পোস্ট দিলামঃ
Click This Link

১০৫| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:৩৫

বাক স্বাধীনতা বলেছেন: জনমতের পাশাপাশি চাই সচেতনতা। একজন রুমানা ম্যাডাম নয়- সকল মানুষের উপর (শুধু নারী নয়) অন্যায় হামলার বিরুদ্ধে আমাদেরকে জনমত গড়ে তুলতে হবে।

১০৬| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:৩৯

পারভেজ আলম বলেছেন: আরো কিছু কথা না কইলেই না। তা হইল যে, রুমানা'র ঘটনা কোন বিচ্ছিন্ন অপরাধ না। বাংলাদেশে এইরকম স্ত্রী নির্যাতন, লাঞ্চনা আর খুনের ঘটনা বছরে কয়টা হয় আমি তার হিসাব জানিনা, তবে এর সংখ্যা নেহায়েত কম না, আর তা পত্রিকার পাতা খুললেই পাওয়া যায়। স্বামী নির্যাতন কইরা স্ত্রীরে হত্যা কইরা ফেলছে এবং তারপরে ফাসীতে ঝুলায়া দিছে এইরকম ঘটনা কাড়ি কাড়ি ঘটে বাংলাদেশে, এর একটা বড় সংখ্যাই ঘটে যৌতুকের দাবীতে। এইগুলারে কি আপনের কোন বিশেষ প্যাটার্নের অপরাধ মনে হয় না? আপনে কি এরমধ্যে পুরুষতান্ত্রিকতা খুইজা পাননা? এত হত্যা নিপিড়নের পরেও রুমানার ঘটনা কেন এত আলোচিত। দুঃখজনকভাবে এইটার সাথে শ্রেণীর সম্পর্ক আছে। বাংলাদেশের প্রতিনিয়ত নির্যাতিত নারীরা সবাই রুমানার মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা না, তাই পত্রিকার একটা এক কলামের সংবাদের বেশি প্রচার তারা পায়না। তাদের নিয়া দিনের পর দিন ব্লগে স্টিকি পোস্টও ঝুলেনা। রুমানার ঘটনা এই কারণে স্পেশাল হইতে পারে যে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে পড়াশোনা করা শিক্ষিত শ্রেণীতেও পুরুষতান্ত্রিকতার যেই প্রবল বিস্তার তা আমাদের চোখে অনেকটা আঙুল দেয়া দেখানো হইয়া যায়। যদিও এত চোখে আঙুল দিয়াও বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষিত সমাজের পুরুষতান্ত্রিকতা দেখানোর দরকার নাই, চোখ থাকলে তার ভুরি ভুরি নজির দেয়া যায়। এমনকি বাংলাদেশের গলা ফাটানো প্রবল প্রতাপশালী মুক্তমনা নারীবাদী বুদ্ধিজীবীদের অনেকের স্ত্রীরাও কেনো সারা জীবন গৃহকর্তী হিসাবে কাটায়া দিলেন সেই প্রশ্নটা বহু নারীবাদী তকমায় আগ্রহী পুরুষও করেনা।

নারীবাদী তকমায় আগ্রহ আমার নাই। প্রবল পুরুষতান্ত্রিকক সমাজে জন্ম নেয়া পুরুষ হিসাবে হয়তো মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সমসাময়িকতার পুরুষতান্ত্রিকতার সবকিছু প্রবল ইচ্ছা সত্ত্বেও আমি বর্জন করতে পারবোনা, এইটা আমার বড় হওয়ার সাথে সাথে কগনেটিভ লার্নিংএর মাধ্যমে মানুষ হইয়া ওঠার সাথে সম্পর্কিত। কিন্তু জাইনা শুইনা বুইঝা এর বিরুদ্ধে ফাইট দেয়া বন্ধ করাটাতো নৈতিক হবেনা।

আপনের উপরের কিছু মন্তব্যে দেখলাম যে আপনে সাম্যবাদী কোন ইউটোপিয়া অথবা অপরাধহীণ কোন সমাজের বাস্তব অস্তিত্বে ভরষা রাখেন না। এমনটা আমিও রাখিনা। অন্তত মানুষ যতদিন হোমো সাপিয়েন্স থাকবে ততদিন এমনটা হওয়া সম্ভব না। তাই বইলা অপরাধের সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষন বাদ দিয়া আইন প্রয়োগ করতে হবে এইটা ঠিক কেমনতর যুক্তি তা আমার বোধগম্য হইলনা।

২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:০২

উপপাদ্য বলেছেন: আমি রুমানা বলবো না বলবো সাইদের পৈশাচিক এ হামলা অবশ্যই কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আমি কোথাও বলিনি এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। বরং বলেছি সমাজে এ জাতীয় অপরাঢ শ অন্যান্য অপরাধ গুলি একই সূত্রে গাঁথা। অপরাধের গুস্টি নিয়ে কথা বলেছি। বলেছি কেনো মানুষ এমন অপরাধ করে।

ইভেন এ থেকে বের হওয়ার রাস্তাও বলে দিয়েছি। বলেছি সুশাসন দরকার, মনুষত্ব দরকার। তা নাহলে যেমন রুমানারা বাঁচবেনা তেমনি হরতালের আগের দিন মানুষ মারাও বন্ধ হবেনা।

আর কগনিটিভ লার্নিং এর ব্যাপারটা যখন বল্লেন তখন বলতে হবে আমাদের দেশে এই প্রসেসটা খুবই দূর্বল এবং এ প্রোসেসে নৈতিকতার বিষয়টা এড়িয়ে যাওয়া হয়।

আপনার আগের কমেন্টের জবাব দেই নি কারন ওটা ব্যাঙ্গাত্মক মনে হয়েছে। ধন্যবাদ।

১০৭| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:৪৪

বাক স্বাধীনতা বলেছেন: সবাই যে কেন খামোখা ত্যানা প্যাঁচাইতেছে বুঝতাছি না। নারী আর পুরুষের সবচেয়ে বড় পরিচয় সে মানুষ। রোমানা ম্যাডামকে বাঙালির চিরায়ত সমস্যা 'যৌতুকের' জন্য আঘাত করা হয়নি, করা হয়েছে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে। এখানে বাস্তবিকই ট্যাগিং করার কিছু নেই। হত্যাচেষ্টাকারীর বিচারে যে শাস্তি হওয়া উচিত- এখানে তাই হবে।

১০৮| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:৫১

ওয়াহিদ০০১ বলেছেন: ঢাবি শিক্ষিকা রুমানা ম্যাডাম চরম বর্বর পারিবারিক নির্যাতনের স্বীকার। এই ইস্যুতেও সামুর ব্লগাররা গুরুত্বপূর্ণ প্রসংশনীয় ভুমিকা রেখেছে। আমাদের সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও যে কয়েকটি বিষয় আমাদের পৃথিবীর অন্যসকল দেশের চেয়ে অনেক অনেক পিছিয়ে রেখেছে সেগুলো হচ্ছে, দুর্নীতি আর পারিবারিক (বিশেষত নারী) নির্যাতন। এই সকল সামাজিক রোগের পেছনে কারণ অবশ্যই একটি নয়, একাধিক, ক্ষেত্রবিশেষে শতাধিক। কোন কারণটি মূখ্য আর কোন কারণটি গৌন, সেটা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু তার পরও মূল কারণগুলো আইডেন্টিফাই করা সম্ভব।

পারিবারিক নির্যাতনের একটি ট্রেন্ড হচ্ছে, এর স্বীকার মূলত নারীরা, অতঃপর শিশুরা। পুরুষরাও অনেক ক্ষেত্রেই পারিবারিক নির্যাতনের স্বীকার। এর অন্যতম কারণ হিসেবে পুরুষতান্ত্রিকতাকে দায়ী করাই যায়। রুমানার ঘটনার পেছনে পুরুষতান্ত্রিকতার দায় কতটুকু, তার স্বামী(?) সাঈদের অসুস্থ মানসিকতা/হতাশার দায় কতটুকু, আর তাদের পারস্পরিক সম্পর্কের দায় কতটুকু তা নিয়েও বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু এগুলোর কোনটার প্রভাব ছিল না তা আমরা হলফ করে বলতে পারি না।

পুরুষতান্ত্রিকতা নিয়ে শিক্ষিত সমাজের মধ্যেও কিছু ভুল ধারণা কাজ করে। পুরুষতান্ত্রিকতার বিরোধীতা করা মানেই পুরুষের বিরোধীতা করা নয়। পুরুষতান্ত্রিকতাকে দায়ী করা মানেই পুরুষদের দায়ী করা নয়। ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে জানি, মেয়েরা অনেক ক্ষেত্রে এভারেজ পুরুষদের চেয়ে ঢের বেশী পুরুষতান্ত্রিক। পুরুষমাত্রই পুরুষতান্ত্রিক নয়, আবার নারীরা পুরুষতান্ত্রিক হতে পারে না, তাও নয়। যখন কোন মা তার ছেলে সন্তানকে সবচে ভালো খাবারটা তুলে দেয়, মেয়েকে বঞ্চিত করে, তখন সেও পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার বশবর্তী। যখন কোন শাশুড়ি তার শিক্ষিত পুত্রবধুকে কর্মজীবি হতে বাঁধা প্রদান করে শুধুমাত্র সে মেয়ে বলে, তখন সে নিজেও পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা প্রদর্শন করলো। যখন একজন হাসান সাঈদ স্ত্রীর সাফল্যে খুশি না হয়ে বরং ঈর্ষা অনুভব করে, হতাশাক্রান্ত হয় এই ভেবে যে, তার স্ত্রী নারী হয়েও তার, অর্থাৎ পুরুষের চেয়ে সফল হয়ে গেল; তখন সেও পুরুষতান্ত্রিকতায় আক্রান্ত। পুরুষতান্ত্রিকতা কোন কাল্পনিক বিষয় বা "মিডিয়ার সৃষ্টি" নয়, সম্পূর্ণ বাস্তব বিষয়, যা আমরা আমাদের চারিদিকের বায়ূমন্ডলের মত প্রতিনিয়ত অনুভব করি।

অন্যান্য পোস্টের সাথে স্টীকি পোস্টের পার্থক্য হচ্ছে, স্টীকি পোস্ট ব্লগ কর্তৃপক্ষের মনোভাব ব্যাক্ত করে। ব্লগার মানবীর একটি চমৎকার পোস্ট স্টীকি করে সামহোয়ারইন কর্তৃপক্ষ পারিবারিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে তাদের সদিচ্ছা প্রকাশ করেছিল। ঠিক তার বিপরীত কাজটি করলো, 'কলমের খোঁচায়' পুরুষতন্ত্রের মত একটি প্রতিষ্ঠিত, চরম প্রভাবশালী সামাজিক তন্ত্রকে অস্বীকারকারী একটি পোস্টকে স্টীকি করে। লেখককে দোষ দিব না, কারণ অনেকেই এরকম ভুল ধারণার বশবর্তী। কিন্তু সামু কর্তৃপক্ষ তাদের নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিল 'ভুল ধারণাপ্রসুত' একটি পোস্টকে স্টীকি করে।

১০৯| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:৫৫

পারভেজ আলম বলেছেন: আবারো বলছি আপনার কি মনে হয়না আইনের ভয়, শাস্তির ভয় থাকলে সাইদ যেমন এটা করতো না, র‌্যাবও লিমনের পায়ে গুলি করতোনা, সনজিতাকেও তার স্কুল শিক্ষক বন্ধের মধ্যেও ডেকে নিতোনা।

এই মন্তব্য আমারে করেন নাই, কিন্তু হয়তো জবাবে আনতে পারেন তাই আগেই এই নিয়া আলোচনা করতে চাই। শুধু আইনের ভয় থাকলে সমাজে অপরাধ কমেনা, একেবারে বন্ধ হওয়ার আলোচনা হিসাবের বাইরে রাখলাম। ভয়এর সাথে সাথে শ্রদ্ধাও থাকতে হয়। শ্রদ্ধা না থাকলে শ্রেফ ভয়ে কোন কাজ হয় না, তেমন হইলে বাংলাদেশে সবসময় সামরিক শাসনই থাকতো, গণঅভ্যুত্থান কইরা মানুষ গণতন্ত্র আনতোনা। এখন ঘটনা হইল যে আইনের সাথে যদি সমাজের মানুষের কালেক্টিভ মেন্টালিটির ঘনিষ্ট সম্পর্ক গইড়া না উঠে তাইলে শুধু আইনের সঠিক প্রয়োগের মধ্য দিয়া কোন সমস্যার সমাধান হয়না। আপনের হাতে তখন দুইটা উপায় থাকে, হয় পুরাপুরি মানুষের কালেক্টিভ মেন্টালিটি উপরে আইন তৈরি ছাইড়া দেয়া অথবা বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি যারা আইন তৈরি করেন তাদের ঐ আইনের যৌক্তিকতা মানুষের কাছে ব্যাখ্যা কইরা কালেক্টিভ মেন্টালিটিতে পরিবর্তন আনা এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তৈরি করা। বাংলাদেশে এই চর্চা নাই বইলাই সংবিধানে একিসাথে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাইখা এবং সংবিধানের কোথাও ইসলামী শরিয়ার ব্যাবহার না কইরাও মানুষরে যা খুশি তাই বুঝ দিয়া রাখা যায়। আপনের এই লেখটা হইছে ঐরকম একটা বুঝ দেয়ার মতো।

নারী নির্যাতন বাংলাদেশের সমাজে একটা জাজ্জ্বল্যমান বাস্তবতা, এবং এর পেছনে পুরুষতান্ত্রিক কালেক্টিভ মেন্টালিটিরে পুরাপুরি হিসাবের বাইরে রাখার চেষ্টাটা অন্ধত্ব ছাড়া আর কিছু হইতে পারেনা। আপনে কেন এইটা করতে চাইতাছেন? আপনের লেখাতেই পুরুষ জাতি আর পুরুষতান্ত্রিকতা আপনে গোলায়া ফেলছেন এক কইরা। এই গড়লটাকি আপনি বুঝতে পারতাছেন?

২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:১০

উপপাদ্য বলেছেন: আমি আমার লেখায় পুরুষ জাতি ও পুরুষতান্ত্রিকতা গুলিয়ে ফেলিনি। বরং যারা ট্যাগিং করেন তারা পুরুষতন্ত্র বিষয়টাকে এমনভাবে চিত্রায়িত করেন যে মনে হয় পুরো পুরুষ সমাজকেই শাসাচ্ছেন। এবং এরা একটা সুবিধাবাদী শ্রেনীর লোক। এদের কাজই হচ্ছে বিভেদ ছড়ানো।

আপনার কমেন্টগুলো এমন যে আপনি আমাকে আনকনসাসলি সাপোর্টও দিচ্ছেন আর আমার ব্লগীয় ঠিকুজির কারনে বিরোধীতাও করছেন। মজার ব্যাপার।

১১০| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:৫৬

বাল্মীকি বলেছেন: আম্রিকা কালোদের অধিকার নিয়ে গৃহযুদ্ধে লিপ্ত হইছিলো ক্যান? সাদারা কালোদের সাথে যে অপরাধ করছিলো তাতো আইন-আদালত সংস্কার করে, পুলিশ দিয়ে বন্ধ করার চেষ্টা করা যেত।

কারণ কিছু অপরাধ দৃষ্টিভঙ্গী থেকে হয়, অপরাধের মোটিভ থাকে দৃষ্টিভঙ্গীর মধ্যে। এই ধরণের অপরাধ শুধু আইন-আদালত দিয়ে বন্ধ করা সম্ভব না।

কোথাও জাতিগত, ধর্মীয় দাঙ্গা হলে সেটা আদালতের এবং সুশাসন এর ব্যাপার বলে ঘুমিয়ে থাকলে সেটা বন্ধ হয় না।
যত সুশাসন আর যত আদালতই থাকুক, মানুষের চেতনায় নাড়া দিতে না পারলে এই ধরণের অপরাধ বন্ধ হয় না।
টুইন টাওয়ার হামলার পর আম্রিকায় মুস্লিমরা যে ইন্সট্যান্ট প্রতিক্রিয়া পাইছিলো, সেটা কিন্তু আদালত/পুলিশ দিয়ে বন্ধ করা সম্ভব ছিলনা।


দেশে কয়টা পুরুষ এসিড নিক্ষেপের শিকার হয়?
কয়টা পুরুষ রেপড হয়?
কয়টা পুরুষ টিজিং এর কারণে সুইসাইড করে?
কয়টা পুরুষ যৌতুকের কারণে খুন হয়?


এই ধরণের আরও অনেক প্রশ্ন করা যায়। উপ্রের কয়টা বল্লাম কারণ এইগুলা পত্রিকায় আসে, পত্রিকায় আসে না এইধরণের টর্চার এর সংখ্যা অনেক বেশি।


মেয়েরা এইখানে কি সুশানের অভাবে অত্যাচারিত হচ্ছে? নাকি পুরুষরা মেয়েদের প্রতি যে দৃষ্টিভংগী পোষণ করে তার কারণে তারা ভিক্টিম?
যদি সুশাসনের কারণে অত্যাচারিত হত, তাহলে উপ্রের সমস্যাগুলো পুরুষও ফেস করতো।

সুশাসন নিশ্চিত করলে অপরাধী পুরুষ অপরাধের শাস্তি পাবে। কিন্তু অপরাধ করার পর শাস্তি দেয়ার চাইতে যাতে অপরাধ না হয় সেটা নিশ্চিত করা জরুরী এবং সেটা পুরাই দৃষ্টিভংগীর উপর নির্ভরশীল।

আপনি পশ্চিমের দিকে তাকান সেখানে সুশাসন থাকার পরও নারী নির্যাতন অহরহ হচ্ছে।

সুশাসন আমরা সবাই চাই, সুশাসন অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করতে পারে, অপরাধ কমাতে পারে না।
যার প্রমাণ ইউএসএ। ইউএসএ তে প্রতি দশজনের জন্য একজন করে পুলিশ। সেখানে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত হচ্ছে পূর্বের চাইতে বেশি হারে এবং অপরাধের হারও একইতালে বেড়ে গেছে।

২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:১৫

উপপাদ্য বলেছেন: টুইন টাওয়ারের ঘটনাটা যদি ভারতে ঘটতো তাহলে কি হতো বলে আপনার মনে হয়। স্রেফ একটা ম্যাসাকার হয়ে যেতো। আপনার কি মনে হয়না এটা আমেরিকা বলেই ওখানে কোন গৃহযুদ্ধ হয়নি??

সুশাসন থাকার পরেও নারী নির্যাতন হচ্ছে কম্পারেটিভলি চিন্তা করলে কিছুই নয়।

সুশাসন অবশ্যই অপরাধ কমাতে পারে। তাই বলেইতো পৃথিবীজুড়ে সুশাসনের জন্য আন্দোলন।

১১১| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:২৮

সজীব আকিব বলেছেন:


রুমানার অন্ধত্ব হয়ত আর ঘুচবে না, কিন্তু যারা অন্ধ নন তারা দেখতে শিখবেন কবে?

১১২| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:৩২

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: লেখক কি পুরুষতন্ত্রের অস্তিত্বই নাই দাবী করছেন? নাকি এই ধরনের ঘটনার পিছনে সেই তন্ত্রের কোনো ভূমিকা নাই দাবী করছেন? যেটাই করুন সেই দাবীর পিছনে কিছু তথ্যপ্রমাণ না দিলে কিভাবে চলবে? অবশ্য আপনি যদি রবীন্দ্রনাথের বা নজরুলের মতন সাহিত্য সৃষ্টি করতে চান তবে যুক্তি-প্রমাণ না দিলেও চলে। সেক্ষেত্রে সামুর মডুদের ধন্যবাদ, একটি সুন্দর গল্প স্টিকি করার জন্য। :P

১১৩| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:৩৩

একাকি একজন বলেছেন: ১০০% পারবে না।

১১৪| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:৩৬

নাজনীন১ বলেছেন: "রোমানা ম্যাডামকে বাঙালির চিরায়ত সমস্যা 'যৌতুকের' জন্য আঘাত করা হয়নি, করা হয়েছে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে। এখানে বাস্তবিকই ট্যাগিং করার কিছু নেই।"



@ বাক স্বাধীনতা, আপনার এই অবজার্ভেশনে ভুল আছে। আপনার মতো আরো যারা এরকম ভাবছে তারাও ভুল করেছে।

সাইদ ক্যাডেট কলেজ থেকেও বিতাড়িত হয়েছে, সে কি কোন ক্যাডেটের ছাত্রকে এতো বছরে আক্রমণ করেছে?

সাইদ বুয়েটের পড়া শেষ করতে পারেনি, সে কি কোন বুয়েটিয়ানকে এযাবৎ আক্রমণ করেছে?

সাইদ চোখে কম দেখতো, সে কি আর কোন অন্ধকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়েছে?

সাইদ শেয়ার ব্যাবসায় লস খেয়েছে, সে কি আর কোন ব্যবসায়ীকে খুন করার চেষ্টা করেছে?

কিন্তু সে তার স্ত্রীকে মিথ্যে তথ্য দিয়ে বিয়ে করেছে, বিয়ের প্রথম থেকেই সে তার স্ত্রীর গায়ে হাত তুলতো, এবার রুমানা যখন কানাডা থেকে ফিরেছে তার দশদিনের মাথাতেই সাইদ রুমানাকে মেরেছে, এরপর তো একেবারে খুন করার চেষ্টা। রুমানা তার স্ত্রী বলেই সে এটা করেছে।




কেমন করে এটাকে কেবল একজন মানুষের প্রতি আরেকজন মানুষের ব্যাক্তিগত আক্রোশ ভাবছেন আপনারা???!!!

২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:২০

উপপাদ্য বলেছেন: আমি রুমানা কিংবা সাইদের রেকর্ডে হাত দেওয়ারতো দরকার দেখছিনা। আমি বলছি সাইদ বিচারের সম্মুখীন করে একটা দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক এবং পাশাপাশি সকল ধরনের অপরাধের ব্যাপারেও কঠোর মনোভাব নিক সরকার দেখবেন আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ভালো হবে। অপরাধ কমে আসবে।

আমার এ পোস্টি শুধু মাত্র একজন সাঈদের বিরোদ্ধে নয় আমাদের সমাজে সকল সাঈদের বিরোদ্ধে। কেন সাঈদেরা এমন সাহস পায়??

১১৫| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:৪২

বাতাসের রূপকথা বলেছেন: মেয়েরা মায়ের জাত আর পুরুষেরা বাবার জাত - পার্থক্য শুধু অপরাধীরা। অপরাধীরা কোন নারী-পুরুষ বিভাজনের মধ্যে নাই।

এই একই সময়ে বরিশালে আরেকটা মেয়ের জীবনে গেল স্বামীর পাশবিকতায়, কই ছিটেফোটা সুশীলগিরি দেখতে পাই নাই। রুমানাকে নিয়ে সরব, কারন সে একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সুশিক্ষিতা নারী।

আমার মনে আছে মুনির খুকুর ঘটনা । খুকু স্বনামধন্য এবং স্বাধীনতায় শহীদ হওয়া সাংবাদিকের মেয়ে হওয়ায় কেমন কলম চলেছিল ডা: মেহেরুন্নেছার ছেলের শাস্তির জন্য এবং দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হয়েছিল। এরপর অনেক নারকীয় ঘটনা সমাজে চললেও সাংবাদিক এবং সুশীল সমাজের কলম সেভাবে কখনো চলতে দেখা যায় নাই। এখন রুমানাকে নিয়ে চলবে, কারন সেই একই বিষয়। এরপর প্রতিদিন অনেক নারকীয় তান্ডব জানা যাবে শুধু পত্রিকার হেডলাইন পড়ে।

উচিৎ হবে স্বার্থপর বিচার আর সমাজ ব্যবস্থা শুদ্ধির জন্য কলম চালিয়ে যাওয়া। পশ্চিমা দেশে এরকম পুরুষ কর্তৃক নারী এবং নারী কর্তৃক পুরুষ নির্যাতনের ঘটনা দেখা যায় অজস্র, কিন্তু আইন অপরাধীর শাস্তির জন্য নিজস্ব গতিতে চলে। ফলে নারীয়তাবাদ আর পুরুষতাবাদ মাথাচারা দিয়ে উঠে না। কারন আছে দুইটা পক্ষ - মায়ের জাত এবং বাবার জাত। একটাকে ছাড়া আরেকটা অচল।

২৩ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৪

উপপাদ্য বলেছেন: অপরাধ নির্মূলে আমাদের সরকার আন্তরিক হলে রুমানা কিংবা শারমীন কাউকে নির্যাতিত হতে হবে না।

১১৬| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:৪৬

সজীব আকিব বলেছেন: রুমানার অন্ধত্ব হয়ত আর ঘুচবে না, কিন্তু যারা অন্ধ নন তারা দেখতে শিখবেন কবে?



