নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আই ভিজ্যুয়ালাইজ রিয়্যালিটি!

Lead us from the unreal to the real; From darkness into light; From death into immortality

ভিজ্যুয়ালাইজার

- হোঁচট খেয়েছি ঠিকই, কিন্তু থেমে যাইনি , হেরে যাব বলে তো, আর স্বপ্ন দেখিনি।

ভিজ্যুয়ালাইজার › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাবিজ কাহিনী।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২৩

; তাবিজ করা ব্যাপারটা আমার জানা ছিল না। আমি ভাবতাম গলায় পুড়িয়া'র মত যে জিনিষটা নিয়ে মানুষ ঘোরে তার নাম তাবিজ। কিন্তু বিষয়টা যে আরও গভীর, সে বিষয়ে আমি আগেও জানতাম না এখনও খুব বেশি জানি না। আমার খুব কাছের একজন, পেশায় তিনি একজন ডাক্তার, তবু 'প্রেমে ধরা' খেয়ে যে যা বলে তিনি তাই করেন। তারই ধারাবাহিকতায় তাবিজ ব্যাপারটা আমার গোচরে আসে।



যিনি তাবিজ তাকে এনে দেন তিনি বেশ বয়স্ক এক মহিলা। তিনি ফরিদপুরে কোন এক তাবিজ ওস্তাদের মুরিদ। সেই মানুষটিকে হাজার তিনেক টাকা দেয়া হল এবং প্রেমিকাকে বশীভূত করণের তাবিজ আনার দায়িত্ব দেয়া হল। মহিলাটি আমার পরিচিতজনের জন্য ফরিদপুর থেকে তাবিজ এনে দেন। আমি ভেবেছিলাম ঘটনা শেষ। আমার বন্ধু গলায় একখান পুড়িয়া দিয়া ঘুরবে, কয়দিন পর মানুষ ঠাট্টা করলে এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু না। ঘটনা অনেক বাকি।



তাবিজ ছিল তিনটি। সাথে ছিল একটা কড়ি। তিনটি তাবিজের দুইটা তাবিজ কোন এক কবরস্থানে গিয়ে একই কবরে ১৫ দিন অন্তর অন্তর পুঁতে দিতে হবে। আর একটি তাবিজ কোন এক চার রাস্তার মোড়ে মাটিতে পুঁতে দিতে হবে। কড়িটা কোন এক নদীতে ফেলে দিতে হবে। কাজ কর্মের বিবরণে আমি সহ আমার বন্ধু ব্যাপক চিন্তিত। কিন্তু প্রেমের কাছে পরাজিত সৈনিক আর 'মুসা ইব্রাহিমের' মাঝে কোন তফাত নাই। অনন্ত জলিলের মত সে অসম্ভব কে সম্ভব করল। আজিমপুর কবরস্থানে দুইটি তাবিজ পুঁতে দিল আর একটি দোয়েল চত্বর মোড়ে। কড়িটি ফেলা হল ধানমণ্ডি লেকে।



তাদের ভাঙ্গা সম্পর্ক আর জোড়া লাগেনি। আমি তার এহেন কষ্ট ও পরিশ্রম দেখে মন খারাপ করলাম। মানুষ অবলীলায় ভালবাসা পাওয়ার জন্য কতকিছু করে! কিন্তু যে জিনিষ বান্দার জন্য আল্লাহ পচ্ছন্দ করেন না তিনি তাকে তা কখনওই দেন না। যত কিছুই হোক।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩০

নতুন বলেছেন: ঝড়ে বক পরে আর ফকিরের কেরামতি বাড়ে.... >> এই ভাবেই চলছে এই ফকিরদের ধান্দা... এসবে কখনোই কাজ হয়না...

আর ওদের নিয়ম গুলি অবশ্যই জটিল হবে... যাতে পরে ফকির ঐ লোকের মনে সন্দেহ তৌরি করবে যে নিয়ম ঠিক ভাবে পালন করেনাই বলেই সফল হয়নাই..

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪০

ভিজ্যুয়ালাইজার বলেছেন: বিষয়টা ভাওতাবাজি নিঃসন্দেহে। ইসলাম ধর্মে গুনাহর কাজ। কিন্তু আমি মুগ্ধ হয়েছি একজন মানুষের ডেডিকেশন দেখে।কিন্তু নিয়তি সব সময়ই ঠিক করা থাকে

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪১

পেন্সিল স্কেচ বলেছেন: !:#P

৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫৪

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: তাবিজে যুক্তি থাকা না থাকা নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করার মানে নেই

যা নিয়ে ভাবছি তা হলো মন মানুষ ভালোবাসা এসব নিয়ে

এমন আবেগ গুলো অসুন্দর অনৈতিক অধর্ম সে যাই হোক কিন্তু নিঃস্পাপ
একটা মানুষ আরেকটা মানুষকে চায় এই সত্যটাই সুন্দর দামি বড়
আমার ভাবতেই ভালো লাগে মানুষের মনের এই দিকটা হোক সেটা সবল দুর্বল ন্যায় অন্যায় বাট আই লাভ ইট লাইক দ্যাট ইমশান।ত

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:০০

ভিজ্যুয়ালাইজার বলেছেন: জনাব ঠিক এই জায়গায়তায় আমিও মাইর খাইয়া গেছিলাম। পৃথিবীতে মানুষ যা ভালবাসে তা হয় না। আসলে মনে হয় যা আমাদের জন্য ভাল না সৃষ্টিকর্তা তা আমাদের দেন না। কিন্তু আমি মানুষ, আমার ক্ষমতা থাকলে আমি আমার বন্ধুর ভালবাসাকে ফিরিয়ে দিতাম।

৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:৩৯

জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: আপনার বন্ধুকে বলেছেন কড়ি নদীতে ফেলতে,ধানমন্ডিলেক নদী হলো কেমনে ? ডাক্তার সাহেবকে বলেন মন পেতে হলে,মনের প্রয়োজন তাবিজ দিয়ে নয় । তাবিজের প্রতি যেই বিশ্বাস উনি করেছেন সেইরকম বিশ্বাস আল্লাহর প্রতি করতে সাফল্য অবশ্যই পাবেন ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:০৪

ভিজ্যুয়ালাইজার বলেছেন: জনাব আসল বিষয়টা হল ডুবন্ত মানুষ খড়কুটো আগলে হলেও বাঁচতে চেষ্টা করে। সে যা পেরেছে তা ই করেছে। মহান আল্লাহ্‌ তা'আলা তাকে পৃথিবীর সকল খুশি এবং তার জন্য যা ভাল তা দান করুন, আমিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.