নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাতাল ঋত্বিক আমি, প্রেমকথা আমার ঋগ্বেদ

আরণ্যক রাখাল

মাতাল ঋত্বিক আমি, প্রেমকথা আমার ঋগ্বেদ

আরণ্যক রাখাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একাত্তরে নিহতের সংখ্যা, জেনারেল নিয়াজীর সাক্ষাৎকার ও কিছু প্রশ্নের জবাব!

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০০

একটা চুটকি মনে পরে গেল। আগে সেটা শুনুন। তারপর মুক্তিযুদ্ধে যাচ্ছি।
একছেলে বেজায় পড়াচোর। যতই চাপ দেয়া হোক না কেন সে কিছুতেই বই নিয়ে বসে না। এই বেহাল দশা দেখে বাবা বাড়িতে তার জন্য মাস্টার রাখার ব্যবস্থা করলেন। কিন্তু মাস্টার মশাই বহুৎ চেষ্টা করেও তার সেই গুনধর ছাত্রকে ‘গরু’ রচনা ছাড়া আর কিছুই শেখাতে পারলেন না। সে যখনই বই পড়তে বসে তখনই গরুর রচনা পড়ে। “গরু একটি গৃহপালিত পশু। গরু খুব উপকারি প্রাণী। গরুর চারটা ঠ্যাং, একটা লেজ, দুইটা কান আর দুইটা চোখ আছে। গরু ঘাস খায়”।
সকালে ঘুম থেকে উঠেও চিৎকার করে করে সে পড়ে ‘গরু একটি গৃহপালিত পশু’, বিকেলেও একই কেজ আর সন্ধ্যা নামতে না নামতেই তাকে বিছানা আদুরে স্বরে ডাকে। সেই আদুরে ডাক ইগনোর করা তার পক্ষে ‘মুস্কিলই নেহি নামুনকিন’। সে হাই তুলে, চোখ রাঙিয়ে, পড়ার টেবিলে মাথা রেখে পড়ে, ‘গরু একটি গৃহপালিত পশু’!
এমনি করে করে পরীক্ষা চলে এলো। বাবা বলেছেন, ‘এবার পাস করতে না পারলে হাল চাষ করতে লাগিয়ে দেব। মনে রাখিস’। বালকের সেকথা স্পষ্ট মনে আছে।
কিন্তু পরীক্ষার হলে গিয়ে প্রশ্ন দেখেই মাথায় হাত দিল সে। সে আজীবন পড়ে এসেছে গরুর রচনা আর পরীক্ষায় এসেছে কিনা ‘আমাদের গ্রাম’! এবারও আগের বারের মত ফেল ছাড়া গতি নেই। কিন্তু বালকের মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল। সে আল্লাহর নাম নিয়ে ‘আমাদের গ্রাম’ লেখা শুরু করে দিল।
“আমাদের গ্রামের নাম ঢাকা। এখানে অনেক মানুষ বাস করে। আমাদের গ্রাম অনেক সুন্দর। আমাদের গ্রামে একটা গরু আছে। গরু একটি গৃহপালিত পশু। গরু খুব উপকারি প্রাণী। গরুর চারটা ঠ্যাং, একটা লেজ, দুইটা কান আর দুইটা চোখ আছে। গরু ঘাস খায়। গরু আমাদের দুধ দেয়। গরুর দুধ খুব মিষ্টি। দুধ আমাদের পুষ্টি দেয়............................................”।
এই হল অবস্থা। এরকম আরেকটা লিখে গিয়েছেন সৈয়দ আলী সাহেব। তারটা নিজের ভাষায় লিখছি।
একছেলে দারুণ পেটুক। সারাদিন খাওয়া ছাড়া অন্য কিছু করা তো দূরের কথা ভাবতেও পারে না। পড়ার সময়ও তার খাওয়ার চিন্তা আসে। যখন বানান করে লেখা শিখছিল, তখন সে পড়ত, ‘ক তে কমলা, খ তে খই, গ তে গাঁজর, ঘ তে ঘৃত, ঙ তে ব্যাঙ, চ তে চমচম, ছ তে ছানা, জ তে জাম, ঝ তে ঝালমুড়ি, ঞ তে মিঞা” ইত্যাদি ইত্যাদি।
যখন সে একক দশক শিখছে, তখন- ‘একক দশক শতক হাজার অযুত লক্ষ্মী সরস্বতী’ (লক্ষ না বলে লক্ষ্মী বলে ফেলেছে। আর লক্ষ্মী বললেই সরস্বতীর কথা এসে যায়)।
‘লক্ষ্মী সরস্বতী গণেশ কার্তিক অগ্রহায়ণ”। কার্তিক যেমন ঠাকুরের নাম, তেমনই মাসও। তাই কার্তিকের পর অগ্রহায়ণ!
‘কার্তিক অগ্রহায়ণ পৌষ মাগ ছেলে-পিলে’। মাঘ কে আমরা উচ্চারণ করি ‘মাগ’। ‘মাগ’ মানে মহিলা (আঞ্চলিক)। তাই মাগ এর পর ছেলে চলে এসেছে।
‘ছেলে-পিলে জ্বর সর্দি কাশি-‘
পিলে হলো গিয়ে রোগ। তাই পিলের পর সর্দি কাশি আসবেই।
‘সর্দি কাশি গয়া মাথুরা বৃন্দাবন পুরি’
কাশি যেমন রোগের নাম, তেমনই সেটা তীর্থস্থান। অতএব......
‘পুরি সন্দেশ রসগোল্লা মিষ্টি দৈ পোলাও চানাচুর ঝালমুড়ি’!
পুরি শুধু তীর্থ না, পুরি খাদ্যও। অতএব শুরু হয়ে গেল বালকের খাদ্যের ট্রেন!
প্রতিবছরের মত এবারও ডিসেম্বরে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে অনেকের মাথাব্যাথা শুরু হয়েছে। এর আগে অনেক এ নিয়ে চিল্লাচিল্লি হয়েছে। এবারেও হচ্ছে। তিন না ত্রিশ? অনেকে তো আরও সরেস। তারা বলছে, ত্রিশ লাখ না হাজার! কেউ তো পারলে বলে, যুদ্ধই হয়নি!
আর একটা প্রশ্ন বরাবরের মতই উঠছে- “১৬ ডিসেম্বর ভারত সেলিব্রেট করছে কেন?” আসলে যুদ্ধটা কার সাথে হয়েছিল? এটা কি বাংলাদেশ-পাক যুদ্ধ ছিল না পাক-ভারত?
অনেকে অনেকবার এ নিয়ে বলেছেন। কিন্তু ‘গরু একটি গৃহপালিত প্রাণী! এর দুইটা চোখ আর চারটা ঠ্যাং আছে!’
খালেদা জিয়ার এখনকার বক্তব্য শুনলেও উপরের গল্পগুলো মনে পড়ে। শাহরুখ খানের প্রত্যেকটা মুভিতে যেমন অন্তত একবার ‘তুঝে দেখা তো ইয়ে জানা সানাম’ এর মিউজিক ব্যাকগ্রাউন্ডে বেজে ওঠে ঠিক তেমনই খালেদা জিয়া বক্তৃতা করলেই মুক্তিযুদ্ধ টেনে আনবেন আর বিতর্ক সৃষ্টি করবেন।
প্রথমেই আসি বেগম জিয়ার একটা উক্তিতে। তিনি বলেছেন, “তিনি(শেখ মুজিব) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি”।
এটার জবাব আমি দেব না, আমি কেউই নই। দেবেন এমন একজন মানুষ যিনি বেগম জিয়ার সাথে খুব ক্লোজলি রিলেটেড। মনজুর আহমেদ। মনজুর আহমেদ হলেন সেই সাংবাদিক যিনি সর্বপ্রথম বেগম জিয়ার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন ৭১ এর বন্দীশালা থেকে মুক্তির পর। এবং সবচেয়ে বড় ব্যাপার, সেটাই ছিল পত্রিকার পাতায় তার প্রথম আত্মপ্রকাশ।
“একদিন একটি মিছিলে বক্তৃতা করে বঙ্গবন্ধু যখন ঘরে ঢুকছিলেন তখনই তাঁকে পাকড়াও করলো পশ্চিম জার্মানীর দুজন সাংবাদিক। টেপ রেকর্ডারের লম্বা চোঙাটা এগিয়ে ধরে জিজ্ঞেস করলো- ‘আপনি কি প্রকারান্তরে সার্বভৌম অধিকার দাবী করছেন?’ সাথে সাথেই জবাব দিলেন বঙ্গবন্ধু, ‘নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই। জনগনের সার্বভৌম অধিকার। দেশ শাসনের সার্বভৌম অধিকার। এক কথায় সার্বভৌমত্বই তো আমি চাই।’
আমাদের এক সাংবাদিক বন্ধুও বঙ্গবন্ধুর এই উক্তি টেপ করে নিয়েছিলেন। পরে বাড়ীর অঙ্গনে এক গাছের ছায়ায় বসে এটি আবার আমরা ক’জন বাজিয়ে শুনছিলাম। কোথা থেকে দেখতে পেয়ে হঠাৎ ছুটে এলেন বঙ্গবন্ধু। গায়ে গেঞ্জি পরনে লুঙ্গি। আসন গেড়ে বসে পড়লেন আমাদের পাশে ঘাসের ওপর। বললেন, ‘আবার বাজা। আমিও একটু শুনি।’ মনোযোগ দিয়ে তিনি পুরোটা শুনলেন। তারপর হেসে উঠে বললেন, ‘তোরা এই কথাগুলি লিখবি নাকি?’ বললাম, ‘অবশ্যই’। একটু যেন কপট আপত্তি তুলে বঙ্গবন্ধু বললেনঃ ‘এটা তো তোদের বলিনি। বলেছি জার্মান সাংবাদিকদের কাছে।’ সাথে সাথেই আমাদের জবাব- ‘এতো আপনার প্রকাশ্য উক্তি। একান্ত সাক্ষাৎকার তো নয়’।” (সেই বিভীষিকাময় রাত/ একাত্তর কথা বলে, দ্বিতীয় সংস্করণ, মে ১৯৯২;)
আপনার নিশ্চয়ই জানার কথা (যদি সামান্য লেখাপড়াও করে থাকেন), সার্বভৌমত্ব হল একটি রাষ্ট্রের মৌলিক উপাদান যা নিশ্চিত করে রাষ্ট্রের চরম ক্ষমতা। বঙ্গবন্ধু নিঃসন্দেহে সমগ্র পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব চাননি। অবশ্য আপনি জিজ্ঞেস করতে পারেন, “কীভাবে বুঝলেন তিনি পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব চাননি?”। উত্তর হল- সেই দেশই সার্বভৌম যা বহিঃবিশ্বের আক্রমণ হতে মুক্ত। আর কেউ কি বলতে পারবেন যে সে সময় কোন রাষ্ট্র পাকিস্তান আক্রমণ করেছে? স্পষ্টতই তিনি পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব চাননি। আর একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রে অবস্থান করে আরেকটি সার্বভৌম রাষ্ট্র চাওয়া কি স্বাধীনতা দাবি করা নয়?
বেগম জিয়ার কথাটা ধোপে টেকে?
এবারে আসি শহীদদের সংখ্যা নিয়ে। এজন্য আমাদের একটু অংক করতে হবে। না না আপনাদের বাইনোমিয়াল থিয়োরির কোন জটিল অংক করতে বলছি না। সামান্য যোগ বিয়োগ জানলেই যথেষ্ট।
আমরা জানি, একাত্তরে নব্বই হাজারেরও বেশি (প্রায় তেরানব্বই হাজার) পাক সৈন্য আত্মসমর্পণ করে মিত্রবাহিনীর কাছে। এখন প্রত্যেক আর্মি যদি মাত্র ৩ জন করেও বাঙালি হত্যা করে, তাহলে সংখ্যাটা হয় ২ লাখ সত্তর হাজারের মত। যদি ৪ জন করে হত্যা করে তবে সংখ্যাটা হয় ৩ লাখ ষাট হাজার। ৫ জন করে হত্যা করলে হয় সাড়ে চার লাখ। অনেকে তিন লাখ শহীদের কথা বলছে, যদি একজন মাত্র ৪ জন করেও হত্যা করে থাকে তবুও এই ‘তিন লাখ থিয়োরি’ খাটে না।
এবারে একটু বাকশালি হিসেব করি, কেমন? হিসেব মতে একজন পাক আর্মি ২৬ জন করে বাঙালি হত্যা করেছে। এটাকে আদর্শ ধরলে মোট শহীদের সংখ্যাটা দাঁড়ায় ২,৩৪০,০০০ জন (তেইশ লাখ চল্লিশ হাজার)। বিশ্বাস না করলে আপনিও ক্যালকুলেটর দিয়ে গুন করে দেখতে পারেন।
ছাব্বিশ জন করে হত্যা করেছে, এটাই বা বলছি কীকরে? এটা হল এভারেজ একটা রেট। যুদ্ধ শুরু হয়েছে ২৬ মার্চ আর শেষ হয়ে ১৬ ডিসেম্বর। মানে প্রায় ২৬০ দিন (আসলে ২৬৭ দিন)।
এবারে ঐকিক নিয়ম করি।
১ জন পাক আর্মি ২৬ জন বাঙালি হত্যা করে ২৬০ দিনে।
অতএব, ১ জন পাক আর্মি ১ জন বাঙালি হত্যা করে ২৬০/২৬=১০ দিনে।
একাত্তরে পাক আর্মি যা করেছিল, সেটা একটা গণহত্যা। একটি গণহত্যায় একজন আর্মির পক্ষে ১০ দিনে ১ জন হত্যা করা কি খুব অসম্ভব? দেশের মানুষকে না চেয়ে দেশের মাটিকে চাওয়া, পাক বাহিনীরা কি ২৬৭ দিনে একেকজন মাত্র ৩/৪/৫ টা করে মানুষ মারবে?
এবারে আসি জেনোসাইড ওয়াচের একটি রিপোর্টে। এই সংস্থাটি গণহত্যা বিষয়ে গবেষণা করে।
‘’The number of death in Bangladesh in 1971 was almost certainly well into seven figures. It was one of the worst genocides of the World War 2 era, outstripping Rwanda (800000 killed) and probably surpassing Indonesia (I million to 1.5 million). As R.J RUMMEL writes.
The human death toll over only 267 days was incredible. Just to give for five out of eighteen districts some INCOMPLETE STATISTICS. In Bangladesh newspapers or by an inquiry Committee, the Pakistan army killed 100,000 in Dacca, 150,000 in Khulna, 75,000 in Jessore, 95,000 in Comilla, and 100,00 in Chittagong. For eighteen districts the total is 1,247,000 killed. This was an INCOMPLETE TOLL, and to this day no one really knows the final toll……”
অনুবাদ করলে দাঁড়ায়- “একাত্তরে বাংলাদেশে নিহতের সংখ্যাটা নিযুতের ঘরে। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর এটা পৃথিবীর নিকৃষ্টতম গণহত্যাগুলোর মধ্যে একটা। এই গনহত্যা রুয়ান্ডা আর ইন্দোনেশিয়ার গণহত্যাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে।
