নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাতাল ঋত্বিক আমি, প্রেমকথা আমার ঋগ্বেদ

আরণ্যক রাখাল

মাতাল ঋত্বিক আমি, প্রেমকথা আমার ঋগ্বেদ

আরণ্যক রাখাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুক রিভিউ- এক মহিলার ছবি

১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৫৯

কিছু কিছু বই পড়েছি যেগুলো মনে দাগ কেটে গেছে; কিছু বই দাগ না কাটলেও রেখা রেখে গেছে গমনের; কিছু বই হারিয়ে গেছে। দাগ কেটে যাওয়া বইদের নিয়ে আলাদা একটা- অদ্ভুত একটা মুগ্ধতা থাকে, কেউ সে বই সম্পর্কে জিগ্যেস করলে অনায়েশে বলা যায়- “অসাধারণ বই, পড়ে দেখুন- মনের নতুন দুয়ার খুলে যাবে”। নিজেই তখন বিজ্ঞাপনপ্রণেতা হয়ে যাই। কাল রাতে শেষ করা সৈয়দ হকের “এক মহিলার ছবি” সেরকম একটা- অবশ্যই সেরকম একটা বই।
সৈয়দ শামসুল হকের প্রথম উপন্যাস বোধকরি এক মহিলার ছবি। তিনি যে অসাধারণ একজন লিখিয়ে হবেন পরবর্তীতে বুঝতে পেরেছিলেন হয়তো তখনকার বিজ্ঞ পাঠকেরা এই বই পড়ে- বুঝতে পারি। আজ তিনি প্রতিষ্ঠিত- খ্যাতির চুড়োয় বসে নিজের বহুল কর্মজীবনের দিকে তাকিয়ে দেখছেন হাসি মুখে- নিশ্চয়ই এক মহিলার ছবির প্রতি তার আলাদা একটা ভালোলাগা, আলাদা একটা মুগ্ধতা আছে- অন্যরকম একধনের মমতা আছে। প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস বলে কথা।
আমার হাতে যে বইটা আছে সেটা একটা সংকলন। নাম ‘কয়েকটি মানুষের সোনালি যৌবন”। পিছনের পাতায় লেখা ‘পঞ্চ প্রেমের উপাখ্যান’। বলার দরকার নেই যে এখানে পাঁচটি উপন্যাস আছে। এক মহিলার ছবি তার মধ্যে একটি। বাকিগুলো- ‘কয়েকটি মানুষের সোনালি যৌবন’, ‘অনুপম দিন’, ‘জনক ও কালো কফি’ আর সীমানা ছাড়িয়ে’। ‘জনক ও কালো কফি’ ছাড়া বাকি সবগুলোই পড়েছি( এক মহিলার ছবি আজ পড়লাম)। বইয়ের ছাল চামড়া বলতে গেলে কিছুই নেই, কভারটা আছে- প্রচ্ছদটা কোন রকমে বোঝা যায়; আর কোন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত সেটা জানা যায়। অনিন্দ্য প্রকাশন। এমনকি সূচিপত্রও নেই। শুধু এটা জানতে পারলাম যে ‘এক মহিলার ছবি’ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৫৯ সালে যখন তিনি লক্ষ্মীবাজারে থাকতেন। প্রতি উপন্যাসের আলাদা প্রচ্ছদ আছে। এক মহিলার প্রচ্ছদে পেনছিলে আঁকা একটি রমণীকে দেখা যায়- নগ্ন- বসে আছে আয়নার সামনে ভেজা চুলে। আয়নায় প্রতিফলিত হচ্ছে তার প্রস্ফুটিত স্তনদ্বয়।
যাই হোক, বইটা পড়া শেষ করলে আমার মনে হোল নতুন একটা কিছুর আস্বাদ পেলাম যেটা এতদিন পাইনি খুঁজে সুনীল কিংবা সমরেশে কিংবা হুমায়ুন আহমেদের সস্তা বানিজ্যিক বইয়ে। সৈয়দ হোক যে বাংলা সাহিত্যের সম্রাট অন্তত পুব বাংলার সেটা মানতে আমার আর কোন বাঁধা নেই।
ওঁকে বেশি পড়িনি আমি- আসলে রবীন্দ্রনাথের মতো বিশাল তিনি- এতোই বৃহৎ যে সময় লেগে যাবে নিশ্চিত ১০ বছর- দেড়’শর উপরে বই লিখেছেন কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক আর কাব্যনাটক মিলিয়ে- বিশাল না বলে উপায় আছে?
এবার একটু রিভিউয়ের দিকে যাই। আগেই বলেছি প্রথম প্রকাশিত ১৯৫৯ সালে যখন তার বয়স মাত্র ২৪ বছর! এখানে বলে রাখি সৈয়দ হোক হলেন সবচেয়ে কম বয়সে বাংলা একাডেমী পুরষ্কার প্রাপ্ত সাহিত্যিক- পেয়েছিলেন ৩০ বছর বয়সে(১৯৬৬)। যাই হোক বইটায় “প্রেমের উপাখ্যান” ট্যাগ মারা। আসলেই কি “এক মহিলার ছবি”- প্রেম নিয়ে? শুধু প্রেমের বই এই ট্যাগ মারা কি ঠিক হয়েছে? হয়তো না? আবার মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে- ঠিক হয়েছে।
