নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাতাল ঋত্বিক আমি, প্রেমকথা আমার ঋগ্বেদ

আরণ্যক রাখাল

মাতাল ঋত্বিক আমি, প্রেমকথা আমার ঋগ্বেদ

আরণ্যক রাখাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছিঃ জিপি, একটা আত্মোপলব্ধি ও রমজান

০১ লা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪

নার্সিসাস হঠাৎ কোন এক জলাশয়ে- পুকুরে কি ডোবায় নিজের মুখ দেখে প্রেমে পড়েছিল, ফলস্বরুপ মরেছিল। আর সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করতে করতে নিজের মুখ আয়নায় দেখেছি বলে আমার পুরো দিনটাই আজ খারাপ গেছে! আমার আর নার্সিসাসের পার্থক্য খুব বেশি কি?
বস্তুত, একারণেই, ঘুম থেকে কেউ সদ্য জেগে উঠলে তার সামনে যাই না কখোনো; পাছে তার দিনটা খারাপ যায়!
Ok, let the matter pass and come to the point.....
রোজা নেই বলে, বাড়িতে আমার কোন দাম নেই। আমার ছোট বোন, যে কিনা এখন পড়ছে কেবল ক্লাস ফোরে, সেও সাতআটটা রোজা রেখে বিস্তর নেকি কামিয়ে নিয়েছে। ইদানিং খুব ভোরে উঠে তারা সপ্তকে(!!!) সা রা গা মা করে গলা পরিষ্কার করে ঊদারা কি মুদারায় কোরান তিলোয়াত করছে নিয়মিত, টানা ঘণ্টাখানেক।
ওকে মেনসন করে, কেউ কেউ, পরিচিতরা, বলছে আমাকে, "দেখো দেখো। এই বয়সেই কী পরহেজগার! দেখে কিছু শিখো!"
আমি তাদের সবাইকে সবিনয়ে বলছি, "আলবাত। কিউ নেহি?"
আগে যেমন ঘুম থেকে উঠেই চায়ের মুখ দেখতাম, এখন তেমনই জেগেই দেখছি কয়েকটা বিরক্ত মুখ। তাদের মুখের ভাষা পড়লে বুঝতে পারি, তারা বলছে, "এতো বড় ধেড়ে ছেলে একটা রোজা নেই!"
অবশ্য কেউ মুখে বলে না কিছু। আব্বু শুধু একবার জিজ্ঞেস করেছিল, "কিরে রোজা রাখছিস না কেন?"
বলেছি, আকাশের দিকে ইঙ্গিত করে, "তিনি দয়ালু। ক্ষমা করে দেবেন সব!"
এরপর আর কিছুই বলেনি আব্বু। ঈশ্বরের দয়ার উপর তার অগাধ বিশ্বাস!
সে যাক গে, আসল কথায় আসি।
রোজা মাসে রোজদারদের চেয়ে বেরোজদারদের কষ্ট হয় বেশি। কারো সামনে কিছু খেলেই সে ট্যারা চোখে তাকায়। অনেকে লজ্জায় কিছু খায় না। (আমি অবশ্য আজন্ম নির্লজ্জ!) কিছু কিছু হোটেল তো সারা মাস বন্ধ থাকে। বাড়িতে বেরোজদারদের জন্য কোন রান্না হয় না। তাদের অবস্থা হয়, হঠাত দ্বীপে আটকা পড়ার মতো। চারিদিকে সমদ্র, যতোদূর চোখ যায় শুধু জল আর জল, কিন্তু নেই একফোঁটা খাওয়ার মতো!
এমনকি নর্দমার পাশের চায়ের দোকানগুলোও এমাসে অজু করে পর্দানশীল হয়ে যায়! যেদোকানগুলোয় সারা বছর হিন্দি গান বাজতো, সেগুলোতেও গজল বাজে, ওয়াজের রেকর্ড বাজে একটার পর একটা। আমার এক ফ্রেন্ড একবার বলেছিল, যখন দেখবেন পাড়ার দোকানগুলোয় হিন্দি গানের স্থান দখল করে নিয়েছে ইসলামি সংগীত, তখন, চোখ বন্ধ করে ধরে নেবেন, রমজান এসে গেছে!
