নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাতাল ঋত্বিক আমি, প্রেমকথা আমার ঋগ্বেদ

আরণ্যক রাখাল

মাতাল ঋত্বিক আমি, প্রেমকথা আমার ঋগ্বেদ

আরণ্যক রাখাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প- আদ্ভুত আগন্তক

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৩৪

কান্নার সুরের মতো একঘেয়েমি একটা শব্দ কান অবশ করে দেয় শহরবাসীর। হৈরৈ কিছু শব্দ-অনেকগুলো বাচ্চার বিশ্রী আনন্দ কোলাহল নববসন্তের এই দুপুরকে ভারি করে তোলে।অনবরত এগিয়ে আসছে শব্দটা আবাসিক এলাকার দিকে। তীব্রতর হতে হতে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় শান্তিমানবদের।
ঘুম ভেঙ্গে কেঁদে ওঠে একটা শিশু। “ওলে বাবা লে, বাবুটা আমার উঠেছে রে...” বলতে বলতে ছুটে যায় স্নেহময়ী।
ভাতঘুম- যেটা তার নিত্যদিনের অভ্যেস, দুপুরে একটা ঘুম না দিলে জীবনটাকেই বড় ব্যস্ত আর পানসে লাগে তার- থেকে জেগে ওঠেন শহরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব রহিদুল সাহেব। কাপাল কুঁচকে গেছে। সারাদিন সিগারেট খাওয়া তেতো মুখ থেকে অধিকতর তেতো কথাই বের হয়।
কৌশিক নিশিতার সাথে কথা বলছিল। তারও মনোযোগ নষ্ট হয়,”রাখো তো একটু, নিচে দেখে আসি কিসের শব্দ হচ্ছে।”
“কিসের শব্দ হয় হোক, তোমার তাতে কি?” ওপার থেকে উত্তর ভেসে আসে।
“আরে এক মিনিট, আমি উপরে উঠেই ফোন দিচ্ছি, রাখো প্লিজ” বলে নিচে নেমে যায় সে।
আনারুল প্রোফেসর তখন সৈয়দ হকের টানটান রগরগে একটা গল্পের কেবল দ্বিতীয় পাতায় এসেছেন; শব্দে পড়ার ব্যঘাত হওয়ায় “এই শালারা কি লাগাইছে” বলে বইটা মুদে রেখে বারান্দায় এসে দাঁড়ান।
দুপুর তখন সূর্যের মধ্য যৌবনের কৃপায় ডানপিটে। মৃদু শিমুলগন্ধী বাতাসে কোকিলের কালো ডাক ক্যানভাসে পাগলা কোন শিল্পীর তুলির মতো ভেসে বেড়ায় বাঁশঝাড়, মান্দার, কৃষ্ণচূড়া, হইড্ডা আর চাকগুয়া’র পাতায়। সরসর করতে করতে পিচরাস্তার উপর দিয়ে হেঁটে যায় ঢোঁড়াসাপ একটা, তার দেহের ডোরাকাটা হলুদ আর কালোয় বালির চিকমিক।
ওদের বাড়ির বুড়িটা যার দুই মেয়ে এখনো অবিবাহিত বলে প্রোফেসর আব্দুল আনারুল আর রহিদুল সাহেব খুব চিন্তিত- তার ছোট নাতি বাউরির পিছনে ছোটে আর তার পিছনে পিছনে ছোটে বুড়ি। শোনা যায় তার কণ্ঠ থেকে, “হারে বাউরি’ত পরলে বাতের বিষ হয়, কুত্তার বাচ্চা থামেও না।” নাতি যে তার প্রথমা মেয়ের দ্বিতীয় সন্তান তার কথা কানে না নিয়ে বিপুল বেগে ছুটতে ছুটতে সেই কলাহলের কাছে চলে যায়। বাউরিটা হটাত হারিয়ে গেলে নাতি অবাক হয়ে আগন্তকদের যারা কিনা এই কলাহলের জনক তাদের দিকে তাকায়। বুড়িও হতবাক হয়ে যায় ওদের কাণ্ডকারখানা দেখে। “দিনদিন কতো কি দেখমো” বলে এগিয়ে যায় শব্দের দিকে- কলাহলের দিকে। আগন্তক দুইজন যেন হেমিলনের বাঁশিওয়ালা- চারদিক থেকে টেনে নিচ্ছে সব ইঁদুর নাকি শিশুদের।
নিচে এসে কিছুই দেখতে না পেয়ে আবার নিশিতাকে কল করে কৌশিক।
“আমি তোমাদের বাড়ির সামনে যাচ্ছি। ঘর থেকে বের হয়ে আস।”
শব্দটা ক্রমশ জোরালো হয়- মনে হয় এগিয়ে আসছে এদিকে। একবার ভাবে দেখেই যায় কি হচ্ছে। পরমুহূর্তেই মনে হয়, “কি হয় হোক আমার তাতে কি”। এই কথা ভাবা শেষ করার আগেই সে ভিড়টা দেখতে পায়। চোখ আটকে যায় আগন্তকদের দিকে নাকি আগন্তকদ্বয়ের দিকে।
