নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জাতিসংঘ না জাতি সংঘর্ষ? এরা কোন জাতির সংঘ?
তুরষ্কের প্রসিডেন্ট এরদোগান যখন তার এক বক্তব্যে বলেছিলেন- জাতিসংঘ অমুসলিমদের সংগঠন, অমুসলিমদের স্বার্থ রক্ষাকারী সংগঠন।
তখন তার এ কথাগুলো আমার ভালো লাগে নি। এখন দেখলাম এর সত্যতা।
গত মঙ্গলবার ফিলিস্তিনে ইসরাইলি দখলদারিত্ব অবসান চেয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আনা প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
কাউন্সিলে এ দিন এক বছরের মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি স্থাপন ও ২০১৭ সালের মধ্যে দেশটির দখলদারিত্বের অবসানের প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে তোলা হয়।
মঙ্গলবার এ প্রস্তাব জাতিসংঘে পাশ না হওয়ার ফলে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বপ্ন আরও দীর্ঘায়িত হল। খবর আলজাজিরা
জাতিসংঘ যদি বাস্তবেই সবজাতির স্বার্থরক্ষার সংগঠন হতো তাহলে কাষ্মীর আজ স্বাধীন হিসেবে পরিচিত হতো। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সর্বসম্মত হয়ে প্রস্তাব পাস করে যে জম্মু- কাশ্মীরের জনগণ রেডারেন্ডামের (গণভোট) মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবে যে তারা কোন দেশের অন্তর্ভুক্ত হবে। নপুংশক জাতিসংঘ আজ অবদি গণভোটের জন্য ভারতকে রাজি করাতে পারে নি। জাতিসংঘ কয়েক মাসের মধ্যেই ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব তিমুরে গণভোটের মাধ্যমে স্বাধীনতা দান করতে পারলো, অথচ কাশ্মীরে নিজেদের প্রস্তাবও বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করতে পারলো না। জাতিসংঘ অমুসলিমদের বলেই পূর্ব তিমুরের ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধা করেছে। কারণ সেখানে অমুসলিমদের স্বার্থ জড়িত ছিল।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিন প্রস্তাব পাশ করতে দেয়া হয়নি কেন? মূলত, আমেরিকা আন্তরিকভাবে কখনো চায় না যে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধান হউক। বরং তাদের চাওয়া হলো ফিলিস্তিনি আরবদের উচ্ছেদ করে ফিলিস্তিনকে ইসরাইলে রূপান্তর করা। ১৯৪৮ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ইসরাইলের মানচিত্রের ক্রমবর্ধমান চিত্রই যে এর বড় প্রমাণ।
জাতিসংঘের নাকে দড়ি দিয়ে ইচ্ছে মতো ঘুরাচ্ছে আমেরিকা। আমেরিকার স্বার্থের সাথে সামান্যও যদি পৃথিবীর কোথাও সাংঘর্ষিক হয়, জাতিসংঘের ব্যানারে তার স্বার্থ চরিতার্থের পথ নিষ্কন্টক করা হয়।
তাই তো আজ বলতে বাধ্য জাতিসংঘ, পৃথিবীর সকল জাতির সংঘ না হয়ে প্রায় সকল জাতির সংঘর্ষের কারণ হয়েছে। কারণ তার ক্ষমতা আছে কিন্তু সে ক্ষমতার ব্যবহার খুবই করুণভাবে পক্ষপাত দুষ্ট হয়ে পড়েছে। যার অন্যতম গিনিপিগ হিসেবে মুসলিম জাতিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবুও মুসলিম জাতির বোধদোয় হচ্ছে না।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:০৯
ওয়ালী আশরাফ বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:১৯
নিলু বলেছেন: আসলে জাতিসংগ একক ক্ষমতাধর কোন প্রতিষ্ঠান নয় , সকলের সমন্বিত একটি প্রতিষ্ঠান , এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠর দেশের মতামতের ব্যাপার রয়েছে , যেমন আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে দেশ শাসন করি , আর ইসলামী রাষ্ট্রর স্বার্থ যদি রক্ষা করতে চান , তাহলে তাদেরই ঐক্য গড়ে শক্তি সঞ্চয় করতে হবে । তাদের বলবেন বিধর্মী কিংবা বলবেন তাদের বিরুদ্ধে , আর চাইবেন সুবিধা তাতো হতে পারেনা ।
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:১৩
ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: িনলু বলেছেন: ...এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠর দেশের মতামতের ব্যাপার রয়েছে
এত হাস্যকর বিবেচনা ও যুক্তি আপনার!
৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৩৪
নিলু বলেছেন: ভাই ক্ষতিগ্রস্থ , ঠিক আছে আপনার কথা মেনে নিলাম , তবে যারা চালায় জাতিসঙ্গ তাদের নিয়ন্ত্রন তো থাকবেই , মুসলমান রাষ্ট্র সমূহের কি অবদান বা ভুমিকা রয়েছে জাতিসংগে ? নিয়ম সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতেই চলার কিন্তু তা যদি না হয় তাহলে নিচ্চয় তাদের ক্ষমতা আছে অহ্নের মতামতকে উপেক্ষা করা বা তাদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার । সেক্ষেত্রে আমাদের কি করনিয় আছে বলে মনে করেন ?
৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৩
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যের মধ্যে দুটি খ্রীস্টান (রাশিয়া ও ফ্রান্স) রাষ্ট্র, দুটি ইহুদি (যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য), একটি নাস্তিক (চীন)।
এদের কাছ থেকে আপনি কি করে আশা করেন যে, তাদের চিরশত্রু মুসলিমদের উপকারে আসে, এরকম কোন সিদ্ধান্তে তারা একমত হবে?
ফিলিস্তিনের পক্ষে নাকি মুসলিম দেশ নাইজেরিয়াও ভোট দেয়নি। এটা আমরা কোন দুনিয়ায় আছি?
৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮
সত্যের পথে আরিফ বলেছেন: আসুন একটা মুসলমান জাতীসঙ্গের জন্য ভাবি/ফিকির করি/লিখি? বিন্দু থেকেই সিন্ধুর স্রিষ্টি হয়।
৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৮
ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: িনলু বলেছেন: ভাই ক্ষতিগ্রস্থ, ...সেক্ষেত্রে আমাদের কি করনিয় আছে বলে মনে করেন ?
পক্ষপাতদুষ্টতার বিরুদ্ধে অন্তত প্রতিবাদতো করতে হবে! মুসলমানদের ঐক্য গড়ে তোলা ও সামর্থ্য অর্জনের চেষ্টাতো করতে হবে!
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৫৩
ওয়ালী আশরাফ বলেছেন: চেষ্টা করতে পারেন, কিন্তু মনে রাখবেন ইহুদী ষড়যন্ত্রকারীরা মুসলমানদের কোন ঐক্য প্রচেষ্টাকেই সফলতার চুড়ায় পৌঁছতে দেবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:৪৮
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: ওআইসি ঠিক ঠিক থাকলে জাতিসংঘ মুসলমানদের কিছুই করতে পারতো না। এমন কী এতো দিনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রও হয়ে যেতো। মুনাফিক শুধু ব্যক্তি বিশেষই নয়, এখন জাতি, রাষ্ট্র, সংস্থাও মুনাফিকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। অ্যামেরিকার পা চাটা মুসলিম রাষ্ট্রের অভাব নাই। সৌদি, কুয়েত এই সারিতে প্রথম দিকেই আছে। আফসোস!
জাতিসংঘের উপর আমার বিশ্বাস কোন কালেই ছিল না। কারণ নিরাপত্তা পরিষদে যে ভেটো পাওয়ার আছে, সেটা ডিঙ্গিয়ে কখনোই কোন বৃহৎ আকারে ভালো কাজ করা যাবে না। নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত যেকোনো প্রস্তাব নাকচের জন্য একটা ভেটোই যথেষ্ট। অথচ বৃহৎ পঞ্চশক্তি বলে বিবেচিত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স এবং চীনকে কখনো এক কাতারে করা যাবে কিনা সন্দেহ আছে। তাই আপনি যা বলেছেন, সেটাই সত্য। জাতিসংঘ না বলে জাতি সংঘর্ষ বলাই উচিৎ।