নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাতাল ঋত্বিক আমি, প্রেমকথা আমার ঋগ্বেদ

আরণ্যক রাখাল

মাতাল ঋত্বিক আমি, প্রেমকথা আমার ঋগ্বেদ

আরণ্যক রাখাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি যখন হুজুর ছিলাম :) :) :)

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬

জানের টুকরা দোস্তকে জিজ্ঞেস করিলাম, “ ‘আল্লাহর কী যাদু! ডাণ্ডার ভিতর মধু’ – কতো এইটা কী হবে?”
দোস্ত আমার দিকে রক্ত চক্ষুতে তাকাইয়া বলিল, “শালা। তোর ভাল হবে না। তুই কী মানুষ না অন্যকিছু? আল্লাহর নামেও খারাপ কথা কইস”
আমি অবাক হইয়া মাটিতে বসিয়া পড়িলাম। তারপর যে বেগে মাটিতে বসিয়াছি, তাহার চারগুন বেগে উঠিয়া তাহার কানে দমাদ্দাম চারপাঁচটা চড় মারিয়া বলিলাম, “শালা খালি খারাপ চিন্তা। খারাপ চিন্তা খালি। আমি পার্মানেন্ট ডাণ্ডার কথা কইছি, টেম্পোরারির কথা কই নাই! ব্যাটা ডাণ্ডা হইল আখ। আখ। কুশাইর। আর শালা তুই কী ভাবছিস? সারাদিন খারাপ খারাপ ভিডিও দেখেই তোর এই অবস্থা হইছে”।

