নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাতাল ঋত্বিক আমি, প্রেমকথা আমার ঋগ্বেদ

আরণ্যক রাখাল

মাতাল ঋত্বিক আমি, প্রেমকথা আমার ঋগ্বেদ

আরণ্যক রাখাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মারি নাইকো ধরি নাইকো বলি নাইকো দূর। সবেমাত্র বলেছি গোপাল, চরাও গে বাছুর ;)

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৪

রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কিছু লেখাটা বোধহয় সবচেয়ে সহজ, সবচেয়ে আরামদায়ক আর উষ্ণ। কথাটা এজন্য বলছি যে, তাকে নিয়ে লেখা যে কোন রচনায়, যত ইচ্ছা বিশেষণ ব্যবহার করা যায়! কবি, গল্পকার, ঔপন্যাসিক ইত্যাদি বিভিন্ন পরিচয় তো আছেই, সাথে যদি সুপণ্ডিত, চমৎকার ব্যক্তিত্বের অধিকারী, প্রজাপ্রেমী জমিদার ইত্যাদি বিশেষণে আধপাতা বা এক পাতা, চাই কি দুই পাতাও ভরিয়ে দেয়া যায়, কারও কিছু করার থাকবে না, বলার থাকবে না, মুখ বুজে পড়া ছাড়া। বাঙালি দুইটা কাজ- খুব ভালো, নিঃসন্দেহে পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের চেয়ে হাজার গুণে ভালো, করতে পারে। একটা প্রশংসা, আরেকটা প্রশংসার বিপরীত নিন্দা(কুৎসা)। রবীন্দ্রনাথের প্রশংসা যেহেতু প্রাণখুলে করা যায়, নিন্দাও করে অনেকে সমপরিমাণে, তাই রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে লেখার অভাব নেই।
তাই আমিও লিখতে বসেছি, সাহস করে। যদি খুব খারাপও লিখি, তাতেও কিছু আসবে যাবে না। এতো লেখার ভিড়ে জায়গা কৈ! অবশ্য আমার লেখাটা ঠিক রবি ঠাকুরকে নিয়ে নয়।
যাই হোক, কথায় কথা বাড়ে, তাই বলছি ছোট্ট করে, বলতে চাইছি লোকসাহিত্য নিয়ে। স্পেসিফিকালি বলতে গেলে, বলতে হয়, “বলতে চাইছি, ছেলেভুলোনো ছড়া নিয়ে”! রবি ঠাকুর “লোকসাহিত্য”-এ একস্থানে লিখেছেন- “আমাদের অলংকারশাস্ত্রে নয়া রসের উল্লেখ আছে, কিন্তু ছেলেভুলোনো ছড়ার মধ্যে যে রসটি পাওয়া যায়, তাহা শাস্ত্রোক্ত কোন রসের অন্তর্গত নহে। সদ্যঃকর্ষণে মাটি হইতে যে সৌরভটি বাহির হয়, অথবা শিশুর নবনীতকোমল দেহের যে স্নেহদবেলকর গন্ধ, তাহাকে পুষ্প চন্দন গোলাপজল আতর বা ধূপের সুগন্ধের সহিত এক শ্রেণিতে ভুক্ত করা যায় না। সমস্ত সুগন্ধের অপেক্ষা যেমন তাহার মধ্যে যেমন একটি আদিম সৌকুমার্য আছে; সেই মাধুর্যটিকে বাল্যরস নাম দেয়া যাইতে পারে। তাহা তীব্র নহে, গাঢ় নহে, তাহা অত্যন্ত স্নিগ্ধ সরস এবং যুক্তিসংগতিহীন।
শুধু মাত্র এই রসের দ্বারা আকৃষ্ট হইয়াই আমি বাংলাদেশের ছড়া সংগ্রহে প্রবৃত্ত হইয়াছিলাম। রুচিভেদবশত সে রস সকলের প্রীতিকর না হইতে পারে, কিন্তু এই ছড়াগুলি স্থায়ীভাবে সংগ্রহ করিয়া রাখা কর্তব্য, সে বিষয়ে বোধ করি কাহারও মতান্তর হইতে পারে না। কারণ, ইহা আমাদের জাতীয় সম্পত্তি।”
সোজা ভাষায়, ছেলেভুলনো ছড়া ইউনিক। মায়ের ভালোবাসার মতোই। আমার মা আমাকে যেভাবে ছোটবেলায় নানা কথায় ভুলিয়ে ঘুম পারিয়েছেন, খাইয়েছেন, কখনও বা শাসন করেছেন সেভাবেই করেছেন গোপালের মাও। মা আমাকে প্রতিবার খাইয়ে দেয়ার সময় গল্প বলতেন। এক গল্পই কতোবার বলতেন, কতোভাবে, কতো রঙ-মশলা চড়িয়ে!
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার এটাই যে, এসব ছড়া রচিত হয়েছে মায়েদের দ্বারাই। তারা হাজার বছর ধরে মুখেমুখে রচনা করেছেন এসব। এই মুখ থেকে অন্য মুখ- এভাবেই ছড়িয়ে পড়েছে-শব্দ পাল্টে গেছে, অনেকসময় পাল্টে গেছে মূল ছড়াটাই। অথচ পড়লে মনে হয়, শুনলে মনে হয়, সব যেন একজনেরই রচনা! এটাই এই ছড়ার মৌলিকতা। আসলে নিষ্পাপ, অসহায় সন্তানের প্রতি ভালবাসাটা সব মায়েরই একই সুরে গাঁথা, তাই ছড়াগুলোও মৌলিক।
রবি ঠাকুর সংগ্রহ করেছেন এমন প্রায় ৮১ টা ছেলেভুলোনো ছড়া। তার মধ্য থেকে কয়েকটা তুলে দিচ্ছি-

