নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাতাল ঋত্বিক আমি, প্রেমকথা আমার ঋগ্বেদ

আরণ্যক রাখাল

মাতাল ঋত্বিক আমি, প্রেমকথা আমার ঋগ্বেদ

আরণ্যক রাখাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

রম্য- এসো আত্মহত্যা করি

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫২

ছি এতো নিচু মন নিয়ে চলো কী করে?”
সেটাই তো ভাবছি। সবাই যখন এতো উঁচু মনের অধিকারী, তখন, আমার এই নিচু মন নিয়ে বেঁচে থাকার কোন অধিকার নাই। নাহ! মোটেও নাই। আমি চারদিকে শুধু উঁচা উঁচা মনের অধিকারীদেরই শুধু দেখতে পাই। এরা নিজেদের উঁচা উঁচা মন নিয়ে এতোই উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন যে, তাদের দেখতে দূরবীক্ষণ লাগে মোটামুটি। এতো এতো মহামানবদের মধ্যে আমি এসে পড়লাম কীকরে? এখনও কেন ইঁদুরের বিষ খাইনি আমি? কেন? কেন? কেন?
“দোস্ত, মুগ্ধতা আমাকে নিচু মনের মানুষ কইছে?”
“মিথ্যা কয় নাই দোস্ত”। সোহেল হেলান দিয়ে আছে একটা কাঠের গুড়িতে, সে বলে।
সজীব সোহেলের কথায় লেজুড় লাগায়, “সেটা তো আমরা ছোট থেকেই জানি”
আমি বলি, “তোরা না হয় জানিস কিন্তু ও জানলো কীভাবে?”
“তোকে দেখলেই আমার কেমন চোর চোর লাগেরে, দোস্ত, মাইন্ডে নিস না, সাচ্চা কথা” সোহেল সামান্য ঝুঁকে বলে কথাটা, দ্রুত।
আমাকে ভাববার অবকাশ না দিয়েই বাবু বলে, “দোস্ত, আমার তোকে দেখলে মনে হয়, আমার হৃদপিণ্ডটা! আমার হার্ট! দোস্ত, তোকে আমার মতো কেউ ভালোবাসে না। আয় তুই আমার বুকে আয়”।
আমি বিড়িটাতে এয়সা একটা টান দিয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকি, গুড়িতে হেলান দিয়ে।


“খাইছো?”
“না, আমি এখুনি কলেজ থেকে আসলাম। কাপড়ও খুলিনি”
“আচ্ছা, কাপড় খুলে কথা বল”
“কী”
“না না, আমি বলছি, কাপড় খুলে, আবার নতুন কাপড় পড়ে তারপর, কথা বল। রাখলাম”