মাঝে মাঝে নিজের বর্তমান অবস্থা চিন্তা করিয়া নির্বাক হইয়া যাই। আমি কী ছিলাম আর কী হইয়া গিয়াছি। ছোটবেলায় পুরুষ-রমণী নির্বিশেষে সুবোধ কিউট বালক বলিয়া আমার গাল টিপিয়া দিয়া কোলে তুলিয়া লইত। আর এখন যখন আমার নিজের ‘টিপিয়া দেওয়ার’ (গালের কথা বলিতেছি, অন্য কিছু ভাবিলে লেখক দায়ী থাকিবেন না) সময় আসিল, তখন সবাই ‘বেয়াদপ’ ট্যাগ মারিয়া আমাকে দূরদেশে নির্বাসিত করিল। ছোটবেলার সেইসব সোনালী দিনের কথা বলিতে গেলে একপ্যাকেট বিড়ি ফুঁকিতে হয় আর দীর্ঘশ্বাসের চোটে আগুন যেন নিভিয়া না যায় সেই দিকেও লক্ষ্য রাখিতে হয়। অবশ্য এই নির্বাসন নিয়া চোখের জলে ‘হাগজ’ ভিজাইতে আজিকার পোস্ট লিখিতে বসি নাই। (হাগজ হইল টয়লেট পেপার। তপন রায়চৌধুরী কৃত মিনিং)
আমি লিখিতে বসিয়াছি আমার হুজুরবেলা সম্পর্কে। অনেকেই তাহাদের হিজড়াবেলা, বান্দরবেলা, প্রেমিকবেলা সম্পর্কে লিখিয়াছেন, কিন্তু হুজুরবেলা সম্পর্কে আমার জানা মতে কেহ লিখেন নাই। এর কারণ অবশ্য অতি সাধারণ। হুজুর হইতে গেলে যে ইলম আর ধৈর্য আবশ্যক, অনাবশ্যক হইলেও বলিতেছি, তাহা সবার মধ্যে নাই। আমার গোষ্ঠীতেও অনলি ওয়ান পিস এভেলেবল, বুঝিতে পারিয়াছেন নিশ্চয়ই সে-বান্দা কে। তাছাড়া আল্লাহ’তালা আল কুরানের সূরা এতো এর এতো নাম্বার আয়াতে বলিয়াছেন, “আমি তোমাদের মধ্যে হইতে যাকে ইচ্ছা ইলম দান করিব, যাহার কাছ থাকি ইচ্ছা তাহা ফিরাইয়া লইব”। (আমি ইচ্ছা করিয়াই সূরা আর আয়াতের নাম কইলাম না। কারণ আমি এভাবে আয়াতসহ সূরার নাম বলিলে, ইহাতে যদি কেউ আমার মধ্যে নব্য জাকির নায়েক খুঁজিয়া পাইয়া পূজা শুরু করিয়া দেন, তাহা হইলে আমি সমস্যায় পরিব। কারণ আমি লেকচার দিতে এবং টিভিতে ইন্টারভিউ দিতে লজ্জা বোধ করি)। সুরাং আল্লাহ নিজের ইচ্ছায় আমাকে হুজুর বানাইয়াছেন। আবার যখন দেখিলেন আমিও আদমের মতন গন্দম খাইয়া বেল্লাল্লপনা শুরু করিয়া দিয়া হুজুর জাতির লুঙির গিট্টু খুলিয়া দিয়াছি অর্থাৎ মান-সম্মান-ইজ্জত ধূলায় মিশাইয়া দিয়াছি, তখনই তিনি আমার হুজুরত্ব কারিয়া লইলেন। সবই তার ইচ্ছা।
তখন আমি ক্লাস ফাইবে পড়িতাম। রমযান মাসে হঠাৎ একদিন দেখিলাম আমার বন্ধু সজীব পাঞ্জাবি পরিয়া টুপি মাথায় দিয়া মসজিদের দিকে চলিতেছে। আমি যতপরনাই ভীত হইলাম। দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় সে আমার চাইতে তিন নাম্বার কম পাইয়াছিল। আমাকে কাটাইবার কম চেষ্টা সে করে নাই। আমি ভাবিলাম, শালা এমনিতেই পড়ে সারাদিন। তার উপর যদি আল্লাহর রেডিমেড আসমানি হেল্প পায়, তাহা হইলে আমাকে কাটাইতে তাহার মিনিটখানেক সময় হয়তো লাগিবে। সুতরাং আমিও আল্লাহর হেল্প পাইতে নিয়মিত মসজিদ যাইতে শুরু করিলাম।
সজীবের সহিত তখন কথা বলিতাম না। কিন্তু দেখিতাম, আমি যদি দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ি, তাহা হইলে সে চাইর রাকাত আদায় করিত, আমি চাইর রাকাত পড়িলে সে ছয়। অবশ্য ভাল কাজ করিলেই কটু কথা শুনিতে হয়। আমার পিতা হইতে শুরু করিয়া এলাকার বাবলুদা, রাব্বানি ভাই, আজম ভাই সবাই বলিতে লাগিলেন যে, “রমজানটা শেষ হলেই, তোর হুজুরত্বের শ্রাধ্য করতে হবে”। ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ এই ভয়ে ভীত ছিলাম, তাই রমাদান শেষ হইয়া যাইবার পর খুব করিয়া নামাজ পড়া বাদ দিতে ইচ্ছা করিলেও, ছাড়িলাম না। যেভাবেই হউক, তাহাদের ভবিষ্যৎবাণী সফল হইতে দেওয়া যাইবে না।
