নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাতাল ঋত্বিক আমি, প্রেমকথা আমার ঋগ্বেদ

আরণ্যক রাখাল

মাতাল ঋত্বিক আমি, প্রেমকথা আমার ঋগ্বেদ

আরণ্যক রাখাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোটা আন্দোলন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৫৮


“আগে বলেছিলেন, কোন কোটায় (কোটাই*) থাকবেনা। আর এখন বলছেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা পরিবর্তন সম্ভব নয়। সম্ভবত এটা কুরআনিক আইন, তাই পরিবর্তন সম্ভব না।
কেউ কথা রাখেনি...
#মাদারঅবহিউমেনিটি
#মাদারঅবএডুকেশন”
- Mir Sabbir
এই স্ট্যাটাসটা দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড অ্যানিমেল সাইন্স ইউনিভার্সিটির ছাত্র মির সাব্বিরকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন৷ এই স্ট্যাটাসে বহিষ্কার করার মত কিছু কি ছিল? আমাদের প্রধানমন্ত্রী এমন কি হয়ে গেলেন যে তাকে নিয়ে একটু বাঁকা কথাও বলা যাবে না?
কেন মির সাব্বিরকে বহিষ্কার করল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, তা জানতে, বিবিসি বাংলা মুখোমুখি হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা ফারুক ইমামের। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ীই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল রুলসের ১৬ ধারায় আছে যে - এমন কোন কাজ যদি কোন ছাত্র করে যা দেশের আইন অনুযায়ী অনৈতিক বা সামাজিক অপরাধ বলে বিবেচিত - তাহলে তার বিরুদ্ধে শৃংখলাভঙ্গের অভিযোগে পদক্ষেপ নেয়ার অধিকার কর্তৃপক্ষের আছে।“
তার কথা অনুসারে, মির সাব্বিরের স্ট্যাটাসটা দেশের আইন অনুযায়ী অনৈতিক।
তারা কী বোঝাতে চাইছে, প্রধানমন্ত্রীর সামান্য সমালোচনা দেশের জন্য এতোই ক্ষতিকর যে তা সামাজিক অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং তা শাস্তির যোগ্য? বাংলাদেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা কি এতটুকুও নেই? তারা না সরকারী দল করেছে বলে উপাচার্য-প্রোক্টর ইত্যাদি হতে পেরেছে, তারা নাহয় সরকারের কাছে জিম্মি। তাই বলে কি শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতাটুকু বেচে দিতে হবে?
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হওয়া উচিত মুক্তবাকের মুক্তমতের সর্বোচ্চ মঞ্চ৷ আর আমাদের দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শেখাচ্ছে, স্বৈরাচারকে দ্বিধাহীনভাবে মেনে নিতে। বাংলাদেশের অবস্থা আজ কেন এমন, সেটা বুঝতে আর বেশি কিছু খুঁজতে হয় না৷

এলেক ব্যাল্ডউইন নিয়মিত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্পকে মোক করে টিভি শো করছেন। জিমি ফ্যালনও লোক হাসাচ্ছেন ট্রাম্প সেজে। তাদের কারো বিরুদ্ধেই কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি ট্রাম প্রশাসন। তিনি জানেন, জনগণের বাকস্বাধীনতায় হাত দেয়ার ক্ষমতা তার নেই। আর সে দেশের জনগণ এতোটাই সচেতন যে এমন কিছু হলে ট্রাম্প সরকারের পতনও হয়ে যেতে পারে।
এদিকে গণতন্ত্রের মানসকণ্যা কিংবা মাদার ওফ হিউম্যানিটির একটু সমালোচনা করলে ভূমিকম্প হয়ে যায়। এভাবেই জনগণের বাকরোধ করে করেই তিনি গণতন্ত্রের মানসকণ্যা হয়ে গেছেন!
আর আমাদের সমাজের বিবেকেরা এসব ব্যাপারে কী নির্লিপ্ত! মোহাম্মদ জাফর ইকবাল ছাত্রদের নিয়ে কত পাতা লিখেই না পত্রিকা ভরিয়েছেন৷ কত মোটিভেশনাল স্পিকার ছাত্রদের প্রেরণা দিতেন এতোদিন। আর যখন ছাত্ররা একটা বাঁচামরার লড়াই করছে, তখন তারা হাওয়া!