হ্যাঁ, প্রেম, প্রেমই এই বইয়ের মূল উপাখ্যান- বইয়ের প্রধান চরিত্র সারাজীবন শুধু ভালোবাসাই খুঁজেছেন- প্রেমই খুঁজেছেন। নাসিমা আক্তার এই বইয়ের প্রধান চরিত্র, যে কিনা ব্যর্থ হয়েছেন বারবার, প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন, ভালবাসার বদলে পেয়েছেন পাঁক আর থুতু। ভেঙ্গে পড়েছেন সমাজের ঢিলের আঘাতে, কামনা আর লালসার রক্তচক্ষুতে বারবার পালিয়ে গেছে ভালবাসা। তিনি মুক্তি খুঁজেছেন। পালিয়ে এসেছেন- নতুন জায়গায় মানিয়ে যাওয়ার আগেই আবার আঘাত এসেছে- বাহির থেকে মাঝে মাঝে, ভেতর থেকেও; আবার ভেগেছেন তিনি। স্বপ্নের পিছনে ছুটতে ছুটতে ক্লান্ত হয়েছে- কিন্তু থামেননি।
নিজের ভেতরে ডুব দেয়া, নিজের মতো করে বাঁচতে চাওয়ার বাসনা সম্পূর্ণ বইটাতে বারবার পাওয়া যায়। কবি- হ্যাঁ কবিই তো-শামসুল হক লিখেছেন এই ব্যাপারটা নিয়ে এভাবে- “তার অসীম রিক্ততা প্রাচীন জাহাজের পালের মতো ফুলে ফুলে উঠতে থাকে তখন। প্রতীক চিহ্নের মতো স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে সেই ধূসর থাবা। আছড়ায়। ফেটে পড়বার শক্তিটুকু যে তার অন্তর্হিত হয়ে যায়। শুকিয়ে গেছে রক্তের নদী। অতলে, আরও অতলে, নাসিনা। ক্লান্তির কালো চোখের আরো পিছনে।”
অদ্ভুত সাহসি লেখক সৈয়দ শামসুল হক। বাংলা সাহিত্যে অন্তত বাংলাদেশের সাহিত্যে সমকামিতা আর লিভ টুগেদারের মতো ব্যাপার হয়তো তিনিই প্রথম তুলে ধরেছেন- এই উপন্যাসের মাধ্যমে। ভাবুন সালটা ১৯৫৯। সেই তখনই তিনি লিখেছেন সমকামিতা আর লিভ টুগেদার নিয়ে- বিষয় করেছেন গল্পের; এটা কম কথা নয়; হোক তা খুব সল্প পরিসরে। আমার মনে হয় গল্পটা বিশাল পরিসর দাবি করে- কিন্তু সৈয়দ হকের জাদুকরী লেখায় অল্পেই সেটা প্রস্ফুটিত হয়েছে শুদ্ধভাবে, সুন্দরভাবে।
ভাষা- ভাষা এই বইয়ের আরেকটি আকর্ষণীয় দিক। অসাধারণ বর্ণনাভঙ্গি সৈয়দ হকের আর বাকি সব বইয়ের মতো। বিবর্তন লক্ষ্য করা যায় হক সাহেবের এই বই পাঠ করে। তিনি বারবার বিভাজিত হয়েছেন, খোলস পালটেছেন বারবার। বাঁকা করেছেন গ্রাম্য নদীর মতো আবার সরলরেখার মতো সোজা চালিয়ে গেছেন কলম।এখনকার লেখার ধরনের থেকে সেই ধরনের আকাশ জমিন তফাৎ। এটা বুঝতে পারলে মজা লাগে। ভালো লাগে এটা ভেবে যে- “আমি একজন সেরা লেখকের বেড়ে ওঠা দেখছি- বিবর্তন দেখছি!” তরুণ লেখা কিন্তু কোথাও মনে হবেনা হোঁচট খাচ্ছি। সুন্দর ভাষা’র গতি আর সচলতায় আপনা থেকেই ভেসে যেতে হয়।
তো, শেষ করি- যারা এখনো বইটা পড়েননি তারা খুব তাড়াতাড়ি পড়ে নিন সময় করে- জানি হতাশ হবেন না। যদি হতাশ হন তবে কমেন্টে এসে গালাগালি করে যাবেন- আমি চুও করে শুনবো শুধু!
সৈয়দ হকের একটা খুব প্রিয় কবিতার লাইন - “এখনো দাঁড়িয়ে আছি, এ আমার এক ধরনের অহংকার”। শামসুর রাহমানের কবিতার এই লাইনটা নাকি তিনি প্রায়ই আবৃতি করে ওঠেন অজানিতে। হ্যাঁ এখনো তিনি দাঁড়িয়ে আছেন- শুধু দাঁড়িয়ে নয়- শাসন করছেন রীতিমত বাংলাসাম্রাজ্য।
বিদ্রঃ- অনেকদিন আগে লেখা, নতুন করে কয়েকটা লাইন লিখেছি শুধু

