নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উৎস

উৎস

উৎসের সন্ধানে ...

উৎস › বিস্তারিত পোস্টঃ

উৎসের সন্ধানেঃ ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়, দেশের চেয়ে ...

১৩ ই আগস্ট, ২০০৬ রাত ১১:০১

আকার বিবেচনা করলে অবশ্য দেশের চেয়ে মহাদেশ, আর মহাদেশের চেয়ে পৃথিবী বড় ইত্যাদি, তবে আমার মনে হয় না এই উক্তি যিনি বা যারা করেন তারা আকার-আকৃতি প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন। বড় বলতে এখানে collision resolution এর প্রায়োরিটি বোঝানো হয়েছে বলে মনে হয়, অর্থাৎ যদি এমন হয় ব্যক্তিস্বার্থ আর দলের স্বার্থ পরস্পর বিরোধী হয় তাহলে দলের স্বার্থ মুখ্য, আবার দল ও দেশের ক্ষেত্রে দেশের স্বার্থ গুরুত্ব পাবে ইত্যাদি। উক্তিটা সুত্র বা মন্ত্রের চেয়ে অনেকটা আদেশের মতো (কেন আদেশ মনে হলো পরে আসছি)। কিন্তু ব্যক্তি, দল হয়ে কেন "দেশ"-এ এসে থেমে যাওয়া, মহাদেশ বা পৃথিবীর ক্ষেত্রে এই সুত্র সমপ্রসারিত করতে দোষ কোথায়।



আসলে দল বা দেশ ইউনিট (বিশেষত রাজনৈতিক) হিসেবে যে রকম শক্তপোক্ত অবস্থানে আছে, মহাদেশ ঠিক ওরকম অবস্থায় নেই, গোটা পৃথিবীও নয়। এ কারনে খেলাধুলায় নিজের দেশ জিতলে যতটা ভালো লাগে নিজেদের মহাদেশ থেকে জিতলে অতটা তৃপ্তি পাওয়া যায় না। এখন কথা হচ্ছে উপরের উক্তিটা আসলে কতটুকু গ্রহনযোগ্য, স্বার্থের সংঘাত দেখা গেলে আমাদের কি আসলেই এই সুত্র অনুসরণ করা উচিত?



তার আগে বলে নেই কেন আদেশ মনে হলো । ভেবে দেখুন এই কথা কে কাকে কেন বলে থাকতে পারে ... রাজনৈতিক নেতারা তাদের কর্মীদেরকে বা জনগনকে বলার সম্ভাবনাই বেশী অথবা যুদ্ধের সময় সমরনায়ক। উদ্দ্যেশ্য লোকজন যেন তাদের ক্ষুদ্্র স্বার্থের কারনে দল, দেশের বৃহত্তর স্বার্থকে ব্যহত না করে এবং চেইন অফ কমান্ড যেন ঠিক থাকে। এই প্রচ্ছন্ন চেইন অফ কমােেন্ডর উপস্থিতির জন্যই আমি উক্তিটার মধ্যে "আদেশ"-এর গন্ধ খুজে পাই। সাদা চোখে যাই মনে হোক না কেন এর উদ্দ্যেশ্য যে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা তাতে আমার সামান্যই সন্দেহ আছে।



সবচেয়ে ভালো উদাহরন বোধ হয় সমাজতান্ত্রিক শাসন ব্যাবস্থা, যেখানে দেশের স্বার্থ সবার ওপরে, 70-80 বছর এক্সপেরিমেন্ট করে ওরা প্রমান করলো যে এসব বইয়ের তত্ত্বে দেশের উন্নতি হয় না। কেন হয় না তার বিস্তারিত বর্ণনায় যাব না, অন্য উদাহরন দেই। যদি এমন হত দেশের চেয়ে মহাদেশ, আর তারপরে পৃথিবীর স্বার্থ সবার ওপরে তাহলে কি প্রতিযোগিতামুলক খেলাধুলা যেমন বিশ্বকাপ তার মুল্য থাকতো? যে কোন দেশ চ্যাম্পিয়ন হলেই বলতে পারতাম যেহেতু পৃথিবীর একটি দেশ বিজয়ী হয়েছে তাই আমি সমান সুখী, আর তখন কে জিতলো তাতে আমাদের কিছু যায় আসতো না। ঠিক এই প্রতিযোগিতা আর স্বার্থের দ্্বন্দ্বের অভাবে "ব্যক্তি->দল->দেশ" এসব নীতি শেষমেশ সফল হয় না।