এইতো কিছুদিন আগে কাতালোনিয়া স্পেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা পেতে লড়ছিল। যুদ্ধের মাধ্যমে নয়; তারা চেয়েছিল গণভোট নির্ধারণ করুক তাদের ভাগ্য।
স্পেনে তাদের অবস্থাটা ঠিক তেমন যেমনটা ছিল পাকিস্তান আমলে পূর্ব বাংলার।
বার্সেলোনার রাস্তায় নেমেছিল তখন লাখো মানুষের ঢল। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সব সরকারী কাজ, অফিস-আদালত-স্কুল-কলেজ। তাদের সেই মিছিলে আমাদের মত “জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও” টাইপ স্লোগান ছিল না৷ রঙ বেরঙের পোশাক পড়ে, গান গেয়ে আন্দোলন করছিল তারা। সেই বিষহীন মিছিলেও লাঠিচার্জ করে স্পেইন প্রশাসন। পুলিশি হামলা ভেঙে দিতে চেষ্টা করে আন্দোলনের স্রোত। সেদিন স্পেন সরকারের লেলিয়ে দেয়া রায়ট পুলিশকে আন্দোলনকারীরা ফুল দিয়েছিল। আক্রমণ নয় ভালবাসা দিয়েই তারা অনেক জায়গায় ঠেকিয়ে দিয়েছিল পুলিশকে।
খবরটা ছড়িয়ে পড়ে খুব তাড়াতাড়িই। এর কিছুদিন পরই, স্পেন প্রশাসন ক্ষমা চেয়ে নেয় হতাহতদের কাছে৷
এদিকে আমাদের কোটা আন্দোলনেও শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করে সাধারণত টিএসসিতে। তারাও ফুল দিয়ে থামানোর চেষ্টা করেছিল পুলিশি হামলা। অথচ পুলিশ তাদের কতজনের পিঠে লাঠি ভেঙেছে, তার হিসেব নেই।
ছাত্রলীগ আর পুলিশ বারংবার হামলা করছে কোটা আন্দোলনকারীদের উপর। মেয়েদের পর্যন্ত ছাড়ছে না তারা৷ শিক্ষদের উপর আসছে হামরা হুমকি। গায়েও হাত তুলেছে ছাত্রলীগ এক শিক্ষকের। এসব হামলার ছবি সবাই দেখেছে; ভিডিও দেখানো হয়েছে টিভিতে। অথচ আমাদের প্রশাসন আর সরকার বারবার বলে আসছে, “ছাত্রলীগ হামলার সাথে জড়িত নয়!”
এটাই পার্থক্য এই দুই দেশের৷ দুই দেশের গণতন্ত্রের৷ বলছি না স্পেন সরকার কাতালোনিয়ার সাথে যা করেছে তা ভাল। কিন্তু তারা অন্তত স্বীকার করেছে হামলার ব্যাপারটা। আর আমাদের সরকার এসব ব্যাপার সবাই জানার পরও পুরোপুরি অস্বীকার করে যাচ্ছে শুরু থেকেই।
প্রধানমন্ত্রীকে কবে কোন পত্রিকা কী বিশেষণ দিয়েছে, সে বিশেষণকে উপাধিতে পরিণত করতে আওয়ামীলীগের নেতারা যতটা পারদর্শী, ততটা পারদর্শী মানুষের মন বোঝায় হলে বুঝতো, মানুষ তাদের কতটা ঘৃণা করছে। এতো ঘৃণা উপেক্ষা করে চেয়ারে বেশিদিন হয়তো তারা থাকতে পারবে না।