কথাটা ভুল না খুব একটা!
যাই হোক, আমার জন্যে বাড়িতে রান্না হয়নি কিছু। তাই দুপুরবেলাতেই পেট আর পিঠ প্যারালাল হয়ে গেল। এই ক্ষধার চোটেই কিনা জানি না, আমার মধ্যে জেগে উঠলো প্রচন্ড কাব্যশক্তি। চারপাশ কেমন ঘোলা ঘোলা দেখা শুরু করলাম। রক্ত গরম হয়ে গেল।
"আজকে আমার বদ্ধ প্রাণের পল্বলে
বান ডেকে ঐ জাগল জোয়ার দুয়ার ভাঙা কল্লোলে!"
কবিতা একটা লিখে ফেলার দারুন তাগিদ অনুভব করলাম ভিতরে। আমি আবার খাতায় লিখতে পারি না ক্রিয়েটিভ কিছু, কেন জানি। তাছাড়া অত্যাধুনিক কবিতা খাতায় লিখলে সেটার আর জাত থাকে না ঠিক! তাই ল্যাপুটা অন করলাম! অন করে দেখি ১২% চার্জ। ব্যাটারি লো। চার্জে লাগিয়ে দিতে বলছে ইমিডিয়েটলি।
চার্জে দিলাম। কিন্তু, ল্যাপি সোনা আমার চার্জ নিচ্ছে না। ভাবলাম, মাল্টিপ্লাগের প্রবলেম। গেলাম প্লাগ কিনতে।
সেলিম মামার দোকানে সাধারণত সব ইলেক্ট্রনিক্স জিনিস ফিনিস কিনি। ওর ওখানে দেখি, ভালো মাল্টিপ্লাগ নেই। অন্য দোকান থেকে ২৭০ টাকা দিয়ে একটা কিনে মামার দোকানের কর্মচারিটাকে দেখালাম।
বলল, "ভাই ঠকাইছে। এইটা বড়জোর ১৯০ টাকা!"
কিনে ফেলেছি। কিছু করার নেই বলে বাড়ি ফিরে চার্জে দিতে গিয়ে দেখি, চার্জ এবারেও নিচ্ছে না।
এবারে তো মাল্টিপ্লাগের প্রব নয়। ভাবলাম চার্জারের প্রব। তো বন্ধুর চার্জার এনে চার্জে দিলাম। এবারেও চার্জ নিচ্ছে না! অথচ ও আর আমি একই ব্রান্ডের, একই মডেলের ল্যাপি ইউজ করি!
ওর চার্জার ফিরিয়ে দিয়ে এসে ঘামছিলাম খুব, প্রচন্ড গরমে। ভাবলাম গোসলে যাই। এবারে ট্যাংক আমাকে বাঁশ দিল! পানি নাই! ভাবলাম ফ্যানের নিচে বসে থাকি একটু। ফ্যান অন করতেই লোডসিডিং। মনে পড়ল আচমকা, এবছর বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে বিগত বছরগুলোর তুলনায় সবচেয়ে বেশি!!
এদিকে মাল্টিপ্লাগ, ল্যাপু, ফ্যান, পানি আর ক্ষুধা- এই পঞ্চপান্ডবের অত্যাচারে 'কাব্যি করা উঠল ডকে/ আমার মাথায় গুবুর ডাকে!"
কিন্তু একবার যখন ঠিক করেছি লিখবো, তো লিখবোই। সে আতাপাতা যাই হোক না কেন। লিখতে বসলাম সাম্প্রতি পড়া 'দূরের দুপুর' নিয়ে, বুদ্ধদেব গুহের। মোবাইলেই। লিখলাম টানা ঘণ্টাদুয়েক বই, নেট ও হাতের কাছে পাওয়া সব ধরনের সুত্র থেকে টুকেফুকে।
এতোক্ষণে আমার মায়ের খেয়াল হোল আমি সারাদিন খাইনি কিছু। আমাকে ডেকে বলল, "আয় খেয়ে যা"!
মায়ের ডাক অবহেলা করে কোন পাপী! পরে লিখবো বাকিটা, ভেবে, খেতে গেলাম।
খেয়ে ফিরে এসে দেখি, যে অ্যাপে লিখছিলাম (office) সেটা ক্লোজ করে দিয়েছি, save না করেই!!!
তারপর কি করেছি, সব কিছু আছড়ে ফেলে দিয়েছি না ফুচফুচ করে কেঁদেছি, সেটা না আপনাদের না জানানোই ভাল!

