নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাতাল ঋত্বিক আমি, প্রেমকথা আমার ঋগ্বেদ

আরণ্যক রাখাল

মাতাল ঋত্বিক আমি, প্রেমকথা আমার ঋগ্বেদ

আরণ্যক রাখাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প- খেলা শেষ

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৫৫

৮ই মার্চ, ২০১৫
এক বুক হাহাকার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে চারিদিক দেখি আমি। দেখে অর্থহীন মনে হয় সব- হাসি কান্না, হেলা খেলা, চীৎকার কোলাহল, আনন্দ বেদনা আর বেঁচে থাকা। যদিও এই সুষম সময়ে বৈরাগী কিংবা পাঙ্ক মনোভাবের কোন কারণ নেই। আকাশ ব্যাপি মেঘ। আছে বসন্তের বাতাসে জাম্বুরা ফুলের মিষ্টি মৃদু বাউল গন্ধ। কোকিলের হারিয়ে যাওয়া ডাক। সামনের কাঁঠাল গাছটায় টুনটুনি পরিবারের খুনসুটি । ভালবাসা যায় এমন জিএফ। সন্তোষজনক রেজাল্ট। চাওয়া মাত্রই পাওয়া। বাবামার হাঁসি আর বোনের হাসিমাখা মুখ।
ফাঁকা লাগে নিজেকে, ফাঁকা রাস্তা আর জনপদ। অকারণ শূন্যতার বৃষ্টিতে ভিজে অপূর্ণ মনে হয় সব- কোথাও যেন কিছু একটা নেই। থাকা দরকার ছিল কিছু আরো। নেই। নেই। কিছু একটা নেই।

***
এটুকু লিখে বসে থাকে দিগন্ত। আজ সারাদিনের কথা শব্দবন্দী করতে বসেছে ও। ল্যাপটপের স্কিন থেকে কড়া চোখ জ্বালাকরা আলোকরশ্মি বিরক্তির কারণ হয় যথেষ্ট। ব্রাইটনেস কমিয়ে দিয়ে লেখার জন্য প্রস্তুত হয় । জানে কিছুই লেখার নেই। কিছু না। আগের শতদিনের মতো অনাড়ম্বর ম্যাটম্যাটে সময় কেটেছে আজো। হাতরে ফিরেছে কি যেন, ব্যস্ত থাকতে চেয়েছে আনকাজে কিন্তু শূন্য হয়ে থাকা মস্তিষ্ক-হৃদয় আবার অপার একাকীত্বের বিভীষিকার ডুবিয়ে দিয়েছে ওকে।
খুব টেনে গভীর একটা শ্বাস নেয় দিগন্ত। শব্দ করে ছেড়ে দেয়।
মশা ভিনভিন শব্দ করছে। কয়েলের দুষিত প্রাণঘাতী ধোয়া অসহ্য লাগে বলে জ্বালায় নি।
ওদের পিনপিন শব্দ কাটিয়ে বাতাসের শো শো কানে আসে। জানালার পাশে অনেক বছর থেকে দাঁড়িয়ে থাকা বৃদ্ধ মেহেগুনি গাছটার পাতা ঝড়ে পড়ার শব্দ সম্মোহিত করে রাখে খানিকক্ষণ। জোরে বাতাস দিচ্ছে। “আমি দখল করেছি গদি, আমার রাজ্যে অচেতনে পরে আছো, বসবাস করছ তোমরা”- বসন্তপুত্র মাঝবয়সী ফাল্গুনের ভাবটা এমন। নিজেকে জানান দেয়ার কোন সুযোগ ছাড়তে নারাজ সে।

