নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আই ভিজ্যুয়ালাইজ রিয়্যালিটি!

Lead us from the unreal to the real; From darkness into light; From death into immortality

ভিজ্যুয়ালাইজার

- হোঁচট খেয়েছি ঠিকই, কিন্তু থেমে যাইনি , হেরে যাব বলে তো, আর স্বপ্ন দেখিনি।

ভিজ্যুয়ালাইজার › বিস্তারিত পোস্টঃ

কতবার কক্সবাজার! আরও।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:১১



; কক্সবাজারে এটা কতবারের মত যাওয়া আমার মনে নেই। তবে কেউ জিগ্যেস করলে ১৩/১৪ বার বলে দেই। কবে থেকে যে আসলে ১৩/১৪ বার বলছি তা ও মনে নেই। আমার কিছু মনে না থাকলে ১০, ১৩, ১৪ এই তিনটা সংখ্যা দিয়ে কাউনট চালিয়ে দেই। মানুষ নিজের অজান্তে কিছু প্রিয় সংখ্যা তৈরি করে। এগুলো আমার প্রিয় সংখ্যা নয়, ঠ্যাকা কাজ চালানো সংখ্যা।



কক্সবাজারের কত রূপ যে দেখেছি! পূর্ণিমা'য় সাগর দেখেছি, অমাবশ্যায় সাগর দেখেছি, উত্তাল সাগর দেখেছি, শান্ত সাগর দেখেছি, বৃষ্টিস্নাত সাগর দেখেছি। কিন্তু সাগরের রূপ আর শেষ হয় না। তবু দেখতে ভাল লাগে। কিছু সুন্দর জিনিষ সব সময় সুন্দর ই লাগে। তবে প্রথমবার দেখার মত সুন্দর আর কখনওই লাগে না।



ঢাকা থেকে ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেম ভাল হওয়ার কারনে, বিশেষ করে লাক্সারিয়াস বাসগুলো থাকার কারনে, কক্সবাজারে যাওয়ার বিষয়টা বেশ আনন্দদায়ক। তার উপর ভাল ভাল হোটেলে 'সামার ডিসকাউনট' বলে যে ৫০% ছাড়ের দৌড়াদৌড়ী চলে, তাতে শান্তিতে কয়েকদিন থাকা যায় বলেই ছুটি পেলে কক্সবাজারে যাওয়াই থাকে প্রধান আকর্ষণ।



কক্সবাজার নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। মুলতঃ এই ট্যুরের ভাল লেগেছে আমার ট্যুর মেট গুলোকে। নতুন করে রিয়েলাইজেশন আসছে যে এই মানুষগুলো আসলে আমার খুব কাছের কিছু মানুষ। রক্তের সম্পর্কের খুব কাছাকাছি এদের অবস্থান। এছাড়া ভাল লেগেছে 'পৌষী'র' খাবার। রূপচাঁদা মাছটা ছিল এক কথায় অসাধারণ। 'নিরিবিলি'র' খাবার ও অসাধারণ। বিশেষ করে 'জিরাপানি।' আর হিমছড়ি'র কাছে বালুর বাধ দেয়া যে সৈকতটি আছে তা তো এক কথায় অস্থির! ভাল ছিল 'সি গালের পুল।' ভাল ছিল এবারের কেনা বড়ই এর আচার।



খারাপ লেগেছে অনেক কিছু। এর মাঝে প্রথম খারাপ লেগেছে 'কক্স টু ডে হোটেল।' একটা হোটেল খারাপ হতে পারে তাই বলে 'কসাই ' টাইপ হবে এটা আশা করা যায় না। এই মানের হোটেলের কাউকে দেখিনি আমি শ্যুটিং পার্টি ভাড়া দিতে। কিন্তু এই হোটেল দেয়। এতে কিভাবে খারাপ হল? বিশ্বাস করেন আপনি যখন পুল সাইড বার বি কিউ করবেন আর একদল লোক এসে আপনাকে শ্যুটিং এর অজুহাত দিয়ে উঠে যেতে বলবে তখন আপনার নিজেকে সানি দেওল মনে হবে। মনে হবে 'ধাই কিলো কা হাত' দিয়ে একটা ঘুষি মারি। আর ভাত ভর্তা খেয়ে যখন ২৬৫০ টাকা বিল দেবেন, তখন মনে হবে জীবনে আপনি বিল গেটস টাইপের লোক! ইটস নট এ বিগ ডিল ইউ নো।





যাই হোক, তবুও ভাল ছিল এই ট্যুর। এত্তগুলা ভাল লাগার মাঝে এইটুকু খারাপ লাগা ধর্তব্যের মাঝে পড়ে না। ভালবাসি কক্সবাজারকে। ভালবাসি বাংলাদেশকে। আমি আবার আর একটা বার তোমার প্রেমে পড়তে চাই। সত্যিই চাই।



পুনশ্চঃ 'জেনি' এত্ত স্লিম হইছে ক্যামনে। রহস্য কি? জানা দরকার। আমার ভুঁড়িটা কমাইতেও কাজে দিব। প্লিজ এখন বইলেন না জেনি কে? পনডসের টিভিসি দেখেন। জ্ঞান বাড়বে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:২৪

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: যাওয়া হয় নি কখনও। ইচ্ছা আছে তবে।

ভাই, আপনি কিভাবে ভুঁড়ি বানালেন, সেটা বলেন। আমিও মোটা হব।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১৬

ভিজ্যুয়ালাইজার বলেছেন: জনাব, ইনশাল্লাহ যাবেন। যেতেই হবে।

বংশাল চৌরাস্তার মোড়ের 'মতি বিরিয়ানি' ২বেলা হারে খাওয়া শুরু করেন। বিফলে মূল্য ফেরত।

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:১৬

ইঁদুর চিকার মারামারি, নষ্ট করে বসত বাড়ি বলেছেন: জেনির একটা ফুডু দিলে ভালো হইতো!! জেনিরে ভালা পাই!

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১৭

ভিজ্যুয়ালাইজার বলেছেন: জনাব, জেনির ফুটু তুলে নিজেকে 'বাংলাদেশে নয়া আসছি' প্রমান করার ইচ্ছা ছিল না। গুগলে সার্চ দিয়া বের করে নেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.