সামুতে যখন কোনো পোস্ট স্টিকি হয় তখন তা সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। কোনো পোস্ট স্টিকি হওয়ার মানে হল এ পোস্ট কোনো একটি বিশেষ কারণে গুরুত্বপূর্ণ বা অতি গুরুত্বপূর্ণ। একটি মেয়ে নৃশংসভাবে তার স্বামী কর্তৃক নির্যাতিত হয়ে দুটি চোখই হারিয়ে বসেছে, যেকোনো মানব দরদী তাতে বিচলিত না হয়ে পারেন না। কিন্তু পোস্ট দিয়েছেন-
“চোখ হারানো রুমানা কি পারবে আমাদের সবার অন্ধত্ব ঘোচাতে? রুমানাকে নিয়ে তন্ত্র ব্যবসা বন্ধ হোক”

আর এটা স্টিকি করা হয়েছে। কী গুরুত্ব-পূর্ণ পোস্ট না এটা!

শিরোনামটাই আপত্তিকর। কেন, রুমানাকে কেন সবার অন্ধত্ব ঘুচাতে হবে বরং সবার কি উচিত নয় একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রুমানার অন্ধত্ব ঘুচিয়ে দেয়া? বিশেষ করে যেসব সুশীল রুমানার নির্যাতনকারী স্বামীর প্রতি বিভিন্ন কৌশলে সহানুভুতি প্রকাশ করছেন তারা কি কোনোভাবে পারবেন রুমানার অন্ধত্ব ঘুচাতে? আর রুমানাকে নিয়ে তন্ত্র ব্যবসা আবার করছে কে? আমরা সবাই মেয়েটির প্রতি সহানুভুতি দেখাচ্ছি যা মানুষ হিসাবে আমাদের দায়িত্ব তা-ই হয়ে গেল তন্ত্র ব্যবসা?

কোনো নারী নির্যাতিত হলেই আমাদের সমাজে নারীর চরিত্র হননের ধুম পড়ে যায়। রুমানার কোথাকার কোন পুরুষের সাথে সম্পর্ক থাকার কথা নরপশু সাইদ বলেছে আর অমনিতেই তা আপ্তবাক্যে পরিণত হল। আমি ভাবছি, এমনকি রুমানাকে যদি পুরোপুরি সুস্থ করা যেত তারপরেও তিনি আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারতেন না তার উপর নানাবিধ উদ্ভট অপবাদের দরুন। আরেকজন পোস্ট দিয়েছেন, “সাঈদকে শয়তান আর রুমানাকে দেবী ভাবা ঠিক হবে না” । আমি বুঝি না, এরকম জঘন্য অপরাধের পরও সাইদকে ‘শয়তান’ ভাবা কেন ঠিক হবে না। আর রুমানাকে দেবী ভাবছে কে? এইসব আবলামি কথাবার্তা শোনলে একদম জায়গামত কইস্যা লাথি লাগাতে ইচ্ছে করে। বাইরের কোনো একটা পুরুষের সাথে সম্পর্ক থাকলেই তা হয়ে যায় পরকীয়া, হায় সেলুকাস!!

এখন কথা হল, নারীর প্রতি এ ধরণের নির্যাতনের সাথে পুরুষতন্ত্রের যোগ কি? আমাদের সমাজ পুরুষতান্ত্রিক, এখানে আমাদেরকে একদম ছোটবেলা থেকে শেখানো হয় পুরুষরাই শ্রেষ্ট, পুরুষরা নারীর উপর কর্তৃত্ব করতে পারে ইত্যাদি। আমরা পরিচিত হই বাবার পরিচয়ে। একজন নারী উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে তার ভাইয়ের অর্ধেক পেয়ে থাকেন আর তা করা হয় ধর্মের দোহাই দিয়ে। আর কোনো ক্ষেত্রে ধর্মকে মানেন আর না মানেন বিয়ের ক্ষেত্রে, উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে ধর্ম আসবে কারণ এটা দিয়েই অতি উত্তম রুপে নারীদের দমিয়ে রাখা যায়।

স্বভাবতই একটি পুরুষতান্ত্রিক সমাজে একজন পুরুষ চায় তার স্ত্রী চলবে তার কথামত, তার কথায় উঠবে আর তার কথায় বসবে, স্ত্রীর বাইরের কোনো পুরুষের সাথে কোনোরুপ সম্পর্ক থাকবে না। যে মেয়ে তা মানবে না তাকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। ‘নারী নির্যাতন’ কথাটাই একটু ভাবুন। এ কথাটির এত প্রয়োজন কেন? কারণ নারী-ই মূলত নির্যাতিত হয় একটি পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এবং প্রায়ই তা হয় বিভৎস। সমাজকে সুস্থ রাখার জন্য তাই মানবতাবাদীরা নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার।

এখন ‘নারী নির্যাতন’ কে যদি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অনাচার বলে না ধরা যায় তবে কালোদের উপর সাদাদের অত্যাচারকে কেন বর্ণবাদী আচরণ বলা হবে? ভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকদের উপর নিপীড়নকে, তাদের প্রতি খারাপ দৃষ্টিভঙ্গি পোষণকে সাম্প্রদায়িকতা বলা হয় কেন? অপরাধ শুধু অপরাধ নয়। এর পেছনে কারণ থাকতে বাধ্য।

আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীদের বিষয়ে খুব একটা সচেতন কোনোদিনও ছিল বলে মনে হয় না। যদি বাইরের জগতের চাপ ও সহযোগিতা আমাদের উপর না থাকত তবে এখন আমাদের নারীসমাজের যে রুপ দেখতাম তা কল্পনারও অতীত। অত্যন্ত অবোধগম্য ব্যাপার হল, একটি সমাজের অর্ধেককে ঘরে বন্দি রেখে সমাজের যে উন্নয়ন সম্ভব নয় তা বুঝতে পুরুষতান্ত্রিক সমাজগুলো এত বেশি সময় কেন নিচ্ছে?

রুমানা একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। হ্যা, তার কাজ ছিল মানুষকে আলোকিত করা, মানুষের অজ্ঞানতাজনিত অন্ধত্ব ঘোচানো। তিনি দৃষ্টিসম্পন্ন থাকলে এ কাজ চালিয়ে যেতে পারতেন নির্দ্বিধায় এবং কেউ এ ধরণের গুপ্তকেশ পোড়ানি সুশীলতা দেখিয়ে কোনো পোস্ট দিতে পারতেন না যার শিরোনাম “চোখ হারানো রুমানা কি পারবে আমাদের সবার অন্ধত্ব ঘোচাতে? রুমানাকে নিয়ে তন্ত্র ব্যবসা বন্ধ হোক” আর তা স্টিকিও হত না সামুর মত একটি ব্লগে।

টিউটোরিয়াল :: কিভাবে লিখবেন একটি পুরুষবাদী পোস্ট!

এ কাদের কবলে আমাদের প্রিয় সামহোয়ারইন ব্লগ!

২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:২৯

উপপাদ্য বলেছেন: তিউনিসিয়ার মুহাম্মাদ বুআজিজির কথা মনে পড়ে। যে কিনা ২৩ বছরের ডিক্টেটরশিপ ধংস্স করে দিয়েছে। মিডল-ইস্টের চলমান আন্দোলনের আইকন সে।

আমার শিরোনাম শুধু এটা বলতে চেয়েছে আসুন রুমানার হাত ধরে আমরা সমাজটাতে আলো নিয়ে আসি।

ধন্যবাদ

১১৭| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:৪৯

বাতাসের রূপকথা বলেছেন: ভুল সংশোধন: উপরের মন্তব্যে "খুকু"র পরিবর্তে "শারমীন রীমা" হবে।

১১৮| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:১০

বৈকুন্ঠ বলেছেন: আপনি বল্লেন সমাজ আমাদের সবার। নারীরওনা পুরুষেরওনা। কিন্তু পুরুষতন্ত্র শব্দটায় আপ্নার ভীষন ভিতী। আপনার ভয়ের কারনটা হচ্ছে যদি বাইচান্স এই পুরুষতন্ত্রটা চলে গিয়ে তার পরিবর্তে নারীতন্ত্র চলে আসে!!!?? কেন ভাবেন্না যে এই পুরষতন্ত্রটাই হয়তো সমাজকে নারীপুরুষ সবার হতে দিচ্ছেনা। আপনার ভয়, আজকে সাঈদ তার বৌকে অন্ধ করেছে কাল যদি আপনার স্ত্রী আপনাকে অন্ধ করে দেয়?!! না!!!! এটা কিছুতেই হতে দেওয়া যাবেনা!!!!!!
কেন ভাবছেন যে পুরুষতন্ত্রের অবাসান মানেই নারীতন্ত্রের আবির্ভাব??? কেন মনে করেন্না যে এই পুরুষতন্ত্র বা কল্পিত নারীতন্ত্রের অবসান হলেই সমাজ নারীর এবং পুরুষের সমাজ হতে পারে?
আজকে রুমানা মন্জুরকে ঘিরে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমগুলাতে যা হচ্ছে তা নিয়ে অনেক কথাই বলার আছে এবং আপনি বলেছেনও। এটা প্রশংসনীয়। কিন্তু নারীনির্যাতন বলে একটা জিনিষ যে আছে সেটা অস্বীকার করলেতো চলবেনা। সমস্যার অস্তিত্বই যদি অস্বীকার করেন তবে সমাধানতো দুরস্থই থেকে যাবে।

২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৩২

উপপাদ্য বলেছেন: আমার ভীতি সব কিছুর মধ্যে এমন তন্ত্র খোজার চেস্টা করাকে।

৪৭ এর উত্তর দেখুন।

ধন্যবাদ

১১৯| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:১৪

অ-বুদ্ধিজীবী বলেছেন: পারভেজ আলম এর কমেন্টই ভাল্লাগছে, আর সব হইছে ত্যানা প্যাচানি...

লেখক@ আপনি কিছু শব্দ এই পোস্ট থেকে বাদ দিয়া লেখলেই একটা বিশেষ শ্রেনীর গুতাগুতি থেকে বাচতেন...

২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৩৩

উপপাদ্য বলেছেন: কিছু শব্দ আর আমার ঠিকুজির কারনেই অনেকে বিরোধীতা করছেন।

ধন্যবাদ।

১২০| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:১৫

বাল্মীকি বলেছেন: সামুর মডু@ কমপ্লান খান, লম্বা হোন।

১২১| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:২৬

ভারসাম্য বলেছেন: ক্যাচালতো ভালই চলতেছে। যদিও পোষ্ট এর বক্তব্যের সাথে যথেষ্ট সহমত কিন্তু সাম্প্রতিক যে ইস্যু নিয়ে এই পোষ্ট , সেই ইস্যুর ক্ষেত্রে আমি রূমানার বিপক্ষে ও সাইদের পক্ষে যায় এমন কিছুই বলতে পারিনা। এটা আদালতের বিচারাধীন বিষয়কে প্রভাবিত করতে চাওয়ার মতই গর্হিত আমার কাছে।

তাই এখানে তথাকথিত নারীবাদ,পুরুষতন্ত্র নিয়ে কিছুই বললাম না।

মানুষের গড়া সমাজ এর বিভিন্ন অসংগতি নিয়ে রচিত বিভিন্ন মতবাদ কখনোই প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মগুলিকে অবজ্ঞা/উপেক্ষা করে রচিত/প্রচারিত হওয়া অনুচিৎ। অথচ আজই অসাম্প্রদায়িকতার ভেকধারী আসিফ মহিউদ্দীন এর 'বাঙালী মনস্তত্ত্বে নারীবাদ... ' নামে একটা চরম সাম্প্রদায়িক পোষ্ট দেখে কিছু লিখতে হল। অনেকটা সে জন্যেও এখানে আসা।

অপরাধী দৃষ্টান্তমূলক সাজাপ্রাপ্ত হোক আর এ জন্য আপাতদৃষ্টিতে অপরাধী সাইদের প্রতি অনুকম্পা তৈরীর জন্য ভিকটিম রুমানার বিপক্ষে যায় এমন যেকোন কিছুই সত্য-মিথ্যা যাই হোক প্রচারিত হওয়া উচিৎ না। আবার এটাকে তথাকথিত নারীবাদের সপক্ষেও ব্যবহার করা উচিৎ না। এ আলাপ বন্ধ হোক।

১২২| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৩৪

নাম বলবো না বলেছেন: "লেখক বলেছেন: জনমত গঠন করতে আমি কি বারন করেছি? আমার এই লেখাটা কি এসব অপরাধের বিরুদ্ধে জনমত গঠনের জন্য নয়? আমি বারন করেছি ট্যাগিং করতে। সাইদের এই পিশাচিক হামলা শুধুই সে যে একজন পুরুষ তার বহিপ্রকাশ বলে মনে করেন কেন?"
- আপনি জনমত গঠন করতে কোথায় বললেন? আচ্ছা ধরে নিচ্ছি ইনডাইরেক্টলি বলেছেন, কিন্তু কার বিরুদ্ধে জনমত, বা কার পক্ষেই বা জনমত গঠন করতে হবে? একজায়গায় আপনি সমস্যার মূলে যেতে চেয়েছেন, কিন্তু সমস্যা টা যে কি আপনি তো সেটাই জানেন না। সাঈদ কাকে মেরেছে- তার স্ত্রীকে, তাহলে এইটার নাম কি হবে স্ত্রী প্রহার বা নারী নির্যাতন, নাকি অপরাধ!! আপনি ট্যাগ না করে তাহলে কিভাবে বিচার চাইবেন, আদালতে গিয়ে বলবেন বিচার চাই, কিন্তু কার বিরুদ্ধে বিচার চাইলেন তার নাম বলবেন না, সে কি অন্যায় করেছে সেটা স্পেসিফিক্যালি বলবেন না, কেবল বলবেন একজন অপরাধ করেছে, তাহলে কি আপনি বিচার পাবেন, আদালত-ই বা কি বিচার করবে!!!
সাঈদের এই পৈশাচিক হামলা সে যে একজন পুরুষ তারই বহিঃপ্রকাশ-অবশ্যই। আমাদের সমাজে যৌতুকের জন্য কার উপর হামলা করা হয়, জানেনতো, তার বউয়ের উপর, সে কিন্তু জানে বউ ইনকাম করেনা, তাহলে হামলাটা কেন শ্বশুর বা শ্বশুরের ছেলেদের উপর করে না, কারন ওরা যে পুরুষ, শক্তিতে না পেরে উঠার সম্ভাবনা আছে, এইটাকে কি আপনি একজন পুরুষের অবলা নারীর উপর হামলা বলে মনে করেন না, নারী নির্যাতন বলে মনে করেন না!!!

আপনি উপরের কমেন্ট থেকে নাজনীন১ এর বক্তব্যটা মনযোগ দিয়ে আবার পড়েন তাহলে বিষয়টা ক্লিয়ার হবে:
"নাজনীন১ বলেছেন:সাইদ ক্যাডেট কলেজ থেকেও বিতাড়িত হয়েছে, সে কি কোন ক্যাডেটের ছাত্রকে এতো বছরে আক্রমণ করেছে?

সাইদ বুয়েটের পড়া শেষ করতে পারেনি, সে কি কোন বুয়েটিয়ানকে এযাবৎ আক্রমণ করেছে?

সাইদ চোখে কম দেখতো, সে কি আর কোন অন্ধকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়েছে?

সাইদ শেয়ার ব্যাবসায় লস খেয়েছে, সে কি আর কোন ব্যবসায়ীকে খুন করার চেষ্টা করেছে?

কিন্তু সে তার স্ত্রীকে মিথ্যে তথ্য দিয়ে বিয়ে করেছে, বিয়ের প্রথম থেকেই সে তার স্ত্রীর গায়ে হাত তুলতো, এবার রুমানা যখন কানাডা থেকে ফিরেছে তার দশদিনের মাথাতেই সাইদ রুমানাকে মেরেছে, এরপর তো একেবারে খুন করার চেষ্টা। রুমানা তার স্ত্রী বলেই সে এটা করেছে।"

২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৩৪

উপপাদ্য বলেছেন: নাজনীন১ এর কেমন্টের উতৎর দেখুন।

১২৩| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৩৮

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: অপরাধী যেই হউক - সে নারী কিংবা পুরুষ আমাদের উচিত সে অপরাধের বিপক্ষে বলা। আর প্রশাসনের উচিত অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেয়া । অপরাধ অপরাধ-ই, সেখানে নারী পুরুষ বলে কেউ আলাদা ফেভা্র পাবে সেটা গ্রহনযোগ্য নয়। কারন এই ধরনের ফেভার সমাজে আপরাধের মাত্রা বাড়াবে বৈ কমাবে না।

১২৪| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৫১

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: নাজনীন১ এর প্রশ্নের সাথে সহমত। লেখক কই গেলেন? অনেক প্রশ্ন জমা পড়ছে, পোষ্ট স্টিকি হইছে তখন আলোচনা তো হবেই। এভাবে ভ্যানিশ হয়ে গেলে তো চলবে না।

১২৫| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ১২:০৬

সন্যাসী বলেছেন: এই শিরোণামের পরও একটা পোস্ট স্টিকি হতে পারে এটা সামু ব্লগের জন্য লজ্জা।

১২৬| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ১২:২৮

মুক্ত সাইমন বলেছেন: নাম বলবো না বলেছেন
সাঈদ কাকে মেরেছে- তার স্ত্রীকে, তাহলে এইটার নাম কি হবে স্ত্রী প্রহার বা নারী নির্যাতন, নাকি অপরাধ!! আপনি ট্যাগ না করে তাহলে কিভাবে বিচার চাইবেন।

তাহলে মার্টিনের লিঙ্গ কেটেছে কে? তার ওয়াইফ।এটাকে হয়ত আপনি বলবেন পুরুষ নির্জাতন।
এভাবে ট্যাগিং করে নারী পুরুষ ৩য় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করে তবেই আপনারা থামবেন।

১২৭| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ১২:৩৮

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আমি ব্যাস্ততার মাঝে ব্লগে সময় করে বসতে পারছি না কিন্তু এই স্টিকি পোস্ট দেখে খুব তাড়াহুড়ো'র মাঝেও কিছু না বলে পারছি না মুলত মন্তব্যগুলোতে লেখককে সন্দেহ করে নানা রকম কথা এবং পোস্টের মোটিভ নিয়ে সন্দেহ এবং লেখক বার বার নিজের অবস্থান বলার পরেও অবস্থা'র পরিবর্তন হচ্ছে না দেখে!!!

দুঃখজনক বিষয় যে, স্টিকি পোস্টে এরকম মন্তব্য আসছে। এটা দেখতে খুবই খারাপ এবং লজ্জাজনক এবং আরো একবার প্রমানিত হয় যে হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র ব্লগারই সামু'র পরিবেশ নিয়ন্ত্রন করে।

কিছু মন্তব্যকারীর আক্রমনাত্মক এবং স্পেসিফিক মন্তব্যের কারনে সাধারন ব্লগাররা মন্তব্য করতে ভয় পাচ্ছে কারন পরবর্তীতে এইখানে মন্তব্যের জের ধরে ট্যাগিং করা হতে পারে।

এমনটা হবার কথা ছিল না। এই পোস্টটা হয়তো মানবী'র পোস্টের মত নয় বরং কিছুটা ভিন্ন মতের কথা বলছে কিন্তু বিষয়টাকে এভাবে নারীবিরোধী ট্যাগিং করার মানে হয় না।

বরং এখানে সকল ব্লগারের আলোচনার মাধ্যমে মানবী'র পোস্টে যেসব বিষয় বাদ ছিল সেগুলোও এখানে আলোচিত হতে পারতো। অযথা সন্দেহ করার কারনে সব নষ্ট হতে বসেছে।


একটা বিষয় কি আশ্চর্য্য হবার মত নয় যে, প্রতিটা নাস্তিক ব্লগারই এখানে সরব উপস্থিত?? সাধারন ব্লগাররা কোথায়? তার মানে কি সমাজে ভাল-খারাপ বুঝার মত জ্ঞান কি সাধারন ব্লগারদের নেই?? আর প্রতিটা নাস্তিক ব্লগারই একই রকমের আপত্তি করে মন্তব্য করছে তার মানে কি, নাস্তিকদের মাঝে কোন ভিন্নমত নেই?


এসব দেখে আমার একটা ব্যাপারই মনে হয় যে, এই ব্লগের নাস্তিকরাই একমাত্র ভাল-খারাপ বুঝে নয়তো ওরা সিন্ডিকেট ব্লগিং করে!


@ লেখক, আপনার জন্য সমবেদনা, আপনি পোস্টে "প্রেজেন্ট ইস্টাবলিশমেন্ট"কে কোন রকমের বেনিফিট অব ডাউট না দিয়ে গরম কথা বললে হয়তো আপনার পোস্ট স্বাগত সংবর্ধনা পেত। কিন্তু আপনি ম্যাস "স্ট্রাকচারাল ফল্ট লাইন" ধরে কথা বলেছেন। আপনি সমাজের মত বৃহৎ পরিসর থেকে নারীদের আলাদা স্যাটেলাইট হিসেবে না দেখে তাদের ইন্টিগ্রেটেড পার্ট করে দেখেছেন তাই আপনার কথা অনেকেরই "কমন" পরে নাই এবং যেহেতু আপনি অপরিচিত সুরে কথা বলছেন এবং সরাসরি কোন "এনিমি" হাইলাইট করেন নাই তাই অনেকের ভাল লাগে নাই। চরমপন্থী লোকজন সবসময় সরাসরি উত্তর আশা করে এবং সকল সমস্যার মুলে নগদ শত্রু খুজে বের করে তাকে আক্রমন করতে চায়।যার কারন ওরা এক্সট্রিমিস্ট।

ব্যাপার না, আপনি যদি সত্য বলেন তাহলে সাধারন পাঠকরা ঠিকই বুঝবে। আপনি ঘাবড়াবেন না।



@ সবাই, পোস্টের শেষ অংশে "অনুরোধ" টুকু সন্দেহমুক্ত হয়ে পড়ুন।

সত্যিকার অর্থের একটি সুন্দর সমাজের আশায় আমাদের কাজ করতে হলে নারী-পুরুষদের জন্য আলাদা করে বরং সব মানুষের জন্যই সমানভাবে ভাবতে হবে। হ্যা, নারী'রা যেহেতু হাজার বছর ধরে বঞ্চনা'র স্ট্রাকচারে আটকে আছে তাই তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে কিন্তু "আলটিমেট গোল" সকল মানুষেরই উন্নয়ন, নারী-শিশু-বৃদ্ধ এবং পুরুষ সকলেরই।

১২৮| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ১২:৪২

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: আজ রুমানাকে হত্যাচেস্টা, সনজিতার আত্মহত্যা, প্রতিনিয়ত ইভটিজিং এর ঘটনা, হরতালের পূর্ব রাতে গাড়িতে আগুন ধরানো, প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দূর্নীতি এমনকি অধুনা ঘটে যাওয়া ২৮শে অক্টোবরে লগি বৈঠা দিয়ে রাজপথে প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষ হত্যা কোনটাই বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং একই সূত্রে গাঁথা। কারনে সমাজে আইনের শাসন নেই। বিচার ও শাস্তির ভয় নেই

পোস্ট নিয়া কিছু বলার নাই :||

২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৩৯

উপপাদ্য বলেছেন: জবাব দেবারও কিছু নাই।

মুজিব হত্যাকে অপরাধ আর জিয়া হত্যাকে সাধুবাদ
বা
জিয়া হত্যাকে অপরাধ আর মুজিব হত্যাকে সাধুবাদ

এমন মানসিকতার মানুষকে আমি ঘৃনা করি।

১২৯| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ১২:৫৪

সিস্টেম বলেছেন: হাজার বছর ধরে নারীরা বন্দি থাকার কারনে , সেই সভ্যতার শুরু থেকেই নারী কে ন্যংটো করার একটি নিরব প্রক্রিয়া চলছে। যাতে করে নারী তার বন্দি জীবন থেকে মুক্তি পায়। সম্পুর্ন ন্যংটো হবার পরে সকল নারী বাদি পুরুষ বাদি সব এক হয়ে যাবে।

কবে নারী ন্যংটো হয়ে পুরুষবাদী সমাজের সাথে মিশে যেতে পারবে সে আসায় আছি।

১৩০| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ১২:৫৬

নাম বলবো না বলেছেন: @প্রজন্ম৮৬:
আমি নাস্তিক ব্লগার নই, একজন সাধারন ব্লগার। আর এই পোষ্টটাকে মনে হচ্ছে মানবীর কাউন্টার পোষ্ট।

সত্যি করে বলেনতো আমাদের সমাজে নারী আর পুরুষকে সমানভাবে দেখার মতো অবস্থায় কি আমরা পৌছাতে পেরেছি? যদি না পারি সেক্ষেত্রে নারীদেরকে অগ্রাধিকার দিয়ে সামনে নিয়ে আসা ছাড়া অন্যকোন বিকল্প আছে কি?