কে মেরেছে কে ধরেছে সোনার গতরে।
আধকাঠা চাল দেব গালের ভিতরে।।
কে মেরেছে কে ধরেছে কে দিয়েছে গাল।
তার সঙ্গে গোসা করে ভাত খাও নি কাল।।
কে মেরেছে কে ধরেছে কে দিয়েছে গাল।।
তার সঙ্গে কোঁদল করে আসব আমি কাল।।
মারি নাইকো ধরি নাইকো বলি নাইকো দূর।
সবেমাত্র বলেছি গোপাল, চরাও গে বাছুর।।

পুটু নাচে কোনখানে।
শতদলের মাঝখানে।
সেখানে পুটু কী করে।
চুল ঝারে আর ফুল পাড়ে।
ডুব দিয়ে দিয়ে মাছ ধরে।

ওরে আমার ধন ছেলে
পথে বসে বসে কানছিলে।।
মা ব’লে ব’লে ডাক্‌ছিলে।
ধুলো-কাদা কত মাক্‌ছিলে।।
সে যদি তোমার মা হত।
ধুলোকাদা ঝেড়ে কোলে নিত।।

খোকা যাবে রথে চড়ে, ব্যাঙ হবে সারথি।
মাটির পুতুল নটর্‌-পটর্‌, পিঁপড়ে ধরে ছাতি।
ছাতির উপর কোম্পানি কোন্‌ সাহেবের ধন তুমি।

কিসের লাগি কাঁদ খোকা কিসের লাগি কাঁদ।
কিবা আমার নেই ঘরে।
আমি সোনার বাঁশি বাঁধিয়ে দেব-
মুক্তা থরে থরে।

খোকা খোকা ডাক পাড়ি
খোকা বলে, শাক তুলি।।
মরুক মরুক শাক্‌ তোলা-
খোকা খাবে দুধ কলা।।

খোকা যাবে নায়ে লাল জুতুয়া পায়ে।
পাঁচশো টাকার মখমলি খান
সোনার চাদর গায়ে।।
তোমরা কে বলিবে কালো।।
পাটনা থেকে হলুন এনে
গা করে দিব আলো।।

খোকা ঘুমালে দিব দান
পাব ফুলের ডালি।
কোন ঘাটে ফুল তুলেছে
ওরে বনমালী।
চাঁদমুখেতে রোদ লেগেছে
তুলে ধরো ডালি।।
খোকা আমাদের ধন
বাড়িতে নটের বন।
বাহির-বাড়ি ঘর করেছি
সোনার সিংহাসন।।

