![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেঘরংগা চোখে লজ্জা তার বাসা বাধে...
আজ সুচির বাসর রাত। নীলাভ আলোটা ছাড়া তার বাসর ঘরে ভাল লাগার মতো বা রোমাঞ্চকর আর কিছু নেই।সুচি চুপচাপ বসে আছে।তার মন ভাল নাকি মন খারাপ সে তা ঠিক বুঝে উঠতে পারছেনা ।হয়তো মন,ভাল আর মন্দের সমান্তরালে চলছে।ঠিক রেল লাইনের মতো।বিষয় টা মন্দ না।সুচি সেটা দারুন ভাবে উপভোগ করছে।কারণ সব কিছু মাত্রারিক্ত হলে সুখ,দুঃখ,চিন্তা,চেতনা লোপ পেয়ে যায়।আর এগুলো লোপ পেয়ে গেলে মানুষের মানসিক ভারসাম্যে অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হয়।অথচ সুচির এগুলোর কিছুই হয়নি তারপরও সুচির সব কিছুর মাঝে নিজেকে কেমন যেন অস্বাভাবিক জন্তু মনে হচ্ছে।মনে হচ্ছে শূন্যের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে।সব কিছু অন্য রকম লাগছে।নিয়ম নীতির উল্টো পিঠের মতো।অনিয়মের মাত্রা গুলো আজ নিয়মের জায়গা দখল করেছে। কারন বিয়ের রাতে কেউ জামদানী শাড়ি পড়ে থাকেনা।জামদানী শাড়ি বিয়ের শাড়ি না।বিয়ের শাড়ি মানেই সচারাচর আমরা বেনারসি শাড়িকেই বুঝে থাকি।প্রতিটা মেয়ের স্বপ্ন বিয়ে,বাসর মানেই তো বেনারসি আর সুচি কিনা একটা জামদানী শাড়ি পড়ে বাসর ঘরে বউ সেজে বসে আছে।ভাবতেই অদ্ভুত লাগছে।
সুচির জীবনে ছোট একটা শখ জেগেছিল সেদিন থেকে যেদিন সে বিটিভি তে বিপাশা হায়াতের একটা নাটক দেখেছিল।সেখানে বিপাশা হায়াত বউ সেজেছিল।কি সুন্দর একটা বিয়ের ওড়নাতে ঘোমটা টেনে বসে ছিল।কি যে চমৎকার লাগছিল দেখতে।মনে হয়েছিল বউ সেজে সে পরিপূর্ণ তৃপ্ত একজন মানুষ।সেই থেকে সুচির মনেও এ শখ বাসা বেঁধেছিল যে বিয়ের বেনারসি যেমনই হোক না কেন বিয়ের ওড়নাটা যেন অনেক গর্জিয়াস এবং চমৎকার হয়।কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস,মানুষ যা ভাবে সেটা হয়না।কারণ আজ সুচির মাথায় একটা সাধারণ মানের বিয়ের ওড়নাও নেই।সে শাড়ির আঁচল টেনে ঘোমটা দিয়েছে।শাড়ীর আঁচলের ঘোমটা মাথায় ঠিক মতো থাকেও না।পড়ে পড়ে যায়।বউ সাজার প্রধান উপকরণ হল মাথায় টিকলি আর নাকের নথ,হাতে গোছা ভরা চুরি,খোঁপায় তাজা ফুলের থোকা,মেহেদির আলপনা আঁকা হাত,সানায়ের সুর কোন কিছুই নেই সুচির বিয়ে উপলক্ষে।তারপরও আজ সুচির বিয়ে,তার বাসর রাত।
সুচি বৌ সেজে বসে আছে কিন্তু হটাৎ করেই সে অনুভব করল তার কণ্ঠনালী শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে।আশে পাশে খোঁজ করেও পানি পেল না।সুচির মনে হয় গরমে তার শরীর পুড়ে যাচ্ছে।একটু পানি খেতে পারলে তার ভালো লাগত।জ্বর শুরু হল নাকি ?এখন তো জ্বরের মৌসুম না।কি আজব ব্যাপার!জ্বরেরও আবার মৌসুম থাকে নাকি।থাকেই তো,সব কিছুরই মৌসুম থাকে।বিয়েরও মৌসুম থাকে।এটা হয়তো বিয়ের মৌসুম না।সম্ভবত সে কারণেই সুচির বিয়েতে এতো বিড়ম্বনা।কিন্তু সুচি ভেবে পায় না এই অসময়ে তার জ্বর আসার কারন কি? জ্বর আসার আবার আলাদা কারণ থাকে নাকি?হয়তো থাকে।যেমন বৃষ্টির পানিতে ভিজলে ঠাণ্ডা লেগে জ্বর হতে পারে, বেশি গরমে ঘেমে ঘাম শরীরে শুকিয়ে গেলে জ্বর হতে পারে, কোন কারনে বেশি দুশ্চিন্তা বা ভয় পেলে জ্বর হতে পারে।এ রকম জ্বরের হাজারো কারণ থাকতে পারে। তাহলে আমার জ্বরের কারন কি, সুচি আবারও ভাবে! সম্ভবত বিয়ের ভয়েই জ্বরটা আসে?তাহলে বিয়ের ভয়, জ্বর হওয়ার কারণের সাথে আরও একটা কারণ যুক্ত হল।জ্বর আসার আর টাইম পেল না। বাসর ঘরেই আসতে হবে?কিন্তু পানির পিপাসা সুচির বেড়েই চলেছে।হাতের কাছে এক ফোঁটা পানিও নেই যে সে খাবে।বাসর ছেড়ে কি এখন তাকে পানির খোঁজে বের হতে হবে?