আরেকটা সত্যি কথা বলে যাবেন দয়া করে: আপনার কি মনে হয়না হাসান সাঈদের অপরাধের পেছনে আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যাবস্থা দায়ী।

তথ্যটা আপনার জানা আছে আশা করি: আমাদের দেশের >৬৫% পুরুষ মানুষ বউ পিটানোকে অপরাধ মনে করে না।

১৩১| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ১:০৪

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: নাম বলবো না@ প্রজন্ম৮৬ এর কথা বাদ দেন। উনি আজকাল ঝোপে ঝোপে নাস্তিকের ছায়া দেখা শুরু করেছেন। নাজনীন১ এর মতন ধার্মিকও এখন ওনার চোখে নাস্তিক। আসলে ধর্মের মজাটাই এই। নাজনীন১ বা অন্য কোনো ধার্মিক ব্যক্তিও যখনই ক্ষমতাসীনদের বদ কালচারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলবেন তখনই তাকে নাস্তিক বানিয়ে দেওয়া হবে। এই সুবিধাটা আছে বলেই ক্ষমতাশালীরা ধর্ম এতো ভালোবাসে।

১৩২| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ১:১২

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: @ নাম বলবো না, আমি নিজেও বলি নারীদের অগ্রাধিকার না দিলে তাদের অবস্থান সুরক্ষিত হবে না। ওদের সিস্টেমেটিক ভাবে দমন করে রাখা হয়েছে তাই তাদের সিস্টেমেটিক ভাবে সেখান থেকে বের করেও আনতে হবে।

আমাদের দেশে এখনো সমানভাবে দেখার মত পরিবেশ তৈরী হয় নাই। এবং সেটা করতে কাজ চলছে, এই ক্ষেত্রে রুমানা ম্যাডামের মত আক্রমনের শিকার নারীদের পাশে দাড়িয়ে যদি আমরা সমস্বরে ঢালাও ভাবে পুরুষদের বিরুদ্ধে বলি সেটা কিন্তু পরিবেশ বদলানোর জন্য ভাল হবে না। আপনি নিজেও দেখেছেন কিভাবে অনেক ব্লগার মানবী'র পোস্টের বিরোধীতা করেছে। যা দেখে আমি ব্যাথিত হয়েছি। এই পোস্টের মাধ্যমে কিন্তু ঐসব ব্লগারদেরও আপত্তিটা মুছে গেছে। কিন্তু শুরু হয়েছে নতুন দলের আপত্তি! এটা ভাই ঠিক না। কমন গ্রাউন্ড বের করে যদি আমরা সামনের দিকে না আগাই তাহলে যেখানে পড়ে আছি সেখানেই থাকতে হবে। শুধু শুধু আমরা আওয়ামী লীগ আর বিএনপি কে দোষ দেই । আমরাই দলে দলে বিভক্ত!

হাসান সাঈদের ব্যাপারে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ দায়ী মনে করি আমিও কিন্তু কিভাবে তারও ব্যাখ্যা দরকার।

সেটা হলো, যেমন লেখক বলেছে, সার্বিক আইনের প্রতিই আমাদের শ্রদ্ধা বা ভয় কমে গেছে।

তার উপর দেশে প্রচুর সাইকো আছে যারা নারী নির্যাতনকে একটা মাত্রা পর্যন্ত বৈধতা দেয়। এই ভাবে সমগ্র তন্ত্র দায়ী এবং যেহেতু আমাদের দেশে কয়েকজন নেত্রী ছাড়া পুরো সিস্টেমটাই পুরুষপ্রধান তাই বলতে পারি পুরুষতন্ত্র দায়ী। নারীদের অংশগ্রহনে পুরো ব্যাবস্থা অনেক বেশী মানবিক হবে বলেই আশা করি। কিন্তু আপনি একটা বিষয় জানবেন যে, সমগ্র ব্যাবস্থাকে দায়ী না করে নাম ধরে পুরুষতন্ত্র বলে দায়ী করলে হাজার হাজার পুরুষ কিন্তু এর প্রতিবাদ করে শুরুতেই প্রতিবন্ধকতা তৈরী করবে এবং এটা চালিয়ে যাবে, কারন শিক্ষার অভাব। আপনি দেখেছেন গত স্টিকি পোস্টের কেমন বিরোধীতা হয়েছে। সেজন্য আমি পরিবর্তনের জন্য উপায় খুজার সময় সাম্য'র দিকে নজর রাখতে চাই এবং খেয়াল করি যেন ব্যাবস্থাটা সার্বিক ও সার্বজনীন হয়।

তাই নাম ধরে পুরুষতন্ত্রের বিরোধীতা করি না, বরং পুরো ব্যাবস্থার বিরোধীতা করি কারন পুরুষতন্ত্র বলুন আর দুর্নীতি বা অন্যকিছু বলুন, সবকিছুই "টোটাল সিস্টেমের " অন্তর্ভুক্ত এবং "বড় ফ্রেমে" দেখলে এর দ্বারা আমরা বিভাজনও এড়িয়ে যেতে পারি।

১৩৩| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ১:১৭

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি ক্যামন করে ধরে নিলেন আমি রুমানা মনজুরের হত্যাচেস্টা পক্ষের লোক? কোন বিবেকমান মানুষ কি রুমানা মনজুরের এই জঘন্য হত্যা চেস্টাকে সমর্থন করতে পারে?
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------

হাঃ হাঃ এই উপরের লাইন কয়টা মুখোশের মত লাগছে। এই মুখোশ না থাকলে গা বাঁচানো কষ্টকর যদিও শেষ পর্যন্ত বাঁচেনা। কিন্তু আরো কিছু সময় নিঃশ্বাস নেয়া যায়।

মডুদের উদ্দেশ্যে বলা কমেন্টের দায় যখন নিলেন...........

নারীর উপরে পুরুষের খবরদারি আছে কি নেই সেটা অন্তত আপনার বাসার এবং স্বজনদের ফ্যামিলীর নারী সদস্যকে প্রশ্ন করুন। আপনার মন খারাপ হবার মত জবাব পাবেন। অবশ্য সবার মন খারাপ হয় না।

অবিশ্বাস্য, সত্যি অবিশ্বাস্য ষ্টিকি পোষ্টের প্রান কই মাছের প্রান। পুরোটাই মডুদের দান।

১৩৪| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ১:২১

সরোয়ার হোসেন বলেছেন: পুরুষতান্ত্রিকতা শুধু পুরুষের মধ্যে থাকে না, নারীও পুরুষতান্ত্রিকতা পোষণ করতে পারে।

১৩৫| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ১:২৯

দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: জাঝা @ পারভেজ আলম। আপনার মন্তব্যের কথাগুলোই বলতে এসেছিলাম আপনি আরো চমৎকার করে বললেন।

এটা কেনো স্টিকি হয়েছে কিছুটা বুঝি, (কারণ এই পোস্টটা সামুর একটা বড় অংশের চিন্তাধারাকে প্রতিনিধিত্ব করে), তবে শেষ বিচারে, এই পোস্টের বেশ অনেক কথাকেই ভুল মনে হয়েছে। দুঃখিত, কিন্তু শেষ পর্যন্ত, রুমানা-সাইদের ব্যাপারটা নারী নির্যাতনই, এবং পুরুষতান্ত্রিকতারই একটা প্রকাশ।

১৩৬| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ১:৫৩

দাসত্ব বলেছেন: অন টপিক :

কথাগুলো ভুল বলেননি। সাঈদ এক্স ক্যাডেট , এক্স আইআইটিয়ান , এক্স বুয়েটিয়ান।তার যে মেধা বেশ ভালোই ছিলো কোন সন্দেহ নাই। শেষ পর্যন্ত সিএনজি আর ইট ব্যবসায়ী।

রুমানা মনজুরের একটা কথা পড়লাম প আলোতে : সাঈদ হীনমন্ম্যতায় ভুগতো , তাকে বিয়ের পর থেকেই মানসিক নির্যাতন করতো।
আবার এরকমও জানলাম সাইদ নাকি নিজের বাবা মায়ের ইন্টারকোর্স দেখতো লুকিয়ে লুকিয়ে।
সব মিলিয়ে নিজের মেধা অনুযায়ী পুরোপুরি ব্যর্থ একটা জীবনের অধিকারী, বিকৃত রূচির হাফ পারভার্ট সাইদ স্ত্রীর সাফল্য দেখে ফুল পার্ভার্টে পরিনত হয়ে গেছে।

মেধাবী হওয়ার পরও সাইদের একটা ব্যাচেলর সার্টিফিকেটও নাই , অন্য দিকে স্ত্রী পিএইচডি করে ফেলছে- ঈর্ষা - হীনমন্ম্যতা , ইট ব্যবসা - শেয়ার ব্যবসা - সব মিলিয়ে সাইদ ছিলো "এক্সপায়ারড হিউম্যান বিইং".....

নিজেকে আর বাচ্চাকে সেইভ করার জন্য রুমানা মনজুরের উচিত ছিলো আরো আগে থেকেই সেপারেট হওয়া তার স্বামীর বিপদজনক মতিগতি দেখে..


অফ টপিক :

@ ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন : ব্লগার দাসত্ব ব্যক্তিগত জীবনে প্রকৌশলের স্নাতোকোত্তর পর্যায়ের ছাত্র। ব্লগার দাসত্ব গত ৩ মাস এবং সামনের ৬ মাস পড়াশোনা আর চাকরী-বাকরী নিয়ে প্রচুর ব্যস্ততার ভেতরে থাকবে। তারওপর যুক্তরাষ্ট্রের মত প্রতিদ্বন্দীতাপূর্ন প্রবাসে। ব্লগার দাসত্ব কারো ধিক্কারের মুখেও পড়েনি , ব্লগও ছাড়েননি - যেটা অনেকের দিবা স্বপ্নে আর রাতের কল্পনায় ধরা পড়ে। ব্যস্ততা কমলেই ব্লগে ফিরে আসবো।
আপনার অগ্রীম অনুমান ক্ষমতা খুবই কম।

১৩৭| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ১:৫৪

স্তব্ধতা' বলেছেন: @নাজনীন তীব্র মাত্রায় সহমত।

পোষ্টটি তীব্র মাত্রায় স্ববিরোধীতায় ভরা।

''আজকের সমাজকে পুরুষ শাসিত সমাজ হিসেবে চিহ্নিত করে নারী নির্যাতন হচ্ছে বলে যদি মনে করা হয় তাহলে কালের প্রবাহে সমাজ যদি কখনো নারী তান্ত্রিক হয় তাহলে কি পুরুষ নির্যাতনের ঘটনা ঘটতে পারেনা? আমরা সাধারন মানুষ নিশ্চয় এমন সমাজ চাই না।

--- এটা একটা খুব ভালো যুক্তি, তাই আসুন নারীদের সবদিক থেকে দাবীয়ে রাখি যাতে তারা ভবিষ্যতে কখনও মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে।

''এটা পুরুষ বা নারীর ব্যাপার নয় এটা অপরাধ, অপরাধী, আদালত ও আইনের ব্যাপার।'' : নপুংশকের জায়গা মতো ঘা লাগলে লেজ গুটাতে সময় লাগেনা।তাই এটা হয়ে গেছে ''পুরুষ বা নারীর ব্যাপার নয়''

এটা অবশ্যই পুরুষ এবং নারীর ব্যাপার।নীচের চিত্রটা দেখুন,




এর পেছনে নপুংশকের পুরুষত্ব দেখা যায় কি না, দেখুন।ঘটনার আন্ডারলাইং মেকানিজমটা দেখুন।সেখানেই পুরুষের পুরুষতন্ত্র বিদ্যমান।ঘটনা ঘটার পরে অবশ্যই সেটা সামাজিক আদালতের ব্যাপার কিন্তু তার আগে নপুংশক পুরুষ যতদিন না নারীকে নিজের সমকক্ষ ভাবতে শিখবে, ততদিন পর্যন্ত আপনার 'আমাদের সুন্দর সমাজ' এর স্বপ্নটা শিকেয় তুলে রাখতে পারেন। নৈতিকতা ও আইনের শাসন'' দুটো পরষ্পর বিরোধী বিষয়।নৈতকিতার অভাবেই আইনের শাসনের প্রয়োজন হয়।আপনার পোষ্টটি পরে মনে হলো, নৈতিকতার অধপতনের ইজারাটা পুরুষের হাতেই থাক, আর তার ফলে যদি কোন নারীকে মূল্য দিতে হয়, তবে সেই পুরুষটিকে মাঝে মধ্যে সুন্দর সমাজ গড়ার নামে কানমলা দেয়া যেতে পারে, তবু নারীতন্ত্রকে দাবিয়ে পুরুষের হাত শক্তিশালী হোক।


ধন্যবাদ।

২৪ শে জুন, ২০১১ সকাল ১১:২১

উপপাদ্য বলেছেন: অযথা আপনি এই চার্ট বানিয়েছে. এই চার্ট থেকে আপনি কি বুঝাতে চাইলেন সে কম শিক্ষিত বলে রুমানাকে হত্যাচেস্টা করেছে? শিক্ষিত হলে এ হীনমন্যতা থাকতো না? সে বেশী উপার্জনক্ষম হলে এটা করতো না? সাঈদ শারিরীকভাবে সুস্থ হলে এটা করতোনা??

আপনি তাহলে পুরুষতন্ত্র বলে যে ফেনমেননটা আছে তা আপনি বুঝেননি?

আমি যদি বলি সাঈদ রুমানার চেয়ে বেশি যোগ্য হলে রুমানাকে প্রেসার দিতো চাকরী ছেড়ে সংসারের কাম কাজ করতে। আর ঐটা হলো একটা পুরুষের মধ্যে লুক্কায়িত পুরুষ শাসিত সমাজের রূপ।

আর আপনি যেটা বলেছেন সেটা হচ্ছে সাঈদ দের বাঁচানোর জন্য আইনজীবীদের একটা উপকরন মাত্র।

১৩৮| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ২:১৩

স্তব্ধতা' বলেছেন: উপরের ডায়াগ্রামটা বোঝা যাচ্ছেনা ভালো মতো, একেতো নাচনেওয়ালী, তার উপর ঢোলের বাড়ি। যে পুরুষেরা ডায়াগ্রামটা দেখতে চাননা, তাদের জন্য।

নারী:

- রুমানা শিক্ষিতা
- উচ্চ শিক্ষা অর্জনে বিদেশ যাত্রা
- উপার্জনক্ষম
- স্বাবলম্বী
- শারিরীক সুস্থতা


পুরুষ/পিশাচটা:

- স্ত্রীর তুলনায় কম শিক্ষিত
- উপার্জনঅক্ষম
- পরগাছা
- শারীরীক/মানষিক অসুস্থতা: সেটা এতটাই তীব্র যে নিজে দেখতে পায়না বলে তার সমগ্র আক্রোশ গিয়ে পড়ে রুমানার ঐ চোখ দু’টোয়।

>>>>>পিশাচটার হীনমন্যতা>>>>>রুমানার উপর অত্যাচার

১৩৯| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ২:২০

দর্শণধারী বলেছেন: যারা রুমানার দৃষ্টিশক্তির কেড়ে নেয়ার চেয়ে সাঈদ কেন এমনটা করলো তা নিয়ে বেশি উৎসাহী তার আজকের মানবজমিনে উত্তরটা পাবেন।
Click This Link


১৪০| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ২:২৭

ঢাকা থেকে বলেছেন: পোষ্ট পড়তে পড়তে কান্ত? যাকএখান থেকে একটু ঘুরে আসেন।

১৪১| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ২:৩৪

তাজদীদ বলেছেন: এসব ঘটনাতো এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার, সব ঘটনাকি খবরের কাগজে ছাপা হয়? হয়না। কারণ সবাইতো আর ঢাবি’র শিক্ষিকা নয়? সবাইতো আর প্রভার মতো স্টার নয়? সবাইকেতো মিডিয়া চেনেনা। যাদেরটা মিডিয়ায় প্রকাশ করলে বাম্পার পত্রিকা বিক্রি হবে, তাদেরটা তুলে ধরা হচ্ছে।
সাঈফের এমন নর পিশাচের মতো আচরণকে তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছি যে দুর্বলের উপর এমন শক্তি পরিক্ষা যারা করে তারা মূলত কাপুরুষ। এখানে নারী-পুরুষের কথা না বলে অপরাধী দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে। বেশ ভাল কথা। কিন্তু আমাদের কাহিনীর সূত্রপাত ভূলেগেলে চলবেনা। যদি অপরাধী হিসেবে বিচার করতে হয় তাহলে প্রথম অপরাধী রুমানা নামে চরিত্রটি। হোক সে পুরুষ বা মহিলা। কেননা, অভিযুক্ত অপরাধী তাকে যে কারণে নির্যাতন করেছে সে কারণটি সত্যি একটি অপরাধ বৈ কিছু নয়। কেননা, স্বামী স্ত্রী সম্পর্কটি খুবই স্পর্শকাতর। বিশেষ করে আমাদের দেশে। শুধু মাত্র সন্দেহের কারণেও ডিভোর্স হওয়ার ঘটনা অনেক ঘটে। সেক্ষেত্রে সাঈফ তার সন্দেহের প্রমাণ পাওয়ার পরও তাকে সাবধান করেছে, সুযোগ দিয়েছে কিন্তু রোমানা তার ইরানী বয়ফ্রেন্ডের প্রেমে অটল থাকায় সাঈফ এমন পৈশাচিক আচরণটি করতে বাধ্য হয়েছে। সেটা কোন নারী যেমন স্বামীর পরকীয়া সহ্য করতে বা মেনে নিতে পারবেনা, তেমনি কোন পুরুষও পারেনা। তাই বলে সাঈফ একজন শিক্ষিত পুরুষ হয়ে এমন পৈশাচিক আচরণ করা মোটেও উচিত হয়নি। রোমানা যেহেতু স্বামী ও সংসারে অমনোযোগী হয়ে পড়েছিল, এ অবস্থায় যদি সংসার করা সম্ভব নাই হয় তবে তাকে আইনগতভাবে ডিভোর্স দেয়ার ব্যবস্থা করতে পারতো।

১৪২| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ২:৩৯

প্রিন্স অফ কুমিল্লা বলেছেন: উপপাদ্য,আপনি এগিয়ে চলেন।অন্ধকার দুর করতে চাইলে মূর্খরা বাধা দেবেই।আলেকজান্দ্রিয়ার লাইব্রেরী পুরে ফেলা হয়েছিলো তাই বলে আলো থেমে থাকেনি।

১৪৩| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ৩:১১

নাম বলবো না বলেছেন: @প্রজন্ম৮৬
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: একটা বিষয় জানবেন যে, সমগ্র ব্যাবস্থাকে দায়ী না করে নাম ধরে পুরুষতন্ত্র বলে দায়ী করলে হাজার হাজার পুরুষ কিন্তু এর প্রতিবাদ করে শুরুতেই প্রতিবন্ধকতা তৈরী করবে এবং এটা চালিয়ে যাবে, কারন শিক্ষার অভাব।

-তারমানে আপনি স্বীকার করছেন রুমানা ম্যাডামের উপর পৈশাচিক অত্যাচারের কারন আমাদের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা এবং যারা এই বিষয়টা স্বীকার না করে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে চাচ্ছেন তাদের নৈতিক শিক্ষার অভাব রয়েছে। আপনার বক্তব্যটা যদি এমন হয় তবে আমি আপনার সাথে ১০০ ভাগ একমত আছি।

১৪৪| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ৩:২৫

মুক্ত সাইমন বলেছেন: ১৫৩ কমেন্টে নাম বলবো না ব্লগারের একমত,ভাই পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা অস্বীকার করা যায় না।কিন্তু বর্তমানে যে ট্যাগিং চলছে এতে খারাপ বই ভালো কিছু হচ্ছে না।আপনি অপরাধকে অপরাধ হিসেবে দেখুন,ভিকটিম যেই হোক(রুমানা বা মার্টিন),দুজনেই ভিকটিম, সহানুভূতি পাবার দাবি রাখে।আইন যদি কড়া হয়,অন্য অপরাধের মত নারী নির্যাতন বাপ বাপ করে পালাবে।

১৪৫| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ৩:৪৪

মুক্ত সাইমন বলেছেন: *১৫৬*

১৪৬| ২৩ শে জুন, ২০১১ ভোর ৫:০৫

রাগ ইমন বলেছেন: মূল মন্তব্যে যাওয়ার আগে কয়েকটা কথা বলে নেইঃ

১। আপনার পোস্ট স্টিকি হওয়াতে আমার কোন আপত্তি নেই। তবে আপনার মতে "লটকানো" (লক্ষ্য করুন, আপনার পোস্ট স্টিকি হয়, কিন্তু মানবীর পোস্ট লটকানো হয়) মানবীর পোস্টটা সরানো উচিত হয়নি। দুটো এক সাথে থাকলে নতুন পাঠকের জন্য তুলনা করা সহজ হত। আপনি নিজেও সে লেখার লিংক দেননি, পাঠককেই পড়ে নিতে বলেছেন।

স্পষ্টতই মানবীর পোস্টের প্রতি আপনার বিদ্বেষ এখানে প্রকাশিত। তবু, আমার আপত্তি নেই, আপনার পোস্ট স্টিকি (লটকানো নয়) হওয়াতে।

২। আমি শুধু আপনার মূল পোস্টটাই পড়লাম। মন্তব্য পড়ার সময় নেই। তাই কেউ আগেই একই কথা বলে থাকলে রিপিটেশনের জন্য দুঃখিত।
----------------------------------------

আপনাকে কিছু বলার আগে আমার কিছু জিনিস বুঝা দরকার।

১। আপনি পুরুষ বলতে কি বুঝেন? ব্যক্তি এবং মানুষ হিসেবে একজন পুরুষকে কি কি বৈশিষ্ট্য দিয়ে সংজ্ঞায়িত বা চিহ্নিত করবেন?

২। আপনি নারী বলতে কি বুঝেন? ব্যক্তি এবং মানুষ হিসেবে একজন নারীকে কি কি বৈশিষ্ট্য দিয়ে সংজ্ঞায়িত বা চিহ্নিত করবেন?

৩। পুরুষতন্ত্র বলতে আপনি কি বুঝেন?

৪। নারী তন্ত্র বলতে আপনি বুঝেন?

৫। শিক্ষা, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড, চাকুরি-ব্যবসা , শিশু পালন ইত্যাদি বিভিন্ন দৈনন্দিন কাজে পুরুষ ও নারীর ইচ্ছা, পছন্দ, ব্যক্তিগত মত বা অমত, অধিকার ও স্বাধীনতা হিসেবে কি ভাবে ভাগ হওয়া উচিত? সমান সমান (যেহেতু আপনি সাম্যের গান গেয়েছেন)? নাকি ভিন্ন ভিন্ন?

৬। বাংলাদেশের সমাজে নারী এবং পুরুষ (যারা সমান ভাবে সমাজ গঠন করেছেন) কি সমান সুযোগ ভোগ করে?

গরীব ধনী, বা অন্য কোন কারণে নয়, শুধু মাত্র নারীত্বের বা পুরুষত্বের কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারী এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুরুষ বৈষম্যের শিকার হয় কি না?


