নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নন্দীত নরকে

যে-পুরুষ ক্ষুধা, মৃত্যু আর বেদনার সাথে লড়ছে এখনো, লড়ছে বৈষম্য আর শ্রেনীর বিরুদ্ধে – সে আমি । আমি একা । এই ব্রক্ষ্মান্ডের ভিতর একটি বিন্দুর মতো আমি একা । আমার অন্তর রক্তাক্ত । আমার মস্তিষ্ক জর্জরিত । আমার স্বপ্ন নিয়ন্ত্রিত । আমার শবীর লাবন্যহীন । আমার

নন্দীত নরকে

মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর রণ-তূর্য !

নন্দীত নরকে › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাল ফ্যাশনের ট্যাটু'র আদ্যপান্ত ও ইসলামের দৃষ্টিতে ট্যাটু ("ট্যাটু নিয়ে ঠুট্টামি")

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪০

ট্যাটু সম্পর্কিত একটি গিনেজ রেকর্ডঃ

“হর প্রকাশ” নামের ভারতীয় ৭০ বছর বয়স্ক একজন ব্যবসায়ী নিজের শরীরে ৩০৫ টি দেশের পতাকার ট্যাটু অংকন করে Guinness world records এ নাম লেখায় ।

--------------------

ট্যাটু শিল্প বর্তমানে বাংলাদেশের যুব সমাজের মধ্যে এক অন্যরকম আলোড়ন সৃষ্টি করেছে । মুলত এটি একটি সৌখিনতা মাত্র । আমাদের দেশে উঠতি বয়সের তরুণ তরুণী দের মধ্যে শখের বশে অনেককেই এই ট্যাটু করতে দেখা যাচ্ছে ।



(নিজের শরীরে ট্যাটু করানোর পর লেখক)



ধারণা করা হয় ৩৩০০ বি.সি থেকেই মানুষ বিভিন্ন ভাবে চামড়া কেটে কালার করতো যা পরবর্তী কালে ফ্যাশনে রুপ নেয় । যদিও বর্তমানে শুধু মাত্র একটা ইলেক্ট্রিক মেশিন দিয়েই এই শৈল্পিক কর্মটি সেরে ফেলা যায়।

প্রচলিত এক লোককাহিনীতে বলা হয়, চীন দেশের মহিলাদেরকে কুৎসিত দেখানোর জন্য এবং বার্মার শিকার সন্ধানি রাজাদের হাত থেকে তাঁদেরকে রক্ষা করার জন্যই ঐ ট্যাটু আঁকা হতো৷ তবে ট্যাটু আঁকার সৌন্দর্য এবং এর অসুন্দর দিক নিয়ে মতভেদ রয়েছে অনেকের মধ্যেই তবে অনেকেই মনে করেন, ট্যাটু আঁকার বিষয়টি ছিল আসলে নারীত্ব এবং তাঁর আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে৷

ট্যাটু আজকের ইউরোপ আমেরিকায় তো এটি একটি নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার । বেশ কয়েক বছর ধরে গায়ে উল্কি আঁকা ফ্যাশনে দাঁড়িয়ে গেছে৷ ছাত্র-ছাত্রী, গায়ক-গায়িকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের দেহও উল্কির নানা রঙে রঙিন হয়েছে৷ জার্মানিতে চালিত একটি জরিপে জানানো হয়েছে, ৩৫ বছরের নীচে যাদের বয়স তাদের পাঁচজনের মধ্যে একজনের গায়ে উল্কি আঁকা রয়েছে৷



ট্যাটু নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের ধারনাঃ

ট্যাটু করা হারাম ও খুবই গোনাহের কাজ। ট্যাটু শরীরে নিয়া কেউ মারা গেলে তার জন্য জান্নাত হারাম হয়ে যাবে। ট্যাটু থাকলে ওজু হবে না অর্থাৎ নামাজ পড়া যাবে না!