সুচির সকল ভাবনায় ছেদ পড়ে যায় ঘরের দরজা খোলার শব্দে।সম্ভবত সুচির স্বামী।সম্ভবত কেন? সুচির স্বামীই তো,যাকে আজ সে বিয়ে করেছে,সে দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করেছে।সুচি চুপচাপ বসে আছে।সে প্রাণপণ চেষ্টা করছে খাঁটি একজন বাঙ্গালী বউ হওয়ার জন্য চেষ্টা।সেক্ষেত্রে নতুন বউ হিসেবে তার বেশি কথা বলা ঠিক হবে না।একদম চুপচাপ থাকতে হবে।কিন্তু পানির পিপাসায় সুচির গলা ফেটে যাচ্ছে কেন?কেন রাজ্যের পানির তৃষ্ণা তার সারা শরীর জুড়ে?কেন চৈত্রের খরা তার বুকের জমিনে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে?সব কিছু এতো খাঁ খাঁ লাগছে কেন?
তোমার ঘরটা অনেক সুন্দর গোছানো হলেও একটু বেশি ছোট,তবে তোমার একা থাকার জন্য যথেষ্ট কিন্তু দুজন থাকার জন্য সমস্যা।তার সদ্য বিয়ে করা স্বামীর কথায় খেয়াল হল,যে বাসর সুচির নিজের ঘরেই পালিত হচ্ছে।এতক্ষণ সেটা তার খেয়ালী ছিল না।নীল আলোয় ঘরটা কে কেমন অপরিচিত লাগছে তার নিজের কাছে।সে বুঝতে পারছে একটু একটু করে তার শরীরের তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে।তার চিন্তা চেতনা দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।মরার জ্বর আসার আর সময় পেল না।সুচি বিরক্ত হয়ে নিজে মনে প্রলাপ বকতে থাকে।
তার স্বামী আবার বলা শুরু করল ... আরবি লেখা খচিত ওয়ালমেটটা সুন্দর।পিতরঙ্গার মধ্যে সোনালি বর্ডার মানিয়েছে ভালো।নিশ্চয় তোমার পছন্দ,তাই না?সে সুচিকে জিজ্ঞাসা করলো,রুমে তোমার নিজের কোন ছবি নেই কেন?
> সুচি ছোট করে বলল, আছে তো।দরজার পেছনে।
...ওহো সরি খেয়াল করিনি।
... সবুজ ফতুয়ায় লাল ওড়না ম্যাচিং, লাভলি হয়েছে।খোঁপায় হলুদ ফুল।হাতে রোদচশমা উদাসী ভঙ্গিতে দূরে কিছু দেখছ, ছবিটা কিন্তু দারুন সুন্দর হয়েছে।তুমি আর তোমার পুরোটা প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।মনে হচ্ছে তুমি নিজেই প্রকৃতির একটা অংশ।
সুচি ভেবে পায় না, বাসর রাতে বউ রেখে ঘরের বর্ণনায় মেতে উঠার ইতিহাস এটাই হয়তো প্রথম হবে।ছোট খাট ২/১ টা বাসর রাতের গল্প সুচির শোনা আছে।সেগুলো কত রোম্যান্টিক হয় আর আমার বাসর রাতে লোক টা ঘর নিয়ে গবেষণা শুরু করে দিয়েছে। চরম বিরক্ত লাগে তার।সেই জন্যই মনে হয়,সুচির দুচোখ ভেঙ্গে ঘুম আসছে।আস্তে আস্তে মাথা ব্যথাও শুরু হচ্ছে।তার মাথা এতো ভারি ভারি লাগছে কেন?মনে হচ্ছে দ্বৈতসম দুটি হাত সুচির মাথার দুপাশ থেকে চেপে ধরছে।সে কিছুতেই মাথা নড়াতে পারছেনা।হঠাৎ করেই যেন চারপাশে ঝি ঝি পোকার ডাক বেড়ে গেল।ভালো করে সে কিছু শুনতেও পাচ্ছেনা।
সুচির স্বামী আবার বলা শুরু করল ... আচ্ছা, আজ তোমার বাসর রাত অথচ ফুল দিয়ে তোমার ঘর সাজানো নেই কেন?আজকের রাত টা তোমার জন্য হবে একটা ঐতিহাসিক রাত।আর ইতিহাস সব সময় জাঁকজমক পূর্ণ হওয়া উচিত।সবাই সেটাই চায়।তোমারও তেমনটাই হওয়া উচিৎ।