এই কয়টা প্রশ্নের উত্তর পেলে আপনার সাথে মত বিনিময়ে সুবিধা হবে। আশা করি উত্তর দেবেন।

১৪৭| ২৩ শে জুন, ২০১১ ভোর ৫:৪৭

রামন বলেছেন:
সাইদ নামের কাপুরুষটা যে বর্বরোচিত কান্ড ঘটিয়েছে সেজন্য কোনো অবস্থাতেই নারী বা পুরুষ তন্ত্রমন্ত্র টেনে এনে নারীকে পুরুষের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাড় করানো সমিচীন হবেনা। কারণ সাইদ নামের এই নিপীড়ক সমগ্র পুরুষ জাতির আদর্শ তো নয়ই বা কোনো প্রকার প্রতিনিধিত্ব করে না। আজকে যারা আমাদের সমাজকে পুরুষতান্ত্রিক বলে গলা ফাটাচ্ছে এবং পুরুষতান্ত্রিকতার কারণে নারীরা বেশী বেশী নির্যাতিত হচ্ছে বলে দাবি করছে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি এ দেশে অনেক পুরুষ আছে যারা ঘরে কিংবা কর্মক্ষেত্রে দিনের পর দিন নারীদের চড় থাপ্পর , কিলঘুষি খেয়ে দিন পার করছে অথচ নারীর হাতে মার খাওয়ার কথা লজ্জায় প্রকাশ করতে পারছে না। তবে এটা সত্যি সংখ্যায় পুরুষের তুলনায় নারীরা নির্যাতিত বেশী। আর এটা কেবল আমাদের দেশে নয়, পশ্চিমা দেশগুলোতে যেখানে নারী পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে, সেখানকার প্রতিদিন পত্রিকার পাতায় পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরুষের হাতে নারীদের নির্যাতিত হবার খবর পাওয়া যায়। তবে প্রশ্ন হচ্ছে বারবার পুরুষের হাতে নারীরা এভাবে নির্যাতিত কেন? সহজ জবাব পুরুষ নারীর চেয়ে বেশী শক্তিশালী, যখন কোনো পুরুষ তার ভিতরের বিবেক ,মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলে তখন সে আর মানুষ থাকে না । তার ভেতর জেগে উঠে লুক্কায়িত হিংস্র পশুসুলভ স্বভাব। আর প্রতিপক্ষ যদি দুর্বল হয় তার উপর পাশবিক তান্ডব চালাতে কুন্ঠাবোধ করে না সে। অন্তত হিংস্রপশু হয়ে যাওয়া সাইদের আচরণে সেরকমই প্রমান মিলেছে।

একথা অস্বিকার করার উপায় নেই ,মানুষ যতদিন থাকবে অপরাধও ততদিন থাকবে, জনসংখ্যা বাড়লে নিপীড়কও বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। তবে লেখকের সাথে তাল মিলিয়ে বলতে চাই এই অবক্ষয়কে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রয়োজন যুগপোযোগী আইন। পাশ্চাত্ত্য দেশগুলোতে অহনির্শী নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে, সেক্ষেত্রে অপরাধীকে ধরে কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে আইনানুযায়ী সাজা দেয়া হচ্ছে। আর সুষ্ঠ বিচারপ্রক্রিয়ার বদৌলতে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হচ্ছে সে দেশগুলো ।

যদিও এই পোস্টে লেখকের একটি বিশেষ দলের প্রতি বিষোদগার সৃষ্টি ও সরকারবিরোধী মনোভাব লক্ষ করা গেছে , তারপরও লেখার রাজনৈতিক অংশটুকু বাদদিয়ে বাকিগুলো সমর্থন করি ।

১৪৮| ২৩ শে জুন, ২০১১ সকাল ৭:০৫

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: @ নাম বলবো না, হ্যা যারা প্রতিবন্ধকতা তৈরী করছে তাদের নৈতিক শিক্ষার অভাব আছে বলেই আমি মনে করে।

তবে, হাসান সাঈদের বর্বরতাকে শুধু পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা বলে ছেড়ে দিলে পূর্ণাঙ্গ ছবি আসে না। এবং অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বিতর্কিত হয়।

ভাবতে পারেন যেহেতু পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার প্রভাব রয়েছে সুতরাং এভাবে বললে সমস্যা কোথায়?
---সমস্যা হলো, এই অর্ধেক কথা বলার কারনে ভুল মেসেজ প্রচার হচ্ছে এবং মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে বিরোধে জড়াচ্ছে, বিভেদ তৈরী হচ্ছে এবং ফলাফল স্বরুপ উগ্র বিবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে--- রুমানা ম্যাডামের উপর আক্রমনটিকে শুধুমাত্র পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার ফল বলে ঘোষনা না করে একে নানা রকমের অনাচারের কুফল বললে সমাজে এই ঘটনাটি নিয়ে কোন রকম মতভেদ হতো না এবং সবাই একযোগে বর্বরতার বিরোধীতা করতো। যেহেতু এমন ইস্যুতে (একজন উচ্চশিক্ষিত নারী, শিশু'র মা, এবং ঢাঃবিঃ'র শিক্ষককে কামড়ে চোখ উপরে ফেলার চেষ্টা) বিরোধ থাকাটা অস্বাভাবিক এবং খুবই দৃষ্টিকটু তাই এমন বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতি এড়ানোর চেষ্টা করা কাম্য।

১৪৯| ২৩ শে জুন, ২০১১ সকাল ৭:১৭

রাগ ইমন বলেছেন: এবার আপনার মূল লেখার কিছু জিনিস যা আমার চোখে পড়েছে , তা চিহ্নিত করতে চাইঃ

তার কেন এমন হলো? কেন এই বিভৎসতা? কেন এই নারকীয় নির্যাতন?

এইটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। অনেকেই বলছেন, অন্য অনেক নারীই তো নির্যাতিত হন। কেবল রুমানাই কেন এত উচ্চকিত প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন। উত্তর হচ্ছে, রুমানার অবস্থানে যারা থাকেন, তাদের পরিণতি এই রকম হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে শূন্য হওয়ার কথা। অথচ তারই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে বাকিদের জন্য নিরাপদ জীবনের স্বপ্ন দেখা পুরাপুরিই অবাস্তব। এজন্য রুমানার শক ভ্যালু এত বেশি।

আমার মনে হয়, এই গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন গুলোর উত্তর খোঁজার ভিতরে থাকা উচিত ছিল । আরেকটু বিস্তারিত ভাবে।

নির্যাতন ও পুরুষতন্ত্র

কেউ কেউ অতি উৎসাহী হয়ে রুমানা মনজুর নির্যাতনের ঘটনাকে সমাজে নারীর অসহায় প্রান্তিক অবস্থান হিসেবে চিত্রায়িত এবং সমাজের সকল পরুষকে দোষারোপের চেস্টা করছেন।


সমাজে নারীর অবস্থান কি যে সাম্যের কথা আপনি উল্লেখ করেছেন, সেই সাম্য নিয়ে এখন আছে?

ব্যক্তি হিসেবে নারী কি সমান সুযোগ পায়?

মানুষ হিসেবে নারী কি সমান অধিকার এবং স্বাধীনতা ভোগ করে?

প্লিজ, সংবিধানের কথা তুলবেন না। বাংলাদেশের সংবিধান জেন্ডার ডিস্ক্রিমিনেশনকে ডিসকারেজ করে। আন ল'ফুল বলে। কিন্তু অন্য অনেক আইনের মত, নীতির মত সমাজে তার প্রয়োগ আছে কি?

সকল পুরুষ কি ভাবে দোষারোপের স্বীকার হয় যেখানে রুমানাকে নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার বেশির ভাগ ব্লগার পুরুষ? এমন কি আপনার এই পোস্টেও! পুরুষ নিশ্চয়ই নিজের বিরুদ্ধে কথা বলবে না। এই ব্লগাররা যে মানুষ, নারী বা পুরুষ নয়, এইটা আপনি কেন ভাবতে পারলেন না?

এরা কি পুরুষের বিরুদ্ধে কথা বলছেন নাকি পুরুষতন্ত্র এর বিরুদ্ধে কথা বলছেন?

ইংরেজিতে একটা কথা আছে। " ব্ল্যাকার দ্যান দা ব্ল্যাক, হোয়াইটার দ্যান দা হোয়াইট।" কথাটা খুব সম্ভবত এসেছে ব্ল্যাক দাসদের নিয়ন্ত্রণে বা অত্যাচারে সাদা মানুষ, কালো মানুষদের আচরণ থেকে। এইটার মানে হলো, কখনো কখনো, আচরণগত ভাবে কোন মানুষ ব্ল্যাক মানুষের চেয়েও নিজেকে ব্ল্যাক প্রমাণে সচেষ্ট হতে পারে। অত্যাচারের বিভৎসতায় সাদাদের থেকেও বেশি সাদা আচরণ করতে পারে। সেই ভাবে, বাংলাদেশের সামন্তবাদী ( শক্তের ভক্ত, নরমের যম) এবং শোষণের সংস্কৃতিতে যদি কোন নারী অতিরিক্ত ক্ষমতা পায়, তাহলে সে হয়ত পুরুষের চেয়েও অনেক বেশি পুরুষতান্ত্রিক আচরণ করতে পারে। লক্ষ্য করুণ, পুরুষ বলিনি, বলেছি পুরুষতান্ত্রিক ।


কেনো পুরুষতন্ত্র আসছে? কেনো পুরুষতন্ত্রকে দোষারোপ করা হচ্ছে।
রুমানা কি কারণে ১০ বছর চুপ ছিলো কিংবা ডমেস্টিক ভায়োলেন্স এর ক্ষেত্রে ( শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবীতেই) অপরাধ কেন রিপোর্টেড হয় না - এর কারণ হিসেবে পুরুষতন্ত্র আসছে। সাইদ পুরুষ বলে পুরুষতন্ত্র দায়ী, ব্যাপারটা অমন সহজ সমীকরণ নয়।

যখন আপনি কোন অপরাধকে পুরুষতান্ত্রিক ব্যাপার ও পুরুষ শাসিত সমাজের রূপ বলে সংজ্ঞায়িত করবেন তখন সাথে সাথেই নারীতন্ত্র ব্যাপারটা চলে আসে। আর এটি নারী -পুরুষকে একটা বিপরীত ও সংঘাতপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যায়।

আপনি এইটা কোথায় পেলেন? সকলে সাইদ বনাম মানুষ - এইটাই তো দেখতে পাচ্ছে বা বলছে। নারী বনাম পুরুষ কোথায় পেলেন? আমার তো মনে হচ্ছে, হয় আপনি ভুল বুঝেছেন, নয়ত ইচ্ছে করেই ভুল বুঝাচ্ছেন।

আজকের সমাজকে পুরুষ শাসিত সমাজ হিসেবে চিহ্নিত করে নারী নির্যাতন হচ্ছে বলে যদি মনে করা হয় তাহলে কালের প্রবাহে সমাজ যদি কখনো নারী তান্ত্রিক হয় তাহলে কি পুরুষ নির্যাতনের ঘটনা ঘটতে পারেনা?

পারে। ক্ষমতা বা সমাজের পাওয়া রিলেশনে কোন একটি অংশ যখন অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতাবান হয়ে উঠে, তখন অন্যেরা নির্যাতিত হয়।

আমরা সাধারন মানুষ নিশ্চয় এমন সমাজ চাই না। তাই রুমানা মনজুরের ঘটনাকে আমি পুরুষ শাসিত সমাজের সরূপ হিসেবে মনে করিনা।


এইটা যারা পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলছে, আন্দোলনে আছেন, তারাও চান না। আপনি এইখানে একটা বিশাল ঝামেলা বাধিয়েছেন। পুরুষতন্ত্রের পতন মানেই নারীতন্ত্রের উত্থান বলে ধরে নিচ্ছেন। এইটা দেখতে পাচ্ছেন না যে পুরুষতন্ত্রের বিরোধীরা মানব তন্ত্র চাইছে, নারী তন্ত্র না।

তবে কি মনে করছি

এটা পুরুষ বা নারীর ব্যাপার নয় এটা অপরাধ, অপরাধী, আদালত ও আইনের ব্যাপার। আমরা এটাকে কোন ভাবেই নারী পুরুষ ইত্যাদি ভাবে বিভাজিত করতে পারিনা। কারন সমাজটা নারীরও না, পুরুষেরও না। সমাজটা সবার।


এইটা ভালো যে আপনি অপরাধ ও অপরাধী বুঝেছেন। যেইটা লক্ষ্য করেননি যে সাইদের অনেকের উপরে রাগ ক্ষোভ ছিলো, একমাত্র স্ত্রীকেই তার আক্রমনযোগ্য প্রানী কেন মনে হইলো-সেইটা একটু চিন্তা করে দেখেন।

আরেকটা কারণ হলো, যে অপরাধটা ঘটেছে সেইটা ডমেস্টিক ভায়োলেন্সের অন্তর্গত। ঘটেছে স্বামী এবং স্ত্রীর ভিতরে- যেই সম্পর্কটা বাংলাদেশে এখনো নারী আর পুরুষেই কেবল সম্ভব। অপরাধের বীজ যেই সংঘর্ষ থেকে শুরু সেই সংঘর্ষের সূত্রপাত বাংলাদেশে বিবাহিত নারী এবং পুরুষের যেই প্রচলিত রুপ, তার থেকে ভিন্ন হওয়াতে।

একটু লক্ষ্য করুন, বাংলাদেশের সমাজ যদি ঘর বউদের মত ঘর জামাইদের সম্মান দিত, ঘর বউদের মত ঘর জামাই ঘর সামলাবে বলে বিশ্বাস করত, সংসারে স্ত্রী উপার্জনকারী হওয়াটা এবং জামাই গৃহিনী হওয়াটাকে স্বাভাবিক ভাবত ---তাহলে হয়ত, আমি শিওর না, কিন্তু হয়ত সাইদ এতটা হিংস্র হয়ে উঠত না ।

সেক্ষেত্রে সমাজের পুরুষতান্ত্রিকতায় পুরুষের প্রচলিত বা প্রথাগত রুপের চেয়ে ভিন্ন জীবন যাপনে সম্মান, অধিকার বা স্বাধীনতা না থাকাটা কি পুরুষতন্ত্রের প্রভাব নয়?

যারা ভাবেন, পুরুষতন্ত্রের শিকার শুধু নারীরাই হয়, তাদের বুঝাশোনায় একটু কমতি আছে।

কেনো এই বিচার দাবী?

একজন হত্যা প্রচেস্টাকারী নরপিশাচের উপযুক্ত বিচার দাবী করা হচ্ছে কেনো?...নিশ্চিত করেই বলা যায়।


কেনো রুমানাকে সংবাদ সম্মেলন করে বিচার চাইতে হবে। আইনের শাসনে এমন নজির নেই। নরপশু সাইদের উপযুক্ত, দ্রুত ও দৃষ্ঠান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করা রাস্ট্রের কর্তব্য।


লেখার এই অংশের সাথে একমত।

এসব অপরাধ দিন দিন বাড়ছেই

আসলে এমনতর অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলছে। আমি পরিসংখ্যান দিতে চাইনা, কারন তালিকটা অনেক বড়। একটা বিষয় আলোকপাত করবো সেটা হচ্ছে, আমাদের দেশে কোন নারীর উপর যেকোন ধরনের আক্রমন হলে ই এটাকে ট্যাগিং করার চেস্টা চলে। সমাজের কিছু সুবিধাবাদী শ্রেনীর লোক আছে যারা এটাকে আধুনিক ব্যাবসায় বিপননের সকল রকমের তরিকা ব্যবহার করে এটাকে পুঁজি কারার চেস্টা করেন। এমন সংবেদনশীল ঘটনাগুলোকে পুরুষতন্ত্র, মোল্লাতন্ত্র, জিহাদী, ফতোয়া, রাজাকার, জামায়াত-শিবির, বিএনপি, সংখ্যালঘু, আওয়ামীলীগ ইত্যাদি ট্যাগ ব্যবহার করে ব্রান্ডিং করেন। যা অনাকাংখিত। এতে করে বিষয়গুলো সমাজে একটা শ্রেণীর মানুষের প্রতি আরেকটা শ্রেনীর মানুষের মুখোমুখি অবস্থান তৈরির যথেষ্ট প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।



কারা করে এমন?
এইটা করে তাদের কি কি লাভ হয়?

যেহেতু আপনি এই গুরুত্বপূর্ণ অংশটাই বাদ দিয়ে গেছেন, আপনার দাবী যে সত্য বা যৌক্তিক- এমন কোন প্রমাণ পাওয়া গেলো না।


রুমানার ঘটনাও এর বাইরে নয়। পত্র-পত্রিকা, ব্লগে এটাকে পুরুষ শাসিত সমাজের একটা নোংরা বহিঃপ্রকাশ বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। আর আমরা সাধারন পাঠকরা এতে করে বিভ্রান্ত হচ্ছি। মূল সমস্যাকে প্রাধান্য না দিয়ে এসব ট্যাগিং কে বিশেষ গুরুত্ব দিই। এমন সংবেদনশীল নিউজ ও মন্তব্য প্রতিবেদনগুলো পড়ে নিশ্চয় আমাদের দেশের নারীসমাজের আবেগী মনকে নাড়া দিচ্ছে এবং তারাও হয়তো ভাবেন সমাজটা আসলেই পুরুষের এজন্যই তারা মেয়েদের নির্যাতন করে। তবে কি আমার ছেলে, আমার স্বামীও এর বাইরে নন। আজ হয়তো তারা ভালো, কালতো ভালো নাও থাকতে পারে, কারন তারা পুরুষ এবং সমাজ পুরুষ শাসিত। তাই আমি বলতে চাই এই ট্যাগিং বানিজ্য সমাজের জন্য কোন মঙ্গলের বিষয় নয়। নারী-পুরুষকে পরস্পরের বিপরীত অবস্থানে আনা বা মুখোমুখী দাঁড় করানো উচিত হবেনা। আমাদের বুঝতে হবে সমাজটা নারীর একার না, সমাজটা পুরুষের একার না, সমাজটা নারী-পুরুষ সকলের।

সমাজটা সকলের , এইটা সঠিক। কিন্তু বাংলাদেশের সমাজ কি সবাইকে সমান ভাবে ট্রিট করে? এর ভিতরে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে যারা তাদের পরিচয় কি? আপনি কি বলতে চান, যে , বাংলাদেশে নারী হিসেবে কারো অভিজ্ঞতা আর পুরুষ হিসেবে অভিজ্ঞতা এক?

ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই। আমাদের দেশের বাড়িতে চাষাবাদে নানা ধরনের কাজে নারী পুরুষ উভয়েই বর্গা খাটে। সেখানে, নারীর বেতন পুরুষের অর্ধেক। কাজের পরিমাণ সমান হলেও বেতন কেন অর্ধেক , বলতে পারেন? একই দৃশ্য দেখেছি ইট ভাঙার কাজে জড়িত কন্সট্রাকশন ওয়ার্কারদের মধ্যেও।

লক্ষ্য করুন, কে কয়টা ইট ভাঙলো, তার উপরে বেতন হয় না। বেতন হয় পুরুষ নারীর উপরে। সাধারণ ধারণা হলো নারী পুরুষের সমান কাজ করতে পারে না। তারা শারীরিক ভাবে দুর্বল। একবার, আমি যখন বললাম তাহলে ইট গুণে টাকা দেন। যে যেকয়টা ইট ভাঙবে, সে তত টাকা পাবে। আশ্চর্য ব্যাপারটা হইলো, কর্মীদের পুরুষ সর্দার বা পুরুষ কর্মীরা এতে রাজি না। এমন কি, যখন বলা হলো, পুরুষের বেতন যা আছে , তাই থাকবে, শুধু নারীদের বেতন বেড়ে সমান হবে--- সবাই ক্ষেপে গেলো। তাদের হিসাব একটাই, পুরুষ কর্মীদের বেতন নারীদের ডাবল হতে হবে। নইলে তাদের "মর্দানি" বা "পুরুষত্ব" একেবারেই থাকে না!!!

বিয়ের সময় নারী এবং পুরুষের ভিতরে সকল সময়ে নারীকেই চাকুরী ছেড়ে দিতে হয়। নারীর বেতন বা চাকুরীর সুযোগ সুবিধা পুরুষটির চাকুরীর চেয়ে বেটার হলেও।

আবার পরিবারের বড় সন্তান নারী হলেও উপার্জনের দায় দায়িত্ব সব এসে ঘাড়ে পড়ে পুরুষ সন্তানের উপর।

বৃদ্ধ বাপ মাকে সম্পূর্ণ একা রেখে স্বামীর বাড়িতে উঠতে বাধ্য হয় নারী।

ইচ্ছা হলেও চাকুরী বা ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে বিশ্রাম নিতে পারে না কোন বাংলাদেশী পুরুষ। বলতে পারে না, তুমি কয়দিন সংসার চালাও, আমি ক্লান্ত। আমি বাড়ি থাকতে চাই কিছুদিন।

এই সব এর মূলে যে জেন্ডার ডিস্ক্রিমিনেশন, এবং পুরুষতন্ত্র (যারা ঠিক করে দিয়েছে নারী আর পুরুষ কাকে বলে, তারা কি করবে আর কি করবে না) সেইটা কি আপনার চোখে পড়ে না?

নৈতিকতা ও আইনের শাসন

উপরেল্লিখিত দুটি বিষয় আলোচনা করা অপ্রাসংগিক নয় বলে মনে করছি।
আমাদের রাস্ট্র আছে, আছে সরকার, আছে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহীনি, আছে বিচার ব্যবস্থা, আছে সংবিধান। আমাদের সবই আছে। তবু কেনো আমরা লিমন কিংবা রুমানাদের নিরাপত্তা দিতে পারছিনা? কেনো রুমানা সাত দিন ধরে হাসপাতালে থাকার পরও তার পরিবার আদালত বা পুলিশের কাছে গেলোনা? কেনো আমরা সাইদের মতো হাজারো পশুকে নিবৃত্ত করতে পারছিনা? কারন আমাদের সব থাকা সত্ত্বেও আমরা প্রয়োগে দূর্বল। দেশে আইনের শাসন নেই। মানুষের মধ্যে নৈতিকতা নেই। সরকার রাজনৈতিক হরতাল, বিরোধী দল দমন বা জামায়াত-শিবির পীড়নে যতটা যত্নশীল ও দৃঢ় ততটা যত্নশীল নয় সাধারন মানুষের নিরাপত্তার ব্যাপারে। আজ রুমানাকে হত্যাচেস্টা, সনজিতার আত্মহত্যা, প্রতিনিয়ত ইভটিজিং এর ঘটনা, হরতালের পূর্ব রাতে গাড়িতে আগুন ধরানো, প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দূর্নীতি এমনকি অধুনা ঘটে যাওয়া ২৮শে অক্টোবরে লগি বৈঠা দিয়ে রাজপথে প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষ হত্যা কোনটাই বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং একই সূত্রে গাঁথা। কারনে সমাজে আইনের শাসন নেই। বিচার ও শাস্তির ভয় নেই।


লেখার এই অংশে এসে আপনি একটা বিভৎস অপরাধ করেছেন।

চাল, চালতা, চাল কুমড়া - সব এক মূল্যে মেপে ফেলেছেন। দেশে আইনের শাসন নেই- এইটা সত্যি । কিন্তু জামাত শিবির দমন এবং ২৮শে অক্টোবরের বিশেষ উল্লেখ আপনার রাজনৈতিক এফিলিয়েশন সম্পর্কে সন্দিহান করে তুলছে আমাকে।

সেটুকু যদি বাদ দিয়েও রাখি, তাহলেও রুমানা কিংবা সনজিদা বা শিপ্রা - হেনার কেস আর রাজনৈতিক হত্যা এক লাইনে একই দৃষ্টিভঙ্গীতে পরিমাপ হওয়ার কথা নয়। হওয়া উচিত না।

ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স একটা বিশেষ ধরনের অপরাধ। তার নেতিবাচক প্রভাব সুদুরপ্রসারী, এর ক্ষতি স্পর্শ করে আক্রান্ত ব্যক্তি ছাড়িয়ে পরিবার এবং সমাজকে। আর, এই অপরাধ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চাপা পড়ে থাকে সমাজের ট্যাবুর কাছে। সেই জন্য, একে আলাদা করে চেনার , বুঝার, প্রতিরোধের দরকার আছে।

একটা অনুরোধ

পরিশেষে আমি সবার কাছে অনুরোধ করবো। আজ যারা রুমানার ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তিত। তারা এ বিষয়টাকে নারী পুরুষ ডিসক্রিমিনেশান বা পুরুষ শাসিত সমাজ বলে ট্যাগায়িত না করে এটাকে সামাজিক সমস্যা মনে করে এর প্রতিরোধে এগিয়ে আসুন। কারন সমাজ যদি কখনো নারীতান্ত্রিক হয়েও যায় তখন যে অপরাধ ঘটবেনা এমন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবেনা। আজ আমাদের ক্ষয়িষ্ণু সমাজে নৈতিকতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠ করা খুব জরুরী। এমন একটা সমাজ প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন যেখানে কোন নারী প্রয়োজনে গভীর রাতেও টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া ভ্রমন করতে পারে নির্ভয়ে। সেই স্বপ্নীল সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য, নৈতিকতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা। সমাজে যেদিন মনুষত্ব আসবে সেদিনই কেবল রুমানারা নিরাপদে থাকবে। রাজপথে কোন হত্যাযজ্ঞ হবেনা।


আবারো আপনি পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে মানবতন্ত্র না এনে নারীতন্ত্র নামক এক কাল্পনিক পুরুষ দমন জুজুর ভয় দেখিয়ে পুরুষতন্ত্রকে হালকা করার চেষ্টা করলেন।

পুরুষতন্ত্রের বিরোধিতা মানেই নারীতন্ত্রের সমর্থন নয়। আর যে স্বপ্নীল সমাজের কথা বললেন, সেই সমাজ পেতে হলে নারীর অবস্থান, অধিকার, স্বাধীনতা, এবং ব্যক্তি ও মানুষ হিসেবে বিকাশ এর সুযোগকে সাম্যের জায়গায় আনতে হবে আগে।

সেখানে মধুর মধুর বাক্য দিয়ে ছেলে ভুলানো ( নাকি মেয়ে ভুলানো) পোস্ট লিখে কাজ হবে না। পুরুষ এবং নারী উভয়কেই নিজেদের অধিকার , সাম্য ইত্যাদি নিয়ে সচেতন হতে হবে। পুরুষকে অন্যায় সুবিধার জায়গাটা ছেড়ে দিতে হবে। নারীকে আরো দায়িত্বশীল অবস্থানে পৌঁছাতে হবে। ইচ্ছা, সুযোগ, ক্ষমতা ও সুযোগের ক্ষেত্রে পুরুষ নারীর সাম্য অর্জন করতে হবে।

সেক্ষেত্রে সংঘর্ষ হবেই হবে। পুরুষ তার সুবিধাদি এমনি এমনি ছাড়বে না। কম্পিটিশন মানবে না। নারীও তার সুবিধাবাদী , প্যাসিভ জায়গাটা ছেড়ে পুরুষকে আরাম আয়েশের জায়গাটা হয়ত দিতে চাইবে না।

সুতরাং, লড়াই হবেই।

সে আপনার পছন্দ হোক আর না হোক।

১৫০| ২৩ শে জুন, ২০১১ সকাল ৭:২১

সারওয়ার ইবনে কায়সার বলেছেন: বিভাজনের অপচেস্টা সবসময় বাঙালী জাতিকে পিছিয়ে রেখেছে।

আপনার পুরা পোস্টের সারমর্মটাই মনে হয় এইটা......