আবার অনেকের ধারনা- কিছু মাথা খারাপ টাইপের পোলাপাইনই ট্যাটু করে... তারছেড়া না হইলে ট্যাটু লাইক করেনা... তার চেয়েও বেশি মাথা খারাপ যাদের তারা পিয়ারসিং ও করে । আবার অনেকে এটাকে অসুস্থ মানসিকতা বলে থাকেন। ট্যাটু/পিয়ায়ার্সিং করে অসুস্থ মানুষেরা । অনেকের কাছে উল্কি অন্যের গায়ে দেখতেই ভাল্লাগে- নিজের গায়ে করার সাহস বা ইচ্ছা কোনটাই নাই। আবার অনেকের ইচ্ছা আছে, কিন্ত কনফিডেনস নাই। বছর দশেক পরে যদি ডিজাইন পছন্দ না হয় ? তখন মুছে ফেলা সমস্যা না ?



অনেকে কাছে এটা খুবই বিরক্তিকর একটা ব্যাপার। তাদের কাছে-হাতে পায়ে উল্কি আকা পোলাপাইন দেখলে কেনো যানি বমি বমি ভাব লাগে। আবার এমন অনেকে আছে যারা খারাপ পোলা না মাগার ট্যাটু করে ... নিজের নাম পরিচয় ঠিকানা দিয়া একটা ট্যাটু করায়, যে দিনকাল পড়ছে কবে-কখন-কোথায় মইরা পইরা থাকে, আগুনে পুইরা মরলে কোন চান্স নাই বাট চাপাতির কোবে মরলে এটলিস্ট বেওয়ারিশ লাস হতে হবে না।



ট্যাটু দুই ধরনের হয়ে থাকে। স্থায়ি ও অস্থায়ি। কিছু সময়ের জন্য যেমন দুইমাস -ছয় মাস বা ১ বছর এই রকম মেয়াদে ট্যাটু করানো যায়। আবার অস্থায়ি ট্যাটুর মাঝে স্টিকারও খুবই জনপ্রিয়।



ইসলামের দৃষ্টিতে ট্যাটুঃ

The Messenger of Allah (saws) specifically forbade and invoked the curse of Allah on the people who applied the tattoo and the ones who had the tattoo applied. Sahih Al-Bukhari Hadith 7.816 Narrated by Humaid bin Abdur Rahman bin Auf The Prophet (saws) said, "Allah has cursed the lady who artificially lengthens (her or someone else's) hair and the one who gets her hair lengthened, and the one who tattoos (herself or someone else) and the one who gets herself tattooed." Sahih Al-Bukhari Hadith 7.820 Narrated by Ibn Umar The Messenger of Allah (saws) said, "Allah has cursed such a lady as lengthens (her or someone else's) hair artificially or gets it lengthened, and also a lady who tattoos (herself or someone else) or gets herself tattooed."





ইসলামের দৃষ্টিতে ট্যাটু করা বা শরীরের কোন অংশের বিকৃতি সাধন করা হারাম। এমনও জানা যায় যে, শরীরের যে অঙ্গের বিকৃতি সাধন করা হয়েছে সেটা যতক্ষন পর্যন্ত আগের জায়গায় ফিরে না আসবে ততক্ষন পর্যন্ত সে দোযকের আগুনে জ্বলবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা। এবং শরীরের উক্ত বিকৃত অংশ অনেক কঠিন আযাবের মাধ্যমে পুনরায় আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনা হবে। উক্ত হাদিস দুটির ব্যাখায় বলা হয়েছে-মেয়েদের নাক,কান ফোঁড়ানো থেকে পরচুলা (উইগ) ব্যাবহার করা না যায়েজ। এমনকি টাক মাথায় হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করাটাও গুনাহের কাজ। বিকৃতি সাধন না হলেও শরীরের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য কোন রকম কৃত্রিম রং ও অর্নামেন্ট ব্যবহারও নিষিদ্ধ করা হয়েছে (অনেক আলেমের মতে এটা শুধু পুরুষদের জন্য প্রযোজ্য-মেয়েদের জন্য নয় অথচ ইসলামে লৈঙ্গিক কোন বিবেদ করা যায় না, ইসলামের সব বিধান নারী-পুরুষ সম ভাবে সমান প্রযোজ্য) তাই বলা যায় অলংকার ও মেহেদী পরাও নিষিদ্ধ। তবে অনেকে মনে করেন -রাসুল (সাঃ) দাঁড়িতে ও মাথার চুলে মেহেদী দিতেন।





