![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্ন সত্যি না হলে কষ্ট লাগে সত্য, কিন্তু তাই বলে কি স্বপ্ন দেখার আনন্দে স্বপ্ন দেখব না। নিত্য স্বপ্ন দেখি, এ দেশটাকে নিয়ে, দেশের মানুষগুলোকে নিয়ে। স্বপ্ন দেখি, এ দেশটা স্বপ্ন দেখায় পৃথিবীকে, স্বপ্ন দেখি, এ দেশটা নিয়ন্ত্রন করে পৃথিবী, স্বপ্ন দেখি, পৃথিবীর কাছে, এ দেশটাই পৃথিবী।
ব্রেকিং নিউজঃ যাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে ২২ জনের পদদলিত হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু।
আর কত? প্রতি বছর আর কত এই একই শিরোনাম দেখে যাব আমরা ? আর কত মানুষের মৃত্যু হলে আমরা যাকাত দেবার নামে মৃত্যুর এই তামাশা বন্ধ করব ? তামাশা, হ্যা এটাই সত্য, কিন্তু এই দেশের কেউ তা বুঝতে চায়না। যাকাত আর দান যে এক নয়, এটাই তারা বুঝতে চায়না। যাকাত মানে কিন্তু এই না যে আমি কাকে কী দিলাম বা কত দিলাম, বা আমি এই বছর কতগুলো শাড়ি-লুঙ্গি বিতরন করলাম। যাকাতের মূল উদ্দেশ্য হলো, যাকে এ বছর যাকাত দেয়া হলো তাকে যেন পরের বছর যাকাত দেবার দরকার না হয়। কোটি টাকার শাড়ি বিতরন না করে তা দিয়ে যদি ১০ জন লোককে স্বাবলম্বী করা হয় প্রতিবছর, কয়েক বছর পর আর যাকাত দেবার লোক খুজে পাওয়া যাবে না। আমরা যাকাত হিসাবে নগদ টাকা বা কাপড় না দিয়ে যদি সরাসরি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করি তাই হতে পারে সর্বোত্তম।
এখন দেখা যাক এসকল সমস্যার সমাধান আমরা কিভাবে করতে পারিঃ
১। সরকারিভাবে একটা তহবিলে যাকাতের টাকা সংগ্রহ করা যায় যাহা সম্মিলিত ভাবে দেশের গরীব দূঃখীদের কল্যান ও উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে। এখানে প্রতিবছর যে টাকা যাকাত অনুদান আসবে তা থেকে প্রতিবছর যত জনকে সম্ভব এমনভাবে স্বাবলম্বী করতে হবে যেন তার আর কখনো যাকাত - ফেতরার দরকার না হয়।
২। প্রতিটা মহল্লার মসজিদ কে কেন্দ্র করে যাকাত সংগ্রহ করা যেতে পারে এবং তা হতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উক্ত মহল্লার গরীব দূঃখীদের কল্যান ও উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে। সেখানে যদি ৮-১০ জন লোককেও স্বাবলম্বী করা যায় প্রতিবছর, কয়েক বছর পর আর উক্ত মহল্লায় যাকাত দেবার লোক খুজে পাওয়া যাবে না আমি নিশ্চিত।
৩। আমরা নিজেরাও অনেক যাকাত দিয়ে থাকি। আমরা কী এমন একটা উদ্যোগ নিতে পারিনা যে এখন থেকে আমরা আর এককভাবে যাকাত প্রদান করব না, বরং আমরা যারা কাছের লোক যেমন ভাই-বোন-বাবা-মা, শ্বশুড়-শ্বাশুড়ী, দেবর-ননদ-জা, মামা-মামী, খালা-খালু সবাই যদি আলাদাভাবে তাদের যাকাত না দেই, বরং সবার যাকাতের টাকা এক জায়গায় করে, যদি ২-৪ জন লোককেও স্বাবলম্বী করি প্রতিবছর ( না হয় আগে নিজেদের দরিদ্র আত্মীয়-স্বজনদের দিয়েই শুরু করি ), তবে কী খুব বেশিদিন লাগে দারিদ্রমুক্ত পৃথিবী গড়তে?
চাইলে এমন হাজারটা পন্থা আপনারা সবাই বের করতে পারবেন তা আমি জানি, তা সে যে পন্থায়ই হোক না কেন, আমাদের জন্য জরুরি হলো আমাদের যাকাতের টাকার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা, তাই নয় কী। আমরা কী এখনও ভেবে দেখব না। আমাদের কী কোন অধিকার আছে যাকাত দেবার নাম করে মানুষের জীবন কেড়ে নেবার? হোক সে গরীব, না খেতে পাওয়া মানুষ।
নাহয় আমরা যাকাত দেবার নামে পত্রিকার পাতার শিরোনাম নাই হলাম।
নাহয় আমরা দানবীর উপাধি নাই পেলাম।
নাহয় আমরা বিশিষ্ট সমাজসেবী হিসাবে পরিচিতি নাই পেলাম।
আমরা কী চাইলেই পারিনা যাকাতের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে সত্যিকার অর্থেই দারিদ্রমুক্ত পৃথিবী গড়তে?
প্লিজ, প্লিজ, প্লিজ, সবাই আমরা একবার হলেও ভেবে দেখি।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে মানুষের জন্য ভালো কিছু করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
©somewhere in net ltd.