নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উননুর

সামাইশি

সময় বয়ে যায়, ক্ষয়ে যায় জীবন, মন, সৃষ্টি, ক্লেদের গ্লানি জমা হোল যত যথাপি ঝরে যায় বৃষ্টি।

সামাইশি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অশনি সংকেত।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৩৬



অশনি সংকেত।

দু:খ ও পরিতাপের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে দেশের বর্তমান প্রধান মন্ত্রী রামপাল বিদ্যুত প্রকল্প নিয়ে অদূরদর্শিতার পরিচয় দিচ্ছেন। প্রকল্পটি খুবই শ্রর্শকাতর, কেননা কয়লা নির্ভর প্রকল্পটি সুন্দরবনের প্রায় উঠানে অবস্থিত। বিশ্বব্যাপী পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের উপর কয়লা পোড়ানোর ভয়াবহ প্রভাব সর্বজনবিদিত। যুক্তরাষ্ট্রের মজুদ কয়লা দিয়ে প্রায় ২৫০ বছর চলার নিশ্চয়তা থাকা সত্বেও তারা প্রায় ১০০ টি কয়লা নির্ভর বিদ্যুত প্রকল্প প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। যদিও তাদের প্রযুক্তি সামর্থ বিশ্বের সেরাদের অন্যতম, সে তুলনায় সংশ্লিষ্টদের সামর্থ তো নস্যি। কারিগরি বিষয়ে আলোচনা না করে আমি সংক্ষিপ্তরূপে এ দেশের আলোকে প্রকল্পটির প্রভাব সম্বন্ধে আলোকপাত করতে চাই।
প্রতীয়মান যে কয়লা পোড়ালে তা থেকে সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড,মারকারি, মাইক্রোস্কোপিক পার্টিকুলেট, আর্সনিক, সীসা, ক্যাডমিয়াম এবং টক্সিক হেভি মেটাল বায়ুমন্ডলে নির্গত হয় এবং পোড়া কয়লার ছাইয়ে বিদ্যমান থাকে। প্রকল্পটির দেশের জল স্থল ও অন্তরীক্ষে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে তা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছেন প্রধান মন্ত্রী। এর জন্য মহা পন্ডিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তিনি কিছু যুক্তি উপস্থাপন করেছেন, তবে তা বাস্তবতার নিরিখে কেবলই অসার। ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উত্পাদনের মহাযজ্ঞে যে বিপুল অপরিমেয় কয়লা পোড়ানো হবে তা থেকে ধারণার চেয়েও ভয়াবহ পরিমানে বিষাক্ত গ্যাস ও ক্ষতিকর পদার্থ নির্গত হবে বায়ুমণ্ডলে এবং মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়বে আসে পাশে দূর দূরান্তে দিগন্তে। হাস্যকর হল প্রধান মন্ত্রী বলেছেন বায়ু প্রবাহের দিকের কথা। আপনার কথা শুনে সেখানে বাতাস কেবল এক দিকে প্রবাহিত হবে তা ভাবা চরম মূর্খতা। আপনি হয়তো মৌসুমী বায়ু, হিমালয়ের প্রভাবিত বায়ু প্রবাহের কথা শুনেছেন যার প্রভাব শত শত মাইল ব্যাপী ছড়িয়ে পরে, সে তুলনায় রামপাল তো সুন্দরবনের উঠানে। শুনেছি উত্পাদিত ছাই দিয়ে তিনি নাকি মানুষের মুখ পরিষ্কার করার কথা বলেছেন। বালখিল্যতার একটা সীমা থাকা উচিত। এবার বলছি ডাঙ্গার কথা। উত্পাদিত বিপুল পরিমানের ছাইয়ের জন্য যে বিশাল জায়গা (জলাধার বা নিম্ন ভূমি ) ভরাট হবে, সেখান থেকে বৃষ্টির পানিতে চুইয়ে চুইয়ে সকল বিষাক্ত পদার্থ খাল বিল, যদি নালা দিয়ে সুন্দরবনের সকল জলাধার নিশ্চিতরূপে বিষাক্ত হয়ে পড়বে। ফল স্বরূপ সুন্দরবনের সকল জলজ প্রাণী নিশ্চিহ্ন নিশ্চিত। আপনি ডাঙায় উঁচু ভূমিতে থাকবেন তাও নিস্তার নেই। বাংলাদেশের মত অত্যন্ত জনবহুল দেশে প্রকল্পের কাছে/দূরে লক্ষ লক্ষ মানুষ এজমা, ব্রঙ্কাইটিস, লাংস, লিভার, শ্বাস কষ্ট জটিলতায় ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হবে। তা বোঝার জন্য মহা বিজ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন নেই। অন্তর্জাল ঘাটলেই আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, চায়না
