![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না পশ্চিমা দর্শনের প্রতিষ্ঠাতা গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের যার কাছ থেকে শিক্ষা পেয়েছিলেন গণিতবিদ এবং এথেন্সে পশ্চিমা বিশ্বের প্রথম উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা আরেক গ্রিক দার্শনিক প্লেটো। এই প্লেটোর ছাত্র ছিল আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের শিক্ষক এরিস্টটল। সক্রেটিসই বিশ্ব ইতিহাস পরিবর্তনে রেখে গেছেন অসাধারণ প্রভাব। অথচ তাদের ছিল না কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা।
মাইকেল ফ্যারাডে : আমরা বিদ্যুৎচালিত বেশকিছু যন্ত্রপাতি ব্যবহার করি। এটা আবিষ্কার করেন মাইকেল ফ্যারাডে। প্রকৃতপক্ষেই একজন প্রতিভা এবং বিশ্ব-ইতিহাসের প্রভাবশালী বিজ্ঞানীদের একজন। এই অসাধারণ কর্মদক্ষতার মানুষটির প্রথাগত কোনো শিক্ষাই ছিল না! শিল্পনগরী লন্ডনের এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম এই ফ্যারাডের। আর তাই পয়সা দিয়ে বিদ্যালয়ে পাঠ নেয়া হয়নি তার কখনই। পরিবর্তে ১৪ বছর বয়সে শিক্ষানবিসি হিসেবে কাজ নেন স্থানীয় একটি বই বাঁধায়ের দোকানে। তিনি পরের বছর কাজ পেয়েছিলেন এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তৈরি করেন বৈদ্যুতিক মোটর, বৈদ্যুতিক জেনারেটর, বুনসেন বার্ণার, ইলেকট্রোলাইসিস, ইলেকট্রোপ্লাটিং। তিনিই আবিষ্কার করেন বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় আবেশ, বেনজিন। এছাড়াও আরো জটিল জিনিস তিনি আবিষ্কার করেছেন। ড্যাভি ছিলে সে সময়ের বিশ্ব সেরা বিজ্ঞানী যিনি কি-না শুরুতে ফ্যারাডের চাকরিই দিতে চেয়েছিলেন না। সেই ড্যাভিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল বিজ্ঞানে আপনার সেরা আবিষ্কার কোনটি? উত্তরে তিনি বলেছিলেন মাইকেল ফ্যারাডে।
উইলিয়াম হার্শেল : উইলিয়াম হার্শেল ১৭৩৮ সালে জার্মানীতে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকাল থেকেই তিনি মিশে ছিলেন মিউজিকের সঙ্গে। বাজাতেন সেলো, সানাই, অর্গান, হার্পসিকর্ড আর সেই সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করে তোলেন বিশ্বমানের এক মিউজিশিয়ান হিসেবে। চার্লস এভিসনের মতো নামকরা সুরকারও কাজ করেছেন হার্শেলের সঙ্গে। ১৭৬০-৬১ সালে তিনি ডার্হান মিলিশিয়া ব্যান্ডের প্রধান হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সংগীতের উপর কাজ করতে গিয়ে তিনি গণিত এবং লেন্সের উপরও কাজ করেন। একসময় নিজেকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেন একজন স্বনামধন্য জ্যোতির্বিজ্ঞানী হিসাবে। ইউরেনাস তৈরি করে থেমে থাকেননি হার্শেল। তিনি আবিষ্কার করেছেন শনি গ্রহের দুইটি চাঁদ। মিউজিশিয়ান হিসেবে জীবনের অর্ধেক পার করে এসে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও হার্শেল নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী হিসাবে।
ম্যারি অ্যানিং : ব্রিটিশ নারী ম্যারি অ্যানিং জন্মগ্রহণ করেন ১৭৯৯ সালে। চার্চের রোববারের পাঠ ছাড়া তেমন কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা তার ছিল না। কিন্তু পরিশ্রম করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগরের জোয়ার-ভাটাকে জয় করে তিনি গড়ে তুলেছিলেন শামুক-ঝিনুকের ব্যবসা। পরিচিতিও পেয়েছিলেন এতে। পরে তিনি ঝিনুক কুড়ানি থেকে হয়েছিলেন জীবাশ্ম বিজ্ঞানী। আধুনিক ভূতত্ত্বের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে এই ম্যারি অ্যানিংকে চিহ্নিত করা হলেও বাড়িয়ে বলা হবে না মোটেও।
হেডি লামার : অস্ট্রিয়াতে জন্ম নেয়া মার্কিন অভিনেত্রী হেডি লামার ছিলেন অসাধারণ সুন্দরী। তিনি এতটাই সুন্দরী ছিলেন যে এক সময় তাকে বলা হতো ইউরোপের সেরা সুন্দরী। ছোট বেলা থেকে তিনি শেখেন ব্যালে এবং পিয়ানো। হলিউডের বুম টাউন, হোয়াইট কার্গো, টর্টিলা ফ্ল্যাটসহ অনেক চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন। ২৮ বছর বয়সে স্বয়ংক্রিয় পিয়ানোতে কীভাবে গোপনীয় প্রোগ্রাম সেট করা যায় তার ওপর নিজের তৈরি বিশেষ কৌশল আবিষ্কার করে বসেন। আসলে তিনি আবিষ্কার করে ফেললেন টেলিকমিউনিকেশনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ কলাকৌশল। অথচ এসব বিষয়ে তার কোনো পড়াশোনা ছিল না। তার সেই আবিষ্কার আজকের যুগের ওয়াই ফাই, ব্ল–টুথ, সিওএফডিএম, সিডিএমএ প্রভৃতি তারহীন প্রযুক্তির এর ভিত্তি হিসাবে বিবেচেনা করা যায়।
তথ্যসূত্র : এখানে।
০৩ রা জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫১
জনগণের কন্ঠ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫
বোকামন বলেছেন:
গুড পোস্ট !
পোস্টদাতাকে ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।