***
সারাদিন কিছু করার ছিল না। সকালে ঘুম থেকে উঠতে উঠতেই ১০ টা বেজে গেল। মা বাড়ি নেই। মামা বাড়ি গেছে কয়েকদিন হোল। হাবলুচা’র দোকানে চা খেয়ে এসে রাস্তায় দাঁড়ালাম।
কেবল সাড়ে ১০ টা বাজে অথচ কি ফাঁকা রাস্তা! মনে হচ্ছে আমি যেন শত বছর পিছিয়ে গেছি আজ থেকে- যখন এই ব্যস্ত শহর এখানে ওখানের ঝোপঝারে ঢাকা ছিল, পাকা এই সড়কে দাঁড়িয়ে ছিল শতবর্ষী চাকগুয়া কিংবা চালতা গাছ। যখন শোনা যেত দিনদুপুরেই খেঁকশিয়ালের খ্যাঁকখ্যাঁক কাশির মতো ডাক।
মেডিকেল মোর থেকে ইসলামিয়া কলেজ মোর পর্যন্ত কোন গাড়ি নেই। মানুষ নেই। শুধু বাতাস। ঝড়ে পরা পাতার শব্দ। মাঝে মাঝে টুনটুনির টুঁই টুঁই। আর লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়া ত্রয়ীর গালের মতো শিমূল।
যদিও ১০ টা বাজে কেবল আর নাগরিক বসন্তের সুগন্ধি বাতাসে বৈরাগী হওয়া যায় না কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটেছিল। আমি ভেসে বেড়াচ্ছিলাম। যদিও অপূর্ণতা অকারণেই বুকের হাড় কাঁপিয়ে দিচ্ছিল। খালি খালি লাগছিল সব- নিজেকে, বসন্তকে আর সবকে।

***
ফোনটা বেজে ওঠে। থেমে যায় কিবোর্ডে হাত দিগন্তের। ত্রয়ীর ফোন। কিছুক্ষণ স্কিনের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে ও।
-এখনো জেগে আছো!
-হ্যাঁ
-কি করো?
-কিছুনা এমনিতেই। তুমি কি করছ?
-ঘুমাব।
-আচ্ছা, ঘুমাও। পরে কথা হবে। গুড নাইট
-আচ্ছা

***
ত্রয়ীর সাথে কথা বললাম এখুনি। কেন বললাম, কি বললাম- বুঝতে পারছি না।
স্কিনে ওর নাম দেখে আমার একটুও চাঞ্চল্য হয়নি। ঢিপ করে ওঠেনি বুক। অথচ একসময় আমরা কতো আবেগি ছিলাম। ওর একটা এসএমএসের জন্য কতো রাত পর্যন্ত জেগে থাকতাম!
এখন আমরা ঝিমিয়ে পড়েছি- দুজনই। আমি। ত্রয়ী।
ঝিমিয়ে পরাই জীবন বোধহয়। পুরাতন হয়ে গেছি আমরা। অভ্যস্ত হয়ে গেছি। কেনা জানে অভ্যেসকে ভালোবাসা যায় না!
যখন আমরা নতুন ছিলাম তখন বসন্ত ছিল। এখন মাঝবসন্তেও হাওয়া নেই। গান নেই। কুহু নেই।
একটা গান কয়েকদিন থেকে খুব শুনছি। মনে হচ্ছে যেন গানের কথা আর সুরে আমার ছবি ভেসে উঠেছে। প্রতিটি শব্দ আমার কথা ভেবে গাঁথা। আমার হৃদয়ের উত্থান পতন ধরা পড়েছে তালে লয়ে মাত্রায়-
“ঢেউ নেই, স্রোত নেই, গতি নেই
থেমে গেলে ক্ষতি নেই, কণ্ঠে আকুতি নেই-
আগুনের তাপে রোদ পোড়ে পিঠ
ঠোঁটে হাঁসি টেনে যেই- তুমি ঘুরে তাকাতেই!
হাতে রাখা আছে পুরনো কবিতা
ছবিটা সরালেই খেলা শেষ!”
খেলা শেষ! খেলা শেষ!

***
স্কিনে তাকিয়ে থাকে দিগন্ত। বিশ্বাস করতে পারেনা নিজের আঙুলকে। “এগুলো কি আমি লিখেছি!”।
“না। আমার লেখা কেউ পড়ছে না। পড়বে না। নিজের প্রতি সৎ থাকতে না পারলে- বাকি সবার প্রতি পারবো কি কর?”
জানালা দিয়ে বাইরে তাকায় দিগন্ত। সারাদিনের ঘটনা মনে করার চেষ্টা করে। মনে পরে না অনেক কিছুই। অবাক হয়ে যায় আগের অনেকবারের মতো। নিজের করা কাজ, নিজের দ্বারা ঘটিত ঘটনা মনে পড়ছে না- অথচ কেউ সামান্য আঘাত দিলে, সামান্য ট্যাঁরা কথা বললেই অহেতুক মনের চিলেকোঠায় জায়গা করে নেয় সেটা অনায়েসে! আজব আমরা! আজব আমাদের মন। আমার মন। সবার মন।

