![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
- হোঁচট খেয়েছি ঠিকই, কিন্তু থেমে যাইনি , হেরে যাব বলে তো, আর স্বপ্ন দেখিনি।
; 'আমি কষ্ট পেতে ভালবাসি' এই গানটা আইয়ুব বাচ্চু কারও অপেক্ষায় ২ ঘণ্টা উদ্দেশ্যহীন হাটাহাটি করে লিখেছিলেন কি না, আমার জানা নেই। তবে এর থেকে কষ্টের শাস্তি অন্য কিছু হতে পারেনা বলে আমার মনে হয়।
তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় বন্ধু বান্ধবের আসার অপেক্ষায় আজ ২টি ঘণ্টা উদ্দেশ্যহীনভাবে রবীন্দ্র সরোবরে হাটাহাটি করি। এবারই যে প্রথম এই রকম কাম কাজ ছাড়া হুদাই বসে ছিলাম, তা না। এর আগেও বহুবার হয়েছে। তবে আজকে হুদাই বসে থাকার সময়টুকু এর ওর কাজকর্ম দেখে কাটিয়েছি। বেপুক ফায়দা হয়েছে!
প্রথমেই দেখলাম এক গুলাপি মেয়ের, গুলাপি জামা পড়ে, গুলাপি সাজে তার বেগুনি বান্ধবি সহ সেলফি তোলা'র দৃশ্য। দৃশ্যটা মন্দ না। তবে 'ডাক ফেস' করে 'উম্মা' দেয়া ছবি তারা না যতটা আনন্দ নিয়ে তুলছিল, তার থেকেও বেশি আনন্দ নিয়ে তাদের সামনে থাকা লোকগুলো তা দেখছিল। বিশেষ করে ড্রাইভারগন তাস খেলা বাদ দিয়ে 'হা' করে তাদের 'উ' মুখের ছবি তোলা উপভোগ করছিল। তাদের এই 'হা' করা মুখগুলোকে কোন শ্রেণীর 'ডাক ফেস'-এ ক্যাটাগরাইজড করা যায় কি না তা আমার বুঝে আসছিল না।
তারপর এক বিদেশ ফেরত পার্টিরে দেখলাম। বাংলাদেশে এই ধরনের 'জন্তু' মনে হয় না দেখা যায়! তার মাথায় ঝুঁটি বাধা। গলায় এক কঙ্কাল ঝুলছে। শার্টের বোতাম ৩/৪টা খোলা (শার্ট পড়ার কি দরকার ছিল তা আমার বুঝে আসে নাই!) তিনি মঞ্চের বেদি'র উপর বসা প্রতিটা মেয়েকে পিছন থেকে অদ্ভুতভাবে উঁকি দিয়ে দেখছিলেন। এমনকি এক সাথে বসা এক কাপল ও তার এই 'খায়ালামু' উঁকি থেকে বাদ যায় নি! আমি তারে নিয়ে বিশেষ সন্ধেহে আছি যে জনাবের কি 'নিজের লিঙ্গে' রুচি না 'বিপরীত লিঙ্গে!'