ক্লাস ওয়ানের বাংলা বইয়ে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান কীভাবে বিমান চুরি করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন, সেটা পড়ে শিহরিত হয়েছিলাম খুব। ক্লাস ওয়ান থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি ভাললাগাটা ছিল অন্যরকম। জানি না এখনো ক্লাস ওয়ানে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানকে নিয়ে সে অধ্যায়টা আছে কিনা।
যদিও আজকের এই বাংলাদেশ কারোই কাম্য নয়, হতে পারেই না, তারপরও এদেশের স্বাধীনতা এনেছিলেন তারাই, মুক্তিযোদ্ধারা। অন্তত গোলামি থেকে মুক্ত করিয়েছেন আমাদের৷
কিন্তু যখন সে মুক্তিযোদ্ধারাই কোটার পক্ষে বিবৃতি দেয়, তাদের সন্তানেরা যখন কোটা সংস্কার রুখতে নামে মানববন্ধনে, তখন তাদের জন্য তিলে তিলে গড়ে ওঠা সম্মানটা ঝাড়ঝুড় করে ভেঙে পড়ে। যে যোদ্ধারা একদিন ৫৬% বাঙালির উপর চলা বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, তারাই এখন লড়ছেন ৫৬% কোটার জন্য।
আজ অবস্থা এমন, মুক্তিযোদ্ধা শব্দটা শুনলে, আর তাদের বীরত্বের কথা মনে পড়ে না। মনে পড়ে শুধু ৩০% কোটার কথা।
এইতো শতবর্ষ আগেও সমাজতন্ত্র ছিল একটা স্বপ্ন। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে কত প্রাণ গেল, দেশ ভাগ হলো। স্ট্যালিনের আমলের অত্যাচারের কথা আর এখনকার নর্থ কোরিয়ার অবস্থা জানলে হয়তো কেউ আর সমাজতন্ত্রের কথা মুখেও আনবে না।
সমাজতন্ত্রের এ হাল হয়নি একদিনে। মানুষ অত্যাচারীত হয়েই ত্যাগ করেছে সে ইউটোপিয়া। কিছুদিন পর মানুষ এভাবেই হয়ত ত্যাগ করবে মুক্তিযোদ্ধাদের। আজ থেকে শতবছর পর যখন ইতিহাস লিখবেন কোন ঐতিহাসিক, তখন কোটা আন্দোলন নামক অধ্যায়ে ভিলেন হিসেবে তাকে মুক্তিযোদ্ধা আর ছাত্রলীগকে বসাতে হবে। গণতন্ত্রের মাতা চিহ্নিত হবেন স্বৈরশাসক হিসেবে৷
ইতিহাস এই সরকারকে ক্ষমা করবে না। অবশ্য মনে হয় না, ইতিহাস নিয়ে ভাবার মত মাথা তাদের আছে।


বারবার শুনে আসছি একটা কথা- “যারা কোটা সংস্কার আন্দোলন করছে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী!”
তাহলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী কারা? যারা কোটা সংস্কার চায় না, তারা? আওয়ামীলীগে দলে দলে জামাতের লোকেরা যোগ দিয়েছে, পেপারে পড়েছি। জামাতের কেন্দ্রীয় নেতা মমিনুল হক চৌধুরির জামাতা বর্তমানে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া আসনের আওয়ামীলীগের এমপি। এই জামাতি নেতারাই কি আজ পালটি খেয়ে আওয়ামীলীগ করছে বলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মানুষ হয়ে গেল?

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ২:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


এনিমেল সায়েন্স ইউনিভার্সিটির কথা বলছেন? ওখানে কাকে রাখবে, কাকে বের করে দেবে, বলা নিশ্চয় মুশকিল!