***
আজকাল অনু’কে ভালো লাগছে। মাঝে মাঝে কথা হয়। মাঝে মাঝে। আজ হোল। সব অকিঞ্চিৎকর কথা। কিন্তু আমার ভালো লাগে ওর সাথে কথা বলতে।
তখন বিকেল। কলেজ মাঠে যাচ্ছিলাম। বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেটে দাঁড়িয়ে। কারো জন্য অপেক্ষা করছে বোধহয়। কথা হোল- একে যদি কথা বলা হয় তবে অবশ্য ‘কথা’ শব্দটার অর্থ সংকুচিত হয়ে যায়!
-কি ব্যাপার, রাস্তায় দাঁড়িয়ে যে
-কেন আমি রাস্তায় আসতে পারি না?
-পারবে না কেন, তবে আসো না তো!
-আপনি লক্ষ করেন?
-লক্ষ করি না বলা যাবে না, আবার করি সেটাও না!
-বুঝি নাই
-কি দরকার বোঝার
- কোথায় যাচ্ছেন?
-কলেজ মাঠ
-আমি যাই?
-অবশ্যই। আসো।
যদিও বলছে আমার সাথে যাবে কিন্তু গেট থেকে নড়ার নামগন্ধ নেই। আমি জানি, জানতাম যাবে না। তবু কেন যেন মনে হোল ও যাবে! কেন যাবে না!
-না, আজকে না- পরে যাব।
-আইচ্চা। পরে যাইও।
আমি জানি না ঠিক করছি না ভুল। ত্রয়ীকে কি ধোঁকা দেয়া হচ্ছে না?
আমাদের শেষ করে দেয়া উচিত। আমার আর ত্রয়ীর। যেখানে অনুভূতি নেই সেখানে অভ্যস্তভাবে থাকার কোন মানেই হয় না। আমরা জানি- আমরা আলাদা হয়ে গেছি। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছি পরস্পর থেকে।

***
কঠিন হয়ে আসে দিগন্তের মুখ। নিজের সাথে নিজের এই কথোপকথনে ক্লান্ত ও। আবার নিজের এই সাহসিকতায় ভীতও সামান্য!
একটা বিড়ি ধরানো উচিত। প্যাকেটটা খোলা ছিল। নিশ্চয়ই ড্যাম হয়ে গেছে। ধরিয়ে ফেলে একটা। তেতো লাগছে, সেই ঝাঁঝটাও যেন নেই। “JOHN PLAYER” লেখাটার দিকে তাকিয়ে থাকে ও। হালকা রঙে লেখা। মায়ানমারের বিড়ি- সেই জন্যেই ঝাঁঝ নেই।
অসহ্য লাগছে দিগন্তের ধোয়াকে- ভিতরে না ঢুকিয়ে মুখে রেখে রিং বানিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে- বাতাসের কারণে রিং হচ্ছে না। সামান্য গোল হয়েই ভেঙে যাচ্ছে, মিশে যাচ্ছে অন্ধকারে।

***
রিং হচ্ছে না। ভেঙে যাচ্ছে। আমাদের সম্পর্কগুলোও এই বিড়ির রিঙের মতো। সামান্য বাতাস হলেই ভেঙে যায়- যখন বাতাস থাকে না তখন সুন্দর আকৃতি ধারন করে আমাদের আনন্দ দেয়।
আনন্দ দেয়? সম্পর্ক আনন্দ দেয়?
আনন্দ দেয় কিনা জানিনা- তবে সামান্য বাতাসেই যে ওরা ভেঙে গিয়ে অন্ধকারে মিশে যায় বুঝতে পারছি।

***
হেসে উঠে দিগন্ত। ‘শালার আমি কি দার্শনিক হয়ে গেলাম নাকি! কতো ভারি ভারি কথা বলছি’।
বাতাস কমে গেছে।রাতের গন্ধ আসছে। ঝরা পাতার গন্ধ। ভ্যাঁপসা মাটিগন্ধী গন্ধ। বিড়িটা ফেলে দেয় দিগন্ত।

