নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওয়াহিদুজ্জামান এর বাংলা ব্লগ

ওয়াহিদ০০১

ওয়াহিদ০০১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবর্তনের সহজ পাঠ ১: জৈব-বিবর্তন পরিচিতি।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:৫০

বিবর্তন শব্দের অর্থ হচ্ছে সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়ে নতুন রূপ ধারণ।সবকিছুই বিবর্তিত হয়। ভাষা, সমাজ, রাষ্ট্র সবকিছুই ক্রমাগত বিবর্তিত হয়ে চলেছে। জীববিজ্ঞানীরা যে ধরণের বিবর্তন নিয়ে কাজ করে সেটা হচ্ছে জৈববিবর্তন।



এককথায় জৈববিবর্তন: জৈববিবর্তন হচ্ছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে জীবদেহের জেনেটিক কোডে পরিবর্তন।



জিন কি?
: আমাদের বৈশিষ্ট্যসমূহকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়, অর্জিত এবং উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। অর্জিত বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সেগুলো যেটা জন্মের পর আমরা আমাদের পরিবেশ থেকে দেখে-শুনে শিখে অর্জন করি। আর উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত বৈশিষ্ট্যগুলো আমরা পেয়ে থাকি বাবা-মার কাছ থেকে আমাদের জন্মের পূর্বেই, ভ্রুণগঠনের সময়। আর বাবা-মার এই বৈশিষ্ট্যগুলো আমাদের কাছে বয়ে নিয়ে আসে জিন। জিন হচ্ছে জীবকোষের ক্রোমোসোমে অবস্থিত ডিএনএ নামক একটি বিশেষ অনুর অভ্যন্তরস্থ একটি বিশেষ কোড। অকোষীয় জীবের ক্ষেত্রে ক্রোমোসোমের বাইরেও জিনবাহী ডিএনএ থাকে।

*আমরা জানি, ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবো-নিউক্লিক-এসিড) হচ্ছে একটি জটিল যৌগ যা নিউক্লিয়াসে অবস্থিত ক্রোমোসোমের অভ্যন্তরে রয়েছে।

*ডিএনএ হচ্ছে একটি লম্বা অণু যা চারধরণের উপাদান (এটিসিজি) দিয়ে গঠিত। এই উপাদানগুলোর ক্রমবিন্যাসকেই জিন-সিকোয়েন্স বলে।

* কোষবিভাজনের সময় যখন ক্রোমোসোম বিভাজন হয়, তখন ডিএনএ অণু অনুরুপ অণু সৃষ্টি করে। একে রেপ্লিকেশন বলে।

* এই ডিএনএ মায়ের ডিম্বানু এবং বাবার শুক্রানুর মাধ্যমে ভ্রুণে সঞ্চারিত হয়।

* জিন-সিকোয়েন্স হচ্ছে একধরণের কোড, যা জীবদের জন্মগত বৈশিষ্ট্যসমূহ নির্ধারণ করে।



মিউটেশন কী?:

ডিএনএ রেপ্লিকেশন পদ্ধতিতে প্রায় সকল ক্ষেত্রেই অবিকল প্রতিকৃতি তৈরী হয়। কিন্তু কোন প্রকৃতিতে কোন জটিল প্রক্রিয়াই নির্ভুল নয়। ভুল ঘটে এবং জীবের জিন পরিবর্তিত হয়। আর এই পরিবর্তিত জিন প্রজন্মান্তরে বাহিত হয়। এই প্রক্রিয়ার নামই মিউটেশন। মিউটেশন প্রক্রিয়ার কারণে উত্তরসূরী প্রজন্ম পূর্বসূরীদের চেয়ে ভিন্ন বৈশিষ্ট্যধারী জিন বাহক হতে পারে।



প্রাকৃতিক নির্বাচন কী?:

মিউটেশন একটি ড়্যান্ডম প্রক্রিয়া। জিন এ মিউটেশনের কারণে এ, বি, সি ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকরণ তৈরী করতে পারে। আর কিছু কিছু জিনের প্রকরণ জীবটির বৈশিষ্ট্যেও বড় পরিবর্তন আনতে পারে। সেক্ষেত্রে মিউটেশনের কারণে একই প্রজাতির তিনটি প্রকরণ তৈরী হবে। এর মধ্যে কিছু প্রকরণ থাকবে প্রকৃতির সাথে খাপ খাওয়ানোর উপযোগী, আর কিছু থাকবে অনুপযুক্ত। অনুপযুক্ত জীবগুলো সন্তান রেখে যেতে ব্যর্থ হবে, যার কারণে তার জিনগুলো হারিয়ে যাবে। আর বিভিন্ন প্রকরণগুলো নতুন স্থানে মাইগ্রেশন করেও টিকে থাকার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে।