সুচিও ভাবে, সত্যি তো, আজ আমার বাসর রাত অথচ কেউ ফুল দিয়ে আমার ঘরটা একটু সাজিয়ে দেয়নি কেন!!ঘর সাজানোর মতো কেউ কি নেই?নাকি কেউ ইচ্ছে করেই সাজায়নি?নাকি সবার ইতিহাস জাঁকজমকপূর্ণ না হলেও কোন ক্ষতি নেই।আমার বেলায় সব নিয়মের অনিয়ম হচ্ছে কেন? বাসর ঘরে আত্মীয় সজনরা কত কিছু ফলমূল রেখে যায় কিন্তু আমার ঘরে কেউ একটু পানিও রেখে যায়নি কেন?এখন আমার পানি খেতে খুব ইচ্ছা করছে।মনে হচ্ছে এক জগ পানি আমি এক নিঃশ্বাসে খেয়ে শেষ করে ফেলব।
... চল এক কাজ করি, আমরা নিজেরাই আমাদের বাসর ঘর সাজিয়ে ফেলি, সুচির স্বামী অনেক উৎসাহ নিয়ে কথাটা বলল।
এমন আজব কথা শুনে সুচি তো রীতিমতো অবাক।লোকটার মাথায় কোন সমস্যা আছে নাকি!মাথায় সমস্যা না থাকলে কেউ এমন কথা কেমনে বলে?সে এখন কি দিয়ে বাসর ঘর সাজাবে?ফুল নেই,সূচ সুতা নেই।তাছাড়া এতো রাত হয়ে গেছে এখন বাসর ঘর সাজানোর কি দরকার।রাত তো মাত্র আর কয়েক ঘণ্টা বাঁকি।আর বাসর রাত,বাসর ঘর মানে কি শুধু ফুল দিয়ে সাজানো ঘর?নাকি আরও অন্য কিছু?
... তুমি ভেবনা, ঘর সাজানোর সকল সামগ্রী বুদ্ধি করে আমি সঙ্গে করেই নিয়ে এসেছি।সব রেডি শুধু দুজন মিলে ফুলের মালা গুলো ঝুলিয়ে দেব।তবে মন খারাপের বিষয় হচ্ছে আমাদের বাসর ঘর কাগজের ফুলে সাজাতে হচ্ছে।কারণ তাজা ফুল লুকিয়ে আনা সম্ভব না।মানে ফুল লুকানো সম্ভব হলেও ফুলের সুবাস লুকানো সম্ভব হতো না।ফুলের গন্ধে সবাই বুঝে ফেলতো। তাই বুদ্ধি করে কাগজের ফুল নিয়ে এসেছি... সুচির স্বামী মিটি মিটি হাসছিল আর কথা গুলো বলছিল।
সুচিকে অবাক করে দিয়ে সে সত্যি সত্যি ব্যাগ থেকে কাগজের মালা বের করা শুরু করল। প্রথমে সুচির বিরক্ত লাগলেও এখন এটা ভেবে ভাল লাগছে যে অন্তত তাজা ফুলের না হলেও কাগজের ফুলে সাজানো তার একটা বাসর ঘর হবে,মন্দ কি?আজ তো আমার সব কিছুই উল্টাপাল্টা হচ্ছে।কোন কিছুই নিয়ম মাফিক হচ্ছে না।সুতরাং হোক না আরও কিছু উল্টাপাল্টা কাজ ... সুচি ভাবে।কিন্তু সুচির এতো ঘুম পাচ্ছে কেন?দুচোখে ভেঙ্গে তার ঘুম আসছে।জোর করেও সে তার দুচোখের পাতা খোলা রাখতে পারছেনা।কিন্তু আমি আরও কিছু উল্টাপাল্টা জিনিস দেখতে চাই ... সুচির অস্ফুট উচ্চারণ,আমার বাসর রাতে আর কি কি অনিয়ম হয় তা আমি শেষ পর্যন্ত দেখতে চাই।
সুচির স্বামী ব্যাগ থেকে কিছু জট পাকানো কাগজ ফুলের মালা সুচির হাতে দিল জট খোলার জন্য।আর বাঁকি গুলো দিয়ে সে পুরো উদ্যমে বাসর ঘর সাজানো শুরু করল।সুতার জট খোলার থেকে তার স্বামীর ঘর সাজানো দেখার ইচ্ছা সুচির মধ্যে প্রবল হয়ে উঠলো।সুচি তার নোয়ানো মাথা উঁচু করে তার স্বামীকে দেখার চেষ্টা করলো।কিন্তু সুচি তাকে ঠিক মতো দেখতে পাচ্ছেনা। সব কিছু এমন অস্পষ্ট দেখতে লাগছে কেন?ঘরের নীলাভ আলোর কারণে তার পরে থাকা পাঞ্জাবীর রঙ্গটাও ঠিক মতো বোঝা যাচ্ছে না।সে কি ঘি রঙ্গের নাকি খয়েরী রঙ্গের পাঞ্জাবী পড়ে আছে বুঝতে পারছেনা।সুচি মনে মনে ভাবছিল,তাকে কি জিজ্ঞাসা করবে সে কি রঙ্গের পাঞ্জাবী পরে আছে।পরক্ষনেই সুচি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করল।না, থাক।বাসর রাতে এটা করার মতো প্রশ্ন না।শেষে ভাববে আমি চোখে দেখতে পাই না।সে যেমন খুশি তেমন রঙ্গের পাঞ্জাবী পরুক তাতে আমার কি।আমি আমার বাসর রাতের শেষ পর্যন্ত দেখে যেতে পারলেই হল।