২৬৭ দিনে মোট নিহতের সংখ্যাটা বিরাট। ১৮ টি জেলার (তখন আঠারটি জেলায় বিভক্ত ছিল দেশ) মধ্যে পাঁচটি জেলার নিহতের সংখ্যার একটি অসম্পূর্ণ রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে, পেপার আর তদন্ত কমিটির মাধ্যমে। পাকিস্তানি আর্মি ঢাকায় ১ লাখ, খুলনায় দেড় লাখ, যশোরে পচাত্তুর হাজার, কুমিল্লায় পঁচানব্বই হাজার আর চট্টগ্রামে ১ লাখ মানুষ হত্যা করেছে। আঠারটা জেলা মিলিয়ে মোট নিহতের সংখ্যা ১২ লাখ সাতচল্লিশ হাজার। কিন্তু এটা একটা অসম্পূর্ণ রিপোর্ট। আসলে মোট নিহতের সংখ্যাটা এখন পাওয়া প্রায় অসম্ভব।”
আবারও বলছি, এটা একটা incomplete statistics।
এই ইনকমপ্লিট হিসেব কে আদর্শ ধরলেও, শুধু ঢাকা, চট্টগ্রাম আর খুলনার নিহতের সংখ্যা যোগ করলে সাড়ে তিন লাখ হয়!
এবারে একটি চিঠির দিকে তাকাই। একাত্তরের চিঠি। চিঠিটির লেখক শহীদ কাজী নুরুন্নবি। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ছাত্র ছিলেন তিনি।
“আম্মা,
সালাম নেবেন।
আমি ভাল আছি এবং নিরাপদেই আছি। ............ এখানে গতকাল ও পরশু পলিশ বনাম আর্মির সাংঘাতিক সংঘর্ষ হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত আমরা জিততে পারিনি।
রাজশাহী শহর ছেড়ে লোকজন সব পালাচ্ছে। শহর একদম খালি। মিলিটারি কামান ব্যবহার করছে। ২৫০ জন পুলিশ মারা গেছে, ৪ জন আর্মি মারা গেছে। মাত্র। রাজশাহীর পরিস্থিতি এখন আর্মির আয়ত্তাধীনে আছে। .........”
একবার ভেবে দেখুন যেখানে পাক আর্মির সামনে সশস্ত্র পুলিশ নিহত হয়েছে ২ দিনে ২৫০ জন, সেখানে নিরীহ মানুষ কতজন নিহত হতে পারে?
এবারে আরেকটা প্রশ্নের জবাব দেই। যদি শুমারির কাজটা একবার হয়েই থাকে, তাহলে আবার শুমারি করে কেন জানার চেষ্টা করা হচ্ছে না?
হ্যাঁ, চমৎকার প্রশ্ন। উত্তর দেয়ার আগে একটা জোক বলি।
দুজন চাকরি (চাকুরি না চাকরি?) প্রত্যাশী ছেলে একটা চাকরির ইন্টার্ভিউ দিতে গিয়েছে। একজন ইন্টার্ভিউ বোর্ডকে আগেই টাকা খাইয়ে রেখেছে। আরেকজন এসেছে মেধা দিয়ে লড়তে।
যাই হোক, যে ঘুষ দিয়েছে, তাকে জিজ্ঞেস করা হল, “বলুন তো, একাত্তরে পাকিস্তানি আর্মি কতজন বাঙালি হত্যা করেছে?”
উত্তর করলো সে, “ত্রিশ লাখ”।
এবারে যে ঘুষ দেয়নি তাকে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করার পালা। তাকে জিজ্ঞেস করা হল, “এবার তুমি ঐ ত্রিশ লাখ শহীদের নাম বল।”
লে ঠ্যালা!
উপরে জোকটা চমৎকার সন্দেহ নেই। কিন্তু এখানে অধিকতর চমতকার একটা ব্যাপার আছে। সেটা হল, ‘ত্রিশ লাখ শহীদের নাম বলা অসম্ভব”!
এটা গণহত্যা, মিছিলের মধ্যে গুলি চালানো নয়। অনেকে হয়তো বলবে, গণকবরের কথা, সেখান থেকে হিসেব করলেই তো হয়! কিন্তু অগুনতি লাশ যে নদীর পানিতে ভেসে গেছে, নর্দমায় পচে গেছে, দাফন হয়নি কত মানুষের, তাদের হিসেব কি চাঁদে দেখা যাবে? আর একাত্তর পরবর্তী দুর্ভিক্ষের সাথেও এর যোগসূত্র মেলানো যায়। দুর্ভিক্ষটা তো আর শখ করে বাংলাদেশ বেড়াতে আসেনি। এরকম একটা ‘ম্যাসাকারের’ পর দুর্ভিক্ষ হওয়া স্বাভাবিক, যখন ভেঙে পড়েছে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। সে দুর্ভিক্ষের দায়ভার কে নেবে?
এই দায়ভার তাদের উপর না চাপালেও, শহীদদের সংখ্যা পাওয়াটা অসম্ভব। কারণ এতে দুর্ভিক্ষে মৃত আর যুদ্ধে নিহতের মধ্যে গুবলেট পাকিয়ে যেতে পারে।
আর কোন গণহত্যার শহীদদের সংখ্যা সঠিকভাবে নিরূপিত হয়েছে, বলতে পারেন? একটা উদাহরণ দেখান যেখানে শহীদদের লিস্ট আছে। আমি তো জানি না। শুধু একটা দেখান। যদি দেখাতে পারেন, আমি সিগারেট ছেড়ে দেব, আমার জিএফের এক্স বয়ফ্রেন্ডের কসম।
যারা তিন লাখ তিন লাখ করে চেঁচাচ্ছে, তাদের কথা শুনলে মনে হয়, ত্রিশ লাখ হত্যা করা অপরাধ, আর তিন লাখ হত্যা করা অপরাধই না! মানে ত্রিশ লাখের জায়গায় তিন লাখ হলে পাকিস্তানের সব দোষ মাফ! খালেদা জিয়ার বক্তৃতার ভিডিও দেখেছি। তিনি বলেছেন, ‘এতো লক্ষ’। ‘এতো লক্ষ’ শব্দ দুটি তিনি যেভাবে উচ্চারণ করেছেন, তা শুনে শুধু বিদ্রূপের কথাই মনে আসে। অথচ তিনি একাত্তরে তিনি নিজেই নির্যাতিত হয়েছিলেন!
এবারে, আরেকটা ক্যাচালমূলক প্রশ্নে আসি। ‘ভারত কেন সেলিব্রেট করছে এই বিজয়?’। ভারতীয় আর্মি কেন তাদের এফবি স্ট্যাটাসে ‘বিজয় দিবস’ লিখে পোস্ট করলো?
৩রা ডিসেম্বর পাকিস্তান ভারতে বিমান হামলা চালালে ভারত এই যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পরে। ইন্দিরা গান্ধী সেইদিনই মধ্যরাতে ঘোষণা করেন, ‘বাংলাদেশে যে যুদ্ধ চলে আসছিল তা ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পরিণত হয়েছে।’
আসলে পাকিস্তান যদি ভারত আক্রমণ না করত, তবে ভারত সরাসরি এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারত না। পাকিস্তানের সেই ভারতে বিমান হামলা আমাদের জন্য একটা আশীর্বাদ ছিল। ভারত চাইছিল যুদ্ধ যেন তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। কারণ এককোটি শরণার্থীর বোঝা ছিল তার কাঁধে। এককোটি বিশাল একটি সংখ্যা। আর শরণার্থী সমস্যাটা যে কতো বড়, তা বর্তমান সিরিয়া পরিস্থিতি থেকেই বোঝা যায়।
ভারতীয় আর্মি মুক্তিবাহিনীর সাথে মিলিত হয়ে মিত্রবাহিনী বা যৌথবাহিনী গঠন করলে যুদ্ধ ত্বরান্বিত হয়। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান আত্মসমর্পণে বাধ্য হয় একপ্রকার।
এখন বলছি, কেন ভারতীয় আর্মি, ‘বিজয় দিবস’ লিখে এফবিতে স্ট্যাটাস দিয়েছে। কারণটা হল, পাক আর্মি আত্মসমর্পণ করেছিল যৌথবাহিনীর কাছে, মুক্তিবাহিনীর কাছে নয়। আত্মসমর্পণের দলিলে স্পষ্ট লেখা আছে-
“The Pakistan Eastern Command agree to surrender all PAKISTAN Armed Force in BANGLADESH to Lieutenant-General JAGJIT SING AURORA, General Officer Commanding in Chief of the Indian and Bangladesh forces in the Eastern Theatre.”
তাই এই বাহিনীটা যেমন আমাদের বিজয়, তেমনই ভারতীয় আর্মিরও বিজয়। তাই তারা এই দিনটাকে সেলিব্রেট করবে না কেন? হোয়াই দিস কোলাবেরি ডি?
শরণার্থীর কথা যখন এসেই গেছে, তখন আরেকটা হিসেব করি। এক কোটি লোক আশ্রয় নিয়েছিল ভারতে। ১ জন শরণার্থীর খাওয়া ও চিকিৎসা (অন্যান্য মৌলিক চাহিদা বাদই দিলাম) বাবদ যদি এখনকার হিসেবে ৩০ টাকাও খরচ হয়, তাহলে ২০০ দিনে খরচ হয় ৬০০,০০০০০০০০ (ছয় হাজার কোটি) টাকা। ছয় হাজার কোটি টাকা শরণার্থী খাতে ব্যায় করলে, একটা দেশের অর্থনীতিতে কতোটা চাপ পড়বে ভেবে দেখুন। আজকাল সিরিয়ান শরণার্থী নিয়ে অনেকে অনেক জ্ঞানগর্ভ পোস্ট দিচ্ছেন, অথচ তারাই ভারত বিরোধিতা করছে সবচেয়ে বেশি। শুধু মাত্র, এককোটি মানুষকে আশ্রয় দেয়ার জন্য হলেও তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিৎ। এই এককোটি দেশে থাকলে, আরও অন্তত দশ লাখকে পাক আর্মি হত্যা করত। অথচ, আজ আমাদের দেশপ্রেম ভারত বিরোধিতাতেই সীমাবদ্ধ!
এবারে জিয়াউর রহমানের লেখার একটা ছোট্ট অংশ শেয়ার করি। অন্য অনেকের লেখার অংশ তুলে ধরতে পারতাম। কিন্তু জিয়ার লেখা যেহেতু হাতের কাছে আছে, তারটা তুলে ধরাই শ্রেয় মনে করছি-
“স্কুল জীবন থেকেই পাকিস্তানীদের দৃষ্টিভঙ্গির অস্বচ্ছতা আমার মনকে পীড়া দিত। আমি জানতাম, অন্তর দিয়ে ওরা আমাদের ঘৃণা করে। স্কুল জীবনেই বহু দিনই শুনেছি আমার স্কুল-বন্ধুদের আলোচনা। তাদের অভিভাবকরা বাড়ীতে যা বলতো তাই তারা রোমন্থন করতো স্কুল প্রাঙ্গণে। আমি শুনতাম, মাঝে মাঝেই শুনতাম তাদের আলোচনার প্রধান বিষয় হতো বাংলাদেশ আর বাংলাদেশকে শোষণ করার বিষয়। পাকিস্তানী তরুণ সমাজকে শেখানো হতো বাঙালীদের ঘৃণা করতে। বাঙালীদের বিরুদ্ধে একটা ঘৃণার বীজ উপ্ত করে দেওয়া হতো স্কুল ছাত্রদের শিশু মনেই। শিক্ষা দেওয়া হতো তাদের বাঙালীকে নিকৃষ্টতর মানব জাতি রূপে বিবেচনা করতে।”
(একটি জাতির জন্ম/ জিয়াউর রাহমান)
শেষ করার আগে, জেনারেল নিয়াজীর একটি সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ তুলে ধরছি।
“প্রশ্নঃ- ৩রা ডিসেম্বর আপনি যখন বুঝতে পারলেন যে, পশ্চিম পাকিস্তান থেকে অতিরিক্ত আর কোন সৈন্য আসবে না তখন নিজস্ব সম্পদ থেকে আপনি কেন ঢাকার প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করলেন না?
নিয়াজীঃ- সবগুলো সেক্টরে একই সঙ্গে যুদ্ধের চাপ এসে পড়েছিল। তাই কোন সেক্টর থেকে সৈন্য প্রত্যাহার সম্ভব ছিল না।
প্রশ্নঃ- ঢাকায় আপনার কাছে যেটুকু শক্তি ছিল, তা দিয়েও কি আপনি যুদ্ধকে আরও দিন কয়েকের জন্য দীর্ঘায়িত করতে পারতেন না?
নিয়াজীঃ- কেন তা করতে যাব? সেক্ষেত্রে ঢাকার নর্দমাগুলো মৃতদেহ ভরে উঠত আর রাস্তায় লাশের পাহাড় হতো। ঢাকার নাগরিক জীবনের মারাত্মক অবনতি হতো আর মহামারী আকারে রোগ-ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ত। অথচ যুদ্ধের ফলাফল একই হতো। আমি পশ্চিম পাকিস্তানে এই ৯০,০০০ যুদ্ধবন্দী ফিরে নিয়ে যাওয়া শ্রেয় মনে করেছি। না হলে পশ্চিম পাকিস্তানে ফিরে গিয়ে আমাদের ৯০,০০০ বিধবা মহিলা আর লাখ পাঁচেক এতিম বাচ্চাকে মোকাবেলা করতে হবে। আমার কাছে যুদ্ধে এভাবে আত্মহুতি মূল্যহীন মনে হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের ফলাফল তো একই হতো।
প্রশ্নঃ- শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে গেলে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইতিহাস তো উজ্জ্বল হতো। যুদ্ধের ইতিহাসে এই বীরত্বগাথা উতসাহব্যঞ্জক নতুন অধ্যায় হিসাবে সংযোজিত হতো।
লে। জেনারেল নিয়াজী এ প্রশ্নের আর কোন জবাব দেননি।
(আমি বিজয় দেখেছি/ এম আর আখতার মুকুল)
উপরে নিয়াজীর সাক্ষাৎকারটা কেন দিলাম জানি না। পোস্টের সাথে কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু পড়ার সময় কেমন গর্ব হচ্ছিল। সেই গর্বের ভাগ দিতেই এটা তুলে দিলাম।
এতো কথার পরও, আবার শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক হবে। কারণ, “গরু একটি গৃহপালিত পশু। গরুর চারটা ঠ্যাং আর একটা লেজ আছে”!
২২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৫
আরিফ রহমানের ‘তিরিশ লক্ষ শহীদ, বাহুল্য নাকি বাস্তবতাঃ রিসার্চ-পেপার, ডিকশনারি, এনসাইক্লোপিডিয়া অনুসারে শহীদের সংখ্যা নিরূপণের প্রয়াস’ পড়ুন- blog.mukto-mona.com/2014/12/16/43911