এই রকম রেষারেষি করিয়া আমাদের রমাদান মাস কাটিল। আর রমাদান শেষ হওয়া মাত্র সজীব নামাজ বাদ দিল। তখন আমার দৃঢ় বিশ্বাস হইল যে, বৃত্তি পরীক্ষায় সে আর আমাকে কাটাইতে পারিবে না। কারণ আমি নামাজ ছাড়ি নাই।
কিন্তু এদিকে অল্প দিনেই মেলা জিনিস আবিষ্কার করিয়া ফেলিয়াছি। যেমন নিয়মিত নামাজ আদায় করিলে পায়ের গোড়ালিতে আর কপালে কাল দাগ পড়িয়া থাকে। আমি ইহা লইয়া কিঞ্চিৎ চিন্তিত ছিলাম। আমার সেই কিঞ্চিৎ চিন্তার নিশ্চিত অবসান ঘটিল যখন এক এলাকাত দাদী বলিলেন, “কপালের কাল দাগ যত বেশি(প্রশস্থ) হবে, জান্নাতে সে তত বড় স্থান পাবে”। অতএব, আমি সেই কপালের দাগ যেন আরও বড় হয়, সেই জন্য কাজ করিতে লাগিলাম। সিজদা দেওয়ার সময় এমন জোরে শব্দ করিয়া মাথা মেঝেতে আছড়াইতাম যে ইমাম পর্যন্ত চমকিয়া যাইতেন। ইহাতে আমার কপালের কাল দাগ কতটুকু বাড়িয়াছিল জানি না কিন্তু আমি যে স্বর্গে যাইবই, এই কাল অহংবোধ আনলিমিটেড পরিমাণে বাড়িয়াছিল।
আরও একটা জিনিস আবিষ্কার করিয়া এতোই আনন্দিত ও বিনদিত হইয়াছিলাম যে এখন মনে হয়, কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করিয়াও এতো আনন্দিত হন নাই। আমি দেখিতাম যে, আমাদের মুয়াজ্জিন সাহেব নামাজ পড়িবার সময় চোখ মুখ ঘুরাইয়া ডানে বামে দেখেন। নফল নামাজ পড়িবার সময় যখন তাকাইত তখন আমি তাহার চোখের দৃষ্টি যেখানে যায়, সেইখানে গিয়া মুখ ভেংচাইতাম। বেচারাকে ইহা নীরবে সহিতে হইত। এর মধ্যে একদিন আমার দিকে তাকাইতেছিল, আমি বুঝিতে পারিয়া তাহাকে শাহরুখ খানের ‘রাওয়ান’ ছবির ‘পাওয়ার ইয়োগা’ মারিলাম। তিনি লজ্জা পাইয়া নিচের দিকে তাকাইলেন।
সেদিন তিনি আমাকে ধরিয়াছিলেন। বলিলেন, ‘আমি নামাজ পড়ার সময় তুই এমন করলি কেন?”
আমি বলিলাম, “কেমন করিলাম?”
তিনি তখন পুটু পিছনে লইয়া দুইহাত মুঠি করিয়া সামনে বাড়াইয়া আবার পুটু দিয়া ঠেলা দিয়া পাওয়ার ইয়োগা করিয়া দেখাইলেন। বলিলেন, ‘এমন করলি কেন?”
আমিও পকাত করে আরেকবার পাওয়ার ইয়োগা করিয়া বলিলাম, “আমি যে এমন করলাম, আপনি দেখলেন কীভাবে?”
ততদিনে পাক-নাপাক সম্পর্কে ধারনা আসিয়া গিয়াছে। কিন্তু ধারনা না থাকিলেই বোধহয় ভাল হইত। কারণ আমার সবসময় মনে হইত আমি নাপাক হইয়া গেয়েছি! মূত্র ত্যাগের পর টিসু ব্যবহার করি অতঃপর এক বদনা পানি গোটাল ব্যয় করি, অথচ সেই নাপাক নাপাক ভাব আর যায় না মনের। সুতরাং প্রতিওয়াক্ত নামাজের আগে আমি গোসল করিতাম। ভাবিলে এখনও গায়ে জ্বর আসিতে চায়। আমার এই অতীব পাকপবিত্রতা সম্পর্কেও এলাকার বদবদ ছেলেগুলার সন্দেহের শেষ ছিল না।
খালাতো ভাই সন্ধি বলিতেন, “তুই প্রতিবার নামাজের আগে গোসল করিস ক্যান? তোর সমস্যাটা কী?”
আমি তখন নিতান্ত বালক, অতো কিছু কি আর বুঝিতাম? আমি বলিতাম, “কোন সমস্যা নাই। নাপাক হয়ে গেছি তাই গোসল করছি”।