খোকামণির বিয়ে দেব হাটমালার দেশে
তাই গাই বলদে চষে।।
তারা হীরেয় দাঁত ঘষে।
রুইমাছ পালঙের শাক ভারে ভারে আসে।
খোকার দিদি কনায় বসে বাছে
কেউ দুইটি চাইতে গেলে বলে আর কি আছে।।
১০
খোকা যাবে মাছ ধরতে ক্ষীরনদীর কূলে।
ছিপ নিয়ে গেল কোলা ব্যাঙে, মাছ নিয়ে গেল চিলে।।
খোকা বলে পাখিটি কোন বিলে চরে।
খোকা বলে ডাক দিলে উড়ে এসে পড়ে।।
****
উপরের ছড়াগুলো সামান্য মনোযোগ দিয়ে পড়লেই বুঝতে পারা যায়, এসবের ঠিক নির্দিষ্ট কোন অর্থ নেই। শিশুর ভাবনার মতো- ছন্নছাড়া, নিষ্পাপ, আনন্দমুখর। আসলে এই পিচ্চিদের সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটালেই আমরা ওদের মতো হয়ে যাই অনেকটা। ওর হাসিটাই তখন মুখ্য হয়ে পড়ে, ওর আনন্দ ছাড়া বাকীসব মূল্যহীন, গৌণ। মায়েদের চিন্তাটাও তাই হয়ে যায় ঐ শিশুর মতোই। তারই প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই এসব ছড়ায়।
১০ নম্বর ছড়াটায় দেখা যায়, খোকাবাবু ক্ষীরনদীর কূলে মাছ ধরতে গেছেন। ক্ষীরনদীর কূলে খোকাবাবু মাছ ধরতে গিয়ে কী সংকটেই পড়েছিল তা কি তুলি দিয়ে না আঁকলে মনের ক্ষোভ মেটে? অবশ্য ক্ষীরনদীর জিওগ্রাফী খোকাবাবু আমাদের চেয়ে অনেক ভালো জানেন, সন্দেহ নেই। কিন্তু যে নদীতেই হোক, তিনি যে প্রাজ্ঞোচিত ধৈর্য অবলম্বন করে, পরম গম্ভীরভাবে, নিজ দেহের প্রায় চারগুণ এক ছিপ ফেলে মাছ ধরতে বসেছেন, সেটাই যথেষ্ট কৌতুকাবহ। তার উপর যখন জল থেকে ড্যাবা ড্যাবা চোখ মেলে একটা কালো মতন উৎকট কোলা ব্যাঙ খোকার ছিপ নিয়ে টান মেরেছে, অন্যদিকে ডাঙ্গা থেকে চিল এসে মাছ ছোঁ মেরে নিয়ে চলে যাচ্ছে, তখন তার বিস্মিত মুখের ভাব- একবার প্রাণপণ শক্তিতে ছিপ নিয়ে টানছে তো আরেকবার সেই চিলের প্রতি হাত পা ছুঁড়ছে- এই চিত্র সবার দ্বারা তুলে ধরা সম্ভব? [এই অংশটুকু সাধু থেকে চলিত’তে রূপান্তর ও সামান্য পরিবর্তন করেছি, রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধ হতে]
৯ নম্বরটাতে দেখতে পারছি আমরা, খোকাকে হাটমালার দেশে বিয়ে দেয়া হবে। যদিও আমরা মানচিত্র এফোঁড়ওফোঁড় করেও হাটমালার সঠিক অবস্থান আবিষ্কার করতে পারি না। কিন্তু এই অজ্ঞাতকুলশীল হাটমালার মাতালকরা বর্ণনা পাই আমরা ছড়াটায়, এমন বর্ণনা যে শুনলে এখনকার অ্যামেরিকার লোকজনও লজ্জা পাবে, আধুনিক কলম্বাস হয়তো জাহাজ নিয়ে বেড়িয়ে পড়বে সেই দেশের সন্ধানে! সেখানকার মানুষ হীরে দিয়ে দাঁত ঘষে-কম কথা? রুইমাছ পালঙ শাক অঢেল। আর সেই শাক বাছতে আছে খোকার দিদি। খোকার দিদি আবার এমন কেপ্পন যে, এতো ভুঁড়ি ভুঁড়ি থাকা পরও কেউ চাইতে এলে বলে, “আর কি আছে!”
ভাবুন তো একবার চিত্রটা! এই চিত্র কি ছন্দজানা পণ্ডিত ছড়াকারের পক্ষে আঁকা সম্ভব, ছড়ায়?
আজকাল অবশ্য মায়েরা আর শিশুদের ছড়া শোনায় না, বলে না গল্পও। “চায়ের কাপটা হয়ে যাবে শিম্পাঞ্জী, তোমার টিভির পর্দায়/ ডিজিটাল ইঁদুর নাচতে নাচতে নামতা পড়তে শেখায়”! তাই কি আমরা এমন মেধাহীন গাধা আর নিষ্প্রাণ জাতিতে পরিণত হচ্ছি? থাক, আর এ নিয়ে লিখতে ইচ্ছে করছে না।
তবুও এই ছড়াগুলো গুরুত্বপূর্ণ। মুখেমুখে রচিত এই ছড়াগুলোই আমাদের সময়ের কথা বলে। জানিয়ে দেয় আমাদের সেই সময়ের সামাজিক অবস্থা, দুঃখ-দুর্দশা, ভালোবাসা, স্নেহ-মায়া, আশা আকাঙ্ক্ষা- অনেককিছুই। তাই এগুলো সংরক্ষণ করাটা জরুরী। রবীন্দ্রনাথ কিছু সংগ্রহ করেছিলেন, আরও রয়ে গেছে অনেক। সেগুলো সংগৃহীত হয়েছে কিনা, জানা নেই আমার।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও রচিত হয়েছে এমন কিছু ছড়া। যেমন-
“নুনও মঙ্গা ত্যালও মঙ্গা
আরো মঙ্গা শলাই
শেখ মজিবরক ভোট দিয়া
ইন্ডিয়া পালাই।
হারিকেনবাগে দউরা দউরি
নৌকা পাইলে ভোট
শেখ মজিবরের টাকা খাইলে
ক্যাশরগঙ্গের লোক।।

