নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আই ভিজ্যুয়ালাইজ রিয়্যালিটি!

Lead us from the unreal to the real; From darkness into light; From death into immortality

ভিজ্যুয়ালাইজার

- হোঁচট খেয়েছি ঠিকই, কিন্তু থেমে যাইনি , হেরে যাব বলে তো, আর স্বপ্ন দেখিনি।

ভিজ্যুয়ালাইজার › বিস্তারিত পোস্টঃ

হারানো সেই সোনার দিনগুলি

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১১

সময়টা ২০০৩, আমার জীবনের এক রঙিন সময়। স্থান হল মৌচাকে অবস্থিত এক কোচিং সেন্টার ম্যাবস। আমি তখন নবম শ্রেণিতে পড়ি। জীবনের মাত্র একটা লক্ষ্যই ছিল, আড্ডা মারা। ডে-শিফটে থাকার কারনে, কোচিং এ ক্লাস হত সকালে। সেই সাত সকালেই 'লগন' নামে রেস্টুরেন্টে আড্ডা না মারলে ভাল লাগত নাহ। সে সময়ে পকেটে থাকত খুব টান। কিন্তু প্রতি সকালে লগনে রুটি, ভাজি, চা, সিগারেট চাই-ই চাই। তখন যে কি রকম মজার একটা লাইফ ছিল! মন চাইল, বন্ধুরা মিলে চলে গেলাম আশুলিয়া। তাও আবার বাসের ছাদে! সেখানে গিয়ে নৌকায় পার হয়ে চলে যেতাম যমুনা মডেল টাউনে! দিন শেষে বারি ফেরা। পহেলা বৈশাখে ধানমণ্ডি লেকে আড্ডা। হুদাই দোতালা বাসে করে ফার্মগেটে যাওয়া আর আসা। একদিন তো আমি আর আনিস সারাদিন ধানমণ্ডি লেকে হুদাই বসে থেকে পার করলাম। তখন এর বাসায় অর বাসায় চলত আড্ডা। আর বেইলি রোডের ওয়েগা জোনে বিলিয়ার্ড খেলা তো আছেই!



মজার ব্যাপার হচ্ছে সবই হত চুরি করে। বাসায় কেউ কিছুই জানত নাহ। সারাক্ষণেই এই ভয়ে থাকতাম, কখন বাবা'র কাছে ধরা খাই। অবশ্য ধরা খেয়ে বকা'ও শুনেছি অনেকবার। কিন্তু তবুও সেই সময়গুলো থামেনি। তখন জীবনে ছিল লাগামহিন ভাল লাগা। যা ই দেখি, তা ই ভাল লাগে।



জীবন বদলেছে। সেই সময়গুলোতে কি করেছি ভাবলেই হাসি পায় এখন। তবে বন্ধু-আড্ডা-গান কি জিনিষ সেই সময়টাতেই সব ছিল। এখন আর কখনওই এরকম হবে নাহ। তবে মিস করি সেই সময়টা। মিস করি সেই মানুষজনদের।





নাহ! আর পারলাম নাহ। মনে পড়েই গেল আমাদের খা'সো'র কথায়। ক্লাস এইটের ঘটনা। স্থান একই জায়গা ম্যাবসে। আমরা ছিলাম তিন জানে জিগার বন্ধু। আমি ,সোহেল আর হিমু। আমদের তিন জনের মানিব্যাগে'ই বন্ধুত্তের নিদর্শনস্বরূপ ছিল হিমু'র আঁকা একটা বিশেষ লোগো! কি প্রচণ্ড ছেলে মানুষী। আমাদের বিকালে তখন দুইটা ব্যাচ ছিল। একটা জেনারেল আর একটা বৃত্তি ব্যাচ। আমি আর হিমু ছিলাম জেনরেল ব্যাচে আর সোহেল ছিল বৃত্তি ব্যাচে। কোচিং এর ক্লাস শেষ হতেই আমাদের কাজ ছিল মালিবাগের মোড়ে দাড়িয়ে দাড়িয়ে রাজ্জাকের জিলাপি খাওয়া। আহা! কি যে স্বাদ তার! গরম জিলাপি খেয়ে মুখ পুড়িয়ে ফেলতাম। আমার জীবনের বেশ ভাল কিছু বন্ধু হয় তাখন। এর মাঝে উপমা, স্বর্ণা'র নাম বলতেই হবে। মজা হল আমি সোহেল, হিমু তিনজন'ই রেড ক্রিসেন্ট করতাম। আলটিমেটলি সারাদিন একসাথেই থাকা হইত। টেনশন ছাড়া ভাল দিন ছিল। তখনকার সেই সানি (লিওনি নয়), শালু, রাকিব, তনু এদের সাথে স্কুলে যে মজা করতাম তা কখনওই ভোলার নয়। শালু'র তো এখনও ইস্পাহানী গার্লস স্কুলের কথা মনে থাকার কথা!



বলতে যখন শুরু করেছি, তখন ইস্টার্ণ ইউনিভার্সিটি'র বন্ধুদের কথা বলতেই হবে। জীবনের একটা কঠিন সময়ে, নিজেকে খুব হালকা করার জন্য খুবই ভাল কিছু বন্ধুদের পেয়েছি। এত্ত মজা আর ঘোরাঘুরি আমার জীবনে কখনও করি নাই। কিছু হোক বা না হোক সেমিস্টার ব্রেকে কোথাও না কোথাও যাওয়া চাই-ই চাই। সোনারগাঁ, ফ্যানাটাসি কিংডম, বেড়িবাঁধ, রবীন্দ্র সরবোর কোথাও বাদ নাই। যে বলা সেই কাজ। আর পুনমের বাসার চড়ুইভাতি তো আছেই। অনেক বন্ধুরা মিলে এইরকম ঘুরতে যাওয়া আসলেই খুব মিস করি। আর মিস করি আমার বাসা'র পার্টি! ফয়সালের সেই দুর্দান্ত নাচানাচি। এর ওর বাসার দাওয়াতও কম মজার ছিল নাহ! ক্লাস পার্টি'ই বা কম ছিল কিসে?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.