***
কলেজ মাঠে গিয়ে ধাক্কা খেলাম। এতোটা ধাক্কা অনেকদিন খাইনি। অনেকদিন খাইনি? প্রায়ই তো খাই!
আজকের অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ নিয়ে কথা হচ্ছিল। আমি জন্মের পর থেকেই অস্ট্রেলিয়ার সাপোর্টার। খেলা বোঝার আগ থেকেই উদয় ভাই এমনভাবে ওজিভূত মাথায় চাপিয়ে দিয়েছে যে সেটা এখনো যায়নি। যখন খেলা বুঝতে শুরু করলাম তখন থেকে অবশ্য জানি ওজিরাই পৃথিবী সেরা দল- ওরা আসলেই সেরা। আমিতো অ্যাডাম গিলক্রিস্টের সেই পাঙ্খা ফ্যান!
“সাঙ্গাকারা না থাকলে শ্রীলঙ্কার শ্রীই থাকে না” সাকিব বলে।
ওর কথার ধরনে সবাই হেসে ওঠে। হাঁসি আমিও।
“শালার ম্যাক্সওয়েল যা মারল না, ব্যাটা মানুষ না অন্যকোন”
“ক্রিসগেইল তো ওর কাছে শিশু রে!”
“আরে ক্লার্ক আর স্মিথ যদি শুরুটা ভালো না করতো তাইলে তো আজকেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষের ম্যাচটার মতো হইত। দেড়শ রানেই অলআউট”
“ওয়ারনার কোন কামেরই না। কি দরকার ছিল মালিঙ্গার স্লো বলটা ভাসাই দেয়ার”
“আরে মারার ধান্দায় ছিল। মালেঙ্গা যে স্লো বল দিবে হটাত সেটা অয় ভাবেও নাই”
“খেলা তো খেলছে সাঙ্গা। শালা মাল একটা। পরপর তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি তাও আবার বিশ্বকাপে”
কথা হয় এরকম আমাদের মধ্যে। নিখিল, আমি, শিশির, সাকিব, কৌশিক, সুজন। আমরা বসে গল্প করি। আযান দেয় মাগরিবের। শিশির নামাজ পড়তে যায়।
কৌশিক বলে ওকে, “ব্যাটা নামাজ শুরু করছে দেক না। কয়দিন ধরে রাখতে পারিস দেখবো?”
শিশির জবাব দেয়- “দেখিস রে ব্যাটা”
আমরা প্রসঙ্গ থেকে প্রসঙ্গে ধুরে বেরাই। কোন বিষয়েই স্থির থাকি না আমরা। হেঁটে বেড়াই, রাজত্ব করি রাজনীতি থেকে খেলা, সাহিত্য থেকে সালমান খান।
অন্ধকার হয়ে আসে চারপাশ। আমরা চুপ করে থাকি। জানি আমাদের কথা শেষ। এরপর যাই বলা হোক না কেন তা হবে পুনরাবৃতি। আমাদের সব কথা বলা হয়ে গেছে।

***
নিখিলের সাথে ঘুরতে গিয়েছিলাম। এটা আমাদের ওই জায়গায় দ্বিতীয় ভ্রমণ। সেবারও আমার সঙ্গি ছিল নিখিল।কিংবা নিখিলের সঙ্গি আমি। যাত্রাপথে আমরা কথা বলতে থাকি। অনেক কথা। রাস্তার ধারে কোন অদ্ভুত গাছ দেখলে বলি, “দেখছিস গাছটা কেমন। একেবারে বাঁকা হয়ে আবার সোজা হয়ে গেছে।” কিংবা নদী দেখলে বলি কিংবা বলে, “নদীটা এতো আঁকাবাঁকা যে এক কিলোমিটারে অন্তত ৪০ বার পাক খাইছে।”
কথা বলি আমরা। আমি আর নিখিল। নিখিল আর আমি।
একসময় ও বলে, “সেই দিনও আমরা এই কথাগুলাই বলছিলাম, না?”
“হুম”
“একজনের সাথে আসলে এইরকমই হয়। এক কথা বারবার বলা হয়ে যায়”
সায় দেই আমি। আসলেই আগেরবারও আমরা এধরনের কথাই বলেছিলাম। হয়তো ধরন অন্য ছিল। কিন্তু এক কথা। এক অর্থ।
চুপ করে যাই দুইজনই। আমাদের কথা শেষ হয়। নিঃশব্দে এগিয়ে যাই আমরা।