উঠরে শালি টোপলা বান
হামরা যামো হিন্দুস্থান।।
এসব আমার দাদীর কাছ থেকে শোনা। এমন হাজারও ছড়া হয়তো ছড়িয়ে ছটিয়ে আছে দেশের গ্রামগুলোয়। সেসব সংগ্রহ করার মতো কেউ আছেন কি?
১১/০৪/২০১৬

মন্তব্য ৫৩ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৫৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: শিশুদের চিন্ত-ভাবনা যেমন অস্তিত্বহীন আর বিক্ষিপ্ত তেমনই তো চাই তাদের মনোরঞ্জনের ব্যাপার।। তাই না??
আসলে এই পিচ্চিদের সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটালেই আমরা ওদের মতো হয়ে যাই অনেকটা। ওর হাসিটাই তখন মুখ্য হয়ে পড়ে, ওর আনন্দ ছাড়া বাকীসব মূল্যহীন, গৌণ।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হ্যাঁ। আসলেই তাদের বিক্ষিপ্ত চঞ্চল চিন্তাভাবনা মায়েদের প্রভাবিত করে, তা থেকেই এই অসাধারণ, অনন্য ছড়া গুলোর উৎপত্তি; এর লক্ষ্য বাচ্চাদের মনোরঞ্জন অবশ্যই। তবে মায়েদের মনের সাহিত্যিক দিকটাও মুখ্য। যেসময়ে এসব রচিত হয়েছে, তখন মায়েদের বিনোদনের কোন মাধ্যম ছিল না। ফলে, বলা যায়, শিশুটিই ছিল তার একমাত্র বিনোদন, একমাত্র চিন্তা। তাই নিজের ভিতরের ছন্দটুকু, নিজের ভিতরের আবগটা ওরা প্রকাশ করেছে এই শিশুভুলোনো ছড়াগুলোর মাধ্যমে।

২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:৩৭

কালনী নদী বলেছেন: খোকা যাবে মাছ ধরতে ক্ষীরনদীর কূলে।
ছিপ নিয়ে গেল কোলা ব্যাঙে, মাছ নিয়ে গেল চিলে।।
খোকা বলে পাখিটি কোন বিলে চরে।
খোকা বলে ডাক দিলে উড়ে এসে পড়ে। (লিখাটা ভাল লাগছে!)

৯ নম্বর ছড়াটায় দেখা যায়, খোকাবাবু ক্ষীরনদীর কূলে মাছ ধরতে গেছেন। ক্ষীরনদীর কূলে খোকাবাবু মাছ ধরতে গিয়ে কী সংকটেই পড়েছিল তা কি তুলি দিয়ে না আঁকলে মনের ক্ষোভ মেটে? অবশ্য ক্ষীরনদীর জিওগ্রাফী খোকাবাবু আমাদের চেয়ে অনেক ভালো জানেন, সন্দেহ নেই। কিন্তু যে নদীতেই হোক, তিনি যে প্রাজ্ঞোচিত ধৈর্য অবলম্বন করে, পরম গম্ভীরভাবে, নিজ দেহের প্রায় চারগুণ এক ছিপ ফেলে মাছ ধরতে বসেছেন, সেটাই যথেষ্ট কৌতুকাবহ। তার উপর যখন জল থেকে ড্যাবা ড্যাবা চোখ মেলে একটা কালো মতন উৎকট কোলা ব্যাঙ খোকার ছিপ নিয়ে টান মেরেছে, অন্যদিকে ডাঙ্গা থেকে চিল এসে মাছ ছোঁ মেরে নিয়ে চলে যাচ্ছে, তখন তার বিস্মিত মুখের ভাব- একবার প্রাণপণ শক্তিতে ছিপ নিয়ে টানছে তো আরেকবার সেই চিলের প্রতি হাত পা ছুঁড়ছে- এই চিত্র সবার দ্বারা তুলে ধরা সম্ভব? [এই অংশটুকু সাধু থেকে চলিত’তে রূপান্তর ও সামান্য পরিবর্তন করেছি, রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধ হতে] (প্রশংসা না করে পারছি না যে আপনার করা সংস্করণটি সত্যি অসাধারণ ও সহযে বোধগম্য!
“চায়ের কাপটা হয়ে যাবে শিম্পাঞ্জী, তোমার টিভির পর্দায়/ ডিজিটাল ইঁদুর নাচতে নাচতে নামতা পড়তে শেখায়”! (আমার প্রিয় গাণের কলি)
আপনার দাদীকে সত্যি গভীরভাবে স্মরন করছি,
উঠরে শালি টোপলা বান
হামরা যামো হিন্দুস্থান