সিনেমা এভাবেই চলছিল। এরপর যথারীতি অ্যাকশন দৃশ্য। বলা নাই কওয়া নাই হটাত দেখলাম কথা বলার এক পর্যায়ে ছেলেটাকে মেয়েটা গালের মধ্যে 'টাস' করে এক থাপ্পড় লাগিয়ে দিল। আহারে! বাংলাদেশে যে কেন 'শিশু ও পুরুষ নির্যাতন' আইন নাই! আমি ভাবি। এরপর ছেলেটা চলে যাইতে চাইল। তা ও তারে যাইতে দিল না। সেই পাষাণী তাকে টেনে হিঁচড়ে রিকশা থেকে নামাতে লাগল। এ যেন ভালবাসা দিবি কি না বল? ' লাভ মি অর কিল মি' সিনেমা'র দৃশ্য! তাদের ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা ভেবে সামনে এগোলাম।
শরীরটাকে গাছের ছায়ায় এলিয়ে দিয়ে ফোনে কথা বলতে লাগলাম। পাশে এক লোক এসে বসল। তার মনে বেপক সুখ। বোঝা যায়। তিনি পরম আনন্দে আমার পাশে নাক গুতাতে লাগলেন এবং নাক থেকে তার যাবতীয় প্রাপ্তি ঠিক তার আর আমার মাঝের খালি জায়গাটিতে মনোযোগ দিয়ে মুছতে লাগলেন। আমি বমি বমি অঙ্গভঙ্গিতে তাকে জিগ্যেস করলাম, 'ঘটনা টা কি?' তিনি নির্বিকার ভঙ্গিতে উত্তর দিলেন, 'মামা একটা ফোন করুম। মোবাইলটা দ্যান।'
আমি আর পারি নাই। আল্লাহ তাআলা আমাকে আর শক্তি দেন নাই। মানুষের ঘটনা দেখাও যে এত্ত বড় সাহিত্যের নমুনা হতে পারে, আমার জানা ছিল না। রবীন্দ্র সরোবরের এইসব ঘটনা নিয়া একটা ১০০ পর্বের নাটক লেখা যাইতে পারে। কেউ শুরু করলে আমাকে ডাক দিয়েন। আমি কাজ করব। বিনিময়ে রবীন্দ্র সরোবরের সেই এপিক এলাচ মিশানো দুগ্ধ চা খাওয়াইলেই হবে। অথবা ইয়াকুব মামা'র চা ও চলতে পারে।; 'আমি কষ্ট পেতে ভালবাসি' এই গানটা আইয়ুব বাচ্চু কারও অপেক্ষায় ২ ঘণ্টা উদ্দেশ্যহীন হাটাহাটি করে লিখেছিলেন কি না, আমার জানা নেই। তবে এর থেকে কষ্টের শাস্তি অন্য কিছু হতে পারেনা বলে আমার মনে হয়।
তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় বন্ধু বান্ধবের আসার অপেক্ষায় আজ ২টি ঘণ্টা উদ্দেশ্যহীনভাবে রবীন্দ্র সরোবরে হাটাহাটি করি। এবারই যে প্রথম এই রকম কাম কাজ ছাড়া হুদাই বসে ছিলাম, তা না। এর আগেও বহুবার হয়েছে। তবে আজকে হুদাই বসে থাকার সময়টুকু এর ওর কাজকর্ম দেখে কাটিয়েছি। বেপুক ফায়দা হয়েছে!
প্রথমেই দেখলাম এক গুলাপি মেয়ের, গুলাপি জামা পড়ে, গুলাপি সাজে তার বেগুনি বান্ধবি সহ সেলফি তোলা'র দৃশ্য। দৃশ্যটা মন্দ না। তবে 'ডাক ফেস' করে 'উম্মা' দেয়া ছবি তারা না যতটা আনন্দ নিয়ে তুলছিল, তার থেকেও বেশি আনন্দ নিয়ে তাদের সামনে থাকা লোকগুলো তা দেখছিল। বিশেষ করে ড্রাইভারগন তাস খেলা বাদ দিয়ে 'হা' করে তাদের 'উ' মুখের ছবি তোলা উপভোগ করছিল। তাদের এই 'হা' করা মুখগুলোকে কোন শ্রেণীর 'ডাক ফেস'-এ ক্যাটাগরাইজড করা যায় কি না তা আমার বুঝে আসছিল না।
তারপর এক বিদেশ ফেরত পার্টিরে দেখলাম। বাংলাদেশে এই ধরনের 'জন্তু' মনে হয় না দেখা যায়! তার মাথায় ঝুঁটি বাধা। গলায় এক কঙ্কাল ঝুলছে। শার্টের বোতাম ৩/৪টা খোলা (শার্ট পড়ার কি দরকার ছিল তা আমার বুঝে আসে নাই!) তিনি মঞ্চের বেদি'র উপর বসা প্রতিটা মেয়েকে পিছন থেকে অদ্ভুতভাবে উঁকি দিয়ে দেখছিলেন। এমনকি এক সাথে বসা এক কাপল ও তার এই 'খায়ালামু' উঁকি থেকে বাদ যায় নি! আমি তারে নিয়ে বিশেষ সন্ধেহে আছি যে জনাবের কি 'নিজের লিঙ্গে' রুচি না 'বিপরীত লিঙ্গে!'