আমরা চুপ করে থাকি। নিখিল, আমি, কৌশিক, সাকিব, আমিনুল, সজীব, সুজন।
অন্ধকারে নিস্তব্ধ মাঠে কারা যেন হেঁটে যায়। আমি ওদের দিকে দেখি। চেনার চেষ্টা করি। আমি জানি বাকি সবাই ওদের দেখছে, চেনার চেষ্টা করছে।
কাছাকাছি এলে চিনতে পারি আমি। আমরা।
চন্দন।
কেউ একজন ডাকে চন্দনকে আমাদের মধ্যে। চন্দন ওর সাথে থাকা ছেলেটার সাথে এতোই মশগুল যে আমাদের ডাক ওর কানে পৌঁছায় না। আমাদের পেরিয়ে হাঁটতে থাকে ওরা।
-“এই শালা মালায়ুন- শুনিস না ক্যান।”
খেলা শেষ!
ঘুরে তাকায় চন্দন।
-“কিরে শালা এতক্ষণ থেকে ডাকতেছি- শুনছিস না ক্যান”
হেসে এগিয়ে আশে চন্দন। “তোমরা এখানে রে। দেখিই নাই”
হটাত চুপ হয়ে যায় সবাই। শুধু চন্দন বলে যায়- “ভাই, বাজার যাওয়া লাগবে। থাক”
ও চলে যায়। আমরা বসে থাকি। নিখিল আমার দিকে তাকায়। কৌশিক তাকায়। সবাই আমার উপস্থিতিতে অস্বস্তি বোধ করে- আমি বুঝতে পারি।
আমি বলি, “আরে শিশিরের নামাজ এখনো শেষ হয়না?”

***
থেমে যায় দিগন্ত। দিগন্ত দেব। শ্রী দিগন্ত দেব।
বাতাসে মাটির গন্ধ। জমে থাকা পাতার গন্ধ। জানালার পাশের মেহেগুনি গাছ থেকে হলুদ পাতা ঝরে পরে।

৮ মার্চ থেকে ৯ মার্চ ২০১৫

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: খেলা শেষে শেষবেলার ধূসরতা। ভালো লাগলো লেখাটি।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ভালো লাগা আরণ্যক।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন:

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


গল্প কি শুরু হলো?

২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: শেষ।অারেকটু মনোযোগ দিলে বুঝতেন

৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:০৮

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভালো থাকবেন

৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৪৭

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: লেখক বলেছেনঃ

নীরবতার কারণ কি? :।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:১৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: োনের সমস্যা! অনেক সখ করে মাইক্রোসফট কিনলাম- কিনে বেকুব বনে গেলাম। শালার কিছুই ইন্সটল নেয় না। তাই বাধ্য হয়ে নীরব থাকতে হয়েছে। এখন অবশ্য ল্যাপু দিয়ে চালাচ্ছি- ফোনটা দিয়ে ঠিকমতো মন্তব্যও করতে পারছি না- ফোনেটিক কিবোর্ডটা খুব জটিল

৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:০৩

শায়মা বলেছেন: ত্রয়ীর সাথে কথা বললাম এখুনি। কেন বললাম, কি বললাম- বুঝতে পারছি না।
স্কিনে ওর নাম দেখে আমার একটুও চাঞ্চল্য হয়নি। ঢিপ করে ওঠেনি বুক। অথচ একসময় আমরা কতো আবেগি ছিলাম। ওর একটা এসএমএসের জন্য কতো রাত পর্যন্ত জেগে থাকতাম!



এমনই হয় ভাইয়ু!!!!!!!