সেও ভিড়ের একজন হওয়ার জন্য এগিয়ে যায়।
আনারুল সাহেব বারান্দায় এসে কিছু দেখতে না পেয়ে আবার বইয়ে মনোনিবেশ করেন।
অদ্ভুত আগন্তকদ্বয়ের পোশাকও অদ্ভুতভাবে পরিহিত। দুইজনেরই মাথায় হ্যাট। রংচটা হ্যাটের মাঝে একটা সিল মারা; খুব সুক্ষ বলে কারো চোখে পরে না। লম্বা ঢোলা প্যান্ট আর কোট পরে তারা যখন হাটে অদ্ভুত ঝুমুর ঝুমুর শব্দ হয়।
এই ঝুমুর ঝুমুর শব্দের টানে নাকি তাদের ব্যতিক্রম চালচলন আর কাজের জন্য ওদের পিছনে ছুটতে থাকে খাল পাড়ের বস্তির ছেলেরা।
আগন্তক দুই’জন মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে ওদের ঝাড়ি দেয় দুইএকবার। ওরা কিছুদূর পিছিয়ে যায়, আগন্তকেরা চলতে থাকলে পিছনের ছেলেরাও ওদের অনুসরণ করে।ছেলেগুলোর আওয়াজের কারণে ওদের কাজ ব্যহত হয়।
আগন্তক দুইজন রাস্তাটা যেখানে লাঙলের ফলার মতো ৪৫ ডিগ্রি বাঁক নিয়ে জলঢাকার দিকে চলে গেছে সেখানে মান্দার গাছের নিচে দাঁড়ায়। মান্দারের লাল লাল তরুণরঙা ফুল কিছু ফুটে কালো আর কিছু ফুটতে শুরু করেছে, বুলবুলি পাখি একটা ডেকে উঠলে তার দিকে তাকিয়ে হাত নারে একজন, উড়ে গিয়ে কড়াই গাছের সাড়ির ঘন ধুলিময় সবুজে হারিয়ে যায়। কান খাড়া করায় আপনা থেকেই নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে তাদের। ছেলেরা যারা তাদের পিছনে ছুটছিল তারা মানুষ দুজনের দিকে খেয়াল করে নিঃশব্দ হয়ে যায়- ওরা বুঝতে পারে আগন্তকেরা কিছু একটা শোনার চেষ্টা করছে কিংবা খুঁজছে।
হাসি ফুটে ওঠে বয়োজ্যেষ্ঠ আগন্তকের ঠোঁটের কোনে- জ্যৈষ্ঠ মাসের বাতাসে তুলো যেন- সামান্য বাতাসেই মিলিয়ে যায় নীল আকাশের রোদেলা রঙে। ছেলেদের কেউ অদ্ভুত হাসিটা তার দেখতে পারে না। তারা ওর হটাত অতিরিক্ত গম্ভীর হওয়া মুখের দিকে তাকিয়ে পরস্পরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করে।
জ্যেষ্ঠ আগন্তক অপরজনকে কি যেন বলে। সে তার থলে ঠেলে একটা ইঞ্জেক্সান বের করে ওর হাতে দেয়।
তারপর ওরা রহিদুল সাহেবের বাগান বাড়িতে ঢুকে পরে। ছেলেরা এবার আর ওদের অনুসরণের সাহস করে না। তারা রদ্ধশ্বাস অপেক্ষা করে আগন্তকদের বের হওয়ার অপেক্ষায়।
নিঃশব্দে ওরা বাগানের ভেতর হাঁটতে থাকে, পায়ের নিচে ভেঙ্গে যায় ঝরা আমকাঁঠালের শুকিয়ে যাওয়া পাতা। ওরা দেখতে পায় তাদের লক্ষ বস্তু।
কুকুরটা তখন শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিল। হটাত গলায় শক্ত কিছু অনুভুত হওয়ায় ককিয়ে ওঠে। চীৎকার করার সময় পায় না। তার আগেই তার সারা দেহ কম্পিত করে ব্যথা বয়ে যায় বন্যার জলের মতো মসৃণ। কুঁকড়ে যায় জন্তুটার দেহ।
সাঁড়াশির মাথায় কুকুরটাকে নিয়ে বেড়িয়ে আসে আগন্তক দুজন।
মৃত কুকুরটাকে দেখে আনন্দিত হয়ে ওঠে বস্তির ছেলেরা। কিন্তু তারা শব্দ করার সাহস পায় না। মৃত কুকুরটাকে রাস্তার ধারে ফেলে রেখে আবার হাঁটতে থাকে আগন্তকেরা।
কেউকেউ পরীক্ষা করে কুকুরটা মরেছে কি না। ঘৃনায় নাক কুঁচকে যায় কারো কারো।
আবার অদ্ভুত শব্দ করতে করতে ওরা হাটা শুরু করে। চারিদিকে তীক্ষ্ণ নজর রেখে এগোয়; মাঝে মাঝে কোনকোন বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ভেতরে কি আছে দেখার চেষ্টা করে।
কুকুরগুলো বুঝে যায় ওদের মারার জন্য দুইজন যম এসেছে। তাই ওরা বাড়িগুলোর পিছনের ভুট্টা ক্ষেতগুলোয় লুকোয়। ওখান থেকে ভুকতে থাকে তারস্বরে। ভুট্টার গাছগুলো ব্যাংকারের মতো কাজ করে।
