![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
- হোঁচট খেয়েছি ঠিকই, কিন্তু থেমে যাইনি , হেরে যাব বলে তো, আর স্বপ্ন দেখিনি।
;
দেখা হয় নাই কম্পিউটার খুলিয়া-
ফেসবুক খানি চক্ষু মেলিয়া-
আমার অবস্থা যখন এই টাইপের থাকে তখন আমি বুঝি যে এই দৌড়ের মাঝে এবার আমার একটা বিরতি নিতে হবে। এবার বিরতি নিয়ে ঘুরে এলাম রাতার গুল, সিলেট। বিকেল ৫ টা তেও জানতাম না যে সিলেট যাওয়া হবে। হটাত করে দলবল নিয়ে সিধান্ত নেয়া হয় যে না, যাবই যাব সিলেট।
কোনমতে গ্রীন লাইন বাসের রাত ১২ঃ০৫ এর টিকেট ম্যানেজ করে ১০ঃ০০ টার সময়েই বাস কাউনটারে পৌঁছে যাই। দীর্ঘ এই সময়ে নিজের বোধদয় হয় যে অবিবাহিত থাকাটা দুঃখের না কিন্তু আপনি যখন দেখবেন একের পর এক 'জোড়া' ঘুরতে যাওয়ার জন্যে এই বাস ওই বাসে উঠছে তখন আপনার লাড্ডু খাওয়া নিয়ে একটা আফসোস থাকবেই।
যাইহোক, ভোর ৬ টার সময় আমরা পৌঁছি সিলেটে। কোন হোটেলে উঠব তার ঠিক ছিল না। সাথের একজন কেবলই 'ওই হোটেল' 'ওই হোটেল' করে মাতামাতি করতে লাগল। তবে মোবাইল ফোনের যুগে এবং সিলেট শহরের স্মার্ট সিএনজিওয়ালা মামাদের কল্যাণে বের করা গেল যে, 'ওই হোটেল' আসলে মীরাবাজারের 'সুপ্রিম হোটেল।'
হোটেল হিসেবে সুপ্রিম বেশ ভাল। বাজেট এবং সার্ভিস দু'টোই চমৎকার। ফ্রেশ হয়েই একটা গাড়ি ভাড়া করে রওয়ানা হলাম রাতার গুল সয়াম্প ফরেস্ট।
সিলেট শহর থেকে ২৫ কিঃমিঃ দূরে। কাছাকাছি রাস্তার অবস্থা খুব বেশি ভাল না। তবে ঘর বর্ষায় না গেলে কোন মজাই পাওয়া যাবে না। ভাগ্যের জোরে বর্ষা কাল থাকলেও বৃষ্টি ছিল না। কাছাকাছি গিয়ে দেখি নিদারুন নৌকাই ঘোরার একমাত্র বাহন। সাথের সবাই নৌকাতে উঠলেও আমার পানিভীতি থাকায় আমি উঠতে ভয় পাচ্ছিলাম। পরে ভাবলাম কি হবে পাড়ে থেকে? এদের নৌকা যদি উল্টায়, তবে এদের বাসার মানুষজন এসে আমারে কিলাইয়া ডুবায়ে দিয়ে যাবে। তার থেকে আল্লাহর নাম নিয়ে উঠে পড়লাম।
নৌকায় উঠতেই মাঝি মামা বলে, এই জঙ্গলে মেছো বাঘ, সাপ, জোঁক আর বানরে ভরা। এই কথা শুনে আমার শক্ত হয়ে বসে আল্লাহ'র নাম নেয়া ছাড়া আর কিছু করার ছিল না।
নৌকা চলতে থাকল। ধিরে ধিরে তীর ফেলে ঢুকে যাই জঙ্গলে। এইবার আর কোন আফসোস থাকল না। এত্ত সুন্দর। আলহামদুলিল্লাহ। একটা ওয়াচ টাওয়ার হচ্ছে সেখানে। উঠলাম তার উপর। নতুন ঢালাই তাই পাশে গিয়ে ছবি তুলতে সাহস হল না। কিন্তু কি যে সুন্দর! তা নিজের চোখে না দেখলে বোঝা যাবে না। আস্তে আস্তে জঙ্গলের আরও ভিতরে গেলাম। আমার কপাল ভাল ছিল যে কেবল 'ইয়া' লম্বা একটা জোঁক দেখা ছাড়া আর কোন কিছু দেখে ভয় পেতে হয়নি।
একদিনের এই রিফ্রেশমেনট ভাল ছিল। তবে আসার সময় এনা বাসের সেই পাগলা ড্রাইভারের পাগলামির কথা ভুলব না। ২০ ফিত চওড়া রাস্তার দুই পাশে চলতে থাকা গাড়ির মাঝেও তিনি যেভাবে ওভারটেক করছিলেন! তাতে সবাই যে পরিমানে আল্লাহর নাম নিচ্ছিল তার সওয়াবের একটা অংশ তিনি পেতেই পারেন!
সব মিলে ভাল ছিল, খুব ভাল ছিল। আমার এত্ত ভাল লাগে ক্যারে? কিনু?
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:১৯
ভিজ্যুয়ালাইজার বলেছেন: জনাব ছবি তো দেয়াই আছে!
২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৫০
মাহবু১৫৪ বলেছেন: আরো কিছু ছবি থাকলে মন্দ হত না।
ভাল লাগলো
++++
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:১০
হেডস্যার বলেছেন:
ছবি কই?
মাইনাস