আমার এই যে নিচু মন, এটা নিয়ে আমি কী করবো সেটা ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। একবার ভাবলাম, বড় বড় মানুষের জীবনী পড়ে তাদের মতো হয়ে যাব। পরে আবার চিন্তা করলাম, এতো বিশাল বিশাল জীবনী আমার পক্ষে পড়া নামুঙ্কিনি নেহি অসম্ভব। অতএব, যারা আমাকে নিচু মনের বলেছে, তারা নিশ্চয়ই উঁচু মনের, ব্রড মাইন্ডেড, তাদের অনুসরণ, অনুকরণ করলেই হয়! বেশি ঝামেলা করার কি আছে?
এই সব ভাবতে ভাবতেই কখন ঘুমিয়ে পড়েছি, খেয়াল নেই। হটাত করেই ঘুমটা ভেঙে গেল, বাজের শব্দে বোধহয়। খুব বৃষ্টি হচ্ছে। থেকে থেকেই জানালা গলিয়ে বিদ্যুতের ফ্লাস অন্ধকারের বুক চিড়ে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে।
পাশের ঘর থেকে ঠক ঠক শব্দ আসছে একটা। চেয়ারে বসে আছে কেউ যেন, আর চেয়ারটার খুঁটি দিয়ে অবিরত শব্দ করে চলেছে। অথচ আমি জানি যে, ঐ ঘরে কেউ নেই, গত একবছর থেকে। আর আমার ঘরের ফ্যানটাই বা অফ করল কে? আমার খেয়াল আছে আমি লাইটটাও নেভাইনি। আমার কাছে ব্যাপারটা মোটেও ভাল ঠেকছে না।
পাশের ঘরের শব্দটা বেড়েই চলেছে, এখন। ঠকঠকঠকঠক। গন্ধও পাচ্ছি যেন একটা। পোড়া পোড়া গন্ধ। একবার মুরগি একটা পুড়িয়েছিলাম ছোটবেলায়। তাজা পোড়া মাংস পোড়ার গন্ধ যেন। শব্দের সাথে সাথে বুঝতে পারছি, গন্ধটা ঐ ঘর থেকেই আসছে। কাউকে ঐ ঘরে মেরে ফেলে রেখে যায়নি তো? মেসমালিকের শত্রুর অভাব নেই, তাকে ফাসাতেও কেউ এটা করতে পারে। কিন্তু ঠক ঠক শব্দটা কিসের। মনে হচ্ছে কেউ যেন আরাম করে পাইপ টানছে, চেয়ারে গা এলিয়ে।
ঠাস করে বিদ্যুত চমকালো এবার। ওটা কি? কী ওটা?
একটা অবয়ব আমি দেখতে পাই। ঠিক বোঝা যায় না কিসের। আবার আমার হৃদপিন্ডে ঝড় তুলে বিদ্যুতের ঝলকানি খেলা করে আমার রুমে। আমি স্থির, স্থবির হয়ে যাই। আমার নড়ারও ক্ষমতা থাকে না। হাত পা গুলো অবশ হয়ে আসছে। পাশের ঘর থেকে যে শব্দটা আসছিল তা থেমে গেছে, তার জায়গায় নিরবতা। শুধু নিরবতা। আমার মনে হয়, সেই শব্দটাই, এই মৃত্যুমুখী নিরবতা, এই গোরস্থানীয় নিস্চুপ অবস্থার চেয়ে হাজার গুন ভালো ছিল। অন্তত, এটাতো বোধ হচ্ছিল যে, কেউ আছে। এখন, আমি যে একা আছি আজ মেসে, সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে।
আমি চোখ বন্ধ করে রাখতে চেষ্টা করি, আমি এই বিভিষিকা থেকে আড়ালে চলে যেতে চাই। ইচ্ছে হয়, প্রার্থনা করি রাতের কাছে, তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাওয়ার জন্য। আমি চোখ বন্ধ করে থাকি, আর মনে মনে হাজারবার চাই যেন বিদ্যুত আরেকবার না চমকায়! কিন্তু আমার আমাকে আরেকবার থমকে দিয়ে আলোর ঝলকানি আমার রুমে শত্রুর মত প্রবেশ করে। আমি আবার দেখি সেই চিত্রটাকে।