সিগারেট ধরায় একজন। কাঁধে সাড়াশি, লম্বা পাতলুন আর অদ্ভুত স্টাইলে সিগারেট খাওয়ার জন্য তাকে ভিনগ্রহের প্রাণী মনে হয়। লোকটা সিগারেট খাওয়ার সময় চোখমুখ কুঁচকে আনছে, তারপর নাক দিয়ে ধোয়া বের করার সময় ভোঁস করে শব্দ বের হচ্ছে যেন। প্রতিবার ধোয়া ছারার পর কালো কুচকুচে ঠোঁটগুলো জিহ্বা দিয়ে চেটে নিচ্ছে।
বুড়িটা জিগ্যেস করে কনিষ্ঠজনকে, “কয়ডা কুত্তা মারলেন বাহে আইজকে?”
লোকটার মুখে হাসি ফুটে ওঠে, খোঁচাখোঁচা দাড়িওয়ালা গালে ভাঁজ পরে একটা। “দশটা”- বলার সময় সাদা দাঁত চিকচিক করে ওর।
“তোমরা কি সরকারি লোক হা বাহে?” বুড়ির জিজ্ঞাসা যেন শেষ হয় না।
এবার হাটা থামায় লোকটা। আবার মুখ কুঁচকে সিগারেটে টান দিয়ে ভোঁস করে ধোয়া ছেড়ে বলেন তিনি, কণ্ঠে কৌতুক খেলা করে, “হামরা হামার লোক”। বলে আবার অদ্ভুত গতিতে হাটা শুরু করেন।
আনারুল সাহেবের বাড়ির সামনে এলে আগন্তকেরা এলে তিনি ওদের দেখে যতপরনাই অস্বস্তি বোধ করেন; এদের চেহারা দেখে তার অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে; “কি কি...কি চাই” বলে খকিয়ে ওঠেন তিনি। তার হাত থেকে সৈয়দ হকের “ফিরে আসে” বইটা পরে যায়। তার দেহ যেন অবশ হয়ে আসে।
জ্যেষ্ঠ আগুন্তুকের থেকে চোখ ফিরিয়ে কনিষ্ঠজনের দিকে নিয়ে যান- দেখেন তিনি অপলক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছেন; চোখে চোখ পরলে সেখানে তিনি নক্ষত্র দেখতে পান- লক্ষ মাইল বেগে যেন সেটা তার দিকে ছুটে আসছে। আগুন্তুক চোখ সরিয়ে তার কাঁধে নিয়ে গেলে তার মনে হয় ছুটন্ত নক্ষত্রটা পাশ কেটে চলে গেল- স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন আনারুল সাহেব। তবু ভয়ে কণ্ঠ শুকিয়ে যায়।
জ্যেষ্ঠ আগুন্তক তার এরকম ভয় পাওয়া প্রশ্ন শুনে মোটেই ঘাবড়ান না, যেন তিনি জানতেনই এমনটা হবে।
“আপনার বাড়িতে কুকুর আছে, স্যার? আমরা কুকুর মারি”
“ না না, কোন কুকুর নাই......কোন কুকুর নাই” নাকেমুখে উত্তর দেন আনারুল প্রোফেসর।
আগুন্তুক বারান্দার কাছ থেকে সরে আসেন। তার স্ত্রী আওয়াজ শুনে ঘর থেকে বেড়িয়ে এসেছে। কুকুর মারার কথা শুনে চোখ ঝলমল করে ওঠে তার।
“আছে, একটা আছে... আমার সাথে আসেন” বলে বাড়ির ভেতরে নিয়ে যান আগুন্তুকদের। আনারুল সাহেব বিব্রত বোধ করেন। তাকিয়ে দেখেন তার দিকে অনেক গুলো হাড়হাভাতে ছেলেমেয়ে চোখ আটকে রেখেছে। তার চোখ স্বভাবতই বড় হয়ে যায়। সরে যায় ছেলেমেয়েগুলো। ওরা চলে গেলে নিজেকে বড় অসহায় আর একা লাগে। অকারণেই আশেপাশে তাকান- রক্তের শীতল স্রোত একটা বয়ে যায় পঁয়ত্রিশ বছর বয়সি মেরুদণ্ডের ভেতর দিয়ে।
একটা নিহত কুকুর নিয়ে আগন্তক দুইজন বের হয়ে আসে। অদ্ভুত দৃষ্টিতে কুকুরের ফাঁক করা মুখের দিকে তাকিয়ে আছে ওরা। কুকুরটার জিহ্বা বেড়িয়ে এসেছে- মৃত লালায় রোদ পরে প্রতিফলিত হচ্ছে।
“দশটা টাকা দেন স্যার, বিড়ি খাব”- বলে বারান্দার সিঁড়িতে বসে পরে জ্যেষ্ঠজন।
আনারুল সাহেব হুড়মুড় করে ঘরে ঢুকে ২০ টাকার একটা নোট নিয়ে আসেন।
“স্যার, ১০ টাকা তো নাই”- বাঁকা হয়ে উঠে দাঁড়িয়ে পকেটে খুচরা খুঁজতে খুঁজতে বলেন আগুন্তুক।
“না না লাগবে না খুচরা, যান”।
তাড়াতাড়ি ওদের তাড়াতে পারলেই বাঁচেন তিনি।


