![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রশ্নকর্তাঃ-জুন মাসের এই তারিখ কি রক্ত দিয়ে সাজানো হয় রাস্তা!আলপনার বদলে!রাস্তায় পড়ে থাকা আঙ্গুলটির নখের
দাগ এখনো শুকায়নি কেনো!এখন কে হবে হুকুমকর্তা,,যাকে নির্বাচিত করেছিলো লক্ষাধিক আঙ্গুল,, ঐ সবের মাঝে হয়তো এই আঙ্গুলটিও ছিলো!তবে এখন নিথর হয়ে পড়ে আছে কেনো!এর দেহ কোথায়!মরে গেছে নাকি গুম করা হয়েছে!!কে ছিলো ঐ লোকগুলো যাদের হাতে ছিলো লাঠি!কোনো অফিসার ছিলো পুলিশের,, নাকি ম্যাজিস্ট্রট ছিলো,,নাকি ন্যায়াধিষ্ঠ ছিলো!,কে করলো ওকালতি,, কে দিলো এই বিচার?আচ্ছা!!ওরা কি ধর্মাত্মা ছিলো?নাকি ধর্মের রক্ষক ছিলো!এমন ধর্মের দেবতা কে!কি ই বা তাদের উপদেশ!!!!!!
আমি কোনো পুলিশ অফিসার,,রিপোর্টা,, উকিল নয়।সাধারণ নাগরিক যে সাংবিধানিকগণতন্ত্রের অংশীভূত।তাই আমার সোজাসাপ্টা প্রশ্ন,,তোমাদের উত্তর গুলো সোজাসাপটা চায়।
প্রত্যক্ষদর্শীঃ-আরেহ!আমি ছোট খাটো গড়নের,,কিইবা করতে পারতাম আমি!বাঁচাতে হয়তো যেতাম,,কিন্তু ওরা ৮-১০ জন ছিলো,,মোটরসাইকেল থেকে নেমে গালি দিয়ে নাম জিজ্ঞেস করলো,,নাম বলার পর তাদের জোড়ে জোড়ে ঘুষি মারতে লাগলো।মাটিতে পরে যাওয়ার পরও লাঠি দিয়ে ততক্ষণ পেটালো যতক্ষণ না শরীরের বাঁচার ইচ্ছা মরে যায়।তাদের মাঝে একজন পকেটে কি মনে করে হাত ঢুকানোর সাথে সাথে লম্বাগোছের একজন লোক এসে তার আঙ্গুল কেটে দিলো,,তারই হবে হয়তো এটা।
রিপোর্টারঃঃঃ-আরেহ!ঐ হাতের আঙ্গুল কাটা লোকটিই তাদের সর্দার ছিলো।সে জোড় গলায় বক্তৃতা দিয়েছিলো যে,,""আমরা যাদের মেরেছি ওরা রাজাকার।ওরা দেশ ও দেশের নির্বাচনে কোনো ভূমিকা রাখবে না।এদের যদি জুতার নিচে রাখা না হয় তাহলে মাথায় চড়ে বসবে,,অনেক গুণ বড় হয়ে নিজেদের প্রকাশ করবে,,গণতন্ত্রের সংজ্ঞা পাল্টে দিবে।তাই এর আগেই এদের জুতার নিচে পিষে ফেলতে হবে নিজেদের দেবতা তুষ্টির জন্য।"""
তাই আমরাও ভয় পেয়েগিয়েছিলাম।কেননা তারা একে তো কোন দেবতার তা জানা যায়নি,,দ্বিতীয়ত তারা যে হারে বাস্তবিক গণতন্ত্র চর্চার কথা বলছিলো তাদের নিতান্তই অসুস্থ মনে হচ্ছিলো।
প্রধানমন্ত্রীঃঃঃ-আরেহ!আমায় কেনো বিরক্ত করছেন!আমি সবায় রাতে নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুমাতে যাওয়ার পর ঘুমাতে যায়।তাই দিনের বেলা কি হয় না হয় কিছু হুশ থাকে না আমার।
কৃষিমন্ত্রীঃ-আরেহ!ধুরো মশায়,,এতো প্রশ্ন কিসের!!!যার আঙ্গুল ই কাটুট,,যার রক্তই ঝড়ুক,,ওরা সব তো রাজাকা। আপনি এতো মাথা ঘামান কেন!!!
