নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাতাল ঋত্বিক আমি, প্রেমকথা আমার ঋগ্বেদ

আরণ্যক রাখাল

মাতাল ঋত্বিক আমি, প্রেমকথা আমার ঋগ্বেদ

আরণ্যক রাখাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প- প্রত্যাবর্তন

১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৫৮


বেড়িয়ে যাওয়ার কোন দরকার ছিল না, ভেতরে থাকারও কোন মানে ছিল না।
আমি এই অভ্যস্ত বাতি, ঘরদোর, বই, টিভি, ইন্টারনেট, দম বন্ধ করা মানুষদের কাছ থেকে দূরে যেতে চেয়েছিলাম, মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে চেয়েছিলাম, বায়ুথলীকে পূর্ণ করতে চেয়েছিলাম মেঘলা শীতের এই দুপুরে টলটল করে হেঁটে চলা শিশুটার হাসিতে, সজনে ফুলের সাদা নির্মলতায় ধুয়ে ফেলতে চেয়েছিলাম নাগরিক জীবনের যত বিস্বাদ; প্রেম-কাম-রাজনীতি-গনতন্ত্র-স্বৈরাচার থেকে দূরে গিয়ে অবগাহন করতে চেয়েছিলাম নীল পুকুরের জলে, সাঁৎরাতে চেয়েছিলাম পাতিহাঁসদের সাথে তাদের জীবন আপন জীবন মেনে। আমি শিমুল, চালতা, জাম, মেহেগুনি, কদম, সজনে, কাশ আর হিজলের শরত-হেমন্ত ও বসন্তে দোয়েলের মতো উড়তে চেয়েছিলাম। এই বাস, ট্রাক, কারখানা, দল, নির্দল, রাজাকার, সংবাদ, সংবাদপত্র, নাম, দুর্নামকে পিছনে ফেলে হারিয়ে যেতে চেয়েছিলাম।
আমি এরমাঝে মরে যাচ্ছিলাম না।
নিয়মিত যোগ দিচ্ছিলাম রাজনৈতিক আলোচনায়, সকাল সন্ধ্যা সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় পড়ে উগ্রে দিচ্ছিলাম দেশপ্রেম, ঈর্ষান্বিত হচ্ছিলাম দুজন যুবক যুবতীকে হাত ধরে হেঁটে যেতে দেখে, চেতনার বাতুল প্রদীপ জ্বালিয়ে মৌলবাদ আর ধর্মনিরপেক্ষতার চুল চেরা বিচার করছিলাম, ব্লগ-ফেবুতে লিখছিলাম মাতালের মতো ঝরঝর সংলাপ কাল্পনিক, টেলিভিশনে উপস্থাপিকার নাভির দিকে তাকিয়ে বাঁধ ভেঙ্গে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিল পুরুষাঙ্গ, কবিতার চারুলতা কিংবা বনলতাকে ভেবে ফেলছিলাম দীর্ঘশ্বাস, প্রতিদিন নিয়ম মেনে ফ্যাট বর্জিত খাদ্যে পেট বোঝাই করে উগরে দিচ্ছিলাম টয়লেটে, নিষ্ফল জেনেও ক্রোধে হাত পাকিয়ে রাখছিলাম সরকারি কিংবা বিরোধীদলের কোন পশুত্বে, নারীবাদের দীক্ষিত হয়ে কাজের মেয়েটাকে করুণার, মাঝে মাঝে কামের চোখে দেখছিলাম, গভীর রাতে নিষ্পেষিত যৌনতাকে তাতাতে চটি পড়ে বের করে দিচ্ছিলাম শান্তি-শক্তি-পৌরুষ, এরপর অশক্ত ঢলেপরা লিঙ্গের মতো বিছানায় গা ভাসিয়ে দিচ্ছিলাম।

আমি মরে যাচ্ছিলাম না এভাবে। তাইতো আগেই বলে রেখেছি বাইরে যাওয়ার কোন দরকার ছিল না।
মরে না যাওয়াটাই বেঁচে থাকা নয় জেনেই বেড়িয়ে পরেছিলাম সুপারি, জাম আর বট গাছের খোঁজে, চোখজ্বালাকরা ইলেকট্রিক বাতির ছায়া থেকে গোধূলির সোনালি অন্ধকার আর নির্মলতার মাঝে। মরে না যাওয়াই শ্রেষ্ঠ কাজ নয় বুঝেই মানিক ছেড়ে দিয়েছিলাম, বিভূতির পথের পাঁচালি গাইতে গাইতে আরণ্যক হতে চেয়েছিলাম। শামসুর রাহমানের কবিতার রাজপথ পাশ কাটিয়ে রবীন্দ্রনাথের “আসা যাওয়ার পথের ধারে” দিন কাটাবার সাধ করেছিলাম। “সাতটি তারার তিমির” পুড়িয়ে ফেলে আশ্রয় নিতে চেয়েছিলাম “রূপসী বাংলার” কোন নদী ঘাসে।

