![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
- হোঁচট খেয়েছি ঠিকই, কিন্তু থেমে যাইনি , হেরে যাব বলে তো, আর স্বপ্ন দেখিনি।
; আমি ভীষণ ভীতু টাইপের মানুষ। সব কিছুতে আমার ভয় লাগে।এবার বান্দরবানে গিয়ে এক স্লিপার থেকে নামতে মোটামুটি একটা ভিড় জড়ো করে ফেলেছিলাম। সবাই বিরক্ত হচ্ছিল যে আমি সামান্য একটা স্লিপার থেকে কেন নামতে ভয় পাচ্ছি!! সবাই ভাবছিল ভয় পেলেও আমি নামব। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে আমি উঠে, হেঁটে চলে আসি।
আমার ভয়ের মাত্রাটা বোঝালাম আর কি। কিন্তু কিছু ব্যাপারে আমি সাহসী। আসলে অভ্যাস বললেও ভুল হবে না। আমার বাবা যখন শেষবারের মত আইসিইউতে গেলেন। ডাক্তাররা খানিকক্ষণ পর পর এসে আমাকে বলছিলেন, আপনার বাবার অবস্থা কিন্তু বেশি ভাল না। আপনি কি একা? বাসার লোকদের খবর দেন। আমি ওনাদের মুখের দিকে তাকিয়ে খানিকটা 'আশার আলো' চোখে নিয়ে বললাম, 'আমার বাবার আইসিইউতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। দেখবেন ওনার কিচ্ছু হবে না। কাল খুব ভোরে সবাই চলে আসবে। এখন তো অনেক রাত। থাক না সবাই বাসায়।'
এক ই কথা, লাইফ সাপোর্ট মেশিন দেয়ার সময়ও বলেছিলাম। আমার কেবলই মনে হচ্ছিল কিছু একটা হবে! কিছু একটা মিরাকেল! জানি না কেমনে হবে, কিন্তু বিশ্বাস ছিল হবে। শেষ মুহূর্তে কত কিছু হতে দেখেছি। জাহাঙ্গীরনগর যাওয়ার লাস্ট বাস মিস করিনি কখনও। কিছু একটা পেয়ে গিয়েছি। রাত ২টা, ৩ টা বাজলেও পৌঁছেছি হলে।
কিন্তু বাস পাওয়া আর মানুষের জীবন ফিরে পাওয়া এক নয়। সকাল ৯টা ৫ মিনিটে মারা যায় আমার বাবা। আমি ভাবতেও পারিনি এর পরের কয়েক ঘণ্টা কিভাবে কাটবে। আমি ভাবতে পারিনি তার মারা যাবার পরেও আজকে নিয়ে ৫৮৮ দিন আমি কিভাবে বেঁচে থাকব! কিন্তু মহান আল্লাহ তা'আলা কিভাবে যেন সব ঠিক করে দেন। আমাদের মাঝে শক্তি দিয়ে দেন। আমি সেইদিন ঠিক ৯টা ৬ মিনিটে আম্মাকে ফোন করে বলি, 'আম্মা হাসপাতালে তাড়াতাড়ি চলে আস, বাবা নাই।' এত শক্তি কই পেয়েছিলাম জানিনা। তারপর নিচে নেমে আসি, একটা ধূম্রশলাকা জ্বালাই। তার ধোঁয়ার কুয়াশা এখনও কাটেনি।
আজকেও ভাবছিলাম, কিছু একটা হয়ে যাবে। কোনভাবে কিছু একটা ফিরে পাব। মিরাকল হবে। কিন্তু হয় না। কিছু বিষয় উপরওয়ালা থেকে আগেই ঠিক করা থাকে। আমরা কেবল তার জন্য মন খারাপ করতে পারি মাত্র। তবে মন ভাল করার শক্তিও তিনিই দিবেন আশা করি।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৫৪
ভিজ্যুয়ালাইজার বলেছেন: আমীন। আজকে কেন যেন খুব মনে পড়ছে। তাই লিখলাম। আপনার বাবা ভাল থাকুক।
২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:০৮
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: আপনি অনেক কিছুই সৃস্টি করছেন আগের দিনের মানুষের মতো; বর্তমান কি আসবে না আপনার জীবনে?
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৩
ভিজ্যুয়ালাইজার বলেছেন: জনাব আমার কাছে যায় দিন ভাল আর আসে দিন খারাপ। বর্তমানকে নিয়ে আমি বড্ড বেশি ভাবি, এত্ত ভাবা ভাবি যে সময় পালিয়ে অতীত হয়ে যায়। তাই আবার অতীত নিয়ে লিখতে হয়।
৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬
মামুন রশিদ বলেছেন: এই সাহসটা মানুষের অন্তর্গত । বাবা-মায়ের আশীর্বাদ আর ভালোবাসাই এই শক্তি জোগায় ।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৪
ভিজ্যুয়ালাইজার বলেছেন: আমি ও আপনার কথায় সহমত পোষণ করছি
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৪৩
নিঃসঙ্গ গাংচিল বলেছেন: আমার বাবার বাইপাস সার্জারি করার পর রাতে তার লাঞ্চ কাজ করছিল না। শাহবাগ মোড়ে ধূয়া উরিয়ে হাঁটছিলাম আর কাদছিলাম। প্রিয় মানুষ হারাবার ভয় জিনিস ঐ দিন বুজেছিলাম। সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে বাবা কে ফিরে পেয়েছি।।
দোয়া করি আল্লাহ আপনার বাবা কে বেহেস্ত নসিব করুক।