সুত্রটা সম্পুর্ন সত্যি যদি নাও হয়ে থাকে সম্পুর্ন মিথ্যা তারই বা প্রমান কি। দেখা যাক উলটে দেখলে কেমন হয়, "ব্যক্তিস্বার্থ সবার আগে, তারপর দল, শেষে দেশ"। ধনতন্ত্র কে বোধ হয় এরকম ধরা যায়। সমাজতন্ত্রে ব্যক্তি মোটিভেশন সমস্যা হলে, এখানে এটাই সুবিধা। যোগ্যতা থাকলে কৌশল জানলে, পয়সা থাকলে ব্যক্তিগত উন্নতির কোন বাধা থাকার কথা না। এখানে সমস্যা হচ্ছে ইন্টিগ্রেশনের, বৃহত্তর স্বার্থ উপেক্ষিত হবার সমুহ সম্ভাবনা।



তো দেখা যাচ্ছে "ব্যক্তি->দল->দেশ" বা "দেশ->দল->ব্যক্তি" এসব মন্ত্রের কোনটাই পুরোপুরি সত্য নয় আবার মিথ্যাও নয়। মানুষের জন্য লাভজনক বোধ হয় পুরোপুরি এ দুটোর কোনটাই নয়, এমনকি এদের মধ্যবর্তী অবস্থানও নয়, সমাধান সম্ভবত কোন 3rd plane-এ। গনতন্ত্র আর ধনতন্ত্রের মিশ্রনে গড়া দেশগুলোর সাফল্য দেখে তাই মনে হয়।



সে যাই হোক , নেতা নেত্রীরা যখন বলেন "ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, আর দলের চেয়ে দেশ বড়" সাধারন লোকে এসব কথার ফাঁদে না পড়লেই ভালো । আদর্শের জন্য জীবন বিলিয়ে দেয়াকে বোকামীই মনে হয়, যে কোন আদর্শের চেয়ে একজন মানুষের জীবনের সম্ভাবনা বেশী বলে আমার ধারনা

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই আগস্ট, ২০০৬ ভোর ৫:০৭

উৎস বলেছেন: কৌশিকভাইকে অনলাইনে দেখতে পাচ্ছি, আসলে আপনার [link|http://www.somewhereinblog.net/kowshikblog/post/16213|

২| ১৪ ই আগস্ট, ২০০৬ ভোর ৫:১৮

অতিথি বলেছেন: রাজনাথ সিং তো মনে হচ্ছে ইসরাইলের এগ্রেসিভ স্ট্রাটেজিতে যথেস্ট প্রীত। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জঙগীদমনে সরাসরি আক্রমনের কথা বলেছে। আমার মনে হয় দেশের স্বার্থে এমন আগ্রাসী মনোভব রাখা যায়। সবাই রাখছে আমরা কেন রাখবো না।

পুরোটা শেষ হয় নাই পড়া। আরেকবার পড়ে নেই।

৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০০৬ ভোর ৬:০৪

অতিথি বলেছেন: সাধারণ লোক ফাঁদে যেন না পড়ে সেজন্য তো কোন মটিভেশন নাই। বরঞ্চ মটিভেশন আছে ফাঁদে ফেলার জন্য। সুতরাং জীবন বিসর্জন দেয়া টা অবশ্যম্ভাবী থেকেই যায়।

রিসেন্টলি দেখলাম কোন এক ক্লিনিকে বাচ্চা মারা গিয়েছে ক্লিনিকের অসহযোগিতায় - এ দাবী করে বিচারের দাবীতে প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ভিকটিমের পরিবার।

কেন প্রেস ক্লাব? কেন জনগনের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা? এর দরকার তারা কেন বোধ করেছেন?