মেঘলা শীতের দুপুর বসন্তে চলে গেছে, দুই দিন জলবায়ুর বিশ্বাসঘাতকতায় ঝিরিঝিরি বৃষ্টির পর শীত কুয়াশাকে রেখে চলে গেছে কোন অজানায়।শীত বসন্তে চলে গেছে আজ। মেহেগুনির বাতিল পাতাগুলো ঝরে পরার সময় পায়নি তাই নতুন প্রজন্ম উঁকি দিচ্ছে না। এলোমেলো বাতাস মনে করিয়ে দিচ্ছে কোন্‌ ফাল্গুনের রচিত কোন কবিতা। পথের দুপাশের আবর্জনায় গজিয়ে ওঠা ধুতুরাটা মুমূর্ষু হয়ে অপেক্ষা করছে আরেক ফাল্গুনের।আমি এই নাগরিকতার বিস্বাদ আলো কিংবা অন্ধকার থেকে বের হয়ে যেতে থাকি।
বিপরীত দিক থেকে আসছে একটা বিজয় মিছিল- পেছনে বাদ্য বাজাতে বাজাতে। নাচছে দলের পাতি থেকে প্রধান কর্মী। “বুকের ভেতর তোর নাম লিকেছি, রেকেচি বাসন্তী খামে পুইরারে, ভালো করিয়া বাজাওরে দোতারা” বাজাতে থাকে বাদ্যযন্ত্রীরা।পালিয়ে যেতে জোড়ে জোড়ে পা চালাই আমি। সামনে আমার গতিরোধ করে সমাবেশ একটা। নেতা আঙ্গুলের নাচনে আসর গরম করে রাখেছেন, কেপেকেপে স্লোগান দিতে থাকে উপস্থিত জনতা। এবার নেতার মুখ দেখেই আমার বমি করতে ইচ্ছে করে, কান চিপে ধরি আমি যেন কোন শব্দ প্রবেশ করতে না পারে, ছুটতে ছুটতে চলে আসি একটা কিন্টারগার্ডেনের সামনে।
শত শত নিষ্পাপের মুখ দেখে ভুলে যাই কিছুক্ষণ আগে শোনা কুত্তাটার চীৎকার। ব্লাকবোর্ডের দিকে তাকালেই বুক জমে যায় ওদের কান্নায়, গেটের বাইরে লাইন করে বসে থাকা মূর্খ কিছু অভিভাবক দেখতে পাই। এদের হাঁসি শুনতে পেয়ে শয়তানের কথা মনে মনে পড়ে আমার। একটা নবজাতককে কোলে বসে আছে একজন সচেতন অভিভাবক। বাচ্চাটাকে বলতে ইচ্ছে করে, “যার কোলে অচেতনে ঘুমিয়ে আছো, বাছা কিছুদিন পর এই তোমায় ধরিয়ে দেবে আত্মহত্যার ট্যাবলেট, যে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে ওখানেই বেঁছে বেঁছে মুগুর ভাজবে, গোটাল গোটাল গাইড আর প্রাইভেট টিউটর গিলিয়ে খাওয়াবে তোমায়”।
এসব ভাবতে চাইনা আমি, আমার চন্দনা চাই, ময়না চাই; শালিক খুজি। এদের সাথে কোন সম্পর্ক নেই আমার।এরা মরুক- বাঁচুক, সভ্যতার চরম শিখরে উঠুক কিংবা পিছিয়ে গিয়ে কয়েকশো বছর মৌলবাদের খাদ্যে পরিণত হোক বা জন্ম দিক শত শত নিষ্প্রাণ শিশু, বিকৃত করে দিক সুন্দর গুলগুলে সম্ভবনাময় মেধাবী ছেলেটার মাথা!, আমার কিচ্ছুটি যায় আসে না।এদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।সবাই আমাকে স্কেপিস্ট ভাববে? ভাবুক।
পালিয়ে আসি,পা আটকে যেতে থাকে পিচে, পাথর ঢুকে চায় জুতোর সোল ভেদ করে পায়ের পাতায়, হাঁপাতে থাকি আমি। থামিনা তবুও থামিনা। একছুটে স্কুলের সীমানা পেরিয়ে কারুকার্যময় মসজিদের পাশে! , সেখানে উদ্ধত তলোয়ার আর টুপির ভেতর হাজার হাজার নিউরনিয় শয়তান দেখে ভয়ে ছুটতে থাকি, শত শত মৌলবি আর ইঞ্জিনিয়ার-ডাক্তার- শিক্ষক- অধ্যাপক- চামার-চণ্ডাল- ভালো ছাত্র- গবেট- মোল্লা ধাওয়া করে আমাকে।আমি প্রাণ ভয়ে দৌড়াতে থাকি। পেরিয়ে যেতে থাকি দোকান- পাশার, ক্লাব, রেস্তরা, তাসের আড্ডা , সরকার, সংসদ, গণতন্ত্র।পিছনে পরে থকে শহীদ মিনার, সিনেমা হল, বেশ্যাপাড়া, রাজনৈতিক কার্যালয়, হোটেল, রেস্টহাউস, কলেজ, ডাকবাংলো, পোস্ট অফিস, ব্যাংক। আমি ছুটতে থাকি, ছুটে যেতে থাকি।