আসলে ভাই অনেকদিন পর আপনার লেখা পেয়েছি, সাথে আপনার মন খারাপের বিষয়টাও কিছুটা উপলব্ধি করতে পারছি।

আনেক সুন্দর সংগ্রহ, নিশ্চিন্তে আমার সংগ্রহশালা বৃদ্ধি পেল, আর গ্রামে গেলে চেষ্টা করবো পুরানো এসব হারিয়ে যাওয়া কথাগুলো সংগ্রহ করতে্ । আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৩২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: গ্রামে গেলে চেষ্টা করবো পুরানো এসব হারিয়ে যাওয়া কথাগুলো সংগ্রহ করতে্
আপনাকে আগাম ধন্যবাদ, কালনী নদী।
মাঝেমাঝে অবাক হই, এটা ভেবে যে, একটা রবীন্দ্রনাথ কতো কিছু করেছেন, কতো কিছু দিয়ে গিয়েছেন আমাদের। আমরা তার দেওয়া, রেডিমেড সম্পদগুলোকেও সংরক্ষণ করতে পারছি না!
মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ছড়াগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলো সংগ্রহ করতে পারলে অসাধারণ একটা কাজ হবে। জানা যাবে অনেক কিছুই সেখান থেকে

৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:২৬

আরজু পনি বলেছেন:
সিরিয়াস একটা পোস্ট।

দিলেনতো মাথার মধ্যে চিন্তা ঢুকিয়ে !
কলেজে পড়াকালীন বঙ্কিমের ভুত চেপেছিল ঘারে। বাংলা সাহিত্য নিয়ে পড়লে নির্ঘাত বঙ্কিম নিয়ে গবেষণা করতাম।
কিন্তু রবি বাবুর ব্যাপারে আগ্রহ জন্মেছে বিশেষ করে ব্লগে আসার পর।
আপনার লেখা পড়েই বোঝা গেল, রবির ছবি আপনার মধ্যে অনেক মজবুত করে আঁকা।

একটা রাজনৈতিক ছড়া শুনেছিলাম যখন ক্লাস ওয়ান অথবা টুতে পড়ি, পরবর্তীতে একটু বড় হলে আমি নিজেই একটা নাম বদলে নিজের মতো করে বলতাম। পরবর্তীতে সেসব চর্চা করতে চাইনি। কেননা যে সব ছড়ায় মানুষকে অসম্মান করা হয়, তা চর্চা না করাই ভালো, হোক তারা আমার পছন্দের দলের বাইরের কেউ।

আমার ছানাদের কথা ভেবেই মূলত প্রিয়তে রাখলাম ।

অনেক শুভেচ্ছা রইল, রাখাল।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অনেকদিন থেকেই ইচ্ছে ছিল, এই ছেলেভুলোনো ছড়া নিয়ে লিখবো। কাল তাই হাত দিয়েই ফেললাম লেখায়!
আমি বঙ্কিম পড়িনি, ঐ কমলাকান্তের দপ্তর ছাড়া।
আপনার ছানাদের জন্য আরও দুই একটা ছড়া-
রানু্ কেন কেঁদেছে।
ভিজে কাঠে রেধেছে।।
কাল যাবো আমি গঞ্জের হাট।।
কিনে আনব শুকনো কাঠ।।
তোমার কান্না কেন শুনি।
তোমার শিকেয় তোলা ননি।।
তুমি খাও-না সারা দিনি।।