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: চমৎকার সব প্রমানপত্র আর যুক্তির উপস্থাপন। কিন্তু তাহারা কি মানবেন এসব কথা? তাহারা তো অনেক আগেই নিজেদের সর্বস্ব বিকিয়ে দিয়েছেন তাহাদের নামে।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: তাদের জন্য করুণা

২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:

এখনো, ২ দিনে গণনা করা সম্ভব কি পরিমাণ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে; এটা বের করলে ভালো হতো, মানুষ আনুমানিক ও আসল সংখ্যা দুটোই জানতে পারতেন।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ওটা বের করাও এখন অসম্ভব| জানতে পারলে ভাল হত নিঃসন্দেহে| তবে ২ দিনে ২৫০ জনকে পুলিশ হত্যা থেকেই বোঝা যায় তারা হত্যায় কত পারদর্শী ছিল

৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



রাজনৈতিক পোষ্টে মন্তব্য করা একরকম ছেড়েই দিয়েছি এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ক পোষ্ট দেখলেও এড়িয়ে চলি। এই নিয়ে লেবু এত কচলানো হয়েছে যে এখন তিক্ততা এসে গেছে। পক্ষ-বিপক্ষ দলাদলি কমতো হলো না।

আমার বাবা আর আর আমার বন্ধুর বাবা দুইজনেই মুক্তিযুদ্ধ করেছে। এটাই মেনে নিতে হবে। কিন্তু যদি এখন দুইজনে ঝগড়া করি যে কার বাবা বেশী যুদ্ধ করেছে তাইলেই সমস্যা। মুক্তিযুদ্ধে দুই জন বাবারই গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু সমস্যা এমন পর্যায় এসে দাঁড়িয়েছে যে এখন দুইজনেই দুইজনের বাবার যুদ্ধকেই অস্বীকার করছি। আর ঢিল ছুঁড়লে পাটকেলটি খেতেই হয়।

ভ্রাতা আপনার পোষ্ট দেখে ঢুঁ মারতে এসে এখন মন্তব্য না করেও পারছিনা।

আমি ইচ্ছে করেই আপনার পোষ্টের সব দিক এড়িয়ে যেতে চাইছি। দেশটায় এখন এতবেশী পরিমাণে জল ঘোলা হয়েছে যে এখন চারদিকে পানি শূণ্যতা দেখা দিয়েছে। নদীর পানি শুকিয়ে সব মরুভূমি হতে চলেছে। তবে একটা দিক নিয়ে না বললেই নয়, ভারত আমাদের যুদ্ধে সাহায্য করেছিলো। এমন সাহায্য আমাদের সেনারা এখন ইউএন এর কল্যাণে অনেক যুদ্ধেই করে থাকে। তাই বলে কি যুদ্ধের নাম পরিবর্তন হয়ে যায় ? যুদ্ধটা ছিলো আমাদের এবং পাকিস্তানের মাঝে। মোটেও ভারত-পাকিস্তানের মাঝে নয়। তাহলে তারা কীভাবে দাবী করে যে পাক-ভারত যুদ্ধ ? যুদ্ধে শহীদ হলো আমাদের দেশের মানুষ, সম্ভ্রম হারালো আমাদের মা-বোনেরা আর কৃতিত্ব তাদের কারণ তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে তাই ? জেনারেল ওসমানী উপেক্ষিত থেকে গেলেন ! হায়রে আমার কোলাবেরী... ডিউড !!!