দেহ! দেহ একটা ঝুলে আছে, সিলিং থেকে। নিথর! আলোর খেয়ালি, এক মুহুর্তের খেলায়, আমি শুধু এটুকু বুঝতে পারি যে, এটা একটা পুরুষের দেহ। মুখটা দেখার দুর্ভাগ্য হয় না আমার।
আমি শুয়েই থাকি, চলতশক্তিহীন। কি যেন আমার গা বেয়ে উঠছে! পিপড়ার মত, আস্তে আস্তে সেই পিপড়ার চলাচল আমার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। মাথার দিকে আসছে ওরা। আমার সারা শরীর ভেজা বলে আমার মনে হয়। ঘামে? ঘাম তো পা ভিজিয়ে দেয়না! আরেকবার বিদ্যুত চমকালে, আমি রক্ত দেখতে পাই। আমার গা বেয়ে উঠছে! উঠছে! আবার সেই ঠকঠক শব্দ! ঠকঠক!ঠকঠক ঠকঠক!
আরেকবার আলোর তীব্র ফ্লাস আমার চোখে শূলের মত আঘাত করে। আমি চোখ খোলার সাহস পাই না। কিন্তু এবারের আলোটা স্থায়ী! তবুও আমি চোখ বন্ধ করেই থাকি। অনুভব করি, পিপড়ার চলাচল, আমার মাথার দিকে তাদের ধেয়ে আসার বেগ। আমি অপেক্ষা করি। কিসের? কিসের অপেক্ষা করি, আমি জানিনা। জানিনা। শুধু জানি, সিলিঙ -এ একটা দেহ ঝুলু আছে। আমার গা বেয়ে উঠছে রক্ত কিংবা পিপড়া। আমি অপেক্ষা করছি তাই? সূর্যোদয়ের?
থকথকে কাদার(চন্দ্র বিন্দু হবে) মত রক্ত, আমি কাদার বিছানায় তলিয়ে যাচ্ছি। রক্তে গন্ধ- অনেকদিন আগে করা পাপের। আমি স্বপ্ন দেখছি না তো? স্বপ্নে কি গন্ধ পাওয়া যায়? যায় না। এই যে আমি ভাবছি, স্বপ্নে গন্ধ পাওয়া যায় না, এই ভাববার ক্ষমতাই কি প্রমাণ করে না যে আমি জাগ্রত? আমি সজাগ পুরো, আর আমি যে রক্তের কাদায় পড়ে আছি সেটাও আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমার কাধে রক্ত। ওরা স্থির নেই, চলাচল করছে, আমার শরীর, আমার হাতপা, আমার পেট, আমার মাথা, আমার পুরো দেহকে ওরা ঢেক ফেলবে, মুরে ফেলবে অতপর, তারপর কী করবে ভাবতে পারছি না। পারছি বা ভাবতে কিছু। আমার চেতনা, বুদ্ধি লোপ পাচ্ছে। দ্রুত, ঢেকে ফেলবে ওরা, মরার পর মানুষকে যেমন ঢেকে ফেলে কাফনে, ওরা আমাকে রক্তে মুরে ফেলবে। ফেলবে! ওরা কারা? আমি জানি না। কিচ্ছুটি জানি না আমি।
আলোটা যেন যাচ্ছেই না। আর বাতাস কোথা থেকে যেন এসে শরীরে আদরের হাত বোলায়।
আমি চোখ খুলি। ফ্যানটা চলছে, আর লাইটটা জ্বলছে!
ঘেমে নেয়ে গেছি যেন! আমি ধরপর করে উঠে বসি। কারেণ্ট চলে এসেছে। আর আমার খাটের স্টান্ড থেকে ঝুলছে, আমার বার্সেলনার জার্সি!
আজ বিকেলে হরর মুভি দেখেছিলাম, স্টার মুভিজে!