স্ট্যান্ডার্ড ট্যাটু মেশিনঃ

১৮৯১ সালে ট্যাটু মেশিন আবিষ্কার করেন স্যামুয়েল নামক এক ভদ্রলোক। মূলত ব্যাটারী চালিত মেশিনটি ব্যবহার হতো এম্ব্রয়ডারী করার কাজে বা কোনো কাগজের উপর পেইন্ট করার জন্য, সেটার সাথে কালি জুড়ে দিয়েই ট্যাটু গান বানান তিনি ।



পায়ের প্যাডাল বা হাত দিয়ে এটা পরিচালনা করা যায় এটি, যার মূলমন্ত্র আমাদের স্কিনের ডার্মিস লেয়ার পর্যন্ত পৌছে কালি লাগিয়ে দেয়া। এখানে উল্লেখ্য যে ডার্মিস অথবা ডিপার লেয়ারে যায় বলেই ট্যাটু আমাদের স্কিনের সাথে পারমানেন্ট হয়ে যায়। সূক্ষ সুই দ্বারা এই কাজটি করা হয়, যেই সুই মিনিটে ১০০-১৫০ বারের মত চামড়ায় আঘাত করে ।এজন্য কোনো এনেস্থেটিক ড্রাগেরও প্রয়োজন নেই।



ট্যাটু বা উল্কি আঁকার রঙঃ

ট্যাটু বা উল্কি আঁকার জন্য এই যে রঙ ই ব্যবহার করা হোক না কেন সেটা যেন নিঁখুতভাবে চামড়ার বসে যায় তার দিকে খেয়াল রাখতে হয় ৷ রঙটি ভাল না খারাপ তা বোঝার একমাত্র উপায় হচ্ছে ট্যাটু যখন শুকিয়ে যায় তখন। তবে অনেক কাস্টমারই জানেন না যে রঙ ব্যবহার করা হয় তার সঙ্গে মেশানো হয় মারাত্মক একটি রসায়নিক পদার্থ৷



এই রসায়নিক পদার্থ চামড়ার একেবারে ভিতর থেকে শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে৷ আর যেহেতু এই উল্কি সারাজীবন শরীরে থাকবে তাই এই রসায়নিক পর্দাথও সারাজীবন দেহে থেকে যাবে৷ এর ফলে বিভিন্ন ধরণের অসুখ এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে৷

আপনি যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন এই উল্কি আপনার সঙ্গে থাকবে। বিদ্যুৎচালিত একটি যন্ত্রের সাহায্যে তা করা হয়৷ দেখতে তা অনেকটা ডেনটিস্টের ড্রিল মেশিনের মত যা দিয়ে দাঁতের চিকিৎসা করানো হয়৷ মেশিনের মাথায় রয়েছে অত্যন্ত সূক্ষ্ম একটি সুঁই৷ এই সুঁইটির মাথায় রঙ লাগনো থাকে৷ প্রতিবার সুঁইটি যখন চামড়ার ভেতরে প্রবেশ করানো হয় সেই সঙ্গে রঙও ভেতরে প্রবেশ করে৷ রঙের পরিমাণ এক মিলিলিটারেরও কম৷ চামড়ার যে স্তরে রঙটি লাগানো হয় তার নাম ডের্মিস৷ এই স্তরে যে কোন রঙ ঢোকাতে পারলে তা সারাজীবন দেখা যাবে৷ ভিক্টর আরো বলল,‘‘এটা বিশেষ এক পদ্ধতি৷ সারাজীবনই থাকবে৷ আপনি যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন এই উল্কি আপনার গায়ে থাকবে৷ বিষয়টি দারুণ উত্তেজনার৷''