কৌশিকের যেন ঘোর লেগে যায়, পায়ের গড়ালিতে পাহাড়ের নিশ্চলতা অনুভব করে সে। পিঁপড়ের মতো সরসরানি পা থেকে সারা দেহে ছড়িয়ে পরে। বুকের ভেতরে ছটফটানি খাঁচাবন্দী পাখির।
ফ্যানের সাথে আটকে আছে দেহটা, মাফলারের চ্যাপ্টা দড়িতে ভর করে, দুলছে যেন- হাওয়ায়?
তখনো যে মেয়েটা ঝাড়ু দিতে আসে, আসেনি- কিন্তু পাশের বাড়ির টয়লেটের দরজা খোলা নাকি বন্ধের ধাতব কর্কশ ধ্বনি কানে আসে। বাবা-ছেলে তাকিয়ে আছে ঝুলে পড়া দেহের দিকে। কৌশিক বুঝছে না কিছু। কান্না পাচ্ছে কী? গলার কাছে কিছু একটা অনুভব করতে চায় ও। সরসরানি, ভার ভার লালা কি একদলা কফ। খুঁজে পায়না ও। কিন্তু চোখগুলো শক্ত হয়ে গেছে ও বুঝতে পারে। ঠোঁট কাঁপতে থাকলে বাবা কাঁধে হাত রাখেন- ঠোঁটে আঙুল দিয়ে চুপ থাকতে বলে। এই সময়ে বাবার শরীরে, কথায় সান্ত্বনা থাকার বদলে তীক্ষ্ণ অনুরোধ দেখতে পায় ও। বাবা মায়ের নিথর পায়ে হাত দিলে নড়ে যায় দেহটা, ঘুরতে থাকে বাউরির বাতাসে পড়া ঘাস পাতার মতো। বাবা দেহটাকে নামানোর কোন চেষ্টা না করে অপেক্ষা করতে থাকেন লোক সমাগমের।
মায়ের মুখ কোনদিন এতো ঘাড় উঁচু করে দেখেনি ও, নিচ থেকে বড় বেঢপ দেখাচ্ছে নিষ্পাপ মুখটা, লালা শুকিয়ে মাছি উড়ছে মুখে।
এতো করে বাবার নিষেধ শর্তেও একসময় উচ্চস্বরে চীৎকার করে ওঠে ও। বাবাকে বড় অসহায় মনে হয়। তারপর বিড়ালের মতো বাবাও কাঁদতে থাকেন। অনেক লোকের আগমনে চিরনির্জন বাড়িটা ফুটবলে খেলার মাঠ হয়ে যায়। বাবা বিলাপ করতে থাকেন।
পায়ের গড়ালিতে পাহাড়ের নিশ্চলতা অনুভব করে কৌশিক। পিঁপড়ের মতো সরসরানি পা থেকে সারা দেহে ছড়িয়ে পরে। বুকের ভেতরে ছটফটানি খাঁচাবন্দী পাখির। লোকদুটোর চোখে কাল সাপ দেখতে পেয়ে নিজের ভেতরের আগুনে ঘি ঢালে সে।
লোকদুটোও তাকে একদৃষ্টে দেখছে। তারপর মাথা নাড়ে বয়োজ্যেষ্ঠ জন। কৌশিকের চোখে সম্মতির চিহ্ন।
কৌশিকের পিছনে পিছনে তারা বাড়ির অন্দরে ঢুকে যায়। ছেলেমেয়েরা শোরগোল শুরু করে; কেউকেউ আনারুল সাহেবের বাড়ির সামনের মৃত কুকুরটাকে কোথায় পুতে ফেলতে হবে সে সম্পর্কে বিস্তর গবেষণা করতে থাকে।
দরজা লাগিয়ে দেয় কৌশিক। ওর বাবার এতো দিনের পোষা কুকুরের যেটা তিনি ফিলিপাইন থেকে এনেছিলেন আর খাইয়ে তেল মাখিয়ে সিংহের মতো বানিয়েছেন এবং অতিথির চোখে যা বিশেষ মর্যাদার প্রতীক- শেষ চীৎকার শোনা যায়। শিক্ষিত কুকুর হলেও রাস্তার কুকুরের ভুকভুকানি থেকে তা আলাদা করার বিন্দুমাত্র উপায় কেউ খুঁজে পাবে না।