ভারত ও পৃথিবীর অন্যান্য বহু দেশের এতদসংক্রান্ত পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে। প্রধান মন্ত্রী বলেছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের কথা। ওটা একটা ভুয়া আশ্বাস, স্রেফ ভাওতা। কেননা আপনি যতই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করুননা কেন কয়লা পোড়ানো বিষাক্ত উদ্গিরণ কোনক্রমেই বন্ধ করতে পারবেন না। কার্বনডাই অক্সাইড তো তার উপর এক কাঠি সরেস। তবে হ্যা আপনি যদি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেন, তবে উদগীরণের বিষাক্ত গ্যাসের নির্গমন কিছুটা কমিয়ে আনতে পারেন। তবে তাতে করে কয়লা থেকে উত্পন্ন শক্তির পরিমান অনেক অনেক কমে আসবে এবং উত্পাদন খরচ বিপুল পরিমানে বেড়ে যাবে অর্থাত খাজনা থেকে বাজনাই বেশি হবে। যা নিশ্চয়ই ভারতীয় কোম্পানির কাছে কস্মিন কালেও আশা করা যায়না। হয়তো আপনার চারপাশে ঘিরে থাকা মোসাহেব চাটুকার আবালরাই বাহ্ বাহ্ বেশ বেশ বলে কীর্তন করে মুখে ফেনা তুলে ফেলবে। তারা যদি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগের কথা বলে, তবে তাদের নিজের দেশে সরকার ও জনগণের কাছে প্রত্যাখাত হল কেন? তাদের দেশে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কয়লা নির্ভর বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করে সারা দেশ ভরিয়ে দিকনা। আমাদের দেশের উপর লোলুপ দৃষ্টি কেন! হ্যা প্রযুক্তি একটা আছে সেটা হল সর্বাধুনিক "নিম্ন মানের ভারতীয় ডাম্পিং প্রযুক্তি" আপনি ভারত থেকে বাস আনবেন দু বছরেই তা লক্কর ঝক্কর হবে। আপনি চাল গম পেঁয়াজ আনবেন তা হবে পোকায় খাওয়া পচা দুর্গন্ধ যুক্ত মানুষের খাওয়ার অনুপযোগী। আপনি "কৈয়ের তেলে ভাজা" কঠিন শর্তের ঋণে রেলের কোচ আনবেন তা থেকে কয়েক দিনেই শত রকমের ত্রুটি দেখা দিবে। মোদ্দা কথা সকল অর্থই জলে যাবে। কিন্তু নিস্তার নেই ওই সকল সর্বাধুনিক মালামালের জন্য কঠিন শর্তে চড়া সুদে ঋণ দিয়েছে মহান ভারত, তা কড়ায় গন্ডায় পরিশোধ করতে হবে।
প্রধান মন্ত্রী বলেছেন তিনি দেশের মঙ্গল নিশ্চিত করেই ছাড়বেন, রামপাল প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। তিনি নিজেই বলেছেন ভারত শতকরা পঞ্চাশ ভাগ লাভ নিয়ে যাবে তাহলে তো নিজের দেশের মঙ্গল অর্ধেকে নেমে আসলো। তিনি যদি বলতেন ভারতের পঞ্চাশ ভাগ মঙ্গল নিশ্চিত করেই ছাড়বেন, তাহলেই মানানসই হত। তিনি অধম জাতিকে স্মরণ করেই দেন যে তিনি শুধু প্রধান মন্ত্রীই নন তিনি বঙ্গবন্ধুর ও কন্যা। হ্যা হতাশ্যি তিনি যে বঙ্গবন্ধুর দৃঢ়তা, স্বাধীনচেতা, সবার আগে নিজের দেশের মঙ্গল নিশ্চিত করা নীতি থেকে যোজন যোজন দূরে সরে আসছেন তাতে বঙ্গবন্ধুর আত্ত্বাও শান্তিতে আছে কিনা সন্দেহ। স্বাধীনচেতা দৃঢ় চেতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার মাত্র তিন মাসের মধ্যেই সকল ভারতীয় সময় ফেরত পাঠিয়েছিলেন। প্রধান মন্ত্রী দেশের মঙ্গল করতে চাইলে নিশ্চিত করুন সকল ভারতীয় চ্যানেল নিষিদ্ধ করে (যদি না তাদের দেশে আমাদের চ্যানেল