মুছে ও ফেলা যাবে ট্যাটুঃ

নতুন টেকনোলজির মাধ্যমে ট্যাটু ফেইডিং ক্রিম ইউজ করে একটা নির্দিষ্ট সময় পরে ট্যাটু অপসারণ করা সম্ভব! বিশ্বের উন্নত দেশগুলো ট্যাটুবাজরা লেজার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে প্রায়শয় ট্যাটু তুলে নতুন ট্যাটু করায়।



ট্যাটু সম্পর্কিত একটি গিনেজ রেকর্ডঃ

“হর প্রকাশ” নামের ভারতীয় ৭০ বছর বয়স্ক একজন ব্যবসায়ী নিজের শরীরে ৩০৫ টি দেশের পতাকার ট্যাটু অংকন করে Guinness world records এ নাম লেখায় ।



বাংলাদেশে ট্যাটু করে এমন বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো সম্পূর্ণই ব্যক্তিগত উদ্দোগে প্রতিষ্ঠিত ।

*তার মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান হল – Venom Tattoo Studio। রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত এটি । ফেইসবুক থেকে পেইজ দেখতে পারেন - http://www.facebook.com/Venomfuad অবশ্যই সেখানে যাবার পূর্বে ফোন করে টাইম চেয়ে নিয়ে যেতে হবে কেননা তারা এপয়েন্টমেন্ট ছাড়া কোন কাজ করে না । মোবাইল নম্বর -01674619599, 01717719991 । WE DO THE BEST TATTOO IN BANGLADESH- ANY COLOR এই শ্লোগান নিয়ে কাজ করে তারা। যে কোন কালার ও মাপের ট্যাটু করাতে এখানে প্রাইজ শুরু হয় ৩০০০/=টাকা থেকে।



* বাংলাদেশের রিয়েল সেরা ট্যাটুবাজ পান্থপথের অলিন- "অলিন'স ট্যাটু স্টুডিও"। এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: 01670975816O -lin's Tattoo Studio।





(ট্যাটু করার পর লেখক)

(এই আর্টিকেল টি সম্পূর্ণ ভাবে আমার নিজ উৎসাহে পরিবেশিত কোন প্রকার বিজ্ঞাপন করার জন্য নয়। যদি কারো কোন লেখা বা আর্টিকেলের সাথে আংশিক বা হুবুহ মিলে গেলে আমি ক্ষমা প্রার্থী)।



ট্যাটু নিয়ে আরও জানতে চাইলে যেতে পারেনঃ

https://en.wikipedia.org/wiki/Tattoo

Click This Link

Click This Link

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৩

স্বপ্নতরী (রাজু) বলেছেন: ইসলামের দৃষ্টিতে ট্যাটু হারাম - এটা কি আপনি ট্যাটু করার আগে জানতেন?

১২ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:১২

নন্দীত নরকে বলেছেন: হা, জানতাম !

২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৩

ডি মুন বলেছেন: শরীরে ট্যাটু করার মাজেজা আমি আজ পর্যন্ত বুঝি নাই।

ট্যাটুবিহীন স্কিনই ভালো লাগে।

যাহোক ট্যাটু পোস্টে এসে টুইট করে গেলাম। ভালো থাকবেন সবসময়।

১২ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:১৩

নন্দীত নরকে বলেছেন: যার সাথে যার ভালবাসা সেইতো মঝা লুটে !

৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬

অরনপ বলেছেন:
ধন্যবাদ এমন সুন্দর পোস্ট করার জন্য। আমি অনেক দিন ধরে এই রকমের একটি পোষ্ট খুঁজছিলাম। আপনার এই পোস্ট অনেক উপকারে আসবে আমার বিশ্বাস। এর আগেও একটা টিপস্ পেয়েছিলাম। এই টিপসইটও অনেক উপকারী। যার দরকার হবে দেখতে পারেন। আবারো লেখককে ধন্যবাদ না দিয়ে পারছি না। তবে এরকম আরো একটি লেখা পড়েছিলাম ।। এখানে< http://muktomoncho.com/archives/1734

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.