সন্ধি ভাই শুনে চোখ কপালে তুলিয়া বলিতো, “এই বয়সে নাপাক!”
কিন্তু আমার এই সমস্যা বেশিদিন রইল না। কিছুদিন পর এক হুজুর আমাকে বাৎলে দিলেন যে, কুলুপ লইয়া চল্লিশ কদম হাঁটিতে হইবে। চল্লিশ কদম হাঁটিবার পর যদি দরদর করিয়াও হিসু হইয়া যায়, তবুও তুমি পাক! আমি ভাবিলাম, পাঁচবার গোসল করিবার চাইতে কুলুপ লইয়া চল্লিশ কদম ভ্রমণ করা উত্তম। আসলে মানুষ আল্লাহর হুকুম মানে না বলিয়াই তাহাদের ডায়াবেটিস হইয়া থাকে। তাহারা এমনিতেই ঘনঘন টয়লেট যাতায়াত করে, যদি পাকপবিত্র হইবার জন্য প্রতিবার চল্লিশ কদম করিয়া হাঁটিত, তাহা হইলে তাহাদের ডায়াবেটিস কি আর থাকিত? আসলে আল্লাহর সব কথাই বিজ্ঞানসম্মত। এমনকি, এই যে প্রসাব করিয়া চল্লিশ কদম হাঁটা, সেইটাতেও বিজ্ঞান, সেইটাতেও মঙ্গল। কোন নালায়েক কয় ইসলামে বিজ্ঞান নাই?
এমনি করিয়া সমাপনি দিলাম। বৃত্তিও পাইলাম। কিন্তু তাহার পর শুরু হইল ভর্তি যুদ্ধ। যেভাবেই হউক আরবিআরে চান্স পাইতেই হইবে। সুতরাং আমি মসজিদে যাতায়াত বাড়াইয়া দিলাম। চান্সও হইল। চান্স পাওয়ার পর দেখিলাম যাহারা আমার মত ডিঙ ডিঙ করিয়া সিজদা দেয় নাই, তাহারাও চান্স পাইয়াছে, এমনকি বৃত্তিও পাইয়াছে। তখন ভাবিলাম হুজুরত্ব আপাতত স্থগিত থাউক। ক্লাস এইটে নাহয় আরেকবার আল্লাহ’তালার আসমানি হেল্প লইব। যেই ভাবা সেই কাজ। শুরু করিয়া দিলাম লাফাঙ্গাগিরি। লাফাঙ্গাগিরির একটা উদাহরণ দেই-
সাখিলা ম্যাডাম তখন আমাদের বাংলা দ্বিতীয় পত্র পড়াইতেন। আমি আমার স্বভাবের কারণেই হউক আর ইনোসেন্ট ভাবের কারণেই হউক তাহার অত্যন্ত প্রিয়পাত্র হইয়া উঠিয়াছিলাম। সুতরাং বাকি সব ক্লাসে আবুল হাসানের মত পিছনের বেঞ্চে বসিলেও তাহার ক্লাসে ফার্স্ট বেঞ্চে বসিতাম। একদিন তিনি ক্লাসে ‘কার’ আর ‘ফলা’ পড়াইতেছিলেন। আমার মন সেদিন একটু বেচাইন ছিল বোধহয়। আমাকে অমনোযোগী দেখিয়া বলিলেন, ‘উৎস, দাঁড়াও’।
আমি দাঁড়াইয়া তাহার দিকে ইনোসেন্ট লুকের তীর মারিয়া বলিলাম, “ম্যাম, আমি কিছু করিনি”। তিনি আমার কথা না শুনিয়া জিজ্ঞেস করিলেন, “র এর দুইটা সংক্ষিপ্ত রুপ আছে। একটা ধ্বনির আগে উচ্চারিত হয় থাকে আরেকটা হয় ধ্বনির পরে। তুমি বল, র এর সংক্ষিপ্ত রুপগুলো কী কী আর কোনটা আগে আর কোনটা পরে উচ্চারিত হয়।”
এখন জানি, উত্তর হবে রেফ আর র-ফলা। রেফ ধ্বনির আগে উচ্চারিত হইয়া থাকে আর র-ফলা পরে। যেমন পর্ণ (পর্ণ মানে পাতা রে ভাই!) শব্দটায় র উচ্চারিত হইয়াছে ণ এর আগে এদিকে ‘প্রভা’ শব্দটায় র উচ্চারিত হইয়াছে প এর পরে। অতি সিম্পল বাত।
কিন্তু তখন আমি প্রভাকেও চিনিতাম না আর পর্ণ(লতা-পাতা-ফুল-ফল থুড়ি শুধু লতা-পাতা) তো দূরকি বাত। আমি না পারিয়া মাথা চুলাইতে লাগিলাম। কিন্তু আমার অক্সিলারি অর্থাৎ সাহায্যকারী অনেক ছিল। তাহাদের একজন আস্তে করিয়া বলিল, ‘রেপ’!
আমি ভাবিলাম, একটা যদি ‘রেপ’ হয় আরেকটা নিশ্চয়ই ‘ধর্ষণ’! কিন্তু আমাকে তাহা বলিতে হইল না। আমার এই চিন্তাটা কীকরিয়া জানি জনির মাথায় ট্রান্সফার হইয়া গেল। সে একটু জোরেশোরেই বলিয়া ফেলাইল, “ধর্ষণ”!
এই কথাটা ম্যাডামের কানে গিয়াছিল। তিনি আমাকে আর জনিকে ক্লাস হইতে নিকাল দিলেন।