"জানো, ছোটবেলায় না আমি খুব অসুস্থ ছিলাম। কারো সাথে খেলতাম না। চুপচাপ সারাদিন থাকি। যেখানে রেখে যাইতো আমাকে আমি সেইখানেই থাকতাম। নড়তাম চড়তাম না। চুপ করে বসে থাকতাম। এই তুমি আমার কথা শুনছো?"
একনাগারে বলে মুগ্ধতা। আমি মুগ্ধ না হলেও শুনি।
বলি, " অবশ্যই সোনা। তুমি বল"
"আচ্ছা, আমার খালাতো বোন, খেয়া আপু, ও প্রতিদিন আমাকে পার্কে বেড়াইতে নিয়া যাইত। আর জানো, এখন যার সাথে বিয়া হইছে, মানে দুলাভাই, প্রতিদিন আসত পার্কে। শুনছো?"
"শুনছি তো, বল না" ওর কথার বেগ বাধাগ্রস্থ না করেই বলি আমি।
"আচ্ছা, ওরা না তারপর, আমাকে বেঞ্চে বসায় রাখতো। আর ওরা দুইজন তখন আমাকে রেখে অন্যদিকে চলে যাইতো। আর জানই তো, আমি খুব চুপচাপ ছিলাম। যেখানে রেখে যাইতো, সেখানেই থাকতাম। নড়াচড়া করতাম না"
ও থামলে আমি বলার সুযোগ পাই। বলি," ও তুমি নড়াচড়া না করে চুপচাপ থাকতে আর ওরা দিব্যি ঝোপের ভিতর নড়াচড়া করতো"
ও চুপ মেরে থাকে কিছুক্ষণ। তারপর বলে, " তুমি এতো ছোট মন নিয়ে চল কী করে, কমল?"