"বন্ধু গো, আর বলিতে পারি না, বড় বিষ-জ্বালা এই বুকে,
দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি, তাই যাহা আসে কই মুখে,
...বড় কথা বড় ভাব আসেনাক' মাথায়, বন্ধু, বড় দুখে!
অমর কাব্য তোমরা লিখিও, বন্ধু, যাহারা আছো সুখে!"
(নজরুল)
01/07/2016

মানুষ যখন বিপদে পরে তখন তাকে আরও চিপে ধরো, ঠেশে দাও আরেকটু- এটা আমাদের শেখায় গ্রামীনফোন। আপনি যদি ডেটা কেনেন স্বাভাবিকভাবে, তবে পাঁচ টাকায় পাবেন ২০ এমবি; সাথে ৮০ এমবি সোসাল ইন্টারনেট। অথচ আপনিই যখন emergency এমবি নিচ্ছেন, তখন আপনাকে ১০ এমবি কিনতে পকেট থেকে খসাতে হবে ৫ টাকা!
ব্যাপারটা যথেষ্ট আনন্দদায়ক।

সেদিন বিকেলে আড্ডা দিচ্ছিলাম কলেজ মাঠে, বন্ধুদের সাথে। সজীব, আমি, সোহেল আর সম্রাট ভাই।
বিকেল বিদায় নেয়নি। মাঠে তখনও সূর্যের শেষ আলোর সাথে হওয়ার মাখামাখি। আমাদের মতোই আরও চারপাঁচটা গ্রুপ বসে গল্প করছে বড় আম গাছটার ছায়ায়। কিছু সদ্য ত্রিশ পেরুনো ভুঁড়িওয়ালারা এই গরমেও জুতা আর ট্রাউজার পরে লাফাচ্ছে ব্যাঙের মতো, কেউ বা হাফাচ্ছে মুখ হা করে। তাবলীগ-জামাতের কিছু টুপিওয়ালা মাঠে হাওয়া খেতে আসা কিছু ছেলেকে বোঝাচ্ছে নামাজের উপকারিতা। কেউবা ঘাসে শুয়ে কথা বলছে গফে’র সাথে।
আমরা চারজন। চার পাঁচটা ছেলে একজোট হলে যা হয় আরকি- মেয়ে, সেক্স, মুভি, ক্রিকেট, নেশা, ফেসবুক ইত্যাদি বিষয় আপনাআপনি এসে হাজির হয়। খুব গোপন কোন কথাও বলা হয় তারা সপ্তকে। তখন যেকোন ছেলের কথা শুনলে মনে হবে, এদের মন বলে কিছু নেই- লাইফ ইজ অল এবাউট সেক্স।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার ঠিক আগ মুহূর্তে, একটা মেয়ে এসে আমাদের আচমকা চমকে দিয়ে জিজ্ঞেস করলো, “ভাইয়া, আপনারা কি এই কলেজে পড়েন?”
তখনও এতোটা অন্ধকার হয়নি যে মেয়েটিকে ভালো ভাবে দেখতে পারবো না। মেয়েটির পরনে কালারফুল একটা জামা, মাথায় লাল ফিতা- চুল বাঁধা খোঁপা করে। কেমন তামাটে-অন্ধকার মুখ।
বললাম, “না, পড়ি না এই কলেজে। কেন? কী দরকার?”
সত্যিই বিরক্ত লাগছিল খুব। এমন খ্যাত একটা মেয়ের সাথে কথা বলার চেয়ে সম্রাট ভাইয়ের গল্প শোনা অনেক আকর্ষণীয়।
“এখানে ভর্তি কখন করায় জানেন?
আমি আর জবাব দিলাম না এবারে। সম্রাট ভাই বলল, “না ভর্তি তো অফিস আওয়ারে করায়। আপনি কাল ১০টা থেকে ৪টার মধ্যে আসেন। তখন অফিস খোলা থাকবে। আপনার যা জানার তখন জেনে নিয়েন।”
ভাইয়ের কণ্ঠ শুনে মনে হলো, সেও বিরক্ত।
মেয়েটা আবার জিজ্ঞেস করলো, “তাইলে আপনারা এখানে পড়েন না?”
এবারে আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলাম না। বললাম, “আরে বললামই তো এখানে পড়ি না। বেকার জিজ্ঞেস করছেন কেন? জানিও না কিছু ভর্তির ব্যাপারে। তো আপনার আমাদের সাথে কোন দরকার নেই। আপনি যান এখন এখান থেকে।”