কিন্তু সুচির ভেতরে অস্থিরতা বেড়ে গেল।সব কিছু এমন ঝাপসা আর আলো আঁধারি লাগছে কেন?কেন ঘরের মধ্যে থোকা থোকা অন্ধকার ঘুরে বেড়াচ্ছে ?কেন নীল আর কাল অন্ধকার এমন ভূতুড়ে লাগছে?এটা হয়তো সুচির বিভ্রম।দুর্বল মস্তিষ্কের ভুল সংকেত।তীব্র পানির পিপাসায় হয়তো এমন লাগছে।
কিন্তু সুচির দুচোখ তাকে খুঁজে খুঁজে না পেয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ছে।ভারী হয়ে উঠছে চোখের পাতা।সে চোখ খুলে সব কিছু পরিষ্কার দেখতে চায়,কিন্তু সে কিছুতেই দেখতে পারছেনা।সুচি হাত তুলে তার স্বামীকে ডাকার চেষ্টা করল।এতো চেষ্টা করেও কোনভাবেই সে তার হাত উপরে উঠাতে পারছেনা বা নড়াতে পারছেনা।কণ্ঠনালী রুদ্ধ,ঠোঁট বিড় বিড় করে অস্ফুট স্বরে কথা বলছে।কিন্তু লোকটা তার কথা কিছুই শুনতে পাচ্ছেনা।সে আপন মনে তার বাসর ঘর কাগজের ফুল দিয়ে সাজিয়ে যাচ্ছে।যেন কোন দিকেই তার ভ্রুক্ষেপ নেই।এখন তার একমাত্র কাজ বাসর ঘর সাজানো।
সাত সমুদ্র জল সুচির দুচোখ ভরে।চোখের কিনারায় আছড়ে পড়ছে ঢেউ।ভিজে যাচ্ছে তার কাগজের বাসর।জট পাকানো সুতা আরও জট পাকিয়ে যাচ্ছে।এ জট কোন ভাবেই খোলা সম্ভব না।তবু সুচির আপ্রাণ চেষ্টা অবিরত।কাঁদলে চলবে না।জয়ী সুচিকে হতেই হবে।যে করেই হোক এ জট সুচিকে খুলতেই হবে।বাসর ঘর সুচিকে সাজাতেই হবে।কারন আজ সুচির বাসর রাত।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১
ভিয়েনাস বলেছেন: দজ্জাল বউয়ের গল্প পড়ে আসলাম....ভালো লেগেছে
২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
চমৎকার।পড়তে পড়তে মাথা ঘোলাটে হয়ে গেসে ||
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪
ভিয়েনাস বলেছেন: মাথা ঘোলাটে হয়ে গেছে কেন...কঠিন কিছুতে বলিনি
৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ঐভাবে কান্নার কারণটা বুঝিনাই(বিয়ে হয়ে গেসে তাই কাঁদতেসিলো ?)+ সুচির ঘুম ঘুম ব্যাপারটা আমাকেও এফেক্ট করসে ||
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৩
ভিয়েনাস বলেছেন: সুচি আসলে তার বাসর নিয়ে বিভ্রান্তির মধ্যে আছে তাই আমাকেও বিষয়টা বিভ্রান্ত করেছে......
৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭
নীল-দর্পণ বলেছেন: উফফ!! এরকম অসম্পূর্ণ
+
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৯
ভিয়েনাস বলেছেন: জীবনের অনেক কিছুই অসম্পূর্ন থেকে যায়।পূর্নতা আসেনা।ঘোরের মাঝেই কেটে যায় বেশিরভাগ সময়।সুচির জীবনটাও তেমন।
৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভিয়েনাস !!!! এই গল্পের নাম বাসর বিড়ম্বনা কেন ? আমার কাছে মনে হয়েছে বিভ্রম !!! শুধু তাই নয় -- খুব সুন্দর একটা গল্প, বিভ্রমের। পড়া শেষে মনে হয়েছে এটা একটা স্বপ্ন দৃশ্য। যদিও লেখক এখানে ক্লিয়ার করেনি এবং এই কারণেই পড়তে বেশি ভালো লেগেছে।
বাসর ঘরে একজন মেয়ের মানসিক অবস্থা কেমন হয়, স্বপ্নের সাথে প্রত্যাশা না মিললে কেমন লাগে ! যেমনটা এখানে দেখা যাচ্ছে , বিয়ের জামদানি, মাথার ওড়না, টিকলি ইত্যাদি নিয়ে ছোট ছোট অতৃপ্তি !!
