নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কিছু হিজিবিজি লেখা

লেখা

ভয়ংকর ডা:

লেখার সখ

ভয়ংকর ডা: › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহবাগ আনালাইসিস

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

এখন পর্যন্ত যে প্ল্যান নিয়ে এগুচ্ছে তাতে তাঁরা অনেকটাই সফল বলা যায়। দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণের যে প্ল্যান তাঁরা করেছিল তা বেশ সফলভাবে সারতে পেরেছে। বিবিসি, সিএনএন সহ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম গুলোতে দেশে অস্থিতিশীল একটি অবস্থা বিরাজ করছে এমন রিপোর্ট করাতে সমর্থ হয়েছে। শাহবাগের এতদিনের অহিংস অবস্থান কর্মসূচী তেমন ভাবে বিদেশী মিডিয়ায় না এলেও সহিংস শিবির কীর্তি এসেছে। বেশী এসেছে সেই সহিংসতা রোধে সরকারী কার্যকলাপ। সঙ্গে লাশের সংখ্যাও বেশ সংবেদনশীল পর্যায়ে নিয়ে যেতে পেরেছে।

সংখ্যা লঘুদের বাড়ী ঘর জ্বালানোর উদ্দেশ্য যদি ত্রাশ সৃষ্টি হয়, তবে সেখানেও তাঁরা সফল। যেহেতু সংখ্যা লঘুদের ভোট কখনই তাঁদের লক্ষ্য না তাই খুব বেশী ক্ষতি তাঁদের হবে না। তবে এক্ষেত্রে বি এন পি র নীরবতা বি এন পি কে সমস্যায় ফেলতে পারে। বিশেষ করে বিভিন্ন টক শো তে উত্তর দিতে কিছুটা হিমসিম খেতে হবে। নাস্তিক ইস্যু ও খারাপ কাজে দিচ্ছে না। অন্ততঃ বি এন পি কে পাশে টানতে পেরেছে। সার্বিক ভাবে বলা যায়, যে ধারণা তাঁরা দিতে চাচ্ছে, ‘আমাদের নেতার কিছু হলে দেশকে অস্থিতিশীল করে দিব’ তা তাঁরা করে দেখিয়েছে।

গনজাগরন মঞ্চ সম্পর্কে কটাক্ষ কারীর সংখ্যা একটি দুটি করে বাড়ছে। আর সেই সব সমালচনাকারীর বিরুদ্ধে পাল্টা কটাক্ষ করাটাও যেন নিত্যনৈমিত্যিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। মঞ্চে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতা দের আগমন এবং সরকারী দলের নেতাদের সংহতি মঞ্চ কে শক্তিশালী করেছে না ক্ষতিগ্রস্থ করেছে বোধ হয় আরেকবার ভেবে দেখা উচিৎ। এতদিন কেবল জামায়াত শিবির ই এই মঞ্চের বিরুদ্ধে ছিল। সম্প্রতি এই সূচীতে যোগ হয়েছে প্রধান বিরোধী দল। এই দ্বৈত শক্তিকে একত্রে মোকাবেলা করার জন্য রণনীতি কি হওয়া উচিৎ তাও ভাববার বিষয়।

নতুন যে চ্যালেঞ্জ যুক্ত হয়েছে তা হচ্ছে এই মঞ্চ কি কেবল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়া নিয়েই সীমাবদ্ধ থাকবে না দেশে বিরাজমান দুর্নীতি সহ অপরাপর সমস্যা নিয়েও কথা বলবে। এই মঞ্চ দেশের বিবেক হিসেবে কাজ করবে কি না। এবং করলে কখন থেকে? আর না করলে কেন? এমনটা করার পক্ষে বা বিপক্ষে অসংখ্য যুক্তি দাঁড় করানো যেতে পারে। তাঁদেরকে ঠিক করতে হবে তাঁর কোন পথে যাবে। তাঁর চেয়েও বড় কথা দেশবাসীকে বোঝাতে হবে তাঁরা কোন কাজ কেন করছে।

আরও কিছু প্রশ্ন গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে আসছে। তাঁর মধ্য অন্যতম হচ্ছে, এর শেষ কোথায়? মঞ্চের পরবর্তী পদক্ষেপ কি? দেশের বিভিন্ন এলাকা যেভাবে আক্রান্ত হচ্ছে সেক্ষেত্রে মঞ্চ থেকে কোন দিক নির্দেশনা আসা উচিৎ কি না। প্রতিরোধ এর কথা বলা হচ্ছে। তা কি আদৌ সম্ভব? একদিকে বিবেক বুদ্ধি বিবর্জিত একদল সশস্ত্র মানুষের বিরুদ্ধে নিরস্ত্র থেকে লড়াই কি আদৌ লড়াই? নাকি আত্মাহুতি? আর মঞ্চ ও যদি সশস্ত্র হয়ে ওঠে তবে তো পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে। তাঁর চেয়েও বড় কথা বিরোধী শিবির সেটাই চাইছে, দেশ আরও অরাজক হউক।