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হা হা

২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৫৯

রডারিক বলেছেন: আমার এক চাচাতো ভাই আছেন মুক্তিযুদ্ধা। তার অত্যাচারে আমরা এখন অতিষ্ঠ। অন্য ভাইদের জমি দখল থেকে শুরু করে হেন কোন ষড়যন্ত্র বাদ নেই যা তিনি করছেন না। কিছু হলেই বলে উঠেন আমি মুক্তিযোদ্ধা। অনেকটা পুরনো বাংলা ছবির মড়লের মত। তার কর্মকাণ্ডে এখন মুক্তিযুদ্ধ শব্দটিই অভিশাপের মত মনে হয়।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সবাই এমন নয় অবশ্যই৷ আপনার চাচাতো ভাইকে দিয়ে সবাইকে জাজ করতে পারবেন না। তবে অনেক ক্ষেত্রেই মুক্তিযোদ্ধাদে নৈতিক অবস্থান এখন আর অনুসরণীয় নয়

৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


@রডারিক ,

সৌভাগ্য যে, আপনি ও পরিবারের বাকীরা মুক্তিযোদ্ধা নন, তা'হলে বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের পরিবারের জ্বালায় মালয়েশিয়া চলে যেতো। নাকি আপনারা অন্য পক্ষে ছিলেন?

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ;)

৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:১৮

রডারিক বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, কাটা ঘায়ে নুনের চিটা দিয়েন না, এমনিতেই প্রান যায়। তবে এটা নিশ্চিত আমরা অন্য পক্ষে ছিলাম না।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অন্য পক্ষে কোন সুস্থ মানুষই থাকত না

৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


@রডারিক ,

স্যরি, মন খারাপ করিয়েন না; মুক্তিযোদ্ধাদের বিপক্ষে কিছু শুনলে, আমার মাথাটা কাজ করে না।

মনে হয়, আপনার চাচাতো ভাই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা; আসল মুক্তিযোদ্ধারা ভালো মানুষ ছিলেন সব সময়।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আসল মুক্তিযোদ্ধারা ভাল মানুষ ছিলেন; এখন হয়ত নেই।
ভাল থাকলে কোটা রাখার পক্ষে তারা থাকতেন না

৬| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:৫১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: "মুক্তিযুদ্ধ শব্দটি অভিশাপের মত মনে হয়" !!! অনেক বেশি বলে ফেললেন রডারিক। চাচার উপর তীব্র রাগ, ঘৃণা থাকতে পারে, তাই বলে তাই বলে এমন অনুভব তো মোটেই কাম্য নয়। মানুষ মাত্রই ভালো খারাপের মিশেল। আপনার চাচার কর্মকাণ্ড তার ব্যক্তিগত খারাপের পরিচায়ক। মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও একইরকম খারাপ কাজ আরও বহু মানুষ করছেন। আমার আত্মীয়দের মাঝে কিছু আছেন মুক্তিযোদ্ধা। এমনকি স্বেচ্ছায় সনদ নেননি দুইজন। কিন্তু আমি কাউকেই তেমন খারাপ কিছু করতে দেখিনি। আবার বাইরের উদাহরণ দেই, শিশুমেলার কাছে একবার ওজন মাপার জন্য দাঁড়ালাম। আমার সামনে একজন ওজন মাপছেন। তিনি মাপা শেষে টাকা না দিয়েই চলে যেতে লাগলে ওজনমাপা ছেলেটি ডাক দেয়। তিনি তাঁর মুক্তিযোদ্ধা ব্যাজ দেখিয়ে চলে গেলেন। আরেকবার বাসে শ্মশ্রুমন্ডিত পায়জামা-পাঞ্জাবী, টুপি পরা এক লোক বাসের ভাড়া দিলেন না নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে। সোনালী ব্যাংকে একবার এক লোক টাকা দিতে দেরি হচ্ছে দেখে "দেশটা দ তৈয়ার কইরা দিছি, এর লেইগা তোমরা এত আরাম কর" এই কথা বলে গজগজ করে সবার আগে কাউন্টারে যেতে চাইলেন। বর্ণিত এই তিন ব্যক্তি তাদের মানবিক উৎকর্ষতায় পরাজিত। ইনারা অহংকারের মত খারাপ শক্তির দাস। কিন্তু তাই বলে মুক্তিযুদ্ধে মত মহান একটা বিষয় কোনদিনই অপবিত্র বা অভিশাপ অনুভূত হওয়ার মত হতে পারে না। মানুষের খারাপটা তার ব্যক্তিগত।