ছুটতে ছুটতে শত শত মাইল পেরিয়ে যেতে থাকি আমি। রাস্তাটা কখনো নদী কখনো পাহাড়ের রূপ নেয়। মেঘলা শীত দুপুর বদলে যায় গ্রীষ্মে, ঘাম ঝরতে থাকে অবিরাম পাহাড় ফেটে বেরুনো কোন ঝর্ণার মতো। হঠাত মেঘ নেমে আসে, অন্ধকার নামে, ঢেকে যায় মধ্যগগণে থাকা নির্দয় সূর্যটা, আগুন জল হয়ে নেমে আসে। আমার পথ কর্দমাক্ত হয়ে যায়, পা পিছলিয়ে যেতে চায়। বিদ্যুতে পুড়িয়ে মারতে চায় আমাকে, মেঘরাজ মুক্তি চাওয়ার অপরাধে, থেমে থেমে গর্জন করে থেমে যেতে বলে।
আমি থামাই না পথচলা কোন মেঘের শাসানিতে, কোন মূর্খ সূর্যের চোখের আগুনে জ্বালিয়ে দিতে পারেনা আমার দৃষ্টি, পিছল পথ রোধ করতে পারেনা আমাকে গন্তব্য থেকে। আমি চলতে থাকি।
শীত পেরিয়ে বসন্ত আসে-আমি বসন্ত উপভোগ না করে দৌড়াতে থাকি দোয়েল, শ্যামা আর শালিকের জন্য। গ্রীষ্মবর্ষা ঘাম হয়ে বেড়িয়ে যায়।
আমি গন্তব্যে আবির্ভূত হই শরতের এক হলুদ বিকেলে।

বিকেলের গাঢ় রোদ বাঁকা হয়ে পরে ডোবায় পুতে রাখা কঞ্চিতে ধ্যান করতে থাকা মাছরাঙ্গার সবুজ পালকে, ঝুপ করে নেমে পুঁটি নাকি দারিকা একটা ঠোঁটে গুজে ফুড়ুৎ করে অন্য কোন বিল, ঝিল বা পুকুরের দিকে পালিয়ে যায়। বাতাসে দাগ থেকে যায় মাছরাঙ্গাটার উড়ে যাওয়ার পথের।লাফিয়ে নিজের অস্তিত্ব জানান দিয়ে আবার হারিয়ে যায় তেলাপিয়াটা, বেজি একটা জলের ধারে এসে কি মনে করে আর পানিতে নামে না। ঢোঁড়া সাপ একটা একেবেকে দাগ কেটে এপার থেকে ওপারে যায়। বিকেলের গাঢ় রোদ গাঢ়তর হয়ে পরে ডোবায় পুতে রাখা কঞ্চিতে। জলের উপরে যেখানে রোদ পরে সেখানে চিকচিক করে সোনালি হয়ে যাওয়া সাদা ধুলি। মিইয়ে আসে সূর্যদেবের তেজ, আমি বাড়ির পথ ধরি।
পথের দুধারে ভাট গাছে সাদা সাদা ফুল এসেছে। ধুলপির গাছে পা উঁচু করে প্রছাব করে হেলতে দুলতে এগিয়ে যায় কুকুরটা। পথ শেষ হয়।
এবার নদীর ধার দিয়ে যেতে হবে খানিকক্ষণ। শরতের শেষ যৌবনের মতো নদী দুই ধারে সাজিয়ে রেখেছে কাশ ফুলে ফুলে। বালুর চরায় পানকৌড়ি একটা বসে থাকে। গরুগুলো তারিয়ে নিয়ে ফেরে বালক এক। কাল কুটকুটে দেহে লুঙ্গিটা কাছা করে পরেছে, -“হাট হাট” –গরুগুলো চেনা পথে নিজেদের গতি বাড়ায়। একটা ছাগল কোলে করে নিয়ে যায় আট’ন বছরের এক মেয়ে, ছাগিটার সাথে নাকি নিজে নিজে কথা বলে সে- বোঝা যায় না।আমি নদীর পথ ধরে বাড়ি ফিরে যাই শরতের গোধুলি বেলায়।
ওই তো খড়ের পুজ দেখা যায়, গাভীটা সারাদিন খেয়ে জাবর কাটে, বাছুরটা পাড়া বেড়াতে গেছে নিশ্চয়ই। বাড়িটাকে অন্ধকার করে আছে একথাক বাঁশে, শুকনো বাঁশপাতায় ভরে আছে উঠোনটা। বিকেলের গাঢ় রোদ নিভে গেলে, গোধূলির চঞ্চলতা থেমে এলে সীমাহীন নির্জনতা আর নির্ভার সময় নিয়ে সন্ধ্যা আসে ধীরে। গান্ডারি আর টুনটুনির আনন্দ কোলাহল এই নির্জনতার ভাগ কমিয়ে দেয় খানিক। আমি ঘরের দাওয়ায় বসে থাকি।