ছাগলরা কিছুই বুঝতেসেনা........
বাঙ্গালী সব সময় একজন অপোনেন্ট খুজে পেতে চায়......জীবনেও শুধরাবেনা।

১৫১| ২৩ শে জুন, ২০১১ সকাল ৭:৩৫

ওয়াহিদ০০১ বলেছেন: লেখক: যেহেতু আপনি এখনো ছাত্র, তাই ব্যাপারটাকে আপনার বয়স কম জনিত অনভিজ্ঞতা হিসেবেই বিবেচনা করছি। দেখুন, বিগত কয়েকদিনে যারা রুমানা মঞ্জুরের নির্যাতিত হওয়া বা হাসান সাঈদের নির্যাতক হওয়ার পেছনে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতাকে দায়ী করেছেন, তাদের অধিকাংশই কিন্তু পুরুষ। পুরুষতান্ত্রিকতার বিরোধীতা আর পুরুষদের বিরোধীতার মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য আছে। কেউ পুরুষতান্ত্রিকতার বিরোধীতা করলে সেটা পুরুষদের বিরোধীতা বা পুরুষদের দায়ী করা হয় না।

একটু গভীরে প্রবেশ করা যাক। সমাজে পুরুষতান্ত্রিকতার সৃষ্টি ও প্রসারের জন্য দায়ী কে? শুধু পুরুষ, নাকি নারী-পুরুষ সকলে? একটি ছেলেশিশুর মনে তার মা ই সর্বপ্রথম পুরুষতান্ত্রিকতার বিষ ঢেলে দেন সমবয়সী বোনের চেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা দিয়ে। একটি মেয়েশিশুর মনে তার নানী-দাদী পুরুষতান্ত্রিকতা প্রবেশ করান অনর্থক কিছু বিধি-নিষেধের জালে জড়িয়ে, যেটা তার সমবয়সী ভাইয়ের জন্য প্রযোজ্য নয়। আর সমাজের প্রভাবশালী পুরুষরা তো আছেই। পুরুষতান্ত্রিকতার বিকাশ ও প্রতিষ্ঠার পেছনে নারী-পুরুষ উভয়েরই দায় আছে।

তাই পুরুষতান্ত্রিকতার বিরোধীতাকে পুরুষবিরোধীতা বলে আখ্যা দেয়াটাকেই বরং আপনার ভাষায় 'ভুল ট্যাগিং' বলা যায়। আশা করি জবাব দিবেন।

১৫২| ২৩ শে জুন, ২০১১ সকাল ৭:৩৬

সারওয়ার ইবনে কায়সার বলেছেন: @আইন্সটাইন.......আমি ফেক নিক নিয়া ব্লগিং করিনা......নিজের আসল নাম নিয়া ৩ বছর ধইরা ব্লগিং করতেসি.......নাম শুদ্ব কইরা লিখবেন....

আর আপনার সাথে কোন প্রকার তর্কে যাইতে আমার প্রবৃত্তি হইতাসেনা...
তয় একটা কথা বইলা যাই......

বাস্তবে বিভেদ থাকা এক কথা আর সেই বিভেদরে জিইয়ে রাখা আরেক কথা।
তয় আপনার মতো অনেকেই আছে যারা বিভেদরে জিইয়ে রেখে সেটা থেকে ফায়দা তুলতে ট্রাই মারে।

আমি সব ধরনের বিভেদের বিপক্ষে..আপনি নন........ফারাকটা খুব সামান্য

১৫৩| ২৩ শে জুন, ২০১১ সকাল ৭:৫৬

দূরবীনের ধ্রুব বলেছেন: @রাগ ইমন.......আপনি ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সরে রাজনৈতিক হত্যার চেয়ে খারাপ কইলেন....সাব্বাস!!!
রাজনৈতিক হত্যার কোন প্রভাব সমাজে নাই???এসব কি কন??

লেখক ২৮ অক্টোবর আইনাই ভুল করেছেন.....দেখেন রাগ ইমনের কমেন্ট

কিন্তু জামাত শিবির দমন এবং ২৮শে অক্টোবরের বিশেষ উল্লেখ আপনার রাজনৈতিক এফিলিয়েশন সম্পর্কে সন্দিহান করে তুলছে আমাকে।

এই পোস্টেও জামাত-শিবির!!!!.....
রশি দেইখা সাপ ভাইবা লাফাইয়া উঠা এখন আপনাগো একটা প্রিয় ব্যয়াম হইয়া যাইতেসে.....



১৫৪| ২৩ শে জুন, ২০১১ সকাল ৮:৫১

দুরন্ত সাহসী বলেছেন: মানবীর ষ্টিকি পোস্টের ভারে কয়দিন ধরে লেপটপ টেবিলে রাখতে পারিনি, শুধু এক দিকে কাৎ হয়ে যেতো। তা লেপটপ কোলে নিয়ে বসতাম, আজকে সকালে দেখি লেপটপ আর হেলে যায়না কারন খুঁজতে গিয়ে দেখি আপদ বিদেয় হলো।

এখন দেখি আপনি এসে হাজির, সামুর কি মাথায় কিছু আছে?
রুমানা কে নিয়ে নেকি লুলু পুরুষের অভাব নেই, একেক জন এসে একেক নারি বাদি সাঁজবে নারীর অনুকম্পা পেতে, একজন ভালো স্বামীর আভাস ছড়াবে ব্লগে কেয়ামত পর্যন্ত। তাই বলে কি কেয়ামত পোষ্ত ষ্টিকি হবে আর আমি লেপটপ কোলে নিয়ে ব্লগিং করবো ? ঝআতির বিবেকে গুতা

১৫৫| ২৩ শে জুন, ২০১১ সকাল ৯:০৪

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: এই পোস্ট এর সবচেয়ে দামী কথা যেটা দেখলাম সেটা ২৮শে অক্টোবর নিয়ে। এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটি তুলে আনার কারণে পোস্ট টি স্টিকি হয়ে থাকলে অবশ্যই মডারেশনের ধন্যবাদ প্রাপ্য।

১৫৬| ২৩ শে জুন, ২০১১ সকাল ৯:২৩

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: ২৮শেন অক্টোবর জামাতশিবিরে পোলাপান কে হত্যা করা হয়েছে। বৃষ্টির মত গুলি কর বলে নিজের সমাবেশ থেকে ওয়ার্কার্স পার্টির জনসভার উপর হামলা করলে একটা প্রতিবাদ মুখর সমাবেশ হামলা করলে পরিনতি এর চেয়ে ভালো আশা করা উচিৎ না।
জামাতের সংগবদ্ধ আক্রমন প্রতিহত না করে জামাত শিবির দ্বারা আক্রাণ্ত হয়ে সেদিন বাড়ি ফিরে গেলে দেড় কোটি ভুয়া ভোটারের নির্বাচন জাতি দেখতে পেত।
রাষ্ট্রপতির সাধারন ক্ষমা প্রদান সম্পর্কে আইডিয়া থাকা উচিৎ ছিলো। রাষ্ট্র পতি যেখানে এবং যে কারনে ক্ষমা প্রদর্শন করেছেন তা একান্তই রাজনৈতিক মামলা। মামলা পুরোটাই বিতর্কিত।

২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:১০

উপপাদ্য বলেছেন: আপনার আর কোন কমেন্টের জবাব দিবো না ভেবেছিলাম তবুও দিতে হলো। কারন আপনি নিজের অজান্তে একটা ভয়ানক সত্য উদ্ধার করেছেন।

রাষ্ট্র পতি যেখানে এবং যে কারনে ক্ষমা প্রদর্শন করেছেন তা একান্তই রাজনৈতিক মামলা। মামলা পুরোটাই বিতর্কিত।

এবার বুঝতে পারছেন কিভাবে ট্যাগিং করে খুনীদের মুক্তি দেওয়া হয়। এভাবে রুমানাকে পরকীয়া আসক্ত বলেও হয়তো সাঈদের মতো পাশন্ডকে মুক্তি দেওয়ার জন্য অনেকই ফন্দি আঁটছেন। নিচে একজন আইনজীবি অলরেডি বলে দিয়েছেন এি সাতটি প্রশ্নের উত্তর না দিতে পারলে নাকি সাঈদের কোন সাজা নাও হতে পারে। তাহলে আর কি বলবো??

আপনার জন্য একটা বিশেষ বানী:

মুজিব হত্যাকে অপরাধ আর জিয়া হত্যাকে সাধুবাদ
বা
জিয়া হত্যাকে অপরাধ আর মুজিব হত্যাকে সাধুবাদ

এমন মানসিকতার মানুষকে আমি ঘৃনা করি।

১৫৭| ২৩ শে জুন, ২০১১ সকাল ৯:২৩

জাহিদুল হাসান বলেছেন: সরকার রাজনৈতিক হরতাল, বিরোধী দল দমন বা জামায়াত-শিবির পীড়নে যতটা যত্নশীল ও দৃঢ় ততটা যত্নশীল নয় সাধারন মানুষের নিরাপত্তার ব্যাপারে। আজ রুমানাকে হত্যাচেস্টা, সনজিতার আত্মহত্যা, প্রতিনিয়ত ইভটিজিং এর ঘটনা, হরতালের পূর্ব রাতে গাড়িতে আগুন ধরানো, প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দূর্নীতি এমনকি অধুনা ঘটে যাওয়া ২৮শে অক্টোবরে লগি বৈঠা দিয়ে রাজপথে প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষ হত্যা কোনটাই বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং একই সূত্রে গাঁথা। কারনে সমাজে আইনের শাসন নেই। বিচার ও শাস্তির ভয় নেই।

চমৎকার, বাহ বাহ।স্টিকি পোষ্টের কনটেন্ট এরকম আর সেই পোষ্ট কোন দাবী দাওয়া ছাড়াই স্টিকি হয়। বুঝতে অসুবিধা হয় না, সামুর মডারেটরদের বেতন কোথা থেকে আসে !!!

১৫৮| ২৩ শে জুন, ২০১১ সকাল ৯:৩০

দুরন্ত সাহসী বলেছেন:


দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: এই পোস্ট এর সবচেয়ে দামী কথা যেটা দেখলাম সেটা ২৮শে অক্টোবর নিয়ে। এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটি তুলে আনার কারণে পোস্ট টি স্টিকি হয়ে থাকলে অবশ্যই মডারেশনের ধন্যবাদ প্রাপ্য। =p~ =p~ =p~

জাহিদুল হাসান বলেছেন-চমৎকার, বাহ বাহ।স্টিকি পোষ্টের কনটেন্ট এরকম আর সেই পোষ্ট কোন দাবী দাওয়া ছাড়াই স্টিকি হয়। বুঝতে অসুবিধা হয় না, সামুর মডারেটরদের বেতন কোথা থেকে আসে !!!



সামু কাছে চির ঋনী হয়ে গেলাম তিক্ত অভিজ্ঞতার ঝুলি ভরিয়ে দেওয়ার জন্য।

১৫৯| ২৩ শে জুন, ২০১১ সকাল ৯:৩০

সন্যাসী বলেছেন: এই পোস্টে ২৮ শে অক্টোবরের উল্লেখই বলে দেয় যে এর পরিচয় কী হতে পারে।

১৬০| ২৩ শে জুন, ২০১১ সকাল ৯:৩২

দূরবীনের ধ্রুব বলেছেন: শালার........

এই দেশে গৃহযুদ্ব হবেই হবে......লিখে দিলাম....

এত কুটলামি!!!!!!

১৬১| ২৩ শে জুন, ২০১১ সকাল ৯:৩৭

নীলতারা বলেছেন: ৬৯ নাম্বার মন্তব্যে ওঙ্কারের জবাব:

দেখুন, আপনি আমার কথায় তন্ত্র পেলেন কোথায়? অন্ধ চাওয়া মানুষকে আরো বেশি করে অন্ধ করে দেয়। বিবেককে নিজের গোলাম বানিয়ে লাভ, আদতে তা যায়ওনা...

কুরআন মানুন। শান্তি আসবে। মৌলবাদী হয়েন না আবার...

১৬২| ২৩ শে জুন, ২০১১ সকাল ৯:৪৬

অ্যামাটার বলেছেন: হুমমম!! আজকাল স্টিকি পোস্টগুলো স্কিপ করে যাই।
যাই হোক, লেখাটা সুবিধার লাগছে না মোটেও।

১৭৬টা মন্তব্য পরার ধৈর্য নাই, শুধু লেখাটা পরে যা বুঝলাম, লেখকের মতিগতি ভাল ঠেকছে না।

লেখক, আপনি ইনিয়ে বিনিয়ে যাই বলেননা কেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রচলিত আর দশটা অপরাধের মত বিবেচনা করার সময় এখনও আসেনি।

লেখাটা পড়ে আপনার প্রচ্ছন্ন একতা কর্তৃত্বপূর্ণ মানসিকতার ছায়া দেখা যায়, যা ধেকে রাখতে পারেননি। রুমানা ম্যাডাম নারী হবার কারণে যদি ন্যায্য বিচার পেতে এই সমাজে কিছু প্রিভিলেজ পায়, এইটা আপনি মানতে পারছেন না, এইতো?

২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:১৬

উপপাদ্য বলেছেন: লেখক, আপনি ইনিয়ে বিনিয়ে যাই বলেননা কেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রচলিত আর দশটা অপরাধের মত বিবেচনা করার সময় এখনও আসেনি।

অপরাধির দৃষ্ঠান্টমূলক শাস্তি দাবী করে কি আমি ভুল করেছি? আমারতো কোন সমস্যা নেই। আপনারা আমার পোস্টের মূল বক্তব্যটা ধরতে পারছেন না ক্যানো?

আমার প্রশ্ন হচ্ছে অপরাধীরা বার বার পার পেয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ট্যাগিংএর কারনে। তাই ট্যাগ না করে অপরাধের প্রতিকার আর অপরাধীর বিচার নিশ্চিত করার চেস্টা করা উচিত। সেই সমাজ বানানো উচিত যেখানে কোন অপরাধ ঘটবেনা। যে সমাজে একজন নারী প্রয়োজনে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া যাবে সেটা গভীর রাতে হলেও সে ভ্রমন করবে নির্ভয়ে, নির্ভিঘ্নে।

১৬৩| ২৩ শে জুন, ২০১১ সকাল ৯:৫১

বাক স্বাধীনতা বলেছেন: পোস্টের বক্তব্যের বিরোধিতা দেখে আমি বাস্তবিক অর্থেই হতাশ হয়ে পড়েছি। বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে কিছু কথা-


অনুচ্ছেদঃ২৭। সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।

লক্ষ্য করুন- সকল নাগরিক সমান বলা হয়েছে। সকল নারী সমান এবং সকল পুরুষ সমান বলা হয়নি। তাই রোমানার যেমন আইনের আশ্রয় নেয়ার অধিকার আছে- তেমন সাঈদেরও আছে। আর আইনত যে শাস্তি সাঈদের প্রাপ্য তার বাইরে তাকে শাস্তি দেয়া যাবে না। কারণ সংবিধানে যা বলা আছে তা হলো-

অনুচ্ছেদঃ ৩১। আইনের আশ্রয়লাভ এবং আইনানুযায়ী ও কেবল আইনানুযায়ী ব্যবহারলাভ যে কোন স্থানে অবস্থানরত প্রত্যেক নাগরিকের এবং সাময়িকভাবে বাংলাদেশে অবস্থানরত অপরাপর ব্যক্তির অবিচ্ছেদ্য অধিকার এবং বিশেষতঃ আইনানুযায়ী ব্যতীত এমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না, যাহাতে কোন ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি ঘটে।


অপর এক অনুচ্ছেদ অনুসারেঃ

অনুচ্ছেদঃ ২৮। (১) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবেন না।

কিছু ব্লগার, যারা এই পোস্টের বিরোধীতা করছেন, তারা নারীর প্রতি বৈষম্যের বিরোধী- মাননাম। কিন্তু তারা যেভাবে ঢালাও ভাবে পুরুষদেরকে আক্রমন করে যাচ্ছেন তাতে মনে হচ্ছে পারলে তারা পুরুষদের প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করতে চাচ্ছেন। আপনারা করতে পারেন। কিন্তু রাষ্ট্র তা করতে পারে না (এখানে অবশ্য অনেকের ভিন্ন মত আছে)।

আবার অপর এক অনুচ্ছেদ অনুসারে-

অনুচ্ছেদঃ ২৮।২) রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী পুরুষের সমান অধিকার লাভ করিবেন।

রোমানা সেই অধিকার লাভ করেছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন। সাঈদ তাতে বাধা দেন নি।

অনুচ্ছেদঃ ২৮।(৩) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে জনসাধারণের কোন বিনোদন বা বিশ্রামের স্থানে প্রবেশের কিংবা কোন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়ে কোন নাগরিককে কোনরূপ অক্ষমতা, বাধ্যবাধকতা, বাধা বা শর্তের অধীন করা যাইবে না।

অনুচ্ছেদঃ ২৮।(৪) নারী বা শিশুদের অনুকূলে কিংবা নাগরিকদের যে কোন অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান-প্রণয়ন হইতে এই অনুচ্ছেদের কোন কিছুই রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না।



বর্তমানে চাকুরীতে কোটা এই অনুচ্ছেদ [২৮(৪)] অনুসারে করা হয়েছে। এটা ভিন্ন বিষয়।



লক্ষ্য করুন প্রিয় ব্লগারবৃন্দ- যে আইনের শাসনের কথা লেখক বলেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেরশের সংবিধানেও সেই আইনের শাসনের কথাই বলা আছে। তবে রোমানা- সাঈদের ঘটনাকে যারা চিরন্তন নারীর প্রতি অবিচার বলে আসছেন- অনেকের মতেই সেটা পাগলামী। কারণ, এই ঘটনা চিরায়ত যৌতুক সমস্যা বা দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে হয়নি। সাঈদের আক্রোশ কোন পুরুষালি আক্রোশ নয়। এই আক্রোশ তার পশুত্বের প্রকাশ। পুরুষ মাত্রই পশু নয়। কিন্তু যেহেতু সে ফৌজদারী অপরাধে অভিযুক্ত তাই শাস্তি তার প্রাপ্য। আইনের শাসন যদি বলবৎ থাকে তাহলে কেউই রেহায় পাবে না এবং সমাজে অপরাধ অনেক কমে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।

২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:২৪

উপপাদ্য বলেছেন: দেখুন অপরাধের একটা ছোট্ট সংগা আমি দিয়েছিলাম এ কারনে যেন মানুষ বুঝে অপরাধ কি?? অপরাধ হচ্ছে একটা বিচ্যুত আচরন যা সমাজে অযাচিত। এখন কথা হচ্ছে আপনি যখন অপরাধের চুলছেড়া বিশ্লেসন না করে সে ব্যাক্তি পুরুষ একথা বলবেন তখন কি আর অপরাধ এর সঠিক বিচার আশা করা যায়?

১৬৪| ২৩ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:০৩

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: লেখক@
আপনার লেখার শুরুতেই এই কথাগুলির অর্থ আমার মাথায় আসেনি।

"পত্রিকার প্রথম পাতায় প্রতিদিন প্রচারিত আপডেট খুব একটা বিচলিত করেনা আমাকে। হ্যাঁ শুধু পত্রিকাই নয়, ব্লগ জগত, অনলাইন নিউজ আপনি যেখানেই যাবেন সেখানে দেখবেন রুমানা মনজুরকে। প্রায় অন্ধ রুমানা মনজুরের আরো প্রায় বিভৎস ছবি দেখে প্রায়ই আমাকে ভয়ে শিউরে উঠতে হয়। "

আমার এটাকে ব্যালান্স করার দুর্বল চেষ্টা বলেই মনে হয়েছে। এর অন্য কোনো অর্থ থাকলে একটু পরিষ্কার করবেন আশা করি।

১৬৫| ২৩ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:৩৯

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: দুরন্ত সাহসী@ এত চটে যাওয়ার কারণটা কি? আপনাকে কেউ এই লেখাটা পড়ার জন্য ধরে বেঁধে এনেছে নাকি? নাকি স্টিকি পোস্ট থাকলে অন্য লেখা পড়তে কোনো অসুবিধা হয়? পোস্টের মূল বক্তব্য নিয়ে কথা না বলে ল্যাপটপ ভারি হবার গল্প শুনিয়ে দিলেন। কিন্তু আপনি ঠিক কি কারণে স্টিকিপোস্টের বিরুদ্ধে সেটা পরিষ্কার বুঝলাম না। পোস্টের লেখার মধ্যে স্টিকি হবার মতন কিছু আছে কিনা তা নিয়ে কিছু বললে কি ভাল হত না?