কিছু কিছু বানান ঠিক করতে হবে -- বাকি, হঠাৎ , শাড়ি ( দুই জায়গায় দুই রকম লিখছেন ) । তারপর পারছে না, থাকে না -- এই ভাবে হবে লেখার নিয়ম টা । ক্রিয়ার পর না বোধক বোঝালে সেটা আলাদা হবে ।
অনেক বকবক করে ফেললাম। গল্পটা ভালো লেগেছে বলেই করলাম আর বললাম এতো কথা।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৪
ভিয়েনাস বলেছেন: গল্পের নাম আমিও বাসর বিভ্রম ভেবেছিলাম কিন্তু লেখার সময় কি মনে করে বিড়ম্বনা লিখলাম.... আপনার মন্তব্য দেখে শিরোনাম টা পরিবর্তন করে দিলাম
আমি অভ্র দিয়ে লিখি মাঝে মাঝে এমন বানান ভুল হয় বা যে শব্দটা সিলেক্ট করতে চাই সেটা না করে ভুলে অন্যটাও করে থাকি,সে কারনেই ভুল শুব্দটা চলে আসে।আপনার নিয়ম সম্পর্কে এখন থেকে সজাগ থাকবো।
আপনি এই প্রথম মনে হয় আমার কোন পোস্টে বকবক করলেন
আপনার বকবকে আমি খুশি হয়েছি শুধু আমি কেন আমার ধারনা সবাই খুশি হয়। আপনার মতো করে একটা লেখায় খুব কম পাঠকই বিস্তারিত মন্তব্য করে যেটা একটা লেখার মান বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়। আর আমার লেখায় সব সময় ভালো মন্দ দুধরনের মন্তব্যই আশা করি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ দি
৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: স্বপ্নের দৃশ্যের মতই লাগল পড়তে। স্পষ্ট, কিন্তু ছেঁড়া ছেঁড়া কিছু ভাবনা আর দৃশ্য মিলে সুচির কাগজের ফুল বিভ্রমপূর্ণ আনন্দ দিল।
শুভকামনা, ভিয়েনাস।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৬
ভিয়েনাস বলেছেন: গল্পে আপনাকে পেয়ে অনেক খুশি হলাম স্যার।
ধন্যবাদ এবং শুভকামনা আপনার জন্যও
৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্পের শিরোনামে সম্পাদনা !!! এটা তো আমার জন্য একটা সম্মানের অনুভব দিলো ভিয়েনাস। খুশী হলাম। আসলে যার যেটা স্বভাব, গল্প পড়তে পড়তে বানানের দিকে চোখ চলে যায় । কেউ কেউ বিরক্ত হয়ে যায় জানি তবুও ভুল দেখলে উশখুশ লাগে খুব। তাই বলে ফেলি। হুম অভ্র তে কয়েক ধরণের বানানের সাজেশন আসে, বিভ্রান্ত হওয়া স্বাভাবিক। আর আমিও ভুলের ঊর্ধ্বে না !
আপনার দি বলাটা আমার খুব ফেভারিট।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
ভিয়েনাস বলেছেন: দি,আপনি অলরেডি সবার সম্মানের এবং ভালোবাসার জায়গা দখল করে নিয়েছেন
আপনাকে "দি" ডাকতে আমারো কেন যেন ভালো লাগে
৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০২
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: বাসর ঘরে কি হয় এটা জানার আমার খুব ইচ্ছে , এই কারনে আমি অনেককেই তাদের বাসর ঘরের কাহিনি জিজ্ঞেস করেছি । কিন্তু কেউই বলেনি । তাই বাসর ঘর নিয়ে কিছু পড়লেই মনে হয়, বাসর ঘরে আসলে কি এমন হয়??
গল্পের ব্যাপারে বলি, যতক্ষণ গল্পটা পড়ছিলাম মনে হচ্ছিলো, এই বুঝি বিভ্রম ভেঙ্গে যাবে ! মনে হচ্ছিলো, কাহিনীটা হয়তো এইরকম । আবার মনে হচ্ছিলো, আসলে কাহিনীটা হয়তো ঐরকম । শেষমেশ সেই বিভ্রান্তি আর কাটলো না । আপনি যে গল্পের শেষপর্যন্ত অনুমানে রাখতে পেরেছেন পাঠককে সে জন্য কৃতিত্ব অবশ্যই আপনি দাবি করতে পারেন । তবে আমার যেটা ভালো লাগলো বেশি, আপনি কোনও অন্যদিকে কাহিনী টেনে নিয়ে তার বিভ্রম খোলাসা না করে বাঁ সমাধান না দিয়ে পাঠককেও বিভ্রান্তির মধ্যে রাখলেন দেখে ।
আপনার গল্প বলার ভঙ্গিতে এবং কোনও একদিকে কাহিনীকে টেনে নেওয়ার লোভ সামলানোতে প্লাস এবং ভালো লাগা !