খোকা যাবে মোষ চরাতে, খেয়ে যাবে কী।।
আমার শিকের উপর গমের রুটি, তবলা-ভরা ঘি।।

নিদ পাড়ে নিদ পাড়ে গাছের পাতাড়ি।
ষষ্ঠীতলায় নিদ পাড়ে বুড়ো মাথারি।
খেড়ো ঘরে নিদ পাড়ে কালা কুকুর।
আমাদের বাড়ি নিদ পাড়ে খোকা ঠাকুর


খোকামণির বিয়ে দেব হাটমালার দেশে
তাই গাই বলদে চষে।।
তারা হীরেয় দাঁত ঘষে।
রুইমাছ পালঙের শাক ভারে ভারে আসে।
খোকার দিদি কনায় বসে বাছে
কেউ দুইটি চাইতে গেলে বলে আর কি আছে।।

পুটূ যাবে শ্বশুরবাড়ি সঙ্গে যাবে কে।।
ঘরে আছে কুনো বেড়াল কোমর বেঁধেছে।।
আম কাঁঠালের বাগান দেব ছায়ায় ছায়ায় ছায়ায় যেতে।
চার মিনসে কাহার দেব পাল্কি বহাতে।।
সরু ধানের চিঁড়ে দেব পথে জল খেতে
চার মাগি দাসী দেব পায়ে তেল দিতে।।
উড়কি ধানের মুড়কি দেব শাশুড়ি ভুলাতে।।

আপনার ছানাদের আমার কথা বলিয়েন ;)

৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৪৩

জুন বলেছেন: আপনার লেখার জন্যতো বটেই ছড়াগুলোর জন্য ও পোষ্ট প্রিয়তে রাখলাম ভাই আরন্যক।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, জুন

৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৪৩

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:

পুটু নাচে কোনখানে।
শতদলের মাঝখানে।
সেখানে পুটু কী করে।
চুল ঝারে আর ফুল পাড়ে।
ডুব দিয়ে দিয়ে মাছ ধরে।


ekhane পুটু ki baccar naam?

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হা হা, অবশ্যই। বাচ্চার নাম!
আপনি কি মতিকণ্ঠের পুটু ভেবেছেন নাকি? সে পুটু শতদলের মাঝখানে নাচছে B-)

৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:১৭

সুমন কর বলেছেন: লেখা পড়ে মজা পেলাম। ++++

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ, দাদা, পড়ে মজা নেয়ার জন্যে

৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৩৮

কালনী নদী বলেছেন: আপনাকেও অগ্রিম শোভেচ্ছা ভাই! আপনিও সংগ্রহ করতে থাকুন, প্রিয় কাজের মধ্যে এক ধরণের অকৃত্রিম আত্নতৃপ্তির স্বাধ পাওয়া যায়, যা সত্যিই বিরল।
আবারও আপনার লেখাতে ভালো লাগা রেখে গেলাম ভাই।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: চেষ্টা করবো, অবশ্যই। একাজ খুব কঠিন। তবুও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কী না হয়। একজনের দ্বারা সম্ভব হবে না মোটেও। এসব জাতীয় সম্পদ, আমাদের নিজের সম্পদ। আর এখন সংগ্রহ করলে, তা ছড়িয়ে দেয়া কোন ব্যাপার না। ব্লগ আছে, ফেসবুক আছে- কতো উপায়!

৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০১

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: আমার এক দাদু আছে, এখনো আমি গ্রামে গেলে, আমাকে দেখলেই দু-এক লাইন ছড়া বলতে থাকে। সংগ্রহ করার মত অনেক ছড়াই পাওয়া যাবে উনার কাছে।
বরাবরের মতই লেখাটা চমৎকার। প্লাস।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সংগ্রহ করে রাখুন। এমন লোক পাওয়া যায় না।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কী ছড়া দিলা? এগুলো তো পড়া হয়নি কখনো (দুয়েকটা ছাড়া)!