বিবর্তনের ফলে নতুন প্রজাতির উৎপত্তি:


ভৌগোলিক ভাবে বিচ্ছিন্ন একই প্রজাতির দুটি পপুলেশনের মধ্যে মিউটেশন এবং প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে পার্থক্য ক্রমশ বেড়েই চলে। এভাবে একসময় তারা বিশাল পার্থক্যের কারণে দুই গ্রুপের মধ্যে প্রজননের মাধ্যমে প্রজননক্ষম সন্তান ধারণে অক্ষম হয়ে পরে। এভাবেই নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হয়।



[চলবে.......]

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:৫৯

ভিন্ন চিন্তা বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম।কপি রাইট আছে কি?

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:০৯

ওয়াহিদ০০১ বলেছেন: নাই। ইচ্ছামত কপিপেস্ট করতে পারেন।

২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:১৭

বাদ দেন বলেছেন: কম্পুটার সাইন্সে পড়ি জেনেটিক এল্গ্রিথম বলে একটা জিনিশ বুঝতে হয়, যা ডারউইনের মতবাদ অনুসরনে।
পড়ে ভাল লাগল

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:২৬

মাহফুজশান্ত বলেছেন: জিন-সিকোয়েন্সের মাধ্যমে কত % জেনোমের বৈশিষ্ট্য বের করা সম্ভব?

০২ রা মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:২৩

ওয়াহিদ০০১ বলেছেন: ঠিক কত পার্সেন্ট বের করা সম্ভব তা জানা নেই। তবে প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে সাফল্যের হারও বাড়বে।

৪| ০২ রা মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:০৫

মাহফুজশান্ত বলেছেন: প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে সাফল্যের হারও বাড়বে নাকি কমবে- তা তো আমি জানতে চাইনি ভাই-
আবার আরেকটু ভেঙে বলি- কোন জেনোমের কত % কোড করা সম্ভব আর কত % সম্ভব না-
এই উত্তর যারা জানেনা তারা বিবর্তন তত্ত্বের অনেক কিছুই জানেনা-

০২ রা মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:২৬

ওয়াহিদ০০১ বলেছেন: আপনিই তাহলে জবাবটা দিয়ে দিন না!

মানুষ জিন এখনো ১০০% জিন সিকোয়েন্সিং করতে পারে না বলে বিবর্তন তো বসে থাকবে না। সে তার কাজ চালিয়ে যাবে।

আপনার ব্লগে বললেন, বিবর্তনবাদ অনুসারে মানুষ বানরের বংশধর।
বিবর্তনবাদ এটা দাবী করে না বলার পর ভুল স্বীকার করে বললেন, বিবর্তনবাদ একটি থিওরী মাত্র। বিজ্ঞানের সব কিছুই থিওরী এটা যে জানে না, বিজ্ঞান সম্পর্কে তার প্রাথমিক জ্ঞানই নেই বলে মনে করি।

৫| ০২ রা মার্চ, ২০১১ রাত ৮:৪০

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আরেকটু খুঁজে দেখুন- মানব জেনোমের কত % কোডিং করা সম্ভব হয়েছে?
আপনার ব্লগে বললেন, বিবর্তনবাদ অনুসারে মানুষ বানরের বংশধর।
ভাই, আপনি কি ভুল দেখেছেন বা ভুল বুঝেছেন!?
নাকি ইচ্ছে করেই এমন একটা মিথ্যে অপবাদ আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিলেন?
আমার ব্লগে কোথায় আমি এমন আজব কথা বললাম তা একটু দেখিয়ে দিয়ে আসবেন কি?
আর ভুল করলে তো ভুল সবীকারের প্রশ্ন আসে। কোথাও তো এ ধরনের ভুলই করিনি, তাই ভুল স্বীকারের প্রশ্নই আসে না

০২ রা মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৫৫

ওয়াহিদ০০১ বলেছেন: আপনার ব্লগ থেকে কোট করলাম:

"বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রাথমিক পর্যায়ে এককোষী অণুজীব সৃষ্টির মধ্য দিয়েই সম্ভবত জীবনের আবির্ভাব ঘটে। কিন্তু তাই বলে শুধুমাত্র প্রাকৃতিক ও পারিপার্শ্বিক কারণে ও অধীনে গতানুগতিক জন্মপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই অণুকোষ থেকেই বংশানুক্রমে বিবর্তিত হতে হতে বানরেরা জন্ম নিয়েছে এবং এই বানরদের মধ্য থেকেই বিবেকবান মানব জাতির জন্ম হয়েছে এই ধারনাটি মোটেই সঠিক নয়। কারন আমরা জানি- প্রত্যেকটি নির্দিষ্ট প্রজাতির জীবকোষে সেই প্রজাতিটির জন্য নির্ধারিত নির্দিষ্ট সংখ্যক জীন বহিত বৈশিষ্ট্যগুলো বিদ্যমান থাকে। গতানুগতিক স্বাভাবিক জন্ম প্রক্রিয়ার অধীনে নির্ধারিত স্বাভাবিক জীন বাহিত বৈশিষ্ট্যগুলোর আদান প্রদান ঘটে। ফলে একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির প্রাণীদের মাঝে জেনেটিক নিয়ন্ত্রনের আওতায় একটি নির্দিষ্ট সীমানার অভ্যন্তরেই বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও পরিবেশগত বৈষম্যের কারণে আকৃতি ও প্রকৃতিগত কতিপয় বায়োলজিকাল পরিবর্তন অর্থাৎ সীমানির্দেশিত বিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। আর এ কারনেই আমার ও আপনার রং কালা আর প্রিন্সেস ডায়না সাদা। কিন্তু তাই বলে একটি নির্দিষ্ট জীব প্রজাতি থেকে কখনই স্রষ্টা প্রদত্ত নির্দিষ্ট জীন বাহিত বৈশিষ্ট্যের সীমানা অতিক্রম করে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ভিন্ন জীব প্রজাতির জন্ম হয় না। "

৬| ০২ রা মার্চ, ২০১১ রাত ১১:১২

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনি এবং সবাই ভাল কোরে দেখুন-
আপনি বলেছেন-
(আপনার ব্লগে বললেন, বিবর্তনবাদ অনুসারে মানুষ বানরের বংশধর।)

অর্থাৎ আমি নাকি বলেছি- (বিবর্তনবাদ অনুসারে মানুষ বানরের বংশধর।)

আশ্চর্য না হয়ে পারছিনা!!!
আমি কি বললাম আর আপনি কি বুঝলেন তা আপনিই ভাল জানেন?

আমি কি বলেছি তা আবারও ভাল কোরে লক্ষ করুন-
কিন্তু তাই বলে শুধুমাত্র প্রাকৃতিক ও পারিপার্শ্বিক কারণে ও অধীনে গতানুগতিক জন্মপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই অণুকোষ থেকেই বংশানুক্রমে বিবর্তিত হতে হতে বানরেরা জন্ম নিয়েছে এবং এই বানরদের মধ্য থেকেই বিবেকবান মানব জাতির জন্ম হয়েছে এই ধারনাটি মোটেই সঠিক নয়।

উপরে তো আমি স্পষ্টভাবেই এ কথাটাই বোঝাতে চাইলাম- এখনও যারা ভাবে যে, বিবর্তনবাদ অনুসারে মানুষ বানরের বংশধর- তাদের সেই ধারনাটা মোটেই সঠিক নয়-
এরপরও কি আপনি আপনার ভুল বুঝতে পারবেন না?
আপনার সাথে আর কথা বাড়ানো ঠিক নয়-

০২ রা মার্চ, ২০১১ রাত ১১:২০

ওয়াহিদ০০১ বলেছেন: ঠিক আছে, বুঝলাম আপনি সাধারণ মানুষের ভুল ধারণার বিরুদ্ধে লিখেছেন।আপনি আমি দুজনই বিশ্বাস করছি মানুষ বানরের বংশধর নয়।
তাহলে এই বিষয়ে বিতর্ক না বাড়ানোই ভালো, আমি ভুল স্বীকার করলাম।

৭| ০৫ ই জুন, ২০১২ রাত ২:৩৪

মূসা আলকাজেম বলেছেন:

আস্তিক ও নাস্তিকের মাঝে একটি মনোজ্ঞ বিতর্ক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.