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৮
ভিয়েনাস বলেছেন: বাসর ঘরের কাহিনীতে জেনে গেলেন , এখন আর কাউকে জিজ্ঞাসা করতে হবেনা
ছোট গল্পের মজাই তো এটা,বিভ্রম থাকবে কিন্তু বিভ্রম খোলাসা করা হবে না,আমার মত এটা। গল্প পড়ে ভালো লেগেছে জেনে সাহস পাচ্ছি। গল্পটা নিয়ে একটু ভয়ে ভয়ে ছিলাম।
ভাল লাগা এবং প্লাসের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৫
মামুন রশিদ বলেছেন: অদ্ভুত প্লটের একটা গল্প পড়লাম, আগ্রহউদ্দীপক ও ! আগ্রহটা শেষ পর্যন্ত ধরে রেখেছিলাম, কি হয় কি হয় ভেবে । শেষে যা হলো, সূচির নতুন বর বাসর ঘর সাজানোর নামে যে সূতোর জট নিয়ে এল, সূচিকে সারা জীবন ধরে সেই জট খুলে যেতে হবে ।
মুগ্ধতা নিয়ে গল্প পড়েছি, বর্ণনায় মুগ্ধ হয়েছি । প্রিয় কবির হাত থেকে দারুণ একটা গল্প পেয়ে খুবই ভাল লাগছে ।
গল্পে ভাললাগা ++
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৫
ভিয়েনাস বলেছেন: একটা মেয়ের বাসর ঘরেই শুরু হয়ে যায় সারা জীবনের জটলা। সেই জটলা খুলেতেই মেয়েটির একটা পুরো জীবন পার হয়ে যায়। বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়,বেরিয়ে আসতে পারেনা সেই বিভ্রান্তি থেকে।
আপনার সুন্দর প্রেরণাদায়ক মন্তব্যে উৎসাহ পেলাম ভাইজান
শুভ কামনা রইলো ।
১০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বাসর রাত নিয়ে বেশ লেখা হচ্ছে।তারপর আবার বাসর রাতে বেদনাও দেখা যাচ্ছে। তবে েলিখনীতে বউ সাজা আর বাসর রাতের গুরুত্ব উল্লেখ করা হয়েছে। মেয়েরা ওটাএএকটু ভাল করে বুঝুক।তাহলে কিছুটা উপকার পাওয়ার আশা করি।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩২
ভিয়েনাস বলেছেন: হুম গল্পে সব সুখ দুঃখ ভালো মন্দ সব আছে। একটা মেয়ের সারা জীবনের স্বপ্ন থাকে যেন বউ সাজায় পরিপূর্ণতা থাকে। অপূর্ণতায় কষ্টটা বেশি।
সেলিম ভাই গল্প পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
১১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
আরজু পনি বলেছেন:
পুরোটাই মনে হলো হ্যালুসিনেশান !
ভালো লাগলো পড়তে ।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৫
ভিয়েনাস বলেছেন: গল্পের মূল সুর আপনি ধরতে পেরেছেন পনিপু। ঘোর গ্রস্ত গল্প
অনেক ধন্যবাদ
১২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: শেষটা এমন হলো কেন
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪১
ভিয়েনাস বলেছেন: শেষ টা এমন হয়ে কি ভাল হলো না,কন্যা? থাকনা একটু রহস্য
১৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫২
শামীম সুজায়েত বলেছেন: পড়ে যেতে খারাপ লাগলোনা। একটানে পড়া গেছে। ব্লগে লেখালেখির ক্ষেত্রে এটা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে যে একটানে পড়া যাওয়ার মত লাগছে কিনা। কেননা সামুতে দু'পাচ মিনিটের ব্যবধানে এত লেখা বের হতে থাকে যে সবগুলো পড়া শুরু করে শেষ পর্যন্ত যাওয়ার ধৈর্য্য থাকেনা।
আমার নিজের লেখার ক্ষেত্রেও কখনও কখনও আমার এমনই হয়।
আপনার লেখা পড়লাম। সাথে মন্তব্য গুলোও।
অপর্ণ খুবই ভাল মানের একজন লেখক। তাকে আমি লেখকই বলবো। লেখালেখির জগতে নারী-পুরুষ আলাদা করে দেখার কিছু নেই। তার "নুহা" সিরিজটা চমৎকার হচ্ছে। তিনি পাঠক হিসেবেও ভাল ভুমিকা রাখেন বানান ঠিক করে দেয়ার বিষয়ে।
ভাল থাকবেন আপনি ও ব্লগের সবাই।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫১
ভিয়েনাস বলেছেন: শামীম ভাই আমি নিজেও একজন অলস প্রকৃতির মানুষ। খুব বড় লেখা দেখলে আলসেমী জেঁকে বসে।তাই লেখার সময় চেষ্টা করি যেন লেখাটা ছোট হয় এবং সবাই যেন পড়তে পারে।আপনি একটানে পড়েছেন শুনে ভালো লাগলো। হুম ঠিক বলেছেন,সামুর প্রথম পাতায় লেখা খুব বেশিক্ষন টিকে থাকতে পারেনা।
আর অপর্না দির কথা আমি আর কি বলবো সবাই জানেন উনি কেমন ভালো মানের ব্লগার,লেখক এবং পাঠক।উনার নুহা সিরিজের আমিও একজন নিয়মিত পাঠক।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
১৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সাময়িক ঘোড় লেগে গিয়েছিলো গল্প পড়ে।
দারুণ +++++++ রইল।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০১
ভিয়েনাস বলেছেন: গল্পটা একটু ঘোরময় হয়ে গেছে মনে হয়......
পড়ার জন্য ধন্যবাদ
১৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৮
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন ! গল্পে পুরো জমে গিয়েছিলাম ! সূচীর জ্বর আসা দেখেই বুঝতে পেরেছিলাম কিছু একটা হবে শেষে!
পারফেক্ট ছোটগল্প !
অনেক শুভকামনা !