আমি চাই না কোটা পুরোপুরি বাদ হোক, কিন্তু অবশ্যই সংস্কার চাই। আর নাতির ঘরে পতি পর্যায়ে কোটা সমর্থনের কোন যুক্তি, আবেগ কিচ্ছু নেই।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আন্দোলন করাই হচ্ছে সংস্কারের জন্য। বাতিল চাইনি কোনদিন।
প্রধানমন্ত্রী কেন বারবার বাতিল বাতিল করছেন বুঝছি না

৭| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:০৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আমরা (দেশের মানুষ) 'দেশটা যে নিজেদের' সেটা অনেক আগেই ভুলে গেছি অথবা দেশের সম্পদ'কে নিজের সম্পদ ভাবার যোগ্যতা, বোধ আমাদের (দেশের মানুষের) নেই। থাকলে আম্লীগ, বিম্পি, জামাতের কথায় নেচে দেশের সম্পদ নষ্ট করতাম না।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হুম। সেটাই

৮| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:৫১

রডারিক বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই আর চঞ্চল হরিনী দুজনের কাছেই দুঃখ প্রকাশ করছি আমার মন্তবের জন্য। চঞ্চল হরিণীর কাছে কৃতজ্ঞ যে তিনি একটা শব্দ আমাকে ধরিয়ে দিয়েছেন "মুক্তিযুদ্ধ"। আসলে শব্দটি হবে "মুক্তিযুদ্ধা"। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহঙ্কার আর মুক্তিযুদ্ধারা অবশ্যই নমস্য, শুধু কিছু মতলব বাজ বাদ দিয়ে। সবাইকে ধন্যবাদ।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কিছু মতলববাজ সব জায়গায়ই আছে৷ আর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধায় তো দেশ ভরে গেছে

৯| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:৫৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: এক অত্যাচারী পিতা ও তার কন্যার সমালোচনাকে আমাদের দেশে অবমাননা বলে গন্য করা হয়।ধর্মীয় অবমাননার চাইতেও বড় এই অপরাধ।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: একে অত্যাচারী বলতেই পারেন। তার বাবাকে অত্যাচারী বলছেন কোন যুক্তিতে?
ধর্ম অবমাননা ব্যাপারটাও অপরাধ না

১০| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: ভাই ভয়াভহ এক দেশে আমরা থাকি।
সব সময় ভয়ে থাকি কখন কে যেন এসে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাড় ভেঙ্গে দেয়।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমি তাই ছদ্মনামে লিখি। ক্যাম্পাসে কেউই জানে না আমি লিখি এটা ওটা

১১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:২০

মোগল সম্রাট বলেছেন: অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়-আওমীলীগ সরকার মনে করে মুক্তিযুদ্ধ কোন একটা বিনিময়ের বিষয় ছিলো-যে বাপ-দাদা-নানারা যুদ্ধ করেছিলেন বলে এখন তাদের উত্তরসুরিদের বিনিময় দিয় পুষিয়ে দেয়া হচ্চে।

আসলে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধারা সবারই চির শ্রদ্ধার, চির বরেন্য, তারা কোন কিছুর বিনিময়ের আশায় কোন মুক্তিযোদ্ধাই মুক্তিযুদ্ধ করেননি। ক্ষমাতা ব্যবহার করে সন্ত্রাসী দ্বারা ছাত্রদের হাতুর দিয়ে পিটিয়ে দলটি তাদের আগামীর ইতিহাস বইয়ে কলঙ্কিত অধ্যায়ে পঠিত হবে।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভাল বলেছেন। তারা যদি বিনিময় চায়, তাহলে খর্ব হয় তাদের নিজেই সম্মানই।