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:২৯

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:

রিভিউ ভাল হইছে ।+++

আপনার কাছে আরো সুন্দর রিভিউ চাই।

ছবি দিলে আরো ভাল হত। আশা করি পরবর্তী রিভিউতে ছবি দিতে চেষ্টা করবেন। :)

১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৫৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ।
চেষ্টা করবো ছবি দেয়ার

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২৯

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: লেখার ধরণ ভালো হয়েছে। ++

ছবি দিলে ভালো হতো। একমত 'বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায়' এর সাথে।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৫২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ।
ছবি দেয়ার চেষ্টা করবো আগামীতে

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪০

আমি তুমি আমরা বলেছেন: সুযোগ পেলে পড়ে দেখব। তবে সৈয়দ শামসুল হককে বড় দেখাতে গিয়ে হুমায়ূন আহমেদকে সস্তা বাজারী লেখক বলাটা ভাল লাগল না।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:২০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি সৈয়দ হককে বড় দেখাতে চাইনি। তিনি বড়ই, তা আর নতুন করে প্রমাণ করতে হবে না।
আর হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে আমার মতামত আমি জানিয়েছি, সাথে সাথে জানিয়েছি সমরেশ ও সুনীল সম্পর্কে। এটা জাস্ট আমার মত। তবে খুব একটা ভুল বোধহয় বলিনি

৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

কালীদাস বলেছেন: বইটা পড়িনি, আপনার রিভিউ ভাল হৈছে। পোস্টের লিংক চিকা মারতে ইচ্ছা করছে নামধারী রিভিউওয়ালাদের পোস্টে।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:২৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: পড়ে নেবেন বইটা। সত্যি বইটা অসাধারণ। না পড়লে মিস করবেন।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। তবে অতোটা ভালো বোধহয় হয়নি

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৩০

নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: বইটি পড়তে ইচ্ছে করছে। ভালো রিভিউ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:২৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বইটা পড়ে দেখুন। ভালো লাগবে আশা করি
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ভালো থেকুন

৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:১১

সুফিয়া বলেছেন: আপনার বর্ণনা পড়ে বইটা পড়ার খুব আগ্রহ হচ্ছে। এটা কি আজকাল মার্কেটে পাওয়া যায় ?

ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা উপস্থাপনার জন্য।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৩২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: পাওয়া যাবে। "কয়েকটি মানুষের সোনালি যৌবন" হয়তো পাবেন না সংকলন আঁকারে তবে আলাদা আলাদা ভাবে পাবেন।
"এক মহিলার ছবি" তো বেস্ট সেলার বলা যায়।
বাকি গুলোও সুন্দর। "জনক ও কালো কফি", "অনুপম দিন", "কয়েকটি মানুষের সোনালি যৌবন" , "সীমানা ছাড়িয়ে" এসব বইও অসাধারণ আর বাজারে আলাদা আলাদা ভাবে পাওয়া যায়।
এসব নিয়েও রিভিউ লেখার ইচ্ছে আছে।
আর শেষমেশ অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য

৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:০৭

আরজু পনি বলেছেন:

খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন ।


জানতাম না এই বইটার কথা ,দারুন প্রকাশ ।



প্রিয়তে নিলাম ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:১৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বইটা পড়ে দেখবেন, ভালো লাগবে

৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২০

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: ব্লগে আপনার সম্পর্কে আমার ভিন্ন একটা ধারণা ছিল , সেটা মরে গেলো আজকের লেখার একটা লাইন পড়ে । আপনি সুনিল কে বলছেন সস্তা বাজারি লেখক । এখন আপনার সম্পর্কে আমার ১০ বার চিন্তা করতে হচ্ছে ।আপনি আর সবার মতই তেমন কোন ধারণা না রেখেই , নিজেকে কিছু একটা প্রমান করার জন্য লেখেন । অন্তত এই লেখাটা ।

ভাই আপনি হুমায়ূন কে বাজারি বলতে পারেন ( এটা সত্য) , কিন্তু সুনিল কে বলতে পারেন না । সুএকদমবাংলা সাহিত্তের গ্র্যান্ড মাস্টার দের একজন ।একদম আধুনিক বাংলা সাহিত্তে তার মতো কবি উপন্যাসিকের জন্ম হয় নি ।