পরদিন আমাদের বাড়িতে চিঠি গেল। “আপনার ছেলে অধ্যয়নে মনোযোগ না দিয়া বিদ্যালয়ের নিয়মবহির্ভূত কাজে লিপ্ত রহিয়াছে। অতএব, তাহার বিরুধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা লওয়া হইবে না............ইত্যাদি ইত্যাদি” ।
এদিকে এতদিন এতোই ইমানদার হইয়া গিয়াছিলাম যে, আমারে ছাড়া ইমাম সাহেব নামাজ পর্যন্ত শুরু করিতেন না। অতএব আমি যখন আর মসজিদে যাইতাম না, তখন তিনি কিঞ্চিৎ টেনসনিত হইলেন।
একদিন আমাকে ধরিয়া জিজ্ঞেস করিলেন, ‘বালক, তুমি নামাজ পড়িতে আইস না কেন?’
আমি মাটির দিকে তাকাইয়া জবাব দিলাম, ‘হুজুর, আমার কোন দোষ নাই। সব দোষ শয়তানের। আর আল্লাহই শয়তান ক্রিয়েট করেছেন। সুতরাং আমি যে নামাজে আসি না এইটাও আল্লাহর ইচ্ছা। এর মধ্যেই মঙ্গল নিহিত। বস্তুত এভ্রিথিং ইজ ফেয়ার এন্ড লাভলি’।
হুজুর আমাকে সেই দিন ছাড়িয়া দিলেন।
অতপর আবার আল্লাহর ইচ্ছায় আমি ক্লাস এইটে হুজুর হইয়া গেলাম। এবারে একটু বেশি মাত্রায় হুজুরত্ব আমার মধ্যে জাগিয়া উঠিল। বিশেষত, আমার এলাকা হইল জামাত অধ্যুষিত। তাহাদের সংস্পর্শে আসিয়া ইমানি জোশে এতোই বলিয়ান হইয়া উঠিলাম যে, ইচ্ছা হইল আমেরিকা উড়াইয়া দিয়া আবার খেলাফত প্রতিষ্ঠা করি। কিন্তু আমেরিকা বাংলাদেশ হইতে তিন আসমান দূরে। আর আমাদের তো আর হুদহুদ আর বুররাক নাই। সুতরাং আমাকে বলা হইল, “আগে দেশের কাফেরদের কিছু করতে হবে”।
কিন্তু এদিকে আমার বাড়িতে খবর হইয়া গিয়াছিল। ইমানি জোশেই হউক আর তরবারি দিয়া কাফেরদের কল্লা কাঁটার জোশেই হউক আমার হুজুরত্ব অতিরিক্ত পরিমাণে বারিয়া গিয়াছিল। গ্রীষ্মে রাত আঁটটায় ইশার আজান দিত। আর নামাজ শুরু হইত সাড়ে আঁটটায়। আমি ইমানের বারুদে জ্বলিয়া উঠিয়া আজানের সাথে সাথেই মসজিদ পানে ছুটিতাম।
কিন্তু এদিকে নালায়েক সমাপনি পরীক্ষা চলিয়া আসিল। পিতাজান আমার এরুপ ইমানের কথা জানিতে পারিয়া চিৎকার মারিয়া বলিলেন, “বেহেশত যাওয়ার সখ হইছে না? বৃত্তি না পাইলে আমি তোকে বেহেশত পাঠাব। খেয়াল রাখিস?”
আমার কাছে বেহেশত খুব কাম্য জিনিস হইলেও শর্টকাট উপায়ে হুর লাভের কোন ইচ্ছা ছিল না। তাই মসজিদে যাওয়া বাদ দিয়া পড়িতে শুরু করিয়া দিলাম। জানা কথা যে দেশপ্রেম আর ইমান দুইটাই- সাতদিন থাকে, তারপর আর থাকে না। থাকিলে ডাক্তার দেখাইতে হয়- ইহা চরম উদাস কহিয়াছেন। সুতরাং পড়ার চাপে আমার ঈমানও পলায়ন করিল।
ক্লাস টেনে উঠিলে পিতা কহিলেন, “এবারে একটু আরবি শিখ। এটাও শিখতে হয়”।
আমি কইলাম, “আলবাত”।
তিনি আমাকে আরবি শিখাইবার জন্য এক বরকাওয়ালি আপুকে ঠিক করিলেন। কিন্তু তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করিলেও আমি আরবি শিখিতে পারিলাম না। দোষ অবশ্য আমার একটুও ছিল না। আপু অতিরিক্ত সুন্দরী হইলে আমার কী দোষ?
এভাবেই আমার হুজুরত্ব খতম হইল। তবে, আমার নিজের উপর কোন বিশ্বাস নাই। কিছুদিন পর দরকার হইলে আবার হুজুর হইয়া যাইতে পারি।
কিছুদিন আগে এক শিবির ভাই আমাকে কইল, “তুই শালা জাহান্নামে যাবিই। তোর কোন মাফ নাই”।
আমি কইলাম, “চুপ শালা। আল্লাহ তো আর শিবির করে না”

