নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সমাদৃত, মিথ্যা ধীকৃত

হলুদ মিডিয়ার অবাধ মিথ্যাচার প্লাবনে সত্যানুসন্ধানী অভিযাত্রী

ওয়ালী আশরাফ

ওয়ালী আশরাফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের ক্লোন তৈরী বনাম সৃষ্টিকর্তা হওয়া!

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৪৪

একজন মুক্তমনা কম্যুনিস্টের পোস্টে দেখলাম মানুষ এখন নাকি মানুষের ক্লোন বানাইতে পারে। কাজেই কম্যুনিস্টের বক্তব্যে মানুষ সৃষ্টিকর্তা প্রায়(নাউজুবিল্লাহ)। অথচ আল্লাহ কোরআনে মানুষ ও জ্বীনকে চ্যালেঞ্জ করেছে কেবল একটি মাছি বানাইয়া দেখাইতে নিজ থেকে।

হেঁহেঁ... ভাই এসব পড়ে আপনি বিভ্রান্ত হবেন যদি আপনার জ্ঞানের পরিধি রেওয়ামিলে শুরু আর কলা বিভাগের সাহিত্যে গিয়েই শেষ হয়।

"ক্লোন" জিনিসটা কি তা আমাদের জানতে হবে। এটি হল কোন একটি প্রাণীর একটি "একক জীবন্ত কোষ সংগ্রহ" করে তাকে কৃত্রিমভাবে জাইগোট ও পর্যায়ক্রমে কোষ বিভাজনের মাধ্যমে ফিটাস পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে নতুন প্রাণী তৈরি।

আমি আবারও "একক জীবন্ত কোষ সংগ্রহ" বাক্যটিতে জোর দিচ্ছি।

প্রশ্ন হল এই একক জীবন্ত কোষটা আপনি কোত্থেকে নিচ্ছেন?

নিজে বানাইসেন নাকি হাওয়া থেকে আমদানি করসেন?

এই "জীবন্ত কোষ"টা কিন্তু আপনি আল্লাহর সৃষ্টি কোন প্রাণী থেকেই সংগ্রহ করছেন। অর্থাৎ জীবন্ত কোষের প্রাণটা কিন্তু আপনি দিচ্ছেন না, প্রাণটা আল্লাহর দেওয়া জীবন্ত প্রাণী থেকেই নিচ্ছেন।

তাহলে কি এটাকে "সৃষ্টি" বলা যায়?- কখনোই না। কারণ আপনার সাধ্যি নাই নিজ থেকে "প্রাণ" কিংবা "জীবন" টা সৃষ্টি করা।

কোরআনে ঠিকই বলা আছে। যদি ক্ষমতা থাকে নিজ থেকে একটা মাছিই সৃষ্টি করে দেখান অন্য কোন জীব থেকে আল্লাহ প্রদত্ত "জীবন" ধার না করে।

আর এই ক্লোনিং কে যদি সৃষ্টি বলা যেত তবে স্ত্রী সহবাসে আপনার শুক্রানু আর স্ত্রীর ডিম্বানুর মিলনের ফলে বাচ্চা পয়দা হয়, এ ক্ষেত্রেও আপনিই বাচ্চার সৃষ্টিকর্তা হয়ে যেতেন। কিংবা ফলের বীজ মাটিতে বপন করলে যখন নতুন চারা গজায় সেক্ষেত্রেও আপনি সৃষ্টিকর্তা হয়ে যেতেন!

গ্রামেগঞ্জে চারা কলম পদ্ধতিতে যে মাতৃ উদ্ভিদের অংশ নিয়ে নতুন চারা উদ্ভিদ তৈরি করা হয় সেটাও এই ক্লোনিং এর একটা পারফেক্ট উদাহরণ।

তবে কি মুক্তমনা কহিবেন চারা কলম পদ্ধতিতে নতুন চারা গজানোতে কৃষক মশাইও সৃষ্টিকর্তা হয়ে গেছেন(নাউজুবিল্লাহ)?

{সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ স্বীয় জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধির লক্ষে সংগৃহীত}

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৪৮

আজব গোয়েন্দা বলেছেন: একমত

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০৬

ওয়ালী আশরাফ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০৪

প্রামানিক বলেছেন: তবে কি মুক্তমনা কহিবেন চারা কলম পদ্ধতিতে নতুন চারা গজানোতে কৃষক মশাইও সৃষ্টিকর্তা হয়ে গেছেন(নাউজুবিল্লাহ)?

লেখার জন্য ধন্যবাদ

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১৫

ওয়ালী আশরাফ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০৬

নতুন বলেছেন: অবশ্যই ক্লনিং সৃস্টিকরা না... এটা যারা দাবি করে তারা অবশ্যই অতি গিয়ানী..

কিন্তু জিঙ্গাসা আসে মনে... যদি আমার শরীরের থেকে কোষ নিয়া আমার মতন আরেক মানুষই ক্লন হয়... তবে সেই শরীরের রুহু কোথা থেকে আসবে?
সকল রুহুর মালিক আল্লাহ... তিনি না দিলে কেথা থেকে আসবে?

কেন আল্লাহ ঐ ক্লনড শরীরে রুহু দিবেন? ঐটা তো তার নিয়মের বাইরে... যদি না দিতেন তবে শরীর ক্লন করলেও আত্না থাকতো না... তখন বেপারটা কেমন হইতো...

আর যদি ক্লনড শরিরে আত্না আল্লাহের কাছ থেকেই আসে তবে কেমনে কি?