বলেই আবার গল্প শুরু করলাম।
*****
ঘুম আসছিল না রাতে। কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে শুনছিলাম জেমস।
“এই শহরের কতোশতো অট্টালিকার ফাঁকে
আমার জানালা ভরে ছবি হয়ে ঝুলছে আকাশ।
আমি আর একফালি নিষ্পাপ চাঁদ সারারাত কথা বলে,
হয়েছি উসাদ।”
হঠাত মেয়েটার কথা মনে পড়ল। অতো রুডভাবে না বললেও পারতাম। আমাদের কাছে তো চাচ্ছিল না কিছু, হয়তো আর বেশিক্ষণ সময়ও নিত না।
তখন আবিষ্কার করলাম নিজেকে আরেকবার। বুঝতে পারলাম, এখনো ঠিক মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি আমি, পারিনি আধুনিক হতে। প্রশ্ন করলাম নিজেকে, মেয়েটা যদি সুন্দরী হতো, পারতাম এভাবে কথা বলতে? বা পারলেও বলতাম?
মেয়েটা যদি স্নিগ্ধ হতো, তাহলে হয়তো আগ বাড়িয়ে উপকার করতে চাইতাম। জিজ্ঞেস করতাম, “আপনি সন্ধ্যায় কেন? কাল আসুন। ১০টা থেকে ৪টার মধ্যে।” আরও জিজ্ঞেস করতাম, “কে ভর্তি হবে? আপনি?”
অথচ স্বাভাবিক ভদ্রতাটাও দেখাইনি। উল্টো খারাপ ব্যবহার করেছি।
এটাকে কি বর্ণবাদ বলা যায়?
আর আমার মিডল ক্লাস মন বারবার বলছিল, মেয়েটা বেশ্যা হতে পারে। আমাদের মনে বেশ্যাদের যে চিত্র গাঁথা, তার সাথে ওর চেহারাটা যেন মিলে যায় অনেকটা। ওকে বেশ্যা ধরে নিয়েই তখন মনে এক ধরনের ভয় কাজ করছিল। ভাবছিলাম, কেউ যদি দেখে!
কি আজব! ঘরে যখন প্রাইভেট ব্রাউজিং করি, তখন ভয় করে না। কারণ কেউ আমার হিস্ট্রি দেখে না। আর এখন কিছু না করেও ভয় পাচ্ছি! কারণ মানুষ দেখছে!
29/06/2016

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮

শায়মা বলেছেন: লেখাটার শুরুতে হাসতে শুরু করেছিলাম ভাইয়া তোমার দূর্দশা আর মজার বর্ণনা পড়ে ! :P

যতই পড়ছিলাম অবাক হচ্ছিলাম এটা ভেবে এই পিচ্চির লেখা পড়ে কে বলবে না যে তার বয়স ৩০/৪০ ৫০ বা ৬০......



শেষে এসে মনটা খারাপ হলো..... তবে তোমার আত্মপোলদ্ধিই প্রকাশ করে তুমি কতখানি খাঁটি মানুষ!


অনেক ভালো থেকো পুচ্চি ভাইয়া!

অনেক বড় হও জীবনে!:)

২| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: উফফফফফ!!!
থ্যাঙকু।
৫০/৬০!!!! লেখার স্টাইল পাল্টাতে হবে তাইলে।
আফসোস, তোমাকে রিপ্লাই দিতে পারছি না। ল্যাপু ঠিক করতে দেই নাই এখনো!

৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: সত্য কথাগুলোই মনের অজান্তে বলেছেন।

৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:১০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হ্যাঁ, তাই করার চেষ্টা করেছি।
ধন্যবাদ, ব্রো

৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬

কল্লোল পথিক বলেছেন:








ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়!
তাই হয়তো কবিতা লিখতে পারেন নি।
জয় হোক জগৎতের সকল ক্ষুধার্তের!

৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




ইফতারের সময় হলে, ল্যাপুর চার্জ নেয়ার কথা

৭| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সুকান্তের থিওরি খাটে নাই রে ভাই :)

৮| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ল্যাপুর প্রব। চার্জ নেয় না!!

৯| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি ফুটবল খেলেন?

১০| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: না ফুটবল না, ক্রিকেট খেলি!

১১| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭

জেন রসি বলেছেন: আপনি স্যাটায়ার পছন্দ করেন! চর্চাও করেন। আপনার লেখায় কিছু পাঞ্চ লাইন থাকে। পড়তে ভালো লাগে। :)

১২| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: থেঙকু

১৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: রোজার রাখার ফজিলত অনেক! সারাদিন কোন খাওয়া-খাওয়ির ঝামেলা নাই! না রাখলেই বরং বিপদ!
শেষের ব্যাপারটা খারাপ লাগলো । ওপরে যা-ই বলিনা কেন ভেতরে ভেতরে প্রায় সবাই বর্ণবাদ লালন করি ।

১৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: প্রথম অংশ একটি উচ্চমান সম্পন্ন রম্য ! অনেক মজা করে লিখেছেন , পড়ে মোহিত !
শেষে আপনার উপলব্দিও ভাল লেগেছে ।

১৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভেতরের মানুষটাকেই তো পাল্টাতে হবে, রুপকদা

১৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আপনি সবসময় আমার প্রচন্ড প্রশংসা করেন, লিটন ভাই

১৭| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: আরণ্যক রাখাল ,




রম্যের ছলে হলেও অজান্তেই মানুষের মনের অলিগলি নিয়ে লেখা । মানুষ যে কতো বিচিত্র , তার মনের ভেতরে যে কতো রকম স্ব-বিরোধিতা , তারই কেচ্ছা ।



১৮| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আহমেদ জী এস ভাই

১৯| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৩০

নীলাকাশ ২০১৬ বলেছেন: রোজা রাখেন না - সেটা আবার বড় গলা করে বলে বেড়ান! আপনার মত ডোন্ট কেয়ার পাপীই তো দরকার আমাদের যুব সমাজকে নতুন পথের দিশা দেখাতে।

০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:০৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বড় গলায় বলি, কারণ আমি নাস্তিক।
ধর্মকর্ম করার টাইম নাই।
আর হা, উচ্চকন্ঠেই বলব এটা। আমি ধর্মহীন সমাজ চাই

২০| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৩৯

সুমন কর বলেছেন: আরে, আপনার লেখা দেখি, দিন কে দিন সুন্দর হচ্ছে। মাঝে মাঝে হিন্দি শব্দ ব্যবহার না করলে ক্ষতি কি !
প্রতিটির মধ্যে বাস্তবতার ছোঁয়া এনে ভালো করেছেন। +।
রম্য ভালো লেগেছে।

০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:১০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হিন্দি ইচ্ছে করেই এনেছি।
ওটা আমার মুখে আসে না। কেন যে লিখলাম!
এরপর থেকে বাতিল করবো। অনেক ধন্যবাদ, দাদা

২১| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ক্ষুধার জ্বালায় দেখি জ্বালাময়ী প্রতিভার বিস্ফোরন ঘটালেন! ;)

ইরাম ক্ষুধা মাঝে মাঝৈ লাগলে আমরা ভালু ভালু লেখা পাবো :)

আমরা সবাই মূখোশের আড়ালেই চলি! সত্যিটা যদি সবাই সবারটা দেখতে পেত শহর হয়তো জনশূন্য হয়ে পড়তো!!!

+++++++++++++++

০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:১৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হা হা। ভাগ্য ভাল কবিতাটা লিখিনি।
লিখলে পাব্লিকের মাইর খেতে হতো!