সিনেমা এভাবেই চলছিল। এরপর যথারীতি অ্যাকশন দৃশ্য। বলা নাই কওয়া নাই হটাত দেখলাম কথা বলার এক পর্যায়ে ছেলেটাকে মেয়েটা গালের মধ্যে 'টাস' করে এক থাপ্পড় লাগিয়ে দিল। আহারে! বাংলাদেশে যে কেন 'শিশু ও পুরুষ নির্যাতন' আইন নাই! আমি ভাবি। এরপর ছেলেটা চলে যাইতে চাইল। তা ও তারে যাইতে দিল না। সেই পাষাণী তাকে টেনে হিঁচড়ে রিকশা থেকে নামাতে লাগল। এ যেন ভালবাসা দিবি কি না বল? ' লাভ মি অর কিল মি' সিনেমা'র দৃশ্য! তাদের ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা ভেবে সামনে এগোলাম।
শরীরটাকে গাছের ছায়ায় এলিয়ে দিয়ে ফোনে কথা বলতে লাগলাম। পাশে এক লোক এসে বসল। তার মনে বেপক সুখ। বোঝা যায়। তিনি পরম আনন্দে আমার পাশে নাক গুতাতে লাগলেন এবং নাক থেকে তার যাবতীয় প্রাপ্তি ঠিক তার আর আমার মাঝের খালি জায়গাটিতে মনোযোগ দিয়ে মুছতে লাগলেন। আমি বমি বমি অঙ্গভঙ্গিতে তাকে জিগ্যেস করলাম, 'ঘটনা টা কি?' তিনি নির্বিকার ভঙ্গিতে উত্তর দিলেন, 'মামা একটা ফোন করুম। মোবাইলটা দ্যান।'
আমি আর পারি নাই। আল্লাহ তাআলা আমাকে আর শক্তি দেন নাই। মানুষের ঘটনা দেখাও যে এত্ত বড় সাহিত্যের নমুনা হতে পারে, আমার জানা ছিল না। রবীন্দ্র সরোবরের এইসব ঘটনা নিয়া একটা ১০০ পর্বের নাটক লেখা যাইতে পারে। কেউ শুরু করলে আমাকে ডাক দিয়েন। আমি কাজ করব। বিনিময়ে রবীন্দ্র সরোবরের সেই এপিক এলাচ মিশানো দুগ্ধ চা খাওয়াইলেই হবে। অথবা ইয়াকুব মামা'র চা ও চলতে পারে।
০৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৯
ভিজ্যুয়ালাইজার বলেছেন: জনাব, আমি তো ট্রায়াঙ্গেল দেখলাম ঃপি
২| ০৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১:০৪
তাসজিদ বলেছেন: আমার খুব প্রিয় একটি যায়গা।
যদিও আপনার মত এত ঘটনা বহুল না ।
০৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১:১৩
ভিজ্যুয়ালাইজার বলেছেন: জনাব, চারপাশ একটু মনোযোগ দিয়া দেখলে আরও হাজারও ঘটনা পাবেন। শুধু আপনাকে এক মনে দেখে যেতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৬
লিমন আজাদ বলেছেন: রবীন্দ্র সরোবর ! জায়গাটা কেমুন? লম্বা নাকি গোল? নাকি আপেলের মতো দুইদিকে চ্যাপ্টা?

পড়ে সুখ পাইছি।