এক হাতে মোর তসবী খদার,আর-হাতে মোর লাল গেলাস,
অর্ধেক মোর পুন্য-স্নাত, আধেক পাপে করল গ্রাস।
পুরোপুরি কাফের নহি, নহি খাঁটি মুসলিমও-
করুণ চোখে হেরে আমায় তাই ফিরোজা নীল আকাশ।
-ওমর খৈয়াম
অনুবাদ- কাজী নজরুল ইসলাম।

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০

লিও কোড়াইয়া বলেছেন: কী বলিব বুঝিতে পারিতেছি না। কিন্তু বিনোদন পাইয়াছি! আপনি হজুর হইতে পারেন নাই, ইহাতে সকলের জন্যই উত্তম হইয়াছে!

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কী দরকার কিছু বলার| পড়েছেন তাতেই এনাফ :)

২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি এত খারাপ কেন?

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কে কইল আমি খারাপ? সবাই আমাকে গুড বয় বলে :) :)

৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১১

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: পড়ালাম আপনি যখন হুজুর ছিলেন

কিন্তু কি বলব তা আমিও বুঝতে পারছিনা।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আবেগে কাইন্দা ফ্যালাইতে ইচ্ছা করতেছে| এমন এক পোস্ট মারছি সবাই নির্বাক হয়ে গেছে| এর চেয়ে আর বড় গর্ব কী আছে? সারা পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়! :) :)

৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬

কল্লোল পথিক বলেছেন: পড়লাম
আপনি যখন হুজুর ছিলেন!

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ বস পড়ার জন্য :)

৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কবি যথার্থই বলেছেন;

এক হাতে মোর তসবী খোদার,আর-হাতে মোর লাল গেলাস,
অর্ধেক মোর পুণ্য-স্নাত, আধেক পাপে করল গ্রাস।
পুরোপুরি কাফের নহি, নহি খাঁটি মুসলিমও-
করুণ চোখে হেরে আমায় তাই ফিরোজা নীল আকাশ।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: :) তাই তো তিনি খৈয়াম :)

৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: হুজুর হইলে দাউয়াত খাইতে হয়। পইসা পুকেটে পুরতে হয়। ঐগুলা হয়নাই?? B-)

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: নাহ এইটা হয় নাই| সেইজন্যই তো হুজুর পদ থেকে রিটায়ার করছি

৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তাইতে বলি! ইরাম ইরাম করে ক্যারে!

যেগুলান কুট্টি কালে আধলা হুজুর হইয়া ছুট্টি নিয়াছে তাহারা জিয়াদাই ওমর খৈয়ামের ভক্ত হয় ;)

বহুত আচ্ছা! =p~ =p~ =p~ =p~

দারুন তুলে ধরেছেন শৈশবের পুংটামির কাহানি :)

ঝরঝরে বর্ণনা। দারুন শব্দ চয়ন আর সেইরাম আতেলপনায় মিলে চমাৎকার একখানা লিখা পড়িলাম। +++



১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অতি সুন্দর মন্তব্য ভৃগু ভাই| প্রীত হইলাম বহুত

৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৬

লেখোয়াড়. বলেছেন:
ছি ছি ছি!!!!

তুমি এত ভালা??