পরদিন ভোর হওয়ার পরপর, যখন সূর্য উঠি উঠি করছে- কিন্তু আড়মোড়া ভাঙার অলসতার কারণে বিছানায় চুপ করে আছে; দুইএকটা টুনটুনি ও গান্ডারি ছাড়া আর কোন পাখি ডাকার জন্য জেগে ওঠেনি, অল্পের জন্য জামাত মিস করে কিছু তরুণ দাড়িওয়ালা হুজুর আর এলাকার কিছু ছেলে যাদের পরীক্ষা সামনে, শেষ ফাল্গুনের বাতাসেও শীতের আমেজ বলে গা শিরশিরিয়ে ওঠে মর্নিং ওয়াক করতে থাকা মাঝবয়সী আত্মঘষিত তরুণদের, আর গরম কিছু আনেনি বলে দোষারোপ করে- কিন্তু কাকে করে হয়তো তারা নিজেও জানে না- তখন আনারুল সাহেবের স্ত্রী, কৌশিক আর রহিদুল সাহেবের পুত্রবধূ ব্যাপারটা বুঝতে পারে; কিছুক্ষণ পর যখন সূর্য অলসতার কারাগার ভেঙ্গে বেড়িয়ে এসেছে, আর কাকের কা কা ডাকে ঘুম ভেঙ্গে গেছে প্রায় সবার, অনেক লোক জমায়েত হয় তাদের বাড়িতে।
আনারুল সাহেবের স্ত্রী তার স্বরে কাঁদে, আর কেন আল্লাহ্‌ ওর কপাল এমন ভাবে পুড়িয়ে দিল তা জানতে চায়। কৌশিক চুপচাপ শেষকৃত্য করে যায়- তার মুখে কোন ছায়া- বিষাদের বা আনন্দের- পাওয়া যায় না। রহিদুল সাহেবের পুত্রবধূ আর ছেলেরা মুদারায় কান্নার কোরাস গায়। সারা শহরে নীরবতা নেমে আসে এলাকার গণ্যমান্য ও যাদের ঋণ শোধ করতে পারবে না কোনদিন শহরবাসী তাদের অভুত ও রহস্যজনক মৃত্যুতে।
সপ্তাহ ব্যাপি শোক পালিত হয়- জাতিয় পতাকা অর্ধনিমিত রাখা হয়। চারিদিকে- বেতারে, অনলাইন আর মুদ্রিত পত্রিকায়, শহরের স্থানীয় চ্যানেলে তাদের সম্মানে চারদিন আনন্দানুষ্ঠান বন্ধ থাকে।
শুধু বস্তির পাড়ের মানুষ, বুড়িটা আর যারা বেতার টেলিভিসনে কোন দিন জায়গা পায়না, আর সভ্য হতে পারে না কিংবা হয়না কোন মহাসভার- তারাই নীরব থাকে, শোক কিংবা আনন্দ কোনটাই তাদের কণ্ঠে, ভাবে, চালচলনে প্রকাশিত হয় না।

