নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আই ভিজ্যুয়ালাইজ রিয়্যালিটি!

Lead us from the unreal to the real; From darkness into light; From death into immortality

ভিজ্যুয়ালাইজার

- হোঁচট খেয়েছি ঠিকই, কিন্তু থেমে যাইনি , হেরে যাব বলে তো, আর স্বপ্ন দেখিনি।

ভিজ্যুয়ালাইজার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ট্রানজেকশনাল অ্যানালাইসিস

২৮ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৯

উনি আসলে কিছুই বুঝতে চান না, বা

লোকটা মারাত্মক ইমম্যাচিউর, অথবা

আমার দ্বারা আসলে বোঝানো সম্ভব না!!



নিজেদের জীবনে কখনও কি আমাদের এরকম মনে হয়েছে?

যদি হয়ে থাকে তবে কি কখনও ভেবে দেখেছেন এই কমিঊনিকেশন গ্যাপ আপনার নিজের কারনেই হচ্ছে?

বর্তমানের কম্পিটিটিভ বিশ্বে টিকে থাকতে গেলে আমাদের নিজেদের এই ইন্টারপারসোনাল কমিঊনিকেশন স্কিল আরও শার্প করতে হবে।



নিজেদের এই ইন্টারপারসোনাল কমিঊনিকেশন স্কিল বাড়ানোর একটা টুলস হচ্ছে ট্রানজেকশনাল অ্যানালাইসিস।



ট্রানজেকশনাল অ্যানালাইসিস এর শুরুটা আসলে সেই ফ্রয়েডের আমলে। তার ইড, ইগো আর সুপারইগো থিওরি নিয়ে। কিন্তু বর্তামানে এই অ্যানালাইসিসের সব থেকে বহুল ব্যবহৃত মডেল এর নাম হচ্ছে 'পিএসি মডেল' বা প্যাক মডেল।



ডঃ এরিক বার্ন এই মডেলের উদ্ভাবক। তার মতে আমাদের ব্যবহার এর প্যাটার্ন তিনটি।

১) প্যারেন্ট

২) অ্যাডাল্ট

৩) চাইল্ড



এখানে প্যারেন্ট বলতে আসলে বাবা মা কে বোঝানো হয়নি বরং বাবা মায়ের মত ব্যবহার প্যাটার্নকে বোঝানো হয়েছে। তারা যেমন ডমিনেটিং এবং অথোরিটেটিভ ভাব প্রকাশ করেন ঠিক তেমন বিহেভিয়ার প্যাটার্ন। শেখানোর একটা বিশেষ প্রবণতা থাকে আচরণে।



অ্যাডাল্ট হচ্ছে খুবই লজিক্যাল একটা বিহেভিয়ার প্যাটার্ন। এই প্যাটার্নের মানুষেরা প্রতি বিষয়ের প্রতি খুবই আগ্রহী থাকেন। তারা অকপটে সব কথা বলেন এবং তাদের প্রতিটি কমিউনিকেশানের

৭% হল তারা মুখে বলেন

এই ৭% কথার ভেতরের মিনিং থাকে বাকি ৩৮% এ

আর বাকি ৫৫% ই থাকে তাদের ফেসিয়াল এক্সপ্রেশান!



চাইল্ড বিহেভিয়ার প্যাটার্নের মানুষেরা খুবই ইমোশনাল। তারা লজিকের চেয়ে ইমোশানকে গুরুত্ব দেয় বেশি। এদের মাঝে যারা খুবই পজেটিভ বিহেভিয়ার এর হয় তারা অন্যের প্রতি কো-অপেরেটিভ থাকে। আর যারা একটু নেগেটিভ বিহেভিয়ারের হয় তারা খুবই অভিযোগী হয়।



এখন আমাদের প্রতিদিনের কমিউনিকেশানের সময় আমাদের বুঝতে হবে যে আমরা কোন ক্যাটাগরির মানুষের সাথে কমিউনিকেট করছি। তাদের বিহেভিয়ার প্যাটার্নের সাথে মিল রেখে আমাদের বিহেইভ করা উচিত। তারা যদি প্যারেন্টস ক্যাটাগড়ির হন তবে তার সাথে আমরা কখনই চাইল্ড বিহেভিয়ার দিয়ে সাকসেসফুল কমিউনিকেশান স্ট্যাব্লিশ করতে পারব না।



অন্যকে দোষ না দিয়ে বা আমার দ্বারা কেন পারফেক্ট কমিউনিকেশান হচ্ছে না অথবা আমার কমিউনিকেশানের ইম্প্রুভমেন্ট এরিয়াটা কোথায় এসব না চিন্তা করে আমরা যদি একটু এভাবে চিন্তা করতে শিখি তাহলে আমার আর আপনার মাঝের দূরত্বটা খুব তাড়াতাড়িই কমে যাবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.