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১১

ওয়ালী আশরাফ বলেছেন: "ক্লোন" জিনিসটা কি তা আমাদের জানতে হবে। এটি হল কোন একটি প্রাণীর একটি "একক জীবন্ত কোষ সংগ্রহ" করে তাকে কৃত্রিমভাবে জাইগোট ও পর্যায়ক্রমে কোষ বিভাজনের মাধ্যমে ফিটাস পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে নতুন প্রাণী তৈরি।

আমি আবারও "একক জীবন্ত কোষ সংগ্রহ" বাক্যটিতে জোর দিচ্ছি।

প্রশ্ন হল এই একক জীবন্ত কোষটা আপনি কোত্থেকে নিচ্ছেন?

নিজে বানাইসেন নাকি হাওয়া থেকে আমদানি করসেন?

এই "জীবন্ত কোষ"টা কিন্তু আপনি আল্লাহর সৃষ্টি কোন প্রাণী থেকেই সংগ্রহ করছেন। অর্থাৎ জীবন্ত কোষের প্রাণটা কিন্তু আপনি দিচ্ছেন না, প্রাণটা আল্লাহর দেওয়া জীবন্ত প্রাণী থেকেই নিচ্ছেন।

তাহলে কি এটাকে "সৃষ্টি" বলা যায়?- কখনোই না। কারণ আপনার সাধ্যি নাই নিজ থেকে "প্রাণ" কিংবা "জীবন" টা সৃষ্টি করা।

কোরআনে ঠিকই বলা আছে। যদি ক্ষমতা থাকে নিজ থেকে একটা মাছিই সৃষ্টি করে দেখান অন্য কোন জীব থেকে আল্লাহ প্রদত্ত "জীবন" ধার না করে।

৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪১

নতুন বলেছেন: আমি তো বল্লামই যে ক্লোনিং সৃস্টি না.....


আমি জিঙ্গাসা করেছি প্রান/রুহু কোথা খেকে আসলো নতুন শরিরের...

আমার ক্লোন করলে আমার মতনই দেখতে হবে... কিন্তু রুহু কোথা থেকে আসবে?

আল্লাহের রুহুর স্টক থেকেই একটি ঐ নতুন ক্লোনড শরিরে দেবে তাইনা??

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৪৫

ওয়ালী আশরাফ বলেছেন: কলম পদ্ধতিতে নতুন চারা যখন গজিয়ে উঠে, তখন সেই নতুন চারার সঞ্জীবনী সুধা (সজীবতার পাথেয়) কোথা থেকে আসে বলেন তো? নিশ্চিত উত্তর যে গাছের সংযুক্তিতে কলম পদ্ধতির রূপায়ন তা থেকেই। অতএব, কলম পদ্ধতিও কোন নতুন জীবন সৃষ্টি নয় বরং অন্যের জীবন থেকে ধার করে স্বীয় জীবন সচলায়তনের রূপ। তেমনিভাবে ক্লোনিং পদ্ধতিও

৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৫৯

দ্যা লায়ন বলেছেন: যিনি বানাচ্ছে তিনি এবং তার মস্তিষ্ক কে বানিয়েছে? তিনি কি তার মৃত্যু রোধ করতে পারবেন? তিনি যাই সৃষ্টি করুকনা কেন তাকে কে বানিয়েছে?

সুতরাং কারো কোন আবিষ্কারের কৃতিত্ব তার বলা অমুলক।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:২৪

ওয়ালী আশরাফ বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর বলেছেন। দ্যা লায়ন

৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:৪৫

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনাদের মত ধর্ম জ্ঞানী দের জন্য এই খবর টা দিলাম

আর্টিফিশিয়াল সেল

৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৪১

চলতি নিয়ম বলেছেন:

জানুয়ারী,২০১৫(৬)
ধর্মনিরপেক্ষ এবং কিছু প্রশ্ন?
পেট্রোল বোমারু কারা? কী তাদের উদ্দেশ্য?
রুবেল-হ্যাপি; ঘটনার মূল উৎস কী? কে কতটুকু দায়ী?
একটি আহবান!
ইসলামের কি কোন কম্পালসারি ড্রেসকোড আছে?
জাতিসংঘ না জাতি সংঘর্ষ?
ডিসেম্বর,২০১৪(২)
অসভ্য মিডিয়া , খালি এক দিক দেখো , দুই দিক দেখাইতে তোমাদের সমস্যা কি ?
কেমনে লাশের উপর অনুষ্ঠান চালিয়ে নিতে পারে?
নভেম্বর,২০১৪(১)
ধর্ম বা ধর্মীয় আচার আচরণকে ভিলেন রূপে উপস্থাপন বন্ধ করুন

:( :( :(

৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: কলম পদ্ধতিতে নতুন চারা যখন গজিয়ে উঠে, তখন সেই নতুন চারার সঞ্জীবনী সুধা (সজীবতার পাথেয়) কোথা থেকে আসে বলেন তো? নিশ্চিত উত্তর যে গাছের সংযুক্তিতে কলম পদ্ধতির রূপায়ন তা থেকেই। অতএব, কলম পদ্ধতিও কোন নতুন জীবন সৃষ্টি নয় বরং অন্যের জীবন থেকে ধার করে স্বীয় জীবন সচলায়তনের রূপ। তেমনিভাবে ক্লোনিং পদ্ধতিও


প্রতিটি মানুষের একটি রুহু আছে তাই না??

তাহলে ক্লোনিং এর মানুষের রুহু টি আল্লাহ কেন দেবেন?? তিনি না দিলে কেউই তো ক্লোনিং করতে পারতোনা...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.