সূর্যের আলো হেলে পেয়ারা গাছের পাতায় পরে প্রতিফলিত হয়ে চোখ ধাদিয়ে দিচ্ছে, বাতাসে গ্রীষ্মের আগমনী বার্তা ঘষিত। খাল পালের বস্তির ছেলেরা অদ্ভুত সে দুইজন আগন্তকের পিছনে কোলাহল করছে। তাদের পরনে ময়লা কোট আর মাথায় খুব সুক্ষ, প্রায় দেখা যায় না এমন সিলা মারা হ্যাট, কাঁধে সাঁড়াশি- ঠোঁটমুখ কুঁচকে সিগারেট টানতে টনাতে, ঝুমুর ঝুমুর শব্দে মুখরিত করে চারপাশ তারা হেঁটে যাচ্ছে।
বুড়ি, তরুণী, তরুণ, কিশোর তাদের জিগ্যেস করছে, “আপনারা সরকারি লোক?”
হাস্যোজ্জল মুখে কখনোবা গম্ভীর হয়ে ওরা উত্তর দেয়, “হামরা হামার লোক।”
10th February to 12th February, 2015

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


সমসাময়িক চিত্র, ভালো।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:৫৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী গল্প পড়ার জন্য

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:১৪

জাফরুল মবীন বলেছেন: গল্পপাঠে ভাল লাগল বেশ।

ঋতুরাজ বসন্তের আগমনী শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৩৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ গল্প পাঠের জন্য| আপনাকেও অনেক নববসন্তের শুভেচ্ছে

৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:২৬

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: অযথা প্রশংসাসূচক বাক্য উচ্চারণে আমার মধ্যে জড়তা কাজ করে। তাই সত্যটাই বলি।
গল্পটার বয়ান বেশ দুর্বোধ্য ঠেকল কেন জানি। প্রচুর বানান ছুটে গেছে। এমনকি গল্পের নামকরণেও অদ্ভুত বানানটা ভুল আছে। প্রথম দিকে পট পরিবর্তন এতো খুবই দ্রুত হওয়ায় পাঠক গল্প থেকে ছিটকে যাওয়ার সম্ভবনা আছে। কাহিনী বিন্যাসেও যথেষ্ট যত্নের ছাপ নাই। সাবলীলতা ফিরিয়ে আনতে পারলে গল্পটা সুখপাঠ্য হয়ে উঠবে। তাই অনুরোধ রেখে গেলাম গল্পটা কিছুটা এডিট করার জন্য। তখন আবার এসে পড়ে যাবো এবং বিশয়বস্তুর উপর মন্তব্য দেবো।
আপনার লেখার হাত ভালো। তবে মনোযোগ আর যত্নের অভাবে অনেক সময়ই অনেক চমৎকার পটভূমির লেখাও পাঠক ঠিক মতো গ্রহণ করতে পারেন না। আশা করবো আমার মন্তব্যটা ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখবেন আরণ্যক রাখাল। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৪৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ বাঙালি ভাই আপনার ঋজু মন্তব্যের জন্য| বানান ঠিক করার চেষ্টা করছি| নামট কিভাবে ভুল হল মাথায় আসছে না| আর এটা ঠিক যে আমি একটা বড় পটভূমি চেয়েছিলাম হয়ত দরকার ছিল কিন্তু সময়ের অভাবে পারিনি| এটাকে আর বর্ধণও করবনা কমাবও না কিন্তু আগামী গল্প আরো সময় নেব আর যতটা স্পেস দরকার ততোটাই দেব| অনেক ধন্যবাদ এত গঠনমূলক একটা মন্তব্যের জন্য|

৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৫৪

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: নামকরণে আপনি 'অদ্ভুত' এর পরিবর্তে 'আদ্ভুত' লিখেছেন। আমি এটাকেই মিন করেছি। :)

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:০৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হ্যাঁ ভাই বুঝেছি

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ঠিক করে নিচ্ছি| পরীক্ষা ছিল তাই এতক্ষণ বসতে পারিনি

৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:০০

নিলু বলেছেন: লিখতে থাকুন

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:০৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: লিখছি| ধন্যবাদ

৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:০৭

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: 'আগন্তক' বানানটাও ভুল মনে হল। এটা 'আগন্তুক' হবে। :)

৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৫৪

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার ঢালাও মন্তব্যের জন্য

৮| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: সারমেয় নিধনে শোকাকুল শহরবাসী। খুব ভালো থিম নিয়ে লিখেছেন।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ গল্প পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য

৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩৯

তুষার কাব্য বলেছেন: ভাললাগা গল্পে।ভালো থাকবেন ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:১১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ গল্পপাঠ ও মন্তব্যের জন্য

১০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: বাঙালির বক্তব্যের লেজ টেনে আমিও একটু যোগ করি, ব্যাপারটা আপনি ঠিকই ব্যাপারটা ধরে ফেলতে পারবেন, আর তা হলো ঢোঁড়া সাপ রাস্তা দিয়ে যায়, কোকিল উড়ে গিয়ে ডালে বসে। যেমন-

দুপুর তখন সূর্যের মধ্য যৌবনের কৃপায় ডানপিটে। মৃদু শিমুলগন্ধী বাতাসে কোকিলের কালো ডাক ক্যানভাসে পাগলা কোন শিল্পীর তুলির মতো ভেসে বেড়ায় বাঁশঝাড়, মান্দার, কৃষ্ণচূড়া, হইড্ডা আর চাকগুয়া’র পাতায়। সরসর করতে করতে পিচরাস্তার উপর দিয়ে হেঁটে যায় ঢোঁড়াসাপ একটা, তার দেহের ডোরাকাটা হলুদ আর কালোয় বালির চিকমিক।

-এমন ব্যাপারগুলো যতটা কম রাখা যায় আর যত কম শব্দে ফুটিয়ে তোলা যায়। হয়তো উপন্যাসে বাহুল্য মানিয়ে যায়, ছোটগল্পে একেবারেই না। এতে পাঠক সেই অংশটা স্কিপ করে যাবার সম্ভাবনা থাকে।

