নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আই ভিজ্যুয়ালাইজ রিয়্যালিটি!

Lead us from the unreal to the real; From darkness into light; From death into immortality

ভিজ্যুয়ালাইজার

- হোঁচট খেয়েছি ঠিকই, কিন্তু থেমে যাইনি , হেরে যাব বলে তো, আর স্বপ্ন দেখিনি।

ভিজ্যুয়ালাইজার › বিস্তারিত পোস্টঃ

কি করবেন? আজকের দিনটাই যদি শেষ হয়?

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৪৩

; মস্তিষ্কে জং পড়াটা বোধহয় সত্য ঘটনা। আমার জংটা মনে হয় মাথা ছাড়াও, বয়স, চিন্তা-ভাবনা সব কিছুতেই ধরেছে একমাত্র খাওয়া ছাড়া। আলহামদুলিল্লাহ খাওয়াতে আমার কিশোর ছেলের মত রুচি আছে। মানুষের জ্বর, সর্দি, ঠাণ্ডা, মাথাব্যাথা হলে কিছুই ভাল লাগে না, খাওয়া তো দূরে থাক! কিন্তু আমার!!



মাশাআল্লাহ! এইতো সেদিনের জ্বরের কথা বলি। সকাল বেলাতেই নুডুলস আর চা। দিন গড়াতে আলুভর্তা, পোড়া পোড়া ডিম ভাজি, এক চামচ ঘি আর গরম ভাত। দুপুর গাঢ় হতেই সিম আর বোয়াল মাছ। সন্ধ্যায় তেহারি আর রাতে আবার বোয়াল মাছের তরকারি। আহা! কি স্বাদ। জ্বর হলেই আমার খিদা লাগে। নাকে তেহারির গন্ধ পাই কেবল!!



অদ্ভুত! একটু বেশিই অদ্ভুত! সেই সাথে অদ্ভুত আমার রোগ না সামলানোর ঘটনা। ১০১ জ্বর হলেই আমি কাবুবাবু হয়ে যাই। সম্পূর্ণ শয্যাশায়ী। ঝড়টা আমার মায়ের উপর দিয়ে যায় অবশ্য। জলপট্টি থেকে শুরু করে বিছানায় খাইয়ে দেয়া পর্যন্ত। বড় হওয়াটা একটা ট্র্যাপ হলেও সেবাযত্নের এই অধ্যায়টা অদ্যবধি একই। ভাল লাগে।



তবে এই কাবুবাবু হয়ে আমার মাথায় ব্যাপক চিন্তাভাবনা আসে। রাজনীতি, অর্থনীতি, ব্যবসা, দর্শন সব মানে সব। শুধু খেলাধুলার চিন্তাটা আসে না। নইলে রীতিমত দৈনিক পত্রিকা হয়ে যেত!!



যাউকগা ট্র্যাকে আসি। এইবারকার জ্বরে মনে হল, আজকের দিনটাই যদি জীবনের শেষ দিন হয় তবে আমি কি করব? হুম! গভীর চিন্তার বিষয়। উত্তর দেয়াটা সহজ না। ভাবতে থাকি। প্রথমেই ভাবলাম, ধুম্রপানটা ছেড়ে দেব। এটলিস্ট আম্মার সব ঘটনার পিছনে ধূম্রপানকে দায়ি করা থেকে তো মুক্তি! আর এটা তো কঠিন কিছু না! মহান লেখক মার্ক টোয়েন বলেছেন, ' অনেকেই বলে ধূম্রশলাকা ছাড়া কঠিন ব্যাপার। আমি তাদের কথা শুনে অবাক হই। ধূম্রশলাকা ছাড়া কঠিন কিছুই না! আমি ১৫৭ বার এটা ছেড়েছি।'



সেইদিকটাতে আর বেশি না ভেবে ভাবলাম আর কি করা যায়। মনে হল, বাবা আর আম্মুর ছবিটা ঘণ্টাখানেক ধরে দেখতে হবে। যাতে হটাত সেই লম্বা যাত্রার পরেও তাদের চেহারা মনে থাকে।আর? হুম! হজ্বের পদ্ধতিটা একবার পুরা রপ্ত করে নিতে হবে। সাথে লাদাখ ভ্রমনের গুটিকয়েক কাহিনি আর চকচকা ছবি। ব্যস! আর কিছু না। শুধুমাত্র একটা দিনে এর থেকে ভাল কিছু আমার মাথায় আসেনি। অনেকের মাথায় হয়ত অনেক কিছু আছে। কারও মাথায় হয়তবা 'জিন্দেগি মিলেগি না দোবারা' মুভির কনসেপ্ট আবার কারও মাথায় হয়ত 'মুন্না ভাই এমবিবিএস' এর কাহিনি। ইট ডিপেন্ডস।



সবশেষে একটা জোকস বলি, এক লোক বিয়ে করতে চায় না। বাসার সবাই তাকে বোঝায় যে, যদি সে বিয়ে না করে তবে তার মৃত্যু সময়ে তো মুখে পানি দেয়ারও কেউ থাকবে না। অবশেষে তিনি বিয়ে করেন। দিন যায়। তার মৃত্যুকালে তার স্ত্রী তার মরনশয্যার পাশে পানি নিয়ে বসে আছেন। জিগ্যেস করলেন, 'পানি খাবা?' তিনি নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে উত্তর দেন, 'ধুর! এখন তো আর পানি খেতে ইচ্ছে করছে না!!!'



লিখতে থাকলে চলতেই থাকবে। তাই খোদার কসম, এই ভিডিওটার লিঙ্কই শেষ, "https://www.youtube.com/watch?v=9RAhxhIHdpM"

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৫৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভালো লাগলো পড়ে।

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:১৯

খেলাঘর বলেছেন:

পড়লাম, লেখার কিছুই পাচ্ছেন না, দেখছি।

৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৬

ভিজ্যুয়ালাইজার বলেছেন: জি জনাব, অতিশয় সত্য. কিচ্ছু নাই. থুক্কু মুক্কু টাইপ লেখা.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.