তবে আমার খুব খারাপ লাগে ২৫ শে মার্চ কালো রাতের ঘটনাটা মনে হলে। রাতের আঁধারে কত মানুষ নির্বিচারে প্রাণ দিয়েছিলো... মনের ভেতর একটা আক্ষেপ খুব কাজ করে।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কান্ডারি ভাই, আমি এখানে কারো অবদানকে ছোট করার বিষয়টা দেখাইনি| অবশ্যই আমাদের ত্রিশ লাখ হত্যা করা হয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে দু লাখের অধিক নারী| কিন্তু তার মানে এটা না যে যুদ্ধে ভারতের অবদানকে ভুলে যেতে হবে| আমার জানা মতে এ যুদ্ধ কয়েক হাজার ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়| তারা কাশ্মীরে যুদ্ধ যায়নি| তারা এদেশে এসেই মিত্রবাহিনী হিসেবে যুদ্ধ করেছে| তাদের যুদ্ধকে অস্বীকার করতে পারিনা| একাত্তরের ভারত পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করলে তার সমাপ্তিও হয় ১৬ তারিখ| সেদিন তারা সেলিব্রেট করবে না কেন

৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯

আনোয়ার ভাই বলেছেন: সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল- বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া শহীদের সংখ্যা নিয়ে কেন বিতর্ক করবেন। এতে কি তিনি বাংলাদেশের মানুষের সমর্থন পাবেন ? দেশ নিয়ে যেহুতু ওনার রাজনীতি- দেশের স্বার্থ দেখাই জরুরী। পাকিস্তানের পক্ষে গেলে বাংলাদেশের জনগণ কেন ওনাকে সমর্থন দেবেন ?
দারুন এই পোস্টের জন্য লেখক কে ধন্যবাদ।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আসলে তিনি আওয়ামিলীগের বিরোধিতা করতে গিয়ে পুরো বাংলাদেশেরই বিরোধিতা করে ফেলছেন| আওয়ামিলিগ মুক্তিযুদ্ধের ধ্বজাধারী| তারা এর এন্টি কিছু করতে গিয়েই এই অবস্থা| আমরা তো এমন দুইটি প্রধান রাজনৈতিক দল চাই| চাই ক্ষমতাশীল ও বিরোধি সকল দল হোক মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের

৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৮

যোগী বলেছেন:
কান্ডারি অথর্বের একটা নিদারুন ফাল্তু কমেন্ট দেখে লগইন করলাম। তার আগে বলে নেই পোষ্ট দাতা একটা অসাধারন লেখা লিখেছে।

@কান্ডারি অথর্ব, যুদ্ধ সব সময় শুধু দুইটা দেশের মধ্যে হয় না। অনেকগুলা দেশের মধ্যে যুদ্ধ হতে পারে। যেমন দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ। যেমন জাপানিজ ট্রুপ সেই সময় যুদ্ধ করেছে আমেরিকা আর বার্মা সিমান্ত দিয়ে ব্রিটিশদের সাথে। এখন জাপানিরা চাইলে বলতেই পারে এটা তাদের জাপান-ব্রিটেন যুদ্ধ বা জাপান-আমেরিকা যুদ্ধ।

ওকে আপনার কথাকে অতিরিক্ত সাপোর্ট দেয়ার জন্য ধরে নিলাম ৭১ এ ইন্ডিয়ান সোলজাররা বাংলাদেশে আসেনি যুদ্ধ করার জন্য বা কোন ইন্ডিয়ান সোলজার বাংলাদেশে নিহত হয়নি।
কিন্তু আপনি কি জানেন ৭১ এ ভারত তাদের কাশ্মির সিমান্ত দিয়ে পাকিস্থান কে আক্রমন করেছিল। বাংলাদেশের মাটিতে ছাড়াও ইন্ডিয়ানরা ৭১ এ পাকিস্থানের মূল ভূখন্ডে যুদ্ধ করেছিল।
এখন যদি তারা নিজেদের মত বলে সেটা তাদের আর পাকিস্থানের যুদ্ধ ছিল। আর সেই যুদ্ধটা ছিল অনেকটাই অন্য ইসুতে কারন তারা আগেও অনেক বার পাকিস্থানের সাথে তাদের যুদ্ধ হয়েছে।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: যে যুদ্ধ কাশ্মির সীমান্তে শুরু হয়েছিল তার সমাপ্তিও হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর

৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৮

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: উত্তম জবাব

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য

৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬

যোগী বলেছেন:
আরও একটা ব্যাপার বলতে চাই ৭১ এ প্রায় ১ কোট মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। সেই সময় শরনার্থী ক্যাম্পে কলেরা, ডাইরিয়া মহামারী আকার ধারন করেছিল। অনেককে মারা গেছে অনাহারে। ১ কোটির মধ্যে কতজন মানুষ বাংলাদেশে ফিরে এসেছে তার কোন সঠিক হিসাব নাই।

এখন ভারতে যে সব বাংলাদেশিরা মারা গিয়েছিল তার দায় কার?
তাদের কী স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে?
তারা কেন গনহ্ত্যার মধ্যে পড়বেনা?

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: শরনার্থী মৃত্যুর দায়ও পাকিস্তানের উপর বর্তায়| কারণ এক কোটি বাঙালি ভ্রমণ করতে ভারত যায়নি| জীবনের ভয়ে পালিয়েছে| শরনার্থী শিবিরের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা পড়লেই তাদের অবস্থা বোঝা যায়|
যুদ্ধের পরের দুর্ভিক্ষের দায়ভারও তাদের| সে সময় আমেরিকা সাহায্য করতে পারত| কিন্তু তারা পাকিপক্ষে থাকায় সাহায্য করেনি| আর এমনি এমনি তো তা আসেনি| যুদ্ধের পরের বিশৃঙ্খল সমাজব্যাবস্থা এর জন্য অনেকটা দায়ী

৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



@যোগী ভাই আপনি অস্কার পাওয়ার মতো একটা কমেন্ট করেছেন বিধায় ফিরে এলাম পোষ্টে।

আমি কি কমেন্টে কোথাও অস্বীকার করেছি ভারত আমাদের যুদ্ধের সময় সাহায্য করেনি ? আপনি বলছেন ভারত যদি বলে তারা পাকিস্তানের সাথে অন্য ইস্যুতে যুদ্ধ করেছে তাহলে তারা সেটা বলতেই পারে !!! এবং তারা সেটাকে পালনও করবে ১৬ই ডিসেম্বর এবং সেই জগজিৎ আরোরা সিংহের সাথে ফাকিস্তান আর্মির আত্ম সমর্পণের ইস্যুকে কেন্দ্র করে তাহলে বলতেই হয় ভাই, পাকিস্তানের সাথে ভারতের যুদ্ধের ইস্যুটা তাইলে কি ছিলো ? ভারত যদি বলে যে, পাকিস্তানের অত্যাচার থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে তারা এই যুদ্ধ অংশ নিয়েছিলো তাহলে সমস্যা কোথায় ? কিন্তু তারা পাক-ভারত যুদ্ধ বলে চালিয়ে দিচ্ছে আর আমরাও তাদের দাবী মেনে নিচ্ছি। যেন পাক-ভারত যুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ নামক একটি দেশের জন্ম হয়েছে। আসলে যুদ্ধটা আমাদের আর ফাকিস্তানের মধ্যে ছিলোনা।

ভারতের অবদান অস্বীকার করার নেই, বরং এই ক্ষেত্রে তাদের যেসব সোলজার প্রাণ দিয়েছিলো তাদের প্রতি সন্মান দেখাতেই হবে কিন্তু তাদের অন্যায্য দাবীর প্রতি সমর্থন জানানোটা কতটা যৌক্তিক ? আর তারা যদি অন্য কোন ইস্যু নিয়ে পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধের কথা বলতো তাহলেও হতো। কিন্তু তারা ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর এর কথাই বলছে। আজকে ভারত যদি এইটা বলে দিবসটা পালন করতো যে বাংলাদেশের বিজয় দিবসে তাদের আত্মত্যাগের বিজয় তাহলে আমার আবেগটা তাদের প্রতি আরও কয়েকগুন বেশী বেড়ে যেত।

উত্তেজিত হবেন না ভাই। আগে বিষয়টা বুঝুন, বিষয়টার গভীরতা ভাবুন তারপর বলুন। নতুবা চিলে কান নিয়ে গেছে আর সবাই ছুটছে তার পেছনে ব্যাপারটা এমনই হয়ে যাবে।

৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
১৯৭১ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ হয়েছিলো, এটাত মিথ্যা না। ভারত মুক্তিযুদ্ধাদের পক্ষ নিয়ে ১০ দিন যুদ্ধ করেছিলো সেটা প্রতিপক্ষ সুধুমাত্র পাকিস্তান। বাংলাদেশ ছাড়াও পশ্চিমপাকিস্তান ফ্রন্টেও ব্যাপক যুদ্ধ হয়েছিল। ভারতীয় পালটা হামলা করে মুলযুদ্ধটা সেখানেই সুরু হয়েছিল। পুর্ব ফ্রন্টে বিমান হামলা ছাড়া বাকিটা ছিল পাকি পলায়ন।
এক্ষেত্রে ভারত তাদের দৃষ্টিতে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বললে কোন ভুল হয়না, মুক্তিযুদ্ধ মিথ্যে হয়ে যায় না।
ভারত তো কাজে ও বক্তব্যে অলটাইম মুক্তিযুদ্ধকে সম্মান ও সমর্থন দিয়ে গেছে।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সহমত