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:১৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হুম এমনি হয

৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:২০

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন:
ভালোই লাগছিলো। এই প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের কথোপকথন, গল্প অনেক আগ্রহ নিয়ে পড়ি। আমি আপনার জাস্ট একটূ আগের প্রজন্মের। কিন্তু চিন্তা ভাবনার স্টাইলে কিন্তু অনেক পার্থক্য আছে।

মেহেগুনি বলে মনে হয় কোন গাছ নেই। মেহগনি হবে মনে হয়। শুনতে অদ্ভুত লাগতেছিলো শেষে এসে।

শুভকামনা রইলো।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:১১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। কি জানি কি লিখেছি।
মেহেগনি, মেহেগনি, মেহেগনি।
আর ভুল. হবে না।

৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৩৬

জেন রসি বলেছেন: আপনার গল্পে অনুভূতির তীব্রতা থাকে।

মাঝেমাঝে আবেগগুলো কড়া হয়ে যায়।

কড়া অনুভূতির তীব্র গল্প ভালো লেগেছে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:১৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: জানিনা আবেগগুলো কড়া কিনা কিন্তু চলে. আসে লেখায়।
ধন্যবাদ পাঠ আর মন্তব্যের জন্য

৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪

তুষার কাব্য বলেছেন: আবেগের তীব্রতা পুরো গল্পে। ভালো লাগা।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:১৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আবেগাক্রান্ত কিছু লিখতে চাইনি,হয়ে গেছে।
অনেক ধন্যবাদ

১০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১১

ফরহাদ বিন হাফিজ পরাগ বলেছেন: কৈশোরের প্রথম প্রেমের তীব্র ঝাঁঝ পাওয়া যায় গল্পে । ক্রমে ক্রমে পরিণত হওয়ার ব্যাপারও এসেছে ঝিমিয়ে পরাই জীবন বোধহয়। পুরাতন হয়ে গেছি আমরা। অভ্যস্ত হয়ে গেছি। কেনা জানে অভ্যেসকে ভালোবাসা যায় না! --- বলার মাধ্যমে ।

যাই হোক,ক্রিকেট এর পার্টটা কেমন বেমানান লেগেছে পুরো গল্পের সাথে ।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৩৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হয়তো আবেগের তীব্রতা বেশিই ছিল যখন লিখছিলাম।
আর ক্রিকেট নিয়ে যে কেন লিখলাম বুঝতে পারছি না এখন

১১| ০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৩৬

নীলপরি বলেছেন: ভালো লাগলো পড়তে ।

০৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৩২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য

১২| ০৭ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: লেখার ধরণটা ভাল লাগল। মেটা গল্প বলা চলে!

শুভেচ্ছা রইল।

১০ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

১৩| ১৩ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:৩৬

জুন বলেছেন: মেহগনি, চালতা গাছ ,খেঁকশিয়াল কই আজ তারা ? আমি বড্ড প্রকৃতি ভালোবাসি । অনেকগুলো হাবিজাবি গাছ এনে বারান্দা ভরে রেখেছি । খুব ভালোলাগে যখন চড়ুই আর বুলবুলিরা সেখানে বসে কিচির মিচির করে আর কি যেন ঠুকরে খায়।
আপনার লেখাটি অনেক ভালোলাগলো । সম্পর্কের টানাপোড়েনের কথা লিখেছেন এটা অত্যন্ত বাস্তব।
+


মায়ানমারের বিড়ি- সেই জন্যেই ঝাঁঝ নেই। আমরা খুব সম্প্রতি মায়ান্মার ঘুরে আসলাম । আমাদের একটা ট্যুর প্রোগ্রামে বিড়ি কারখানায় নিয়ে গেল । পারিবারিক কারখানা যাকে বলে । আমার স্বামীও মেয়েগুলোর অফার করা বিড়ি খেল। আমি জিজ্ঞেস করলাম কিনেছো নাকি এক বান্ডিল ? বল্লো এগুলো তো তামাক পাতা দিয়ে বানানো না তাই কোন ঝাঝ নেই, ' /:)

১৪ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৪২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক।
জানিনা মায়ানমারের সিগারেটে তামাক থাকে কিনা কিন্তু সবাই সিগারেটে ঝাজ বা থাকলেই বলে মায়ানমারের সিগারেট।
আপনার ভ্রমণব্লগ গুলো পড়েই বুঝতে পারছি আপনি মায়ানমারে গিয়েছিলেন। হ্যাপি ঘুরিং!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.