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১১
ভিয়েনাস বলেছেন: আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যের জন্য কিছুমিছু লেখার উৎসাহ পাই।প্রেরনামূলক মন্তব্যে দু:সাহস বাড়ে ছাইপাস যা কিছু লিখতে।
সবসময় পাশে থাকার জন্য অনেক অনকে ধন্যবাদ অভি ব্রো
১৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: একটা দ্বিধাগ্রস্ত মানসিক অবস্থার মধ্যে গিয়েছি গল্পটা পড়ার সময়। লেখাটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে!
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৭
ভিয়েনাস বলেছেন: আপনার ভালো লাগায় আমি ধন্য কা_ভা ভাইজান। পাঠকের ভালো লাগায় লেখকের তৃপ্তি।
শুভ কামনা আপনার জন্য
১৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:০৫
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
সুন্দর লাগলো।
পনি আপার সাথে একমত।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২১
ভিয়েনাস বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ স্নিগ্ধ শোভন.....
ভালো থাকুন
১৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০২
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গপের মধ্যে তেমন টার্ণ নেই বা টান টান কোন ভাব নেই, তয় শেষের দিকটা কেমন রহস্যময় করে তুলেছেন!
উপস্হাপনাটা খুব দারুণ....... এরকম একটা সিম্পল দৃশ্যকে এরকম চমৎকারভাবে উপস্হাপন করাটাই বলে দেয় আপনে একজন উচুঁমানের কারিগর!
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৩
ভিয়েনাস বলেছেন: এটা সিম্পল গল্পই মাসুম ব্রো। টান টান কিছু নেই। সাধারণ একটা ঘটনা কে সামনে রেখেই গল্পটা লেখা হয়েছে।
মন্তব্যে অনেক ভালোলাগা রইলো
১৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬
সায়েম মুন বলেছেন: বাসর এরকম বিভ্রান্তিময় হলে তো বিপদের কথা!
সরল একটা গল্প। বেশ ভাল লেগেছে।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৭
ভিয়েনাস বলেছেন: জ্বি ভাইজান এটা খুবি সরল একটা গল্প। একটা মেয়ের বিয়ে বা বাসর রাতের চাওয়া পাওয়া গুলো কেমন হতে পারে সেটাও বুঝানোর চেষ্টা করেছি।
অনেক ধন্যবাদ মুন ব্রো
২০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: শেষের দিকটা বেশ রহস্যের মধ্যে রাখলো। সূচীর কি আসলেই বিয়ে হয়েছিলো, নাকি কল্পনা? নাকি কোন পুরোনো স্মৃতি, পুরোনো ঘটনা, পুরোনো মানুষকে মনে পড়ছে? নাকি নতুন জীবন নিয়ে সে দ্বিধাগ্রস্ত? নিজের মত করে ভেবে নেয়া যায় উত্তরগুলো।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩১
ভিয়েনাস বলেছেন: আসলে হামা ভাই যে টপিক মাথায় রেখে গল্পের শুরুটা করেছিলাম সেভাবে শেষ করা সম্ভব হয়নি। তাই গল্পটা শেষ হয়েও হইলো না শেষ। এখানেই শেষ করে পাঠকের হাতে ছেড়ে দিয়েছি। পাথক যেমন খুশি তেমন করে গল্পের শেষটুকু ভেবে নিবেন
পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা আপনার জন্য।
২১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৭
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
ঘোর লাগা গল্প পড়ে ঘোর লেগে গেলো ভিয়েনাস.........
আমার সবসময় সাসপেন্স খুব পছন্দ........
দারুণ ছোট গল্প।
অনেক ভালো লাগলো...........
আমার কাছে বিয়ের শাড়ির আর একটা ব্যাপার আছে.....অনেকে বিভিন্ন রং পড়ে, ভালো ও লাগে।
কিন্তু বিয়ের শাড়ি ভাবলেই আমার কাছে একটাই রং মনে আসে। লাল।
শুভেচ্ছা রইলো।
লেখা চলুক।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৪
ভিয়েনাস বলেছেন: সাজিপু কে আমার পোস্টে দেখে ভালো লাগলো।
আমার মনে হয় বেশিরভাগ মেয়ে বিয়ের শাড়ী লালের মধ্যেই বেশি পছন্দ করে।তবে এখন বিয়ের শাড়ীর বিভিন্ন কালারের চাহিদাও বেড়েছে।
সময় করে গল্প পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু
২২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
প্রিয় ভিয়েনাস, খুব সুন্দর গল্পটার শেষটাই বেশী অভিনব.....
মায়াবী চপলতা পুরোগল্পটা জুড়ে।
চমৎকার লেখা, শুভকামনা রইল।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৬
ভিয়েনাস বলেছেন: চিল ব্রো আমি তো গল্প লিখতে জানি না। তবু সাহস করে টুকটাক লিখি। আপনাদের ভালো লাগা জানলে সাহস বাড়ে।
ধন্যবাদ এবং শুভকামনা আপনার জন্যও।
২৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৩
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ভালো লাগলো...
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৭
ভিয়েনাস বলেছেন: অনেক দিন আপনাকে দেখলাম । আশা করি ভালো আছেন ব্রো।
২৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬
অদৃশ্য বলেছেন:
প্রিয় ভিয়েনাস
লিখাটি চমৎকার হয়েছে... খুব ভালো লেগেছে আমার... যেহেতু বিভ্রম তাই ঠিক আছে...