সম্প্রতি বগুড়া তে ঘটে যাওয়া চাঁদ উপাখ্যান একটি বিষয় পরিষ্কার করে দিয়েছে, তাঁরা নিজেদের ক্যাডার এর সঙ্গে সাধারণ মানুষ কে যে কোন উপায়ে যুক্ত করার একটা পরিকল্পনা নিয়েছে। গুজব রটিয়ে হোক আর মিথ্যা বলে হউক তাঁরা চাইছে লাশের মধ্যে যেন নারী কিংবা শিশুর সংখ্যা বেশী হয়। তাহলে প্রচারে সুবিধা হয়, ‘সরকার নির্বিচারে গুলি করছে’। এই পরিকল্পনা এখানেই থামবে এমনটা মনে হয় না। পরবর্তী যেখানে তাঁরা এমনটা ঘটাতে চায় সেখানেও গুজব দিয়ে কাজ হাসিল করবে না জিহাদের ডাক দিয়ে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

বিরোধী শিবিরের আরও একটি চেষ্টা লক্ষণীয়। তা হচ্ছে গ্রামের সহজ সরল মানুষের কাছে ‘নাস্তিক নামা’ নতুন ভাবে উপস্থাপন করা। এদের অনেকেই জানে না ব্লগ কি? ব্লগার কারা? ব্লগাররা কি করে? কেন এবং কিভাবে এই আন্দোলনের সুত্রপাত? তাঁদের এই অজ্ঞতাকে সুচতুর ভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে। বোঝানো হচ্ছে যারা ধর্মকে কটাক্ষ করে তারাই ব্লগার। আর নাস্তিক ফর্মুলা যখন বিরোধী দলকে বশ করে ফেলেছে তখন দেশের আপামর সহজ সরল জনসাধারণ তো কোন ছাড়। অব্যর্থ নিশানা।

মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব বিদেশী শক্তি এদেশের বিপক্ষে ছিল, তাঁরা হঠাৎ স্বপক্ষে চলে আসবে এমনটা আশা করা অনুচিত। তাঁদের কড়া বিরোধিতা কে মাথায় রেখেই এগোতে হবে। যা করার নিজেদের কেই করতে হবে। যে কথাবার্তা বা কাজগুলো নিয়ে বিতর্ক তৈরির সুযোগ আছে, সেগুলো নিয়ে আরেক পশলা চিন্তা কিংবা গঠন মূলক আত্মসমালোচনা করা যেতে পারে।

গণসংযোগ করার প্রয়োজনীয়তা এবং এর উপায় নিয়ে ভাবতে হবে। বিরোধী শিবির কি পরিকল্পনা করছে কোথায় করছে তা পূর্বেই অনুমান করতে হবে। বগুড়া তে যা করার তাঁরা করে ফেলেছে। পরবর্তী জেলা কোনটা এবং সেখানে কি করতে যাচ্ছে তাঁর সম্পর্কে আগাম তথ্য জোগাড় করা জরুরী। মঞ্চ থেকে কেবল একরাশ বক্তব্য দিলেই হবে না।

সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করতে যাচ্ছে কি না কিংবা জরুরী অবস্থা আসছে কি না এসব মাথায় রেখে পরবর্তী পরিকল্পনা তৈরি করা জরুরী। অবস্থা কত খারাপ হতে পারে, হলে কি করণীয় সব কিছু ভেবে এগুতে হবে। একটি ব্যাপার পরিষ্কার হয়ে গেছে, আন্দোলন যতটুকু এগিয়েছে পুরোটাই ভেস্তে যেতে পারে দূরদর্শিতার অভাবে। হাতে যতটুকু সাফল্য এসেছে সবটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে ছোট্ট একটি ভুলে। তাই খুব সাবধানে পথ চলতে হবে।



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৪

সফট আইটি বলেছেন: খবর রাথেন কি ?!!! ডা: ইমরান এইচ সরকার শাহাবােগর অন্দলন দিয়ে এই পর্যন্ত কত টাকা ইনকাম করেছে??????!!

২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২২

নাদান বালক বলেছেন: ভাল analysis॰ শিবিরের মত পুচকে দলকে নিয়ে এত বিশ্লেষণের কী দরকার বুঝলাম না। নিষিদ্ধ করে দিলেই হয়।

৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৩০

হাঁড় = ঘাঁড় বলেছেন: শাহবাগের এতদিনের অহিংস অবস্থান কর্মসূচী তেমন ভাবে বিদেশী মিডিয়ায় না এলেও সহিংস শিবির কীর্তি এসেছে।

৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

ভয়ংকর ডা: বলেছেন: সফট আইটি -- আমার জানা নাই। আপনার জানা থাকলে প্রমাণ সহ দেন-- আমি লিখবো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.