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: রবি ঠাকুরের লোকসাহিত্য পড়ুন।
ওখানে ১০০ টার মতো ছেলেভুলোনো ছড়া আছে। এছাড়া কবি-সংগীত অর্থাৎ কবি গান নিয়ে মজাদার আলোচনা আছে। আছে গ্রাম্য বৈষ্ণব সাহিত্য নিয়ে বিস্তারিত প্রবন্ধ। তবে সবচেয়ে ভালো আর সুন্দর ব্যাপার, এই পরবন্ধগুলি গম্ভীর নয়, পড়তে গিয়ে মনে হয় না ক্লান্ত হচ্ছি ভাষার কচকচানিতে। বরং পড়তে শুরু করলে পড়তেই ইচ্ছে করে! রবি ঠাকুরের রসিক মনের পরিচয় এই প্রবন্ধগুলোয় স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়, যেটা অন্য কোথাও বিরল।
লোকসাহিত্য

১০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অনলাইন রবীন্দ্ররচনাবলীতে লোকসাহিত্য বইটির তিনটি প্রবন্ধ আছে

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: :#)

১১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪২

সায়ান তানভি বলেছেন: ভাল লেখা।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

১২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ হামা ভাই

১৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৪

মির্জা বাড়ির বউড়া বলেছেন: আসেন দেখেন ব্লগের সবচেয়ে পুরান নাটকের পুন:প্রচার। শরণার্থী নিকে ব্যাপক ল্যাদানির পরও মনমত সাড়া না পাওয়ায় অগ্নিসারথি গতকালকে নিজেই খুলেন বেলের শরবত নামে এক ইচিং ব্লগিং ক্যারেক্টার, তারপর সারাব্লগ ভাসিয়ে দেন নিজেই নিজেকে গালি দিয়ে কমেন্ট করে যেন মানুষের সহানুভূতি আদায় করে ভোট পাওয়া যায়। নিজের গোমর নিজেই গভীর রাতে ভুলে ফাঁস করে ফেলেন পোস্ট দিয়ে যে তিনি ববস.কমে জিতে চাকরি ছেড়ে রেসিডেন্ট ব্লগার হতে চান এই ব্লগের। মারহাবা।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:১৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: তো আপনার সমস্যা কোথায়?

১৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:১৯

মির্জা বাড়ির বউড়া বলেছেন: আপনি বুঝেন নাই। সে আপনাদের ইউজ করতাছে ইমোশনালি

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অগ্নি সারথি অসাধারণ একজন ব্লগার

১৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: কলেজে থাকতে আমি "তেলিকাকড়া বুড়ি" শিরোনামে একটা ছড়া লিখেছিলাম। ঐটা আমি যে সব পিচ্চিকে বলতাম, তারা দারুণ পছন্দ করতো। আরেকটা ছড়া ছিল "মেঘ বৃষ্টির মাঠে"।
মোটামুটি এই টাইপ ছড়াই ছিল ওগুলো। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো- যে ডায়েরিতে লিখেছিলাম সেটা আর পাচ্ছি না। :( :( :|

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আহারে! মিসাইলাম!
ডাইরি হারাইছে তো কী হইছে! মগজটা তো হারায় নাই! আরো লিখে ফেলেন ;)

১৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০৯

কালনী নদী বলেছেন: মির্জা বাড়ির বউরার কমেন্টে সবাই রেপোর্ট দেন, কুৎসা রটিয়ে পরিবেশ নষ্টকারী হিসেবে!

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: দিলাম।
ভোট ফোর অগ্নি সারথি

১৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ব্যাপার টা আসলে

"এসবের ঠিক নির্দিষ্ট কোন অর্থ নেই। শিশুর ভাবনার মতো- ছন্নছাড়া, নিষ্পাপ, আনন্দমুখর। আসলে এই পিচ্চিদের সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটালেই আমরা ওদের মতো হয়ে যাই অনেকটা। ওর হাসিটাই তখন মুখ্য হয়ে পড়ে, ওর আনন্দ ছাড়া বাকীসব মূল্যহীন, গৌণ। মায়েদের চিন্তাটাও তাই হয়ে যায় ঐ শিশুর মতোই। তারই প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই এসব ছড়ায়। "

এই কথা তেই লুকিয়ে আছে ,আমি নিজের দুই ছানা বড় করতে যেয়ে যত ছড়া নিজেকে বানাতে হয়েছে , বাকিদের ও তথই বচ ।
ভালোলাগা পোস্ট এ :)

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: এই ছড়াগুলো শিশুদের সৃজনশীলটা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে নিঃসন্দেহে! আপনি কবিতা লিখেন, আপনার জন্য ছেলেভুলোনো ছড়া বানানোটা তো বাঁ হাতের খেল!
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

১৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: আরণ্যক রাখাল ,




শিশুর ভাবনার মতো- ছন্নছাড়া, নিষ্পাপ, আনন্দমুখর এই লেখাটি সদ্যঃকর্ষণে মাটি হইতে উত্থিত হইয়া অত্যন্ত স্নিগ্ধ সরস গন্ধ ছড়াইয়াছে ।

এই সাথে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখছি আগেভাগেই ।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হা হা।
আপনাকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
ভালো কাটুক আপনার নতুন বছর

১৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২১

প্রামানিক বলেছেন: খুব ভাল একটি পোষ্ট। প্রিয়তে নিলাম। নববর্ষের শুভেচছা রইল।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: শুভ নববর্ষ, প্রামানিক ভাই

২০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৩০

অগ্নি সারথি বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে নিয়া গেলাম গা!