১০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পৃথিবীর কোন বড় গণহত্যার পর লাশের সংখা গোনা সম্ভব হয়নি, নাম-ঠিকানা লিপিবদ্ধ করা তো আরো বহুদুরের ব্যাপার,
সুধু বড় কেন, রিসেন্ট ছোটমাপের গণহত্যার লাশের সংখাও গোনা সম্ভব হয়নি। রুয়ান্ডা, বসনিয়ার জেনসাইড ফিগারগুলো আইকনিক রাউন্ড ফিগার।
আমাদের ৩০ লাখের মত ৬০ লাখ ইহুদি হত্যাও আইকনিক রাউন্ড ফিগার।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন দুই বছরের তদন্ত শেষে ৩৬৭ জনের একটা তালিকা তৈরী করা খুবই প্রসংসনীয় উদ্যোগ। তার মানে এইনা যে সিরাজগঞ্জে মোট নিহতের সংখা ৩৬৭ জন। বরং বলতে হবে "বিপুল নিহতের ভেতর এজাবৎ ৩৬৭ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে।

৭২ এ ১০ই জানুয়ারী মুজিব লন্ডনে হঠাৎ না জেনেই ৩০ লাখের কথা বলেন নি।
২৫সে মার্চের পর পাকি সামরিক জান্তা সকল বিদেশী সাংবাদিক ঢাকা থেকে বিতারিত করেছিল। এরপর কোন বিদেশী ঢুকতে দেয়া হয়নি। মার্কিন টেলিভিশন CBS News ও ন্যাসানাল জিওগ্রাফিক পত্রিকা প্রকৃতি গবেষনার কথা বলে যুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে এসে রিপোর্ট লিখেছিল -
পুর্বপাকিস্তানে ভয়াবহ গণহত্যা হচ্ছে, নিহতের সাম্ভ্যাব্য সংখা ২ মিলিয়ন ক্রস করতে পারে। (যুদ্ধের মাঝামাঝি সময়েই ২০লাখ)
১৬ ডিসেমবর সোভিয়েট পত্রিকা প্রাভদা লিখেছিল ৩০ লাখের কথা।
৭১ এর ডিসেম্বর বালাদেশের পুর্বদেশ ও আজাদ পত্রিকায় ৩০ লাখের কথা কয়েকবার এসেছে।
ডিসেম্বর জুড়ে রেডিওতে বিপুল জনপ্রীয় চরমপত্রে ১৬ই ডিসেমবরের পর "৩০ লাখ ও একসাগর রক্তের বিনিময়ে" বলা হতে থাকে।

সুতরাং মুজিব মোটামুটি খোজখবর নিয়েই সুষ্পষ্ট ভাবে ৩০ লাখ বলেছেন।
অতচ এক বেকুব বুদ্ধিজীবি টকশোতে বলছেন মুজিব না বুঝে লাখকে মিলিয়ন বলেছেন!
মানে বোঝাতে চেয়েছেন মুজিব ইংরাজি বুঝেন না, বকলম!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: যারা বলছে তারা বুদ্ধিজীবি না, দুর্বুদ্ধিজীবি|
ধন্যবাদ দরকার ছিল মন্তব্যটার এই পোস্টে

১১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪

যোগী বলেছেন:
আপনার জানা উচিৎ অতিতকালে ভারত পাকিস্থানের সাথে অনেকবার যুদ্ধ করেছে। আর সেই সব যুদ্ধ হয়েছে তাদের নিজেদের সিমান্ত ইসু নিয়ে। (আপনার প্রশ্ন: পাকিস্তানের সাথে ভারতের যুদ্ধের ইস্যুটা তাইলে কি ছিলো ?)
ঠিক সেই ভাবেই ৭১ সালে ভারতিয় বাহিনী পাকিস্থানের কাশ্মির সিমান্তে যুদ্ধ করে। আর বাংলাদেশ-পাকিস্থান যুদ্ধ ছাড়াও সেই যুদ্ধটাও বন্ধ হয় ১৬ ডিসেম্বরে। আমাদের এখানে একটা দুর্ভাগ্য সেই সময় পাকিস্থান সেনা প্রধান ভারতিয় সেনা প্রধানের কাছে আত্বসমর্পনের করেছিল।

এখন যদি ভারতিয়রা বলে ৭১ এর ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্থানিরা এক সাথে দুইটা যুদ্ধ হেরেছে। এক ভারতের সাথে, দুই বাংলাদেশের সাথে। তাহলে আপনার কি বলার আছে?

তাই ১৬ই ডিসেম্বর ভারতিয়রা তাদের বিজয় দিবস পালন করে তাদের মত করে। আমরা পালন করি আমাদের মত করে।

১২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


জী আমি খুব ভাল ভাবেই এইসব বিষয়ে জ্ঞাত আছি। বরং আপনার জ্ঞাতার্থে বলছি ভারতের সাথে এখনও কি কাশ্মির ইস্যু নিয়ে পাকিস্তানের কোন সুষ্ঠু সমাধান হয়েছে ? আর ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর কাশ্মির ইস্যুতে যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে তাদের মাঝে এই তথ্য কই পাইলেন ভাই ? কারগিলে ১৯৯৯ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মাঝে যে যুদ্ধ হয় সেইটার কেন তাইলে প্রয়োজন হলো ?
তাইলে আর ভারত পাকিস্তানের সাথে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর কীভাবে জয়ী হলো ?

আর বিজয় দিবসের মানে কি ? দুইটা দেশ বহুদিন ধরে একে অপরের সাথে দন্দের কারণে যখন কোন বিষয়ে সমাধানে আসে তখন তাকে বিজয় বলা হয়। এইটা যুদ্ধের মাধ্যমেও হতে পারে আবার শান্তি চুক্তির মাধ্যমেও হতে পারে। কাশ্মির আর বাংলাদেশ এক ইস্যু নয়। বাংলাদেশ ভারতের কোন ভূখন্ড নয় যে পাকিস্তান থেকে আলাদা করে তারা তা পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। আর ভারত সেই দেশ ভাগের পরেই যখন সব দেশ আলাদা আলাদা হয়েছে তখনই ভারত স্বাধীনতা পেয়েছে।

আমার প্রশ্নটা হলো ভারত বিজয় দিবস পালন যখন খুশী করুক এই নিয়ে নয়। যখনই তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বিষয়ে বিশেষ করে যখন পাকিস্তান আত্মসমর্পণ করে এবং আমরা পাই বিজয় সেই ইতিহাস তুলে ধরে তাদের বিজয় দিবস বলে আখ্যা দেয় তখনই খারাপ লাগে। যদিও এতে আমাদের ইতিহাস মিথ্যে হয়ে যায় না কিছুতেই। কিন্তু যেহেতু ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র তাই আক্ষেপ থেকে বলি যে, প্রিয় বন্ধু দেশ ভারত ১৯৭১ এর ১৬ই ডিসেম্বর আপনারা অবশ্যই বিজয় দিবস পালন করুন কিন্তু শুধু পাক-ভারত যুদ্ধ না বলে আমাদের নামটিও বলুন কারণ আমাদের মাটিতেই সেই আত্মসমর্পণটির ঘটনা ঘটেছিলো।

এই বিষয়ে পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক করাটা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।
ভাল থাকুন যোগী ভাই।

আর আন্তরিক ক্ষমা চাইছি পোষ্ট দাতার কাছে অহেতুক আপনার পোষ্টে এই নিয়ে তর্ক হয়ে গেলো।

১৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

প্রামানিক বলেছেন: আরও একটা ব্যাপার বলতে চাই ৭১ এ প্রায় ১ কোট মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। সেই সময় শরনার্থী ক্যাম্পে কলেরা, ডাইরিয়া মহামারী আকার ধারন করেছিল। অনেককে মারা গেছে অনাহারে। ১ কোটির মধ্যে কতজন মানুষ বাংলাদেশে ফিরে এসেছে তার কোন সঠিক হিসাব নাই।

এখন ভারতে যে সব বাংলাদেশিরা মারা গিয়েছিল তার দায় কার? তাদের কী স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে? তারা কেন গনহ্ত্যার মধ্যে পড়বেনা?


যোগীর কথাগুলোও ভেবে দেখার মত।

ধন্যবাদ ভাই আরণ্য রাখাল। চমৎকার সব প্রমানপত্র আর যুক্তির উপস্থাপনা খুবই ভাল লাগল। অনেক সুন্দর একটি পোষ্ট।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হ্যা| এ দায়ভারও তাদের উপর পড়ে| কারণ তারা ইচ্ছে করে যায়নি, যেতে বাধ্য করা হয়েছে| তাদের সেই সময়ের বেহাল অবস্থা ও অনেকের মৃত্যুর জন্য পাকিস্তানিরাই দায়ী নিঃসন্দেহে|
ধন্যবাদ অনেক

১৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩

যোগী বলেছেন: @কান্ডারি অথর্ব, আমি খুব ভাল ভাবেই জানি ভারতে এই ব্যাপারটা নিয়ে আপনার কথা বলার আসল উদ্দেশ্য কী। বিশেষ করে যখন পাকিস্থান ৭১ এ তাদের পুরা গনহত্যাটাই অস্বীকার করছে আর সেখানে আপনার কোন কথা পাওয়া যাচ্ছে না।

এ্যানিওয়ে, ভারত শুধু একটা ইসুতেই পাকিস্থানের সাথে যুদ্ধ করেনি তাদের আরও অনেক ইসু ছিল, যেমন পান্জাব ইসু, ধর্মীয় ইসু। তারা বহুবার যুদ্ধ করেছে বহুবার বিজয় লাভ করেছে। এমন কী এখনো তাদের খন্ড খন্ড যুদ্ধ চলছে। তাই তারা যখন খুশি তখন সেই বিজয় পালন করবে সেটা একান্ত তাদের বিষয়।
বিজয় মানেই সমাধান আপনাকে এই কাহীনি কে শিখাইছে? পাকিস্থানের সাথে কী আমাদের সব বিষয় সমাধান হয়েছে? বিজয় স্বাধীনতা সম্পুর্ন আলাদা জিনিস সেটাও আপনাকে বুঝতে হবে।

যখনই তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বিষয়ে বিশেষ করে যখন পাকিস্তান আত্মসমর্পণ করে এবং আমরা পাই বিজয় সেই ইতিহাস তুলে ধরে তাদের বিজয় দিবস বলে আখ্যা দেয় তখনই খারাপ লাগে।
কেন বার বার ভুলে যাচ্ছেন আমাদের বিজয়ের সময় প্যারালালি আরও এক যায়গায় যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে। এখন ভারত যদি বলে ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্থানি জেনারেল ভারতিয় জেনারেলের কাছে আত্নসমর্পন করেছে। সেটা যেখানেই হোক। আপনার কী বলার আছে?
আপনি কী জানেন না একই দিবস শিয়ারা এক নামে পালন করে আবার সুন্নীরা আর এক নামে পালন করে? এখানে কে কাকে আটকাবে?
এই পৃথিবীতে বন্ধু রাষ্ট্র বলে সত্যই কি কিছু আছে? তারাও সিমান্তা আমাদের লোক মেরেছে আমরাও পাকিস্থানি গোয়েন্দাদের দ্বারা ভারতীয় উলফাদের কাছে ট্রাকের পর ট্রাক অস্ত্র পাচার করে দিয়েছি। কোথাই সত্যিকারের বন্ধুত্ব?

১৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



@যোগী

আপনার এই মন্তব্যের পর আপনার সাথে আর তর্ক করা চলেনা। আলোচনা হচ্ছিলো ভারতের বিজয় দিবস পালন নিয়ে। সেখানে কিসের মধ্যে কি টেনে আনলেন ? যারা পাকিস্তানের গণহত্যা অস্বীকার করে তারা ছাগু। আর ছাগলদের যাই বলা হোক না কেন এরা থাপ্পড় খেয়েও মাথা নাড়াবে। তাই ছাগুদের কাঁঠাল পাতা খেতে দিতেই ভাল মনে করি। এদের সাথে আলোচনা চলে না। আরেক প্রজাতির আছে গরু। এদের সাথেও আলোচনা চলে না। কারণ এরা শুধু হাম্বা বলে জাবর কাটতেই পছন্দ করে।

এই পোস্টের আমার প্রথম মন্তব্যের শেষ লাইনটা কি আপনার দৃষ্টি এড়িয়ে গেল নাকি ? নাকি ভারত শব্দটি দেখেই আর নিজেকে সংযত রাখতে পারলনে না ?

বিজয় আর স্বাধীনতা অবশ্যই এক শব্দ নয়। কিন্তু বিজয়ের পরেও যে যুদ্ধ লেগে থাকতে পারে তার উদাহরণ ভারত-পাকিস্তান। আর পাকিস্তানের থেকে ন্যায্য দাবি দাওয়া আদায় করতে না পারাটা যুদ্ধের পরবর্তী সময়ের আমাদের ব্যর্থতা। তবে যদি এখনও সেইসব আদায় করে নিতে পারি তবে গর্বে বুকটা ভরে যাবে। বুক থেকে পাথর নেমে যাবে। কিন্তু এর সাথে বিজয়ের কি সম্পর্ক। আমরা স্বাধীন এবং আমরা বিজয় পেয়েছি আমাদের আত্মত্যাগে। আমি বিশ্বাস করি আমার বাবা-চা, ফুফুদের অবদান বৃথা যেতে পারেনা।

কিন্তু কথা একটাই ভারত যে কোন দিন তাদের বিজয় দিবস পালন করুক আমার আপত্তি নেই। ভারত আমাদের যুদ্ধে সাহায্য করেছে সেটাও আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। তবে ১৬ই ডিসেম্বর শুধুই পাক-ভারত যুদ্ধ কথাটা মেনে নেয়া যায় না। যেহেতু তারা বলছে ১৬ই ডিসেম্বর। সাথে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কথাও চলে আসে।

আর একটি বিজয় পরিপূর্ন তখনই যখন সমাধান পুরোপুরি হয়। নতুবা সেটা অমিমাংসিত যুদ্ধ। এখানে বিজয় দিবস পালন করাটা যৌক্তিক নয়। যদি ফাকিস্তানের সাথে ভারতের যুদ্ধ ইঙ্গিত করে তারা বিজয় দিবস পালন করে তাহলে আমি আবারও বলবো মে মাস থেকে জুলাই মাসে হয়ে যাওয়া ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধ নিয়ে তাদের অভিমত কি ?

ভাই, আমরা বাংলাদেশীদের যদিও অন্য দেশ নিয়ে মাথা ব্যথার কোন কারণ নেই কিন্তু এখানে মাথা ঘামালাম যেহেতু ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র তাই।

তবে আপনার শেষ কথাটা খুব ভাল লাগছে। এই পৃথিবীতে বন্ধু রাষ্ট্র বলে আসলেই কিছু নাই। এইটা বারবার প্রমাণিত হচ্ছে। সেটা ভারত, পাকিস্তান, আমেরিকা, চীন, রাশিয়া যাই বলিনা কেন!

সবথেকে বড় কথা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সবার আগে।

১৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১২

যোগী বলেছেন: @অথর্ব

আর পাকিস্তানের থেকে ন্যায্য দাবি দাওয়া আদায় করতে না পারাটা যুদ্ধের পরবর্তী সময়ের আমাদের ব্যর্থতা। তবে যদি এখনও সেইসব আদায় করে নিতে পারি তবে গর্বে বুকটা ভরে যাবে। বুক থেকে পাথর নেমে যাবে। কিন্তু এর সাথে বিজয়ের কি সম্পর্ক। আমরা স্বাধীন এবং আমরা বিজয় পেয়েছি আমাদের আত্মত্যাগে। আমি বিশ্বাস করি আমার বাবা-চা, ফুফুদের অবদান বৃথা যেতে পারেনা।

আর একটি বিজয় পরিপূর্ন তখনই যখন সমাধান পুরোপুরি হয়। নতুবা সেটা অমিমাংসিত যুদ্ধ। এখানে বিজয় দিবস পালন করাটা যৌক্তিক নয়।

আপনার উপরের ঐ দুইটা কথার মিনিং কী এক?

১৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আরে ভাই দুইটার মিনিং এক হইতে যাবে কোন দুঃখে ? একটা হইল আমাদের যুদ্ধের কথা যেখানে আমরা বিজয়ী। আমরা ফাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন হয়েছি। আরেকটা হইলো ভারত যেটা বলছে যে পাক-ভারত যুদ্ধ সেটা। কিন্তু পাক-ভারত যুদ্ধের সমাধান কি তখন হয়ে গিয়েছিলো ? তারপরেও কি তারা আর যুদ্ধ করেনি ?

হইছে ভাই অনেক তর্ক হইছে। এই নিয়ে আর তর্ক করতে চাইনা। মুক্তিযুদ্ধ তার আপন মহিমায় উজ্জ্বল। এখানে যে যাই বলুক তাতে মুক্তিযুদ্ধের মর্ম অবিনশ্বর। যেহেতু ভারতের একই দিনে বিজয় দিবসের প্রসঙ্গ এসেছে তাই বলেছি এই যুদ্ধটা শুধুই পাক-ভারত যুদ্ধ ছিলোনা। যুদ্ধটা আমাদের স্বাধীনতারও ছিলো।

ধন্যবাদ আপনাকে যোগী ভাই। ভাল থাকবেন। আমাদের নিজেদের ইতিহাস, নিজেদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নিজেদের মধ্যে মতভেদ থাকাটা অনুচিত। কারণ আমরা সবাই বাংলাদেশী।

১৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৯

নেক্সাস বলেছেন: যুদ্ধটা কি বাংলাদেশের সাথে শুরু হয়েছিল না ভারতের সাথে?
যুদ্ধে ভারত আগে আসছে না ভারত আগে?
যুদ্ধে ভারত মূল শক্তি না ভারত মূল শক্তি?
মুক্তিবাহিনী মূল শক্তি ছিল না মিত্রবাহিনী?

উত্তর যদি প্রথম টা হয় তাহলে সেটা কিভাবে পাক-ভারত যুদ্ধ হয়? কেন বিদেশে ১১ বছর অবস্থান কালে ভারতীয় কলিগদের কাছ থেকে হাজারবার আমাকে শুনতে হয়েছে ভারত বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছে। যদি তাদের কত সত্য তাহলে ৩ লক্ষ কি ৩০ লক্ষ - ৩০০ লক্ষ ....সমস্ত শহীদের কি মূল্য থাকে? তাহলে আমি আমি মুক্তিযোদ্ধা পিতার জন্য গর্বিত হই কেন?

তিনিতো আমাকে দেশ দেন নাই দেশ দিয়েছে ভারত।

আর যারা বলবেন বা বিশ্বাস করেন উত্তর ২য় টা তাদের সাথে দেশ- মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোন আলোচনায় যাওয়ার কোন লজিক দেখিনা।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা ঠিক ধরতে পারলাম না| আমি কখনোই বলছি না যে যুদ্ধটা শুধু পাকভারত ছিল| যুদ্ধটা আমাদের| তারা জড়িত ছিল বলে তারা সেলিব্রেট করছে বিজয়টা| এতে রাগান্বিত হওয়ার কিছু নেই| কেউ কেউ বলছে তারা নাকি বিজয় চুরি করেছে| বিজয় কেমনে চুরি হয় বুঝতে পারছি না

১৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১২

যোগী বলেছেন: আমরা যেমন পরিপূর্ন ভাবে পাকিস্থানের কাছ থেকে সব কিছু আদায় করতে পারিনি। বাংলাদেশ-পাকিস্থান টেনশন এখনো চলছে।
অন্য দিকে ভারতও পাকিস্থানের কাছ থেকে সব কিছু আদায় করতে পারেনি। তাদেরও টেনশন চলছে। জাস্ট রুপটা ভিন্ন তারা পাশা পাশি হওয়ার কারনে।

ওকে আমিও তর্ক বন্ধ করলাম। আপনিও ভালো থাকেন। @ অথর্ব

নেক্সাসের প্রশ্নের কেও উত্তর দিতে পারবে বলে মনে হয় না, তার প্রশ্নের আগা মাথা কিছুই বোঝা যায় না।

২০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৯

মিতক্ষরা বলেছেন: সামগ্রিক ভাবে ভিকটিমের সংখ্যা তিরিশ লাখ হওয়া সম্ভব। কারন আর্মি অধ্যুষিত থাকার কারনে বিরূপ পরিবেশে রোগ ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে বহু মানুষ মারা যায়। আমার খুব কাছের একজনের কাছে তার ৭১ এর অভিজ্ঞতা শুনেছিলাম। তার বাচ্চা মারা যায় ঠান্ডা লেগে। সম্ভবত নিমোনিয়া হয়ে যায়। পাক বাহিনী আসছে শুনলেই পরিবারের সবাই পাট ক্ষেতে লুকিয়ে যেত। সেখান থেকেই বাচ্চা মেয়েটির ঠান্ডা লাগে। এরকম উদাহরন বেশ কমন।

আর্মেনিয়ান জেনোসাইডের যে দাবী করা হয়ে থাকে, সেখানেও নিহতের কারন মূলত রোগ ব্যধি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তুরষ্ক আর্মেনিয়ানদের নির্বাসনের হুকুম দেয়ায় এই দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটে থাকে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অনেকটা একারণেই শহীদদের সংখ্যাটা নির্ণয় করা কঠিন| পাকবাহিনীর প্রধান একটা লক্ষ্য ছিল হিন্দু নিধন| অগণিত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ হত্যা করা হয়েছিল| যুদ্ধের সময় ও পরে তারা দেশ ছেড়ে নিরাপত্তার তাগিদে ভারতে চলে যায়| একারণে কত হিন্দু নাগরিক হত্যা হয়েছে তা সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায় না|

২১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪০

কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: বাহ! যা শুরু হইছে প্রশ্ন জাগা উচিত না হইলেও প্রশ্ন জাগতে বাধ্য। ৩০ লাখ ইয়েস? ৩০ লাখ নো? এই দেশে সকল ব্যাপারের মত এই ব্যাপারেও আমরা দ্বিধাবিভক্ত। কয়দিন পর পিচ্চি বাচ্চারে বার্থডে জিগাইলে উত্তর পাওয়া যাবে বাবার কথা মত অমুক দিন, মায়ের কথামত তমুক দিন, সার্টিফিকেটে সেই সাল, পাসপোর্টে ওই সাল। এফেডেভিট লাগবে। জন্ম নিয়াও বিতর্ক শুরু হইয়া যাবে। ভালো তো, ভালো না?