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমি ভাল এতে ছি ছি করছেন কেন?
ভাল কোন মূল্য নেই আজকাল| দুঃখে গলায় দড়ি দিতে মন চায় :)

৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৯

প্রামানিক বলেছেন: তখন আমি ক্লাস ফাইবে পড়িতাম। রমযান মাসে হঠাৎ একদিন দেখিলাম আমার বন্ধু সজীব পাঞ্জাবি পরিয়া টুপি মাথায় দিয়া মসজিদের দিকে চলিতেছে। আমি যতপরনাই ভীত হইলাম। দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় সে আমার চাইতে তিন নাম্বার কম পাইয়াছিল। আমাকে কাটাইবার কম চেষ্টা সে করে নাই। আমি ভাবিলাম, শালা এমনিতেই পড়ে সারাদিন। তার উপর যদি আল্লাহর রেডিমেড আসমানি হেল্প পায়, তাহা হইলে আমাকে কাটাইতে তাহার মিনিটখানেক সময় হয়তো লাগিবে। সুতরাং আমিও আল্লাহর হেল্প পাইতে নিয়মিত মসজিদ যাইতে শুরু করিলাম।

কাহিনী মজার। ধন্যবাদ

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য

১০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: হুম কিছু কিছু মিলে যায় আমাদের গ্যাং এর সাথে... ... =p~ =p~ =p~

কিন্তু ক্লাস টেনে উঠার পরে আরবী শিখা??? B:-) :-P

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আরে ভাই, কেউ কেউ তো বুড়া বয়সে কবরে একখান পা পাঠিয়ে দিয়ে শেখে| আমি না হয় টেনেই টেনেটুনে শিখলাম! ক্ষতি কী!

১১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪১

অমাত্রিক সমীকরণ বলেছেন: আমার কাহিনীর সাথে পুরা সেম!!! :)

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বুকে আহেন মোমিন

১২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৯

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: =p~ =p~ =p~

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: :) :) :)

১৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৯

সুমন কর বলেছেন: ছিঃ ছিঃ..এসব কথা বলে না !! দুষ্ট ছেলে... ;)

মজার কাহিনী.....

+।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: থেঙ্কু

১৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০২

সজিব্90 বলেছেন: আমি সব সময় আপনার লেখা খোঁজ করি পড়ার জন্য, পড়তে ও ভালো লাগে, কিন্তু আপনার রম্য গল্পের ভিতরে ইসলাম নিয়ে ছোট ছোট তুচ্ছ তাচ্ছিল্য গুলি খারাপ লাগে, মনে কিছু নিবেন না।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: এটা জেনে সত্যিই খুব ভাল লাগছে|
আমি শুধু স্বাধীনতা বিরোধী জামাত শিবিরের বিরোধিতা আর স্যাটায়ার করি| ধর্ম নিয়ে ভাবি না| লিখিও না|

১৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:১২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সাধু ভাষা! এ যেন অমৃত! চরম বিনোদন পাইলাম!

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধইন্য পড়ার জন্য :)
সাধু ভাষার মজাই আলাদ

১৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১২

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: আমিও আগে পরিক্ষার সময় আসলে মসজিদ গমন বাড়িয়ে দিতাম

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সবাই দেখি এক গোয়ালে ষাঁড় :) :)

১৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০০

উল্টা দূরবীন বলেছেন: আপনে তো মিয়া খারাপ আছেন। রেপ আর ফলা অতি অল্প বয়সেই শিখিয়া গিয়াছেন। আপনার বাংলার ম্যাডামও খারাপ। কেলাসে লিঙ্গ বিষয়ে কিছু পড়ায় নাই।

বিনোদিত হইলাম আপনার লেখা পড়িয়া। টিপিয়া দেওয়ার বয়স আমারও হইছে কিন্তু টিপিয়া দিতে গেলে গার্লফ্রেন্ডে কিলায়। (অন্য কিছু ভাইবেন না আবার। আমি কিন্তু লোকক ভালা)

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আপনি তো চরম ভাল লোক!
ম্যাডাম লিঙ্গও পড়াইছে তয় আমি বড়ই নালায়েক নাবালক পুলা তাই বড় হয়ে শিখছি! অবশ্য বাচ্চারা তার কীই বা বুঝে!

১৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মজা পেয়েছি পড়ে।
আচ্ছা আপনার পোস্টে লেখা দাড়িতে সমস্যা নাই কিন্তু কমেন্টে লেখা দাড়ি এমন বড় ক্যান ? কোন ফন্ট দিয়ে লেখেন ?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অনেক দিন পর প্রতিউত্তর করছি বলে দুঃখিত।
এবারে ঠিক আছে। তখন জানিনা কেন এমন হচ্ছিল

১৯| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬

নেক্সাস বলেছেন: রম্য ভাল হয়েছে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ

২০| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: হা হা হা হা।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হে হে হে

২১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২০

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
মোটামুটি মজা পাইসি ||

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: লোল

২২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২২

গন্ধ গণতন্ত্র বলেছেন: বলেছেন: আমি বিভিন্ন পোস্ট ঘুরে দেখেছি মোটামোটি কয়েকজন বিভিন্ন রোস্টে ঘুরে ফিরে তারাই মতামত দিচ্ছে ৷
আমি একটা প্রস্তাব দিব মানলে নিজেদের মধ্যে একটা গুরুর লেখা বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে ৷ সাহস দিলে বলা যেতে পারে৷৷৷৷৷

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মেলা দিন আগের পোস্ট। তখন উত্তর দিতে পারি নাই।
এখন বলছি, কী বলবেন বলেন। যদি এতদিন পর আপনার বলার ইচ্ছা থাকে

২৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

কাবিল বলেছেন: আর একবার হুজুর গিরি দেখতে চাই। :)

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: দেখামু

২৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৫

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: মেলা দিন পর ব্লগে আইলাম :) :) আইসা ভাউ আপনের পোষ্ট এর কয়েক লাইন পড়লাম বাকি টা পড়ে পড়ুম। ভালা লাগছে কিন্তু পোষ্ট খানা। :) :)

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ও আচ্ছা। না পড়েই ভাল কেমনে কইলা?

২৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৭

ধ্রুব নয়ন চৌধুরী বলেছেন: আমি কইলাম, “চুপ শালা। আল্লাহ তো আর শিবির করে না”

এক হাতে মোর তসবী খদার,আর-হাতে মোর লাল গেলাস,
অর্ধেক মোর পুন্য-স্নাত, আধেক পাপে করল গ্রাস।
পুরোপুরি কাফের নহি, নহি খাঁটি মুসলিমও-
করুণ চোখে হেরে আমায় তাই ফিরোজা নীল আক.।.।.।।। ভালো লাগলো। আপনার হুজুরগিরি আল্লাহ্‌ই ছুতাইছে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ও আচ্ছা

২৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: আরো একটু রস চাহিয়াছিলাম। যাহা দিয়াছেন তাহাও কম না। আল্লাহপাক আপনার সহায় হউন। ;)

২৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমিন

২৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫১

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: "চুপ শালা,আল্লাহ তো আর শিবির করে না।"
সত্যি আসাধারণ।একদম ললিপপ।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: থেংকু। হ্যাপি ব্লগিং

২৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

বাংলার নেতা বলেছেন: আমি রাখাল হমু...কুশার ক্ষেতে যামু, কুশার খামু....

হে হে হে .....

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কুশার ক্ষেতে গিয়া কী হবে? পাট ক্ষেতে যাও। গুরু বলেছে, যে জীবনে পাটক্ষেত যায়নাই সে নেতা হইতে পারবে না

৩০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৯

বাংলার নেতা বলেছেন: কি সাংঘাতিক, শুনেছি পাট ক্ষেতে যাওয়া নাকি বিপদজনক? যামু না.......

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: না ঐখানে যাইতেই হবে। গুরু শর্ত। নো উপায়

৩১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১

রানার ব্লগ বলেছেন: শৈশবের কথা মনে করিয়ে দিলেন। আমিও ক্লাশ ৬ থেকে ৮ পর্যন্ত এই ধরনের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলাম। সবে বরাতের রাতে গার্ল ফ্রেণ্ড এর বাসায় মিলাদের তবারক নিয়া গোপনে দেখা করা ফাকে সুজুগ বুঝে এক্সট্রা মিষ্টি নিজেও খাওয়া আর কত কি !!!

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আহারে! গার্ল ফ্রেন্ডের বাসায় মিলাদের দাওয়াত! এইটা পাই নাই। চরম ব্যাপার!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.