১৬৬| ২৩ শে জুন, ২০১১ সকাল ১১:০১

পারভেজ আলম বলেছেন: অনেকক্ষন পরে এই পোস্টে ঢুকলাম আবার। মাঝখানের এই সময়টাতে দেখা যাচ্ছে লেখক কারো মন্তব্যেরই উত্তর দেন নাই। মাঝখান থেকে প্রজন্ম৮৬ বোকার মতো একটা মন্তব্য করে গেলেন। প্রজন্ম৮৬@ ব্যক্তিগতভাবে আমি আপনার ভালো কামনা করি এবং চাই একজন ভালো ব্লগার হয়ে উঠুন, আপনার মেরিট আছে। কিন্তু কিছু লেখার আগে অথবা মন্তব্য করার আগে আরো চিন্তাশীল হয়ে নেবেন দয়া করে। উপরে আপনি খালি নাস্তিক দেখলেন এই পোস্টের বিরুদ্ধে, আজব! নাজনিন, ওয়াহিদ, নাম বলবো না, অ্যামাটার এদের কি এখন এই পোস্ট বিরোধীতার কারনে নাস্তিক ট্যাগ নিতে হবে? এই পোস্টের পক্ষে কথা বলছেন যারা তাদেরকেও আমি হুটহাট পুরুষতন্ত্রের ট্যাগ দেবোনা, ঐ ট্যাগ দিতে গেলে এই জমানার পুরুষদের ঠগ বাছতে গা উজার অবস্থা হবে। কিন্তু আমি যেইটা বুঝতে পারছিনা তা হচ্ছে যে পুরুষতন্ত্র শব্দটায় এই লেখক এবং আপনার এত আপত্তির কারন কি? আপনি তাও পুরুষতন্ত্রের অস্তিত্ব স্বীকার করেছেন, লেখক তো তার লেখায় পারলে পুরুষতন্ত্র শব্দটাকেই একটা বাজারি শব্দ বলে চিহ্নিত করেছেন এবং বলা যায় এর অস্তিত্বই অস্বীকার করার চেষ্টা করেছেন। আর আপনি যেইভাবে পুরুষতন্ত্র শব্দের বদলে আরো বড় কোন সামাজিক সমস্যা জাতীয় শব্দের ভেতরে সব সমস্যা ঢুকায়া ফেলতে চান সেইটা সমাজ বিশ্লেষনের অথবা আইন তৈরির জায়গা থেকে কতটা ফলপ্রসু হবে সেইটা একটু ভালো মতো চিন্তা কইরা বলেন তো।

আর একটা মজার জিনিস বলি। পুরুষতন্ত্র সম্বন্ধে যারই ধারণা আছে সেই নিশ্চয় জানেন যে পুরুষতন্ত্র জিনিসটা শুধু পুরুষদের বিষয়না, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীরাও পুরুষতন্ত্রে আক্রান্ত থাকে। পুরুষতন্ত্র পুরুষদের একটা হেজেমনিক স্ট্যাটাস দেয় যেইটা নারীরাও মাইনা নেয়। মজার ঘটনা হইল এই যে পুরুষতন্ত্ররে এটাক করলেই বেশিরভাগ পুরুষ সেইটারে পুরুষ জাতির উপরে এটাক হিসাবে গণ্য করে সেইটাও আসলে পুরুষতন্ত্রেরই বহিঃপ্রকাশ। প্রজন্ম৮৬ কি মনে করেন পুরুষদের এই আতে ঘা লাগারে ডরায়া এরায়া গিয়া আপনে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন? এত ডরাইলে কি কিছু হবে?

তবে এই লেখকের অবস্থান বিষয়ে এখন আমার আর কোন সন্দেহ নাই। শুরুতে ভাবছিলাম উনি পুরুষতন্ত্রের উপর আক্রমনে দিশেহারা পুরুষ জাতিরে মলম হিসাবে মনে শান্তি দেয়ার জন্যে এই পোস্ট দিছেন। কিন্তু তার ব্লগে একটু ঘুরাফিরা কইরা ফ্রন্টপেজেই Click This Link এই পোস্ট খানা পাইলাম। এই পোস্টে উনি হেনা হত্যাকান্ডের ইস্যুতে দাসত্ব যখন হেনার বিরুদ্ধে প্রিম্যাচিউর সেক্সুয়াল এডিকশনের অভিযোগ আনলো তিনি শুধু তার পক্ষেই দাঁড়ান নাই বরং সাথে সাথে যারা এর প্রতিবাদ করেছে তাদের সাইকোলোজিরে "মরা মানুষের প্রতি সহানুভুতি" বা "মরা মানুষরে ভালো প্রমান করার চেষ্টা" জাতীয় থিওরি দিয়া দুর্বল করার চেষ্টা করেছেন। তাতে বুঝলাম যে ইনি শুধু পুরুষদের মলম দিতে আসেন নাই, ইনি আসছেন পুরুষতন্ত্র শব্দের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়া পুরুষতান্ত্রিক প্রাবল্যের পক্ষেই জয়গান গাইতে, কারণ ইনি নিজেই একজন প্রবল পুরুষতান্ত্রিক ব্যক্তি। আমি নিশ্চিত, যেহেতু তিনি মনে করেন যে হেনা মারা গিয়েছিল বলে সে সহানুভুতি পেয়েছে এবং তার অপরাধগুলা মানুষ গনায় ধরতে চায় নাই তেমনি রুমানা ভিকটিম বলেই তার অপরাধগুলা পত্রপত্রিকায় আসবেনা এবং সহানুভুতি শুধু রুমানাই পাবে। হেনা হত্যাকান্ডের পরে তাও তিনি তার এই অবস্থান সাহসের সাথে উচ্চারণ করেছিলেন বটে, কিন্তু এইবার রুমানার ইস্যুতে হেনার মতো রুমানাকে দুশ্চরিত্রা বানানোর সাহস করেন নাই। কিন্তু তার পুরুষতান্ত্রিক অহংতো কোন না কোন ভাবে বাইরে আসবেই, আর তা এসেছে এই মলম পোস্টের মধ্য দিয়া, সুশিল বাক্যবানে তিনি পুরুষতন্ত্র শব্দটাকেই হত্যা করতে চান। কিন্তু তার এই হত্যা প্রচেষ্টায় সামু কর্তৃপক্ষ কিভাবে সামিল হলো সেইটা আমার এখনো বোধগম্য হয় নাই।

আলাদা ভাবে রাগ ইমন আপাকে অসংখ্য ধন্যবাদ অসাধারণ মন্তব্য করার জন্যে।

১৬৭| ২৩ শে জুন, ২০১১ সকাল ১১:২২

হক মাহবুব বলেছেন:
ভাই ধন্যবাদ আপনাকে।

আমি একটু বিভ্রান্ত হয়ে আপনার স্মরণাপন্ন হচ্ছি।

আপনি কি অপরাধের বিচার চাচ্ছেন নাকি অপরাধীর বিচার চাইছেন?
অপরাধীর বিচার রাস্ট্র করুক তার আইনের মাধ্যমে তাতে আমাদের কারো কোন আপত্তি থাকার কথা হতে পারেনা।

কিন্তু অপরাধের বিচারতো বিশ্লেষনের মাধ্যমে হবে যতটুকু জানি। সেখানে একটা ঘটনার সামাজিক, অর্থনৈতিক, মানবিক বিশ্লেষণ হবে না!!?

এই যে ঘটনাটা ঘটলো, কেন ঘটলো, কিভাবে ঘটলো কারা ঘটালো তাদের অবস্থা ও অবস্থান বিশ্লেষণ হবেনা?!

ছোটবেলা থেকে শুনেছি বউ মারে ছোটলোকে। এই ছোটলোকরা হলো, নিম্নআয় গোষ্ঠীর লোকজন। কিন্তু এই ঘটনা এবং আরো কিছু ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে এগুলো শুধু নিম্নআয় গোষ্ঠীর লোকরা নয় বরং আমরা যারা নিজেদের উঁচুতলার লোক ভা্বি আমাদের মধ্যেও এই রোগের প্রাদুর্ভাব কম নয়। তাহলে এই রোগ আমাদের মাঝেও কেন তার বিশ্লেষণ হবেনা!? আর সেই বিশ্লেষণ যদি মনুষ্য প্রজাতির কারো ঘাড়ে এসে ওঠে তাতে আমাদের জ্বলে ওঠার কোন কারণ থাকা উচিত কিনা?

আপনিই বলেছেন, আপনি এইসব তন্ত্র-মন্ত্র বেশ পড়েছেন বলে আপনার মনে পড়ে। তাহলে তন্ত্র মন্ত্রের জোর সম্পর্কে আপনার অজানা নয়।

২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৫৬

উপপাদ্য বলেছেন: আমি খুব স্পস্ট করে বলেছি। অপরাধের প্রতিকার আর অপরাধীর দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির কথা।

এই তন্ত্র মন্ত্রের জোরেই আজ আপনি তৃতীয় বিশ্বে আর আমি প্রথম বিশ্বে। এই তন্ত্র মন্ত্রের জোরেই আপনি টেরোরিস্ট আর আমি সাধু।
এই তন্ত্র মন্ত্রের জোরেই আপনার তেল গ্যাস আজ আমার পকেটে।
এই তন্ত্র মন্ত্রের জোরেই আপনি আমার বিরুদ্ধে আর আমি আপনার বিরোদ্ধে।
এই তন্ত্র মন্ত্র না থাকলে মানুষকে বিভাজিত কার যায় না মানুষ কে শোষন করা যায়না। মানুষকে শোসন করতে হলে বিভাজন পূর্বশর্ত।

১৬৮| ২৩ শে জুন, ২০১১ সকাল ১১:৪৫

একলা বগ বলেছেন: এই পো্ষ্টের কারনে চুশীল নাস্তিকদের দেখি গায়ে আগুন ধবে গেছে। ব্যাপারটা দেখে ভাল লাগল।

এনিওয়ে, ওংকাররের কমেন্টের জবাবে আমি একটা কমেন্ট করছিলাম, সেইটা মুছে দেওয়া হইছে দেখতে পারতেছি। ওংকার যদি ওপেন সেক্স করলে সমস্যা কি এইটা প্রশ্ন করতে পারে, তাইলে ওংকারের নিজের পরিবারের মধ্যে ওপেন সেক্সের ইমপ্যাক্ট কি হতে পারে সেইটা তার চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার অধিকার আমার থাকার কথা। এনিওয়ে, ফেয়ার আলোচনা করতে হলে মডারেটরদের আরো উদার হতে হবে, এইরকম একচোখা মডারেশন কাম্য নয়।

১৬৯| ২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১২:০০

একলা বগ বলেছেন: প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: একটা বিষয় কি আশ্চর্য্য হবার মত নয় যে, প্রতিটা নাস্তিক ব্লগারই এখানে সরব উপস্থিত?? সাধারন ব্লগাররা কোথায়? তার মানে কি সমাজে ভাল-খারাপ বুঝার মত জ্ঞান কি সাধারন ব্লগারদের নেই?? আর প্রতিটা নাস্তিক ব্লগারই একই রকমের আপত্তি করে মন্তব্য করছে তার মানে কি, নাস্তিকদের মাঝে কোন ভিন্নমত নেই?


এসব দেখে আমার একটা ব্যাপারই মনে হয় যে, এই ব্লগের নাস্তিকরাই একমাত্র ভাল-খারাপ বুঝে নয়তো ওরা সিন্ডিকেট ব্লগিং করে!

১৭০| ২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১২:০৮

অনন্ত আরেফিন বলেছেন: সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
এটা পুরুষতান্ত্রিক কোন বিষয় নয়।
একমত।

১৭১| ২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১২:১০

দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: @পারভেজ আলম: এইটা কী লিনক দিলেন ?? বউ এর চাকরী করতে দিতে চাওয়া-না চাওয়ার মন্তব্যগুলো থেকে একইসাথে হাসি পেলো আবার মনটাও খারাপ হল। পুরুষতান্ত্রিকতার ভারে ভারাক্রান্ত এই জাতীয় পোস্ট আর কমেন্টগুলো চোখের সামনে থাকার পর ও রুমানার ঘটনার বিশ্লেষণ কারো কারো কাছে "তন্ত্রের ব্যাবসা মাত্র"।

১৭২| ২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১২:১৪

হাম্বা বলেছেন: ++

১৭৩| ২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১২:১৫

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: তাই তো! কোনো নাস্তিক যদি খারাপকে খারাপ বলে তবে আর কারো সেটা করা উচিত না। ধার্মিকদের বলছি, আপনারা কোনো কিছুর প্রতিবাদ করার আগে দেখে নেবেন সেই প্রতিবাদ আগে কোনো নাস্তিক করে ফেলেছে কিনা। যদি কোনো নাস্তিক আগেই খারাপ বলে থাকে তবে আপনাদের ঈমানী দায়িত্ব সেটিকে ভালো প্রমাণ করা।
নইলে কিন্তু হূর পরী মিস হবার চান্স আছে। (সাথে নাস্তিক ট্যাগিং পাবেন, সেটা নিয়ে কিছু বলব না। দুনিয়া তো আপনাদের কাছে দু-দিনের ব্যাপার।)

১৭৪| ২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১২:৩৯

ইংলা বলেছেন: আবাইল্লা স্টিকি পোস্ট

১৭৫| ২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১২:৪৯

একলা বগ বলেছেন: ইংলা বলেছেন: আবাইল্লা স্টিকি পোস্ট

হা হা , আংগুর ফলটা মনে হয় বেশি টক হইয়া গেছে, গলার মধ্যে চুকা ধরছে তাই না?

১৭৬| ২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:০৩

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: প্রজন্ম৮৬ র কথায় বেজায় ভাবিত হৈতাছি। মডুরা আর এই পোস্ট জীবনেও নামাবে না মনে হয়। নামালেই প্রমাণিত হবে তারা নাস্তিকদের সাথে সিন্ডিকেট করে বসেছে। =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

১৭৭| ২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:০৭

বাংগাল গাজী বলেছেন: প্রায় সকলের লেখা পড়ার চেষ্টা করলাম। মনজুর এর জন্য সহানুভূতি প্রকাশ করার দৃষ্টটা আমার নেই। এই স্বামীর কাণ্ডে আমরা আহত- ব্যথিত ও অপরাধ বোধ করেছি।

কিন্তু লেখকের কাছে আমার কয়েকটা প্রশ্ন আছে।

১) মনজুর ম্যাডাম আহত হওয়ার ৭ দিন পরে কেন খবরে আসলেন???

২) উনাকে যদি উপর্যুপরি নির্যাতন করে থাকেন উনার স্বামী তবে কেন উনি তার স্বামীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিলেন না???

৩) উনার যদি কোন কোন দোষ ই না থাকে তবে কেন আগেই আইনের আশ্রয় উনি চাইলেন না???

৪) উনার মত শিক্ষিত নারীরা যদি নির্যাতনের কথা প্রকাশ করতে ভয় পান, তা কি অন্য কিছু প্রকাশ করে না???

৫) উনি কেন নির্যাতনের পরে ৭ দিন চুপ করে ছিলেন??? এই জন্যই যে উনারও কিছু ভুল ছিল???



আমি আমার স্বাধীন মতামত প্রকাশ করলাম। একজন আইনজীবী হিসাবে বলছি ঘটনা যতই করুন হোক না কেন আদালতে আমার প্রশ্ন গুলোর উত্তর ই রুমানাকে দিতে হবে। এবং যদি বিশ্বাস যোগ্য উত্তর উনি দিতে না পারেন তবে উনার স্বামীর শাস্তি নাও হতে পারে।

২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৪৮

উপপাদ্য বলেছেন: আইনজীবি ভাই এটা আপনি কি বললেন বিশ্বাসযোগ্য উত্তর না দিতে পারলে সাইদের শাস্তি নাও হতে পারে????????

তাহলে তার উপর যে হামলা করেছে সাঈদ যা সে ইতো মধ্যে স্বীকার ও করেছে সেগুলোর কি হবে???

১৭৮| ২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:২৬

পারভেজ আলম বলেছেন: আপনার কমেন্টগুলো এমন যে আপনি আমাকে আনকনসাসলি সাপোর্টও দিচ্ছেন আর আমার ব্লগীয় ঠিকুজির কারনে বিরোধীতাও করছেন। মজার ব্যাপার।

আজাইরা ডায়ালগ ছুড়বেন না, আপনেরে আনকনসাসলি সাপোর্ট দিছি কিভাবে সেইটা এখন ব্যাখ্যা করেন। ব্যাখ্যা না করতে পারলে বক্তব্য উইথড্র করেন। আপনের সাথে শুধু নৈতিক কারণে একটা ক্ষেত্রেই সহমত হইছি যে আইন সবার জন্যই সমান হওয়া উচিত। কিন্তু বাস্তবতার কারণেই এবং আইন সবার জন্য সমান করার স্বার্থেই শ্রেণী, লিংজ্ঞ ইত্যাদি ভিত্তিক অপরাধ চিহ্নিত করা দরকার, এইটাই ছিল আমার প্রথম কয়েকটা মন্তব্যের স্পষ্ট বক্তব্য। আপনের ঠিকুজি দেখলাম আজকে সকালে, আমার প্রথম ৩টা মন্তব্য তার আগে করা।

কইলেন আমার প্রথম মন্তব্যের জবাব দেন নাই কারন ঐ মন্তব্য ব্যাঙ্গাত্বক মনে হইছে। আজিব, ঐ মন্তব্যে ব্যাঙ্গাত্বক কি লিখলাম? মিছা কথা বলতাছেন কেন? সরাসরি উত্তর দিতে ডরান তাই এভয়েড করতাছেন এইডা স্বিকার করলেই তো হয়। আপনে আপনের লেখায় পুরুষতন্ত্র শব্দের বিরুদ্ধে যেই আপত্তি ঘোষনা করছেন তার কারণ জানতে চাইছি, সৎ সাহস থাকলে জবাব দেন। আর জিগাইছি রুমানা ইস্যুতে পুরুষতন্ত্রের একেবারেই কোন দায়ভার নাই এইটা আপনি কোন যুক্তিতে শিওর হইলেন ব্যাখ্যা দেন। সৎ সাহস থাকলে জবাব দেন।

২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:৪০

উপপাদ্য বলেছেন: নিজের কমেন্ট গুলো ও পোস্ট টি আবার পড়েন দেখবেন কেমন অন্তমিল আছে।

১৭৯| ২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:৫৫

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: ''আপনার আর কোন কমেন্টের জবাব দিবো না ভেবেছিলাম তবুও দিতে হলো। কারন আপনি নিজের অজান্তে একটা ভয়ানক সত্য উদ্ধার করেছেন।

রাষ্ট্র পতি যেখানে এবং যে কারনে ক্ষমা প্রদর্শন করেছেন তা একান্তই রাজনৈতিক মামলা। মামলা পুরোটাই বিতর্কিত।''
----------------------------------------------------------------------------------------------
আপনি চমকিত বা পুলকিত হতে পারেন বটে। এই মামলা সম্পর্কে পেছন থেকে জানলে আরো চমকিত হবার সম্ভাবনা আছে। কারন অপকৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। যা রাজনৈতিক খায়েশ মেটানো হয়েছিলো যেখানে ৩য় পক্ষ হত্যার দায় স্বীকার করেছিল।

আপনি নিশ্চয় এখানে কোন ব্লগারের অনুগত নয় বা যে মন্তব্যের জবাব দিতে বাধ্য থাকিবেন।


আপনার নিসৃত মহামুল্যবান বানী ব্লগারদের জীবনাচরনে প্রভাব রাখতে পারে।

সত্যের সাথে সহবাস নয় বসবাস করলে জীবনাচরন সহজ হয়।

১৮০| ২৩ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:১০

মারভিন বলেছেন: তাহলে তার উপর যে হামলা করেছে সাঈদ যা সে ইতো মধ্যে স্বীকার ও করেছে সেগুলোর কি হবে??
View this link

১৮১| ২৩ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:১২

ইংলা বলেছেন: একলা বগ বলেছেন: হা হা , আংগুর ফলটা মনে হয় বেশি টক হইয়া গেছে, গলার মধ্যে চুকা ধরছে তাই না?


> পোস্টই তো বুঝি নাই, ফল মুখে দেয়া তো দূরের কথা। এত পুং-স্ত্রী তন্ত ফন্ত বুঝি না। এতগুলা ট্যাকা-সোনা দিয়া যখন বিয়া করুম, বৌরে নিয়া যা ইচ্ছা তাই করুম। কার কি যায় আসে? তাছাড়া এটা যে বালপুস্ট সেটা পঠিত সংখ্যা আর ভালো লাগছের সংখ্যার অনুপাত থেকেও বুঝা যায়।

২৬৭৪ বার পঠিত, পোস্টটি ২৭ জনের ভাল লেগেছে !!!

১৮২| ২৩ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:১৪

পুংটা বলেছেন: এইটা যুদ্ধঅপরারীর বিচারকে ভিন্নপথে পরিচালিত করার জন্য বিরোধীদল ও জামাতের মদতে ওই ব্যাটা রুমানারে পিডাইছে.... /:)

১৮৩| ২৩ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:১৭

পারভেজ আলম বলেছেন: লেখক বলেছেন: নিজের কমেন্ট গুলো ও পোস্ট টি আবার পড়েন দেখবেন কেমন অন্তমিল আছে।

হায়, আবারো সরাসরি উত্তর না দিয়া পিছলাইলেন। আবার আমার শেষ মন্তব্যটাও মুইছা দিছেন। সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না বুঝলাম, কিন্তু সমালোচনাকারীদের প্রশ্নের জবাব দেয়ার সৎ সাহস বা যোগ্যতা কোনটাই আপনের নাই এইটা স্বিকার কইরা নিলেই পারেন। তাইলে আর চিন্তাশীল ব্লগাররা আপনের এইখানে অযথা মন্তব্য কইরা সময় নষ্ঠ করবেনা। হুদাই ভাব নেয়ার কি দরকার।

১৮৪| ২৩ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:২২

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: মারভিন@ আপনার লিঙ্কের মাজেজা ক্লিয়ার করুন। সেখানে তো এই পোস্টের সাথে সম্পর্কিত কোনো কিছু পেলাম না। অপ্রাসঙ্গিক স্প্যামিং করলে ব্যান খাবার সম্ভাবনা আছে সেটা জানেন তো?

১৮৫| ২৩ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৩২

আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন: এই পোস্ট ষ্টিকি করার জন্য মডারেশন প্যানেল ক অনেক অনেক ধন্যবাদ!


+++

১৮৬| ২৩ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৩৮

রেহমান জিয়া বলেছেন: সহমত। লেখাটি ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ।

১৮৭| ২৩ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৫০

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: @ পারভেজ আলম ভাই,

আপনি নিজেও জানেন আপনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে।আমি বলবো না আপনি না বুঝেই আমার উদ্দেশ্যে মন্তব্য করছেন। বরং আমাকে যে "বোকার মত" বললেন, এই কথাটাকেও "বেনিফিট অব ডাউট"**** দিয়া বড়ভাই সুলভ মন্তব্য বলেই গ্রহন করলাম।

তবে আপনি কিভাবে অস্বীকার করলেন যে এই পোস্টে "নাস্তিক এ্যাটাক" হয় নাই এটা বুঝলাম না! ২-১ জন ছাড়া বাকী সব প্রতিবাদী ব্লগারই আপনাদের বন্ধু-বান্ধব। এই আচরন ট্রেন্ডটা হইলো ট্রেনের মত, ইঞ্জিন যেদিক যায় পরের ডাব্বাগুলা সব ঐদিকই যায়। অনেক পোস্টেই এই বিষয়টা দেখি।
---------------------------------------------------------------

আলোচনা হইতে পারতো কিন্তু স্টিকি করার বিরোধীতা এবং গোপন এজেন্ডা বের করার যেই চেষ্টা শুরু থেকেই হইছে এটাকে স্বাভাবিক মনে করি না আমি। আমি কিন্তু এই লেখকের অন্য কোন পোস্টের সাথেও পরিচিত না কিন্তু এখানে ওনারে সাপোর্ট করার কারন হলো, ওনার সাথে এখানে "ফেয়ার" আচরন হয় নাই। স্টিকি হবার পরের কমেন্টগুলো পড়েন আপনিও বুঝবেন।
----------------------------------------------------------------

পুরুষতন্ত্র বাংলায় কিছু সমস্য তৈরী করে, ইংরেজীতে "ম্যাসকুলিনিটি" বললে কিন্তু বিষয়টার চেহারা বদলায়। সমাজের অনেক সমস্যার পিছে "ম্যাসকুলিনিটি" একটা প্রভাবক, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এটার ভক্ত আছে।প্রমিনেন্ট ফেমিনিস্টদের লেখা বিতর্কিত হয় না কারন ওরা লিংগ ভিত্তিক জেনেরালাইজেশন করে না। বরং ম্যাসকুলিন স্ট্রাকচারের বিরোধীতা করে। কিন্তু বাংলায় এ নিয়া যত আলোচনা সব শুধু মাত্র "লিংগভিত্তিক পুরুষ"দের নিয়া।এটা অজ্ঞতাপ্রসুত এবং যারা এর বিরোধীতা করে তারাও বুঝে না আবার যারা এর পিঠ বাচায় তারাও বুঝে না। ম্যাসকুলিনইজম একটা স্ট্রাকচার কিন্তু এটার সাথে আমাদের দেশে পুরুষদের মিলাইয়া ওদের শিশ্ন নিয়া টানাটানি করে একটা জগাখিচুরী বানানো হয়। আমার ধারনা এটা প্রতিপক্ষরে আক্রমন করার উদ্দেশ্যেই ব্যাবহার হয়।
--------------------------------------------------------

আমি আগেও কোথাও বলছিলাম যে, আপনারা পরিচিত সার্কেলের বাইরে "বেনিফিট অব ডাউট" **** দেন না। নাইলে এই পোস্টটাকে "পুরুষতন্ত্র" প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা হিসাবে না দেখে বরং, অপরাধকে "জেনেরালাইজেশন"র বিপরীতে একটা পোস্ট হিসাবে দেখতে পারতেন। এটাকে কিন্তু বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা বলা যায় না।

-----------------------------------------------------------
আমি পুরুষদের প্রতিবাদের পরোয়া করি না পারভেজ ভাই, কিন্তু 'ভুল' উপায়ে পরিবর্তন করার স্বপ্নও দেখি না কারন এর ফলে সার্বজনীনতা হারায়। মানবী আপার পোস্টে কিছু ব্লগার না বুঝেই ফাল দিল যে, সব পুরুষরে পঁচানো হৈতেছে, এটা মানি না, কাউন্টার পোস্ট করলো। এই পোস্টেও বলা হৈতেছে, পিশাচ পুরুষদের বাঁচানোর জন্য এই পোস্ট , মানি না, কাউন্টার পোস্ট হইলো! ২টা উপায়ই ভুল, এবং ২ জায়গাতেই মুল বিষয় স্কিপ করা হইছে!