৫/০১/২০১৫ থেকে ৬/০১/২০১৫

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:

অনেক আশা, সুন্দরকে বরণ করে, শান্তির আস্বাদ নেয়ার অনেক আকাংখা।

সবই ঘটবে।

১১ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৫৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ঘটুক। ঘটুক। ঘটুক

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৫০

শায়মা বলেছেন: এত কঠিন কঠিন দুঃখ বেদনা ভালোলাগা ভালোবাসা ভাইয়া।

১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আপনার কঠিন লেগেছে নাকি শায়মাপু!
আহা কই যে লিখলাম, কই যে লিখলাম! মাঝে মাঝে নিজেই কনফিউজড হয়ে যাচ্ছি

৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০২

জেন রসি বলেছেন: প্রতিনিয়ত যা কিছু আমরা ভাঙতে চাই, আবার তার শৃঙ্খলেই আবর্তিত হই।

+++

১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৫১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হ্যাঁ। আমরা আবর্তিত হচ্ছে শৃঙ্খলে! সেই কারাগার থেকে বেড়িয়ে পড়ারই এক কাল্পনিক প্রচেষ্টা বলতে পারেন লেখাটিকে!

৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অসাধারণ!

১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ হামা ভাই

৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:২২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: খুবই সুন্দর শব্দচয়ন, বাক্যবিন্যাস। মুগ্ধ হলাম।

১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ প্রোফেসর, অনেক অনেক

৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার !!
প্রোফেসর শঙ্কু'র উপরে আর কোন কথা নাই :P

১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, পড়ার জন্য।
ভালো থাকবেন :)

৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:২৬

দীপংকর চন্দ বলেছেন: ভালো লাগলো ভাই। অনেক।

বর্ণনায় মুগ্ধতা!!

আমার শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।

ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক।

১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক কবি, আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হচ্ছি সর্বদা, আর বেড়ে যাচ্ছে ঋণ!

৮| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৩২

আহমেদ জী এস বলেছেন: আরণ্যক রাখাল ,



এভাবেই তো প্রত্যাবর্তন হয় জীবনের কাছে ।
শুধু কতোবার টেনে নিয়েছি বাতাস তা গুনে গুনে মেপে যেতে হয় জীবন । মূহুর্তগুলি কতোবার শ্বাসরূদ্ধ করে দিয়েছে মাপতে হয় তা দিয়েও ।

১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: "শুধু কতোবার টেনে নিয়েছি বাতাস তা গুনে গুনে মেপে যেতে হয় জীবন"
হ্যাঁ আহমেদ ভাই, এভাবেই ফিরতে হয়। কয়জন পারি? পারিনা তো?
আশা করি, "আমরা পারবো"।

৯| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: উচ্চমার্গের লেখনী, চমৎকার সব উপমা আর গল্পের মূলভাব সব মিলে সাহিত্যের বিচারে হয়ত খুব ভালো নম্বর পাবে আপনার এই গল্পটি। কিন্তু সাধারণ পাঠকের কাছে, বিশেষ করে আমার মত যারা, তাদের কাছে সুখপাঠ্য হয়ত মনে হবে না। বিশেষ করে অতিরিক্ত বিশেষণ এর ব্যবহার পুরো লেখা জুড়ে, সাধারণ পাঠকের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটায়, কেননা তারা এতো উপমাময় বাক্যসম্ভারের সাথে সুপরিচিত থাকে না সাধারণত।

সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অভিমত, তাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমার কাছে কিন্তু উপমাগুলো খুব আকর্ষণীয় মনে হয়েছে।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৫৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক ভাই। আসলেই, যখন এটা পোস্ট করতে চাচ্ছিলাম, তখন এটাই মনে হয়েছিলো। মনে হচ্ছিলো যে আমি ঠিক পাঠকের কাছে পৌঁছাতে পারবো না, সেটাই প্রমাণিত হোল।
বেশি বেশি বিশেষণ ব্যবহৃত হয়ে গেছে হয়তো। সংযত হতে হবে! আমার সংযম অনেক কম বোধহয়।
বোকা ভাই, আপনার সুন্দর মন্তব্য আমাকে ভালো লেখক হতে সাহায্য করবে, করছে।

১০| ১২ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:০০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমি ব্যাক্তিগত জীবনে শুধুমাত্র আর্টস তথা কলা বিভাগের বিষয় ছাড়া আর সব বিষয়েই ভাগ্যের ফেরে পড়ালেখা করেছি। কিন্তু তারপরও গল্প-উপন্যাস পড়াটা আমার আশৈশব ক্রেজ। তাই আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি সাহিত্যের মাপদণ্ডে খুব উচ্চমানের লেখা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছতে পারে নাই। অথচ, অনেক সাহিত্য বিশারদ যাদের মূল্য দিতে চান না, এমন লেখক কিন্তু গত কয়েক দশকে বাংলা সাহিত্য দখল করে রেখেছেন। যেমন, আমাদের হুমায়ূন আহমেদ স্যার। ওপারে দেখেন অনেককেই পাবেন। আশা করি আপনিও আমাদের অনেক অনেক ভালো ভালো গল্প উপহার দিবেন আগামী দিনগুলোতে। আমি সাহিত্য জ্ঞানহীন একজন সাধারণ পাঠক হিসেবে সাথে আছি, ভবিষ্যতেও পাবেন হয়ত।

লিখতে থাকুন মনখুলে, অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকুন সবসময়। :)

১২ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:১১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ওরে বাপরে! এটা নিঃসন্দেহে কোন উচ্চমানের লেখা নয়! মনের খেয়ালে লেখা। আমি এই লেখাটিতে গল্প ট্যাগ দিতে চাইনি। পড়ে ভাবলাম, দেই!
জানিনা, সাহিত্যসমালচকেরা কোন ধরনের রচনা পছন্দ করেন, কিন্তু আমারও হালকা চালের লেখাই বেশি পছন্দের।
হুমায়ুন আহমেদ এতো জনপ্রিয় যে, সমালোচকের ধার কেউ ধারেন না। আর সমালোচকেরা যদি সাহিত্য রচনা করতে পারতেন তবে তারা সমালোচক নন, সাহিত্যিক হতেন!
পাঠকের কাছে পৌঁছান যায় এমন গল্প লিখতে চেষ্টা করবো ভাই, অবশ্য যদি আমার ঝুলিতে থাকে।
আপনার বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। সত্যিই কথা বলতে- নিজের লেখার ভুলত্রুটি গুলো আপনারা দেখিয়ে দেন বলেই তো বিশ্বাস হয়, প্লাটফর্মহীনদের জন্য সাহিত্য করার সেরা জায়গা ব্লগ

১১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:৩৭

নীল লোহীত বলেছেন: অসাধারণ লেগেছে। তাই প্রথম প্রিয়তে নিয়ে নিলাম। শুভকামনা রেখে গেলাম লেখকের জন্য।

১৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: প্রিয়তে! ধন্যবাদ অনেক!
সুনীলের নিলুকে ব্লগে দেখে ভালো লাগছে!!!

১২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:২৫

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
বহিঃদর্শন চক্রে অন্তরমুখি আত্মকথন ৷ সময়কে হয়ত বাধাঁ যায় না তবে জীবনের দর্শনকে উপলব্দিতে স্পর্শ কখনো সম্ভব ৷ নিজেকে জানো আর মহাকালকে আত্মদহন করো ৷

শব্দ দৃশ্যায়ন প্রীত পাঠকচক্ষু ৷ শুভকামনা ৷

১৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আপনার মন্তব্যে আমি প্রীত জাহাঙ্গীর আলম।
অনেক শুভকামনা আপনার জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.