নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নামপুরুষ

নামপুরুষ

স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।

নামপুরুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

২০১২১২২৭

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯

তুমি শুধু আমার হবে।



চকলেট খাওয়া শৈশব মনে পড়ার পর আরও কিছু ঘ্রাণ...

এই যেমন অগ্রহায়ণের বিরান ফসলের মাঠে

সদ্য কেটে নেওয়া ফসলের ঘ্রাণ, আবছা কুয়াশার বাষ্প, বাষ্পে মাটির গন্ধ

বিকেল পেরিয়ে গোধূলী গলানো সন্ধ্যায়

খুব দামী মুখের মুখোমুখি মুহূর্তের মহেন্দ্রক্ষণ

হাত ও আঙুল জুড়ে বুনোফুল ঘাসের ঘ্রাণ-

ইতিবৃত্ত নিয়ে ফিরে আসে।

অতি প্রাচীন দুঃখ বোধেরা তীব্রতায়

ছায়া ছেড়ে হয় উজ্জ্বল।

হৃদয়ের অনেক অনেক শূন্য হয়ে যাওয়া সংরক্ষিত স্থানে

থরে থরে সাজিয়েছি ভাল ভাল ভালবাসা,

অপূর্ণ প্রিয় আশা,

পরে দেখেছি আস্থাহীন স্বপ্নের মত সেই সব সবুজের পরজীবি হয়ে ওঠা

অর্কিডের ফুল, অর্কিডের কাঁটা

অর্কিডের বেড়ে ওঠা।

বেঁচে থাকা- দীর্ঘ নাতিদীর্ঘ পথের ভয়, ভাব, ভালবাসায়, ভনিতায়, আশায়,

আমার মাঝে বেড়ে ওঠে

দিনের আলোতে এসে, রাতের মাঝে একা একা, নিঃসঙ্গতা সমভিব্যাহারে।

সকল অর্কিড, আঙিনার ঘ্রাণ ছাপিয়ে আসে

ছেড়ে আসে অগ্রহায়ণের শুন্যতা।

যেখানে পূর্ণতার পর হঠাৎ শূন্য প্রান্তর এসে হাজির হয়

কোথাও প্রাপ্তির আনন্দ, প্রত্যাশার সমীকরণ, কোথাও রিক্তশ্বাস।

অহম ও বাস্তবতা।

পরাবাস্তবতা ও আবেগ।

সব যুক্তিহীন মনে হয়,

মনে হয়, সব অহম পরাবাস্তবতা ছেড়ে চলে গেছে বালুচর

সব আবেগ গড়েছে বাস্তব সম্মত বনানী

কষ্টগুলো ছাঁচে ঢেলে

গলিয়েছে সুদক্ষ কারিগর- বিনিদ্র রজনীর অনুজ্জ্বল আলোর অবয়ব।

ক্রমশ দীর্ঘ হয় বাতিল হওয়া সুরে সিক্ত কথামালা

লহরী ও অন্যান্য ধ্বনি

দেয়ালিকা জুড়ে খন্ড খন্ড আহত চিহ্নের শিল্প।

প্রতীতি ও প্রতিজ্ঞা।

প্রশ্রয় বা প্রতিদান।

প্রকৃতি ও প্রত্যয়।

প্রণয় বা প্রত্যাখ্যান।

প্রতিটা প্রহর প্রত্যহ কিংবা প্রত্যেক প্ররোচনায়

প্রতিফলিত হয় প্রাণেশ্বরীর প্রতিবিম্ব,

প্রবোধ নেই ,কেবলই প্রত্যাশার প্রতারণা

প্রাণহীন প্রাচীর হতে প্রতিধ্বনির প্রত্যাবর্তন,

প্রচন্ড প্রলয়ের প্রতিবেদন হয়ে যায় প্রহসন।

প্রিয় যায় প্রতিকূলে, প্রচুরতার প্রলোভনে।

প্রেম পড়ে রয় প্রতীক্ষায়।

প্রতিদিনই হয় যার প্রথম দিন

প্রশমিত হয় না প্রায় কোন কিছু।

প্রথা ও প্রশ্নাবলী,

প্রতিহিংসার বাণীর প্রতিঘাত ,

প্রবাদপ্রতিম প্রবঞ্চনা আনে জীবনে।

প্রবল ক্রন্দনে নিমজ্জিত বিগত ঘ্রাণ

প্রত্যুত্তরহীন প্রতিচ্ছবি হয়েছে আপাত সম্বল,

প্রতিশোধ, পরিশোধ বাদে আমার বেয়াত্রিস (ইকলেবিদিস বেয়াত্রিস)।

প্রখর সকল দুর্যোগে, হাসিতে একমাত্র মেঠোপথ

প্রকান্তরে প্রতিষ্ঠিত প্রাজ্ঞ জন

প্রার্থিত ভালবাসার প্রকাশিত অংশ নিয়ে থাকে সংশয়ে।

প্রগাঢ় শূন্যতায় ঢাকা পল্লবীর সকল পল্লব তাই পুষ্প-পত্র বিহীন- আজও।

নম্রতা, আদর, উষ্ণতা

সব ছেড়ে যায় আমার প্রেম।

পিদিম আর জ্বলে না আলো আর মেলে না।

আমার উল্টো হাটা

পেছন ফিরে দেখা

শূন্যতাকে হাত নেড়ে বিদায় জানাই,

পথের সমান্তরাল, পথের আড়াল আর পথের স্থিতিস্থাপকতা

সরিয়ে দিতে দূরে, বহু দূ-র

হেটেছি ভুতুড়ে পাথার, বাঁদাড় একলা একা।

শূন্য শূন্য অভাব যা কিছু গোপন

তারে জানে রাজন্য জন, সকল চক্ষুষ্মান হৃদয়

সকল আমাত্য, সকল সভাজন

মেনেছি তার হেলা, অবজ্ঞা আর তীক্ষè অপমান

কী লাভ বলো বান্ধব, তুমিও বিকাও যদি পার্থিব সংজ্ঞায়

বিছাও আঁচল যদি কেবলই সুখ সমাগমে,

আমার পিয়াসী পূজারী মন নিশ্চুপ হয়ে যায় তখন,

খেয়ালী চলন তখন নিশ্চল বধির; শীতে শ্রীহীন কৃষ্ণচূড়া যেমন।

আমি তো চাই প্রেম -প্রাণে, বোধের সকল তানে।

আমি চাই সকল চোখের তারায় প্রকাশিত হোক মগ্ন যুগল, নিমগ্ন প্রেম।

আমি তো চাই যুগ যুগান্ত ব্যাপী আস্থা বিনির্মাণ- এক লহমায়।

চাই সুপরিবাহী মাধ্যমে কথোপকথন, উজ্জ্বল আলো, উষ্ণতা বিনিময়।

আমি চাই দিতে দিতে শুদ্ধ লোনা জলকণা- আনন্দের, প্রতি উৎসবে।

আমি চাই বৈষম্যেরা সব অসম্ভবেও যদি রয়, তুমি আমার; শুধু আমার হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.