চর্চা চলতে থাকুক, থামবেন না। নিজের মতো করে লিখতে থাকেন।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এত মনোযোগ দিয়ে পড়ার ও সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য| হ্যাঁ ব্যাপারটা মাথায় রাখব| জানিনা কেন বর্ণনাগুলি চলে আসে| চেষ্টা করব এড়িয়ে যেতে বাহুল্য

১১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৪

জুন বলেছেন: বেশ লাগলো ছোট গল্পটি তবে কিছু কিছু জায়গায় খুব তাড়াহুড়ো করেছেন আরন্যক রাখাল। ফলে গল্পের মূল বক্তব্য ধরতে বেগ পেতে হয়েছে ।
এমনি ভাষা আর শব্দের সম্ভার বেশ সমৃদ্ধই মনে হলো আমার কাছে :)
+

১২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ কষ্টকরে পড়ার জন্য| গল্পের খেই হারিয়ে যাচ্ছে জানি| চেষ্টা করব লেখা যাতে আরো সহজপাঠ্য হয়

১৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৮

সোলায়মান সুমন বলেছেন: ভাল লাগল।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্যে ভাললাগা জানানোর জন্য

১৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬

দৃষ্টির সীমানায় বলেছেন: ""তখনো যে মেয়েটা ঝাড়ু দিতে আসে, আসেনি- কিন্তু পাশের বাড়ির টয়লেটের দরজা খোলা নাকি বন্ধের ধাতব কর্কশ ধ্বনি কানে আসে। বাবা-ছেলে তাকিয়ে আছে ঝুলে পড়া দেহের দিকে।""
কথাটার ধরন অসাধারণ লাগলো,

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক অনেক ভাই এত মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য| আমার নতুন ব্লগে আপনাকে স্বাগতম

১৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০৭

রোদেলা বলেছেন: বুড়ি, তরুণী, তরুণ, কিশোর তাদের জিগ্যেস করছে, “আপনারা সরকারি লোক?”
হাস্যোজ্জল মুখে কখনোবা গম্ভীর হয়ে ওরা উত্তর দেয়, “হামরা হামার লোক।”--

বেশ লেগেছে।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: গল্পপাঠ ও ভাললাগা জানানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

১৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩১

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ভালো লাগল।
সমৃদ্ধ শব্দভাণ্ডার।
কিন্তু এটাই অনেক সময় বিষয়বস্তুকে দুর্বোধ্য করে তোলে।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই মন্তব্যের জন্য| নতুন লিখছি| তাই অনেক কমতি রয়ে গেছে, জানি| আপনাদের উপদেশে সমৃদ্ধ হচ্ছি

১৭| ০৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৪৬

ভাঙ্গা ডানার পাখি বলেছেন: আপনার লেখায় একটা বিষন্নতা আছে, জীবনানন্দের কবিতা পড়ার পর যেমন লাগে। ভাল লাগা থাকল!

০৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:৪৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য ও পাঠের জন্য| জীবনানন্দ? পাপ হবে ভাই এই কথা শুনলেও!

১৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক লোকের আগমনে চিরনির্জন বাড়িটা ফুটবলে খেলার মাঠ হয়ে যায় -- ভালো বলেছেন।
লেখা সম্পর্কে অনেকে অত্যন্ত গঠনমূলক সমালোচনা করেছেন। আশাকরি আমলে নেবেন।
“কয়ডা কুত্তা মারলেন বাহে আইজকে?” -- ঐ অঞ্চলের লোকদের মুখে 'কয়ডা' কথাটা 'কয়খান' হলেই মানাতো বেশী।
আমার ছোটবেলায় আমি ফকিরাপুল বাজারে বাজার করতে যাবার সময় টিএন্ডটি কলোনীর সামনে কুকুর নিধনের কর্মযজ্ঞ রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতাম, আর বাড়ী ফিরে ভীষণ খারাপ লাগতো। এসব কার্যক্রম এখন মফস্বল পৌরসভাগুলোতেও (জলঢাকার মত) হাতে নেয়া হয় নাকি?

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হ্যাঁ। হয়।
আপনি অনেক মনোযোগী পাঠক।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। অনেকদিন আগের, প্রায় ব্লগিং শুরুর দিকের, কেউ আবার খুঁজে পড়বে ভাবিনি।
অনেক ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.