মারাত্মক পেইনের মধ্যে আছি কয়েকদিন থেকে। আমি বুঝতে পারছি না কী করব। রাত দিন সেটাই ভাবছি। পড়ালেখা করতে মন চায় না। এটা অবশ্য আমার বংশগত রোগ। দাদা এইট ফেল করে, মসজিদের ইমাম হয়ে, আটদশটা বাচ্চা পয়দা করলেন। আমার বাবা ৩য়। যেহুতে বাবার বড় দুইজন ভ্রাতা, পোলিও রোগে অকালে অক্কা পেয়েছিলেন, তাই আমি আমার বাবার বড় পুত্র হিসেবে দাদাও বড় নাতি হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। সেই যাই হোক, যা বলছিলাম- দাদার পর পিতাও লেখাপড়ায় গোড্ডা মারলেন, মেরে একখান বইয়ের দোকান দিলেন। অবশ্য এখন, আমাদের দোকান অনেক বড় হয়েছে। এমনকি, আমরা আমাদের দোকানের নামে একটা প্রকাশনিও খুলেছি। "ইমাম বুক ডিপো"। গাইড থেকে শুরু করে মহান মহান সাহিত্য পর্যন্ত প্রকাশিত হয় এখান থেকে। আমার বাবা, মোহাম্মদ আতিয়ার আলীও একজন লেখক, তিনি "সতভাবে চলার ১০১টা সহজ উপায়" নামে একটি বই লিখে আমাদের বংশের মুখোজ্জ্বল করেছিলেন। তিনি অবশ্য এখনো লিখেন। প্রায়ই আমাকে তার লেখা কম্পুতে টাইপ করে সংরক্ষিত করে রাখতে হয়। এখন, তিনি, "কীভাবে সত পথে উপার্জন করা যায়, সহজে" নামের বই লিখছেন।
সে যাই হোক, সোজা কথা হলো, আমি মারাত্মক পেইনে আছি। কিছুই ভাল লাগে না। কিছুই না। লেখাপড়া তো জন্মের পর থেকেই লাগে না। এখন এমনকি বেঁচে থাকতেও ইচ্ছা করে না। কী হবে বেঁচে? আমি এখন সারাদিন এটাই ভাবি। চিন্তা করি, আমি কেন জীবিত আছি, নাও তো থাকতে পারতাম। আর বেঁচে থেকেই বা কী লাভ হচ্ছে?
এসব ভাবলে আমার গা গুলায়। আমার মরে যেতে ইচ্ছা হয়। মরে যেতে খুব চাই তখন। খুব চাই বলে ভাবি, কী করে মরা যায়। আত্মহত্যা করা যায় কিন্তু সাহস হয় না। কিন্তু মরতেও ইচ্ছা হয়। তাই আত্মহত্যাই করবো ঠিক করি।
সোহেলকে বলি," দোস্ত আর ভাল্লাগে না"
"আমারো ভাল্লাগে না দোস্ত"। আমার কী ভাল লাগে না সেটা না জেনেই ও বলে, মুখ বেকিয়ে, নিরস মুখে।
"আমারো দোস্ত। খালি পেইন আর পেইন। প্যানিক আর প্যানিক চারদিকে" ফেবু চালাতে চালাতে বলে বলে শিশির।
আমি চরম আনন্দিত হই তাদের কথা শুনে। ওদের আর আমার সেইম কেজ। ওদের বলা ঠিক না, এদের। এদেরই বলা যায়। অবশ্য বলতেই হতো।
কিন্তু সরাসরি তো আর আত্মহত্যার কথা বলা যায় না, তাই বলি, "দোস্ত খাইতেও আর মন চায় না আগের মতো। তোদের চায়?"
"না দোস্ত, আজ তরকারি খুব খারাপ হইছে, খাইতে একটুও মন চায় না"
"আমারও অরুচি ধরছে দোস্ত, আর কিছু খাইলেই পাতলা পায়খানা ধরে, কিছুই খাইতে মঞ্চায়না সেই জন্যে"
আমি দমে যাই একটু। এরা অন্য অর্থ করেছে।!আমি এবার অন্য প্রসঙ্গো তুলি, " দেশের মানসি আর ভাল নাই রে"
ওরাও এই বিষয়ে একমত। সবাই বোধহয় একমত হবে।
শিশির বলে, " হ্যা দোস্ত। আর কিছু ভাল্লাগে না। খালি অনাচার। অজাচার। সবার খালি পুটু মারার ধান্দা।"
"পুটু আর আছে নাকি যে মারবে। পুটু তো নাই হয়্যা গেছে। মারবে কী?"
শিশির পুটু আছে কিনা সে সম্মন্ধে নিস্চিত নয় বলেই হয়তো, পিছনে হাত দেয়।
আমি বলি,"দোস্ত, এই দেশে থাকলে কোন লাভ নাই। কিচ্ছু হবে না"
ওরাও একমত। মেহেদী কখন এসে যোগ দিয়েছে বুঝতে পারিনি। ও বলে, " হ্যা দোস্ত, এই দেশে ইসলামের কোন দাম নাই, ধর্মের কোন মুল্য নাই"
মেহেদী একটু হাফেজ টাইপের। ওকে তাই আমরা ভয়ও পাই একটু। কখন কোন ভুল ধরে আর জাহান্নামে পাঠিয়ে দেয় কোন ঠিক নাই।
ও বলে," বঙ্গোবন্ধু তো আমাদের নেতা না? ওকে আল্লামা শেখ মুজিব ডাকলে কী ক্ষতি হয়? আর রহমতুল্লাহ আলাইহিওয়াসাল্লামও তো বলা যায়"
আমরা কুচকে যাই, এই শালার হাত থেকে বাচার জন্যে হলেও আত্মহত্যা করা উচিত।
ও আবার শুরু করে, " যারা বড়, মহত তাদের মান দেয়া না হলে, সেই দেশে এই গুনী সন্তানেরা আর জন্মাবে না। ওকে সম্মান করেই ওর নামের সামনে আল্লামা লাগাইতে হবে।"
ওর নামের সামনে যা ইচ্ছা লাগাক, তাতে আমার কিছুই যায় আসে না।
মেহেদী এতো বড় ভূমিকা দেয়ার পর বলে, " না দোস্ত কিছুই হবে না এই দেশের। সব শাল্লা কাফের"
আমি উল্লসিত হয়ে বলি, " হ্যা দোস্ত, এইভাবে বাচার কুন মানে নাই।চল আত্মহত্যা করি"
আমার কথার ফল দেখতে সবার দিকে তাকাই। সবাই আমার দিকে নির্বাক তাকিয়ে। কেউ রাজি নয় এই কাজ করতে।
শুধু বাবু বলল," করাই যায় অবশ্য। তার আগে, আমাদের আরো যারা আত্মহত্যা করতে চায় তাদের এক করতে হবে"
বাকিরা বুঝতে পারেনি কিংবা মাথা ঘামাতে চায় না।
সে একাই বলে যায়, " চল এফবিতে একটা ইভেণ্ট খুলি"
এ ব্যাপারে সবার দেখি উতসাহ সমান। সবাই রাজি আছে। আমিও মিনমিন করে রাজি হই।
"এসো আত্মহত্যা করি" এটা আমাদেত ইভেণ্টের নাম রাখা হয়। এখন পর্যন্ত গোইং মানে করতে চায় এমন ৭৮৫ জন, মে বি ৭৮১ জন :) :) :)

