নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আই ভিজ্যুয়ালাইজ রিয়্যালিটি!

Lead us from the unreal to the real; From darkness into light; From death into immortality

ভিজ্যুয়ালাইজার

- হোঁচট খেয়েছি ঠিকই, কিন্তু থেমে যাইনি , হেরে যাব বলে তো, আর স্বপ্ন দেখিনি।

ভিজ্যুয়ালাইজার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি খারাপ আছি'র ভ্রান্ত ধারনা।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০৯

;ছোট বেলতেই শুনেছিলাম, মসজিদ থেকে বের হয়ে এক লোক স্যান্ডেল হারিয়ে দুখঃখ করছিলেন। পরে তিনি যখন দেখতে পেলেন সামনের এক ব্যাক্তির হাঁটার মত পা দুটি নেই তখন আর তার মন খারাপ থাকলো না। স্যান্ডেল হারানোর দুখঃখ বেমালুম ভুলে গেলেন তিনি।



গল্পতা সত্য। এইরূপ আসলেই হয়। আমার গুটি কয়েকদিন ধরে 'এরশাদিয়া সিনড্রোম' দেখা দিয়েছিল। আমি হুদা কাজে বেশি আস্ফালন করছিলাম। আর হুদাই নিজেরে নিজে প্যাঁচের মধ্যে ফেলছিলাম। ঠিক তখন, এক পড়ন্ত বিকেল বেলায়, অফুরন্ত বাতাসের মাঝে, ঝিরি ঝিরি বৃষ্টিতে আমি উহাকে দেখতে পাই। আমার মন ভরে যায়। আমি ভুলে যাই সব দুখঃখ। ভাল লাগে আমি যেমন আছি তেমন থাকাতে শোকর জানাই। অদ্ভুত রোগটি কেটে যায়। অলস সেই বিকেলে অন্য একটা রিক্সায় তা দেখেছিলাম



জি না। আপনি যা ভাবছেন তাই না। উহা একটা 'সাইনবোর্ড।' যাতে লেখা ছিল 'আমার মেয়ে সরকারি মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। তার কোড নাম্বার '********।' এবার তার বই কিনতে অনেক টাকার প্রয়োজন। আমি একজন গরিব বৃদ্ধ পিতা। দয়া করে আপনারা আমাকে সাহায্য করবেন এবং আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন।'



যিনি রিক্সাটি চালাচ্ছিলেন তিনি অতিশয় একজন বৃদ্ধ মানুষ। আমি তাকে দেখে ভুলে গেলাম যে কি নিয়ে আমার মন খারাপ ছিল! এত অসহায় যখন একজন মানুষ, তখন আমি খুবই তুচ্ছ কারনে মন খারাপ করছি। আমি লজ্জায় সেখানে দাঁড়াতে পারিনি। চুপচাপ মাথা নিচু করে চলে এসেছি।



কিন্তু আমি জানি ঘটনাটি এভাবে শেষ হবে না। নিশ্চয় ভাল কোনভাবে শেষ হবে। যে মেয়েটা ডাক্তারী পড়ছে, সে হয়ত পরবর্তীতে এদেশের বড় কোন একজন ডাক্তার হবে। হয়ত সে এভাবেই অসহায় মানুষের চিকিৎসা করবে। আর ভিজিট নেয়ার সময় আড় চোখে তাকিয়ে বলবে, আমার বাবা ও অনেক অসহায় ছিলেন কিন্তু আপনার মত কিছু ভাল লোকের সহায়তার জন্যই আজ আমি ডাক্তার। আমি ভিজিট নিতে পারব না, ক্ষমা করবেন।



এটা হতেই পারে। খুব স্বাভাবিক। আমি জানি হবে। কারন যে দেশের মানুষেরা খুব সহজেই নির্লিপ্ত ভাবে বাসের হেল্পার থেকে শুরু করে পান দোকানওয়ালাকে পর্যন্ত মায়ের ভাই (মামা) বানিয়ে ফেলতে পারে সেই দেশের লোকেদের কাছে এমন একজন বৃদ্ধ অসহায় রিকশাওয়ালাটা কখনওই বে-সাহারা থাকবে না। এটা ভাবতেই আমার ভাল লাগে। মন ভরে যায়।



পুনশ্চঃ মন ভাল করার আর একটা উপায়/ভাবনা মাথায় ঘুরছে। 'ফেসবুক অ্যাকাউনট ডিএকটিভেট করে দাও। না, না ওকে ব্লক মেরে দাও।'

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:০৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: ভালো লিখেছেন
++++++++

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩২

ভিজ্যুয়ালাইজার বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ জনাব।

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫০

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আসলে খুব ভালো লিখেছেন। খুব খুব ভালো। অনেক ভালোলাগা।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২২

ভিজ্যুয়ালাইজার বলেছেন: আমি তো জনাব লজ্জায় পড়ে গেলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন। দোয়া রাখবেন :)

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০০

ডরোথী সুমী বলেছেন: পোস্টে অনেক ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম। আসলেই আমরা খুব সহজেই মন ভাল রাখতে পারি।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৬

ভিজ্যুয়ালাইজার বলেছেন: আমি আপনার কমেন্টে অনেক ধন্যবাদ জানালাম :) মন ভাল রাখাই সব থেকে সহজ কিন্তু কেন জানি নীলক্ষেতে মন ভাল রাখার সহজ ১০টি উপায় নামে বই পাওয়া যায় না! যেখানে ১০ দিনে জাপানি ভাষা শিখুন বলে মারাত্মক এক কঠিন 'স্কিলের' বই পাওয়া যায়, সেইখানে এই বিষয়টা নিয়ে কিছু নাই!

কারন, আমরা সবাই জানি যে এইটা সহজ কিন্তু কেউই সহজে মান ভাল রাখতে পারি না।

ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.