সড়কমন্ত্রীঃ-আমরা তো তদন্ত করে দেখছি।এই নির্বাচনের পর পেয়ে যাবেন সব তথ্য।যদি ধৈর্য্য না ধরতে পারেন তাইলে ঐ কাটা আঙ্গুলরে যায় জিগ্গান কীভাবে হের এই দশা!!!
প্রশ্নকর্তা ঠিকই দৌড়ে আঙ্গুল কাছে গিয়েছিলো।কারণ তার বিশ্বাস যার ভোটের উপর দেশ নির্ভরশীল তার নির্ভরতার ভাড় এতো তাড়াতাড়ি শেষ হতে পারে না।।
কাটা আঙ্গুলঃ-ঃ-এখন আর কি চাইতে আসছো?ভোট ছিলো,,দিয়ে তো দিছিলাম,,এমনেতেও কয়দি হয়ে ছিলা,, মুক্তি দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।তোমার নেতাই তো আদালত,,তোমার নেতাই উকিল,,তোমাদের নেতাই ন্যায়াধিষ্ঠ।অবশ্য আমার তোমার মতো ঘুৃমন্ত খচ্ছরদের কাছে কোনো অভিযোগ নেয়,,তোমার মতো ১০০ জন দাঁড়িয়ে আমার বিচ্ছিন্ন হওয়া দেখেছে।তাদের মাঝে একজনও যদি সাক্ষী দেয় তাইলে আমি ঐ ভীতুদের ভীড়ের ন্যায় মাথা পেতে নিবো।নিজ নিজ প্যানেলে গিয়ে চর্চাই করো খালি,,""কী হলো শেখের ওয়াদার?কীইবা হলো শেখের বেটির ওয়াদার??""নাকি এটাই ছিলো শেখের বেটির পরিণতির ওয়াদা!নাকি এটাই বাস্তবিক নিয়ম!যদি তাই হয় তাহলে তোমরা আজীবন ঘুমন্তই থাকো।
তবে যেহেতু তোমরা প্রশ্নে জড় জড়িত তাই তোমাদের হুশিয়ার করছি,,""দেবতা তুষ্টির ভিড়কে কিছু জিজ্ঞেশ করার শাস্তি মৃত্যুদন্ড।"""জানতে এসছো,,জেনে চলে যাও।এমনেতেও কয়েকজনের মৃত্যুতে কিছু আসে যাবে না কারো।চারদিন আন্দোলন চলবে,,চর্চা হবে,,ইভেন্ট হবে #ডেমোক্রেসি,,পঞ্চমদিন সবাই সবার কাজে চলে যাবে।নিজ কাজেই ব্যস্ত থথাকো।তবে কেও যদি জানতে চায় কে ছিলো!বলবে একটা ছোটোখাটো ভিড় ছিলো।তারপরও যদি জেদ নিয়ে বলে ওদের কি হয়েছিলো!তাহলে সাবধানে আঙ্গুল তুলিও,কেননা আঙ্গুল সব কেটে ফেলা হবে।আর ওকে ঘুরায় ঐমন কিছু বলিও যাতে ও মনে মনে আমাদের দেশদ্রোহী ভাবে,,,যাতে তোমার মতো ওর আঙ্গুলও বেঁচে যায়........
২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:১৫
ভেলকি বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০
স্রাঞ্জি সে বলেছেন: হ্যাপি ব্লগিং।
প্রতিমন্তব্য করার জন্য সবুজ চিহ্ন ক্লিক করুন।
২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:০৬
ভেলকি বলেছেন: ধন্যবাদ,শিখিয়ে দেয়ার জন্য।
৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২
বিজন রয় বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম ভেলকি সাহেব।
শুভকামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
শুভ ব্লগিং..........