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

হামিদ আহসান বলেছেন: .......+++

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, হামিদ আহসান ভাই :)

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৯

শায়মা বলেছেন: আত্মহত্যা মহা পাপ!

আর আত্মহত্যা করে যারা তারা হয় সাহসী নয় বোকা.....

তবে ইভেন্ট খোলা আর তাতে এই সাহসী বা বোকার মত কথা লেখা একদম সহজ!!!!!:)

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ঠিক বলেছেন, আত্মহত্যা করার চেয়ে, ইভেন্টে যাওয়া অনেক সোজা

৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৫

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ও থামলে আমি বলার সুযোগ পাই। বলি," ও তুমি নড়াচড়া না করে চুপচাপ থাকতে আর ওরা দিব্যি ঝোপের ভিতর নড়াচড়া করতো"
ও চুপ মেরে থাকে কিছুক্ষণ। তারপর বলে, " তুমি এতো ছোট মন নিয়ে চল কী করে, কমল?"

=p~ =p~ =p~

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: :P :P

৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ডার্ক কমেডি। ব্যাপক ভালা পাইলাম। কয়েকদিন আগে আমি ফেবুতে একটা স্ট্যাটাস লিখসিলাম, "এই চলো না আত্মহত্যা করে ফেলি!"। ঐডা নিয়া গল্পও লেখার ইচ্ছা ছিলো। তার আগেই আপনি লিখ্যা ফালাইসেন ।যাউকগা, আমিও লিখুম একটা।

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কবে লিখবেন?
মেলা দিন গেল

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: আরণ্যক রাখাল ,



ভালো লেগেছে ।
তবে শিওর থাকতে পারেন আমরা সবাই প্রতিদিন অনেকবার এদিক সেদিক আত্মাহুতি দেই ।

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: প্রতিদিন অনেকবার এদিক সেদিক আত্মাহুতি দেই
সহমত

৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩

জেন রসি বলেছেন: এই ইভেন্টকে কিভাবে জনপ্রিয় করা যায় সেটা নিয়ে জাপানীদের সাথে আলোচনা করা যাইতে পারে!!! ;)

রম্য ভালো হইছে! :)

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হে হে।
থ্যাংকিউ

৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অাত্মহত্যার চিন্তা একসময় অামার মাথায়ও ভর করেছিলো । অাপনার কাহিনী বেশ মজার!

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: :P

৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৮

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ২ নং...
জিএফ এর সাথে কমন কিছু বাক্যালাপ... ;)

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: জিএফ ভাগছে

৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমিও কাপড় চোপড় খুলে একটা আত্মঘাতী কমেন্ট দিমু কিনা ভাবতাছি! ;)

পোস্ট সিরাম মচৎকার হইছে ব্রাদার! তয় হুজুরগো নিয়া কোন কথাই কওন যাইবো না। কারণ হেতিরা যা কইবো হেইডাই ঠিক। ভুল কিছু কইলেও সমস্যা নাই, গোনা কাটা দোয়া জানে তো!

শুভ কামনা!

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কাপড় খোলা লাগবে না থাক!!!
হুজুর ইজ অলওয়েজ রাইট!

১০| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: বইয়ে দিছি।

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: গুড। আমি কিন্মু। টাকা নাই তাই কিনি নাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.