আমি ব্লগে যথেষ্ট সময় দিতে পারতেছি না কিন্তু তারপরেও এগুলার প্রতিবাদ করতেছি কারন আপনের সাথেই একবার আলাপে বলছিলাম যে, বিবেকের কাছে দায়বদ্ধতা থেকে ব্লগিং করি।

এই পোস্ট হয়তো ননস্টিকি করা হবে, কিন্তু আমি অন্তত নিজের কাছে পরিষ্কার থাকতে পারুম যে, আমার পর্যবেক্ষনটা আমি বলছিলাম। যেমন মানবী আপার পোস্টে বলছিলাম, যে হাসান সাঈদ গ্রেপ্তার হইছে কিন্তু শত শত হাসান সাঈদ দেখতেছি আমাদের আশে-পাশেই। একটা পোস্টও দিছিলাম।http://www.somewhereinblog.net/blog/generation86/29399440 প্রায় একই রকম দায়বদ্ধতা থেকে এই পোস্টের বিরোধীতাকারীদের "রেল গাড়ি" আচরনেরও নিন্দা জানাইলাম।

আমি এটাও জানি যে, এমন আক্রমনাত্মক আচরন কিছু দলে থাকবেই, কিন্তু আপনিই একবার এমন বলছিলেন যে "তর্ক-বিতর্কে আদর্শের মৌখিক জয়-পরাজয়কে গুরুত্ব না দিয়ে যাদের বা যেই লক্ষ্যের উদ্দেশ্যে তর্ক হচ্ছে তাদের যেন ভাল হয় সেটা গুরুত্ব দেয়া উচিৎ।"------- আপনি জানেন যে, নারী উন্নয়নের মত ব্যাপক একটা বিষয়কে পুরুষদের প্রতিপক্ষ বানাইয়া লক্ষ্য অর্জন সম্ভব না।

যাক ভাই , ভাল থাকবেন। আপনার সমৃদ্ধ সমালোচনা এবং পর্যবেক্ষন থেকে ভুল-ভ্রান্তি পাইলে ধরায়ে দিয়েন যাতে নিজের উন্নয়ন করতে পারি।বর্তমানে একটু ব্যাস্ততার মাঝে থাকায় যদি কোন প্রশ্ন করেন তাহলে হয়তো তার জবাব দিতে দেরী হইতে পারে তার জন্য কিছু মনে নিয়েন না।

২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৪১

উপপাদ্য বলেছেন: "তর্ক-বিতর্কে আদর্শের মৌখিক জয়-পরাজয়কে গুরুত্ব না দিয়ে যাদের বা যেই লক্ষ্যের উদ্দেশ্যে তর্ক হচ্ছে তাদের যেন ভাল হয় সেটা গুরুত্ব দেয়া উচিৎ।"------- আপনি জানেন যে, নারী উন্নয়নের মত ব্যাপক একটা বিষয়কে পুরুষদের প্রতিপক্ষ বানাইয়া লক্ষ্য অর্জন সম্ভব না।

কঠিন ভাবে একমত।

কারো লেখা পড়ে আপনি সেই লেখার সারমর্ম কি সেটা দেখে কমেন্ট করবেন এটা স্বাভাবিক। কিন্তু পুরো লেখার একটা অংশকে হাইলাইট করে তাও উল্টা ভাবে বুঝে তর্ক করা হচ্ছে। আর আগের স্টিকি পোস্টের লেখক মানবী আপু নিশ্চয় ইতোমধ্যে আমাকে তার শত্রু মনে করছেন। কারন অনেকেই আমার পোস্টকে কাউন্টার পোস্ট আর আমাকে সাঈদের শুভাকাঙ্খী বানানোর চেস্টাও করছেন।

ধন্যবাদ প্রজন্ম৮৬।

১৮৮| ২৩ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৫৮

উপপাদ্য বলেছেন: সবার মন্তব্যের জবাব দিতে পারছিনা বলে দুঃখিত।

যাই হোক একটা বিষয় লক্ষনীয় যে কিছু ব্লগার (এরা একটা সিন্ডিকেট বলে অনেকই মনে করছেন) আমাকে নারী বিদ্বেষী ও সাঈদের শুভাকাঙ্খী হিসাবে চিত্রায়িত কারার চেস্টা করছেন যা খুবই দুঃখজনক। এবং শুধু তাই নয় বারবার পোস্টের মূল বক্তব্য থেকে বাইরে এসে আমাকেও ট্যাগিং এর ব্যার্থ চেস্টা করে যাচ্ছেন।

আমি বারবার বলতে চেয়েছি সমাজে নারী পুরুষের সহাবস্থান এবং সকলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করা রাস্ত্রের কর্তব্য। যারা মনে করেন এ জন্য বিভিন্ন তন্ট্র মন্ত্রই দায়ি তারা আমাদের দেশের বর্তমান অবসথা দেখে খুশী আছেন। এই যে আমরা সবাই বিভিন্ন দলে বিভক্ত এটা কি সুখকর? এক্ষেত্রে রাস্ট্রকে এগিয়ে আসতে হয়। আজ যখন পত্রিকার পাতা খুলে দেখি মাননীয় সংসদ সদস্যরাও মানব বন্ধন করছেন সাঈদের শাস্তি নিশ্চিত কারার জন্য তখন খারাপ লাগে কিভাবে একটা বিষয় নিয়ে জল ঘোলা হচ্ছে তা দেখে। কিভাবে রুমানার উপর বর্বর এ নির্যাতনকে রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা অর্জন ও কাগজের হেডলাইন হওরায় নিরন্তর নোংরা প্রচেস্টা মানুষের মধ্যে। রাস্ট্র কতটুকু দূর্বল ও অকার্যকর হলে এমনটি করতে হয়। আইনের শাসনের অবস্থান কোথায়?

সরকারের মন্ত্রী যখন নারী নির্যাতনের ঘটনায় বিরোধী দলকে দোষারোপ কেন তখন খারপ লাগে। কিভাবে রুমানা হত্যাচেস্টা বিরোধী দল পর্যন্ত যায় দেখে অবাক লাগে।
আমার প্রতিবাদ এ জায়গায়। আসুন আমরা ট্যাগিং না করি। যুক্তি দিয়ে বুঝার চেস্টা করি। অপরাধের প্রতিকার ও অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করি। নিশ্চিত করি অপরাধ করলে শাস্তি হবেই।

১৮৯| ২৩ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:০৮

পারভেজ আলম বলেছেন: প্রজন্ম৮৬ @ সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আপনের অবস্থানটা পরিস্কার হইছে। আপনের আগের মন্তব্যের ক্ষেত্রে "বোকার মতো" শব্দটা ব্যাবহার করছিলাম কারণ আপনের ঐ একটা মন্তব্যই কিন্তু এই পোস্টের মূল আলোচনারে ডাইভার্ট করে ফেলতে পারে। মূল আলোচনারে আস্তিক-নাস্তিক বিভেদ হিসাবে গণ্য কইরা এই পোস্টের বিরুদ্ধে আপত্তির জায়গাটুকুই হালকা কইরা ফেলতে পারে। উপরে অলরেডী একজন এইটা করেছেও, খেয়াল কইরা দেখেন। আর আরেকটা জিনিস হইল যে আপনি যাদের নাস্তিক ব্লগার হিসাবে এখন বেশী দেখতাছেন এরা হচ্ছেন এই মুহুর্তে একটিভ ব্লগার। ব্লগে কিছুদিন থাকেন, দেখবেন একটিভ ব্লগারদের সংখ্যা এবং নামগুলা কিছুদিন পরপর পরিবর্তন হয়।

আর এই পোস্ট পুরুষতান্ত্রিকতার ধ্বজাধারী এমন কিছু আমি আমার প্রথম ৩ মন্তব্যে উল্লেখ করিনাই। আমি ওনার কাছে জানতে চাইছি যে বাস্তবতারে অস্বীকার কইরা উনি কেনো পুরুষতান্ত্রিকতা শব্দের ব্যাবহারের পেছুনে লাগলেন, কেনো উনি এই ঘটনার পেছনে পুরুষতান্ত্রিকতারে কোন দায়ভার দিতে চান না। আমার মতো প্রশ্ন অনেকেই করছে, অনেকেই বাস্তব উদাহরণ, তথ্য এবং যুক্তি তুলে ধরছে। কিন্তু উনি কারো উত্তরই ঠিকমতো দেন নাই, এড়ায়া গেছেন। ওনার মূল উদ্দেশ্যের পেছনে যে পুরুষতান্ত্রিক প্রভাব আছে এই সন্দেহ আমি করলাম ওনার একট পুরানা পোস্ট দেখে। উনি চাইলে আমার ভুল ভাঙাইতে পারেন, দায়িত্বটা ওনার। তবে এইসব প্রশ্নের জবাব দেয়া এবং সুস্থ্য আলোচনা করার মতোন যোগ্যতা ওনার আছে বলে এখন আর আমার মনে হচ্ছেনা।

১৯০| ২৩ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:১০

অবাঞ্চিত বলেছেন: জোকার নায়েকের লেকচার শোনা বাংগালীদের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না

১৯১| ২৩ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৩৩

রিমন৭১ বলেছেন: আমরা চাই এর কঠিন থেকে কঠিন তর একটা বিচার হোক। যাতে কোন জানোয়ার আর এ রকম কাজ কথা সপ্নেও না ভাবে।

১৯২| ২৩ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৪০

দুরন্ত সাহসী বলেছেন: নারীর শত্রু নারী, আর রুমানার শত্রু চার জন, সাঈদ , মানবী, আপনি আর সামু।

স্টিকি করার উদ্দেশ্য সাধারণত গন জাগরণ বা সমর্থন আদায় বা কোন বিষয় অবহেলিত হলে তার দৃষ্টি আকর্ষণ।

রুমানা ঘটনা নিয়ে পর পর দুবার ষ্টিকি করার কোন কারণ নেই।
মানবী বিষয়টা মানবিক দিক বিবেচনা না করে এক চিটিয়ে পুরুষ জাত তুলে কিছু সস্তা শব্দ ব্যবহার করে পুরুষ ও নারী জাতের মধ্যে একটা বিভাজন সৃষ্টি করে দিয়ে গেছেন।তিনি সকল কমেন্টের সঠিক মানে বুঝননি এবং দেননি কোন সুন্দর উত্তর।তিনি শুধু বুঝেছেন দুটো বিষয় এক পুরুষকে ইচ্ছে মত গাল মন্দ আর বুঝেছেন ডিভোর্স কেন দেয়নি রুমানা।

এমন সব জাবাব তিনি দিয়েছেন যার কারণে ধীরে ধীরে রুমানা বিদ্ধেসীর জন্ম নিতে শুরু করে।

কোন ভাবেই কোন সুস্থ্য মস্তিষ্কের মানুষ সাঈদের পক্ষে কথা বলার কোন কারণ নেই, আমিও এমন চাই সাঈদের বিচার হোক এবং রুমানার মেয়ে ভবিষ্যৎ।

রুমানা বিষয়ের গণ জাগরনের কিছু নেই, এটা স্পষ্ট এবং রুামানার বিপক্ষে মুষ্টি মেয় কিছু মানুষ কথা বলা ছাড়া আর বাকি সবাই রুমানার পক্ষেই কথা বলবে এটাই স্বাভাবিক।এমন অনেক বিষয় আছে যা মানুষ ন্যয় অন্যায় বুঝতে পারেনা। ক্ষমতাশীল না হলে খবর সবার কানে আসেনা, আমরা আশা করবো সেই ধরণের কিছু মানবিক বিষয় ষ্টিকি হোক।

এটা স্পষ্ট যে রুমানাকে নিয়ে কেউ রাজনীতি করুক আর না করুক লেখক আপনি কিন্তু করে ফেলেছেন, অনেকটা কুমিরের রচনার মত গরুকে নদিতে ফেলে কুমিরের রচনা আপনি ঠিকি লিখে ফেলছেন।
আর মানবী সৃষ্টি করে গেছেন রুমানা কিছু শত্রু।

মডারেশনের আরও মাথা খাটানোর সুপারিশ করবো।

২৩ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৮

উপপাদ্য বলেছেন: তাহলে রুমানার মাধ্যমে সমাজের সবার চোখে আলো আনার ব্যাপারটা বলে কি আমি অপরাধ করে ফেলেছি। আমার পোস্টে রুমানা যতটা না গুরুত্বপূর্ন তার চে বেশী গুরু্ত্ব পূর্ন হচ্ছে সুশাসন, আর মনুষত্ব।

আর রাজনীতি আমি করলাম না মাননীয় কৃষি মন্ত্রী করলেন? আমাকে দোষারূপ করলেন কেন বুঝলাম না। আমি রাজনীতি না করে বরং রাজনৈতিক মামলা গুলোকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসার প্রয়োজনের কথা বলেছি।

১৯৩| ২৩ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৪৩

হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা বলেছেন: @প্রজন্ম৮৬:

ব্লগে আপনাকে যত দেখছি, ততই মুগ্ধ হচ্ছি। আপনার সহজভাবে সবকিছু যুক্তি দিয়ে বলার ক্ষমতা দেখে বোঝাই যায় আপনার মাথা অনেক পরিস্কার। সহজ কথা সহজভাবে বলা যে খুবই কঠিন কাজ তা এই পোস্টে অন্য অনেকের মন্তব্য দেখেই অনুধাবন করা যায়। কাজেই, এই বিরল ক্ষমতার অধিকারী মানুষটিকে জানাই হ্যামেলিনবাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিবাদন। ভাল থাকবেন আর ব্লগেই থাকবেন!! :)

১৯৪| ২৩ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:০৬

নিশাচর ভবঘুরে বলেছেন: লেখক বলেছেন: যারা এগুলো করে এরাই হচ্ছে সুবিধাবাদী শ্রেণীর লোক। এরা রুমানাদের নির্যাতনের ঘটনা ঘটার অপেক্ষায় থাকে। এরা সমাজে সংঘাত ও বিভেদ তৈরি করে ফায়দা লুটতে চায়।
সহমত।
আগের স্টিকি পোষ্টের কিছু প্রতিবাদী বন্ধুকে খুব মিস করছি।
আমরা নির্যাতিতর পক্ষে। সে নারী হোক কিংবা পুরুষ। আমরা পোষ্টের হিট বেচে খাইনা। মানুষকে জানাতে চাই, নির্যাতিত মানুষের কথা। তাদের পাশে দাড়ানোর কথা।

২৩ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৯

উপপাদ্য বলেছেন: আমরা নির্যাতিতর পক্ষে। সে নারী হোক কিংবা পুরুষ। আমরা পোষ্টের হিট বেচে খাইনা। মানুষকে জানাতে চাই, নির্যাতিত মানুষের কথা। তাদের পাশে দাড়ানোর কথা।

ধন্যবাদ

১৯৫| ২৩ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৪৮

একলা বগ বলেছেন: ইংলা বলেছেন: তাছাড়া এটা যে বালপুস্ট সেটা পঠিত সংখ্যা আর ভালো লাগছের সংখ্যার অনুপাত থেকেও বুঝা যায়।

২৬৭৪ বার পঠিত, পোস্টটি ২৭ জনের ভাল লেগেছে !!!


তাই নাকি? বালপুষ্ট কি না সেইটা পঠিত সংখ্যা আর ভাল লাগছের অনুপাত দিয়া বাইর করা যায়? তাইলেতো আপনার কথামত মানবী ম্যাডামের পোষ্ট আরো নিম্ন শ্রেনীভুক্ত। ওই পোষ্টের পঠিত সংখ্যা আর ভাল লাগার অনুপাত আরো কম। ১২১/১৪২৭২ = ০.০০৮৪
আর এই পোষ্টের এখন পর্যন্ত অনুপাত ২৭/২৬৭৪ = ০.০১০১।

তার মানে ওই পোষ্ট এই পোষ্টের তুলনায় ২০% বেশি বালপুষ্ট। কি বলেন? /:)

ইংলা, পাবলিকের ভাল লাগা না লাগার উপরে একটা পোষ্ট কত ভাল সেইটা নির্ভর করে না। পোষ্টের গুরুত্ব সেই পোষ্টের বিষয়বস্তুর উপরে নির্ভর করে।




২৩ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩১

উপপাদ্য বলেছেন: পাবলিকের ভাল লাগা না লাগার উপরে একটা পোষ্ট কত ভাল সেইটা নির্ভর করে না। পোষ্টের গুরুত্ব সেই পোষ্টের বিষয়বস্তুর উপরে নির্ভর করে।

স হ ম ত

১৯৬| ২৩ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৫৯

উপপাদ্য বলেছেন: ১৬০ তে রাগ ইমন আপু কিছু কথা বলেছেন।
অনেক বিষয়ের সাথেই আমি একমত আবার অনেক জায়গায় নয়। রাগ ইমন আপুর কমেন্ট টা অনেক বড় আমার উত্তরটাও অনেক বড় তাই আলাদা করে দিলাম।

সংবিধানের কথা না বলতে বলে আপু আপনি আমার চোখই বেঁধে দিলেন। তবুও বলবো ঠিক আছে। আমি বলবো পিশাচ সাঈদের হত্যাচেস্টার যারাই প্রতিবাদ করছেন তারা সবাই মানুষ। আর আমি এমন মনুষত্বমু মানুষদের বলছি তারা যেনো সবার মধ্যে মনুষত্ব জাগিয়ে তুলেন। আপনি আমি সেই সম্প্রদায়েরই অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু যখন বলা হবে একজন সবক্ষেত্রে অসফল পুরুষের সব ক্ষেত্রে সফল নারী কে আঘাট করেছে তখন সেটা আর পুরুষতান্ত্রিকতা থাকেনা। কিভাবে এটাকে পুরুষ শাশিত সমাজের কাজ বলে ট্যাগিং করবেন? আবার অনেকই রুমানার প্রেমের কঠা বলছেন এবং কেউ কেউ ডিফেন্ড করছে। রুমানার যদি প্রেম হয়েই থাকে তাতে সমস্যা কি?? আপনার স্বামীকে ভালো না লাগলে আপনি ডিভোর্স দিয়ে যাকে ভালো লাগে তার সংগে ঘর করতে পারেন।

ডমেস্টিক ভায়োলেন্স রিপোর্ট করা হয়না বলে আপনি দায়ী করলেন পুরুষতন্ত্রকে। এটা সঠিক নয়। এটা করা হয়না কারন সমাজে সুশাসন নেই বলে। সমাজ যদি এটা নিশ্চিত করতে পারে ডমেস্টিক ভায়োলেন্সকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রন করা হবে তাহলে এমন ঘটানা যেমন কমে যেতো তেমনি রিপোর্ট করা নিয়ে কোন সমস্যা হতো না। একটা উদাহরন আপনি কি নোটিস করেছেন যে সিলেট অন্চলে লন্ডনী মেয়েদের জোর করে বিয়ে দেবার ঘটনা এখন কমে গেছে। এর কারন কি জানেন। কঠোর আইন। যখন একটা ব্রিটিশ মেয়ে হাইকমিশনে রিপোর্ট করে আমাকে আমার বাবা-মা জোর করে আমার অপছন্দের ছেলের সাথে বিয়ে দিতে চাইছেন তখন পুলিশের যে কুইক রেসপন্স দেখবেন তা আপনি সনজিতার বেলায় দেখবেন না। আমি আশা করি বুঝাতে পেরেছি আমাদের গলদটা কোথায়। আর আমেরিকায় তো এখন এই ডমেস্টিক ভায়োলেন্স একটা মিলিয়ন ডলার ইন্ডাস্ট্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

পশু সাঈদ বনাম মানুষের যুদ্ধ হোক এটা আমারও দাবী। কিন্তু এটাকে অনেকেই নারী বনাম পুরুষ দেখছেন বলেই তো আমার এ পোস্টের অবতারনা। গতকালের নারীপক্ষ (প্র. আলো) পরলে হ্য়তো আন্দাজ করতে পারবেন রুমানা নির্যাতনের ঘটনা কোন দিকে যাচ্ছে। একটা কলামে এ বিষয়টাকে টেনেটুনে শিশুর সার নেইম কেনো বাবার নামে হয় সে পর্যন্ত নেয়া হয়েছে। তাই আমি বলছি আমি ভুল বুঝিনি। কাউকে ভুল বুঝাতেও চাচ্ছিনা বরং সবাইকে সচেতন করছি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসার জন্য। আর আঘাত করেছি সেইসব সুবিধাবাদী শ্রেনীর মানুষদের যারা সব বিষয়ের মধ্যে তন্ত্র-মন্ত্র খুজে জাতিকে বিভাজিত আর নিজেদের ফায়দা লুটে মূল বিষয়কে ঘোলা করতে চায়।

আপনি জিজ্ঞেস করেছেন কারা এমন ট্যাগিং করে। এটা আশা করি বলে দিতে হবেনা। পেপার পত্রিকা খুললেই দেখবেন কিভাবে হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যমে বিএনপি-আওয়ামীলীগ, ইত্যাদি ট্যাগিং করা হয়। আচ্ছা আপু আপনার তো নিশ্চয় শহীদ নূর হুসেনের কথা মনে আছে। যে মানুষকে দিনে দূপুরে গুলি করে হত্যা করা হলো। কই এরশাদের কি কোন বিচার হলো? ২১ বছর হয়ে গেলো স্বাদের গণতন্ত্র আসলো। ক্ষমতায় বসে কত মধু খেলাম কিন্তু কখোনো কি সেই সব শহীদদের আত্মত্যাগের কথা ভাবি। না কারন এই মামলাটা রাজনৈতিক। সেই ট্যাগ। উপরে একজন তো আমাকে রীতিমতো শিক্ষাই দিলেন রাস্ট্রপতি কেন একটা হত্যা মামলার আসামীকে ক্ষমা করেছেন এবং সেটা কতটা রাজনৈতিক ছিলো। কিন্তু এড়িয়ে গেলেন সেই চক্র দ্বারা যখন আরো একটি হত্যাকান্ড ঘটলো যেটার ভিডিও টেপ ইউটিবেই রয়েছে। কই বিচার হচ্ছেনাতো। ক্যানো সেই রাজনৈতিক ট্যাগের কারনে। আবুবকরের কথা মনে পড়ে আমরাইতো ব্লগে বসে বসে কীবোর্ডে ঝড় তুলেছি। কিছু হয়েছে? কিবরিয়ার মতো মানুষের কেস নিয়ে কি খেলাটাই না হচ্ছে বিগত সারকারের আমলে যেমন বর্তমান সরকারের আমলেও তেমন। বাদ দেই।

আর নারী নির্যাতন নিয়ে তো আরো গুরুতর অভিযোগ বর্তমান সরকারের আমালে সরকারী দল কতৃকই নাকি ৩০ হাজারের মতো নারী নির্যাতন হয়েছে আর বিএনপির আমলে তো আরো ভয়ানক সংখ্যালঘু নারী ধর্ষন? যাবেন কোথায় যখনই আপনি বলবেন এটা বিএনপি করেছে এটা আওয়ামীলীগ করেছে তখন বিচার হয়ে যাচ্ছে আকাশের ছাঁদের মতো।

আমাদের দেশে সবাইকে সমান ভাবে ট্রিট করা হয় না। কিন্তু যে দেশে সুশাসন আছে সেখানে সমান। এই ভিডিওটা দেখুন কিভাবে ব্রিটিশ প্রাইম মিনিস্টার ও ডেপুটি কে একজান ডাক্তার হসপিটাল থেকে বের করে দিচ্ছে। এমনটা কি আপনি কল্পনা করতে পারেন আমাদের দেশে।


আর নারী যেসব অবস্থানে পিছিয়ে আছে যেমন রাজনীতি বিশেষকরে নীতি নিরনির্ধারনের জায়গায়, অর্থনীতি, চাকরী ইত্যাদি ক্ষেতরে আপনি যতদিন নারী দের কে লিফট দিবেন না ততদিন পর্যন্ত ভারসাম্য আসবে না। এখানে লক্ষনীয় যে রুমানা কিন্তু এসব ক্ষেত্রে সফল একজন মানুষ পাশাপাশি তিনি একজন রিটায়ার্ড মেজরের সন্তান আমাদের দেশে একজন মেজরের পাওয়ার সম্পর্কে সাবারই ধারনা আছে। তারপরও ক্যানো এমন হলো? আপনি কি আমাকে বিশ্বাস করতে বলেন এটা পুরুষটান্ট্রিক ব্যাপার স্যাপার। না আপু মানতে পারলাম না। তাই আমি জোর দেই অপরাধকে নিশ্চিহ্ন করার প্রতি এবং দাবী করি সাইদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি।

যে জায়গায় এসে বিভৎস অপরাধ করেছি বলে মনে করেছেন সেটা পড়ে আমি মর্মাহত হয়েছি। আপনার মতো বিবেকবান মানুষের কাছ থেকে আশা করিনি এমন মন্তব্য। আপনি হয়তো আপনার সিন্ডিকেটে আরো জনপ্রিয় হবেন কিন্তু আপনার বিবেকের কাছে দংশিত হবেন। কারন আমার শক্তি এখানেই আমি সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে পারি। ২৮শে অক্টোবরে বিএনপি, জামায়াত, আওয়ামীলীগের মধ্যে যে হত্যা পাল্টা হত্যার ব্যাপার ঘটেছে সেগুলোও আমার কাছে অপরাধ। সুশাসন যেমন নারী, পুরুষ, শিশু, গে, লেসবিয়ান ইত্যাদি সবার নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করে তেমনি ভিন্নমতালম্বীদেরও দমন করেনা, ঘৃনা করেনা।

আমাদের দেশের
কেউ কেউ মুজিব হত্যাকে জায়েজ আর জিয়া হত্যাকে নাজায়েজ
আবার কেউ কেউ জিয়া হত্যাকে জায়েজ আর মুজিব হত্যাকে নাজায়েজ মনে করেন। আমি এসব ক্ষতিকর মানুষের শিকড় ধরে টান দিয়েছি।

নারীতন্ত্র কোন কাল্পনিক বিষয় নয়। চাইলেই ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিতে পারেন না। এজন্য ২৬নং কমেন্ট পড়তে অনুরোধ করছি। এছাড়াও র‌্যাডিকেল ফেমিনিজম সম্পর্কে পড়তে আপনাকে বলতে পারি। আর গ্লরিয়া স্টেইনেম এর লেখা পড়লে আরো ধারনা পাবেন। এখানে এর চে বেশী উল্লেখ করলাম না।

ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।

১৯৭| ২৩ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৩

উপপাদ্য বলেছেন: উপরে কেনো যে আসলো না আমি জানিনা।

এখানে ক্লিক করে ডেভিড ক্যামেরন ও নিক ক্লেইগ কে বের করে দেোয়া দৃশ্যটি দেখতে পাবেন।

View this link

১৯৮| ২৩ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২২

সারথী মন বলেছেন: অসাধারন সুন্দর একটি পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

২৩ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪০

উপপাদ্য বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৯৯| ২৩ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩২

একলা বগ বলেছেন: নারীতন্ত্র = Matriarchy ????