প্রদর্শিত হয়। সংখ্যা লঘিষ্ঠ একই ভাষা ভাষী তাদের অপসংস্কৃতি চাপিয়ে দিয়েছে আমাদের উপর আর আমরা তাদের দেশে নিষিদ্ধ। কি নির্মম পরিহাস, অথর্ব মেরুদন্ডহীন উজির নাজির আর আমলা আর নতজানু নীতি নির্ধারণ।) রক্তে অর্জিত মোদের মানচিত্রের অভ্যন্তরের নিজস্ব কৃষ্টি সংস্কৃতি সামাজিক পারিবারিক মূল্যবোধ ধীরে ধীরে অবক্ষয়ে তলিয়ে যেতে বসেছে। (কেন নয় ত্রিপুরায তেল পরিবহনের অনুমতি দেয়ার সময় বলতে পারতেন আমাদের চ্যানেলের কথা। আগে মোদের চ্যানেল প্রদর্শিত কর তারপর অনুমতি দেব। ) স্বদেশের মঙ্গল করতে চাইলে নিশ্চিত করুন তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা। মঙ্গল করতে চাইলে সীমান্তে নির্বিচারে হত্যা বন্ধ নিশ্চিত করুন। মঙ্গল করতে চাইলে পরিহাসের মাশুল নিয়ে ট্রানজিট বন্ধ করে দেশের অবকাঠামোর ভঙ্গুরতা থেকে রক্ষা করুন। মেঘালয় আসাম হয়ে ত্রিপুরায় পরিবহনে ভারতের যে খরচ তার অন্তত: অর্ধেক মাশুল নির্ধারণ করতে পারতেন। তাদের মেহমানদারিতে নিজের দেশের নদী প্রবাহ বন্ধ না করে নিজের দেশের মানুষের অধিকার সমুন্নত রাখুন। মঙ্গল করতে চাইলে ভারতের বিভিন্ন অঙ্গ রাজ্যে কেন্দ্র কর, রাজ্য কর, দ্বৈত কর, হেন্ কর, তেন কর ব্যতিরেকে সহজে নির্বিঘ্নে বাংলাদেশের ব্যবসা নিশ্চিত করুন ,যদি তা করতে পারেন, তাহলেই বাংলাদেশের সত্যিকার মঙ্গল নিশ্চিত হবে। তখন অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর মেয়ে হিসাবে মানুষ আপনাকে ধন্য ধন্য করবে, অন্যথায় নয়। দোহাই লাগে বঙ্গবন্ধুর নীতি অনুসরণ না করতে পারলে তার মেয়ে বলে বাগড়ম্বর করে উনাকে খাটো করবেন না।
এবার আসি একটু ভিন্ন খাতে। প্রধান মন্ত্রী সরাসরি আক্রমণ করেছেন বেগম খালেদা জিয়াকে রামপাল প্রকল্পের বিরোধিতার জন্য। আমার প্রশ্ন আপনার নিশ্চয়ই একটা তথ্য উইং আছে। তারা কি নাকে তেল দিয়ে ঘুমায় বা আপনি কি মাঝে মাঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর চোখ বুলান! তথ্য প্রযুক্তির বর্তমান গ্রামীণ বিশ্বের যুগে জনগণ সহজেই অনায়াসে নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারে এবং তা মুহূর্তেই ছাড়া বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। আপনি যদি এদিকটায় একটু নজর দেন তাহলে দেখতে পাবেন দলমত নির্বিশেষে দেশের সিংহভাগ সচেতন মানুষ দেশের ক্ষতিকর, সুন্দরবন খেকো রামপাল প্রকল্প চায়না। তার প্রতিবাদে তারা নিজের দেশের প্রতি ভালবাসা, টানে, প্রেম থেকে স্বেচ্ছায় সোচ্চার হয়েছে। এর জন্য কার কাছ থেকে টাকা নেয়ার প্রয়োজন হয়না, নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করেই তারা তা করছে। এখন যদি খালেদা জিয়া কল্কে পাওয়ার জন্য তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে তার জন্য তো সকল দলমত নির্বিশেষের মানুষ দায়ী নয়। খোঁজ নিয়ে দেখুন যারা আপনার দলের অনুসারী তাদের মধ্যেও বহু মানুষ রামপাল চায়না। আশার কথা ও আপনার জন্য চিন্তার কথা আনু