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৫২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: থ্যাংকিউ

২১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:২৪

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: বাচ্চাদের সাথে মায়েদেরও বাচ্চার মতই আচরণ করতে হয়।

আমার ছেলে যখন একদম ছোট চিল তখন তাকে ছড়া শুনানোর পর আবার তার ব্যাখ্যাও বলতে হত।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ছড়ার ব্যাখ্যা!
বড়ই খচ্চর ছেলে ;)

২২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৪৫

উল্টা দূরবীন বলেছেন: শিশুদের সাথে কিছুক্ষণ মিশলেই আমাদের মধ্যে যে সুপ্ত শিশু আছে সে জেগে ওঠে। এজন্যেই হয়তো আমরা তখন শিশুসুলভ আচরণ করি।

বাচ্চাকালে ছড়ার বইয়ে এমন কিছু ছড়া পড়েছি যেগুলো এই ছড়াগুলোর আদলেই লিখিতি কিন্তু ভাষা কিঞ্চিত আলাদা।যেমনঃ

খোকা খোকা ডাক পাড়ি
খোকা বলে, শাক তুলি।।
মরুক মরুক শাক্‌ তোলা-
খোকা খাবে দুধ কলা।।

এই ছড়াটা পড়েছিলামঃ-

খোকন খোকন ডাক পাড়ি
খোকন মোদের কার বাড়ি
আয়রে খোকন ঘরে আয়
দুধ মাখা ভাত কাকে খায়।।


পুরো লেখাটাই বেশ ভালো লেগেছে। ছড়াগুলো পড়ার সময় ছেলেবেলার স্মৃতি বারবার ভেসে উঠেছে মস্তিস্কে।

আর রবি বাবুর জন্য আমার কাছে আরো একটি বিশেষণ আছে। সেটা হচ্ছে

রবি বাবু একটা মাল =p~

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হ্যাঁ। এমনই। এগুলো স্থির থাকেনি কোনোদিন। পাল্টে গেছে। যেমন-
কে মেরেছে কে ধরেছে সোনার গতরে।
আধকাঠা চাল দেব গালের ভিতরে।।
কে মেরেছে কে ধরেছে কে দিয়েছে গাল।
তার সঙ্গে গোসা করে ভাত খাও নি কাল।।

এর পরিবর্তিত রূপটা এমন-
কে ধরেছে কে মেরেছে কে দিয়েছে গাল
খোকার গুণের বালাই নিয়ে মরে যেন যে কাল।।

তবে যেটা পাল্টেনি সেটা এর স্বাদ, গন্ধ আর নির্মলতা। হাজার মায়ের গলা ঘুরেও এসব ছড়া তার নিষ্পাপ, মৃদু রসটি বজায় রাখতে পেরেছে।
আপনি বলেছেন, আর রবি বাবুর জন্য আমার কাছে আরো একটি বিশেষণ আছে। সেটা হচ্ছে-
রবি বাবু একটা মাল

হা হা। ওকে এক কথায় মাল ছাড়া আর কী বলবেন B-)

২৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪

নীলপরি বলেছেন: দারুন বিষয় । খুব ভালো লাগলো। ++

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

২৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮

আনু মোল্লাহ বলেছেন: আমরা এমন মেধাহীন গাধা আর নিষ্প্রাণ জাতিতে পরিণত হছি---- আসলেই। আমরা এখন শিশুদের ছড়া নয়, কোন দেশের রাজধানীর নাম কি তাই শিখাই।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভয়ানক ব্যাপার!

২৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


দারুণ সংগ্রহ, ছড়া বেশীক্ষন পড়লে বিরক্তি লাগে

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বয়স!
আপনার বয়স নাই তো পড়ার। এগুলো বাচ্চাদের জন্য। আর যেহেতু পাঠক বা ব্লগার কেউই বাচ্চা না, তাই অল্প কয়েকটা মানে দশটা দিয়েছি!

২৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: এই লেখাটা আমার খুব ভালো লেগেছে। আপনাকে ধন্যবাদ।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য

২৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.