সুত্র: উইকিপিডিয়া

২৩ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫০

উপপাদ্য বলেছেন: একলা বগ,

এগুলো আমি দিতে চাইনা। কারন এরকম হাজারটা উপাত্ত আমার কাছে। এমনকি আছে যেখানে ডমেস্টিক ভায়োলেন্সে নারীরা যে এগিয়ে আছে এমন কয়েকটি আর্টিক্যালও আমার হাতে আছে। আমি এসব ব্যাপার সবসময় এড়িয়ে গেছি। এখনও যাচ্ছি। উপরে একজন এসে বললো নারীতন্ত্র না কি আমি আবিষ্কার করেছি। সাথে সাথে দেখুন আরো কতোজন এসে সেইম কথা বললো। আমি বলি নিজেরাই একটু পড়াশুনা করেন না কেনো? নিজেরাই দেখতে পাবেন আছে কিনা নাই। কথা হচ্ছে আপনি আমার সিন্ডিকেটের মানুষ তাই আপনি যেটা বলবেন সেটা নিশ্চয় সত্য বা সত্য না হয়ে কি উপায় আছে? হাস্যকর না বলুন।

এগুলো বলে পোস্টের মূল বক্তব্য থেকে দূরে সরে যাওয়া হচ্ছে। আমার কথা নারীবাদ পুরুষবাদ নিয়ে নয়। আমার বক্তব্য মুনষত্ব, নৈতিকতা, সুশাসন সাম্য ইত্যাদি নিয়ে।

২০০| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:০৫

বাংগাল গাজী বলেছেন: লেখক সাহেবের কথায় আবার লিখতে ইচ্ছে হলঃ
যে কোন অপরাধীর কিছু defense থাকে। রুমানার স্বামী তো বলতেই পারেন যে রুমানা তাকে insist করেছেন। আর রুমানা ম্যাম দেরি করার পিছনে কি যুক্তি দেবেন???
যে কোন criminal case এ delay করে বিচার চাওয়ার পিছনে কারন দেখাইতে হয়। আমি অবশ্য বলছি না যে রুমানার সাথে অন্যায় হয়নি।

২০১| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:২২

নাজনীন১ বলেছেন: @ বাংগাল গাজী, আপনার উপরের দুটো মন্তব্য পড়ে আমার কেবলই এই শিক্ষা নিতে ইচ্ছে করছে , নারীদের যে স্বাভাবিক কোমলতা আছে, ভালোবাসায় ত্যাগ বা প্রশ্রয়ের সদিচ্ছা থাকে, সহজাত ক্ষমা বা ঔদার্যের গুণ আছে, বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও ধৈর্য ধরবার গুণ আছে -- এগুলো সব ত্যাগ করতে হবে। আর ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে যেকোন অন্যায় আচরণ পাওয়া মাত্রই নারীদের তাদের ভালোবাসা গুটিয়ে নেয়া উচিত। এ সমাজ যেন নারীদের কাছ থেকে আর উদারতা, ধৈর্য, সহনশীলতা, মানিয়ে চলা এসব আশা না করে।

২০২| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:২৫

নাজনীন১ বলেছেন: বাংগাল গাজীর মন্তব্য দুটো ব্লগার ক্ষুধার্ত, একলা ব্লগসহ সমমনা ব্লগারদের ভালো করে পড়তে অনুরোধ করি।


@প্রজন্ম৮৬, যারে তারে হুটহাট নাস্তিক ট্যাগিং দিবেন না। নিজেরে যদি ভাল মানের আস্তিক ভেবে থাকেন তাহলে আরো বেশি সতর্ক হবেন এ ধরণের ঢালাও মন্তব্য করার আগে।

২০৩| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:২৭

একলা বগ বলেছেন: নাজনিন১ এর সাথে সহমত।

২০৪| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:৩৮

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: @ নাজনিন ১, আমি কিন্তু স্বঘোষিত ও পরিচিত নাস্তিক আদর্শের বিশ্বাসী ব্লগারদের কথা বলেছিলাম। আপনাকে সবাই চেনে এবং জানে আপনার আদর্শ সম্পর্কে। তাই আমি আলাদা করে রিমার্ক দেই নাই।

তবুও আপনি সহ ২-৩ জন যারা পোস্টের প্রতিবাদ করেছে এবং নাস্তিক নন তাদের নাম আলাদা করে উল্লেখ না করায় হয়তো ভুল বোঝাবুঝি হতে পারতো আর আপনার ক্ষেত্রে হয়েছেও, সেজন্য দুঃখিত।

২০৫| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:৫২

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: নাজনীন১ *** দুঃখিত টাইপো'র জন্য।

২০৬| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:২২

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: প্রজন্ম৮৬@ আপনার আবার সঠিক শব্দ ব্যবহারে ভুল হচ্ছে। আবেগ মেশানো সাহিত্যের বেলায় এতে সমস্যা নাই। কিন্তু বাস্তব নিয়ে কথা কইবার সময় সতর্ক হোন।

২০৭| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৫৬

একলা বগ বলেছেন: দু-পেয়ে গাধ , আপনার নামের বানানে কি শুধু "গাধ"? নাকি গাধা লিখতে যেয়ে বানান ভুল করে আ-কার দেন নাই?

২০৮| ২৪ শে জুন, ২০১১ রাত ১:০২

মো: সালাউদ্দিন ফয়সাল বলেছেন: চলছে, চলুক.....

২০৯| ২৪ শে জুন, ২০১১ ভোর ৬:৩০

ক্ষুধার্ত বলেছেন: @নাজনীন১ আমার মনে হয় আমাকে আরও একটু ক্লিয়ার করতে হবে বস্তুত আমি রুমানা সাঈদ নিয়ে কি ভাবছি, আমার একটু অস্পষ্টতা আছে,

আমাদের সমাজে সিংহভাগ সংসার ভাঙ্গে ভুল বুঝাবুঝি থেকে।তা না হলে এই যে আমরা এখন নারীর অধিকার পুরুষ অধিকার নিয়ে যেই বক্তিতা দিয়ে যাচ্ছি তা হয়ে যেত অন্য রকম।

আমারতো মনে হয় পরাধীনতায় সুখ বেশি,পরাধীন মানে নিজের দায় ভার অন্যের উপর তুলে দিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুম :)

সে যাই হোক আমাদের বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য কি এটা আমাদের আগে ক্লিয়ার হতে হবে।তার পর আমরা বের করতে পারবো আমরা কিভাবে বাঁচবো বা বাঁচতে চাই।

এই নিয়ে একটা পোস্টে আসবো ।

ভালো থাকবেন।

২১০| ২৪ শে জুন, ২০১১ ভোর ৬:৪২

ক্ষুধার্ত বলেছেন: বাংলা গাজী যা বলেছেন তা তিনি একজন পেশাদার মানুষ হিসেবে বলেছেন।ঘরের মানুষ আর পেশার মানুষ এক কথা নয়।


বাংলা গাজীদের আমাদের দরকার আছে যখন আমি এই সমস্যায় পড়বো তখন, ওনাকেও সমাজের দরকার আছে।

যারা রুমানার জন্য কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন তাদেরও আমাদের দরকার আছে,এদের কাছ থেকে আমরা শিখবো কিভাবে অন্যের জন্য সহমর্মিতা প্রকাশ করতে হয়।

যারা রুমানা মানে নারী বিপক্ষে গিয়ে পুরুষের পক্ষ নিচ্ছেন তাদেরও সমাজে দরকার আছে, তাদেরকে দিয়ে আমরা জোট বা নিজের জাতির বিপদের যুক্তি না মেনে গায়ের জোরে উপকার করা শিখবো।

@নাজনীন হতাশ না হয়ে আসুন আমরা সব কিছু থেকে শুধু ভালোটা তুলে নেই।যত বড় বিষয় থেকে যত ক্ষুদ্র ভালো হোক সেটাই কুড়িয়ে নেই, দেখবেন যত কম হোক আপনার হাতে যা থাকবে সেটা শুধু সুখ বা ভালোই থাকবে :)

২১১| ২৪ শে জুন, ২০১১ সকাল ৯:৩৯

বাংগাল গাজী বলেছেন: আমাদের আরও সহনশীল হওয়া জরুরি বলে মনে করছি। @ নাজনিন, ক্ষুধার্ত, একলা বক ও আরও অনেকে।

আমি আমার ক্ষেত্রে কোন প্রমান/সত্য মিথ্যার কথা বলিনি। আমি শুধু বুঝাতে চেয়েছি যে আমাদের আইন খুবই ভালো, কিন্তু তা অপরাধীদের জন্য ই।

কেউ কেউ ভাবছেন যে রুমানার স্বামী তো পুলিশের কাছে জবানবন্দী দিয়ে তার অপরাধ স্বীকার করেছেন। কিন্তু আইনগত ভাবে এর কোনই ভিত্তি নেই। আমি তো মনে করি ইবলিশ স্বামী কোর্ট এ গিয়ে বলবে যে পুলিশের প্যাঁদানি খেয়ে সে আগুলা বলছে!

আমার খালি ২ টা কথা মনে বাজছে!

১) প্রেমের বিয়েতেই কি ভয়াবহতা বেশি?

২) ছোট্ট শিশুটার Future কি হবে???

আমি জানি নারীবাদীরা কিছু দিন চেঁচাবে। তার পর সব ঠাণ্ডা হয়ে যাবে। হয়তো নরপশু সাইদের বিচার হবে। তাতে কি সমাজে প্রতিহিংসা থেমে থাকবে???অপরাধ থেমে যাবে???



সাইদের ফাঁসী হলেই কি সমাজে এমন অপরাধ থেমে যাবে???

২১২| ২৪ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:১০

বাংগাল গাজী বলেছেন: রুমানা কি উনার পিচাশ স্বামীকে ত্যগ ( তালাক ) করবেন না????

২১৩| ২৪ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:২১

আতরআলী বলেছেন: প্রজন্ম ৮৬ কিছুদিন সঠিক শব্দের ব্যবহার শিখে তারপর এসব ইস্যুতে মন্তব্য করলেই পারে! দু পায়ের গাধাকে দেখি প্রায়ই ভুল শব্দের ব্যবহার ধরিয়ে দেয়! এটা কি তার চাক্রি হইলো নাকি!

২১৪| ২৪ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:২৫

কায়েস মাহমুদ বলেছেন:


চোখ হারানো রুমানা কি পারবে আমাদের সবার অন্ধত্ব ঘোচাতে? রুমানাকে নিয়ে তন্ত্র ব্যবসা বন্ধ হোক>



রোমানা চোখ হারিয়ে সবার অন্ধত্ব ঘোচাবে কিনা জানিনা, কিন্তু তুমি ও তোমার সাপোর্টারদের যে অন্ধত্ব কস্মিন কালেও ঘুচবেনা তা বুঝতে পারি এই পোষ্ট দেখে।




উপরের তোমার কমেন্টের মতো যদি বলতা নারীর উপর নির্যাতন করাকে যারা সমর্থন করে(যে কোন কারন দেখিয়ে) তারা মানুষ না।
ছাগুদের মারার পিছনে ২৮শে অক্টোবরে কোন কারন দেখালে তা মানবানা মাগার নারীদের নির্যাতনের পিছনে যোগসূত্র!!! খুঁজবা।


ছাগুদের প্রতি তোমার যে দরদ আছে তা যদি তোমার মা-বোনের জাত নারীদের পক্ষে থাকতো আহা আফসুস!!!!

২৪ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:৫৪

উপপাদ্য বলেছেন: আপনার জন্যও আমার একই উত্তর

মুজিব হত্যাকে অপরাধ আর জিয়া হত্যাকে সাধুবাদ
বা
জিয়া হত্যাকে অপরাধ আর মুজিব হত্যাকে সাধুবাদ দেয়

এমন মানসিকতার মানুষকে আমি ঘৃনা করি।

রাজুকে মনে আছে আপনার?? চিনেন এই সাহসী মানুষটাকে?? আমার উক্ত কমেন্টে বিশেষ কোন দলের প্রতি দরদ বের করার অপচেস্টা আপনার মনের কালো দিকটাই প্রকাশ করে দিলো।

আর আপনি বলতে চাচ্ছেন আমার কোন দরদ নেই নারী সমাজের প্রতি? চমৎকার আপনার বিশ্লেষনী ধীমান শক্তি!! আপনার মতো কূপমন্ডুক ব্লগারদের মস্তষ্ক উর্বর হোক।

২১৫| ২৪ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:৫২

জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
সাইদের কঠিন ও দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি আশা করছি যা দেখে পারিবারিক নির্যাতনের অপরাধ কমে আসে ।

২৪ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:৫৬

উপপাদ্য বলেছেন: এক বাক্যের চমৎকার কমেন্ট।
কঠিন ভাবে সহমত।

২১৬| ২৪ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:৫৮

উপপাদ্য বলেছেন: @আতর আলী:

দুঃখিত।আপনার কমেন্ট মুছে ফেললাম। আমরা অশ্লীল শব্দ ও মাকে নিয়ে অশ্লীল শব্দের ব্যবহার থেকে দূরে থাকি।

ধন্যবাদ

২১৭| ২৪ শে জুন, ২০১১ সকাল ১১:২৮

কায়েস মাহমুদ বলেছেন:


@উপপাদ্য,
ভাবতেছি তোমার এই পোষ্টাও আমি প্রিন্ট কৈরা টয়লেট টিস্যু বানামু, কারন কন্টেন্ট টা টয়লেট টিস্যুরই যোগ্য, যেহেতু আমি বিনামূল্যে টয়লেট টিস্যু বিতরন করমু তাই কোন কমিশন পাইবানা এই লিখার জন্যে।

অবশ্য এই টিস্যুটা ঢিলা,কুলুপের ব্যবহারের জন্যে কিছু সওয়াব পাইতে পারো।

২৪ শে জুন, ২০১১ সকাল ১১:৩৪

উপপাদ্য বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার এ মনুষত্বময় মহাত্মা প্রকাশের জন্য।

ভালো থাকবেন।

২১৮| ২৪ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:৪৫

নিভৃত নয়ন বলেছেন: আপনার পোস্টের কিছু বিসয়ের সাথে দিমত আছে।পুরুস্তন্ত্রের ও অস্তত্ত আছে।সাইদ যা করেছে সেখানে টা কাজ ও করেছে।এটা একটা নারি নির্যাতন।এর জন্য সাইদের বড় শাস্তি হওয়া দরকার।
ব্লগে খেয়াল করেছি এক্ষেত্রে অনেকে পুরুষজাতিকে দোষারোপ করেছেন,পুরুসদের করেছেন,আমি তার বিরধিতা করি।এই পোস্টের কমেনাআআআআআআতেই পেয়েছি,নারিদের মাঝেও পুরুস্তন্ত্র থাকতে পারে। কিন্তু আপনি যেভাবে সাইদের ঘতনাকে জেনারালাইজড করার চেষ্টা করেছেন টা কিন্তু মানা যায় না।

কিছু কিছু ব্লগারের প্রতি ক্ষোভ হয় যখন তারা লিমনের ঘটনাকে সাধারন বলেন,ফালতু বলেন।কিন্তু সাইদের অত্যাচারকে অন্য বিচারে দেখেন।তখন মনে হয়,লুলামি করতে গিয়ে,নারি নারী করতে গিয়ে আমরা বিবেকের ও একটা অংশ বিকিয়ে বসে আছি।চলুক আলোচনা।ভালো থাকবেন।

২১৯| ২৪ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৪৮

সরলতা বলেছেন: সামুতে মানবী নামের একজনের একটা পোস্ট লটকানো ছিলো।

একটা ষ্টিকি পোষ্টের ভাষা এরকম হ্‌ওয়া দৃষ্টিকটু। আশা করি লাইনটা এডিট করে ঠিক করবেন।

২২০| ২৪ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৪

rohanpur বলেছেন: বোকার স্বর্গ আর কাকে বলে? বলব কি? আজকের মত থাক, পরে বলব। কারণ আইনের শাসন যেহেতু প্রশ্ন বিদ্ধ, সেহেতু বিলম্বে বলায় ভাল মনে হয়। কারণ জঘন্যতম অপরাধ, নির্দয়ভাবে হত্যার চেষ্টা, তাও আবার দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের একজন সম্মানীত শিক্ষিকাকে একজন হীনমন্য পুরুষ ব্যক্তি (যরি নামটা উচ্চারণ করতে সত্যি খারাপ লাগছে বলে) তার নামটি আর লিখলাম না।দ্রুত বিচার আইনে এসব বোকার স্বর্গে বাস করা অপরাধীদের বিচার হওয়া দরকার।কারণ, দেশের প্রচলিত আইনে যেহেতু তার বিচার হবে তাই বলার কিছু নেই।কিন্তু ইসলামী শরী'য়া আইনে বিচার হলে তার শাস্তি সারা বিশ্বব্যাপী দেখত, চোখের বদলে চোখ হারানো বেদনাটা কি???????

২২১| ২৪ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৯

নাজনীন১ বলেছেন:
একজন পরাধীন গৃহিণী রুমার ভাল থাকার নমুনা রেখে গেলাম, যারা চোখ খুলে ঘুমায় তাদের জন্য,


http://megh19.amarblog.com//posts/133200/

২২২| ২৪ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৩

মাহিরাহি বলেছেন: @নাম বলবো না

লোকমুখে শুনেছি, এরশাদের শাসনামলে এসিড নিক্ষেপের ঘটনা বেড়ে গিয়েছিল বলে এটা দমনের জন্য কঠোর বিচারের বিধান করা হয়েছিল।
কয়জনকে ফাসিও দেয়া হয়েছিল। তারপর নাকি এসিড নিক্ষেপের ঘটনা কমে গিয়েছিল।

এখন আমি নিজেকে ভাল মানুষ জাহির করার জন্য পুরুষতন্ত্রকে দুটা গালি দেব, তারপর নারীদের প্রতি খুব বেশি দরদ প্রকাশের চেষ্টা চালাব, কেন জানি ব্যাপারগুলো খুব বেশি গতানুগতিক হয়ে যাচ্ছে। গা সহা হয়ে যাচ্ছে।

আর সমস্যাটা সেখানটাতেই।

কথায় নয় আর কাজে প্রমান চাই।

তাই এই ভালমানুষির কচকচানির চাইতে সুবিচার চাই।

এতটুকুই বোঝাতেই আমি বোধহয় ব্যর্থ হয়েছি।

২২৩| ২৪ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩০

বাংগাল গাজী বলেছেন: বন্ধুরা খেয়াল করুন সামু থেকেই কিন্তু রুমানার অধ্যায় শেষ হয়ে গেল! আমরা খুব ভালো এক্তা জাতি, যারা খুব দ্রুত সব কিছু ভুলে যাই। কালের পরিক্রমায় রুমানাকেও ভুলে যাবো ইনশাল্লাহ।

২২৪| ২৪ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:১৮

মাহাবুব হাসান শাইন বলেছেন: সমালোচনা করতে এবং শুনতে বেশি পছন্দ করি......কিন্তু সেই সমালোচনার বিষয়টাকে বাস্তবায়ন করার কথা কয়জন ভাবি।আজকে আমরা আইনের শাষন চাই বলে মুখ ফেনা করে ফেলি কিন্তু সেটা বাস্তবায়নের চেষ্টা করি কতটুকু সেটা একবার ভাবা দরকার।আমার নিজের জায়গা থেকে আমি কতটুকু আইন মেনে চলি।আইনে প্রতি আমার শ্রদ্ধাবোধ কি পরিমান সেটাকি কখনো আমরা ভেবে দখেছি?.......এমন কি সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে কিভাবে সেটাও জানি না।.......

২৫ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১২:০০

উপপাদ্য বলেছেন: আমার পোস্টের মূল বক্তব্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন একটা মন্তব্য করেছেন এজন্য অনেক ধন্যবাদ। এ পোস্টের মূল বক্তব্যের ধারে কাছে না গিয়ে অনেকেই রুমানা বিরোধী পোস্ট হিসেবে চিহ্নিত করার চেস্টা করায় আলোচনা অন্য দিকে মোড় নিয়েছিলো।

যাইহোক আপনি যে বিষয়ের অবতারনা করেছেন সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ন। তবে আমি মনে করি আপনি যখন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করবেন তখন তার ভালো ও খারাপ দিকগুলো আপনার সামনে এবং যারা শুনছে, পড়ছে দেখছে তাদের সবার সামনে উম্মোচিত হবে। এতে করে নিজেদের মধ্যে সচেতনতা সৃস্টি হবে।এবং আইনের শাসনই বলুন আর নারী নির্যাতনই বলুন এসব বিষয়ের নির্মূলের জন্য কর্ম পরিকল্পনা তৈরি হয়। তারপর বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়। এভাবেই একটা বিপ্লবের বা পরিবর্তনের শুরু হয়।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

২২৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৪:২১

বাংগাল গাজী বলেছেন: রুমানা শেষ???
আমরা ভুলে যাই, ভুলে যেতে হয়। X( X( X( X(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.