ইন্ডিয়া বিজয় দিবস পালন করতেছে বাংলাদেশের নাম নেয়নাই, বাংলাদেশ বিজয় দিবস পালন করতেছে, বাঙ্গালীও ভারতের নাম নেয় না। সবাই নিজের মত চলতেছে, চলুক। এইটাই নিজ নিজ দেশের পপুলার ডিমান্ড।

পাকিস্তান সম্মান রাখার জন্য বলবে আমরা ভারতের কাছে হারছিলাম। ভারত ক্রেডিট নেয়ার জন্য বলবে আমরাই যুদ্ধ কইরা সব উদ্ধার করছিলাম। বাঙ্গালী বলবে ভারত না আসলেও আমরা দুইদিনে সব উড়াইয়া দিতাম, সেই পথেই ছিলো মুক্তিযোদ্ধারা। কিন্তু আসল বাস্তবতা হইলো এই যুদ্ধ ৯ মাস কেন, হয়তো ৯ বছরেও শেষ হইতে পারতোনা যদি ভারতের সাহায্য না থাকতো। মুক্তিযোদ্ধাদের গুল্লি দিছে কে? কে দিছে অস্ত্র? হাওয়া থাইকা আসছিলো? এক শেখ মুজিব কিংবা একশ জিয়া দেশ এতো অল্প সময়ে স্বাধীন করতে পারতোনা যদি এই সাহায্য না থাকতো, সেইটা স্বার্থের জন্যই হোক আর মানবিকতার খাতিরেই হোক। আবার পপুলার সাপোর্ট না থাকলে নিজের আরো লাখ পাচেক সেনা ঢুকাইয়া দিলেও ভারত কচুটাও উদ্ধার করতে পারতোনা। তিন লাখ সেনা কিন্তু লাস্ট ১৩ দিনে পুর্বের রনাঙ্গনে ছিলো। ছিলো না? মুক্তিযোদ্ধা আর স্থানীয় জনগন ফাইনাল থার্স্টটা ইজি করে। নরমাল গতিতে চললে পাকিস্তানীদের পতনটা আরো অনেক বেশি সময় পরেই হইতো যদিও ততদিনে মুক্তিবাহিনীকে ভারতীয়রা বেশ ভালো স্ট্রাকচারেই দাড় করাইতে পারছিলো। কিন্তু ইন্ডীয়ান এয়ার, নেভাল আর কনভেনশনার সেনাদের ফায়ার সাপর্ট ছাড়া সুইপিং কইরা আগাইয়া যাওয়ার অবস্থায় পৌছাইতে আরো বেশ অনেকটাই সময় লাগতো। এই যুদ্ধটা আমরা একসাথে লড়ছিলাম, আমরা বাচার তাগিদে, ভারতীয়রা স্বার্থে কিংবা মানবিকতার খাতিরেও। কিন্তু কেউ কারো অবদান মানতেই চাইনা। পাকিস্তানীদের কথা অপ্রাসঙ্গিক, ওরা কি বলে নিজেরাই জানে না। দেশের জাতীয় দৈনিকে ১৮ তারিখেও ছাপা হইছে পুর্ব রনাঙ্গনে ওদের সেনারা বিপুল বিক্রমের সাথে লড়তেছে। গুড জোক, নিজের জনতার সাথেই।

২২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৯

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আরণ্যক পোস্টতো লেবু হইয়া গেল।

যাই হোক অসাধারণ লিখেছো।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বাধ্য হইছি লেবু কস্লাইতে

২৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫২

আলস বলেছেন: অনেক ভাল লাগলো আপনার পোস্টটা পড়ে। অনেক নতুন তথ্য পেলাম!!!

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: নতুন কিছুই বলিনি। নতুন বোতলে পুরনো মদ।
ছাগুদের জ্বালায় বিরক্ত হয়ে লিখেছি

২৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩

আলস বলেছেন: অনেক ভাল লাগলো আপনার পোস্টটা পড়ে। অনেক নতুন তথ্য পেলাম!!!

২৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫

কল্লোল পথিক বলেছেন: অনেক চিন্তার বিষয়

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: চিন্তার কিছু নেই। শহীদ হয়েছেন ত্রিশ লক্ষ। এতে যারা সন্দেহ করছে তারা ছাগু
ধন্যবাদ আপনাকে

২৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯

ধ্রুব নয়ন চৌধুরী বলেছেন: শুনেছি বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের বুদ্ধি লোপ পায়। কিন্তু, পাকি বেগমের বুদ্ধি যে হাঁটুর নিচে টা জানা ছিল না। অবশ্য খালেদার কাছে এর বেশি আশা করাটাও বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়।

২৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধ্রব, খারাপ বলেননি

২৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ,

২৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: কোন পক্ষেরই রেফারেন্সের আভাব নাই, সবাই হিসাব মিলাতে চেস্টা করছে, কেউ ৩০ লাখ টার্গেট কোরে কেউ ৩ লাখ। ছোট বেলাই পকেট মানির জন্য বাজারের টাকা মেরে দিতাম, হিসাব ঠিকই মিলিয়ে রাখতাম। বাপারটা একেবারে ঐ পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে সকল পক্ষের উচিত সঠিক সংখ্যা নিরুপনে সুসংগঠিক ও নিয়মতান্ত্রিক একটা গবেষণা শুরু করা।
শহিদের সংখা ৩০ লাখ না হয়ে ৩ লাখ হলেও বর্বরতার দায় কমে না, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবও কোন আংশে কমে না। কিন্তু প্রকৃত সংখ্যা ৩/১২/৩০/৪০ যাই হোক নিরুপন না করলে জাতি হিসাবে দায় থেকে যায়।

৩০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২

ডি মুন বলেছেন: যারা তিন লাখ তিন লাখ করে চেঁচাচ্ছে, তাদের কথা শুনলে মনে হয়, ত্রিশ লাখ হত্যা করা অপরাধ, আর তিন লাখ হত্যা করা অপরাধই না!

------------ আমারও এটাই প্রশ্ন !!!!!!!

৩১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমি এপর্যন্ত যত তিন লাখ থিওরিওয়ালা লেখা পড়েছি, একটাকেও যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি| শুধুমাত্র বিরোধিতার জন্য বলা| আর কিছু নাহ| আর সঠিক সংখ্যা নিরূপনের ব্যাপারে আগেই বলেছি| ওটা জাস্ট অসম্ভব| একটা ঘূর্ণিঝরে নিহতের একজ্যাক্ট সংখ্যাটা বের করাটাই অসম্ভবের কাছাকাছি, সেখানে এটাতো গনহত্যা|
পৃথিবীর কোন গণহত্যারই নিহতের সংখ্যা জানা যায়নি| কিন্তু তাদের আমাদের পার্থক্যটা হল ওরা মৌলিক বিষয় নিয়ে বেহুদা প্রশ্ন তুলেনি| অন্তত ওরা শহীদদের সম্মানটুকু করে, আমরা তাও করি না

৩২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪১

রাফসি ইসলাম বলেছেন: যুদ্ধকালে কতজন মানুষ শহীদ হয়েছিলো তা কেউ বলতে পারেনা।
শুধু অনুমান করে ধরা হয় এতজন মারা গেছে।

তাহলে বেগম জিয়া তো ভুল কিছু বলে নাই।

আওয়ামীলীগ ই পরিষ্কার পানি জলঘোলা করে।

৩৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সেইজন্যই গুরু কইছে, গরু একটি গৃহপালিত পশু

৩৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৩

কাজী কামরুল ইসলাম বলেছেন: ঠান্ডা মাথায় খুন ৩০ লাখ বা ৩ লাখ অথবা ১ জন, অপরাধের মাত্রাতো ঐ একই। মুক্তিযুদ্ধে যদি ১জন ও শহীদ হয়ে থাকে তাতে কি হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর বর্বরতা কোন অংশে হ্রাস পায়?
স্থান কাল পাত্র ভেদে সব কিছুই রূপ বদলায়। আমাদের কাছে যেটা মুক্তির যুদ্ধ, ভারতের কাছে সেটা পাক-ভারত যুদ্ধ। পাক-ভারত যতবার যুদ্ধ হয়েছে ততবার যুদ্ধবিরতি অথবা শান্তিচুক্তির মাধ্যমে য়ুদ্ধের সমাপ্তি হয়েছে শুধুমাত্র ১৯৭১ ছাড়া। ‘৭১এ ই পাকবাহনিী মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করেছে।যেহেতু যৌথবাহিনীর কমান্ডার ছিলেন ভারতীয় সেহেতু ভারত সেটা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিজয় দিবস পালন করতেই পারে, তাতে কি আমাদের মুক্তির যুদ্ধের গৌরব ম্লান হয়ে যায়?
জেনারেল ওসমানী ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান সেনাপতি, ভারতের প্রধান সেনাপতি ছিলেন মানেকশ আর পাকিস্তানের জেনারেল ইয়াহিয়া। আত্মসমর্পনটা হয়েছিল মিত্রবাহিনী(বাংলাদেশ বাহিনী+ভারতীয় পূর্বান্চলীয় কমান্ড)র কাছে।সঙ্গত কারনেই ওসমানী ঐ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন না।

৩৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ, কামরুল ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য

৩৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ফেবু ও ব্লগে এ দুদিনে ছাগুদের স্ট্যটাস-কমেন্ট পর্যলাচনা করে যা বুঝলাম -
ইশু - (৩০ নয়, ৩ লাখ আর ভারত মুক্তিযুদ্ধ না বলে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ কেন বলেছে।)
ফেবুতে শতশত ও ব্লগে প্রায় দেড়শো পোষ্ট করেছে ছাগুরা, মুক্তিযুদ্ধ পক্ষ মাত্র ৮ - ১০ টা পোষ্ট।

যা বুঝলাম, মুক্তিযুদ্ধকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য পেশাদার ছাগু ও ছাগুসমর্থকরা সংগবদ্ধ ভাবে বদ্ধপরিকর।

মুজিব তখন ৩ লাখ বললেও লাভ হত না, ওরা তখন আরো কমিয়ে ৩ হাজার বলতো, তালিকা চাইতো।

ভারতীয়রা ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ না বলে সুধু "মুক্তিযুদ্ধ" বললে ওরা আরো ভয়ানক ইশু তৈরি করতো।
তখন বলতো "মুক্তিযুদ্ধ করেছি আমরা, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের। ভারত কেন মুক্তিযুদ্ধ বলবে? এটা কি ভারতীয় মুক্তিযুদ্ধ?
ভারতীয়রা কি মুক্তিযুদ্ধা?