মোহাম্মেদরা বিএনপির সাথে এক সাথে আন্দোলন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমার তো মনে হয় এতে করে সমাজের সর্বস্তরের জনগণ একাট্টা হয়ে দুর্বার হয়ে উঠবে রামপাল প্রকল্পের বিরুদ্ধে। তখন বিএনপিকে দোষারোপ করে পার পাবেননা। হয়তো মনে করছেন জঙ্গি মারছেন, দমন করছেন জনগণ আপনাদের মাথায় করে নাচছে। দু:খিত সে অধিকার আপনারা বহুলাংশেই হারিয়ে ফেলেছেন, জঙ্গি জঙ্গি জূজূ জিইয়ে রেখে প্রথম থেকেই কঠোর হস্তে দমন না করে। তা না করে আপনারা খেলেছেন রাজনীতির নিষ্ঠুর খেলা। করেছেন কেননা আপনারা দ্বিতীয়বার ছলা কলা করে পড়ে পাওয়া ক্ষমতায় আসীন হয়েছেন। এবং তা জায়েজ করার জন্য নানান অপকৌশল করে জঙ্গির জন্য বিএনপি জামাতকে দোষারোপ করে দেশের মানুষে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করেছেন যা ছিল আপনাদের জঘন্য নৃশংস মানসিকতা। প্রথম দিকে ওসব হত্যাকাণ্ডের পর পরই ধর্মীয় অনুভূতি সমকামিতা নাজায়েজ এসব বলে প্রধান মন্ত্রী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী প্রধান মন্ত্রীর পুত্র প্রকান্তরে জঙ্গিদের বাহবা দিয়েছেন প্রচ্ছন্ন পরোক্ষ ভাবে তাদের মতামত ব্যক্ত করার মাধ্যমে। তার জন্য প্রাণ গেছে বিদেশী নাগরিক, ধর্ম যাজক, মন্দিরের সেবায়েত পুরোহিত দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং সর্বশেষে বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন নৃশংসতা। এ সকল হত্যাকাণ্ডের দায় আপনারা কোন ভাবেই এড়াতে পারবেন না। যদিনা একবারে প্রথমেই এখনকার মত কঠোর হতেন।
বছরের পর বছর ক্ষমতায় থাকা এক দুরূহ ব্যাপার। মানুষ সবসমই ক্ষমতাসীন দলকে অপছন্দ করে। বহু সাফল্যের মাঝেও গুটি কয়েক ত্রুটি বিচ্যুতিতে জনগণ তাদের পত্রপাঠ বিদেয় করে দেয়। আপনার কয়েক প্রতাপশালী সিটি মেয়রের বেলায় নিশ্চয়ই তা প্রতক্ষ করেছেন। বিএনপি হঠকারিতা না করলে অনেক আগেই জনবিস্ফোরণে আপনারা ক্ষমতা থেকে ছিটকে পড়তেন। আমার মনে হয় বিএনপি আর আগের ভুল করবেনা। তারা যদি শান্তি পূর্ণ ভাবে সামনের দিনগুলি মোকাবেলা করে আর আপনারাও গোয়ার্তুমি করে রামপাল প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে চলেন তবে দিব্য দৃষ্টিতে দেখতে পাচ্ছি সময়ের যাঁতাকলে আপনারা ছিন্ন ভিন্ন হয়ে আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন। তা যদি হয় তখন আনু মোহাম্মেদরা কিন্তু ক্ষমতাসীন হবেননা। মানুষ ভোট দিয়ে বিএনপিকেই ক্ষমতায় বসাবে। মনে রাখবেন ছলা কলা করে ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে দ্বিতীয় বার পার পাওয়া যাবেনা, সে আশায় গুড়ে বালি নিশ্চিত।
কাজেই মানুষে মনের ভাষা পড়তে শিখুন। দূরদৃষ্টিতার প্রয়োগ করুন। নিকট ভবিষ্যতকে অনুধাবন করার চেষ্টা করুন এবং দেশের জনগণের মতামতের অনুকূলে নিজেদের পরিচালিত করুন। হতেও পারে তুলনামূলক গ্রহণযোগ্যতা, অনেক ক্ষেত্রেই বর্তমান সাফল্য, ঐতিহ্য ও এ যাবত ভালো কিছু অভিজ্ঞতার বদৌলতে, দীর্ঘ মেয়াদে এ দেশের জনগণের মঙ্গল উন্নতি করার সৌভাগ্য আপনাদের হলেও হতে পারে। তখন যথার্থই স্বার্থক হবে গর্ব ভরে বলা " আমি শুধু প্রধান মন্ত্রী না, আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কন্যাও" সেই সুদিন দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দয়া করে একটু অন্তর্জালে ঘাটাঘাটি করলেই সাধের কয়লা নির্ভর বিদ্যুত প্রকল্পের ভয়াবহতা সম্বন্ধে ভুরি ভুরি উদহারণ পাবেন। নিম্নে কেবল অল্প কয়েকটা সূত্র দেয়া হল।