১২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৩১

এ.এস বাশার বলেছেন: আসল মুক্তিযোদ্ধার খবর নাই, নকল মুক্তিযোদ্ধার ঘুম নাই। কোঠার পরমপরা মোটেই ঠিক হয়নি।
ডিম পেড়ে গেছে হাঁসে, খাচ্ছে বাগদাসে!!!

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আসল মুক্তিযোদ্ধারাও তো কোটা রাখার পক্ষে। তারা সুবিধা পাচ্ছে তো।

১৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৭

এ.এস বাশার বলেছেন: আসল মুক্তিযোদ্ধারা কিছুটা সুবিধা পাক তাতে ক্ষতি কি? তাই বলে পরমপরা!
কোটা নেয়ে আমার আজকের কবিতা পড়ার নিমন্ত্রণ রইল।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: তাদের ভাতা দেয়া হচ্ছে। দরকার হলে বাড়িয়ে দেয়া হোক। এটা তাদের প্রাপ্য৷ অনেক মুক্তিযোদ্ধা তাদের কর্মক্ষমতা পর্যন্ত হারিয়েছে যুদ্ধে গিয়ে৷কিন্তু সন্তানদের, নাতিপুতিদের সুবিধা দেয়াটা পাগলামি।

১৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:২২

ব্লু হোয়েল বলেছেন: উত্তরাধিকারের উৎপত্তি ছেলের জেনারেশনে । মেয়ে বিয়ে দেয়ার পর তার জেনারেশন কিন্তু মেয়ের স্বামীর জেনারেশন । জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন আর মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পূতিদের কোটা একই সূত্রে গাঁথা ।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সেটাই বোঝা যাচ্ছে

১৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: @ লেখক, বাপের দুঃশাষন আপনি না দেখতে পারেন কিন্তু শোনেন নাই এটা বড় তাজ্জব কথা। ৭৩এর দুর্ভিক্ষের কথা শুনেছিলেন? এখন যদি বলেন যে সেটাও শোনেন নাই, তাইলে অবস্য যুক্তি দিয়া আপনারে বোঝানো যাবে না।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: দুর্ভিক্ষের কারণ ছিলেন তিনি?
হাসালেন!

১৬| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১১

ঢাবিয়ান বলেছেন: বাংলাদেশের দুর্ভিক্ষের কারণ ছিল বহুবিধ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, বন্যা, সরকারি খাদ্যশস্যের স্টকগুলির অপব্যবহার, আন্তজেলা খাদ্যশস্য সরবরাহে আইনী বাধা, প্রতিবেশী দেশগুলিতে খাদ্যশস্য চোরাচালান এবং তথাকথিত বিতরণ ব্যর্থতা।সুত্র ঃ উইকিপিডিয়া

এখন আপনে যদি মনে করেন যে উপোরক্ত কারন সমুহের জন্য দেশের প্রেসিডেন্টকে কোনভাবেই দায়ী করা যাবে না , তাইলে বলার কিছু নাই।

এনিওয়ে এই নিয়ে আর বিতর্ক যেতে একেবারেই ইচ্ছুক নই।বর্তমান হোক আমাদের আলোচনার মূখ্য বিষয়।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: যুদ্ধবিধ্বস্ত একটা দেশে সবকিছু ভালভাবে হবে এটা আশা করা যায় না। এটা বঙ্গবন্ধুও বলেছেন কয়েকবার ভাষণে। তার লোকেরা দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছিলেন। যারা একদিন দেশের জন্য লড়েছিল, তারাই রাইফেল নিয়ে লুটতরাজ করেছিল। এর জন্য উনি কতটুকু দায়ী সেটাই ভাবার বিষয়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.