৩৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৬

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: শহীদ কারা?
যারা যুদ্ধ করতে গিয়ে মারা গেছে তারা নাকি যারা ঘরে বসে মারা গেছে তারাও শহীদ।?
একটা যুদ্ধে ৩ ধরনের মানুষ মারা যায়। ১। সম্মুখ যুদ্ধে ২। প্রতিপক্ষের গোলা বারুদের আঘাতে যাকে সাধারণ মানুষ বলা হয়। ৩। শরণার্থী শিবিরগুলোতে খাদ্যের অভাবে। এখানে মুলত শিশুরায় বেশি মারা যায়।
আমার কথা হচ্ছে, ২নং এবং ৩ নং ক্ষেত্রে যারা মারা গেছে তারা কি শহীদের মর্যাদা পাবে?
আর একটা কথা, যুদ্ধে কত জন মারা গেছে এটার ওপর কি যুদ্ধের ফল নির্ধারণ হয়? যারা যুদ্ধে মারা গেছে তারা কি জানতো কবে যুদ্ধ শেষ হবে আর যুদ্ধে কত মানুষ মারা যাবে? তারা তাদের নৈতিক জায়গা থেকে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল। আর আজ আমরা তাদের সংখ্যাগত হিসাব নিয়ে তর্কে লিপ্ত। লজ্জা থাকা উচিত, মানবিক লজ্জা। একজন শহীদের জীবন আমরা ফিরিয়ে দিতে পারবো ৩০ লক্ষ মানুৃষের জীবনের বিনিময়ে।
কিছু সুবিধা বাদী মানুৃষের পাল্লায় পড়ে আজ আমরাও পাগলের মতো প্রমাণ হাজির করছি। কিসের প্রমান একবারও ভাবছিনা। কাগজে কলমে শহীদের সংখ্যা, পাকিস্তানি আর্মি জনপ্রতি কতজন মারলো তার হিসেবে। কি লাভ হবে, যে সংশয় প্রকাশ করেছে তারচেয়ে আমরা কেউই যুদ্ধ সম্পর্কে বেশী জানি না। আমাদের মনে রাখা উচিত " ঘুমন্ত মানুষকে জাগানোর বৃথা চেষ্টা না করাই ভালো "।

৩৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: এটা খুব ভাল বলেছেন হাসান ভাই| মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে এত কম পোস্ট এসেছে যে ভাবতেও খারাপ লাগে| অথচ প্রতিটা পেজে একজন অন্তত ছাগুর পোস্ট আছেই আছে| মুজিব না হয় এসে ভুলে তিন লাখ বলেছে| পরে তো ভুল সংশোধন করত| তা তো তিনি করেননি| প্রতিবার ত্রিশ লাখই বলেছেন|
প্রথম প্রথম কিছু পোস্টে গিয়ে প্রতিবাদ করেছি| পরে দেখলাম সেটা জলে যাচ্ছে| যুক্তিহীনের সাথে কথা বলা চলে না

৩৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ইন্ডিয়া জুজু থেকে শুরু করে "বিতর্কিত" শহীদদের সংখ্যা- সংখ্যাটা বিতর্কিত নাকি শহীদ শব্দটা; ইন্ডিয়া কি জুজু ছিলো নাকি সাহায্যকারী; এসব কিছু ভুলে গিয়ে আসুন আমরা খাল কাইটা তামাতামা কৈরা কুমিরদের আবাসস্থল বানাই 8-| ধন্যবাদ।

৪০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: রাজনীতি নিয়া মোটেও ইন্টারেস্ট নাই। আবার বুঝিও কম। পোস্টের বক্তব্য যতটা মাথায় ঢুকছে , অনেক কমেন্টের এর সরলার্থ আমি করতে পারি নাই। ভাবছিলাম কমেন্ট করমু না কিন্তু ব্যাপারটা রাজনৈতিক যাইই হোক না কেন ব্যাপারটা 'মুক্তিযুদ্ধ'। খালেদা জিয়া সবসময় বিতর্কিত মন্তব্য যেমন কইরা আসছে তেমনি পালন করছে জন্মদিনও। সে নির্যাতিত হইছে কি হয় নাই, মুজিব দেশকে বেইচ্যা দিছে কি দেয় নাই এইসব অমুক তমুক দেখতে দেখতে আর ভালো লাগে না। যুদ্ধটা ভারতের সাথে পাকিস্তানের হইছে না বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের হইছে এতো এতো বিকৃতির কথা মানুষের মাথায় ক্যামনে খেলে! এরপর সজীব ওয়াজেদ জয়ের বক্তব্য! কেউ কাউরে সম্মান দিয়া কথা বলে না, সংখ্যাটাই বড়। তিন লক্ষ কেন তিন জন মানুষ মরলেও তো সেটা হত্যা, মৃত্যু!

৪১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বাধ্য হয়ে লেবু কচলাইছি| আর এই ব্যাপারটা নিয়া যাদের সন্দেহ তাদের সম্মান করতে পারি না

৪২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৩

ভীমরুলের হুল বলেছেন: একেবারে ফাটায় দিসেন ,।

৪৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: :)

৪৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


ক্রমাগত হারতে হারতে হতাশ। পেছনে দেয়াল। এবার একটাই পথ, তা হলো বাচ্চাশিশুদের মতো গালিবাজি বা মিথ্যাচার করা। গোয়েবলসিয় কায়দায় একাধিকবার বলতে থাকলে, অথবা সকলের মিলে বলতে থাকলে, নতুন প্রজন্মের কাছে সেটিই হবে নতুন সত্য।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আছে, ডকুমেন্টারি আছে, দলিলপত্র, ভিডিওক্লিপ, পেপারকাটিং আছে। আছে বিদেশী সংবাদ মাধ্যম ও কূনটনীতিকদের নিজস্ব আরকাইভ। গবেষক অথবা লেখকেরা নাটক সিনেমা উপন্যাস লেখার সময় ওসব পড়েন। সবাই এসব পড়তে যায় না, তারা প্রয়োজনও মনে করে না। এটি অবিসংবাদিত এবং বাঙালির আবেগের স্থান। জনগণের সেই অংশটিকে বিভ্রান্ত করতে চায় পরাজিতরা। কিছুটা পেরেছেও।

৪৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বিভ্রান্ত করেই ফেলেছে| না হলে জলজ্যান্ত প্রমাণ দেখেও তারা অস্বীকার করবে কেন?
ইতিহাস পাল্টে যায় যদি বারবার এক কথা বলা হয়| আর ওরা তাই করছে

৪৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭

লেখোয়াড়. বলেছেন:
এখানে অনেকেই বলেছেন রাজনীতি পোস্ট এড়িয়ে চলেন, রাজনীতি নিয়ে ইন্টারেস্ট নেই। জানি, তারা বলছেন অনেক হতাশা নিয়ে। কিন্তু এই হতাশা থেকে বেরিয়ে আসতে তো আমাদেরকেই কাজ করতে হবে। ভবিষ্যত প্রজন্ম কোথায় দাঁড়াবে একবার ভেবে দেখছেন??

আরে, রাজনীতি তো আমার সংস্কৃতিরই একটি অংশ, তাকে এভাবে নষ্ট হতে দিতে পারি না।

যোগী আর ক্ন্ডারিকে ধন্যবাদ এখানো আলোচনা করার জন্য।

পোস্টদাতা আরণ্যককেও ধন্যবাদ।

৪৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হুম| হতাশ হওয়ার কিছু নেই আবার আছেও| এটলিস্ট ছাগুদের আমরা পাতা খাওয়াতে পারি

৪৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৬

আমি তুমি আমরা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।প্রিয়তে নিলাম। :)

৪৯| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

৫০| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৩

কিরমানী লিটন বলেছেন: লেখোয়াড়. বলেছেন:
এখানে অনেকেই বলেছেন রাজনীতি পোস্ট এড়িয়ে চলেন, রাজনীতি নিয়ে ইন্টারেস্ট নেই। জানি, তারা বলছেন অনেক হতাশা নিয়ে। কিন্তু এই হতাশা থেকে বেরিয়ে আসতে তো আমাদেরকেই কাজ করতে হবে। ভবিষ্যত প্রজন্ম কোথায় দাঁড়াবে একবার ভেবে দেখছেন??

আরে, রাজনীতি তো আমার সংস্কৃতিরই একটি অংশ, তাকে এভাবে নষ্ট হতে দিতে পারি না।

যোগী আর ক্ন্ডারিকে ধন্যবাদ এখানো আলোচনা করার জন্য।

পোস্টদাতা আরণ্যককেও ধন্যবাদ।

সহমত ...

নতুন বছরের শুভেচ্ছা প্রিয় আরণ্যক রাখাল ভাইয়াকে...

৫১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: :) :) নতুন বছরের শুভেচ্ছা

৫২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬

রাফা বলেছেন: ভাবছিলা এই পোষ্টে কমেন্ট করবোনা।কারন পোষ্টের প্রতিটি শব্দের সাথে আমি একমত।কিন্তু কান্ডারি আর যোগীর কমেন্টের জন্য একটি কমেন্ট করছি।

বাংলাদেশ ভার্সেস পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হয়েছিলো ২৬শে মার্চ স্বাধিনতা ঘোষণা করার পর থেকেই।ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধ শুরু হয়েছে ৩রা ডিসেম্বর থেকে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থায়ি ছিলো সেই যুদ্ধ।কাজেই তারা সেই যুদ্ধে মিত্রবাহিনী হিসেবে আমাদের সাথে যোগ দিয়েছিলো।এবং জয়ী হয়েছে সেটা তারা সেলিব্রেট করতেই পারে।জেনারেল মানেকশ নিজেই বলেছেন মুক্তিবাহনী বীর বিক্রমে যুদ্ধ করেছে বলেই এত দ্রুত স্বাধিনতা এসেছে।ভারতিয় বাহিনী আমাদেরকে সাহায্য না করলে ভিয়েতনামের মত মিনিমাম পাঁচ বছর লাগতো আমাদের স্বাধীনতা আসতে।

আর শান্তি রক্ষি বাহিনীতে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে নিয়মিত যুদ্ধ করেনা।আমরা মূলত শান্তি রক্ষায় কাজ করি।এটা সবার জেনে রাখা উচিত।

ধন্যবাদ ,সবাইকে।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: পোস্টে আসার জন্য ধন্যবাদ।
আমি যোগী আর কাণ্ডারি ভাইয়ের বিতর্কে যাইনি। কারণ যা বলার পোস্টেই বলে দিয়েছি। আর নতুন করে কিছু বলার নেই। আমি এটাকেই চির সত্য মানি। তাই বিতর্কে যেতে ইচ্ছে করেনি

৫৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: এককথায় চমৎকার লিখেছেন। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা আপনাকে।

৫৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: থেংকু| এটা ডিসেম্বর আসলে আবার পোস্টাবো| ছাগলদের দূর করার জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.