(Britain Calls for Closing of Coal-Fired Power Plants by 2025
By STANLEY REEDNOV. 18, 2015

Health organizations call for phase-out of Canada’s coal plants
(Click This Link)

DUTCH CABINET TO CLOSE TWO MORE COAL PLANTS
(Click This Link)

How coal-burning countries are making their neighbours sick (Joint ...
env-health.org/IMG/pdf/dark_cloud-full_report_final.pdf

Every parent should read this - closing coal plants benefits children's brain development
(Click This Link)

25% of Europe Quits Coal - EcoWatch
Europe’s coal industry continues its downward spiral as a quarter of European Union countries have now closed their doors to the dirty energy source. Belgium has become the latest country to shut down its last remaining coal-fired power station, Langerlo.)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:০৫

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: অর্থমন্ত্রীতো বলেই দিয়েছেন সুন্দরবনের ক্ষতি হলেও রামপাল বিদ্যূৎকেন্দ্র হবেই।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৬

সামাইশি বলেছেন: আশা করি উনার শুভবুদ্ধির উদয় হবে। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জেনে শূনে বিষ খাওয়াচ্ছে জাতিকে!!!!

আত্মহত্যা শুধু নয় পুরা জাতিকে সহ তাতে ঝাপিয়ে পড়ছে!!!!

<< তিনি অধম জাতিকে স্মরণ করেই দেন যে তিনি শুধু প্রধান মন্ত্রীই নন তিনি বঙ্গবন্ধুর ও কন্যা। হ্যা হতাশ্যি তিনি যে বঙ্গবন্ধুর দৃঢ়তা, স্বাধীনচেতা, সবার আগে নিজের দেশের মঙ্গল নিশ্চিত করা নীতি থেকে যোজন যোজন দূরে সরে আসছেন তাতে বঙ্গবন্ধুর আত্ত্বাও শান্তিতে আছে কিনা সন্দেহ। স্বাধীনচেতা দৃঢ় চেতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার মাত্র তিন মাসের মধ্যেই সকল ভারতীয় সময় ফেরত পাঠিয়েছিলেন। "

মিয়ার বেটা কি সবাই মিয়া হয়?????

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৯

সামাইশি বলেছেন: আপনার মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য। অনাভাবিত ভুলের জন্য দু:খিত। ভারতীয় সময়ের জায়গায় ভারতীয় সৈন্য হবে। শুভ কামনা।

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭

আলিয়া হাসান বলেছেন: উপরের ছবিটা দেখে মনে হচ্ছে কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে কিন্তু এটি সত্য নয়। উপরের ছবিটা Forced draft cooling tower এর। এই কুলিং টাওয়ার গরম পানি ঠাণ্ডা করার কাজে ব্যবহার হয়। পানি ঠাণ্ডা করার সময় উপরে জলীয় বাষ্প গুলো উঠে যায় যা ছবিতে দেখা যাচ্ছে।

৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯

সামাইশি বলেছেন: Alia Hasan You Can check this photograph in the attached link. The photo belongs to a coal fired power plant in Britain. It seems like you are an expert in that field, wish you can explain more.

http://www.nytimes.com/2015/11/19/business/energy-environment/britain-to-close-coal-fired-power-stations-by-2025.html?_r=0

(The Fiddlers Ferry coal-fired power plant near Liverpool at sunrise. More than 20 percent of Britain's electricity is generated from coal. Credit Phil Noble/Reuters)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.