২২| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:০৫

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: এই সময়ের রোজনামচা।স্যাটায়ার হিসেবে ভাল্লাগছে ;)

০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:১৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: থ্যাঙকিউ

২৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:১১

মাদিহা মৌ বলেছেন: আপনার সেন্স অব হিউমার খুব ভালো। লেখনিও খুব ঝরঝরে। পড়তে ভালো লেগেছে। আত্মোপলব্ধি সত্যিই হয়েছে তো? আলহামদুলিল্লাহ।

০২ রা জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:১১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হা হা হা
মনে তো হয় সত্যিই হইছে।
ধন্যবাদ আপনাকে

২৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:১৯

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: ল্যাপুর ষড়যন্ত্রে অত্যাধুনিক কবিতা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হলেও এমন উপাদেয় রম্য পেয়ে আমরা আনন্দিত। B-))

০২ রা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আপনার উপাদেয় মনে হয়েছে লেখাটা, এজন্য আমি কি কম আনন্দিত নাকি!
থ্যাঙকিউ

২৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:১৫

মিঃ অলিম্পিক বলেছেন: ইয়ালি পকাৎ ল্যাপুর চার্জ শেষের কারেনে একটি রম্য পোস্টু ত্যাগ করলেন...!! ভালো লাগলো।

০২ রা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ত্যাগ :(
হে হে। থেঙকু

২৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮

নীলপরি বলেছেন: নার্সিসাসের বোধদয়ের কাহিনী ভালো লাগলো । শেষে ইকোর প্রবেশটাও দারুন ভাবে ঘটিয়েছেন ! ++

০২ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: পুরানকে নবায়নের দায়িত্ব তবে আমাকেই দেয়া হোক :)

২৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: সব মিলিয়ে ভাল লাগল।

০২ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ

২৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭

কাবিল বলেছেন: লেখায় মজা পেয়েছি।

০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: থ্যাংকিউ

২৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৫৫

আবুল হায়াত রকি বলেছেন: কালনী নদী পুরাটা না পড়ে হয়তো লাইক দিছে, এই দেশের সবকটা নদী হচ্ছে নির্বাচিত আবর্জনা।

০৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৩৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: গো টু হেল

৩০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৪৪

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: বাহ্! মজার ছলে সাবলিল ভাবে অনেক কিছু বলে দিলেন :)

শুভকামনা রইল।

০৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য

৩১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: মনে হচ্ছে মাল্টিতেই সমস্যা

এইটা পাল্টে অন্য কিছু ট্রাই করেন

৩২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:০৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: করছি মামা। হয় না।
কপালটাই খ্রাপ

৩৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪০

জুন বলেছেন: পুরো লেখাটি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম।
আপনার শেষ প্যারাটি পড়ার আগেই আমার মাথায় ওই কথাটিই বিদ্যুতের মত খেলে গেলো 'যদি মেয়েটি আধুনিক আর আকর্ষণীয় দেখতে হতো তাহলে হয়তো আরন্যক রাখাল কিছুতেই মেয়েটির সাথে এমন করতে পারতো না।
অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো।
+

০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:১১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অবশ্যই।
আমি নিজেই অবাক হয়ে গেছি ঘটনাটার পর। প্রচন্ড লজ্জিতও, নিজের কাছেই। তাই প্রকাশ করে একটু ভারমুক্ত হলাম। পাদ্রীদের কাছে যেমন রোববারে অনেকে সারাহপ্তার. ভুল স্বীকার কারে!!
মেলাগুলা ধন্যবাদ

৩৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখা মুছে যাওয়াতে আফসোস হয়েছিলো, সেটা কেটে গেলোা 'ক্ষ্যাত' মেয়েটার সাথে রূঢ় আচরণে। শয়তান তোমার অনিষ্ট করুন।

১০ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: :( :(
সবই তার দয়া :(

৩৫| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: হায়রে কপাল!! মেয়েটার সাথে এই আচরণ করাটায় খুব খারাপ লাগলো। :( হোক না সে বৈশ্যা!! সমাজের মুখে চপেটাঘাত করার মানুষ এতো কম এই দেশে!!!!!!!!!! :( :| :|

৩৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সত্যি খুব কম।
এইটা হইলো বাস্তবতা।
এখন বুঝছি ব্যাপারটা। ওগুলারে আর ডরাই না

৩৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৪২

প্রামানিক বলেছেন: অনেক পরে হলেও পুরো লেখাটি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। মেয়েটার কথা --া- --

৩৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৩০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.