নেতারা যে দেশের চেয়ে দল নিয়ে বেশী ভাবেন তার বড় উদাহারণ প্রধানমন্ত্রীর বিদেশে যাওয়া আসায় সবার লাইন বেঁদে এয়ারপোর্টে ঘন্টার পরে ঘন্টা দাড়িয়ে থাকা। জনগনের সেবা দেয়ার জন্য যেখানে তাদের প্রতিটি মিনিট কোটি কোটি টাকায় কেনা হয়েছে তা তারা এভাবে নষ্ট করছেন।

এসমস্ত শুয়োর বাচ্চারা যতদিন নেতা থাকবে ততদিন শুধু ব্যক্তি, ব্যক্তি ও ব্যক্তি একটা থিউরিই থাকবে।

৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০০৬ ভোর ৬:০৫

অতিথি বলেছেন: লাইন বেধে (চন্দবিন্দুতে কনফিউশন) পড়তে হবে।

৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০০৬ ভোর ৬:১৮

অতিথি বলেছেন: হিন্দুস্থান টাইমসে ব্যাটার লেটেস্ট নিউজ দেখুন

BJP president Rajnath Singh was on Sunday admitted to a private hospital in Secunderabad following complaint of intestine problem, a hospital spokesman said.
Singh, who was in Hyderabad to attend a marriage function, developed throat infection and was sweating when he was rushed to the hospital, sources said.
"The VIP has some throat and intestine problems and his condition is stable," the spokesman said adding Singh was being treated in the Intensive Care Unit (ICU).

৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০০৬ ভোর ৬:২১

মনুমনু বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের এক বইতে এক পুলিশ অসৎ ঠাকা ইনকাম করতে চাচ্ছিল , কিন্তু সে নিয়ত করছিল অসৎ টাকা খাবার আগে এক চামচ মানুষের পচা পায়খানা খাবে । তারপর মনের সূুখে.............। আমাদের তেনারা মনে হয় গূ খানার পর্বটা সেরেই ...........

৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০০৬ সকাল ৭:২২

অপ বাক বলেছেন: মানুষের সম্মিলিত স্বার্থটা গুরুত্বপূর্ন আমার কাছে, সমস্যাটা সমাজতন্ত্রের সমস্যা ছিলো না আমার মনে হয় সমস্যাটা ছিলো ক্ষমতা যেভাবে সেন্টরালাইজেশন হয়ে যায় এই বিষয়টাকে এড়াতে না পারা,অর্থনীতিতে যেমন স্বাভাবিক প্রবাহ অব্যাহত না থাকলে তারল্য বাড়ে তেমন রাষ্ট্রিয় বিষয়ে প্রবাহটা একজায়গায় গিয়ে থেমে গেলে দূর্নিতির সম্ভবনা বাড়ে, মনিটরিং এজেন্সির অভাব থেকে হয়তো ক্ষমতা একজায়গায় গিট্টু খাওয়ার বিষয়টা আবার পালটা এসে জনগন পর্যন্ত না পৌঁছানোয় সব দেশেই ব্যাক্তি মানুষ নিষ্পেষিত হয় এবং মানুষের স্বার্থান্ধতা বেড়ে যায়।

৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০০৬ সকাল ৯:১৬

উৎস বলেছেন: আসলে তখন খুব তাড়াতাড়ি লিখেছি বক্তব্যটা পরিস্কার হয় নি। আবার লিখতে হবে। এরকম বলতে চেয়েছিলাম যে ব্যক্তি, দল, দেশ, জাতি, ধর্ম এগুলো একটার চেয়ে আরেকটা বড় ছোট করে দেখার কোন মানে হয় না। এসব সম্পর্ক বোধ করি সাময়িক, যেমন দেশের মানচিত্র সবসময়ই পরিবর্তনশীল, একইভাবে আমাদের জাতিগত মুল্যবোধ, সুতরাং জীবনপন করার আগে ভেবে দেখা উচিত। নেতা-নেত্রীরা, গুরু, মাওলানারা স্রেফ নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বৃহত্তর স্বার্থের নামে ত্যাগে উদ্্বুদ্ধ করে ইত্যাদি।

কৌশিক ভাই, রাজনাথদেরকে নিয়ে আর কি বলব, এদের ভোট আসে বাংলাদেশ বিরোধিতার মাধ্যমে। বহু ভারতীয়কে চিনি যারা মনে প্রানে বিশ্বাস করে বাংলাদেশে ভারতবিরোধী জঙ্গীরা আছে, রাজনাথদের প্রচারনার কারনে। আর আমাদের দেশেও তো তাই, ভারত খেয়ে ফেললো, হিন্দুরা দখল করে নিল, ভোটের বাজারে এসব তো ভালোই বিক্রি হয়। জন গন যতদিন এসব কিনবে, রাজনাথ, নিজামীরা ততদিন বিক্রি করবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.