যেসব প্রশ্নগুলো মনে আসলো তার প্রকাশ হাসান ভাই অলরেডি করে ফেলেছেন...
শুভকামনা রইলো...
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪১
ভিয়েনাস বলেছেন: আপনার ভালো লাগায় আমিও আনন্দিত প্রিয় অদৃশ্য।
সময় করে গল্প পড়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ব্রো
২৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪
শাহেদ খান বলেছেন: সুচি'র এলোমেলোতা'টা যেন স্পষ্ট টের পাচ্ছিলাম, আপনার লেখনীতে যেন নিজেও অনুভব করতে পারছিলাম !
লেখকের জন্য এটা বিশাল ব্যাপার !
চমৎকার লিখেছেন। অনেক অনেক শুভকামনা, ভিয়েনাস !
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:২৯
ভিয়েনাস বলেছেন: আমার ব্লগে আপনাকে দেখে অনেক খুশি হলাম ব্রো
অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
২৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬
শাহরিয়ার রিয়াদ বলেছেন:
আমার এক ফ্রেন্ড বিয়ে করেছিল। বিয়েটা হয়েছিল দিনে। বউ বাসায় নিয়ে আসতে আসতে বিকাল। ওকে বললাম চল কাজের লোক গুলা কে হিসেব পত্র বুঝিয়ে দিয়ে বিদায় করি। আড্ডা মারি। বাসর রাত তো মেলা দেরি। কিন্তু ও এক মুহুর্তও নষ্ট করার পক্ষে না। শেষে সেটা বাসর বিকেল হয়ে গেল। অ্যা বাসর, ফ্রম ডাস্ক টু ডন।
সুচির জামাই বিড়াল না মেরে কাগজের ফুল নিয়ে টানাটানি করতেছে দেখে হতাশ হলাম। ভিয়েনাস, লেখায় একরাশ ভালোলাগা।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৪২
ভিয়েনাস বলেছেন: আপনার বন্ধুটি সময়ের কদর খুব বুঝে বিধায় একমিনিটও নষ্ট করেনি
আপনার মতো সুচিও হতাশ ছিল ভাইজান
লেখায় পেয়ে খুশি হলাম শাহরিয়ার রিয়াদ।
ধন্যবাদ
২৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১৭
শুঁটকি মাছ বলেছেন: এই প্রথম একটা গল্প পড়লাম যেখানে নায়িকার নাম সুচি।ফিলিং আবেগাল্পুতো!!!!!!!
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৪৪
ভিয়েনাস বলেছেন: শুটকি মাছের মাঝে সুচি লুকিয়ে আছে নাকি
২৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: সম্ভবনাটা এক্কেবারে উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছেনা ভাই!!!!!!!
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫১
ভিয়েনাস বলেছেন: সম্ভাবনা একদম উড়িয়ে দেইনি
২৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২
জুন বলেছেন: আমিতো ভাবলাম মায়ানমারের অং সান সুচির বাসর রাত বুঝি ভিয়েনাস বেশ জটিল গল্প । যাক এখন জট খুলি বসে বসে দারুন এক গল্পের ।
শুভকামনা অনেক
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৩
ভিয়েনাস বলেছেন: জুনাপি আপনি আবার মায়ানমার চলে গেছেন
আপনার উপস্থিতিতে খুশি হলাম।
ধন্যবাদ আপু
৩০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩০
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: আমি ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৪
ভিয়েনাস বলেছেন: আমিও ভালো আছি
ধন্যবাদ ব্রো।
৩১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১১
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এটা কি লিখলেন ভাই! ধুর...
শেষে কি হলো? আসলেই বিভ্রম? সত্যিই বাসর হয় নি সূচীর?
আপনার সুন্দর বর্ণনা, ছোট ছোট বিষয় তুলে ধরা সব মিলে খুব খুব ভাল লাগল।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
ভিয়েনাস বলেছেন: গল্পের শেষের টুকু আপনাদের জন্য, রহস্যে ঢাকা আছে, যা ইচ্ছে ভেবে নিন
গল্পে আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো
ধন্যবাদ প্রিয় আপু।
৩২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: গল্পের বর্ণনার মাধ্যমে সত্যিই বিভ্রম তৈরি হয়েছে। ভালো লাগলো।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৬
ভিয়েনাস বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম নাভিদ রায়ান।
গল্প পড়ার জন্যও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ঈদ মোবারক।
৩৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৯
সকাল রয় বলেছেন:
সুন্দর লেখা।
বিভ্রমে পড়েগেছিলাম
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৬
ভিয়েনাস বলেছেন: এতো ক্ষনে বিভ্রম মনে হয় কেটে গেছে
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তুমিও বাসর রাত নিয়ে লিখলে!!!!!!!!!

হা হা হা
তাই দেখে তাড়াতাড়ি ছুটে এলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তো সূচীর দুঃখে গলার কাছে আমারই নিশ্বাস আটকে যাচ্ছিলো!!!
আমার বাসররাত গল্পটা পড়ো ভাইয়া।
এক দজ্জাল বউ এর গল্প!!!!