আপনি যদি সুনিল কে বাজারি বলেন তাহলে আমি বলব আপনি জীবনে সম্ভবত দুই একটার বেশি উপন্যাস পড়েন নাই কিংবা সুনিল ছুঁয়েও দেখেন নি কখনো । কিংবা আপনি পড়েছেন কাশেম বিন আবুবকরের উপন্যাস ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:২৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সুনীলের অনেক বই পড়ার পর এই কথাটা পড়েছি। তাঁর "সেই সময়", "প্রথম আলো" নিঃসন্দেহে মাস্টারপিস। সাথে সাথে সুন্দর "আত্মপ্রকাশ" ও আরো অন্যান্যগুলো। কিন্তু "ভালোবাসা প্রেম নয়" এটা কি ধরনের উপন্যাস। "সোনালি দুঃখ"? "নীরা" সিরিজের কবিতাগুলো খুব উন্নত? কাকাবাবু অনেকের ভালো লাগে, সেটা খুব উন্নত মানের সাহিত্য। সুনীলের "অর্ধেক জীবন" পড়েছেন? সেখানে তিনি নিজেই বলেছেন যে একসময় তিনি টাকার জন্যই লিখেছেন।
হ্যাঁ, সুনীল আমার প্রিয় লেখকের মধ্যে অন্যতম। তাঁর লেখা আমারও হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। কিছুদিন আগে একটা উপন্যাস পড়লাম, "সেই দিন সেই রাত্রি"। আশা করি উপন্যাসটা পড়েছেন, সেটা খুব ভালো মানের উপন্যাস ছিল? মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লেখা একটা উপন্যাস কিন্তু সেখানেও তিনি নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে পারেননি যদিও তাঁর বিশাল ক্ষমতা আছে, আমি জানি।
হুমায়ুনের ব্যাপারে একমত হয়েছেন বলে ধন্যবাদ।
আর একটা ব্যাপার, আমি এখানে যে বাক্যটা ব্যবহার করেছি সেটা ছিল এরকম, " বইটা পড়া শেষ করলে আমার মনে হোল নতুন একটা কিছুর আস্বাদ পেলাম যেটা এতদিন পাইনি খুঁজে সুনীল কিংবা সমরেশে কিংবা হুমায়ুন আহমেদের সস্তা বানিজ্যিক বইয়ে। সৈয়দ হোক যে বাংলা সাহিত্যের সম্রাট অন্তত পুব বাংলার সেটা মানতে আমার আর কোন বাঁধা নেই"। এখানে আমি তুলনা করছি অন্যান্যদের সাথে সৈয়দ হকের। আপনি কি সৈয়দ হকের বইগুলো পড়েছেন? যদি পড়ে থাকেন তবে বুঝবেন আমি ভুল করিনি। সৈয়দ হক, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, হাসান আজিজুল হক এদের লেখা পড়লে আসলেই সুনীল কিংবা হুমায়ূনকে পানসে লাগে। ভালো থাকবেন

৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২৫

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: সুনিল বাংলা সাহিত্তের গ্র্যান্ড মাস্টার দের একজন ।তার সম্পর্কে একটু ভেবে চিন্তে কথা বলা উচিত ।

১০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লেগেছে রিভিউ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হামা ভাই

১১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০১

রোদেলা বলেছেন: ফেটে পড়বার শক্তিটুকু যে তার অন্তর্হিত হয়ে যায়। শুকিয়ে গেছে রক্তের নদী। অতলে, আরও অতলে, নাসিনা। ক্লান্তির কালো চোখের আরো পিছনে ।
আপনি চাইলে নীচের লিঙ্কটি পূরন করতে পারেন।Click This Link target='_blank' >View this link

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: লিংকে তো ঢোকাই যায় না! ঠিক আছে লিংকটা?

১২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:০৩

ফরহাদ বিন হাফিজ পরাগ বলেছেন: সৈয়দ শামসুল হকের তিনটা বই পড়েছি এ পর্যন্ত । রিভিউ পড়ে লোভ জাগছে । আশা করছি এটাও পড়ে ফেলব ।

শামসুল হকের 'প্রণীত জীবন' -----তাঁর আত্মজৈবনিক বই পড়ে তেমন ভাল লাগেনি । সত্যি বলতে কী,উনার উপর রীতিমতো আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলাম । যাই হোক,রিভিউ লেখার অন্যতম সার্থকতা হল অন্যের লোভ জাগানো । সেক্ষেত্রে শতভাগ সফলতা দেওয়াই যায় ।

প্রত্যেক লেখক একসময় না একসময় টাকা উপার্জনের কথা চিন্তা করবেই । এটার মধ্যে দোষের কিছু খুঁজে পাইনা আমি । অন্তত আমাদের বুঝা উচিত, তাদের ও সংসার ধর্ম করতে হয় । তারা নিছক সাহিত্য সেবা করে দিনানিপাত করবে ----এমন ভাবা অন্যায় । তাই বাজারী লেখকদের দোষ দেব না , কিংবা শব্দটাকে নিন্দার্থেও ব্যবহার করতে চাই না ।


সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় টাকাকড়ির জন্য লিখেছেন, লিখতে বাধ্য হয়েছেন এবং এর মধ্যে আমি দোষের কিছুই পাইনা । প্রেমিকারর প্রেম যদি সাহিত্য অনুপ্রেরণা হতে পারে,জীবনের দুঃখবোধ যদি প্রেরণা হতে পারে,তবে অত্যাবশ্যকীয় ব্যাপার টাকা কেন হবেনা ? প্রধান কথা হল সাহিত্য । সব লেখা মাস্টারপিস হবে, হতেই হবে এমন কথা নেই । ভুলভাল যাই হোক,অন্তত সেগুলোকে আমরা "খেলা" হিসেবেও মূল্যায়ন করতে পারি । প্রমথ চৌধুরী বলেই রেখেছেন, খেলতে খেলতে হলেও যেন সাহিত্য রচনা করি । সাহিত্য একটা খেলা যেখানে শিল্পী মাত্রই খেলার অধিকার আছে ।


সুনীলদার "সেই দিন, সেই রাত্রি" পড়া আছে আমার । উপন্যাসের মূল উপজীব্য ছিল ভালবাসা । তাই সেখানে সম্মুখ যুদ্ধের বর্ণনা কম এসেছে খুব কম । মূল উদ্দেশ্য থেকে বিচার করলে আমি একশতে একশ দিব সুনীলদা কে । আর 'সোনালি দুঃখ ' কোনক্রমেঈ বাজারী উপন্যাসের আওতায় পড়েনা । এটা নিয়ে মুজতবা আলী পর্যন্ত উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন ।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:২০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ পরাগ তোমার বিশাল মন্তব্যের জন্য। সুনীল আমার প্রিয় লেখক কিন্তু আমি তাঁর সমালোচনা করেছি। হ্যাঁ করেছি, এবং ইচ্ছাকৃতভাবে করেছি। হ্যাঁ, কথা সঠিক যে সব লেখাই যে সাহিত্যসমৃদ্ধ হতে হবে তার কোন মানে নেই, কিন্তু সুনীল শুধু উপন্যাসের ক্ষেত্রেই এটা করেননি, কবিতার বেলায়ও একই কাজ করেছেন। "নীরা" সিরিজের কবিতাগুলো অনেকের পছন্দের, অনেকের ভালো লাগে। কিন্তু সাহিত্যমূল্য কি খুব বেশি? খুব সাধারণমানের কবিতা কিন্তু বাজারে কাটতি আছে। "ভালোবাসা প্রেম নয়" খুব ভালো মানের কিছু নয়।
সৈয়দ মজতবা আলী সুনীলের "সোনালি দুঃখের" প্রশংসা করেছেন এইজন্য নয় যে সেটা খুব উন্নত মানের ছিল, এজন্য যে এই বিদেশি পটভূমিতে রচিত উপন্যাসটা তাঁর নিজের লেখা উচিৎ ছিল বলে তিনি মনে করেছিলেন, কিন্তু তিনি লিখতে পারেননি, লিখেছেন সুনীল। তাঁর প্রশংসা করার কারণ ছিল এটা। সুনীলের অর্ধেক জীবন পড়েছি, সেখানে তিনি নিজেই বলেছেন যে মুজতবা আলী শুধু তাঁর "সোনালি দুঃখের"ই প্রশংসা করেছেন। তবুও বলি, সুনীল আমার প্রিয় এবং শক্তিশালী সাহিত্যিক, এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।
আমি বুঝতে পারছি না, কেন তুমি সৈয়দ হকের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছ। অসাধারণ সাহিত্যিক তিনি, কবি হিসেবেও অনন্য। "এক মহিলার ছবি" পড়ে আশা করি তোমার তাঁর প্রতি আগ্রহ আবার ফিরে আসবে। "ফিরে আসে" এবং "তাস" আর "নানা প্রকার নীরবতা" গল্প কয়েকটা পড়ার চেষ্টা করো, তাহলে বুঝবে তিনি কতোটা শক্তিশালী সাহিত্যিক। আত্মজীবনী তাঁর "তিন পয়সার জোছনা" অসাধারণ। খুব ভালো লাগবে পড়লে
অনেক কিছু লিখলাম। ভালো থাক। তুমি ব্লগে নিয়মিত নও কেন? আশা করি নিয়মিত হবে

১৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯

রোদেলা বলেছেন: View this link
এটা একটা জরিপ ,দেখুনতো পূরন করা যায় কিনা।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: করছি

১৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩

রোদেলা বলেছেন: আমাকে এড করুন,এখানে লিঙ্ক শো করবে না।
https://www.facebook.com/ratri.nijhum

১৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: বুক রিভিউ- এক মহিলার ছবি - তে সৈয়দ হককে চমৎকার ফুঁটিয়ে তুলেছেন, সেই সাথে পোষ্টমর্টেম করেছেন কয়েক জনের। সাহিত্যের তর্ক তুমুলে উঠেছে। আমি অবোধ পাঠক, তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছি।

তবে মনের মধ্যে একটা কথা ঘুরপাক খাচ্ছে:
"সাহিত্যের মূল্যায়ন কিসের নিরিখে, "যুক্তি" না "অনুভূতি"?

জানি, লেখাটা আবারও পড়তে ইচ্ছে করবে, তাই প্রিয়তে নিলাম।

০৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক। জানিনা কি জবাব দেব কিন্তু দেব। ল্যাপু সাথে নেই। কাছে এলেই ......

১৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৩০

ফরহাদ বিন হাফিজ পরাগ বলেছেন: পরীক্ষা চলছে, তাই আপাতত সবকিছু থেকে দূর-পরবাসে আছি । শুভকামনা তোমার জন্য ।

০৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: পরীক্ষা শেষে বইটা পড়ে নিও

১৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: রিভিউ পড়ে বইটা পড়তে ইচ্ছা করছে। এখানেই রিভিউটার সার্থকতা । ভালো থাকবেন।

০৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: পড়ে নিন বইটা

১৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৪২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালো লাগলো রিভিউ

০৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ

১৯| ০১ লা মে, ২০১৫ রাত ১০:৫৪

অক্টোপাস পল বলেছেন: চমৎকার রিভিউ হয়েছে। এখন বইটা পড়তে হবে। সৈয়দ হককে প্রাপ্য সম্মান দিতে অনেকেই ভুলে যান। আপনার কলম অকৃপণ হওয়ায় ধন্যবাদ।

০২ রা মে, ২০১৫ রাত ১০:০১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অনেক শুভকামনা

২০| ০২ রা মে, ২০১৫ রাত ১০:১৭

হার্ড নাট বলেছেন: বইটা পড়ার আগ্রহ জাগলো। ভাল লেখেছে রিভিউ।

০৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: পড়ে নিন বইটা

২১| ১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১:৫০

একলা ফড়িং বলেছেন: চমৎকার রিভিউ। বইটা পড়ার ইচ্ছা থাকল। সৈয়দ শামসুল হকের বই তেমন পড়া হয়নি বললেই চলে! বই কিনতে গেলে বা লাইব্রেরি থেকে আনতে গেলে ঘুরেফিরে সেই অল্প কিছু লেখকদের বই-ই বারবার আনা হয়। খুব খারাপ :| :|

১৫ ই মে, ২০১৫ সকাল ৭:৪৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অসাধারণ এক লেখকের বই মিস করছি আমরা। পড়ে নেবেন হাতের কাছে ওর কোন বই পেলেই

২২| ১৫ ই মে, ২০১৫ সকাল ৯:৩৭

এন জে শাওন বলেছেন: রিভিউ টা পড়ে বইটাও পড়তে ইচ্ছে হল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।আপনার রিভিউটার ভাষাও চমতকার হইছে। আর একজন নতুন ব্লগার হিসেবে পোস্টটিও অনেক অনুপ্রেরণা জাগাবে। ভবিষ্যৎ এ লিখতে সাহায্য করবে।

১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:২৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। বইটা পড়ার আপনার ইচ্ছে জাগাতে পেরেছি শুনে ভালো লাগল।
হ্যাপি ব্লগিং আমার নতুন বন্ধু
আর অবশ্যই বইটা পড়ে নেবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.